মুসাররাত আবির
বারাক ওবামা তরুণদের কাছে এক অনুপ্রেরণার নাম। অনেক প্রতিকূলতা পাড়ি দিয়ে একবার নয়, দু-দুবার হোয়াইট হাউসে বসেন তিনি। ২০২০ সালে এইচবিসিইউ কলেজের হাইস্কুল গ্র্যাজুয়েটদের সঙ্গে ভার্চ্যুয়ালি আলোচনা করেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক এই প্রেসিডেন্ট। তরুণেরা কীভাবে বাধা অতিক্রম করে সামনে এগিয়ে যাবেন এবং ভবিষ্যতে নেতৃত্ব দেবেন—সে বিষয়গুলোই তাঁর আলোচনায় উঠে এসেছে। তরুণদের জন্য তাঁর তিনটি পরামর্শ :
ভয় পেয়ো না
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘কখনো ভয় পাবে না। আমেরিকা দাসত্ব, দুর্ভিক্ষ, গৃহযুদ্ধ, মহামারি, নাইন–ইলেভেনসহ অনেক বিপদ কাটিয়ে এসেছে। এসবের পরেও প্রতিবারই আমরা আগের তুলনায় দ্বিগুণ শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসি। কারণ, নতুন প্রজন্ম অতীতের ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নিয়েছিল এবং আবিষ্কার করেছিল, কীভাবে সবকিছু উন্নত করা যায়।’
তিনি দায়িত্ব গ্রহণে দ্বিধাহীন হতে বলেছেন। দায়িত্ব যা–ই হোক না কেন, পরিস্থিতি যতই প্রতিকূলে থাকুক না কেন, দায়িত্ব গ্রহণে কখনো ভয় পাওয়া যাবে না। সাহসী হওয়ার অর্থ, ভয়কে ধ্বংস করা নয়। সাহসী হওয়ার অর্থ, ভয়কে স্বীকার করে, ভয়কে জয় করার কৌশল জানা।
তুমি যা ভাবো তাই ঠিক
সাবেক প্রেসিডেন্টের পরবর্তী উপদেশটি ছিল, নিজের বিবেক-বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া। এটা অনেক পুরোনো কথা হলেও বেশির ভাগ মানুষই ঠিক এ কাজ করতে গিয়ে সব ভুল করে ফেলে এবং ভুলগুলো থেকে কোনো শিক্ষা নিতে চায় না। তাই নির্ভয়ে ভুল স্বীকার করুন এবং ভুলগুলো শুধরে নিয়ে এগিয়ে যান।
কিছু করার আগে কোন কাজ করা সহজ হবে, কোনটা করতে বেশি সময় লাগবে—এসব চিন্তা করলে কোনো কিছুই মনমতো হবে না। প্রাপ্তবয়স্করা এমন ভাবেন দেখে তাঁরাই বাচ্চাদের তুলনায় বেশি বিভ্রান্ত হন এবং সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগেন। যৌক্তিকভাবে বিশ্লেষণ করা এবং নিজের মন কতটা সায় দিচ্ছে, সেটা বুঝেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা উচিত। একাধিক বিকল্প সিদ্ধান্তের মধ্যে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা সফলতার পূর্বশর্ত।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, তোমাদের মধ্যে সততা, কঠোর পরিশ্রম করার মানসিকতা, দায়িত্ববোধ, ন্যায়নিষ্ঠা, উদারতা, অন্যের প্রতি শ্রদ্ধার মতো মূল্যবোধ জন্মায় ও স্থায়ী হয়। এমন না যে তুমি সব সময়ই সঠিক হবে, তুমিও আমাদের মতো ভুল করবে। কিন্তু তুমি যদি নিজের মনের সত্যিটা শোনো, পরিস্থিতি যতই প্রতিকূলে থাকুক না কেন, সবাই তোমার কথাই শুনবে, তোমার দিকেই ঝুঁকবে এবং তুমি তাদের সমস্যার অংশ না হয়ে সমাধানের অংশ হবে।’
একসঙ্গে কাজ করো
তাঁর শেষ পরামর্শটি হলো, বন্ধু নির্বাচনের সময় সতর্কতা ও বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগ করা। কথায় আছে, সঙ্গ দোষে লোহা ভাসে। বন্ধু যদি অসৎ হয়, তবে তার প্ররোচনায় পড়ে মানুষের বিপথগামী হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। নিজের চারপাশে এমন মানুষ রাখুন, যারা আপনার কোনো ক্ষতি করবে না; বরং লক্ষ্য পূরণের জন্য সহায়তা করবে। আপনি যদি উচ্চাভিলাষী হন এবং বড় বড় পদক্ষেপ নিতে চান, তাহলে সেগুলো একা করতে পারবেন না। দল তৈরি করে একসঙ্গে কাজ করলে অনেক কঠিন কাজেও সফলতা লাভ করা সম্ভব। একে অপরের প্রতি আস্থা আর বিশ্বাসই পারে যেকোনো দলকে সফল করে তুলতে।
‘আমরা একটা কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি; আমরা যদি এমন একটা বিশ্ব তৈরি করতে যাই, যেখানে প্রত্যেকের কাছেই চাকরির সুযোগ রয়েছে এবং কলেজে পড়াশোনার খরচ সাধ্যের মধ্যে; যদি আমরা পরিবেশ সংরক্ষণ করতে এবং ভবিষ্যতের মহামারিগুলো পরাজিত করতে চাই, তবে আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। সুতরাং একে অপরের সংগ্রামে বেঁচে থাকো। একে অপরের অধিকারের জন্য দাঁড়াও।’
সূত্র: ফোর্বস
বারাক ওবামা তরুণদের কাছে এক অনুপ্রেরণার নাম। অনেক প্রতিকূলতা পাড়ি দিয়ে একবার নয়, দু-দুবার হোয়াইট হাউসে বসেন তিনি। ২০২০ সালে এইচবিসিইউ কলেজের হাইস্কুল গ্র্যাজুয়েটদের সঙ্গে ভার্চ্যুয়ালি আলোচনা করেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক এই প্রেসিডেন্ট। তরুণেরা কীভাবে বাধা অতিক্রম করে সামনে এগিয়ে যাবেন এবং ভবিষ্যতে নেতৃত্ব দেবেন—সে বিষয়গুলোই তাঁর আলোচনায় উঠে এসেছে। তরুণদের জন্য তাঁর তিনটি পরামর্শ :
ভয় পেয়ো না
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘কখনো ভয় পাবে না। আমেরিকা দাসত্ব, দুর্ভিক্ষ, গৃহযুদ্ধ, মহামারি, নাইন–ইলেভেনসহ অনেক বিপদ কাটিয়ে এসেছে। এসবের পরেও প্রতিবারই আমরা আগের তুলনায় দ্বিগুণ শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসি। কারণ, নতুন প্রজন্ম অতীতের ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নিয়েছিল এবং আবিষ্কার করেছিল, কীভাবে সবকিছু উন্নত করা যায়।’
তিনি দায়িত্ব গ্রহণে দ্বিধাহীন হতে বলেছেন। দায়িত্ব যা–ই হোক না কেন, পরিস্থিতি যতই প্রতিকূলে থাকুক না কেন, দায়িত্ব গ্রহণে কখনো ভয় পাওয়া যাবে না। সাহসী হওয়ার অর্থ, ভয়কে ধ্বংস করা নয়। সাহসী হওয়ার অর্থ, ভয়কে স্বীকার করে, ভয়কে জয় করার কৌশল জানা।
তুমি যা ভাবো তাই ঠিক
সাবেক প্রেসিডেন্টের পরবর্তী উপদেশটি ছিল, নিজের বিবেক-বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া। এটা অনেক পুরোনো কথা হলেও বেশির ভাগ মানুষই ঠিক এ কাজ করতে গিয়ে সব ভুল করে ফেলে এবং ভুলগুলো থেকে কোনো শিক্ষা নিতে চায় না। তাই নির্ভয়ে ভুল স্বীকার করুন এবং ভুলগুলো শুধরে নিয়ে এগিয়ে যান।
কিছু করার আগে কোন কাজ করা সহজ হবে, কোনটা করতে বেশি সময় লাগবে—এসব চিন্তা করলে কোনো কিছুই মনমতো হবে না। প্রাপ্তবয়স্করা এমন ভাবেন দেখে তাঁরাই বাচ্চাদের তুলনায় বেশি বিভ্রান্ত হন এবং সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগেন। যৌক্তিকভাবে বিশ্লেষণ করা এবং নিজের মন কতটা সায় দিচ্ছে, সেটা বুঝেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা উচিত। একাধিক বিকল্প সিদ্ধান্তের মধ্যে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা সফলতার পূর্বশর্ত।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, তোমাদের মধ্যে সততা, কঠোর পরিশ্রম করার মানসিকতা, দায়িত্ববোধ, ন্যায়নিষ্ঠা, উদারতা, অন্যের প্রতি শ্রদ্ধার মতো মূল্যবোধ জন্মায় ও স্থায়ী হয়। এমন না যে তুমি সব সময়ই সঠিক হবে, তুমিও আমাদের মতো ভুল করবে। কিন্তু তুমি যদি নিজের মনের সত্যিটা শোনো, পরিস্থিতি যতই প্রতিকূলে থাকুক না কেন, সবাই তোমার কথাই শুনবে, তোমার দিকেই ঝুঁকবে এবং তুমি তাদের সমস্যার অংশ না হয়ে সমাধানের অংশ হবে।’
একসঙ্গে কাজ করো
তাঁর শেষ পরামর্শটি হলো, বন্ধু নির্বাচনের সময় সতর্কতা ও বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগ করা। কথায় আছে, সঙ্গ দোষে লোহা ভাসে। বন্ধু যদি অসৎ হয়, তবে তার প্ররোচনায় পড়ে মানুষের বিপথগামী হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। নিজের চারপাশে এমন মানুষ রাখুন, যারা আপনার কোনো ক্ষতি করবে না; বরং লক্ষ্য পূরণের জন্য সহায়তা করবে। আপনি যদি উচ্চাভিলাষী হন এবং বড় বড় পদক্ষেপ নিতে চান, তাহলে সেগুলো একা করতে পারবেন না। দল তৈরি করে একসঙ্গে কাজ করলে অনেক কঠিন কাজেও সফলতা লাভ করা সম্ভব। একে অপরের প্রতি আস্থা আর বিশ্বাসই পারে যেকোনো দলকে সফল করে তুলতে।
‘আমরা একটা কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি; আমরা যদি এমন একটা বিশ্ব তৈরি করতে যাই, যেখানে প্রত্যেকের কাছেই চাকরির সুযোগ রয়েছে এবং কলেজে পড়াশোনার খরচ সাধ্যের মধ্যে; যদি আমরা পরিবেশ সংরক্ষণ করতে এবং ভবিষ্যতের মহামারিগুলো পরাজিত করতে চাই, তবে আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। সুতরাং একে অপরের সংগ্রামে বেঁচে থাকো। একে অপরের অধিকারের জন্য দাঁড়াও।’
সূত্র: ফোর্বস
স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ-এর স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ারের উদ্যোগে শুরু হয়েছে সপ্তাহব্যাপী ‘ফোরাম উইক ২০২৫ ’। আজ শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়াম চত্বরে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।
১৩ ঘণ্টা আগে২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রযুক্তি ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের দ্বিতীয় ধাপে বিষয় ও প্রতিষ্ঠান মনোনয়ন প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বিষয় পাওয়া শিক্ষার্থীদের ২৭ জুলাইয়ের মধ্যে অনলাইনে ভর্তি নিশ্চায়ন ফি পরিশোধ করতে হবে।
২০ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহের সদর উপজেলার রঘুরামপুরের এক প্রতিভাবান তরুণী এখন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠান মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটিতে ভ্যাকসিন উদ্ভাবনের গুরুত্বপূর্ণ গবেষণায় নিয়োজিত। তাঁর নাম মমতা আক্তার। তিনি বর্তমানে অর্গানিক কেমিস্ট্রিতে পিএইচডি করছেন এবং গবেষণা করছেন প্রাণঘাতী
১ দিন আগেসুইডেনে ডালার্না ইউনিভার্সিটি বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। অর্থায়িত এ বৃত্তির আওতায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
১ দিন আগে