প্রতিনিধি
ঢাকা: স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও আবাসিক হলগুলো খুলে দেওয়ার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-শিক্ষক সমাবেশ, মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি হয়েছে। আজ রোববার বেলা ১১টা থেকে ঢাবির রাজু ভাস্কর্যের সামনে একত্র হতে থাকেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাদের সঙ্গে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী যোগ দেন।
হল-শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে প্রশাসনের কোনো তদারকি না থাকায় আগামী মঙ্গলবার বেলা ১২টার সময়ে রাজু ভাস্কর্য থেকে শাহবাগের উদ্দেশ্য প্রশাসনের প্রতীকী লাশের খাটিয়া মিছিল করার ঘোষণা দেন 'হল-শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দাও' আন্দোলনের আহ্বায়ক আসিফ মাহমুদ।
ছাত্র-শিক্ষক সমাবেশ অংশ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, অফিস আদালত খোলা আছে, গার্মেন্টস খোলা আছে, শপিংমল, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা আছে কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ কেন?
আসিফ নজরুল আরও বলেন, সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের ছেলেমেয়েরা বিদেশে ইংলিশ মিডিয়ামে লেখাপড়া করে। শিক্ষার ক্ষেত্রে তাদের কোন ক্ষতি হচ্ছে না। ক্ষতি হচ্ছে নিম্নবিত্ত আর মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানদের। আর এ সরকারের কাছে শিক্ষা নয় বরং শাসন-ই জাতির মেরুদণ্ড। শাসন নীতি পরিচালনার জন্য যা কিছু প্রয়োজন তারা সবকিছু খুলে দিয়েছে কিন্তু তারা ভয় পায় শিক্ষা আর রাজনীতি কে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকলে ছাত্র অধিকারের নেতা আখতার হোসেন কে কখনো গ্রেপ্তারের সাহস করত না। সরকার প্রতিবাদের আশঙ্কা থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে না।
''শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে কোনো ধরনের চাপ আসছে না। বরং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার জন্য বেশি মেসেজ আসছে" শিক্ষামন্ত্রীর এই বক্তব্যের দিকে ইঙ্গিত করে আসিফ নজরুল বলেন, আপনি (শিক্ষামন্ত্রী) চাপ থাকলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবেন। আর চাপ না থাকলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবেন না! এটা হতে পারে না। শিক্ষা হলে আমাদের মৌলিক অধিকার। এই শিক্ষা হলো আমাদের জাতির মেরুদণ্ড।
ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবু মূসা মো. আরিফ বিল্লাহ বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকাটা সরকারের ব্যর্থতা। সরকার যদি জাতির মেরুদণ্ড শিক্ষাকে ধ্বংস করে, আমরা বসে থাকব না। শিক্ষার্থীরা আজকে হতাশ। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসন আজ ভূলুণ্ঠিত।’
অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র সাদিক মাহবুব ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা না করে উপাচার্য এখনো কীভাবে সুস্থ আছেন, এই প্রশ্ন আমাদের করা দরকার। শিক্ষার্থীদের সমস্যার দায়ভার প্রশাসনকে নিতে হবে। কারণ, আমাদের ক্লাস-পরীক্ষা ঠিকমতো নেওয়াটা তাঁদেরই দায়িত্ব। অথচ তাঁদের দীর্ঘমেয়াদি কোনো পরিকল্পনা নেই।’
ছাত্র-শিক্ষক সমাবেশে 'হল-শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দাও' আন্দোলনের আহ্বায়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আবু মূসা মো. আরিফ বিল্লাহ, অ্যাকাউন্টিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রাকিব হোসেন, অর্থনীতি বিভাগের সাদিক মাহবুব ইসলাম, আরবি বিভাগের ইবরাহিম নাফিস, ইংরেজি বিভাগের শাহ মো. সাগর ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সাদি প্রমুখ।
ঢাকা: স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও আবাসিক হলগুলো খুলে দেওয়ার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-শিক্ষক সমাবেশ, মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি হয়েছে। আজ রোববার বেলা ১১টা থেকে ঢাবির রাজু ভাস্কর্যের সামনে একত্র হতে থাকেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাদের সঙ্গে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী যোগ দেন।
হল-শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে প্রশাসনের কোনো তদারকি না থাকায় আগামী মঙ্গলবার বেলা ১২টার সময়ে রাজু ভাস্কর্য থেকে শাহবাগের উদ্দেশ্য প্রশাসনের প্রতীকী লাশের খাটিয়া মিছিল করার ঘোষণা দেন 'হল-শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দাও' আন্দোলনের আহ্বায়ক আসিফ মাহমুদ।
ছাত্র-শিক্ষক সমাবেশ অংশ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, অফিস আদালত খোলা আছে, গার্মেন্টস খোলা আছে, শপিংমল, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা আছে কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ কেন?
আসিফ নজরুল আরও বলেন, সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের ছেলেমেয়েরা বিদেশে ইংলিশ মিডিয়ামে লেখাপড়া করে। শিক্ষার ক্ষেত্রে তাদের কোন ক্ষতি হচ্ছে না। ক্ষতি হচ্ছে নিম্নবিত্ত আর মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানদের। আর এ সরকারের কাছে শিক্ষা নয় বরং শাসন-ই জাতির মেরুদণ্ড। শাসন নীতি পরিচালনার জন্য যা কিছু প্রয়োজন তারা সবকিছু খুলে দিয়েছে কিন্তু তারা ভয় পায় শিক্ষা আর রাজনীতি কে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকলে ছাত্র অধিকারের নেতা আখতার হোসেন কে কখনো গ্রেপ্তারের সাহস করত না। সরকার প্রতিবাদের আশঙ্কা থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে না।
''শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে কোনো ধরনের চাপ আসছে না। বরং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার জন্য বেশি মেসেজ আসছে" শিক্ষামন্ত্রীর এই বক্তব্যের দিকে ইঙ্গিত করে আসিফ নজরুল বলেন, আপনি (শিক্ষামন্ত্রী) চাপ থাকলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবেন। আর চাপ না থাকলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবেন না! এটা হতে পারে না। শিক্ষা হলে আমাদের মৌলিক অধিকার। এই শিক্ষা হলো আমাদের জাতির মেরুদণ্ড।
ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবু মূসা মো. আরিফ বিল্লাহ বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকাটা সরকারের ব্যর্থতা। সরকার যদি জাতির মেরুদণ্ড শিক্ষাকে ধ্বংস করে, আমরা বসে থাকব না। শিক্ষার্থীরা আজকে হতাশ। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসন আজ ভূলুণ্ঠিত।’
অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র সাদিক মাহবুব ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা না করে উপাচার্য এখনো কীভাবে সুস্থ আছেন, এই প্রশ্ন আমাদের করা দরকার। শিক্ষার্থীদের সমস্যার দায়ভার প্রশাসনকে নিতে হবে। কারণ, আমাদের ক্লাস-পরীক্ষা ঠিকমতো নেওয়াটা তাঁদেরই দায়িত্ব। অথচ তাঁদের দীর্ঘমেয়াদি কোনো পরিকল্পনা নেই।’
ছাত্র-শিক্ষক সমাবেশে 'হল-শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দাও' আন্দোলনের আহ্বায়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আবু মূসা মো. আরিফ বিল্লাহ, অ্যাকাউন্টিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রাকিব হোসেন, অর্থনীতি বিভাগের সাদিক মাহবুব ইসলাম, আরবি বিভাগের ইবরাহিম নাফিস, ইংরেজি বিভাগের শাহ মো. সাগর ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সাদি প্রমুখ।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ঈদুল আজহার নামাজের জামাত সকাল সাড়ে ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।
৩ দিন আগেরাজধানীর সাতটি কলেজে শিক্ষার্থীদের সেবামূলক কাজ সহজীকরণের লক্ষ্যে ‘হেল্প ডেস্ক’ চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ উদ্যোগের ফলে শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে স্থাপন করা ডেস্কে গিয়ে একাডেমিক ও প্রশাসনিক যেকোনো সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধান পাবেন। ঈদুল আজহার ছুটির পর এ উদ্যোগ দৃশ্যমান হবে বলে জানিয়েছে কর্ত
৩ দিন আগেএকটি গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়নের জন্য শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরারকে (সি আর আবরার) এক কোটি টাকা ঘুষের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। ওই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন তিনি। আজ বুধবার বিকেলে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
৩ দিন আগে২০২৭ সাল থেকে পরিমার্জিত কারিকুলাম পুরোপুরি চালু করতে কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার। নতুন এই কারিকুলামে দায়, দরদ ও ইনসাফ শব্দগুলো ব্যবহার করতে হলে জাতীয় ঐকমত্যের প্রয়োজন রয়েছে বলেও মনে করেন তিনি।
৩ দিন আগে