Ajker Patrika

স্ত্রীকে নিয়ে ঠাট্টা, প্রতিবাদ করার জেরে স্বামীকে ছুরি মেরে হত্যা

চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
স্ত্রীকে নিয়ে ঠাট্টা, প্রতিবাদ করার জেরে স্বামীকে ছুরি মেরে হত্যা

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় স্ত্রীকে নিয়ে ঠাট্টা করার প্রতিবাদ করার জেরে এক ব্যক্তিকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গতকাল শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার পশ্চিম বড়ভেওলা ইউনিয়নের দরবেশকাটা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। 

নিহতের নাম আনোয়ার হোসেন (৪০)। তিনি দরবেশকাটার উত্তরপাড়া গ্রামের আবু তাহের লেদুর ছেলে। 

চকরিয়া থানা-পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ছয় মাস আগে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে নাছির উদ্দিন নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তারের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে নাছির ইয়াসমিনের হাতে কামড় দেন। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য সোলতান মাহমুদ দুই পক্ষকে সালিস বৈঠক বসেন। সালিসে নাছির উদ্দিনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। ওই জরিমানার টাকা আনোয়ার হোসেনকে পরিশোধ করেন নাছির। 

স্থানীয় এনামুল হকের ছেলে মো. আয়াজ উদ্দিন প্রকাশ আজিজ (২০) কয়েক দিন ধরে আনোয়ার হোসেনের পরিবারকে ‘এক কামড়ে ১০ হাজার’ বলে ঠাট্টা করেন। এ নিয়ে আনোয়ার হোসেন ফের ইউপি সদস্য সোলতান মাহমুদের কাছে বিচার দেন। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে দরবেশকাটা বাজারে দুই পক্ষকে ডাকেন। সেখানে একটি দোকানে বসে সালিস চলছিল। সালিস চালাকালীন মো. আয়াজ উদ্দিনের সঙ্গে আনোয়ার হোসেনের কথা-কাটাকাটি হয়। 

একপর্যায়ে আয়াজ উদ্দিন ছুরি নিয়ে আনোয়ার হোসেনের কোমরে আঘাত করেন। এরপর স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে পল্লি চিকিৎসকের কাছে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। 

মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মানিক কুমার। তিনি বলেন, ‘কিডনির পাশে ছুরির গভীর দুটি চিহ্ন পাওয়া গেছে। মাথায় আঘাত রয়েছে।’ 

আনোয়ারের স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার বলেন, ‘বেশ কয়েক দিন আগে আমার হাতে কামড় দেওয়ার পর বিচার হয়। এরপর থেকে আমার স্বামীকে আয়াজ উদ্দিন পথেঘাটে অপমান করে কথাবার্তা বলে ঠাট্টা করত। মূলত প্রতিবাদ করতে গিয়েই আমার স্বামীকে খুন হতে হয়েছে।’ 

এ বিষয়ে চকরিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ আবদুল জব্বার বলেন, ‘মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশ কাজ করছেন। নিহতের পরিবারের লিখিত এজাহার পেলে মামলা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত