আব্দুর রাজ্জাক খান

ময়মনসিংহের সদর উপজেলার রঘুরামপুরের এক প্রতিভাবান তরুণী এখন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠান মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটিতে ভ্যাকসিন উদ্ভাবনের গুরুত্বপূর্ণ গবেষণায় নিয়োজিত। তাঁর নাম মমতা আক্তার। তিনি বর্তমানে অর্গানিক কেমিস্ট্রিতে পিএইচডি করছেন এবং গবেষণা করছেন প্রাণঘাতী গ্রাম-নেগেটিভ ব্যাকটেরিয়া অ্যান্টারোব্যাকটেরিয়াসি ফ্যামিলি দমনে কার্যকর ও টেকসই টিকা উদ্ভাবনে। পাশাপাশি তিনি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্র্যাজুয়েট টিচিং ও রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবেও কাজ করছেন। বিজ্ঞান ও মানবতার কল্যাণে এই নবীন গবেষকের নিরলস চেষ্টা আজ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে গুরুত্ব পাচ্ছে।
শিকড় থেকে শিখরে
শৈশব থেকেই প্রকৃতির বিভিন্ন রহস্য ঘিরে কৌতূহল ছিল মমতার। বাড়ির নানা উপকরণ মিশিয়ে রাসায়নিক প্রতিক্রিয়া ঘটানোর চেষ্টা, টেলিভিশনে বিজ্ঞানের অনুষ্ঠান দেখে বিস্ময়ে মুগ্ধ হওয়া, আর বাবার কাছ থেকে শোনা বৈজ্ঞানিক যুগান্তকারী উদ্ভাবনের গল্প—এ সবই মমতার ভেতরে বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধিৎসার বীজ বপন করেছে।
নারী হওয়ার চ্যালেঞ্জ
গ্রামীণ শিক্ষার্থীদের মতো মমতাও নানা প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হয়েছেন। টিউশন ফি, বইপত্র কেনা, ল্যাব ও লাইব্রেরির অভাব, বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট-বিভ্রাট ছিল তাঁর নিত্যসঙ্গী। তবে দমে যাননি তিনি। নিজে অধ্যয়ন পরিকল্পনা তৈরি করেছেন, বন্ধুদের সঙ্গে পড়াশোনার গ্রুপ তৈরি করেছেন, অনলাইন রিসোর্স কাজে লাগিয়েছেন। এমনকি সূর্যের আলোতে পড়াশোনা করে বিদ্যুৎ ঘাটতি পুষিয়ে নিয়েছেন।
ঢাবি থেকে মিশিগানে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগ থেকেই অর্গানিক কেমিস্ট্রির প্রতি মমতার গভীর আগ্রহ সৃষ্টি হয়। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে তিনি অ্যাডভান্সড রিঅ্যাকশন মেকানিজম, ন্যাচারাল প্রোডাক্টস, মেডিসিনাল কেমিস্ট্রি, বায়ো-অর্গানিক কেমিস্ট্রি ও স্টেরিওকেমিস্ট্রির মতো বিষয় অধ্যয়ন করেন। তাঁর এম এস পর্যায়ের সুপারভাইজর অধ্যাপক ড. এস এম মিজানুর রহমান তাঁকে গবেষণার শৃঙ্খলা ও কৌতূহলের মধ্যে সুষম সমন্বয় শেখান। এই অভিজ্ঞতাই তাঁকে পিএইচডি গবেষণার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমানোর সাহস জুগিয়েছে। ড. শুফেই হুয়াংয়ের অধীনে গবেষণা করছেন। এখানেই তিনি সিনথেটিক কেমিস্ট্রি (কার্বোহাইড্রেট) ও ভ্যাকসিন ডিজাইনের ব্যবহারিক দিক আয়ত্ত করেছেন।
ভ্যাকসিন গবেষণায় অগ্রণী ভূমিকা
মমতা এখন গবেষণা করছেন গ্রাম-নেগেটিভ ব্যাকটেরিয়া দমনে সার্বজনীন ভ্যাকসিন তৈরির লক্ষ্যে। এই ব্যাকটেরিয়া রক্তজনিত সংক্রমণ, ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন, নিউমোনিয়া ও গ্যাস্ট্রোঅ্যান্টারাইটিসের জন্য দায়ী—বিশেষ করে যেসব প্রজাতি কারবাপেনেম অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী হয়ে উঠেছে। এই ‘সুপারবাগ’-এর বিরুদ্ধে কার্যকর টিকা তৈরি করা এখন বৈশ্বিক জরুরি চাহিদা। মমতা এমন একটি কার্যকর, সাশ্রয়ী ও স্কেলযোগ্য ভ্যাকসিন প্ল্যাটফর্ম তৈরিতে কাজ করছেন, যা উন্নত দেশগুলোর পাশাপাশি উন্নয়নশীল দেশ বিশেষ করে বাংলাদেশের জন্যও সমানভাবে উপযোগী হবে। এই উদ্যোগ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ‘টিকা সবার জন্য’ দর্শনের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ।
আন্তর্জাতিক প্রকাশনা ও সম্মাননা
সম্প্রতি সায়েন্সডিরেক্ট প্ল্যাটফর্মের দ্য জার্নাল অব প্যাথলজি-রিসার্চ অ্যান্ড প্র্যাকটিসে তাঁর একটি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে তিনি সহলেখক। সেখানে ক্যানসার-সম্পৃক্ত ফাইব্রোব্লাস্টের (CAFs) ভূমিকা, ব্রেন মেটাস্টেসিস, ওষুধ প্রতিরোধ ও সম্ভাব্য থেরাপি নিয়ে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। মমতা আক্তার ২০১৭–১৮ অর্থ বছরে এম.এস. প্রোগ্রামে গবেষণার জন্য জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ পেয়েছেন। ২০২৪ সালের মার্চে তিনি মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে ইমার্জেন্সি ফেলোশিপ ফান্ডিং পেয়েছেন, একই বছর ফেব্রুয়ারিতে অর্জন করেছেন বাংলাদেশ-সুইডেন ট্রাস্ট ফান্ড ট্রাভেল গ্রান্ট। তবে তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন—মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে প্রাপ্ত পূর্ণাঙ্গ তহবিলের পিএইচডি অফার।
নেতৃত্বে অনন্য
শুধু গবেষক নয়, মমতা নেতৃত্বেও এগিয়ে। তিনি বিএসিএবিএএনএর (বাংলাদেশ কেমিক্যাল অ্যান্ড বায়োকেমিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন ইন নর্থ আমেরিকা) মিশিগান চ্যাপ্টারের সাধারণ সম্পাদক। সংগঠনের সদস্যদের জন্য সেমিনার, ওয়ার্কশপ ও নেটওয়ার্কিং ইভেন্টের আয়োজন করেন, যা একাডেমিক ও পেশাগত উন্নয়নে সহায়ক। এসব আয়োজন অনেক সময় চাকরি, ইন্টার্নশিপ ও পোস্টডক্টোরাল সুযোগ পাওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক হয়। তাঁর লক্ষ্য হলো, যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থী, গবেষক এবং পেশাজীবীদের একাডেমিক ও পেশাগত উন্নয়নে সহায়তা করা। মমতা আক্তার বলেন, ‘গবেষণা অবকাঠামোয় বাড়তি বিনিয়োগ, সহযোগিতার সুযোগ সম্প্রসারণ এবং দক্ষ বিজ্ঞানীদের সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে বাংলাদেশ ধাপে ধাপে একটি শক্তিশালী বৈজ্ঞানিক ইকোসিস্টেমের ভিত্তি সৃষ্টি করছে। এই অগ্রগতি দেশটিকে বৈশ্বিক বৈজ্ঞানিক অগ্রযাত্রায় অর্থবহ অবদান রাখার জন্য সুসজ্জিত করছে—বিশেষ করে এমন ক্ষেত্রগুলোতে যেখানে স্থানীয় জ্ঞান দিয়ে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সমস্যার উদ্ভাবনী সমাধান তৈরি সম্ভব।’ এ ছাড়াও সম্প্রতি তিনি মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটির কেমিস্ট্রি গ্র্যাজুয়েট স্টুডেন্ট অর্গানাইজেশনের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট আউটরিচ অফিসার হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।
তরুণদের জন্য পরামর্শ
নতুন গবেষক ও রসায়নে আগ্রহীদের জন্য মমতার পরামর্শ—‘বই মুখস্থ নয়, প্রতিক্রিয়ার পেছনে থাকা যুক্তি বুঝুন। হাতে-কলমে ল্যাব কাজ, ইন্টার্নশিপ ও গবেষণা আপনাকে বাস্তব বিজ্ঞানী হতে সাহায্য করবে। বৈজ্ঞানিক জার্নাল পড়ুন, উপস্থাপন দক্ষতা গড়ে তুলুন এবং প্রশ্ন করতে শিখুন। গবেষণার পথ কঠিন, কিন্তু জানার আগ্রহ ও সাহস থাকলে পরিবর্তন আনা সম্ভব।’ তাঁর স্বপ্ন—ফেডারেলভাবে অর্থায়িত একটি স্বতন্ত্র গবেষণাগার প্রতিষ্ঠা করা, যেখানে সবার জন্য কার্যকর ও প্রবেশযোগ্য ভ্যাকসিন প্রযুক্তি উদ্ভাবিত হবে। এই লক্ষ্য শুধু বৈজ্ঞানিক নয়, একটি সমাজমুখী দর্শনের প্রতিফলন—যেখানে বিজ্ঞান মানবতার সেবায় নিয়োজিত।

ময়মনসিংহের সদর উপজেলার রঘুরামপুরের এক প্রতিভাবান তরুণী এখন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠান মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটিতে ভ্যাকসিন উদ্ভাবনের গুরুত্বপূর্ণ গবেষণায় নিয়োজিত। তাঁর নাম মমতা আক্তার। তিনি বর্তমানে অর্গানিক কেমিস্ট্রিতে পিএইচডি করছেন এবং গবেষণা করছেন প্রাণঘাতী গ্রাম-নেগেটিভ ব্যাকটেরিয়া অ্যান্টারোব্যাকটেরিয়াসি ফ্যামিলি দমনে কার্যকর ও টেকসই টিকা উদ্ভাবনে। পাশাপাশি তিনি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্র্যাজুয়েট টিচিং ও রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবেও কাজ করছেন। বিজ্ঞান ও মানবতার কল্যাণে এই নবীন গবেষকের নিরলস চেষ্টা আজ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে গুরুত্ব পাচ্ছে।
শিকড় থেকে শিখরে
শৈশব থেকেই প্রকৃতির বিভিন্ন রহস্য ঘিরে কৌতূহল ছিল মমতার। বাড়ির নানা উপকরণ মিশিয়ে রাসায়নিক প্রতিক্রিয়া ঘটানোর চেষ্টা, টেলিভিশনে বিজ্ঞানের অনুষ্ঠান দেখে বিস্ময়ে মুগ্ধ হওয়া, আর বাবার কাছ থেকে শোনা বৈজ্ঞানিক যুগান্তকারী উদ্ভাবনের গল্প—এ সবই মমতার ভেতরে বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধিৎসার বীজ বপন করেছে।
নারী হওয়ার চ্যালেঞ্জ
গ্রামীণ শিক্ষার্থীদের মতো মমতাও নানা প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হয়েছেন। টিউশন ফি, বইপত্র কেনা, ল্যাব ও লাইব্রেরির অভাব, বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট-বিভ্রাট ছিল তাঁর নিত্যসঙ্গী। তবে দমে যাননি তিনি। নিজে অধ্যয়ন পরিকল্পনা তৈরি করেছেন, বন্ধুদের সঙ্গে পড়াশোনার গ্রুপ তৈরি করেছেন, অনলাইন রিসোর্স কাজে লাগিয়েছেন। এমনকি সূর্যের আলোতে পড়াশোনা করে বিদ্যুৎ ঘাটতি পুষিয়ে নিয়েছেন।
ঢাবি থেকে মিশিগানে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগ থেকেই অর্গানিক কেমিস্ট্রির প্রতি মমতার গভীর আগ্রহ সৃষ্টি হয়। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে তিনি অ্যাডভান্সড রিঅ্যাকশন মেকানিজম, ন্যাচারাল প্রোডাক্টস, মেডিসিনাল কেমিস্ট্রি, বায়ো-অর্গানিক কেমিস্ট্রি ও স্টেরিওকেমিস্ট্রির মতো বিষয় অধ্যয়ন করেন। তাঁর এম এস পর্যায়ের সুপারভাইজর অধ্যাপক ড. এস এম মিজানুর রহমান তাঁকে গবেষণার শৃঙ্খলা ও কৌতূহলের মধ্যে সুষম সমন্বয় শেখান। এই অভিজ্ঞতাই তাঁকে পিএইচডি গবেষণার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমানোর সাহস জুগিয়েছে। ড. শুফেই হুয়াংয়ের অধীনে গবেষণা করছেন। এখানেই তিনি সিনথেটিক কেমিস্ট্রি (কার্বোহাইড্রেট) ও ভ্যাকসিন ডিজাইনের ব্যবহারিক দিক আয়ত্ত করেছেন।
ভ্যাকসিন গবেষণায় অগ্রণী ভূমিকা
মমতা এখন গবেষণা করছেন গ্রাম-নেগেটিভ ব্যাকটেরিয়া দমনে সার্বজনীন ভ্যাকসিন তৈরির লক্ষ্যে। এই ব্যাকটেরিয়া রক্তজনিত সংক্রমণ, ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন, নিউমোনিয়া ও গ্যাস্ট্রোঅ্যান্টারাইটিসের জন্য দায়ী—বিশেষ করে যেসব প্রজাতি কারবাপেনেম অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী হয়ে উঠেছে। এই ‘সুপারবাগ’-এর বিরুদ্ধে কার্যকর টিকা তৈরি করা এখন বৈশ্বিক জরুরি চাহিদা। মমতা এমন একটি কার্যকর, সাশ্রয়ী ও স্কেলযোগ্য ভ্যাকসিন প্ল্যাটফর্ম তৈরিতে কাজ করছেন, যা উন্নত দেশগুলোর পাশাপাশি উন্নয়নশীল দেশ বিশেষ করে বাংলাদেশের জন্যও সমানভাবে উপযোগী হবে। এই উদ্যোগ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ‘টিকা সবার জন্য’ দর্শনের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ।
আন্তর্জাতিক প্রকাশনা ও সম্মাননা
সম্প্রতি সায়েন্সডিরেক্ট প্ল্যাটফর্মের দ্য জার্নাল অব প্যাথলজি-রিসার্চ অ্যান্ড প্র্যাকটিসে তাঁর একটি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে তিনি সহলেখক। সেখানে ক্যানসার-সম্পৃক্ত ফাইব্রোব্লাস্টের (CAFs) ভূমিকা, ব্রেন মেটাস্টেসিস, ওষুধ প্রতিরোধ ও সম্ভাব্য থেরাপি নিয়ে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। মমতা আক্তার ২০১৭–১৮ অর্থ বছরে এম.এস. প্রোগ্রামে গবেষণার জন্য জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ পেয়েছেন। ২০২৪ সালের মার্চে তিনি মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে ইমার্জেন্সি ফেলোশিপ ফান্ডিং পেয়েছেন, একই বছর ফেব্রুয়ারিতে অর্জন করেছেন বাংলাদেশ-সুইডেন ট্রাস্ট ফান্ড ট্রাভেল গ্রান্ট। তবে তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন—মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে প্রাপ্ত পূর্ণাঙ্গ তহবিলের পিএইচডি অফার।
নেতৃত্বে অনন্য
শুধু গবেষক নয়, মমতা নেতৃত্বেও এগিয়ে। তিনি বিএসিএবিএএনএর (বাংলাদেশ কেমিক্যাল অ্যান্ড বায়োকেমিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন ইন নর্থ আমেরিকা) মিশিগান চ্যাপ্টারের সাধারণ সম্পাদক। সংগঠনের সদস্যদের জন্য সেমিনার, ওয়ার্কশপ ও নেটওয়ার্কিং ইভেন্টের আয়োজন করেন, যা একাডেমিক ও পেশাগত উন্নয়নে সহায়ক। এসব আয়োজন অনেক সময় চাকরি, ইন্টার্নশিপ ও পোস্টডক্টোরাল সুযোগ পাওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক হয়। তাঁর লক্ষ্য হলো, যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থী, গবেষক এবং পেশাজীবীদের একাডেমিক ও পেশাগত উন্নয়নে সহায়তা করা। মমতা আক্তার বলেন, ‘গবেষণা অবকাঠামোয় বাড়তি বিনিয়োগ, সহযোগিতার সুযোগ সম্প্রসারণ এবং দক্ষ বিজ্ঞানীদের সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে বাংলাদেশ ধাপে ধাপে একটি শক্তিশালী বৈজ্ঞানিক ইকোসিস্টেমের ভিত্তি সৃষ্টি করছে। এই অগ্রগতি দেশটিকে বৈশ্বিক বৈজ্ঞানিক অগ্রযাত্রায় অর্থবহ অবদান রাখার জন্য সুসজ্জিত করছে—বিশেষ করে এমন ক্ষেত্রগুলোতে যেখানে স্থানীয় জ্ঞান দিয়ে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সমস্যার উদ্ভাবনী সমাধান তৈরি সম্ভব।’ এ ছাড়াও সম্প্রতি তিনি মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটির কেমিস্ট্রি গ্র্যাজুয়েট স্টুডেন্ট অর্গানাইজেশনের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট আউটরিচ অফিসার হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।
তরুণদের জন্য পরামর্শ
নতুন গবেষক ও রসায়নে আগ্রহীদের জন্য মমতার পরামর্শ—‘বই মুখস্থ নয়, প্রতিক্রিয়ার পেছনে থাকা যুক্তি বুঝুন। হাতে-কলমে ল্যাব কাজ, ইন্টার্নশিপ ও গবেষণা আপনাকে বাস্তব বিজ্ঞানী হতে সাহায্য করবে। বৈজ্ঞানিক জার্নাল পড়ুন, উপস্থাপন দক্ষতা গড়ে তুলুন এবং প্রশ্ন করতে শিখুন। গবেষণার পথ কঠিন, কিন্তু জানার আগ্রহ ও সাহস থাকলে পরিবর্তন আনা সম্ভব।’ তাঁর স্বপ্ন—ফেডারেলভাবে অর্থায়িত একটি স্বতন্ত্র গবেষণাগার প্রতিষ্ঠা করা, যেখানে সবার জন্য কার্যকর ও প্রবেশযোগ্য ভ্যাকসিন প্রযুক্তি উদ্ভাবিত হবে। এই লক্ষ্য শুধু বৈজ্ঞানিক নয়, একটি সমাজমুখী দর্শনের প্রতিফলন—যেখানে বিজ্ঞান মানবতার সেবায় নিয়োজিত।
আব্দুর রাজ্জাক খান

ময়মনসিংহের সদর উপজেলার রঘুরামপুরের এক প্রতিভাবান তরুণী এখন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠান মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটিতে ভ্যাকসিন উদ্ভাবনের গুরুত্বপূর্ণ গবেষণায় নিয়োজিত। তাঁর নাম মমতা আক্তার। তিনি বর্তমানে অর্গানিক কেমিস্ট্রিতে পিএইচডি করছেন এবং গবেষণা করছেন প্রাণঘাতী গ্রাম-নেগেটিভ ব্যাকটেরিয়া অ্যান্টারোব্যাকটেরিয়াসি ফ্যামিলি দমনে কার্যকর ও টেকসই টিকা উদ্ভাবনে। পাশাপাশি তিনি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্র্যাজুয়েট টিচিং ও রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবেও কাজ করছেন। বিজ্ঞান ও মানবতার কল্যাণে এই নবীন গবেষকের নিরলস চেষ্টা আজ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে গুরুত্ব পাচ্ছে।
শিকড় থেকে শিখরে
শৈশব থেকেই প্রকৃতির বিভিন্ন রহস্য ঘিরে কৌতূহল ছিল মমতার। বাড়ির নানা উপকরণ মিশিয়ে রাসায়নিক প্রতিক্রিয়া ঘটানোর চেষ্টা, টেলিভিশনে বিজ্ঞানের অনুষ্ঠান দেখে বিস্ময়ে মুগ্ধ হওয়া, আর বাবার কাছ থেকে শোনা বৈজ্ঞানিক যুগান্তকারী উদ্ভাবনের গল্প—এ সবই মমতার ভেতরে বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধিৎসার বীজ বপন করেছে।
নারী হওয়ার চ্যালেঞ্জ
গ্রামীণ শিক্ষার্থীদের মতো মমতাও নানা প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হয়েছেন। টিউশন ফি, বইপত্র কেনা, ল্যাব ও লাইব্রেরির অভাব, বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট-বিভ্রাট ছিল তাঁর নিত্যসঙ্গী। তবে দমে যাননি তিনি। নিজে অধ্যয়ন পরিকল্পনা তৈরি করেছেন, বন্ধুদের সঙ্গে পড়াশোনার গ্রুপ তৈরি করেছেন, অনলাইন রিসোর্স কাজে লাগিয়েছেন। এমনকি সূর্যের আলোতে পড়াশোনা করে বিদ্যুৎ ঘাটতি পুষিয়ে নিয়েছেন।
ঢাবি থেকে মিশিগানে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগ থেকেই অর্গানিক কেমিস্ট্রির প্রতি মমতার গভীর আগ্রহ সৃষ্টি হয়। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে তিনি অ্যাডভান্সড রিঅ্যাকশন মেকানিজম, ন্যাচারাল প্রোডাক্টস, মেডিসিনাল কেমিস্ট্রি, বায়ো-অর্গানিক কেমিস্ট্রি ও স্টেরিওকেমিস্ট্রির মতো বিষয় অধ্যয়ন করেন। তাঁর এম এস পর্যায়ের সুপারভাইজর অধ্যাপক ড. এস এম মিজানুর রহমান তাঁকে গবেষণার শৃঙ্খলা ও কৌতূহলের মধ্যে সুষম সমন্বয় শেখান। এই অভিজ্ঞতাই তাঁকে পিএইচডি গবেষণার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমানোর সাহস জুগিয়েছে। ড. শুফেই হুয়াংয়ের অধীনে গবেষণা করছেন। এখানেই তিনি সিনথেটিক কেমিস্ট্রি (কার্বোহাইড্রেট) ও ভ্যাকসিন ডিজাইনের ব্যবহারিক দিক আয়ত্ত করেছেন।
ভ্যাকসিন গবেষণায় অগ্রণী ভূমিকা
মমতা এখন গবেষণা করছেন গ্রাম-নেগেটিভ ব্যাকটেরিয়া দমনে সার্বজনীন ভ্যাকসিন তৈরির লক্ষ্যে। এই ব্যাকটেরিয়া রক্তজনিত সংক্রমণ, ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন, নিউমোনিয়া ও গ্যাস্ট্রোঅ্যান্টারাইটিসের জন্য দায়ী—বিশেষ করে যেসব প্রজাতি কারবাপেনেম অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী হয়ে উঠেছে। এই ‘সুপারবাগ’-এর বিরুদ্ধে কার্যকর টিকা তৈরি করা এখন বৈশ্বিক জরুরি চাহিদা। মমতা এমন একটি কার্যকর, সাশ্রয়ী ও স্কেলযোগ্য ভ্যাকসিন প্ল্যাটফর্ম তৈরিতে কাজ করছেন, যা উন্নত দেশগুলোর পাশাপাশি উন্নয়নশীল দেশ বিশেষ করে বাংলাদেশের জন্যও সমানভাবে উপযোগী হবে। এই উদ্যোগ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ‘টিকা সবার জন্য’ দর্শনের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ।
আন্তর্জাতিক প্রকাশনা ও সম্মাননা
সম্প্রতি সায়েন্সডিরেক্ট প্ল্যাটফর্মের দ্য জার্নাল অব প্যাথলজি-রিসার্চ অ্যান্ড প্র্যাকটিসে তাঁর একটি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে তিনি সহলেখক। সেখানে ক্যানসার-সম্পৃক্ত ফাইব্রোব্লাস্টের (CAFs) ভূমিকা, ব্রেন মেটাস্টেসিস, ওষুধ প্রতিরোধ ও সম্ভাব্য থেরাপি নিয়ে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। মমতা আক্তার ২০১৭–১৮ অর্থ বছরে এম.এস. প্রোগ্রামে গবেষণার জন্য জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ পেয়েছেন। ২০২৪ সালের মার্চে তিনি মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে ইমার্জেন্সি ফেলোশিপ ফান্ডিং পেয়েছেন, একই বছর ফেব্রুয়ারিতে অর্জন করেছেন বাংলাদেশ-সুইডেন ট্রাস্ট ফান্ড ট্রাভেল গ্রান্ট। তবে তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন—মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে প্রাপ্ত পূর্ণাঙ্গ তহবিলের পিএইচডি অফার।
নেতৃত্বে অনন্য
শুধু গবেষক নয়, মমতা নেতৃত্বেও এগিয়ে। তিনি বিএসিএবিএএনএর (বাংলাদেশ কেমিক্যাল অ্যান্ড বায়োকেমিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন ইন নর্থ আমেরিকা) মিশিগান চ্যাপ্টারের সাধারণ সম্পাদক। সংগঠনের সদস্যদের জন্য সেমিনার, ওয়ার্কশপ ও নেটওয়ার্কিং ইভেন্টের আয়োজন করেন, যা একাডেমিক ও পেশাগত উন্নয়নে সহায়ক। এসব আয়োজন অনেক সময় চাকরি, ইন্টার্নশিপ ও পোস্টডক্টোরাল সুযোগ পাওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক হয়। তাঁর লক্ষ্য হলো, যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থী, গবেষক এবং পেশাজীবীদের একাডেমিক ও পেশাগত উন্নয়নে সহায়তা করা। মমতা আক্তার বলেন, ‘গবেষণা অবকাঠামোয় বাড়তি বিনিয়োগ, সহযোগিতার সুযোগ সম্প্রসারণ এবং দক্ষ বিজ্ঞানীদের সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে বাংলাদেশ ধাপে ধাপে একটি শক্তিশালী বৈজ্ঞানিক ইকোসিস্টেমের ভিত্তি সৃষ্টি করছে। এই অগ্রগতি দেশটিকে বৈশ্বিক বৈজ্ঞানিক অগ্রযাত্রায় অর্থবহ অবদান রাখার জন্য সুসজ্জিত করছে—বিশেষ করে এমন ক্ষেত্রগুলোতে যেখানে স্থানীয় জ্ঞান দিয়ে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সমস্যার উদ্ভাবনী সমাধান তৈরি সম্ভব।’ এ ছাড়াও সম্প্রতি তিনি মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটির কেমিস্ট্রি গ্র্যাজুয়েট স্টুডেন্ট অর্গানাইজেশনের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট আউটরিচ অফিসার হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।
তরুণদের জন্য পরামর্শ
নতুন গবেষক ও রসায়নে আগ্রহীদের জন্য মমতার পরামর্শ—‘বই মুখস্থ নয়, প্রতিক্রিয়ার পেছনে থাকা যুক্তি বুঝুন। হাতে-কলমে ল্যাব কাজ, ইন্টার্নশিপ ও গবেষণা আপনাকে বাস্তব বিজ্ঞানী হতে সাহায্য করবে। বৈজ্ঞানিক জার্নাল পড়ুন, উপস্থাপন দক্ষতা গড়ে তুলুন এবং প্রশ্ন করতে শিখুন। গবেষণার পথ কঠিন, কিন্তু জানার আগ্রহ ও সাহস থাকলে পরিবর্তন আনা সম্ভব।’ তাঁর স্বপ্ন—ফেডারেলভাবে অর্থায়িত একটি স্বতন্ত্র গবেষণাগার প্রতিষ্ঠা করা, যেখানে সবার জন্য কার্যকর ও প্রবেশযোগ্য ভ্যাকসিন প্রযুক্তি উদ্ভাবিত হবে। এই লক্ষ্য শুধু বৈজ্ঞানিক নয়, একটি সমাজমুখী দর্শনের প্রতিফলন—যেখানে বিজ্ঞান মানবতার সেবায় নিয়োজিত।

ময়মনসিংহের সদর উপজেলার রঘুরামপুরের এক প্রতিভাবান তরুণী এখন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠান মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটিতে ভ্যাকসিন উদ্ভাবনের গুরুত্বপূর্ণ গবেষণায় নিয়োজিত। তাঁর নাম মমতা আক্তার। তিনি বর্তমানে অর্গানিক কেমিস্ট্রিতে পিএইচডি করছেন এবং গবেষণা করছেন প্রাণঘাতী গ্রাম-নেগেটিভ ব্যাকটেরিয়া অ্যান্টারোব্যাকটেরিয়াসি ফ্যামিলি দমনে কার্যকর ও টেকসই টিকা উদ্ভাবনে। পাশাপাশি তিনি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্র্যাজুয়েট টিচিং ও রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবেও কাজ করছেন। বিজ্ঞান ও মানবতার কল্যাণে এই নবীন গবেষকের নিরলস চেষ্টা আজ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে গুরুত্ব পাচ্ছে।
শিকড় থেকে শিখরে
শৈশব থেকেই প্রকৃতির বিভিন্ন রহস্য ঘিরে কৌতূহল ছিল মমতার। বাড়ির নানা উপকরণ মিশিয়ে রাসায়নিক প্রতিক্রিয়া ঘটানোর চেষ্টা, টেলিভিশনে বিজ্ঞানের অনুষ্ঠান দেখে বিস্ময়ে মুগ্ধ হওয়া, আর বাবার কাছ থেকে শোনা বৈজ্ঞানিক যুগান্তকারী উদ্ভাবনের গল্প—এ সবই মমতার ভেতরে বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধিৎসার বীজ বপন করেছে।
নারী হওয়ার চ্যালেঞ্জ
গ্রামীণ শিক্ষার্থীদের মতো মমতাও নানা প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হয়েছেন। টিউশন ফি, বইপত্র কেনা, ল্যাব ও লাইব্রেরির অভাব, বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট-বিভ্রাট ছিল তাঁর নিত্যসঙ্গী। তবে দমে যাননি তিনি। নিজে অধ্যয়ন পরিকল্পনা তৈরি করেছেন, বন্ধুদের সঙ্গে পড়াশোনার গ্রুপ তৈরি করেছেন, অনলাইন রিসোর্স কাজে লাগিয়েছেন। এমনকি সূর্যের আলোতে পড়াশোনা করে বিদ্যুৎ ঘাটতি পুষিয়ে নিয়েছেন।
ঢাবি থেকে মিশিগানে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগ থেকেই অর্গানিক কেমিস্ট্রির প্রতি মমতার গভীর আগ্রহ সৃষ্টি হয়। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে তিনি অ্যাডভান্সড রিঅ্যাকশন মেকানিজম, ন্যাচারাল প্রোডাক্টস, মেডিসিনাল কেমিস্ট্রি, বায়ো-অর্গানিক কেমিস্ট্রি ও স্টেরিওকেমিস্ট্রির মতো বিষয় অধ্যয়ন করেন। তাঁর এম এস পর্যায়ের সুপারভাইজর অধ্যাপক ড. এস এম মিজানুর রহমান তাঁকে গবেষণার শৃঙ্খলা ও কৌতূহলের মধ্যে সুষম সমন্বয় শেখান। এই অভিজ্ঞতাই তাঁকে পিএইচডি গবেষণার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমানোর সাহস জুগিয়েছে। ড. শুফেই হুয়াংয়ের অধীনে গবেষণা করছেন। এখানেই তিনি সিনথেটিক কেমিস্ট্রি (কার্বোহাইড্রেট) ও ভ্যাকসিন ডিজাইনের ব্যবহারিক দিক আয়ত্ত করেছেন।
ভ্যাকসিন গবেষণায় অগ্রণী ভূমিকা
মমতা এখন গবেষণা করছেন গ্রাম-নেগেটিভ ব্যাকটেরিয়া দমনে সার্বজনীন ভ্যাকসিন তৈরির লক্ষ্যে। এই ব্যাকটেরিয়া রক্তজনিত সংক্রমণ, ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন, নিউমোনিয়া ও গ্যাস্ট্রোঅ্যান্টারাইটিসের জন্য দায়ী—বিশেষ করে যেসব প্রজাতি কারবাপেনেম অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী হয়ে উঠেছে। এই ‘সুপারবাগ’-এর বিরুদ্ধে কার্যকর টিকা তৈরি করা এখন বৈশ্বিক জরুরি চাহিদা। মমতা এমন একটি কার্যকর, সাশ্রয়ী ও স্কেলযোগ্য ভ্যাকসিন প্ল্যাটফর্ম তৈরিতে কাজ করছেন, যা উন্নত দেশগুলোর পাশাপাশি উন্নয়নশীল দেশ বিশেষ করে বাংলাদেশের জন্যও সমানভাবে উপযোগী হবে। এই উদ্যোগ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ‘টিকা সবার জন্য’ দর্শনের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ।
আন্তর্জাতিক প্রকাশনা ও সম্মাননা
সম্প্রতি সায়েন্সডিরেক্ট প্ল্যাটফর্মের দ্য জার্নাল অব প্যাথলজি-রিসার্চ অ্যান্ড প্র্যাকটিসে তাঁর একটি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে তিনি সহলেখক। সেখানে ক্যানসার-সম্পৃক্ত ফাইব্রোব্লাস্টের (CAFs) ভূমিকা, ব্রেন মেটাস্টেসিস, ওষুধ প্রতিরোধ ও সম্ভাব্য থেরাপি নিয়ে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। মমতা আক্তার ২০১৭–১৮ অর্থ বছরে এম.এস. প্রোগ্রামে গবেষণার জন্য জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ পেয়েছেন। ২০২৪ সালের মার্চে তিনি মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে ইমার্জেন্সি ফেলোশিপ ফান্ডিং পেয়েছেন, একই বছর ফেব্রুয়ারিতে অর্জন করেছেন বাংলাদেশ-সুইডেন ট্রাস্ট ফান্ড ট্রাভেল গ্রান্ট। তবে তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন—মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে প্রাপ্ত পূর্ণাঙ্গ তহবিলের পিএইচডি অফার।
নেতৃত্বে অনন্য
শুধু গবেষক নয়, মমতা নেতৃত্বেও এগিয়ে। তিনি বিএসিএবিএএনএর (বাংলাদেশ কেমিক্যাল অ্যান্ড বায়োকেমিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন ইন নর্থ আমেরিকা) মিশিগান চ্যাপ্টারের সাধারণ সম্পাদক। সংগঠনের সদস্যদের জন্য সেমিনার, ওয়ার্কশপ ও নেটওয়ার্কিং ইভেন্টের আয়োজন করেন, যা একাডেমিক ও পেশাগত উন্নয়নে সহায়ক। এসব আয়োজন অনেক সময় চাকরি, ইন্টার্নশিপ ও পোস্টডক্টোরাল সুযোগ পাওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক হয়। তাঁর লক্ষ্য হলো, যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থী, গবেষক এবং পেশাজীবীদের একাডেমিক ও পেশাগত উন্নয়নে সহায়তা করা। মমতা আক্তার বলেন, ‘গবেষণা অবকাঠামোয় বাড়তি বিনিয়োগ, সহযোগিতার সুযোগ সম্প্রসারণ এবং দক্ষ বিজ্ঞানীদের সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে বাংলাদেশ ধাপে ধাপে একটি শক্তিশালী বৈজ্ঞানিক ইকোসিস্টেমের ভিত্তি সৃষ্টি করছে। এই অগ্রগতি দেশটিকে বৈশ্বিক বৈজ্ঞানিক অগ্রযাত্রায় অর্থবহ অবদান রাখার জন্য সুসজ্জিত করছে—বিশেষ করে এমন ক্ষেত্রগুলোতে যেখানে স্থানীয় জ্ঞান দিয়ে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সমস্যার উদ্ভাবনী সমাধান তৈরি সম্ভব।’ এ ছাড়াও সম্প্রতি তিনি মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটির কেমিস্ট্রি গ্র্যাজুয়েট স্টুডেন্ট অর্গানাইজেশনের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট আউটরিচ অফিসার হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।
তরুণদের জন্য পরামর্শ
নতুন গবেষক ও রসায়নে আগ্রহীদের জন্য মমতার পরামর্শ—‘বই মুখস্থ নয়, প্রতিক্রিয়ার পেছনে থাকা যুক্তি বুঝুন। হাতে-কলমে ল্যাব কাজ, ইন্টার্নশিপ ও গবেষণা আপনাকে বাস্তব বিজ্ঞানী হতে সাহায্য করবে। বৈজ্ঞানিক জার্নাল পড়ুন, উপস্থাপন দক্ষতা গড়ে তুলুন এবং প্রশ্ন করতে শিখুন। গবেষণার পথ কঠিন, কিন্তু জানার আগ্রহ ও সাহস থাকলে পরিবর্তন আনা সম্ভব।’ তাঁর স্বপ্ন—ফেডারেলভাবে অর্থায়িত একটি স্বতন্ত্র গবেষণাগার প্রতিষ্ঠা করা, যেখানে সবার জন্য কার্যকর ও প্রবেশযোগ্য ভ্যাকসিন প্রযুক্তি উদ্ভাবিত হবে। এই লক্ষ্য শুধু বৈজ্ঞানিক নয়, একটি সমাজমুখী দর্শনের প্রতিফলন—যেখানে বিজ্ঞান মানবতার সেবায় নিয়োজিত।

সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৫ সামনে রেখে পরীক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি বিষয়ের বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন কর পরিদর্শক (৪৩তম বিসিএস) মো. জাহিদুল ইসলাম (সজল)।
২ ঘণ্টা আগে
ইতালির ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোর বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আইইএলটিএস ছাড়াই বৃত্তিটির জন্য আবেদন করা যাবে।
২ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ডোপ টেস্টে (মাদক পরীক্ষা) পজিটিভ ফল আসা ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদক গ্রহণ করেন না বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন,
১২ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট
১৬ ঘণ্টা আগেশিক্ষা ডেস্ক

সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৫ সামনে রেখে পরীক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি বিষয়ের বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন কর পরিদর্শক (৪৩তম বিসিএস) মো. জাহিদুল ইসলাম (সজল)।
[গতকালের পর]
ভোকাবুলারি (৪-৫ নম্বর)
১. Synonyms & Antonyms:
পরীক্ষায় দু-একটি প্রশ্ন আসার প্রবণতা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে বেশি নতুন শব্দ মুখস্থ করার চেয়ে বিগত বছরের প্রশ্ন—বিশেষ করে বিসিএস ও প্রাইমারি পরীক্ষায় আসা প্রশ্নগুলো সমাধান করাই বেশি কার্যকর।
২. Spelling Correction:
Confusing spelling-এ বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। বিশেষ করে রোগের নাম যেমন—Pneumonia, Typhoid, Diarrhoea, Cholera। এ ছাড়া Lieutenant, accommodate, committee, privilege, questionnaire, opportunity ইত্যাদি শব্দের বানান ভালোভাবে অনুশীলন করা প্রয়োজন।
৩. Idioms & Phrases:
পরীক্ষায় দু-একটি প্রশ্ন আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ idioms—At a glance, By heart, Bring about, Turn down, Keep pace with, Look forward to ইত্যাদি। পাশাপাশি বিগত বছরের বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় আসা idioms and phrases ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হবে। One word substitution টপিকটিও প্রস্তুতির অন্তর্ভুক্ত রাখা উচিত।
ইংরেজি সাহিত্য (১-২ নম্বর)
যদিও তুলনামূলকভাবে কম নম্বর আসে, তবু কিছু বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। Literary terms—simile, metaphor, plot, stanza, biography, autobiography, ballad, digressing, poetic justice, irony ইত্যাদি জানা থাকা প্রয়োজন।
জনপ্রিয় লেখক:
William Shakespeare, William Wordsworth, Charles Dickens, George Bernard Shaw, Ernest Hemingway, P. B. Shelley, John Keats—এরা গুরুত্বপূর্ণ।
এ ছাড়া কিছু বিখ্যাত গ্রন্থ ও লেখকের নাম জানা থাকা দরকার, যেমন—War and Peace, India Wins Freedom, The Politics, The Three Musketeers, Crime and Punishment, A Long Walk to Freedom, Animal Farm।
প্রস্তুতির বিশেষ নির্দেশনা
প্রতিদিন অন্তত ১ ঘণ্টা ইংরেজি ব্যাকরণ অনুশীলন করুন। নিয়মিত মডেল টেস্ট ও আগের প্রশ্নপত্র সমাধান করুন। প্রতিদিন অন্তত ১০টি vocabulary শব্দ মুখস্থ করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। ছোট ইংরেজি প্যাসেজ পড়ে tense, verb ও article শনাক্ত করার চর্চা করুন। ভুল উত্তরগুলো আলাদা খাতায় নোট করে নিয়মিত পুনরাবৃত্তি করুন।
ইংরেজি অংশে ভালো নম্বর পাওয়ার জন্য জরুরি হলো নিয়মিত অনুশীলন এবং প্রতিটি গ্রামারের অধ্যায় থেকে ছোট ছোট অনুশীলনী সমাধান করা। ওপরের সাজেশন অনুযায়ী প্রস্তুতি নিলে পরীক্ষার্থীরা সহজে ইংরেজি অংশে উচ্চ স্কোর অর্জন করতে পারবেন বলে প্রত্যাশা করা যায়।

সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৫ সামনে রেখে পরীক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি বিষয়ের বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন কর পরিদর্শক (৪৩তম বিসিএস) মো. জাহিদুল ইসলাম (সজল)।
[গতকালের পর]
ভোকাবুলারি (৪-৫ নম্বর)
১. Synonyms & Antonyms:
পরীক্ষায় দু-একটি প্রশ্ন আসার প্রবণতা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে বেশি নতুন শব্দ মুখস্থ করার চেয়ে বিগত বছরের প্রশ্ন—বিশেষ করে বিসিএস ও প্রাইমারি পরীক্ষায় আসা প্রশ্নগুলো সমাধান করাই বেশি কার্যকর।
২. Spelling Correction:
Confusing spelling-এ বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। বিশেষ করে রোগের নাম যেমন—Pneumonia, Typhoid, Diarrhoea, Cholera। এ ছাড়া Lieutenant, accommodate, committee, privilege, questionnaire, opportunity ইত্যাদি শব্দের বানান ভালোভাবে অনুশীলন করা প্রয়োজন।
৩. Idioms & Phrases:
পরীক্ষায় দু-একটি প্রশ্ন আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ idioms—At a glance, By heart, Bring about, Turn down, Keep pace with, Look forward to ইত্যাদি। পাশাপাশি বিগত বছরের বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় আসা idioms and phrases ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হবে। One word substitution টপিকটিও প্রস্তুতির অন্তর্ভুক্ত রাখা উচিত।
ইংরেজি সাহিত্য (১-২ নম্বর)
যদিও তুলনামূলকভাবে কম নম্বর আসে, তবু কিছু বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। Literary terms—simile, metaphor, plot, stanza, biography, autobiography, ballad, digressing, poetic justice, irony ইত্যাদি জানা থাকা প্রয়োজন।
জনপ্রিয় লেখক:
William Shakespeare, William Wordsworth, Charles Dickens, George Bernard Shaw, Ernest Hemingway, P. B. Shelley, John Keats—এরা গুরুত্বপূর্ণ।
এ ছাড়া কিছু বিখ্যাত গ্রন্থ ও লেখকের নাম জানা থাকা দরকার, যেমন—War and Peace, India Wins Freedom, The Politics, The Three Musketeers, Crime and Punishment, A Long Walk to Freedom, Animal Farm।
প্রস্তুতির বিশেষ নির্দেশনা
প্রতিদিন অন্তত ১ ঘণ্টা ইংরেজি ব্যাকরণ অনুশীলন করুন। নিয়মিত মডেল টেস্ট ও আগের প্রশ্নপত্র সমাধান করুন। প্রতিদিন অন্তত ১০টি vocabulary শব্দ মুখস্থ করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। ছোট ইংরেজি প্যাসেজ পড়ে tense, verb ও article শনাক্ত করার চর্চা করুন। ভুল উত্তরগুলো আলাদা খাতায় নোট করে নিয়মিত পুনরাবৃত্তি করুন।
ইংরেজি অংশে ভালো নম্বর পাওয়ার জন্য জরুরি হলো নিয়মিত অনুশীলন এবং প্রতিটি গ্রামারের অধ্যায় থেকে ছোট ছোট অনুশীলনী সমাধান করা। ওপরের সাজেশন অনুযায়ী প্রস্তুতি নিলে পরীক্ষার্থীরা সহজে ইংরেজি অংশে উচ্চ স্কোর অর্জন করতে পারবেন বলে প্রত্যাশা করা যায়।

ময়মনসিংহের সদর উপজেলার রঘুরামপুরের এক প্রতিভাবান তরুণী এখন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠান মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটিতে ভ্যাকসিন উদ্ভাবনের গুরুত্বপূর্ণ গবেষণায় নিয়োজিত। তাঁর নাম মমতা আক্তার। তিনি বর্তমানে অর্গানিক কেমিস্ট্রিতে পিএইচডি করছেন এবং গবেষণা করছেন প্রাণঘাতী
২৬ জুলাই ২০২৫
ইতালির ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোর বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আইইএলটিএস ছাড়াই বৃত্তিটির জন্য আবেদন করা যাবে।
২ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ডোপ টেস্টে (মাদক পরীক্ষা) পজিটিভ ফল আসা ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদক গ্রহণ করেন না বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন,
১২ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট
১৬ ঘণ্টা আগেশিক্ষা ডেস্ক

ইতালির ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোর বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আইইএলটিএস ছাড়াই বৃত্তিটির জন্য আবেদন করা যাবে। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির আওতায় দেশটির বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষের জন্য বৃত্তিটি প্রযোজ্য।
ইতালির মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনো দেশটির অন্যতম প্রাচীন ও মর্যাদাপূর্ণ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৩৩৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ও আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থার সমন্বয়ে গড়ে ওঠা এ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণার জন্য বিশ্বজুড়ে সুপরিচিত। শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ, আধুনিক ল্যাব ও গবেষণাগার এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ সহায়তা কর্মসূচির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টি শিক্ষার্থীদের পছন্দের শীর্ষ রয়েছে।
বৃত্তির ধরন
ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোতে পড়াশোনার জন্য একাধিক রকমের স্কলারশিপ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ইতালিয়ান গভর্নমেন্ট স্কলারশিপ। এই বৃত্তি রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে পরিচালিত হয়। মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে ইউনিক্যাম এক্সেলেন্স স্কলারশিপ। এটি মূলত মাস্টার্স ও পিএইচডি পর্যায়ের উচ্চ ফলাফলধারী শিক্ষার্থীদের জন্য দেওয়া হয়। ইউরোপজুড়ে শিক্ষার্থী বিনিময় ও মবিলিটির জন্য রয়েছে ইরাসমাস প্রোগ্রাম। পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ে মার্কে রিজিওনাল স্কলারশিপ।
সুযোগ-সুবিধা
ইতালির ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোর বিভিন্ন বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীরা পাবেন উল্লেখযোগ্য আর্থিক সহায়তা। এসব বৃত্তির মাধ্যমে সম্পূর্ণ অথবা আংশিক টিউশন ফি মওকুফের সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মাসিক জীবনযাত্রার খরচ বহনের জন্য ৩০০-৮০০ ইউরো পর্যন্ত স্টাইপেন্ড সুবিধা রয়েছে। যোগ্য শিক্ষার্থীদের জন্য বিনা মূল্যে আবাসন অথবা স্বল্প খরচে ভর্তুকিযুক্ত আবাসনের ব্যবস্থাও রয়েছে। এ ছাড়া স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দেওয়া হবে হেলথ ইনস্যুরেন্স সুবিধা। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য ইতালিয়ান ভাষা শেখার কোর্সে অংশ নেওয়ার সুযোগও থাকছে।
আবেদনের যোগ্যতা
বিশ্বের সব দেশের শিক্ষার্থীরা বৃত্তিটির জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে প্রার্থীর পূর্ববর্তী শিক্ষাজীবনে ভালো একাডেমিক ফলাফল থাকতে হবে। স্নাতক প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের সনদ থাকতে হবে এবং মাস্টার্স প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য অবশ্যই স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করতে হবে। ভাষাগত যোগ্যতার ক্ষেত্রে আইইএলটিএস বাধ্যতামূলক নয়। তবে আবেদনকারীকে ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার প্রমাণ দিতে হবে। যেমন ইংরেজি মাধ্যমে পূর্ববর্তী পড়াশোনার সনদ বা অন্য স্বীকৃত ভাষা দক্ষতার সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
অধ্যয়নের ক্ষেত্রগুলো
ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোতে শিক্ষার্থীরা তাঁদের আগ্রহ ও ভবিষ্যৎ লক্ষ্য অনুযায়ী বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সুযোগ পাবেন। প্রধান একাডেমিক ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে; বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, লাইফ সায়েন্সেস, আর্কিটেকচার ও ডিজাইন, সামাজিক বিজ্ঞান এবং ফার্মেসি ও স্বাস্থ্যবিজ্ঞান।
আবেদন পদ্ধতি
আগ্রহী শিক্ষার্থীরা এই লিংকে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: ৩১ মার্চ, ২০২৬।

ইতালির ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোর বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আইইএলটিএস ছাড়াই বৃত্তিটির জন্য আবেদন করা যাবে। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির আওতায় দেশটির বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষের জন্য বৃত্তিটি প্রযোজ্য।
ইতালির মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনো দেশটির অন্যতম প্রাচীন ও মর্যাদাপূর্ণ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৩৩৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ও আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থার সমন্বয়ে গড়ে ওঠা এ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণার জন্য বিশ্বজুড়ে সুপরিচিত। শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ, আধুনিক ল্যাব ও গবেষণাগার এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ সহায়তা কর্মসূচির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টি শিক্ষার্থীদের পছন্দের শীর্ষ রয়েছে।
বৃত্তির ধরন
ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোতে পড়াশোনার জন্য একাধিক রকমের স্কলারশিপ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ইতালিয়ান গভর্নমেন্ট স্কলারশিপ। এই বৃত্তি রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে পরিচালিত হয়। মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে ইউনিক্যাম এক্সেলেন্স স্কলারশিপ। এটি মূলত মাস্টার্স ও পিএইচডি পর্যায়ের উচ্চ ফলাফলধারী শিক্ষার্থীদের জন্য দেওয়া হয়। ইউরোপজুড়ে শিক্ষার্থী বিনিময় ও মবিলিটির জন্য রয়েছে ইরাসমাস প্রোগ্রাম। পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ে মার্কে রিজিওনাল স্কলারশিপ।
সুযোগ-সুবিধা
ইতালির ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোর বিভিন্ন বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীরা পাবেন উল্লেখযোগ্য আর্থিক সহায়তা। এসব বৃত্তির মাধ্যমে সম্পূর্ণ অথবা আংশিক টিউশন ফি মওকুফের সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মাসিক জীবনযাত্রার খরচ বহনের জন্য ৩০০-৮০০ ইউরো পর্যন্ত স্টাইপেন্ড সুবিধা রয়েছে। যোগ্য শিক্ষার্থীদের জন্য বিনা মূল্যে আবাসন অথবা স্বল্প খরচে ভর্তুকিযুক্ত আবাসনের ব্যবস্থাও রয়েছে। এ ছাড়া স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দেওয়া হবে হেলথ ইনস্যুরেন্স সুবিধা। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য ইতালিয়ান ভাষা শেখার কোর্সে অংশ নেওয়ার সুযোগও থাকছে।
আবেদনের যোগ্যতা
বিশ্বের সব দেশের শিক্ষার্থীরা বৃত্তিটির জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে প্রার্থীর পূর্ববর্তী শিক্ষাজীবনে ভালো একাডেমিক ফলাফল থাকতে হবে। স্নাতক প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের সনদ থাকতে হবে এবং মাস্টার্স প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য অবশ্যই স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করতে হবে। ভাষাগত যোগ্যতার ক্ষেত্রে আইইএলটিএস বাধ্যতামূলক নয়। তবে আবেদনকারীকে ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার প্রমাণ দিতে হবে। যেমন ইংরেজি মাধ্যমে পূর্ববর্তী পড়াশোনার সনদ বা অন্য স্বীকৃত ভাষা দক্ষতার সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
অধ্যয়নের ক্ষেত্রগুলো
ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোতে শিক্ষার্থীরা তাঁদের আগ্রহ ও ভবিষ্যৎ লক্ষ্য অনুযায়ী বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সুযোগ পাবেন। প্রধান একাডেমিক ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে; বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, লাইফ সায়েন্সেস, আর্কিটেকচার ও ডিজাইন, সামাজিক বিজ্ঞান এবং ফার্মেসি ও স্বাস্থ্যবিজ্ঞান।
আবেদন পদ্ধতি
আগ্রহী শিক্ষার্থীরা এই লিংকে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: ৩১ মার্চ, ২০২৬।

ময়মনসিংহের সদর উপজেলার রঘুরামপুরের এক প্রতিভাবান তরুণী এখন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠান মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটিতে ভ্যাকসিন উদ্ভাবনের গুরুত্বপূর্ণ গবেষণায় নিয়োজিত। তাঁর নাম মমতা আক্তার। তিনি বর্তমানে অর্গানিক কেমিস্ট্রিতে পিএইচডি করছেন এবং গবেষণা করছেন প্রাণঘাতী
২৬ জুলাই ২০২৫
সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৫ সামনে রেখে পরীক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি বিষয়ের বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন কর পরিদর্শক (৪৩তম বিসিএস) মো. জাহিদুল ইসলাম (সজল)।
২ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ডোপ টেস্টে (মাদক পরীক্ষা) পজিটিভ ফল আসা ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদক গ্রহণ করেন না বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন,
১২ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট
১৬ ঘণ্টা আগেজবি প্রতিনিধি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ছাত্রদল-সমর্থিত প্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদকাসক্ত নন বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন, চিকিৎসার প্রয়োজনে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই তাঁর ডোপ টেস্টের (মাদক পরীক্ষা) রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (অর্থ ও ডাক্তার) ডা. শায়লা ফেরদৌস আহসান স্বাক্ষরিত এক চিকিৎসা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
অর্ঘ্য দাস ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী। ডোপ টেস্টে ফল পজিটিভ আসায় ১১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েন তিনি।
চিকিৎসা প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘অর্ঘ্য দাস এপিলেপসি নামক স্নায়বিক রোগে আক্রান্ত এবং ২০০২ সাল থেকে বেঞ্জোডায়াজেপিন গ্রুপের ওষুধ সেবন করে চিকিৎসাধীন আছেন। চিকিৎসার অংশ হিসেবে তাঁর রক্ত, প্রস্রাব ও অন্যান্য টিস্যুতে বেঞ্জোডায়াজেপিনের উপস্থিতি পাওয়া স্বাভাবিক এবং ডোপ টেস্টে ফল চিকিৎসাজনিত কারণে পজিটিভ আসতে পারে। তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন থাকলেও ক্লিনিক্যালি ও মানসিকভাবে সুস্থ এবং ব্যক্তিগত ও আইনি সব কর্মকাণ্ড পরিচালনায় সক্ষম। তিনি কোনো ধরনের মাদকের সঙ্গে জড়িত নন।’
ড. শায়লা ফেরদৌস আহসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অর্ঘ্য দাস একটি স্নায়বিক সমস্যার কারণে দীর্ঘদিন ধরে নির্দিষ্ট একটি ওষুধ সেবন করছে। ওই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে তার ডোপ টেস্টে পজিটিভ ফল এসেছিল।’
এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘অর্ঘ্য কোনো ধরনের নেশা বা মাদক গ্রহণ করে না। চিকিৎসাগত কারণে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই এমনটা হয়েছে।’
অর্ঘ্য দাস বলেন, ‘আমি ২০০২ সাল থেকে স্নায়ুর রোগে ভুগছি এবং চিকিৎসকের পরামর্শে বেঞ্জোডায়াজেপিন গ্রুপের ওষুধ নিয়মিত সেবন করি। ঢাকা মেডিকেলে পরীক্ষায় নিশ্চিত নিশ্চত হওয়া গেছে ডোপ টেস্টে পজিটিভ আসা শুধুই এই ওষুধের কারণে, কোনো মাদক নয়। আমার সম্পর্কে মাদকসংশ্লিষ্ট অপপ্রচার আমাকে ও আমার পরিবারকে অসম্মানিত করেছে। অনুরোধ করছি, এ ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ানো বন্ধ করুন। আমি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। আলো ছড়ান, ঘৃণা নয়।’
এদিকে, জকসু নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে ৪২ প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদ-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল। বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে আজ রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তোলেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা।
এর আগে, ৪ ডিসেম্বর সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জকসুর সংশোধিত তফসিল ঘোষণা করা হয়। সেই তফসিল অনুযায়ী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট সম্পন্ন হয়।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ছাত্রদল-সমর্থিত প্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদকাসক্ত নন বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন, চিকিৎসার প্রয়োজনে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই তাঁর ডোপ টেস্টের (মাদক পরীক্ষা) রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (অর্থ ও ডাক্তার) ডা. শায়লা ফেরদৌস আহসান স্বাক্ষরিত এক চিকিৎসা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
অর্ঘ্য দাস ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী। ডোপ টেস্টে ফল পজিটিভ আসায় ১১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েন তিনি।
চিকিৎসা প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘অর্ঘ্য দাস এপিলেপসি নামক স্নায়বিক রোগে আক্রান্ত এবং ২০০২ সাল থেকে বেঞ্জোডায়াজেপিন গ্রুপের ওষুধ সেবন করে চিকিৎসাধীন আছেন। চিকিৎসার অংশ হিসেবে তাঁর রক্ত, প্রস্রাব ও অন্যান্য টিস্যুতে বেঞ্জোডায়াজেপিনের উপস্থিতি পাওয়া স্বাভাবিক এবং ডোপ টেস্টে ফল চিকিৎসাজনিত কারণে পজিটিভ আসতে পারে। তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন থাকলেও ক্লিনিক্যালি ও মানসিকভাবে সুস্থ এবং ব্যক্তিগত ও আইনি সব কর্মকাণ্ড পরিচালনায় সক্ষম। তিনি কোনো ধরনের মাদকের সঙ্গে জড়িত নন।’
ড. শায়লা ফেরদৌস আহসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অর্ঘ্য দাস একটি স্নায়বিক সমস্যার কারণে দীর্ঘদিন ধরে নির্দিষ্ট একটি ওষুধ সেবন করছে। ওই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে তার ডোপ টেস্টে পজিটিভ ফল এসেছিল।’
এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘অর্ঘ্য কোনো ধরনের নেশা বা মাদক গ্রহণ করে না। চিকিৎসাগত কারণে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই এমনটা হয়েছে।’
অর্ঘ্য দাস বলেন, ‘আমি ২০০২ সাল থেকে স্নায়ুর রোগে ভুগছি এবং চিকিৎসকের পরামর্শে বেঞ্জোডায়াজেপিন গ্রুপের ওষুধ নিয়মিত সেবন করি। ঢাকা মেডিকেলে পরীক্ষায় নিশ্চিত নিশ্চত হওয়া গেছে ডোপ টেস্টে পজিটিভ আসা শুধুই এই ওষুধের কারণে, কোনো মাদক নয়। আমার সম্পর্কে মাদকসংশ্লিষ্ট অপপ্রচার আমাকে ও আমার পরিবারকে অসম্মানিত করেছে। অনুরোধ করছি, এ ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ানো বন্ধ করুন। আমি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। আলো ছড়ান, ঘৃণা নয়।’
এদিকে, জকসু নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে ৪২ প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদ-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল। বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে আজ রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তোলেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা।
এর আগে, ৪ ডিসেম্বর সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জকসুর সংশোধিত তফসিল ঘোষণা করা হয়। সেই তফসিল অনুযায়ী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট সম্পন্ন হয়।

ময়মনসিংহের সদর উপজেলার রঘুরামপুরের এক প্রতিভাবান তরুণী এখন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠান মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটিতে ভ্যাকসিন উদ্ভাবনের গুরুত্বপূর্ণ গবেষণায় নিয়োজিত। তাঁর নাম মমতা আক্তার। তিনি বর্তমানে অর্গানিক কেমিস্ট্রিতে পিএইচডি করছেন এবং গবেষণা করছেন প্রাণঘাতী
২৬ জুলাই ২০২৫
সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৫ সামনে রেখে পরীক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি বিষয়ের বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন কর পরিদর্শক (৪৩তম বিসিএস) মো. জাহিদুল ইসলাম (সজল)।
২ ঘণ্টা আগে
ইতালির ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোর বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আইইএলটিএস ছাড়াই বৃত্তিটির জন্য আবেদন করা যাবে।
২ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট
১৬ ঘণ্টা আগেজবি প্রতিনিধি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে ৪২ জন প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদ সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে আজ রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তোলেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেয়নি।
খাদিজাতুল কুবরা বলেন, প্রার্থীর এসএসসি বা এইচএসসি পরীক্ষার সনদে যে নাম আছে, এর পাশাপাশি তাঁর পরিচিত নাম প্রার্থী তালিকায় না থাকায় ভোটারদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে।
প্যানেলের দাবি, অবিলম্বে ওই ৪২ প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হোক। একই সঙ্গে জকসু নির্বাচনে অংশ নেওয়া সব প্রার্থী ও প্যানেলের প্রতি সমান, নিরপেক্ষ ও ন্যায়সংগত আচরণ নিশ্চিতের দাবিও জানানো হয়।
গত ১৭ ও ১৮ নভেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ও হল সংসদের মোট ৩৪টি পদের বিপরীতে ২৪৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। যাচাই-বাছাই শেষে ২৪ নভেম্বর প্রাথমিক তালিকায় ২৩১ জন প্রার্থীর নাম প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।
এরপর ১১ ডিসেম্বর জকসুর ২১ পদে ১৫৬ জন ও হল সংসদের ১৩ পদের বিপরীতে ৩৩ জন প্রার্থীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্য দিয়ে বাদ পড়েন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া ৪২ জন প্রার্থী।
৩০ ডিসেম্বর জকসু নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হবে। আর ফলাফল ঘোষণা করা হবে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে ৪২ জন প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদ সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে আজ রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তোলেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেয়নি।
খাদিজাতুল কুবরা বলেন, প্রার্থীর এসএসসি বা এইচএসসি পরীক্ষার সনদে যে নাম আছে, এর পাশাপাশি তাঁর পরিচিত নাম প্রার্থী তালিকায় না থাকায় ভোটারদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে।
প্যানেলের দাবি, অবিলম্বে ওই ৪২ প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হোক। একই সঙ্গে জকসু নির্বাচনে অংশ নেওয়া সব প্রার্থী ও প্যানেলের প্রতি সমান, নিরপেক্ষ ও ন্যায়সংগত আচরণ নিশ্চিতের দাবিও জানানো হয়।
গত ১৭ ও ১৮ নভেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ও হল সংসদের মোট ৩৪টি পদের বিপরীতে ২৪৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। যাচাই-বাছাই শেষে ২৪ নভেম্বর প্রাথমিক তালিকায় ২৩১ জন প্রার্থীর নাম প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।
এরপর ১১ ডিসেম্বর জকসুর ২১ পদে ১৫৬ জন ও হল সংসদের ১৩ পদের বিপরীতে ৩৩ জন প্রার্থীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্য দিয়ে বাদ পড়েন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া ৪২ জন প্রার্থী।
৩০ ডিসেম্বর জকসু নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হবে। আর ফলাফল ঘোষণা করা হবে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে।

ময়মনসিংহের সদর উপজেলার রঘুরামপুরের এক প্রতিভাবান তরুণী এখন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠান মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটিতে ভ্যাকসিন উদ্ভাবনের গুরুত্বপূর্ণ গবেষণায় নিয়োজিত। তাঁর নাম মমতা আক্তার। তিনি বর্তমানে অর্গানিক কেমিস্ট্রিতে পিএইচডি করছেন এবং গবেষণা করছেন প্রাণঘাতী
২৬ জুলাই ২০২৫
সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৫ সামনে রেখে পরীক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি বিষয়ের বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন কর পরিদর্শক (৪৩তম বিসিএস) মো. জাহিদুল ইসলাম (সজল)।
২ ঘণ্টা আগে
ইতালির ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোর বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আইইএলটিএস ছাড়াই বৃত্তিটির জন্য আবেদন করা যাবে।
২ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ডোপ টেস্টে (মাদক পরীক্ষা) পজিটিভ ফল আসা ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদক গ্রহণ করেন না বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন,
১২ ঘণ্টা আগে