তানভীর হায়দার নিলয়
ডাক্তার হতে হলে মেডিকেল কলেজে বা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে হয়। ইঞ্জিনিয়ার হতে হলে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে হয়। এসব আমরা কমবেশি সবাই জানি। কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না, পাইলট কীভাবে হতে হয়! পাইলট হওয়ার উপায় বাতলে দিয়েছেন ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের ফার্স্ট অফিসার তানভীর হায়দার নিলয়।
পাইলট মূলত দুই ধরনের হয়ে থাকে—সামরিক পাইলট ও বেসামরিক পাইলট। বাংলাদেশ নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী ও সেনাবাহিনীতে কর্মরত থাকেন সামরিক পাইলটরা। আর বিভিন্ন এয়ারলাইনস কোম্পানিতে কর্মরত থাকেন বেসামরিক পাইলটরা। বেসামরিক বিমান চালানোর সব কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে ‘সিভিল অ্যাভিয়েশন অথোরিটি অব বাংলাদেশ ’।
শিক্ষাগত যোগ্যতা
পাইলট হওয়ার ক্ষেত্রে প্রথমেই আসে শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়। এসএসসি/ও-লেভেল, এইচএসসি/ এ-লেভেলে অবশ্যই বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পাস হতে হবে। ভালো হতে হবে গণিত ও পদার্থবিজ্ঞানে। এখানে জিপিএ কত হবে, সেটা ক্ষেত্রবিশেষে রকমফের হয়। তবে এটা মুখ্য নয় যে আপনাকে গোল্ডেন এ প্লাস বা জিপিএ ফাইভ পেতেই হবে। যাঁরা ইতিমধ্যে স্নাতক পাস করেছেন, তাঁরাও এই পাইলট কোর্সে ভর্তি হতে পারবেন। থাকতে হবে ইংরেজি ভাষায় কথা বলা ও লেখার দক্ষতা।
পাইলট কোর্সে যা থাকে
পাইলট কোর্সটিতে আপনাকে ভর্তি হতে হলে প্রথমত, আপনাকে আগে ফ্লাইং স্কুলে ভর্তি পরীক্ষা দিতে হবে। ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হলে তারপর মেডিকেলের বিষয়টা আসবে। মেডিকেল অনুমোদন করবে ক্যাব। চোখের ভিশন ৬/৬, ভালো শ্রবণশক্তি, স্বাভাবিক হার্টরেট, ব্লাড পরীক্ষাসহ বেশ কিছু টেস্টে উত্তীর্ণ হতে হয়। এ ছাড়া উচ্চতা, ওজন ও বিএমআই স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী হতে হবে। উচ্চতা-ওজন কত হবে, সেটা প্রতিষ্ঠান অনুযায়ী আলাদা হতে পারে। কিন্তু ক্যাব থেকে অবশ্যই অনুমোদন হয়ে আসতে হবে। মেডিকেল সম্পন্ন হওয়ার পর প্রার্থীকে ফ্লাইং স্কুলের অধীনে গ্রাউন্ড ক্লাস করতে হবে প্রাইভেট পাইলট লাইসেন্সের জন্য। স্বাভাবিকভাবে তিন-পাঁচ মাস সময়ে এই ক্লাস হয়ে থাকে। এখানে নয়টা বিষয়ের ওপর সবিস্তারে পড়ানো হয়।
প্রথমে স্কুলে ওই বিষয়গুলোর ওপর পরীক্ষা নেওয়া হয়। প্রার্থী এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে ক্যাব এর অধীনে একই বিষয়ের ওপর পরীক্ষা দিতে হবে। পরীক্ষায় এমসিকিউ ও বর্ণনামূলক উভয় ধরনের প্রশ্ন করা হয়ে থাকে। এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর শুরু হয় ফ্লাইং। বাংলাদেশের ফ্লাইং স্কুলগুলোতে Cessna-152 বা Cessna-172 সিরিজের এয়ারক্রাফট দিয়ে ট্রেনিং করানো হয়। শুরু থেকেই ফ্লাইট ইন্সট্রাক্টররা হাতেকলমে ফ্লাইং শেখান। প্রাইভেট পাইলট লাইসেন্সের জন্য প্রয়োজন ৪০ ঘণ্টা আর কমার্শিয়াল পাইলট লাইসেন্সের জন্য প্রয়োজন ১১০ ঘণ্টা—মোট ১৫০ ঘণ্টা। কয়েক ধাপে পরীক্ষা শেষে ১১০ ঘণ্টা ফ্লাইং করা হলে ক্যাবের ইন্সপেক্টরকে দিয়ে চেক করে সিপিএল লাইসেন্স দেওয়া হয়। সিপিএল লাইসেন্স পাওয়ার পর বিভিন্ন এয়ারলাইনের সার্কুলার অনুয়ায়ী আবেদন করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে দেশ-বিদেশের এয়ারলাইনসে ফার্স্ট অফিসার বা কো-পাইলট হিসেবে আবেদন করা যায়।
কোর্সের সময়কাল
বৈমানিক কোর্স করতে দুই থেকে সর্বোচ্চ তিন বছর লাগে। এটা নির্ভর করে ব্যক্তিভেদে দক্ষতার ওপর। বছরে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি ও জুলাই-আগস্ট দুটি সেশনে বৈমানিক কোর্সে ভর্তি হওয়া যায়।
যেখানে করবেন প্রশিক্ষণ
বাংলাদেশ ফ্লাইং একাডেমি ও গ্যালাক্সি ফ্লাইং একাডেমিতে প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন। ফিলিপাইন, আমেরিকা, কানাডাসহ বাইরের কোনো দেশ থেকেও করা যাবে, তবে সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে ক্যাব কর্তৃক বিদেশি লাইসেন্সটি বাংলাদেশি লাইসেন্সে রূপান্তর করতে হবে। সব মিলিয়ে খরচ পড়বে ৩২ থেকে ৩৫ লাখ টাকার মতো।
বিভিন্ন বিমান সংস্থা বিভিন্ন সময় পাইলট নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে থাকে। ফার্স্ট অফিসার বা কো-পাইলট হিসেবে যোগদান করে তারপর কিছু সময়ের জন্য ট্রেনিং করতে হয়। ট্রেনিং শেষে তিনি কর্মক্ষেত্রে যোগদান করে থাকেন।
অনুলিখন: মো. আশিকুর রহমান
ডাক্তার হতে হলে মেডিকেল কলেজে বা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে হয়। ইঞ্জিনিয়ার হতে হলে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে হয়। এসব আমরা কমবেশি সবাই জানি। কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না, পাইলট কীভাবে হতে হয়! পাইলট হওয়ার উপায় বাতলে দিয়েছেন ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের ফার্স্ট অফিসার তানভীর হায়দার নিলয়।
পাইলট মূলত দুই ধরনের হয়ে থাকে—সামরিক পাইলট ও বেসামরিক পাইলট। বাংলাদেশ নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী ও সেনাবাহিনীতে কর্মরত থাকেন সামরিক পাইলটরা। আর বিভিন্ন এয়ারলাইনস কোম্পানিতে কর্মরত থাকেন বেসামরিক পাইলটরা। বেসামরিক বিমান চালানোর সব কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে ‘সিভিল অ্যাভিয়েশন অথোরিটি অব বাংলাদেশ ’।
শিক্ষাগত যোগ্যতা
পাইলট হওয়ার ক্ষেত্রে প্রথমেই আসে শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়। এসএসসি/ও-লেভেল, এইচএসসি/ এ-লেভেলে অবশ্যই বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পাস হতে হবে। ভালো হতে হবে গণিত ও পদার্থবিজ্ঞানে। এখানে জিপিএ কত হবে, সেটা ক্ষেত্রবিশেষে রকমফের হয়। তবে এটা মুখ্য নয় যে আপনাকে গোল্ডেন এ প্লাস বা জিপিএ ফাইভ পেতেই হবে। যাঁরা ইতিমধ্যে স্নাতক পাস করেছেন, তাঁরাও এই পাইলট কোর্সে ভর্তি হতে পারবেন। থাকতে হবে ইংরেজি ভাষায় কথা বলা ও লেখার দক্ষতা।
পাইলট কোর্সে যা থাকে
পাইলট কোর্সটিতে আপনাকে ভর্তি হতে হলে প্রথমত, আপনাকে আগে ফ্লাইং স্কুলে ভর্তি পরীক্ষা দিতে হবে। ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হলে তারপর মেডিকেলের বিষয়টা আসবে। মেডিকেল অনুমোদন করবে ক্যাব। চোখের ভিশন ৬/৬, ভালো শ্রবণশক্তি, স্বাভাবিক হার্টরেট, ব্লাড পরীক্ষাসহ বেশ কিছু টেস্টে উত্তীর্ণ হতে হয়। এ ছাড়া উচ্চতা, ওজন ও বিএমআই স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী হতে হবে। উচ্চতা-ওজন কত হবে, সেটা প্রতিষ্ঠান অনুযায়ী আলাদা হতে পারে। কিন্তু ক্যাব থেকে অবশ্যই অনুমোদন হয়ে আসতে হবে। মেডিকেল সম্পন্ন হওয়ার পর প্রার্থীকে ফ্লাইং স্কুলের অধীনে গ্রাউন্ড ক্লাস করতে হবে প্রাইভেট পাইলট লাইসেন্সের জন্য। স্বাভাবিকভাবে তিন-পাঁচ মাস সময়ে এই ক্লাস হয়ে থাকে। এখানে নয়টা বিষয়ের ওপর সবিস্তারে পড়ানো হয়।
প্রথমে স্কুলে ওই বিষয়গুলোর ওপর পরীক্ষা নেওয়া হয়। প্রার্থী এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে ক্যাব এর অধীনে একই বিষয়ের ওপর পরীক্ষা দিতে হবে। পরীক্ষায় এমসিকিউ ও বর্ণনামূলক উভয় ধরনের প্রশ্ন করা হয়ে থাকে। এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর শুরু হয় ফ্লাইং। বাংলাদেশের ফ্লাইং স্কুলগুলোতে Cessna-152 বা Cessna-172 সিরিজের এয়ারক্রাফট দিয়ে ট্রেনিং করানো হয়। শুরু থেকেই ফ্লাইট ইন্সট্রাক্টররা হাতেকলমে ফ্লাইং শেখান। প্রাইভেট পাইলট লাইসেন্সের জন্য প্রয়োজন ৪০ ঘণ্টা আর কমার্শিয়াল পাইলট লাইসেন্সের জন্য প্রয়োজন ১১০ ঘণ্টা—মোট ১৫০ ঘণ্টা। কয়েক ধাপে পরীক্ষা শেষে ১১০ ঘণ্টা ফ্লাইং করা হলে ক্যাবের ইন্সপেক্টরকে দিয়ে চেক করে সিপিএল লাইসেন্স দেওয়া হয়। সিপিএল লাইসেন্স পাওয়ার পর বিভিন্ন এয়ারলাইনের সার্কুলার অনুয়ায়ী আবেদন করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে দেশ-বিদেশের এয়ারলাইনসে ফার্স্ট অফিসার বা কো-পাইলট হিসেবে আবেদন করা যায়।
কোর্সের সময়কাল
বৈমানিক কোর্স করতে দুই থেকে সর্বোচ্চ তিন বছর লাগে। এটা নির্ভর করে ব্যক্তিভেদে দক্ষতার ওপর। বছরে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি ও জুলাই-আগস্ট দুটি সেশনে বৈমানিক কোর্সে ভর্তি হওয়া যায়।
যেখানে করবেন প্রশিক্ষণ
বাংলাদেশ ফ্লাইং একাডেমি ও গ্যালাক্সি ফ্লাইং একাডেমিতে প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন। ফিলিপাইন, আমেরিকা, কানাডাসহ বাইরের কোনো দেশ থেকেও করা যাবে, তবে সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে ক্যাব কর্তৃক বিদেশি লাইসেন্সটি বাংলাদেশি লাইসেন্সে রূপান্তর করতে হবে। সব মিলিয়ে খরচ পড়বে ৩২ থেকে ৩৫ লাখ টাকার মতো।
বিভিন্ন বিমান সংস্থা বিভিন্ন সময় পাইলট নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে থাকে। ফার্স্ট অফিসার বা কো-পাইলট হিসেবে যোগদান করে তারপর কিছু সময়ের জন্য ট্রেনিং করতে হয়। ট্রেনিং শেষে তিনি কর্মক্ষেত্রে যোগদান করে থাকেন।
অনুলিখন: মো. আশিকুর রহমান
থাইল্যান্ডে চুলালংকর্ন বিশ্ববিদ্যালয় বৃত্তি-২০২৫-এর আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। এ বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়টি থেকে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
১ ঘণ্টা আগেবর্তমান যুগ প্রযুক্তি ও জ্ঞানের যুগ। একাডেমিক ডিগ্রি যতটা গুরুত্বপূর্ণ, বাস্তব জীবনে টিকে থাকতে ততটাই প্রয়োজন বাস্তবভিত্তিক দক্ষতা। বিশেষ করে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য দক্ষতা উন্নয়ন এখন সময়ের চাহিদা। এ পরিস্থিতিতে চাকরির বাজারে প্রতিযোগিতা যেমন বাড়ছে, তেমনি উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগও তৈরি হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগেবিশ্ববিদ্যালয় কেবল উচ্চশিক্ষা অর্জনের জায়গা নয়, এটি জীবনের বৃহত্তর পাঠশালা। পাঠ্যবইয়ের জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি এখানে শেখার আছে নেতৃত্বের দক্ষতা, আত্ম-উন্নয়নের কৌশল এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি।
২ দিন আগেইউরোপের দেশ সুইডেন। দেশটির মেরিন জেট পাওয়ার কোম্পানির টেস্ট অ্যান্ড ভ্যালিডেশন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করছেন প্রবাসী বাংলাদেশি মুহাম্মদ শাকিরুল্লাহ। সুইডেনে বাংলাদেশিদের ক্যারিয়ার গড়ার সম্ভাবনা...
২ দিন আগে