Ajker Patrika

শেরপুরে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের শ্লীলতাহানির অভিযোগ

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
শেরপুরে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের শ্লীলতাহানির অভিযোগ

বগুড়ার শেরপুরে এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ করেছে ওই স্কুলের শিক্ষার্থীরা। অভিযুক্ত শাজাহান আলী উপজেলার কুসুম্বী ইউনিয়নের কেল্লা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। এ বিষয়ে গতকাল সোমবার বিকেলে স্কুলের শিক্ষার্থীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছে।

অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ নজমুল ইসলাম। তিনি বলেন, অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেন, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এমনকি ছাত্রীদের শ্লীলতাহানি করেন এমন অভিযোগ করেছে শিক্ষার্থীরা। ওই অভিযোগপত্রে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী স্বাক্ষর করেছে বলে জানান তিনি।

আজ মঙ্গলবার ওই বিদ্যালয়ে সরেজমিনে গেলে একাধিক শিক্ষার্থী প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে এমন আচরণের কথা জানান।

জানা যায়, এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংখ্যা অন্তত ৪৫০ জন। এর মধ্যে ছাত্রী সংখ্যা অর্ধেক। বিদ্যালয়ের চারপাশের অন্তত দশটি গ্রামের শিক্ষার্থীরা এই বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে।

বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা জানান, তাদের বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কোনো কারণ ছাড়াই মাঝেমধ্যে তাদের কমনরুমে হঠাৎ করে ঢুকে পড়েন। এ সময় ছাত্রীদের গায়ে হাত দিয়েও মারধর করেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি এই অসদাচরণ করেন। প্রধান শিক্ষকের এমন আচরণের বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষকের কাছে মৌখিক অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পায়নি তারা। তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছে তারা। এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে রোববার বিদ্যালয় চত্বরে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেছে জানায় তারা।

তবে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক শাজাহান আলী তাঁর বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষকের সাথে আমার কিছু ঘটনা নিয়ে বিরোধ আছে। মূলত তাঁদের ইন্ধনেই রোববার শিক্ষার্থীরা মিথ্যা অভিযোগে বিক্ষোভ করেছে।’

এ বিষয়ে ওই বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি আশরাফ আলী বলেন, ‘প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ নতুন নয়। পাঁচ বছর আগে আমি সভাপতি থাকা অবস্থায় এ ধরনের অভিযোগ পেয়েছিলাম। তখন তাঁকে সংশোধন হওয়ার জন্য মৌখিকভাবে সতর্ক করা হয়েছিল।’

এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ময়নুল ইসলাম বলেন, ‘অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সত্যতা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত