Ajker Patrika

গ্রাম পুলিশের হাত ভেঙে দেওয়ার ঘটনায় ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা

তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
Thumbnail image

বরগুনার তালতলীতে গরু চুরির তথ্য দেওয়ার সন্দেহে গ্রাম পুলিশের হাত ভাঙার অভিযোগে ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার মামলার বিষয়ে নিশ্চিত করেন তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাখাওয়াত হোসেন তপু। আহত গ্রাম পুলিশ হারুন খানের বড় ভাই হানিফ খান বাদী হয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ১৪ জনের বিরুদ্ধে তালতলী থানায় একটি মামলা করেছেন। 

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ছোটবগী ইউনিয়নের জাকিরতবক গ্রামের বাচ্চু মৃধা, মাসুম মৃধা ও কবির মৃধাসহ ১৮ থেকে ২০ জনের একটি দল গরু চুরির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে ওই এলাকার গ্রাম পুলিশ হারুন খান থানা-পুলিশকে তথ্য দেওয়ার বিষয়ে সন্দেহ করেন অভিযুক্তরা। গত বুধবার বিকেলে ওই অভিযুক্তরা হারুনকে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে তার বাম হাত ভেঙে দেয়। খবর পেয়ে তার ভাতিজা রুবেল খান চাচাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তাকেও মাথা ওপর কুপিয়ে জখম করে এবং পিটিয়ে ডান হাত ভেঙে দেয়। পরে স্থানীয়রা হারুন ও রুবেলকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। তবে অবস্থার অবনতি হলে ওই রাতেই তাদের মুমূর্ষু অবস্থায় বরিশাল শেরে-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় গ্রাম পুলিশ হারুন এর ভাই হানিফ খান বাদী হয়ে বাচ্চু মৃধা, মাসুম মৃধা ও কবির মৃধাসহ ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে ও ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাত করে একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় এখনো কাউকে গ্রেপ্তার হয়নি। তবে পুলিশ বললে আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। 

আহত গ্রাম পুলিশ হারুন খান মুঠোফোনে বলেন, বাচ্চু মৃধা, কবির মৃধা ও মাসুম মৃধাসহ ২০ থেকে ২৫ জন সন্ত্রাসী দীর্ঘদিন ধরে গরু চুরি ও মাদকের সঙ্গে জড়িত। কে বা কারা পুলিশকে এ তথ্য দিয়েছে সে জন্য আমাকে সন্দেহ করে মারধর করে হাত ভেঙে দিয়েছে। আমাকে বাঁচাতে আসায় আমার ভাতিজা রুবেলকেও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে এবং কুপিয়ে হাত ভেঙে দিয়েছে। আমি এ ঘটনার জড়িত সকলের বিচার চাই। 

তবে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে অভিযুক্ত বাচ্চু মৃধার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। 

তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, গ্রাম পুলিশ হারুন খানের বড় ভাই হানিফ খান বাদী হয়ে ১৪ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন। আরও ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি রয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য চেষ্টা চলছে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত