দ্য মিথ অব সিসিফাস
মুসাররাত আবির
দর্শন নিয়ে কথা বলতে গেলে যে বইটির নাম প্রথমেই উঠে আসে, তা হলো অ্যালবার্ট ক্যামুর ‘দ্য মিথ অব সিসিফাস’। বইটি জীবনের অর্থহীনতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে এবং জীবনের প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে গভীর আলোচনা করে।
বইটির কেন্দ্রীয় চরিত্র হলো সিসিফাস, গ্রিক পুরাণের এক বিখ্যাত নাম। সিসিফাসকে শাস্তিস্বরূপ দেবতারা বিশাল একটি পাথর পাহাড়ের চূড়ায় ঠেলে নিয়ে যেতে বাধ্য করেন। কিন্তু যতবারই সে পাথরটিকে চূড়ায় নিয়ে যেতে চায়, ততবারই সেটি গড়িয়ে নিচে নেমে আসে। ফলে সিসিফাসকে একই কাজ বারবার করতে হয়, যা সে জানে কখনোই শেষ হবে না। এই চিরস্থায়ী ও অর্থহীন কাজের মধ্য দিয়েই ক্যামু জীবনসংগ্রামের দর্শন তুলে ধরেছেন। এই গল্প থেকে আপাতদৃষ্টিতে শেখার তেমন কিছু না থাকলেও, এর মধ্যেই লুকিয়ে আছে গভীর জীবনবোধ।
জীবনের অর্থ খোঁজার চেষ্টা এবং তার অর্থহীনতা মেনে নেওয়া
ক্যামুর মতে, আমাদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হলো—‘জীবনের কি কোনো মানে আছে?’ এখান থেকেই তাঁর দর্শন শুরু। তিনি বলেন, জীবন অনেক সময় অর্থহীন মনে হতে পারে। আমাদের কাজ, সম্পর্ক, সাফল্য—সবকিছুই যেন কোনো চূড়ান্ত লক্ষ্য ছাড়াই চলমান। সিসিফাসের মতো আমরাও জীবনের অর্থহীন কাজগুলো করে যাই।
তবে এই অর্থহীনতাকে মেনে নেওয়ার মধ্যেই জীবনের আসল সৌন্দর্য লুকিয়ে আছে। অর্থ খোঁজার চেষ্টা বাদ দিয়ে যদি আমরা জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত মেনে নিই, তাহলে জীবন অনেক সহজ হয়ে যায়।
স্বাধীনতার ধারণা
ক্যামুর মতে, অর্থহীনতাকে মেনে নেওয়া মানেই জীবনের ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা। যখন আমরা বুঝতে পারি জীবনের কোনো পূর্বনির্ধারিত অর্থ নেই, তখন জীবনের মালিকানা আমাদের হাতেই চলে আসে। এটি আমাদের শেখায়, নির্দিষ্ট কোনো লক্ষ্য ছাড়াও আমরা আমাদের জীবনকে যেভাবে চাই, সেভাবে পরিচালনা করতে পারি। সিসিফাস যেমন তার কাজের প্রতি বিদ্রোহ করেছে, তেমনি আমরাও নিজেদের স্বাধীনতা খুঁজে নিতে পারি।
সংগ্রাম ও শক্তি
সিসিফাসের চিরস্থায়ী কাজ আমাদের শেখায়, জীবন কখনোই সহজ হবে না। প্রতিদিন আমাদের নতুন চ্যালেঞ্জ, বাধা ও সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে। তবে এই চ্যালেঞ্জগুলোই আমাদের শক্তি জোগায়।
জীবনের প্রতিটি সংগ্রাম আমাদের কিছু না কিছু শেখায়। একে এড়িয়ে না গিয়ে, বরং তা থেকে শক্তি এবং নতুন দৃষ্টিভঙ্গি অর্জন করা উচিত।
নিজের পরিস্থিতি মেনে নেওয়া
সিসিফাস জানে তার কাজ কখনোই শেষ হবে না, তবুও সে তার পরিণতি মেনে নিয়েছে। জীবনের কঠিন বাস্তবতা থেকে পালানোর কোনো উপায় নেই। এটি আমাদের শেখায়, জীবন সব সময় আমাদের ইচ্ছামতো চলবে না। আমাদের ভুল, সীমাবদ্ধতা এবং পরিস্থিতিকে মেনে নেওয়ার মধ্য দিয়েই শক্তি অর্জিত হয়।
জীবনকে ভালোবাসা
সর্বশেষ সিসিফাস তার কাজকে ভালোবাসতে শেখে। এটি আমাদের শেখায়, জীবনের প্রতিটি কাজ, যত ছোট বা তুচ্ছ মনে হোক না কেন, সেটি আমাদের জীবনেরই অংশ।
ক্যামুর ‘দ্য মিথ অব সিসিফাস’ আমাদের শিখিয়ে যায়, জীবনের অর্থহীনতাই এর আসল সৌন্দর্য। সংগ্রাম ও বিদ্রোহের মধ্য দিয়েই আমরা জীবনের আসল অর্থ খুঁজে পাই।
দর্শন নিয়ে কথা বলতে গেলে যে বইটির নাম প্রথমেই উঠে আসে, তা হলো অ্যালবার্ট ক্যামুর ‘দ্য মিথ অব সিসিফাস’। বইটি জীবনের অর্থহীনতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে এবং জীবনের প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে গভীর আলোচনা করে।
বইটির কেন্দ্রীয় চরিত্র হলো সিসিফাস, গ্রিক পুরাণের এক বিখ্যাত নাম। সিসিফাসকে শাস্তিস্বরূপ দেবতারা বিশাল একটি পাথর পাহাড়ের চূড়ায় ঠেলে নিয়ে যেতে বাধ্য করেন। কিন্তু যতবারই সে পাথরটিকে চূড়ায় নিয়ে যেতে চায়, ততবারই সেটি গড়িয়ে নিচে নেমে আসে। ফলে সিসিফাসকে একই কাজ বারবার করতে হয়, যা সে জানে কখনোই শেষ হবে না। এই চিরস্থায়ী ও অর্থহীন কাজের মধ্য দিয়েই ক্যামু জীবনসংগ্রামের দর্শন তুলে ধরেছেন। এই গল্প থেকে আপাতদৃষ্টিতে শেখার তেমন কিছু না থাকলেও, এর মধ্যেই লুকিয়ে আছে গভীর জীবনবোধ।
জীবনের অর্থ খোঁজার চেষ্টা এবং তার অর্থহীনতা মেনে নেওয়া
ক্যামুর মতে, আমাদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হলো—‘জীবনের কি কোনো মানে আছে?’ এখান থেকেই তাঁর দর্শন শুরু। তিনি বলেন, জীবন অনেক সময় অর্থহীন মনে হতে পারে। আমাদের কাজ, সম্পর্ক, সাফল্য—সবকিছুই যেন কোনো চূড়ান্ত লক্ষ্য ছাড়াই চলমান। সিসিফাসের মতো আমরাও জীবনের অর্থহীন কাজগুলো করে যাই।
তবে এই অর্থহীনতাকে মেনে নেওয়ার মধ্যেই জীবনের আসল সৌন্দর্য লুকিয়ে আছে। অর্থ খোঁজার চেষ্টা বাদ দিয়ে যদি আমরা জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত মেনে নিই, তাহলে জীবন অনেক সহজ হয়ে যায়।
স্বাধীনতার ধারণা
ক্যামুর মতে, অর্থহীনতাকে মেনে নেওয়া মানেই জীবনের ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা। যখন আমরা বুঝতে পারি জীবনের কোনো পূর্বনির্ধারিত অর্থ নেই, তখন জীবনের মালিকানা আমাদের হাতেই চলে আসে। এটি আমাদের শেখায়, নির্দিষ্ট কোনো লক্ষ্য ছাড়াও আমরা আমাদের জীবনকে যেভাবে চাই, সেভাবে পরিচালনা করতে পারি। সিসিফাস যেমন তার কাজের প্রতি বিদ্রোহ করেছে, তেমনি আমরাও নিজেদের স্বাধীনতা খুঁজে নিতে পারি।
সংগ্রাম ও শক্তি
সিসিফাসের চিরস্থায়ী কাজ আমাদের শেখায়, জীবন কখনোই সহজ হবে না। প্রতিদিন আমাদের নতুন চ্যালেঞ্জ, বাধা ও সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে। তবে এই চ্যালেঞ্জগুলোই আমাদের শক্তি জোগায়।
জীবনের প্রতিটি সংগ্রাম আমাদের কিছু না কিছু শেখায়। একে এড়িয়ে না গিয়ে, বরং তা থেকে শক্তি এবং নতুন দৃষ্টিভঙ্গি অর্জন করা উচিত।
নিজের পরিস্থিতি মেনে নেওয়া
সিসিফাস জানে তার কাজ কখনোই শেষ হবে না, তবুও সে তার পরিণতি মেনে নিয়েছে। জীবনের কঠিন বাস্তবতা থেকে পালানোর কোনো উপায় নেই। এটি আমাদের শেখায়, জীবন সব সময় আমাদের ইচ্ছামতো চলবে না। আমাদের ভুল, সীমাবদ্ধতা এবং পরিস্থিতিকে মেনে নেওয়ার মধ্য দিয়েই শক্তি অর্জিত হয়।
জীবনকে ভালোবাসা
সর্বশেষ সিসিফাস তার কাজকে ভালোবাসতে শেখে। এটি আমাদের শেখায়, জীবনের প্রতিটি কাজ, যত ছোট বা তুচ্ছ মনে হোক না কেন, সেটি আমাদের জীবনেরই অংশ।
ক্যামুর ‘দ্য মিথ অব সিসিফাস’ আমাদের শিখিয়ে যায়, জীবনের অর্থহীনতাই এর আসল সৌন্দর্য। সংগ্রাম ও বিদ্রোহের মধ্য দিয়েই আমরা জীবনের আসল অর্থ খুঁজে পাই।
রাজধানীর অভিজাত গুলশান ক্লাবে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হলো ক্লাব জিলা স্কুল বিডি লিমিটেডের প্রথম মিলনমেলা ও ঈদ পুনর্মিলনী ২০২৫।
৭ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) আই ক্যাম্প–২০২৫ এর উদ্বোধন করা হয়েছে। শিক্ষক–শিক্ষার্থীদের চক্ষু স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতে এ ক্যাম্পের উদ্বোধন করা হয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয়টির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগেচীনের জিয়াংসু বিশ্ববিদ্যালয় বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য প্রেসিডেনশিয়াল স্কলারশিপ দিচ্ছে। ২০২৫–২৬ শিক্ষাবর্ষের প্রেসিডেনশিয়াল স্কলারশিপের জন্য আবেদনপ্রক্রিয়া এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। এ বৃত্তির আওতায় আগ্রহী শিক্ষার্থীরা স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
১৬ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম ভূমিকম্পপ্রবণ। সাম্প্রতিক সময়ে রাজধানী ঢাকা এবং এর আশপাশের এলাকায় বেশ কয়েকটি ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। গবেষকদের আশঙ্কা, যেকোনো সময় ৭ থেকে ৮ মাত্রার ভূমিকম্প দেশে আঘাত হানবে।
১৭ ঘণ্টা আগে