Ajker Patrika

বিদেশে উচ্চশিক্ষা: ভিসা করার ১০ টিপস

সুপ্রিয় কুমার চক্রবর্তী
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯: ৪৮
বিদেশে উচ্চশিক্ষা: ভিসা করার ১০ টিপস

উচ্চমাধ্যমিক বা স্নাতক পাস করার পর বিদেশে যেতে চাচ্ছেন পড়াশোনার জন্য? তাহলে শুনুন, সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়ানো ব্লগ, ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন তথ্য ও অফার দেখে বিভ্রান্ত হবেন না; বরং কিছু বিষয় মনে রাখুন, যাতে বিপদে পড়তে না হয়।

  • বৈধ ঠিকানা দিয়ে আপনার পাসপোর্টটি পূর্ণভাবে প্রস্তুত করুন।
  • সব শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, ট্রান্সক্রিপ্ট/মার্কশিট, জন্মনিবন্ধন সনদ, এনআইডিসহ সব কাগজপত্র ইংরেজিতে তৈরি করে নিন আইনগতভাবে।
  • আপনার পরিবারের অর্থনৈতিক সক্ষমতা এবং অভিভাবকের পুরো শিক্ষা ব্যয়ের সামর্থ্য অনুসারে দেশ, বিশ্ববিদ্যালয়, কোর্স ও বিষয় নির্বাচন করুন। সে ক্ষেত্রে একজন এডুকেশন কনসালট্যান্টের পরামর্শ নিতে পারেন।
  • একটি ভালো স্টেটমেন্ট অব পার্পাস, অধ্যাপকদের রিকমেন্ডেশন লেটার ও আন্তর্জাতিক মানের একটি রিজিউমি যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অফার লেটার পেতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এ জন্য অভিজ্ঞ ব্যক্তির সাহায্য নিতে হবে।
  • আইইএলটিএস, টোফেল, জিআরই, এসএটি, জিএমএটি বা অন্যান্য অতিরিক্ত যোগ্যতার সনদ আপনার ইংলিশ টেরিটরি কান্ট্রিতে পড়ার মাপকাঠি নির্ধারণ করবে। তাই এগুলোতে ভালো স্কোর থাকতে হবে।
  • ভিসার জন্য হাইকমিশন বা এম্বাসিতে ফাইল জমা দেওয়ার সময় খুব সাবধান থাকুন। তাদের শুধু সত্য ও সঠিক কথা বলুন। একটি মিথ্যা তথ্য আপনার সব সুযোগের দরজা বন্ধ করে দিতে পারে। তাই কোথাও কোনো মিথ্যা তথ্য ও ভুয়া কাগজপত্র দেবেন না।
  • এম্বাসি বা হাইকমিশনের ভিসা আবেদনের সময় আপনার আর্থিক অবস্থা ও কভার লেটারটি এমনভাবে প্রস্তুত করুন, যাতে ভিসা কনস্যুলার আপনার আর্থিক অবস্থা এবং শিক্ষার পর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে ধারণা পান।
  • আপনি যদি কোনো এডুকেশন অ্যাজেন্টের ওপর নির্ভর করতে চান, তাহলে তাদের প্রতিষ্ঠানের সামগ্রিক বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করুন। সেসব তথ্য আপনাকে প্রতিষ্ঠানটি সম্পর্কে ধারণা দেবে। এতে প্রতারণার হাত থেকে বেঁচে যাবেন।
  • কাজিন বা বন্ধু বিদেশে গেছেন বলে আপনাকেও যেতে হবে, তেমন ভাবার কোনো কারণ নেই। তাই নিজেকে পুরোপুরি তৈরি না করে বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য একটি টাকাও ব্যয় করবেন না। আপনার পরিবারের সদস্য, অভিজ্ঞ ও শিক্ষিত প্রবাসী, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আপনাকে সঠিক পথ দেখাতে পারবেন।
  • বিদেশ বিদেশ করে দেশের নামকরা পাবলিক ও প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে ভর্তির সুযোগ কোনোভাবে নষ্ট করা যাবে না। এই দেশের চার বছরের গ্র্যাজুয়েশন কস্ট সেই দেশের এক সেমিস্টারের টাকার সমান। ভেবেচিন্তে অগ্রসর হবেন। বিদেশে লেখাপড়াকে এই দেশে বসে যত সহজ মনে হয়, বাস্তবে তার উল্টো। কঠিন মানে চরম কঠিন ও প্রতিযোগিতামূলক। বিদেশে উচ্চশিক্ষা পূর্ণাঙ্গভাবে সম্পন্ন হওয়ার পর স্বদেশে ফিরে আসুন এবং দেশের উন্নতির ক্ষেত্রে নিজেকে নিয়োজিত করুন।

লেখক: প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, শা অ্যাসোসিয়েটস

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত