নোয়াখালী প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের হালিশহরের শান্তিবাগ এলাকায় পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মিজানুর রহমান জাবেদের বিরুদ্ধে তাঁর স্ত্রী ফাতেমা আক্তার কলিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার বিচার ও জাবেদের ফাঁসির দাবিতে লাশ নিয়ে নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে নিহতের পরিবার এবং স্বজনেরা। পরে তাঁরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।
আজ রোববার সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত দফায় দফায় এসব কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা। এতে নিহতের পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসী অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে স্বজনেরা কলি হত্যার বিচার দাবিতে নানা স্লোগান দেন। এ সময় তাঁরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে জাবেদকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। এর আগে শনিবার রাতে চট্টগ্রাম থেকে একটি ফ্রিজার ভ্যানে করে নোয়াখালীতে নিহত কলির লাশ আনা হয়।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ থেকে জানা যায়, পুলিশের এসআই মিজানুর রহমান জাবেদ ও নিহত ফাতেমা আক্তার কলি দুজনই নোয়াখালীর বাসিন্দা। জাবেদ সদর উপজেলার বিনোদপুরের বাসিন্দা এবং কলি একই উপজেলার কাদিরহানিফের বাসিন্দা। তাঁদের ঘরে এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তানও রয়েছে।
গত ২০১৪ সালে মিজানুর রহমান জাবেদের সঙ্গে পারিবারিকভাবে ফাতেমা আক্তার কলির বিয়ে হয়। এরপর থেকে স্বামীর সঙ্গে চট্টগ্রামের হালিশহরে থাকতেন কলি। কিন্তু জাবেদের বদ মেজাজি স্বভাবের কারণে বিভিন্ন সময় কলিকে মারধরের শিকার হতে হয়েছে। এরই মধ্যে পার্শ্ববর্তী এক নারীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন জাবেদ। একই সঙ্গে পুলিশে চাকরি করার সুবাদে বেআইনিভাবে টাকা উপার্জন করতে শুরু করেন তিনি। এ ছাড়া এসব ঘটনা নিয়ে প্রতিবাদ করলে জাবেদ কলিকে হত্যার হুমকি দেয়। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে কলির ওপর নির্যাতনের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। এরই জের ধরে গত ৬-৭ মাস আগে কলিকে মারধর করলে তিনি মাথায় ও চোখে আঘাত পান।
গত শুক্রবার বিকেলের কোনো এক সময় ফাতেমা আক্তার কলিকে মারধর করা হয়। এরপর চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে কলি আত্মহত্যা করেছে বলে পরিবারের সদস্যদের মোবাইলে জানানো হয়। কলির গলায় গোলাকার কালো দাগ এবং হাতে কাটা জখমের একাধিক চিহ্ন রয়েছে। এ বিষয়ে রোববার সকালে হালিশহর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন কলির বাবা আহছান উল্যাহ্।
হালিশহর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আল-মামুন জানান, এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে এসআই মিজানুর রহমান জাবেদসহ পাঁচজনকে আসামি করে একটি আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
কেন আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলা করা হলো- এ বিষয়ে জানতে চাইলে নিহতের বাবা আহছান উল্যাহ্ বলেন, ‘মেয়ের মৃত্যুর খবরে আমরা জ্ঞানশূন্য ছিলাম। লাশ নোয়াখালী আনার জন্য প্রশাসনিক প্রক্রিয়ার সময় মিজানুর রহমান জাবেদ ও তাঁর ছোট ভাই জুয়েল এজাহারটি লিখে এনে আমার (আহছান উল্যাহ্) কাছ থেকে স্বাক্ষর নিয়ে চলে যায়। কলিকে তাঁর স্বামী ও শ্বশুর পরিবারের লোকজন পিটিয়ে হত্যা করেছে। তাঁর কপালে গভীর আঘাত, হাত-পায়ের কাটার দাগ ও পেটসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আগামীকাল সোমবার এ ঘটনায় আমরা আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করব।’
চট্টগ্রামের হালিশহরের শান্তিবাগ এলাকায় পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মিজানুর রহমান জাবেদের বিরুদ্ধে তাঁর স্ত্রী ফাতেমা আক্তার কলিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার বিচার ও জাবেদের ফাঁসির দাবিতে লাশ নিয়ে নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে নিহতের পরিবার এবং স্বজনেরা। পরে তাঁরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।
আজ রোববার সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত দফায় দফায় এসব কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা। এতে নিহতের পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসী অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে স্বজনেরা কলি হত্যার বিচার দাবিতে নানা স্লোগান দেন। এ সময় তাঁরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে জাবেদকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। এর আগে শনিবার রাতে চট্টগ্রাম থেকে একটি ফ্রিজার ভ্যানে করে নোয়াখালীতে নিহত কলির লাশ আনা হয়।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ থেকে জানা যায়, পুলিশের এসআই মিজানুর রহমান জাবেদ ও নিহত ফাতেমা আক্তার কলি দুজনই নোয়াখালীর বাসিন্দা। জাবেদ সদর উপজেলার বিনোদপুরের বাসিন্দা এবং কলি একই উপজেলার কাদিরহানিফের বাসিন্দা। তাঁদের ঘরে এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তানও রয়েছে।
গত ২০১৪ সালে মিজানুর রহমান জাবেদের সঙ্গে পারিবারিকভাবে ফাতেমা আক্তার কলির বিয়ে হয়। এরপর থেকে স্বামীর সঙ্গে চট্টগ্রামের হালিশহরে থাকতেন কলি। কিন্তু জাবেদের বদ মেজাজি স্বভাবের কারণে বিভিন্ন সময় কলিকে মারধরের শিকার হতে হয়েছে। এরই মধ্যে পার্শ্ববর্তী এক নারীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন জাবেদ। একই সঙ্গে পুলিশে চাকরি করার সুবাদে বেআইনিভাবে টাকা উপার্জন করতে শুরু করেন তিনি। এ ছাড়া এসব ঘটনা নিয়ে প্রতিবাদ করলে জাবেদ কলিকে হত্যার হুমকি দেয়। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে কলির ওপর নির্যাতনের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। এরই জের ধরে গত ৬-৭ মাস আগে কলিকে মারধর করলে তিনি মাথায় ও চোখে আঘাত পান।
গত শুক্রবার বিকেলের কোনো এক সময় ফাতেমা আক্তার কলিকে মারধর করা হয়। এরপর চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে কলি আত্মহত্যা করেছে বলে পরিবারের সদস্যদের মোবাইলে জানানো হয়। কলির গলায় গোলাকার কালো দাগ এবং হাতে কাটা জখমের একাধিক চিহ্ন রয়েছে। এ বিষয়ে রোববার সকালে হালিশহর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন কলির বাবা আহছান উল্যাহ্।
হালিশহর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আল-মামুন জানান, এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে এসআই মিজানুর রহমান জাবেদসহ পাঁচজনকে আসামি করে একটি আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
কেন আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলা করা হলো- এ বিষয়ে জানতে চাইলে নিহতের বাবা আহছান উল্যাহ্ বলেন, ‘মেয়ের মৃত্যুর খবরে আমরা জ্ঞানশূন্য ছিলাম। লাশ নোয়াখালী আনার জন্য প্রশাসনিক প্রক্রিয়ার সময় মিজানুর রহমান জাবেদ ও তাঁর ছোট ভাই জুয়েল এজাহারটি লিখে এনে আমার (আহছান উল্যাহ্) কাছ থেকে স্বাক্ষর নিয়ে চলে যায়। কলিকে তাঁর স্বামী ও শ্বশুর পরিবারের লোকজন পিটিয়ে হত্যা করেছে। তাঁর কপালে গভীর আঘাত, হাত-পায়ের কাটার দাগ ও পেটসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আগামীকাল সোমবার এ ঘটনায় আমরা আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করব।’
চাঁদপুর-মুন্সিগঞ্জ নৌ সীমানার মোহনপুর এলাকায় মেঘনা নদীতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে দুই জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন আরও একজন। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মুন্সিগঞ্জ ও চাঁদপুর মতলব উত্তর মোহনপুরের চড় আব্দুল্লাহপুর নাছিরার চরে নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
২ দিন আগেরাজধানীর মোহাম্মদপুরে আবারও অস্ত্রের মুখে একটি পরিবারকে জিম্মি করে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতে মোহাম্মদপুরের বছিলাসংলগ্ন লাউতলা এলাকার ৮ নম্বর সড়কের ১০ নম্বর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তত্ত্বাবধায়ক নাসিমা বেগম মোহাম্মদপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
২৮ নভেম্বর ২০২৪রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
০৮ নভেম্বর ২০২৪পরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
০৭ নভেম্বর ২০২৪