Ajker Patrika

ঢাবির ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি প্রস্তুতি

শিক্ষা ডেস্ক
আপডেট : ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১১: ৫৭
Thumbnail image
ফাইল ছবি

এইচএসসি পরীক্ষা শেষ করার পর, প্রায় প্রত্যেক শিক্ষার্থীরই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ভর্তি হওয়ার স্বপ্ন থাকে। চাহিদার দিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি মূলত ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য হলেও অন্য বিভাগের শিক্ষার্থীরাও এ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পান। ব্যবসায় শিক্ষার পাশাপাশি বিজ্ঞান এবং মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্যও এখানে সীমিত সংখ্যক আসন রয়েছে।

আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। একজন ভর্তি-ইচ্ছুক পরীক্ষার্থী কীভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ভালো করবেন, নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে সে পরামর্শ দিয়েছেন ২০২২-২৩ সেশনের এই ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হওয়া অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের শিক্ষার্থী মেহরাজ হোসেন।

মানবণ্টন ও প্রশ্ন সমাধান

বাংলা, ইংরেজি, হিসাববিজ্ঞান, ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা এর উত্তর দেওয়া বাধ্যতামূলক। এ ছাড়া ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা বা উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপণন যেকোনো একটির উত্তর দিতে হবে। এ ছাড়া বিজ্ঞান ও মানবিক শাখা থেকে ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় পরীক্ষা দেওয়ার জন্য বাংলা, ইংরেজি, আইসিটি বাধ্যতামূলক উত্তর করতে হবে এবং গণিত/পরিসংখ্যান/অর্থনীতি—যেকোনো একটির উত্তর দিতে হবে।

এমসিকিউ অংশের পাস ২৪ নম্বর। যার মধ্যে ইংরেজিতে ন্যূনতম ৫ পেতে হবে এবং লিখিত অংশের পাস ১১। দুটো মিলিয়ে ৪০ পেলে পাস। এমসিকিউ পরীক্ষার উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে আসনসংখ্যার ৩ গুণ লিখিত খাতা দেখা হবে। প্রশ্নব্যাংক অর্থাৎ বিগত বছরের প্রশ্ন পড়াই একমাত্র জায়গা যেখান থেকে বোঝা সম্ভব যে শিক্ষকেরা কোন অধ্যায়গুলোতে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন।

প্রতিবছরেই ঢাবির প্রশ্ন একটা নির্দিষ্ট প্যাটার্ন অনুসরণ করা হয়। যেমন—ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটে বাংলা ১ম পত্র থেকে ২-৩টি এমসিকিউ, বানান থেকে ১-২টি এমসিকিউ, বিরচন (সমার্থক, বিপরীত, এককথায় প্রকাশ, বাগধারা) থেকে ২-৩টি এমসিকিউ আসে। ঠিক তেমনি ইংলিশের ক্ষেত্রে Right Form of Verbs থেকে ২টি, Preposition থেকে ২টি, Vocabulary থেকে ২টি প্রশ্ন সব সময়ই থাকছে। এ ছাড়া Phrase & Idioms, Correct Spelling থেকেও বর্তমানে প্রায় প্রশ্ন হচ্ছে। এভাবে প্রতিটি বিষয়েই কিছু জায়গা রয়েছে, যেখান থেকে প্রায় সব সময় প্রশ্ন হয়, বিগত বছরের প্রশ্ন পড়ে এগুলো সঠিকভাবে বিশ্লেষণ করতে পারলে খুব কম সময় প্রস্তুতি নিয়েই পরীক্ষায় অনেক ভালো মার্কস তোলা সম্ভব।

মানসিক প্রস্তুতি

ভর্তিযুদ্ধে দুজন শিক্ষার্থীর মধ্যে সবচেয়ে বড় ব্যবধান সৃষ্টি করে তাদের মানসিক প্রস্তুতি। পরীক্ষার হলে যাওয়ার আগে থেকেই ঠিক করে রাখতে হবে যে এমসিকিউ বা লিখিত অংশে কোন বিষয়টার উত্তর আগে এবং কোনটার উত্তর পরে দিবে। সে অনুযায়ী বাসায় নিজে নিজে মডেল টেস্ট দিয়ে মূল্যায়ন করা যেতে পারে। প্রতিটি বিষয়ের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় বরাদ্দ করে রাখতে হবে।

ইংলিশ, হিসাববিজ্ঞান এমসিকিউয়ের ক্ষেত্রে আগে দাগালেই আমি মনে করি মাথা ঠান্ডা রেখে উত্তর দেওয়া যায়। একদম প্রথমে যেই বিষয়টা সবচেয়ে ভালো আয়ত্ত আছে, সেটা দাগানোর চেষ্টা করবে। পরীক্ষার আগের দিন খুব বেশি নতুন কিছু পড়ার প্রয়োজন নেই বরং আগের পড়া যে জায়গাগুলোতে একটু দুর্বল মনে হবে, সেগুলো দেখা যেতে পারে। আর সর্বশেষে নিজের ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে যে যা যা পড়া হয়েছে, সেখান থেকে প্রশ্ন হলে নিশ্চয় সঠিক উত্তর দিতে পারবে। [দ্বিতয় পর্ব পরবর্তী সংখ্যায়]

গ্রন্থনা: শাহ বিলিয়া জুলফিকার

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত