Ajker Patrika

ম্যাগনেট কয়েন বিক্রির নামে প্রতারণা, গ্রেপ্তার ২

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৬ এপ্রিল ২০২৩, ১৮: ১৭
Thumbnail image

কথিত ম্যাগনেটিক কয়েন বিক্রির নামে প্রতারণার অভিযোগে চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. আব্দুল কাদের ওরফে কবির (৪৭) ও মহিউদ্দিন শিকদার (৩৪)।

গতকাল বুধবার দুপুরে রাজধানীর গুলশান থানার নিকেতন এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় প্রতারণায় ব্যবহৃত কথিত চারটি ম্যাগনেটিক কয়েন, একটি মোবাইল ফোনসেট, একটি পিতলের বোতলসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। 

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজাদ রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। 

আজাদ রহমান জানান, প্রতারক চক্রের সদস্যরা দীর্ঘদিন রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ম্যাগনেটিক কয়েন বিক্রির নামে প্রতারণা করে আসছিল। সম্প্রতি গুলশানে মোবাইল ফোনে ব্যবসায়ীকে আলোচনার কথা বলে ডেকে আনে। এরপর ম্যাগনেটিক কয়েনের বিষয়ে বিভিন্ন ধারণা দিয়ে প্রতারক চক্রের সদস্যরা তাঁকে জানায়, এই কয়েন বিমান তৈরির কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং দেশে বা বিদেশে এর ব্যাপক চাহিদা আছে। 

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী এই বিষয়ে আগ্রহী না হওয়ায় চক্রের সদস্যরা বিশাল লাভের প্রলোভন দেখায়। পরে রাজি হলে চক্রের সদস্য ও প্রতারণা মামলার আসামি মঞ্জুল ওরফে মঞ্জু ও মাহফুজ সরকার ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীকে গুলশান-২-এর একটি হোটেলে নিয়ে যান। সেখানে চক্রের সদস্য দেবাশীষ, ওমর ফারুক ওরফে জাহিদ খান, লাকি বেগম রোকেয়া, আব্দুল হক, ড. এ কে খানদের সঙ্গে তাঁকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় চক্রের সদস্যদের হাতে থাকা কথিত ম্যাগনেটিক কয়েনটি দেখায়। 

প্রতারণায় ব্যবহৃত কথিত চারটি ম্যাগনেটিক কয়েন, একটি মোবাইল ফোনসেট, একটি পিতলের বোতলসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। ছবি: সংগৃহীতআজাদ রহমান আরও জানান, হোটেলে বসে চক্রের সদস্যরা মিলে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীকে ম্যাগনেট সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের কথিত তথ্য দেয়। পাশাপাশি ম্যাগনেট কয়েন ব্যবসায় প্রচুর লাভের প্রলোভন দেখায়। কথাবার্তার একপর্যায়ে আসামিরা জানান, তিন কোটি টাকা পেলে ম্যাগনেটটি ব্যবসায়ীকে দিয়ে দেবেন। তখন তাঁদের ফাঁদে পা দিয়ে নগদ ৩০ লাখ টাকা ও ১০ লাখ টাকার চেক দেন। চক্রের সদস্যরা ম্যাগনেটটি একটি প্যাকেটে করে ব্যবসায়ীর গাড়িতে তুলে দেন। কিন্তু বাসায় এসে প্যাকেটটি খুলে দেখে সেখানে কিছু নাই। তখন প্রতারণার বিষয়টি সন্দেহ হলে প্রতারকদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাঁরা আরও আট লাখ টাকা দাবি করেন। পরবর্তী সময় এ ঘটনায় গুলশান থানায় একটি প্রতারণা মামলা দায়ের করেন ওই ব্যবসায়ী। এ ঘটনায় তদন্ত শেষে চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি। 

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা সিআইডিকে জানিয়েছে, দীর্ঘদিন চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে কয়েন বিক্রির নামে প্রতারণার করে আসছেন। এই চক্রের অন্য সদস্যদের তথ্য সংগ্রহপূর্বক গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে আসামিদের রিমান্ডের আবেদনসহ আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান সিআইডির এ কর্মকর্তা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত