ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে দুই দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে ফয়সাল (২৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। তাঁর বুক ছড়রা গুলিতে ক্ষতবিক্ষত হয়ে গেছে। এই ঘটনায় পুলিশ, সাংবাদিকসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে।
শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় কালিকচ্ছ বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
ফয়সাল উপজেলার কুট্টাপাড়ার রাকিব মিয়ার ছেলে। তাঁর পরিবারের দাবি, ফয়সাল পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন। তবে পুলিশের দাবি, দুই পক্ষের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণ হলে স্প্লিন্টারের আঘাতে তিনি নিহত হন।
স্থানীয়রা জানান, কালিকচ্ছ ইউনিয়নের সূর্যকান্দি গ্রামের ইকবালের চৌকিদারের ছেলে অটোরিকশা চালক আকাশ রাস্তা পার হওয়ার সময় ধরন্তী মূলবর্গ গ্রামের হুমায়ন মেম্বারের ছেলে তোফাজ্জলের মোটরসাইকেলে ধাক্কা লাগে। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে প্রথমে কথা-কাটাকাটি ও পরে হাতাহাতি হয়। এ ঘটনার জেরে শুক্রবার দুপুরে তোফাজ্জলের লোক জনেরা কালিকচ্ছ বাজারে আকাশের ওপর হামলা চালায়। এতে আকাশ গুরুতর আহত হন। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সন্ধ্যায় ইফতারের পর কালিকচ্ছ বাজারে দুই গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
সংঘর্ষের সময় বাজারের কয়েকটি দোকান ভাঙচুর করা হয়। খবর পেয়ে সরাইল থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। সংঘর্ষে পুলিশ, সাংবাদিকসহ উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ফয়সালকে আহত অবস্থায় জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। তাঁর বুক থেকে পেট পর্যন্ত অসংখ্য ছড়রা গুলি বিঁধেছে বলে জানিয়েছেন স্বজনেরা।
সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. তানভীর ভূঁইয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওই যুবককে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল।’
ফয়সালের বুক ও পেটে গুলি নাকি স্প্লিন্টার বিদ্ধ হয়েছে জানতে চাইলে ডা. তানভীর ভূঁইয়া কোনো মন্তব্য না করে বলেন, ‘ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।’
রাকিবের মা হালিমা খাতুন দাবি করে বলেন, ‘আমার ছেলে পুলিশের গুলিতে মারা গেছে।’ রাকিবের মামা ওসমান বলেন, ‘রাকিবের বাড়ি কুট্টাপাড়ায় হলেও আমাদের দোকানে থাকত। আজ ঝগড়া শুরুর পর দোকানের তালা আমরা লাগাচ্ছিলাম। এ সময় পুলিশ এসে আমার ভাগনে রাকিবের ওপর গুলি করে। তাকে কেন গুলি করা হলো? আমরা তো ঝগড়ার সাথে জড়িতও না? এর বিচার চাই।’
এ জানতে চাইলে ব্যাপারে জেলা পুলিশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হোসেন বলেন, ‘সংঘর্ষে ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। ককটেলের স্প্লিন্টারের আঘাতে যুবক নিহত হয়েছে। সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে দুই দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে ফয়সাল (২৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। তাঁর বুক ছড়রা গুলিতে ক্ষতবিক্ষত হয়ে গেছে। এই ঘটনায় পুলিশ, সাংবাদিকসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে।
শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় কালিকচ্ছ বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
ফয়সাল উপজেলার কুট্টাপাড়ার রাকিব মিয়ার ছেলে। তাঁর পরিবারের দাবি, ফয়সাল পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন। তবে পুলিশের দাবি, দুই পক্ষের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণ হলে স্প্লিন্টারের আঘাতে তিনি নিহত হন।
স্থানীয়রা জানান, কালিকচ্ছ ইউনিয়নের সূর্যকান্দি গ্রামের ইকবালের চৌকিদারের ছেলে অটোরিকশা চালক আকাশ রাস্তা পার হওয়ার সময় ধরন্তী মূলবর্গ গ্রামের হুমায়ন মেম্বারের ছেলে তোফাজ্জলের মোটরসাইকেলে ধাক্কা লাগে। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে প্রথমে কথা-কাটাকাটি ও পরে হাতাহাতি হয়। এ ঘটনার জেরে শুক্রবার দুপুরে তোফাজ্জলের লোক জনেরা কালিকচ্ছ বাজারে আকাশের ওপর হামলা চালায়। এতে আকাশ গুরুতর আহত হন। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সন্ধ্যায় ইফতারের পর কালিকচ্ছ বাজারে দুই গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
সংঘর্ষের সময় বাজারের কয়েকটি দোকান ভাঙচুর করা হয়। খবর পেয়ে সরাইল থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। সংঘর্ষে পুলিশ, সাংবাদিকসহ উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ফয়সালকে আহত অবস্থায় জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। তাঁর বুক থেকে পেট পর্যন্ত অসংখ্য ছড়রা গুলি বিঁধেছে বলে জানিয়েছেন স্বজনেরা।
সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. তানভীর ভূঁইয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওই যুবককে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল।’
ফয়সালের বুক ও পেটে গুলি নাকি স্প্লিন্টার বিদ্ধ হয়েছে জানতে চাইলে ডা. তানভীর ভূঁইয়া কোনো মন্তব্য না করে বলেন, ‘ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।’
রাকিবের মা হালিমা খাতুন দাবি করে বলেন, ‘আমার ছেলে পুলিশের গুলিতে মারা গেছে।’ রাকিবের মামা ওসমান বলেন, ‘রাকিবের বাড়ি কুট্টাপাড়ায় হলেও আমাদের দোকানে থাকত। আজ ঝগড়া শুরুর পর দোকানের তালা আমরা লাগাচ্ছিলাম। এ সময় পুলিশ এসে আমার ভাগনে রাকিবের ওপর গুলি করে। তাকে কেন গুলি করা হলো? আমরা তো ঝগড়ার সাথে জড়িতও না? এর বিচার চাই।’
এ জানতে চাইলে ব্যাপারে জেলা পুলিশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হোসেন বলেন, ‘সংঘর্ষে ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। ককটেলের স্প্লিন্টারের আঘাতে যুবক নিহত হয়েছে। সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’
সবার সামনে পিটিয়ে হত্যা, পাথরে শরীর থেঁতলে দেওয়া, নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে পায়ের রগ কেটে হত্যা, অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনতাই, চাঁদা না পেয়ে গুলি—এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা কয়েক দিন ধরে বেশ আলোচিত। কিন্তু পুলিশ অনেকটাই নির্বিকার। প্রতিটি ঘটনার সিটিটিভি ফুটেজ থাকলেও সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
৭ দিন আগেএবার রাজধানীর শ্যামলীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানিব্যাগ, কাঁধের ব্যাগ ও মোবাইল ফোন নেওয়ার পর ছিনতাইকারীরা এক যুবকের পোশাক ও জুতা খুলে নিয়ে গেছে।
৮ দিন আগেমোবাইল চুরির ঘটনায় বোরহান নামের এক তরুণকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে বোরহানের বাবা রুবির পরিবারের সাহায্য চান। বসে এক গ্রাম্য সালিস। তবে সেই সালিসে কোনো মীমাংসা হয় না। এরই মধ্য নিখোঁজ হয়ে যান বোরহান। এতে এলাকায় রব পড়ে বোরহানকে হত্যা ও লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে। তখন বোরহানের বাবা থানায় অভিযোগ দা
১৫ দিন আগেমালয়েশিয়ায় জঙ্গিসংশ্লিষ্টতার অভিযোগে আটক করে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর পর তিনজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ শনিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম মিজবাহ উর রহমান তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
১৫ দিন আগে