Ajker Patrika

শিক্ষার্থীরা টক্সিক মানুষের প্রভাব এড়িয়ে চলবে যেভাবে

মো. আশিকুর রহমান
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

পড়তে বসেছেন, কিন্তু মন বসছে না, বই খুললেই মাথায় ভিড় করে হতাশা, ভয় আর অনিশ্চয়তা। একটু খেয়াল করলেই দেখবেন—এ নেতিবাচক অনুভূতির পেছনে অনেক সময় দায়ী আপনার আশপাশের মানুষগুলো। সেই বন্ধুটি, যে বারবার বলে, ‘তুই পারবি না’ অথবা সহপাঠী, যে প্রতিনিয়ত ফলাফল, ভবিষ্যৎ আর জীবন নিয়ে হতাশার ছায়া ফেলে। লিখেছেন মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক প্রশিক্ষক মো. আশিকুর রহমান

একজন শিক্ষার্থীর মানসিক গঠনে সবচেয়ে বড় অন্তরায় হতে পারে এ ধরনের মানুষ, যাঁদের বলা হয় ‘টক্সিক’ বা বিষাক্তসঙ্গী। তাঁরা হয়তো আপনার ভালোই চান, কিন্তু তাঁদের কথাবার্তা, দৃষ্টিভঙ্গি ও মানসিকতা আপনাকে ক্রমাগত পিছিয়ে দেয়।

টক্সিক মানুষের প্রভাব

শিক্ষাজীবনের সাফল্য শুধু মেধা বা পরিশ্রমের ওপর নির্ভর করে না; বরং বড় একটি অংশ নির্ভর করে আপনি কাদের সঙ্গে সময় কাটান, কার কথা শোনেন, কার কথায় প্রভাবিত হন, তার ওপর।

নেতিবাচক সঙ্গের প্রভাবগুলো হলো

  • আত্মবিশ্বাসে ধাক্কা দেয়।
  • সিদ্ধান্ত গ্রহণে দ্বিধা সৃষ্টি করে।
  • ভবিষ্যৎ নিয়ে ভয় বা হতাশা সৃষ্টি করে।
  • পড়াশোনায় মনোযোগ নষ্ট করে।
  • নিজের প্রতি আস্থাহীনতা জন্ম নেয়।
  • অন্যের সাফল্যে ঈর্ষাবোধ সৃষ্টি হয়।
  • ছোট ছোট ব্যর্থতাকে জীবনের শেষ বলে মনে হয়।

একজন শিক্ষার্থীর মানসিক গঠনে সবচেয়ে বড় অন্তরায় হতে পারে এ ধরনের মানুষ, যাঁদের বলা হয় ‘টক্সিক’ বা বিষাক্তসঙ্গী। তাঁরা হয়তো আপনার ভালোই চান, কিন্তু তাঁদের কথাবার্তা, দৃষ্টিভঙ্গি ও মানসিকতা আপনাকে ক্রমাগত পিছিয়ে দেয়।

টক্সিক মানুষের প্রভাব

শিক্ষাজীবনের সাফল্য শুধু মেধা বা পরিশ্রমের ওপর নির্ভর করে না; বরং বড় একটি অংশ নির্ভর করে আপনি কাদের সঙ্গে সময় কাটান, কার কথা শোনেন, কার কথায় প্রভাবিত হন, তার ওপর।

নেতিবাচক সঙ্গের প্রভাবগুলো হলো

  • আত্মবিশ্বাসে ধাক্কা দেয়।
  • সিদ্ধান্ত গ্রহণে দ্বিধা সৃষ্টি করে।
  • ভবিষ্যৎ নিয়ে ভয় বা হতাশা সৃষ্টি করে।
  • পড়াশোনায় মনোযোগ নষ্ট করে।
  • নিজের প্রতি আস্থাহীনতা জন্ম নেয়।
  • অন্যের সাফল্যে ঈর্ষাবোধ সৃষ্টি হয়।
  • ছোট ছোট ব্যর্থতাকে জীবনের শেষ বলে মনে হয়।

কীভাবে বুঝবেন, কারা টক্সিক?

  • যে আপনার সাফল্যে খুশি না হয়ে ঈর্ষান্বিত হয়
  • যিনি আপনার স্বপ্নকে ‘অবাস্তব’ বলে উড়িয়ে দেন।
  • যিনি প্রতিনিয়ত আপনাকে নিয়ে সন্দেহ, অপমান বা ঠাট্টা করেন।
  • যিনি নিজেও এগোন না, আপনাকেও এগোতে দেন না।
  • যিনি কখনোই সমাধান বা পরামর্শ দেন না, কেবল

সমস্যাই তুলে ধরেন।

এমন মানুষদের এড়িয়ে চলার কৌশল: দূরে থাকুন, গড়ে তুলুন এই অবস্থার প্রতিকার কঠিন নয়, তবে সচেতন সিদ্ধান্ত নিতে হয়।

  • ইতিবাচক মানুষ বেছে নিন: যাঁরা আপনাকে এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করেন, নিজেও শেখেন এবং শেখাতে উৎসাহ দেন—তাঁদের সঙ্গই গঠনমূলক।
  • স্বপ্ন সবার সঙ্গে শেয়ার নয়: সব কথা সবাইকে বলার প্রয়োজন নেই। সঠিক মানুষকে বেছে নিয়ে নিজের ভাবনা ও পরিকল্পনা ভাগ করুন।
  • নিজেকে জানুন, নিজের পথে থাকুন: আপনার লক্ষ্য, মূল্যবোধ ও শক্তির জায়গাগুলো জানুন। অন্যের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নয়, নিজের ভেতরের কণ্ঠের ওপর ভরসা রাখুন।
  • মনের পরিচর্যা করুন: যেমন পড়াশোনার জন্য নিয়ম দরকার, তেমনি মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য দরকার বিশ্রাম, আত্মবিশ্বাস গড়া এবং আত্মসমালোচনা থেকে বেরিয়ে আসা।
  • ডিজিটাল টক্সিসিটিও এড়িয়ে চলুন: সোশ্যাল মিডিয়ায়ও নেতিবাচকতা থাকে। কারা ফলো করছেন, কী দেখছেন, তা আপনার মানসিকতার ওপর প্রভাব ফেলছে কি না, সেটা নিয়েও ভাবুন।

সঙ্গই গড়ে তোলে সম্ভাবনা

একজর শিক্ষার্থীর স্বপ্ন ও সাফল্যের পথে বড় বাধা হতে পারে ভুল সঙ্গ। ঠিক তেমনি, সহায়ক পরিবেশ, গঠনমূলক বন্ধুত্ব আর ইতিবাচক সম্পর্কই হতে পারে তার বিকাশের সিঁড়ি। আজকের শিক্ষার্থী, আগামীর পথপ্রদর্শক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত