সোহেল মারমা, চট্টগ্রাম
এক দশক আগে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী সদরঘাটে মালামাল বোঝাই ও খালাসের শ্রমিক ছিলেন মো. জাহাঙ্গীর (৪০)। পরে ঘাটে শ্রমিক সরবরাহ শুরু করায় সবাই তাঁকে চেনেন জাহাঙ্গীর মাঝি নামে। ২০১৩ সালে শ্রমিক সরবরাহ নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের প্রধান ওসমান গণিকে খুনের মাধ্যমে তিনি আলোচনায় আসেন।
একই বিরোধ নিয়ে এলাকায় পরপর আরও তিনটি খুনের ঘটনায় জাহাঙ্গীরের নাম আসে। এরপর থেকে তিনি এলাকায় আতঙ্কের অপর নাম হিসেবে আবির্ভূত হন। তিনি থানা-পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী বলেও জানা গেছে।
একটি প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় বর্তমানে ঘাট নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি এলাকায় প্রকাশ্যে মাদক ও জুয়ার আসরও চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া নানা অপরাধ কর্ম করে বেড়ালেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ধরাছোঁয়ার বাইরে তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জাহাঙ্গীরের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার শরৎনগর গ্রামে। তিনি সদরঘাট থানার দারোগারহাট রোডের সাহেবপাড়া এলাকায় থাকেন।
ঘাট শ্রমিক সংগঠনসংশ্লিষ্ট এক নেতা আজকের পত্রিকাকে বলেন, চট্টগ্রামে নৌঘাটগুলো ক্ষমতাসীন দলীয় চারটি গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। রাজনৈতিক এসব নেতা ঘাটের নিয়ন্ত্রণ ও আধিপত্য বজায় রাখতে সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করে আসছেন। এঁদের মধ্যে একজন জাহাঙ্গীর মাঝি। স্থানীয় এক নেতার হয়ে তিনি কয়েকটি ঘাট নিয়ন্ত্রণ করছেন। এ ছাড়া জাহাজ থেকে মালামাল চুরি, হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি তিনি।
সরেজমিনে জানা গেছে, সদরঘাট থানা থেকে ২০০ গজ দূরে সাহেবপাড়া এলাকার স্থানীয় মন্দিরের পেছনে একটি পরিত্যক্ত ভবনে দীর্ঘদিন ধরে প্রকাশ্যে মাদক সেবন ও জুয়া খেলার আসর বসছে। ভবনটির নিচে ছাগলের খামার করা হয়েছে, আর ওপরে চলছে জুয়া। সন্ধ্যা নামলেই ছিঁচকে চোর, ছিনতাইকারী থেকে দাগি সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীদের বিচরণ ভবনটি ঘিরে। পাশেই একটি অফিসে বসানো কয়েকটি ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার মাধ্যমে মাদক ও জুয়ার স্পটসহ এলাকাটি পুরো নজরদারি করা হয়। অফিসটি জাহাঙ্গীর মাঝির বলে স্থানীয় সূত্র নিশ্চিত করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ঘাট এলাকায় শ্রমিক সরবরাহের কাজ করতেন জাহাঙ্গীর। একই ঘাটে শ্রমিক সরবরাহ করতেন ওসমান গণি। ২০১৩ সালের ২৬ নভেম্বর ওসমান গণিকে ছুরিকাঘাতে হত্যার মধ্য দিয়ে এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেন জাহাঙ্গীর। পরে আরও চারটি হত্যার ঘটনা ঘটে। সবগুলো হত্যাকাণ্ডই ২০১৬ সালে হয়েছিল। এর মধ্যে ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ সদরঘাটের সাহেবপাড়ায় জুট ব্যবসায়ী জাহেদকে প্রথমে পায়ে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। একই বছরের ৭ এপ্রিল মো. ইদ্রিসকে হত্যার ঘটনা ঘটে।
এসবের এজাহারভুক্ত আসামি তিনি। এ ছাড়া ওই বছরের ১২ জানুয়ারি মামুন ও ১১ ডিসেম্বর ইব্রাহিম মানিক নামের স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে হত্যা জাহাঙ্গীর মাঝির সহযোগীদের দ্বারা সংঘটিত হয়। ওসব হত্যাকাণ্ডের পর জাহাঙ্গীরের নাম উঠে আসে। হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি তিনি। পরে ২০১৮ সালের শুরুতে জাহাঙ্গীর পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন। জামিনে বেরিয়ে ঘাট এলাকার চাঁদাবাজি, মাদক ও জুয়ার স্পট পরিচালনাসহ চাঁদাবাজির রাজত্ব গড়ে তোলেন জাহাঙ্গীর মাঝি।
সদরঘাট থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নিজাম উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, সদরঘাটের সাহেবপাড়ায় আধিপত্য বিস্তারের জন্য জাহাঙ্গীর মাঝি, তাঁর ভাই আলমসহ পারিবারিকভাবে একটি গ্রুপ তৈরি করা হয়েছিল। এঁদের হাতে সব সময় ধারালো অস্ত্রসহ দেশীয় অস্ত্র থাকত। এভাবে জাহাঙ্গীর মাঝি ওই এলাকায় একটি বলয় তৈরি করেন।
সদরঘাট থানার বর্তমান ওসি গোলাম রাব্বানী বলেন, যে পরিত্যক্ত ভবনটিতে মাদক ও জুয়ার আসর বসে, সেখানে কয়েক দিন আগে পুলিশ অভিযান চালিয়েছিল। তবে সেখানে কাউকে পাওয়া যায়নি। এরপর ভবনটিতে আমরা তালা লাগিয়ে দিয়েছিলাম। তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তিনি একজন তালিকাভুক্ত পলাতক সন্ত্রাসী।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) উপকমিশনার নিহাদ আদনান তায়ান বলেন, জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে এ ধরনের তথ্য পেলে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এক দশক আগে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী সদরঘাটে মালামাল বোঝাই ও খালাসের শ্রমিক ছিলেন মো. জাহাঙ্গীর (৪০)। পরে ঘাটে শ্রমিক সরবরাহ শুরু করায় সবাই তাঁকে চেনেন জাহাঙ্গীর মাঝি নামে। ২০১৩ সালে শ্রমিক সরবরাহ নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের প্রধান ওসমান গণিকে খুনের মাধ্যমে তিনি আলোচনায় আসেন।
একই বিরোধ নিয়ে এলাকায় পরপর আরও তিনটি খুনের ঘটনায় জাহাঙ্গীরের নাম আসে। এরপর থেকে তিনি এলাকায় আতঙ্কের অপর নাম হিসেবে আবির্ভূত হন। তিনি থানা-পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী বলেও জানা গেছে।
একটি প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় বর্তমানে ঘাট নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি এলাকায় প্রকাশ্যে মাদক ও জুয়ার আসরও চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া নানা অপরাধ কর্ম করে বেড়ালেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ধরাছোঁয়ার বাইরে তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জাহাঙ্গীরের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার শরৎনগর গ্রামে। তিনি সদরঘাট থানার দারোগারহাট রোডের সাহেবপাড়া এলাকায় থাকেন।
ঘাট শ্রমিক সংগঠনসংশ্লিষ্ট এক নেতা আজকের পত্রিকাকে বলেন, চট্টগ্রামে নৌঘাটগুলো ক্ষমতাসীন দলীয় চারটি গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। রাজনৈতিক এসব নেতা ঘাটের নিয়ন্ত্রণ ও আধিপত্য বজায় রাখতে সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করে আসছেন। এঁদের মধ্যে একজন জাহাঙ্গীর মাঝি। স্থানীয় এক নেতার হয়ে তিনি কয়েকটি ঘাট নিয়ন্ত্রণ করছেন। এ ছাড়া জাহাজ থেকে মালামাল চুরি, হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি তিনি।
সরেজমিনে জানা গেছে, সদরঘাট থানা থেকে ২০০ গজ দূরে সাহেবপাড়া এলাকার স্থানীয় মন্দিরের পেছনে একটি পরিত্যক্ত ভবনে দীর্ঘদিন ধরে প্রকাশ্যে মাদক সেবন ও জুয়া খেলার আসর বসছে। ভবনটির নিচে ছাগলের খামার করা হয়েছে, আর ওপরে চলছে জুয়া। সন্ধ্যা নামলেই ছিঁচকে চোর, ছিনতাইকারী থেকে দাগি সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীদের বিচরণ ভবনটি ঘিরে। পাশেই একটি অফিসে বসানো কয়েকটি ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার মাধ্যমে মাদক ও জুয়ার স্পটসহ এলাকাটি পুরো নজরদারি করা হয়। অফিসটি জাহাঙ্গীর মাঝির বলে স্থানীয় সূত্র নিশ্চিত করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ঘাট এলাকায় শ্রমিক সরবরাহের কাজ করতেন জাহাঙ্গীর। একই ঘাটে শ্রমিক সরবরাহ করতেন ওসমান গণি। ২০১৩ সালের ২৬ নভেম্বর ওসমান গণিকে ছুরিকাঘাতে হত্যার মধ্য দিয়ে এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেন জাহাঙ্গীর। পরে আরও চারটি হত্যার ঘটনা ঘটে। সবগুলো হত্যাকাণ্ডই ২০১৬ সালে হয়েছিল। এর মধ্যে ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ সদরঘাটের সাহেবপাড়ায় জুট ব্যবসায়ী জাহেদকে প্রথমে পায়ে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। একই বছরের ৭ এপ্রিল মো. ইদ্রিসকে হত্যার ঘটনা ঘটে।
এসবের এজাহারভুক্ত আসামি তিনি। এ ছাড়া ওই বছরের ১২ জানুয়ারি মামুন ও ১১ ডিসেম্বর ইব্রাহিম মানিক নামের স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে হত্যা জাহাঙ্গীর মাঝির সহযোগীদের দ্বারা সংঘটিত হয়। ওসব হত্যাকাণ্ডের পর জাহাঙ্গীরের নাম উঠে আসে। হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি তিনি। পরে ২০১৮ সালের শুরুতে জাহাঙ্গীর পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন। জামিনে বেরিয়ে ঘাট এলাকার চাঁদাবাজি, মাদক ও জুয়ার স্পট পরিচালনাসহ চাঁদাবাজির রাজত্ব গড়ে তোলেন জাহাঙ্গীর মাঝি।
সদরঘাট থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নিজাম উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, সদরঘাটের সাহেবপাড়ায় আধিপত্য বিস্তারের জন্য জাহাঙ্গীর মাঝি, তাঁর ভাই আলমসহ পারিবারিকভাবে একটি গ্রুপ তৈরি করা হয়েছিল। এঁদের হাতে সব সময় ধারালো অস্ত্রসহ দেশীয় অস্ত্র থাকত। এভাবে জাহাঙ্গীর মাঝি ওই এলাকায় একটি বলয় তৈরি করেন।
সদরঘাট থানার বর্তমান ওসি গোলাম রাব্বানী বলেন, যে পরিত্যক্ত ভবনটিতে মাদক ও জুয়ার আসর বসে, সেখানে কয়েক দিন আগে পুলিশ অভিযান চালিয়েছিল। তবে সেখানে কাউকে পাওয়া যায়নি। এরপর ভবনটিতে আমরা তালা লাগিয়ে দিয়েছিলাম। তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তিনি একজন তালিকাভুক্ত পলাতক সন্ত্রাসী।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) উপকমিশনার নিহাদ আদনান তায়ান বলেন, জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে এ ধরনের তথ্য পেলে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে ১ হাজার ৬৬৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ৯৭২ জন ও অন্যান্য ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছেন ৬৯৩ জন। আজ সোমবার পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর এ তথ্য জানান।
২ দিন আগেরাজধানীর মিরপুরে ছিনতাইয়ের ঘটনায় ইমরান খান সাকিব ওরফে শাকিল (৩৫) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে মিরপুর মডেল থানা-পুলিশ। ডিএমপি জানায়, শাকিল পেশাদার ছিনতাইকারী। গতকাল শুক্রবার সকাল ৬টা ১৫ মিনিটের দিকে গাজীপুরের পুবাইল থানার কুদাব পশ্চিমপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়...
১৮ এপ্রিল ২০২৫রাজধানীর খিলগাঁওয়ের তালতলায় ‘আপন কফি হাউসে’ তরুণীকে মারধরের ঘটনায় কফি হাউসের ব্যবস্থাপক (ম্যানেজার) আল আমিন ও কর্মচারী শুভ সূত্রধরকে এক দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাকিবুল হাসান এ আদেশ দেন।
১৫ এপ্রিল ২০২৫ক্যামেরার লেন্সে ধরা পড়ল অমানবিক দৃশ্য— মেয়েটিকে বেশ কিছুক্ষণ ধমকানো হলো। এরপর ঘাড় ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়। সে যেন মানুষ নয়, পথের ধুলো। এর মধ্যেই এক কর্মচারী হঠাৎ মোটা লাঠি নিয়ে আঘাত করে তাঁর ছোট্ট পায়ে। শিশুটি কাতরাতে কাতরাতে পাশের দুটি গাড়ির ফাঁকে আশ্রয় নেয়। কিন্তু নির্যাতন থামে না, সেই লাঠি আব
১৪ এপ্রিল ২০২৫