কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে প্রতিপক্ষের হামলায় নৌকা প্রার্থীর সমর্থক দাবি করা নিহত আমিরুল ইসলাম নান্নু (৫২) বিএনপি নেতা বলে দাবি করেছেন কুষ্টিয়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুর রউফ। গতকাল রোববার বেলা ৩টায় উপজেলার গোডাউন মোড়ে অবস্থিত উপজেলা আওয়ামী লীগের অস্থায়ী কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
নিহত নান্নুকে বিএনপি নেতা দাবি করে সংসদ সদস্য বলেন, ‘আমার নির্বাচনী এলাকায় একজন খুন হয়েছেন। সেই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার আমরাও চাই। আমি নাম বলব না, কিন্তু একটি পক্ষ পেছন থেকে ষড়যন্ত্র করে একজন বিএনপি নেতাকে নৌকার কর্মী দাবি করে ঘটনাকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার অপচেষ্টা করছে।’
গত বুধবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের উত্তর চাঁদপুর গ্রামে একটি কলাবাগান থেকে নান্নুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁকে পিটিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
নান্নু উপজেলার উত্তর চাঁদপুর গ্রামের মৃত আবদুল জলিলের ছেলে। এ ঘটনায় কুষ্টিয়া-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নৌকা প্রার্থী এবং সেন্ট্রাল যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সেলিম আলতাফ জর্জ নিহত নান্নুকে তাঁর সমর্থক দাবি করেন। বর্তমান সংসদ সদস্য আব্দুর রউফের সমর্থকেরা এ হত্যাকাণ্ড করতে পারে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এদিকে নান্নুকে বিএনপি নেতা দাবি করে হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছে জেলা বিএনপি। গত বৃহস্পতিবার জেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি করেন। গতকাল বিজ্ঞপ্তি গণমাধ্যমের হাতে আসে।
বিজ্ঞপ্তিতে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের হত্যাযজ্ঞ থেমে নেই উল্লেখ করে বিএনপি নেতা আমিরুল ইসলাম নান্নুর হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করা হয়। একই বিজ্ঞপ্তিতে উপজেলা বিএনপি, পৌর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা হত্যার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন বলেন, ‘আমিরুল ইসলাম নান্নু একসময় ইউনিয়ন বিএনপির সক্রিয় নেতা ছিলেন। যেকোনো হত্যাই প্রতিবাদ করা আমাদের দায়িত্ব। সে ক্ষেত্রে তিনি যেহেতু আমাদের দলের একজন ছিলেন; আমরা তাঁর হত্যার প্রতিবাদ জানাই।’
ষড়যন্ত্র করে তাঁর ট্রাক প্রতীকের সমর্থকদের নান্নু হত্যা মামলার আসামি করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলা বর্তমান সংসদ সদস্য আব্দুর রউফ আরও বলেন, ‘মামলায় এমন কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে, যারা এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে কিছুই জানত না। এটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা।’
মামলার ৬ নম্বর আসামি যদুবয়রা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমানের প্রসঙ্গ টেনে এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘মিজানকে প্রতিপক্ষ গ্রুপ আগে থেকেই হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিল। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে মিজানের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তবুও পুলিশ তাঁকে ডেকে নিয়ে মামলার আসামি করেছে।’
এ সময় পুলিশের অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে বর্তমান সংসদ সদস্য বলেন, ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমার পক্ষে কাজ করার জন্য পুলিশও মিজানকে হুমকি দিয়েছিল।’
এদিকে নিহতের লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে ঘটনার দিন রাতেই সংসদ সদস্য আব্দুর রউফের সমর্থকদের বাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুনে তিনটি বাড়ি পুড়ে গেছে।
থানা সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার পরদিন নিহতের ভাই জহুরুল ইসলাম বাদী হয়ে কুমারখালী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ ২৩ জনকে আসামি করা হয়। এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় ভুক্তভোগী একটি পরিবার পাল্টা মামলা দায়ের করেছেন।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকিবুল ইসলাম বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। মামলাটি জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ তদন্ত করছে। লুটপাটের ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার একটি মামলা দায়ের করেছে। এখন পরিস্থিতি মোটামুটি শান্ত রয়েছে। অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে প্রতিপক্ষের হামলায় নৌকা প্রার্থীর সমর্থক দাবি করা নিহত আমিরুল ইসলাম নান্নু (৫২) বিএনপি নেতা বলে দাবি করেছেন কুষ্টিয়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুর রউফ। গতকাল রোববার বেলা ৩টায় উপজেলার গোডাউন মোড়ে অবস্থিত উপজেলা আওয়ামী লীগের অস্থায়ী কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
নিহত নান্নুকে বিএনপি নেতা দাবি করে সংসদ সদস্য বলেন, ‘আমার নির্বাচনী এলাকায় একজন খুন হয়েছেন। সেই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার আমরাও চাই। আমি নাম বলব না, কিন্তু একটি পক্ষ পেছন থেকে ষড়যন্ত্র করে একজন বিএনপি নেতাকে নৌকার কর্মী দাবি করে ঘটনাকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার অপচেষ্টা করছে।’
গত বুধবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের উত্তর চাঁদপুর গ্রামে একটি কলাবাগান থেকে নান্নুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁকে পিটিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
নান্নু উপজেলার উত্তর চাঁদপুর গ্রামের মৃত আবদুল জলিলের ছেলে। এ ঘটনায় কুষ্টিয়া-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নৌকা প্রার্থী এবং সেন্ট্রাল যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সেলিম আলতাফ জর্জ নিহত নান্নুকে তাঁর সমর্থক দাবি করেন। বর্তমান সংসদ সদস্য আব্দুর রউফের সমর্থকেরা এ হত্যাকাণ্ড করতে পারে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এদিকে নান্নুকে বিএনপি নেতা দাবি করে হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছে জেলা বিএনপি। গত বৃহস্পতিবার জেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি করেন। গতকাল বিজ্ঞপ্তি গণমাধ্যমের হাতে আসে।
বিজ্ঞপ্তিতে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের হত্যাযজ্ঞ থেমে নেই উল্লেখ করে বিএনপি নেতা আমিরুল ইসলাম নান্নুর হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করা হয়। একই বিজ্ঞপ্তিতে উপজেলা বিএনপি, পৌর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা হত্যার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন বলেন, ‘আমিরুল ইসলাম নান্নু একসময় ইউনিয়ন বিএনপির সক্রিয় নেতা ছিলেন। যেকোনো হত্যাই প্রতিবাদ করা আমাদের দায়িত্ব। সে ক্ষেত্রে তিনি যেহেতু আমাদের দলের একজন ছিলেন; আমরা তাঁর হত্যার প্রতিবাদ জানাই।’
ষড়যন্ত্র করে তাঁর ট্রাক প্রতীকের সমর্থকদের নান্নু হত্যা মামলার আসামি করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলা বর্তমান সংসদ সদস্য আব্দুর রউফ আরও বলেন, ‘মামলায় এমন কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে, যারা এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে কিছুই জানত না। এটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা।’
মামলার ৬ নম্বর আসামি যদুবয়রা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমানের প্রসঙ্গ টেনে এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘মিজানকে প্রতিপক্ষ গ্রুপ আগে থেকেই হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিল। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে মিজানের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তবুও পুলিশ তাঁকে ডেকে নিয়ে মামলার আসামি করেছে।’
এ সময় পুলিশের অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে বর্তমান সংসদ সদস্য বলেন, ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমার পক্ষে কাজ করার জন্য পুলিশও মিজানকে হুমকি দিয়েছিল।’
এদিকে নিহতের লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে ঘটনার দিন রাতেই সংসদ সদস্য আব্দুর রউফের সমর্থকদের বাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুনে তিনটি বাড়ি পুড়ে গেছে।
থানা সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার পরদিন নিহতের ভাই জহুরুল ইসলাম বাদী হয়ে কুমারখালী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ ২৩ জনকে আসামি করা হয়। এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় ভুক্তভোগী একটি পরিবার পাল্টা মামলা দায়ের করেছেন।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকিবুল ইসলাম বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। মামলাটি জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ তদন্ত করছে। লুটপাটের ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার একটি মামলা দায়ের করেছে। এখন পরিস্থিতি মোটামুটি শান্ত রয়েছে। অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
গণহত্যার সংজ্ঞা ও বিচার নিয়ে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত সনদ হলো Genocide Convention বা গণহত্যা সনদ, যা ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত হয়। এই সনদের আওতায় একটি জাতি, নৃগোষ্ঠী, বর্ণ বা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ বা আংশিক ধ্বংস করার লক্ষ্যে সংঘটিত অপরাধকেই গণহত্যা বলা হয়। এর মধ্যে হত্যা, শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি,
৮ ঘণ্টা আগেচাঁদপুর-মুন্সিগঞ্জ নৌ সীমানার মোহনপুর এলাকায় মেঘনা নদীতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে দুই জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন আরও একজন। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মুন্সিগঞ্জ ও চাঁদপুর মতলব উত্তর মোহনপুরের চড় আব্দুল্লাহপুর নাছিরার চরে নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
৩ দিন আগেরাজধানীর মোহাম্মদপুরে আবারও অস্ত্রের মুখে একটি পরিবারকে জিম্মি করে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতে মোহাম্মদপুরের বছিলাসংলগ্ন লাউতলা এলাকার ৮ নম্বর সড়কের ১০ নম্বর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তত্ত্বাবধায়ক নাসিমা বেগম মোহাম্মদপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
২৮ নভেম্বর ২০২৪রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
০৮ নভেম্বর ২০২৪