যশোর প্রতিনিধি
এবারের এসএসসি পরীক্ষায় যশোর বোর্ডে পাসের হার কমেছে প্রায় ২০ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ প্রাপ্তি কমেছে পাঁচ হাজারের বেশি। তবুও সারা দেশের বোর্ডগুলোর মধ্যে পাসের হারে যশোর বোর্ডের অবস্থান দ্বিতীয়। এ বছর যশোর বোর্ডে পাসের হার দাঁড়িয়েছে ৭৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৫ হাজার ৪১০ পরীক্ষার্থী।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ২টায় যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ ফলাফল ঘোষণা করেন বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোসাম্মৎ আসমা বেগম।
এদিকে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকদের দাবি ইংরেজি ও গণিতে প্রশ্নপত্রে ভুলের ছড়াছড়িতে কমেছে পাস ও জিপিএ-৫-এর সংখ্যা। তবে বোর্ডসংশ্লিষ্টরা বলছেন, শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতির ঘাটতি ও প্রকৃত মেধার ভিত্তিতে রেজাল্ট দেওয়া হয়েছে বলেই এবার পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা কমেছে।
বোর্ডের দেওয়া তথ্যমতে, এবার যশোর বোর্ডের অধীন খুলনা বিভাগের ১০ জেলা থেকে ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮৫১ শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। যার মধ্যে পাস করেছে ১ লাখ ২ হাজার ৩১৯ শিক্ষার্থী। এ বছর শতভাগ পাস করেছে ৭৫টি প্রতিষ্ঠান ও ও শূন্যভাগ পাস করেছে দুটি প্রতিষ্ঠান। গত বছর যশোর বোর্ডে এসএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ছিল ৯২ দশমিক ৩৩ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছিল ২০ হাজার ৭৬১ শিক্ষার্থী। গত বছর এসএসসি পরীক্ষায় পাসের হারে শীর্ষে ছিল যশোর বোর্ড। এবার এ বোর্ডে পাসের হার ও জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা দুটোই কমেছে।
যশোর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী অভিযোগ করে, এসএসসি পরীক্ষায় যশোর শিক্ষা বোর্ডের ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্নপত্রে ভুল ও অসংগতির কারণে রেজাল্ট খারাপ হয়েছে। এমন প্রশ্ন এসেছে, যার কোনো নির্দিষ্ট উত্তর ছিল না, আবার কোনো প্রশ্নপত্রে একাধিক উত্তর সঠিক ছিল। ফলে প্রশ্নের অসংগতি থাকার কারণে শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়ে।
তহমিনা খাতুন নামের এক অভিভাবক বলেন, ‘যশোর বোর্ডে তুলনামূলকভাবে রেজাল্ট ভালো হয়। এ বছর দ্বিতীয় হলেও খারাপ হয়েছে। মূলত প্রশ্নপত্রে ভুল থাকাতে সন্তানেরা খারাপ করেছিল। যদিও বোর্ডসংশ্লিষ্টরা বলেছিল, শিক্ষার্থীদের রেজাল্ট সমন্বয় করা হবে। কিন্তু রেজাল্ট দেওয়ার পর তো সেটা দেখছি না। ইংরেজি ও গণিতের কারণে আমার সন্তানের রেজাল্ট খারাপ আসছে।’
বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক খালিদ হোসেন বলেন, ইংরেজি বিষয়ে খারাপ করার কারণে যশোর বোর্ডে তুলনামূলকভাবে রেজাল্ট খারাপ হয়েছে।
এ বিষয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. আব্দুল মতিন বলেন, জুলাই আন্দোলনে অংশগ্রহণের কারণে অনেক পরীক্ষার্থী ভালো প্রস্তুতি নিতে পারেনি। আর সম্পূর্ণ নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের মেধার যথাযথ মূল্যায়ন হয়েছে। এ জন্য পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তি কমেছে। তিনি উল্লেখ করেন, এ বছর ইংরেজি ও গণিত বিষয়ে ফেল করেছে বেশি। যার প্রভাব সামগ্রিক পাসের হারেও। এবার ইংরেজিতে ৮৩ দশমিক ৭৭ এবং গণিতে ৮৫ দশমিক ০২ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। তবে বাংলায় ৯৭ দশমিক ৯২, ভূগোলে ৯৪ দশমিক ৬৯ ও ইসলাম ধর্মে ৯৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে।
যশোর বোর্ডের চেয়ারম্যান মোসাম্মাৎ আসমা বেগম বলেন, ‘রেজাল্ট নিয়ে ওপর মহলের কোনো প্রেসার ছিল না। পাস বা রেজাল্ট দেওয়ার নির্দেশনাও ছিল না। সরকারের নির্দেশনা ছিল কোয়ান্টিটি নয়, কোয়ালিটি বিশ্বাস করেই আগামীর শিক্ষার্থীরা পরবর্তী ক্লাসে যাবে। ফলে শিক্ষার্থীরা যা লিখবে, সেই অনুযায়ী মার্কস দেওয়া হয়েছে। একটা সময়ে ছিল—পরীক্ষায় বসলে পাস, আমরা সেই বৃত্তের বাইরে এসেছি।’
যশোর বোর্ডের ফল ঘোষণার সময় উপস্থিত ছিলেন বোর্ডের সচিব অধ্যাপক মাহাবুবুর রহমান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. আব্দুল মতিন, কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক তৌহিদুর রহমান, বিদ্যালয় পরিদর্শক ড. কামরুজ্জামান প্রমুখ।
এবারের এসএসসি পরীক্ষায় যশোর বোর্ডে পাসের হার কমেছে প্রায় ২০ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ প্রাপ্তি কমেছে পাঁচ হাজারের বেশি। তবুও সারা দেশের বোর্ডগুলোর মধ্যে পাসের হারে যশোর বোর্ডের অবস্থান দ্বিতীয়। এ বছর যশোর বোর্ডে পাসের হার দাঁড়িয়েছে ৭৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৫ হাজার ৪১০ পরীক্ষার্থী।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ২টায় যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ ফলাফল ঘোষণা করেন বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোসাম্মৎ আসমা বেগম।
এদিকে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকদের দাবি ইংরেজি ও গণিতে প্রশ্নপত্রে ভুলের ছড়াছড়িতে কমেছে পাস ও জিপিএ-৫-এর সংখ্যা। তবে বোর্ডসংশ্লিষ্টরা বলছেন, শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতির ঘাটতি ও প্রকৃত মেধার ভিত্তিতে রেজাল্ট দেওয়া হয়েছে বলেই এবার পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা কমেছে।
বোর্ডের দেওয়া তথ্যমতে, এবার যশোর বোর্ডের অধীন খুলনা বিভাগের ১০ জেলা থেকে ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮৫১ শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। যার মধ্যে পাস করেছে ১ লাখ ২ হাজার ৩১৯ শিক্ষার্থী। এ বছর শতভাগ পাস করেছে ৭৫টি প্রতিষ্ঠান ও ও শূন্যভাগ পাস করেছে দুটি প্রতিষ্ঠান। গত বছর যশোর বোর্ডে এসএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ছিল ৯২ দশমিক ৩৩ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছিল ২০ হাজার ৭৬১ শিক্ষার্থী। গত বছর এসএসসি পরীক্ষায় পাসের হারে শীর্ষে ছিল যশোর বোর্ড। এবার এ বোর্ডে পাসের হার ও জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা দুটোই কমেছে।
যশোর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী অভিযোগ করে, এসএসসি পরীক্ষায় যশোর শিক্ষা বোর্ডের ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্নপত্রে ভুল ও অসংগতির কারণে রেজাল্ট খারাপ হয়েছে। এমন প্রশ্ন এসেছে, যার কোনো নির্দিষ্ট উত্তর ছিল না, আবার কোনো প্রশ্নপত্রে একাধিক উত্তর সঠিক ছিল। ফলে প্রশ্নের অসংগতি থাকার কারণে শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়ে।
তহমিনা খাতুন নামের এক অভিভাবক বলেন, ‘যশোর বোর্ডে তুলনামূলকভাবে রেজাল্ট ভালো হয়। এ বছর দ্বিতীয় হলেও খারাপ হয়েছে। মূলত প্রশ্নপত্রে ভুল থাকাতে সন্তানেরা খারাপ করেছিল। যদিও বোর্ডসংশ্লিষ্টরা বলেছিল, শিক্ষার্থীদের রেজাল্ট সমন্বয় করা হবে। কিন্তু রেজাল্ট দেওয়ার পর তো সেটা দেখছি না। ইংরেজি ও গণিতের কারণে আমার সন্তানের রেজাল্ট খারাপ আসছে।’
বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক খালিদ হোসেন বলেন, ইংরেজি বিষয়ে খারাপ করার কারণে যশোর বোর্ডে তুলনামূলকভাবে রেজাল্ট খারাপ হয়েছে।
এ বিষয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. আব্দুল মতিন বলেন, জুলাই আন্দোলনে অংশগ্রহণের কারণে অনেক পরীক্ষার্থী ভালো প্রস্তুতি নিতে পারেনি। আর সম্পূর্ণ নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের মেধার যথাযথ মূল্যায়ন হয়েছে। এ জন্য পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তি কমেছে। তিনি উল্লেখ করেন, এ বছর ইংরেজি ও গণিত বিষয়ে ফেল করেছে বেশি। যার প্রভাব সামগ্রিক পাসের হারেও। এবার ইংরেজিতে ৮৩ দশমিক ৭৭ এবং গণিতে ৮৫ দশমিক ০২ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। তবে বাংলায় ৯৭ দশমিক ৯২, ভূগোলে ৯৪ দশমিক ৬৯ ও ইসলাম ধর্মে ৯৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে।
যশোর বোর্ডের চেয়ারম্যান মোসাম্মাৎ আসমা বেগম বলেন, ‘রেজাল্ট নিয়ে ওপর মহলের কোনো প্রেসার ছিল না। পাস বা রেজাল্ট দেওয়ার নির্দেশনাও ছিল না। সরকারের নির্দেশনা ছিল কোয়ান্টিটি নয়, কোয়ালিটি বিশ্বাস করেই আগামীর শিক্ষার্থীরা পরবর্তী ক্লাসে যাবে। ফলে শিক্ষার্থীরা যা লিখবে, সেই অনুযায়ী মার্কস দেওয়া হয়েছে। একটা সময়ে ছিল—পরীক্ষায় বসলে পাস, আমরা সেই বৃত্তের বাইরে এসেছি।’
যশোর বোর্ডের ফল ঘোষণার সময় উপস্থিত ছিলেন বোর্ডের সচিব অধ্যাপক মাহাবুবুর রহমান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. আব্দুল মতিন, কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক তৌহিদুর রহমান, বিদ্যালয় পরিদর্শক ড. কামরুজ্জামান প্রমুখ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে বিজয় একাত্তর হলে ভিপি পদে সাদিক কায়েম ও জিএস পদে ফরহাদ বিপুল ভোটে এগিয়ে রয়েছেন। ভিপি পদে সাদিক কায়েম ৯৯১, আবিদুল ইসলাম ২৭৮, কাদের ৯৫, উমামা ১০৪, শামীম ১৯১ ভোট পেয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে স্যার এফ রহমান হলে ভিপি ও জিএস পদে শিবিরের প্রার্থী সাদিক কায়েম ও ফরহাদ বিপুল ভোটে এগিয়ে আছেন। ভিপি পদে সাদিক কায়েম ৬০২, আবিদুল ইসলাম ১৮৬, কাদের ৯১, উমামা ৭৯ ভোট পেয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে মুহসীন হলে ভিপি ও জিএস পদে শিবিরের প্রার্থী সাদিক কায়েম ও ফরহাদ বিপুল ভোটে এগিয়ে আছেন। ভিপি পদে সাদিক কায়েম ৬৩৩, আবিদুল ইসলাম ২৩১, কাদের ৭০, উমামা ৫৬, শামীম ১২৩ ভোট পেয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর ভিসি ও প্রক্টরকে ‘অভিনন্দন’ জানিয়েছেন বাগছাস সমর্থিত ভিপি প্রার্থী আবদুল কাদের। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এই অভিনন্দন জানান।
২ ঘণ্টা আগে