Ajker Patrika

জার্মানির বনে ড্যাফোডিলের আবু নওফেল সাজিদ

আবু নওফেল সাজিদ।
আবু নওফেল সাজিদ।

What is noted, Can’t be rotted— যদি ক্ল্যাসিক্যাল ফিলোসোফি থেকে চিন্তা করি তাহলে বোধ হয় কথাটি জীবন এবং সময়ের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। জীবনের মূল্যবোধ সময়ভেদে নানারকম। সেই দৃষ্টিকোণ থেকেই হয়তো রবার্ট জে অপেন হেইমার বলেছেন, ‘Few people Laughed, Few people cried and Most of them are Silent’। গল্পের অবস্থানও তেমন সময়ের সঙ্গে একটি পরিবর্তিত রূপের, যা জীবনকে নতুন এক ডাইমেনশনে নিয়ে এসেছে।

আবু নওফেল সাজিদ একজন সাধারণ যুবক যিনি বরিশালের গৌরনদী উপজেলার তিখাসার নামক গ্রামের অধিবাসী। একটি মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে বেড়ে ওঠা, তবে সময়ের বেড়াজালে বিভিন্ন প্রতিঘাত যা রয়েছে আষ্টে পৃষ্ঠে । বাকি দশজনের মতোই স্বপ্ন ছিল জীবনে মানবসেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখা। স্বপ্নকে লালন করে প্রতিনিয়ত নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার সংকল্প ছিল তার। সেই স্বপ্নের পথ ধরে এগিয়ে চলার শুরু হয় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা, মিডিয়া এবং যোগাযোগ বিভাগে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ধাপে বাবাকে সড়ক দুর্ঘটনায় হারানোর পরে জীবন অনেকটা সংকুচিত হয়ে পরে। তবে সেখানেই হয়তো গল্পের মোড়, শুরু হয় একটি নতুন পথের উদ্দেশ্যে। সৃষ্টিকর্তা হয়তো চেয়েছেন জীবনে নতুন মাত্রা যোগ করবেন তাই নতুন করে শুরু হলো পথচলা। যাত্রাপথ মসৃণ ছিল না, তবে শিক্ষকদের সহযোগিতায় তার একাডেমিক ক্যারিয়ার আবার খানিকটা এগোতে শুরু করল। তার ধারণায় এ যাত্রায় কাছের মানুষের অবদান কাগজে লিপিবদ্ধ করার মত সময় এখনো হয়ে ওঠেনি কিন্তু জীবনের সকল সিদ্ধান্তে তার পরিবার ঢাল হিসেবে অবতীর্ণ হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে তিনি খুবই শান্ত স্বভাব এবং মিশুক প্রকৃতির ছিলেন। তেমন বন্ধু সমাজ তৈরি না হলেও তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিউনিকেশন ক্লাব এবং বিতর্ক ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পাশাপাশি সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজসহ বিভিন্ন গবেষণা ভিত্তিক কাজে সাংবাদিকতা মিডিয়া এবং যোগাযোগ বিভাগের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। প্রতিটি মানুষের জীবনে হয়তো একজন ব্যক্তির আগমন ঘটে পরবর্তীতে যেখানে সে গল্পটিকে এগিয়ে নিয়ে যায়, তেমনভাবে হয়তো বিভাগীয় প্রধান সহকারী অধ্যাপক আফতাব হোসাইনের অবতারণা হয় এই গল্পে। কিছুটা ইনট্রোভার্ট থাকার দরুন একদিন রাতে তিনি জানার চেষ্টা করেন ‘তার দ্বারা কি সম্ভব?’ প্রফেসর সেদিন হয়তো তাকে চিনিয়ে দিয়েছিলেন গল্পের শেষ পরিণতি এখানেই নয়, যুদ্ধ করে এগোতে হবে বহু পথ। তার চোখে তিনি নিলস বোরের থেকে কম কিছু নয় বলে সে বিশ্বাস করেন।

বিভিন্ন মানুষ, ধর্ম, বর্ণ, সংস্কৃতির মাঝে নিজেকে খুঁজে নেওয়ার প্রচেষ্টায় কাজ শুরু করলেন তিনি। দেশের বিভিন্ন মূলধারার পত্রিকা এবং ম্যাগাজিন গুলোয় লেখালেখির কাজ করতে লাগলেন। দিন শেষে অর্জনের দিক থেকে হিমালয় চূড়ায় ওঠার সাফল্য অর্জিত না হলেও কিছু নুড়ি কণাকে একত্রিত করার কিঞ্চিৎ অনুভব হয়তো প্রতীয়মান হলো। সৃজনশীলতা এবং সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য কাপড়ের ছোট একটি ব্যবসাও ছিল তার। সাবলীল এবং সিদ্ধ জীবন যেন খুবই সহজ যা ছিল তার চোখের ভাষায়। জীবন থেকে আসলে নেওয়ার তেমন কিছু নেই তবে অনুভূতি এবং সময়কে স্মৃতি রোমন্থন করে যায় বারংবার। নিজেকে জানার এবং ছাড়িয়ে যাওয়ার তীব্র আকাঙ্ক্ষা ছিল তার চোখে।

‘Fortune favours the braves— জীবনে শেখার এই পর্যায়ে তার পরিচয় হয় সাংবাদিকতা, মিডিয়া এবং যোগাযোগ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল কাবিল খানের সঙ্গে। তার দৃষ্টিতে সাহসিকতার জন্ম হয়তো এই শিক্ষক দিয়ে গিয়েছেন তার অতীত অভিজ্ঞতা থেকে। তার মতে মানুষ তখনেই শিখতে পারে যখন সে প্রতিকূলতা সঙ্গে নিয়ে হাসিমুখে এগিয়ে যায়। তেমনি তিনি তার হাসিমুখে কাবিল খানের সঙ্গে উত্তরা যাওয়ার পথের রিকশায় শোনা জীবনের দুঃসহ দিন কাটিয়ে ওঠার গল্প শুনে অনুপ্রাণিত হোন। আমরা গল্পের দিকে এগোতে থাকি।

একজন বিচক্ষণ ব্যক্তি বলেছিলেন ‘প্রকৃতি কখনো ফাঁকা স্থান পছন্দ করে না, সময়ের সঙ্গে সে শূন্যস্থান পূরণ করে নেবেই’। সাজিদের জীবন তেমনি নানা মতাদর্শ এবং বিশ্বাসের সঙ্গে বেশ চলছিল। এক সুন্দর সকালে তিনি জানতে পারেন জার্মানির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ডয়চে ভেলেতে (DW) ইন্টার্নশিপ করার সুযোগ সম্পর্কে। পরবর্তীতে তিনি বিভাগীয় প্রধানের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলেন এবং তিনি তাকে এ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা নেওয়ার জন্য আব্দুল কাবিল খানের সঙ্গে কথা বলার নির্দেশ দেন।

কাবিল খান বেশ কিছু নির্দেশনা প্রদান করেন, যা নিঃসন্দেহে এক নতুন অধ্যায় যুক্ত করে দেয় এই চরিত্রটির জন্য। ফলস্বরূপ ইন্টারভিউ সহ সকল প্রক্রিয়ার পরে জার্মানিতে ৩ মাসের জন্য ইন্টার্নশিপ করার সুযোগ পান। তিনি অতি সাধারণ এক অবস্থা থেকে হয়তো সামান্য পালক যুক্ত করতে চলেছেন এই যাত্রায়। গল্পের এই প্রক্রিয়ায় আফতাব হোসেন এবং আব্দুল কাবিল খানের সামগ্রিক প্রয়াসে যাত্রা এগিয়ে যাওয়ার সাহস পায়।

গল্পটা একজন তীর হারিয়ে ফেলা মাঝির। যা সৃষ্টিকর্তার বিশেষ করে আজ দৃশ্যমান হয়ে উঠতে চলেছে। যাত্রাপথে আরও বিশেষ কিছু মানুষের অবদান রয়েছে সে গল্প না হয় আজ থাক। সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে এ অর্জন হয়তো তেমন চূড়ান্ত মাত্রা যোগ করে না, কেননা জীবন হচ্ছে একটা চকলেটের বাক্স, কখন কোন চকলেটটি উঠবে তা কারোর জানা নেই। তিনি বিশ্বাস করেন হয়তো ‘এই দিনেই দিন নয়, আরও বাকি আছে’। ঘোড়দৌড়ের সবচেয়ে বাজে ঘোড়াটা হয়তো সর্বোচ্চ সফলতা বয়ে নিয়ে আসতে পারে। সেই মতবাদকে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য এবং দশজন পিছিয়ে থাকা মানুষের প্রতিনিধিত্ব করার জন্যই হয়তো গল্পের সাজিদের আজ এই পথচলা।

গত ২৭ ফেব্রুয়ারি টার্কিশ এয়ারলাইনের ফ্লাইটে জার্মানির বন শহরের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়েন সাজিদ। তার উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কৌশলগত প্রস্তুতিই এনে দেবে কাঙ্ক্ষিত স্কোর

শ্রেয়া ঘোষ
কৌশলগত প্রস্তুতিই এনে দেবে কাঙ্ক্ষিত স্কোর

আইইএলটিএস পরীক্ষার চারটি অংশের মধ্যে লিসনিং ও রিডিং তুলনামূলক সহজ। তবে ভালো স্কোর অর্জনের জন্য প্রয়োজন মনোযোগ, কৌশল ও দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার দক্ষতা। কিছু নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে চললে এ দুটি অংশে কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া সম্ভব।

নিয়মিত ইংরেজি শোনার অভ্যাস করুন

লিসনিং অংশে বিভিন্ন উচ্চারণ (ব্রিটিশ, আমেরিকান, অস্ট্রেলিয়ান) বুঝতে পারা গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন ইংরেজি খবর, পডকাস্ট বা সিনেমার সংলাপ শুনলে কানে স্বাভাবিকভাবে শব্দ ধরার ক্ষমতা বাড়ে। নিয়মিত অনুশীলন আপনাকে অডিওর গতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে সাহায্য করবে।

প্রশ্ন আগে পড়ে নিন ও মনোযোগ দিন

লিসনিং অংশে অডিও শুরু হওয়ার আগে প্রশ্নগুলো একবার পড়ে নিন। এতে করে কোন তথ্যের দিকে মনোযোগ দিতে হবে, তা আগে থেকে বুঝে যাবেন এবং উত্তর মিস হওয়ার আশঙ্কা কমবে।

বানানের দিকে খেয়াল রাখুন

লিসনিং অংশে অনেক সময় সঠিক উত্তর লিখলেও বানান ভুল হলে নম্বর কাটা যায়। সাধারণ শব্দগুলোর সঠিক বানান আয়ত্ত করুন এবং উত্তর লেখার সময় সতর্ক থাকুন।

স্কিমিং ও স্ক্যানিং কৌশল শিখুন

রিডিং অংশে পুরো প্যাসেজ শব্দ ধরে পড়ে সময় নষ্ট করা ঠিক নয়। স্কিমিং (মূল ভাব বোঝা) ও স্ক্যানিং (নির্দিষ্ট তথ্য খোঁজা) কৌশল ব্যবহার করলে দ্রুত উত্তর বের করতে পারবেন।

কি-ওয়ার্ড চিহ্নিত করুন

প্রশ্নে দেওয়া কি-ওয়ার্ডগুলো আন্ডারলাইন করুন। প্যাসেজে সেই শব্দ বা তার সমার্থক শব্দ খুঁজে বের করুন। এতে সময় বাঁচবে এবং ভুলের হার কমবে।

সময় ব্যবস্থাপনায় দক্ষ হোন

লিসনিং অংশে প্রতিটি সেকশন শেষে যে কয়েক সেকেন্ড সময় দেওয়া হয়, তা কাজে লাগান। রিডিং অংশে প্রতিটি প্যাসেজের জন্য নির্দিষ্ট সময় (প্রায় ২০ মিনিট) বেঁধে নিন। নিয়মিত অনুশীলনের মাধ্যমে সময় বণ্টনের অভ্যাস গড়ে তুলুন।

ভিন্ন ধরনের প্রশ্নে অভ্যস্ত হোন

রিডিং অংশে True/False/Not Given, Matching, Fill in the blanks, Multiple choice—এমন নানা ধরনের প্রশ্ন থাকে। প্রতিটি ফরম্যাটের আলাদা কৌশল রয়েছে। যেমন True/False/Not Given প্রশ্নে যুক্তি বিশ্লেষণ প্রয়োজন হয়, আর Matching প্রশ্নে সঠিক শব্দ বা ধারণা মেলাতে হয়। তাই প্রতিটি ধরনের প্রশ্নে আলাদাভাবে অনুশীলন করুন।

মক টেস্ট দিন

পরীক্ষার আগে আসল পরীক্ষার পরিবেশে বসে মক টেস্ট দিন। এতে সময় ব্যবস্থাপনা, প্রশ্নের ধরন এবং মনোযোগ ধরে রাখার অভ্যাস তৈরি হয়। নিয়মিত মক টেস্ট আত্মবিশ্বাস বাড়ায় এবং নিজের দুর্বলতা চিহ্নিত করতে সহায়ক হয়।

লেখক: শিক্ষার্থী, হবার্ট অ্যান্ড উইলিয়াম স্মিথ কলেজ, যুক্তরাষ্ট্র

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

দক্ষিণ কোরিয়ায় কেএনইউ আন্তর্জাতিক বৃত্তি

শিক্ষা ডেস্ক
দক্ষিণ কোরিয়ায় কেএনইউ আন্তর্জাতিক বৃত্তি

দক্ষিণ কোরিয়ায় কেএনইউ ইন্টারন্যাশনাল গ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপের আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির কিউংপুক ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। এই তহবিলের সুযোগটি কেবল ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত।

কিউংপুক ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি দক্ষিণ কোরিয়ার অন্যতম শীর্ষ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। দেশটির দায়েগু শহরে বিশ্ববিদ্যালয়টির মূল ক্যাম্পাস অবস্থিত। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ৩৬ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী রয়েছেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশ আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী। আধুনিক গবেষণাগার, উন্নত অবকাঠামো ও বহুভাষিক শিক্ষাব্যবস্থার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের কাছে দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে।

সুযোগ-সুবিধা

বৃত্তিটির আওতায় স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ টিউশন ফি বিশ্ববিদ্যালয় বহন করবে। তবে প্রতি সেমিস্টার শেষে শিক্ষার্থীর একাডেমিক পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করা হবে। একাডেমিক পারফরম্যান্সের ওপর পরবর্তী সেমিস্টারে বৃত্তি নবায়ন করা হবে।

আবেদনের যোগ্যতা

বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। বৃত্তিটি স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স) ও পিএইচডি (ডক্টরাল) প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত। এতে মাস্টার্স প্রোগ্রামের মেয়াদ দুই বছর এবং যৌথ মাস্টার্স-পিএইচডি প্রোগ্রামের মেয়াদ চার বছর। যোগ্যতার শর্ত অনুযায়ী, আবেদনকারীকে অবশ্যই একজন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী হতে হবে এবং কিউংপুক ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে সংশ্লিষ্ট প্রোগ্রামে ভর্তির অফার থাকতে হবে।

আবেদনের প্রয়োজনীয় তথ্য

আবেদনপত্র, স্টেটমেন্ট অব পারপাস ও স্টাডি প্ল্যান, সুপারিশপত্র (অবশ্যই অধ্যাপকের মাধ্যমে সরাসরি জমা দিতে হবে অথবা সিল করা খামে সংযুক্ত থাকতে হবে), পূর্বে অধ্যয়ন করা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ডিগ্রি সনদ, অফিশিয়াল ট্রান্সক্রিপ্ট, ভাষাগত দক্ষতার সনদ, কোরিয়ান ভাষা ইনস্টিটিউটে অধ্যয়নরত থাকলে ভর্তি সনদ ও ট্রান্সক্রিপ্ট, পাসপোর্টের কপি ও জন্মসনদ।

আবেদন পদ্ধতি

আগ্রহী প্রার্থীরা লিংকে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ সময়

৩১ অক্টোবর ২০২৫।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কালই শ্রেণিকক্ষে ফিরছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকেরা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২১ অক্টোবর ২০২৫, ১৪: ৪৯
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

বাড়িভাড়া ভাতা মূল বেতনের ১৫ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ায় অন্তর্বর্তী সরকার ও সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আগামীকাল বুধবার থেকে শ্রেণিকক্ষে ফেরার ঘোষণা দিয়েছেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের’ সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী এই ঘোষণা দেন। এ সময় তিনি এমপিওভুক্ত কর্মচারীদের উৎসব ভাতা মূল বেতনের ৭৫ শতাংশ করতে এবং এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি চালু করতে শিক্ষা উপদেষ্টাকে অনুরোধ জানান।

এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের আন্দোলনের মুখে তাঁদের বাড়িভাড়া ভাতা আজ মূল বেতনের ১৫ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ১৫ শতাংশের মধ্যে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ (ন্যূনতম ২ হাজার টাকা) কার্যকর হবে এ বছরের ১ নভেম্বর থেকে। বাকি ৭ দশমিক ৫ শতাংশ আগামী বছরের ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে।

আজ বেলা পৌনে ১টার দিকে দেলাওয়ার হোসেন আজিজীর হাতে অর্থ বিভাগের সম্মতিপত্র হস্তান্তর করেন শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার)।

এ সময় শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘একটা বাস্তবসম্মত ও খুবই গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হলো বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের নিয়ে। শিক্ষকেরা আমাদের দেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। কিন্তু তাঁদের বেতনকাঠামো ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা যথেষ্ট কম।’

এ সময় শিক্ষক-কর্মচারীদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর বিষয়ে সচেতন ও সচেষ্ট থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করে সি আর আবরার বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে আমাদের (শিক্ষা মন্ত্রণালয়) কোনো ত্রুটি ছিল না। আমরা চেষ্টা করেছি।

‘যতই আমরা চাই না কেন, আমাদের মনে রাখতে হবে, অন্তর্বর্তী সরকার যে সময় দেশের দায়িত্ব নিয়েছে, তখন অর্থনৈতিক অবস্থা অনেকটা ভঙ্গুর ছিল। সে অবস্থান থেকে উত্তরণের চেষ্টা করা হচ্ছে।’

শিক্ষক-কর্মচারীদের যা যা দাবি ছিল, তার যৌক্তিকতা নিয়ে কখনো শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘কোনো সংশয় ছিল না’ মন্তব্য করে উপদেষ্টা বলেন, ‘তবে আমাদের সম্পদের বিবেচনায় তাঁদের বাড়িভাড়া ভাতা মূল বেতনের ৫ শতাংশ (ন্যূনতম ২ হাজার টাকা) নির্ধারিত হয়েছিল।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিশেষ কোটায় ঢাকা কলেজে একাদশে ভর্তির সুযোগ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে বিশেষ কোটায় (প্রতিবন্ধী, সাংস্কৃতিক, খেলাধুলা ও প্রবাসী) শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে বলে জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা। এ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নির্ধারিত ন্যূনতম জিপিএ ও আসনসংখ্যা শিথিলযোগ্য থাকবে।

সম্প্রতি বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর মো. রিজাউল হকের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ঢাকা মহানগরীর নিউমার্কেট থানাধীন ঢাকা কলেজে বিশেষ কোটায় শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির ৩০ জুলাইয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রতিবন্ধী, সাংস্কৃতিক ও খেলাধুলায় কৃতিত্বপূর্ণ শিক্ষার্থী এবং প্রবাসীদের সন্তানদের ভর্তি প্রক্রিয়া ম্যানুয়ালি সম্পন্ন করা যাবে। আর বোর্ড উপযুক্ত প্রমাণপত্র যাচাই-বাছাই শেষে ভর্তি অনুমোদন দেবে। তবে এ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত ন্যূনতম জিপিএ এ ক্ষেত্রে শিথিলযোগ্য হবে।

এর আগে প্রকাশিত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে বিশেষ কোটায় ভর্তির সুযোগ পাবেন কেবল সেই শিক্ষার্থীরা, যারা এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন, প্রবাসী বা জাতীয় ও বিভাগীয় পর্যায়ে সাংস্কৃতিক বা ক্রীড়া ক্ষেত্রে পুরস্কারপ্রাপ্ত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত