Ajker Patrika

মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষায় এবার রেকর্ডসংখ্যক ভর্তি–ইচ্ছুক

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষায় এবার রেকর্ডসংখ্যক ভর্তি–ইচ্ছুক

সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। গত মঙ্গলবার অনলাইন ভর্তি আবেদনের সময়সীমা শেষ হয়েছে। এ বছর ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় প্রতি আসনের বিপরীতে ৩৩ জন শিক্ষার্থী লড়াই করবেন। গত বছরের তুলনায় এবার প্রতি আসনের বিপরীতে ৫ জন পরীক্ষার্থী বেড়েছে।

স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার ইতিহাসে এ বছর রেকর্ডসংখ্যক ভর্তি–ইচ্ছুক অংশ নিচ্ছেন। এ বছর মোট ১ লাখ ৪৩ হাজার ৭৩০ জন শিক্ষার্থী মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেবেন। সারা দেশে সরকারি মেডিকেল কলেজে মোট আসনসংখ্যা ৪ হাজার ৩৫০টি। এ হিসাবে প্রতি আসনের বিপরীতে লড়াই করবে ৩৩ জনেরও বেশি পরীক্ষার্থী। এ বছর সারা দেশের ১৯টি কেন্দ্রের ৫৭টি ভেন্যুতে এ বছর ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। 

গত বছর রাজধানীসহ সারা দেশের ১৯টি কেন্দ্রের ৫৫টি ভেন্যুতে এমবিবিএস প্রথম বর্ষের  ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এ পরীক্ষায় অংশ নিতে গত বছর আবেদন করেছিলেন এক লাখ ২২ হাজার ৮৭৪ জন। তবে পরীক্ষায় অংশ নেন এক লাখ ১৬ হাজার ৮৫৬ জন। গত বছর প্রতি আসনের বিপরীতে লড়েছেন ২৮ জন ভর্তি–ইচ্ছুক। এ হিসেবে এবার প্রতি আসনের বিপরীতে ৫ জন করে পরীক্ষার্থী বেড়েছে।

বর্তমানে দেশে সরকারি ও বেসরকারি মোট ১০৭টি মেডিকেল কলেজ রয়েছে। এতে মোট আসনসংখ্যা ১০ হাজার ৬৯৭টি। তার মধ্যে ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে আসন রয়েছে ৪ হাজার ৩৫০টি এবং বেসরকারি ৭০টি মেডিকেল কলেজে আসন রয়েছে ৬ হাজার ৩৪৭টি।

এদিকে গত বছরের মতো এবারও ১০০ নম্বরের ১০০টি এমসিকিউ প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে শিক্ষার্থীদের। প্রতিটি প্রশ্নের মান হবে ১ করে। এমসিকিউ পরীক্ষা হবে ১ ঘণ্টায়। পদার্থবিদ্যায় ২০, রসায়নে ২৫, জীববিজ্ঞানে ৩০, ইংরেজিতে ১৫ এবং সাধারণ জ্ঞান, বাংলাদেশের ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক ১০ নম্বরসহ মোট ১০০ নম্বরে পরীক্ষা হবে। লিখিত পরীক্ষায় প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য শূন্য দশমিক ২৫ নম্বর কাটা যাবে। লিখিত পরীক্ষায় ১০০ নম্বরের মধ্যে ন্যূনতম ৪০ পেতে হবে। এর কম পেলে অকৃতকার্য বলে বিবেচিত হতে হবে। কেবল কৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের মেধা তালিকাসহ ফলাফল প্রকাশ করা হবে। এ ছাড়া এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ মোট ২০০ নম্বর হিসেবে নির্ধারণ করে মূল্যায়ন করা হবে। লিখিত পরীক্ষার ভিত্তিতে মেধাতালিকা প্রণয়ন করা হবে।

সরকারি মেডিকেল কলেজে আসনের বিপরীতে মেধা তালিকায় স্থান পাওয়া শিক্ষার্থীরা ভর্তির সুযোগ পাবেন। এর পর মেধাক্রম অনুসারে শিক্ষার্থীরা বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে ভর্তির সুযোগ পাবেন।

এর আগে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টা থেকে অনলাইনে আবেদনপত্র গ্রহণ শুরু হয়। ১৫ মার্চ রাত ১২টা পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ ও ১৬ মার্চ পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষার ফি'র টাকা জমা নেওয়া হয়।

সার্বিক বিষয়ে স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের (চিকিৎসা শিক্ষা ও জনশক্তি উন্নয়ন শাখা) পরিচালক অধ্যাপক ডা. আহসান হাবিব জানান, ১ এপ্রিল অনুষ্ঠিতব্য ভর্তি পরীক্ষাকে সামনে রেখে প্রস্তুতি এগিয়ে চলেছে। এরই মধ্যে সারা দেশে মেডিকেল ভর্তি কোচিং সেন্টার বন্ধের নির্দেশনা জারি হয়েছে। বুধবার ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত আন্তমন্ত্রণালয়ের সভায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে সুষ্ঠুভাবে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনে সহায়তা করতে বলা হয়। মেডিকেল ভর্তি সংক্রান্ত কমিটি সার্বিক বিষয়ে দেখভাল করছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কুয়েটে ক্লাস বর্জন নিয়ে শিক্ষক সমিতিতে মতবিরোধ, এক শিক্ষকের পদত্যাগ

এনবিআর বিলুপ্তির জেরে প্রায় অচল দেশের রাজস্ব কর্মকাণ্ড

দুটি নোবেলের গৌরব বোধ করতে পারে চবি: প্রধান উপদেষ্টা

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের প্রশ্নে যে প্রতিক্রিয়া জানাল যুক্তরাষ্ট্র

২ ম্যাচ খেলেই মোস্তাফিজ কীভাবে ৬ কোটি রুপি পাবেন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত