অর্চি হক, ঢাকা
‘ও মারা যাওয়ার পরে আমার চোখে পানি আসে নাই। কিন্তু এখন ওর জন্য আমি কাঁদি। একা থাকলেই ওর কথা মনে পড়ে। অনেক কষ্টে এটা চাপা দিয়ে রাখি। ওর নামে বুয়েটের হলের নামকরণ হবে এই খবরটা পড়তে পারি নাই আমি, চোখে পানি এসে গেছে।’ কথাগুলো বলছিলেন, ছাত্রদলের দুই পক্ষের গোলাগুলিতে নিহত বুয়েট ছাত্রী সাবেকুন নাহার সনির মা অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা দিলারা বেগম।
বুয়েটের কেমিকৌশল বিভাগের ৯৯ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন সনি। ২০০২ সালের ৮ জুন টেন্ডারবাজিকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের দুই পক্ষের গোলাগুলির মধ্যে পড়ে নিহত হন তিনি। এরপর থেকে বুয়েট শিক্ষার্থীরা ১৯৮৭ সালে নির্মিত 'চার তলা ছাত্রী হল' হিসেবে পরিচিত আবাসিক হলটি সনির নামে নামকরণের দাবি জানিয়ে আসছিল। ১৯ বছর পর অবশেষে তাঁদের সেই দাবি পূরণ হলো। গত ২ নভেম্বর বুয়েট সিন্ডিকেটের ৫২৬ তম সভায় পুরোনো ছাত্রী হলের নাম 'সাবেকুন নাহার সনি হল' হিসেবে অনুমোদন করা হয়।
বুয়েট কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তে সন্তুষ্টির কথা জানালেন সনির বাবা হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া। তবে সনির মৃত্যু কীভাবে হলো তাও হলের সামনে বা সনি স্মৃতি স্তম্ভের পাশে অল্প কথায় লিখিত আকারে থাকা উচিত বলে মনে করেন তিনি। সনির বাবার এই চাওয়ার যথার্থতা বোঝা গেল বুয়েটের প্রথম বর্ষের কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে। অন্তত চারজন শিক্ষার্থী জানালেন, সনি নামটার সঙ্গে পরিচিত তাঁরা। কিন্তু সনি মৃত্যুর প্রেক্ষাপটটা তাঁদের অজানা।
সনির মা বলেন, সনির জন্য একটি স্মৃতি স্তম্ভ হয়েছে। হলের নামও দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু কেন, কীভাবে ওর মৃত্যু হলো সেটা যদি কোথাও না লেখা থাকে, তাহলে তো নতুন প্রজন্ম এটা বুঝবে না যে কী কারণে এই নামকরণ।
এ বিষয়ে বুয়েটের ছাত্র কল্যাণ দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেন, পুরোনো ছাত্রী হলটির কোনো নাম ছিল না। শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে হলটির নাম সাবিকুন নাহার সনির নামে রাখা হয়েছে। আর কীভাবে তাঁর মৃত্যু হলো সেটা স্তম্ভ বা হলের সামনে লিখিত আকারে রাখার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের জানানো হলে আমরা সেটা ভেবে দেখব।
সনির মৃত্যুর ১৯ বছর পেরিয়ে গেলেও তাঁর হত্যাকারীদের শাস্তি হয়নি। হাইকোর্টে দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি এখনো রয়ে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। নিম্ন আদালতে সনি হত্যার মূল তিন আসামি তৎকালীন বুয়েট ছাত্রদল সভাপতি মোকাম্মেল হায়াত খান মুকিত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল ক্যাডার সূর্য সেন হলের টগর এবং নুরুল ইসলাম সাগর ওরফে শুটার নুরুর মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছিল। ২০০৬ সালের ১০ মার্চ হাইকোর্ট মুকিত, টগর ও সাগরের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বাতিল করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। এ ছাড়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত এসএম মাসুম বিল্লাহ ও মাসুমকে খালাস দেন হাইকোর্ট। পরবর্তীতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত মোকাম্মেল হায়াত খান মুকিত পালিয়ে অস্ট্রেলিয়া যায়। পলাতক রয়েছেন শুটার নুরু। জেলে রয়েছেন টগর।
সনির নামে হলের নামকরণ হওয়ায় সনির বাবা সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও তাঁর কথায় ফুটে উঠল কিছু চাপা কষ্টও। তিনি বলছিলেন, ‘সনি মারা যাওয়ার আগেও শিক্ষাঙ্গনে ছাত্রদের মৃত্যু হয়েছে। সনি মারা যাওয়ার পরেও এমন ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু সনিসহ শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাসের কারণে যতজন মারা গেছে, কোনোটিরই বিচার কার্যকর হয়নি। বিচার না হলে আসলে সন্ত্রাসীরা ওই পথ থেকে ফিরে আসবে না। আর এ রকম মৃত্যু হতেই থাকবে।’
অবসরপ্রাপ্ত এই বিটিসিএল কর্মকর্তা সনি মারা যাওয়ার পর থেকেই শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাসের কারণে শিক্ষার্থী মৃত্যুর তথ্য সংগ্রহ করেন। সেই তথ্য বলছে, স্বাধীনতার পর থেকে ২০১৯ এর অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন ১৫৯ জন। আর আহতের সংখ্যা কয়েক হাজার। টেন্ডারবাজি, আধিপত্য বিস্তার এবং চাঁদাবাজির কারণেই এসব সংঘর্ষ ঘটছে বলে জানালেন হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া। শিক্ষাঙ্গনে রাজনীতি বন্ধ ও দোষীদের শাস্তি কার্যকরের দাবি তাঁর। অন্যথায় সনির মতো ভবিষ্যতেও ছাত্রদের প্রাণ ঝরবে বলে আশঙ্কা তাঁর।
‘ও মারা যাওয়ার পরে আমার চোখে পানি আসে নাই। কিন্তু এখন ওর জন্য আমি কাঁদি। একা থাকলেই ওর কথা মনে পড়ে। অনেক কষ্টে এটা চাপা দিয়ে রাখি। ওর নামে বুয়েটের হলের নামকরণ হবে এই খবরটা পড়তে পারি নাই আমি, চোখে পানি এসে গেছে।’ কথাগুলো বলছিলেন, ছাত্রদলের দুই পক্ষের গোলাগুলিতে নিহত বুয়েট ছাত্রী সাবেকুন নাহার সনির মা অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা দিলারা বেগম।
বুয়েটের কেমিকৌশল বিভাগের ৯৯ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন সনি। ২০০২ সালের ৮ জুন টেন্ডারবাজিকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের দুই পক্ষের গোলাগুলির মধ্যে পড়ে নিহত হন তিনি। এরপর থেকে বুয়েট শিক্ষার্থীরা ১৯৮৭ সালে নির্মিত 'চার তলা ছাত্রী হল' হিসেবে পরিচিত আবাসিক হলটি সনির নামে নামকরণের দাবি জানিয়ে আসছিল। ১৯ বছর পর অবশেষে তাঁদের সেই দাবি পূরণ হলো। গত ২ নভেম্বর বুয়েট সিন্ডিকেটের ৫২৬ তম সভায় পুরোনো ছাত্রী হলের নাম 'সাবেকুন নাহার সনি হল' হিসেবে অনুমোদন করা হয়।
বুয়েট কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তে সন্তুষ্টির কথা জানালেন সনির বাবা হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া। তবে সনির মৃত্যু কীভাবে হলো তাও হলের সামনে বা সনি স্মৃতি স্তম্ভের পাশে অল্প কথায় লিখিত আকারে থাকা উচিত বলে মনে করেন তিনি। সনির বাবার এই চাওয়ার যথার্থতা বোঝা গেল বুয়েটের প্রথম বর্ষের কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে। অন্তত চারজন শিক্ষার্থী জানালেন, সনি নামটার সঙ্গে পরিচিত তাঁরা। কিন্তু সনি মৃত্যুর প্রেক্ষাপটটা তাঁদের অজানা।
সনির মা বলেন, সনির জন্য একটি স্মৃতি স্তম্ভ হয়েছে। হলের নামও দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু কেন, কীভাবে ওর মৃত্যু হলো সেটা যদি কোথাও না লেখা থাকে, তাহলে তো নতুন প্রজন্ম এটা বুঝবে না যে কী কারণে এই নামকরণ।
এ বিষয়ে বুয়েটের ছাত্র কল্যাণ দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেন, পুরোনো ছাত্রী হলটির কোনো নাম ছিল না। শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে হলটির নাম সাবিকুন নাহার সনির নামে রাখা হয়েছে। আর কীভাবে তাঁর মৃত্যু হলো সেটা স্তম্ভ বা হলের সামনে লিখিত আকারে রাখার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের জানানো হলে আমরা সেটা ভেবে দেখব।
সনির মৃত্যুর ১৯ বছর পেরিয়ে গেলেও তাঁর হত্যাকারীদের শাস্তি হয়নি। হাইকোর্টে দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি এখনো রয়ে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। নিম্ন আদালতে সনি হত্যার মূল তিন আসামি তৎকালীন বুয়েট ছাত্রদল সভাপতি মোকাম্মেল হায়াত খান মুকিত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল ক্যাডার সূর্য সেন হলের টগর এবং নুরুল ইসলাম সাগর ওরফে শুটার নুরুর মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছিল। ২০০৬ সালের ১০ মার্চ হাইকোর্ট মুকিত, টগর ও সাগরের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বাতিল করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। এ ছাড়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত এসএম মাসুম বিল্লাহ ও মাসুমকে খালাস দেন হাইকোর্ট। পরবর্তীতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত মোকাম্মেল হায়াত খান মুকিত পালিয়ে অস্ট্রেলিয়া যায়। পলাতক রয়েছেন শুটার নুরু। জেলে রয়েছেন টগর।
সনির নামে হলের নামকরণ হওয়ায় সনির বাবা সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও তাঁর কথায় ফুটে উঠল কিছু চাপা কষ্টও। তিনি বলছিলেন, ‘সনি মারা যাওয়ার আগেও শিক্ষাঙ্গনে ছাত্রদের মৃত্যু হয়েছে। সনি মারা যাওয়ার পরেও এমন ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু সনিসহ শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাসের কারণে যতজন মারা গেছে, কোনোটিরই বিচার কার্যকর হয়নি। বিচার না হলে আসলে সন্ত্রাসীরা ওই পথ থেকে ফিরে আসবে না। আর এ রকম মৃত্যু হতেই থাকবে।’
অবসরপ্রাপ্ত এই বিটিসিএল কর্মকর্তা সনি মারা যাওয়ার পর থেকেই শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাসের কারণে শিক্ষার্থী মৃত্যুর তথ্য সংগ্রহ করেন। সেই তথ্য বলছে, স্বাধীনতার পর থেকে ২০১৯ এর অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন ১৫৯ জন। আর আহতের সংখ্যা কয়েক হাজার। টেন্ডারবাজি, আধিপত্য বিস্তার এবং চাঁদাবাজির কারণেই এসব সংঘর্ষ ঘটছে বলে জানালেন হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া। শিক্ষাঙ্গনে রাজনীতি বন্ধ ও দোষীদের শাস্তি কার্যকরের দাবি তাঁর। অন্যথায় সনির মতো ভবিষ্যতেও ছাত্রদের প্রাণ ঝরবে বলে আশঙ্কা তাঁর।
Pre-listening & Prediction (গত সংখ্যার পর) ক। সম্ভাব্য উত্তরের ধরন বা প্রকার প্রশ্ন (গ্যাপ) এর আগে-পরের ব্যবহৃত শব্দ দেখে বুঝতে হবে যে সম্ভাব্য উত্তর কি হতে পারে। নিচে বিষয়টির বিশদ বর্ণনা করা হলো।
৮ ঘণ্টা আগেশিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে অবশেষে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শরিফুল ইসলামকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এই দুজনকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে বুধবার গভীর রাতে...
১৪ ঘণ্টা আগেজাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোতে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষা আগামী ২৪ মে (শনিবার) অনুষ্ঠিত হবে। আজ বুধবার (২৩ এপ্রিল ২০২৫) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
১৭ ঘণ্টা আগেআন্দোলনের মুখে কৃষি ডিপ্লোমাধারী শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে স্বতন্ত্র একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপনের প্রস্তাব পাঠিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এই প্রস্তাব পর্যালোচনা করে পদক্ষেপ নেবে।
১৯ ঘণ্টা আগে