নাজমুল ইসলাম
চলছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। শিক্ষার্থীদের জীবনের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা এটি। চলতি বছরেও লক্ষাধিক শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে এ পরীক্ষায়। এ পরীক্ষায় প্রত্যাশিত ভালো ফলের জন্য প্রয়োজন পরিকল্পিত প্রস্তুতি, মানসিক দৃঢ়তা ও সময় ব্যবস্থাপনা। এসএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য প্রস্তুতির কৌশল ও করণীয় বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী নাজমুল ইসলাম।
পরীক্ষার পূর্বপ্রস্তুতি
রুটিন মেনে পড়া ও সময় ব্যবস্থাপনা: প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা দরকার। ২৫ মিনিট পড়া এবং ৫ মিনিট বিশ্রামের ‘পোমোডোরো টেকনিক’ একাগ্রতা ধরে রাখতে কার্যকর।
মাইন্ড ম্যাপ ও চার্ট তৈরি: জটিল বিষয়গুলো সহজে মনে রাখতে সংক্ষিপ্ত চার্ট বা ডায়াগ্রাম ব্যবহার করা যেতে পারে, যা দ্রুত রিভিশনে সহায়তা করবে।
মডেল টেস্ট ও বিগত প্রশ্ন অনুশীলন: প্রশ্নের ধরন বুঝতে, সময় ব্যবস্থাপনার চর্চা এবং উত্তর লেখার গতি বাড়াতে নিয়মিত অনুশীলনের বিকল্প নেই।
গ্যাজেট আসক্তি নিয়ন্ত্রণ: সোশ্যাল মিডিয়া ও গেমের প্রতি অতিরিক্ত আসক্তি প্রস্তুতিকে ব্যাহত করে। পড়ার সময় মোবাইল বন্ধ রাখা বা শুধু শিক্ষামূলক অ্যাপ ব্যবহারের অভ্যাস গড়তে হবে।
মানসিক চাপ ও বিভ্রান্তি নিয়ন্ত্রণ কৌশল
ঘুম ও ব্যায়াম: প্রতিদিন ৬-৮ ঘণ্টা ঘুম, নিয়মিত ও পরিমিত খাবার গ্রহণ এবং হালকা ব্যায়াম মানসিক সতেজতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
প্রার্থনা ও ইতিবাচক ভাবনা: পরীক্ষার আগে ও চলাকালে নিয়মিত সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করলে আত্মবিশ্বাস ও একাগ্রতা বৃদ্ধি পায়। পাশাপাশি ইতিবাচক ভাবনার প্রতিফলন ঘটে।
গুজবে কান না দেওয়া: প্রশ্ন ফাঁস বা ভুয়া তথ্য নিয়ে গুজবে বিভ্রান্ত না হয়ে বিদ্যালয় ও বোর্ডের তথ্য অনুসরণ করা বুদ্ধিমানের কাজ।
আত্মবিশ্বাসী হওয়া: নিজেকে ছোট ভাবা বা অহেতুক ভয় দূর করতে হবে। প্রতিদিন নিজেকে বলার অভ্যাস করবে—‘আমি পারব’, ‘আমি প্রস্তুত’।
প্রশ্ন বিশ্লেষণ ও উত্তর লেখার কৌশল
প্রশ্ন ভালোভাবে বোঝা: প্রশ্নে নির্দিষ্টভাবে কী চাওয়া হয়েছে, সেটি পরিষ্কার বুঝে সেভাবে উত্তর সাজাতে হবে। যেমন ‘ব্যাখ্যা কর’, ‘মূল্যায়ন কর’ কোনটির উত্তর কেমন হবে, সেটি বুঝে তারপর উত্তর দিতে হবে।
উত্তরের কাঠামো: প্রশ্নোত্তর সরাসরি অনুচ্ছেদ আকারে না লিখে ভূমিকা, মূল আলোচনা ও উপসংহারসহ লিখিত উত্তর নম্বর পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ায়।
পরিচ্ছন্ন লেখা ও বানান সচেতনতা: পরীক্ষায় খাতায় কাটাকাটি করা একটি বদ-অভ্যাস। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন লেখা, নির্ভুল বানান এবং প্রয়োজনে সঠিক চিত্র অঙ্কন, রাসায়নিক বিক্রিয়া (বিজ্ঞান বিভাগের ক্ষেত্রে) অধিক নম্বর পেতে সহায়ক।
পরিশেষে, মনে রাখতে হবে তিন কথা—পরিমিত, নিয়মিত ও সময়মতো। পরীক্ষা শুধু মুখস্থ বিদ্যার জন্য নয়; এটি সময় ব্যবস্থাপনা, চাপ সামলানো এবং আত্মবিশ্বাসেরও পরীক্ষা। নিজের ওপর বিশ্বাস রাখলে অসম্ভবকেও সম্ভব করা যায়। দেশের সব এসএসসি পরীক্ষার্থীর জন্য রইল আন্তরিক শুভকামনা।
চলছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। শিক্ষার্থীদের জীবনের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা এটি। চলতি বছরেও লক্ষাধিক শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে এ পরীক্ষায়। এ পরীক্ষায় প্রত্যাশিত ভালো ফলের জন্য প্রয়োজন পরিকল্পিত প্রস্তুতি, মানসিক দৃঢ়তা ও সময় ব্যবস্থাপনা। এসএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য প্রস্তুতির কৌশল ও করণীয় বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী নাজমুল ইসলাম।
পরীক্ষার পূর্বপ্রস্তুতি
রুটিন মেনে পড়া ও সময় ব্যবস্থাপনা: প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা দরকার। ২৫ মিনিট পড়া এবং ৫ মিনিট বিশ্রামের ‘পোমোডোরো টেকনিক’ একাগ্রতা ধরে রাখতে কার্যকর।
মাইন্ড ম্যাপ ও চার্ট তৈরি: জটিল বিষয়গুলো সহজে মনে রাখতে সংক্ষিপ্ত চার্ট বা ডায়াগ্রাম ব্যবহার করা যেতে পারে, যা দ্রুত রিভিশনে সহায়তা করবে।
মডেল টেস্ট ও বিগত প্রশ্ন অনুশীলন: প্রশ্নের ধরন বুঝতে, সময় ব্যবস্থাপনার চর্চা এবং উত্তর লেখার গতি বাড়াতে নিয়মিত অনুশীলনের বিকল্প নেই।
গ্যাজেট আসক্তি নিয়ন্ত্রণ: সোশ্যাল মিডিয়া ও গেমের প্রতি অতিরিক্ত আসক্তি প্রস্তুতিকে ব্যাহত করে। পড়ার সময় মোবাইল বন্ধ রাখা বা শুধু শিক্ষামূলক অ্যাপ ব্যবহারের অভ্যাস গড়তে হবে।
মানসিক চাপ ও বিভ্রান্তি নিয়ন্ত্রণ কৌশল
ঘুম ও ব্যায়াম: প্রতিদিন ৬-৮ ঘণ্টা ঘুম, নিয়মিত ও পরিমিত খাবার গ্রহণ এবং হালকা ব্যায়াম মানসিক সতেজতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
প্রার্থনা ও ইতিবাচক ভাবনা: পরীক্ষার আগে ও চলাকালে নিয়মিত সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করলে আত্মবিশ্বাস ও একাগ্রতা বৃদ্ধি পায়। পাশাপাশি ইতিবাচক ভাবনার প্রতিফলন ঘটে।
গুজবে কান না দেওয়া: প্রশ্ন ফাঁস বা ভুয়া তথ্য নিয়ে গুজবে বিভ্রান্ত না হয়ে বিদ্যালয় ও বোর্ডের তথ্য অনুসরণ করা বুদ্ধিমানের কাজ।
আত্মবিশ্বাসী হওয়া: নিজেকে ছোট ভাবা বা অহেতুক ভয় দূর করতে হবে। প্রতিদিন নিজেকে বলার অভ্যাস করবে—‘আমি পারব’, ‘আমি প্রস্তুত’।
প্রশ্ন বিশ্লেষণ ও উত্তর লেখার কৌশল
প্রশ্ন ভালোভাবে বোঝা: প্রশ্নে নির্দিষ্টভাবে কী চাওয়া হয়েছে, সেটি পরিষ্কার বুঝে সেভাবে উত্তর সাজাতে হবে। যেমন ‘ব্যাখ্যা কর’, ‘মূল্যায়ন কর’ কোনটির উত্তর কেমন হবে, সেটি বুঝে তারপর উত্তর দিতে হবে।
উত্তরের কাঠামো: প্রশ্নোত্তর সরাসরি অনুচ্ছেদ আকারে না লিখে ভূমিকা, মূল আলোচনা ও উপসংহারসহ লিখিত উত্তর নম্বর পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ায়।
পরিচ্ছন্ন লেখা ও বানান সচেতনতা: পরীক্ষায় খাতায় কাটাকাটি করা একটি বদ-অভ্যাস। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন লেখা, নির্ভুল বানান এবং প্রয়োজনে সঠিক চিত্র অঙ্কন, রাসায়নিক বিক্রিয়া (বিজ্ঞান বিভাগের ক্ষেত্রে) অধিক নম্বর পেতে সহায়ক।
পরিশেষে, মনে রাখতে হবে তিন কথা—পরিমিত, নিয়মিত ও সময়মতো। পরীক্ষা শুধু মুখস্থ বিদ্যার জন্য নয়; এটি সময় ব্যবস্থাপনা, চাপ সামলানো এবং আত্মবিশ্বাসেরও পরীক্ষা। নিজের ওপর বিশ্বাস রাখলে অসম্ভবকেও সম্ভব করা যায়। দেশের সব এসএসসি পরীক্ষার্থীর জন্য রইল আন্তরিক শুভকামনা।
এইচএসসি পরীক্ষা দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পাবলিক পরীক্ষা। এটি সুষ্ঠু ও নিরবচ্ছিন্ন পরিচালনার স্বার্থে শিক্ষা বোর্ডের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের জন্য কিছু বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর উচিত এসব নির্দেশনা ভালোভাবে জানা এবং তা অনুসরণ করা। নিচে মাধ্যমিক...
৬ ঘণ্টা আগেপ্রিয় এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা, তোমাদের জানাচ্ছি অনেক অনেক দোয়া ও আন্তরিক শুভেচ্ছা। আশা করি তোমরা শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ আছো। ২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষা দরজায় কড়া নাড়ছে। ২৬ জুন পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে। এটি তোমাদের দ্বিতীয় পাবলিক পরীক্ষা এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যতের গুরুত্বপূর্ণ সোপান।
৬ ঘণ্টা আগেগবেষণায় গৌরবজনক সাফল্য অর্জন করেছে উত্তরা ইউনিভার্সিটি। রাউন্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিং (আরইউআর) ২০২৫-এর তালিকায় বিশ্ববিদ্যালয়টি বিশ্বের সেরা এক হাজার উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে স্থান করে নিয়েছে।
১৯ ঘণ্টা আগে২০ ও ২১ জুন ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটিতে (আইইউবি) অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় অ্যান্ড্রয়েড ইভেন্ট droidcon Bangladesh ২০২৫। দুই দিন ধরে চলা এই আয়োজন বাংলাদেশের ডেভেলপার ও প্রযুক্তিপ্রেমীদের জন্য এক বিশেষ মুহূর্ত হয়ে উঠেছিল।
২০ ঘণ্টা আগে