Ajker Patrika

মরা গরুর মাংস ফেলে পালালেন কসাই

ভোলা প্রতিনিধি
মরা গরুর মাংস ফেলে পালালেন কসাই

ভোলার চরফ্যাশনে মৃত গরুর মাংস ফেলে পালিয়েছেন এক কসাই। আজ মঙ্গলবার সকালে মাংস বাজার সংলগ্ন পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের হাবিবুর রহমান দফাদার বাড়ির দরজা থেকে এসব মাংস জব্দ করে চরফ্যাশন থানা পুলিশ।

এলাকাবাসী ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের মতো সকালে মাংস বাজারে গরু জবাই শুরু হয়। সেখানে নোমান কসাইয়ের গরুটি ডাক্তারি পরীক্ষা-নিরীক্ষায় রোগাক্রান্ত ধরা পড়ে। গরুটি শোয়া থেকে উঠতেও পারছিল না। এ অবস্থায় সকালে গোপনে বাজার থেকে গরুটিকে সরিয়ে নেওয়া হয়। মুরগি ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম টিপু মিয়ার বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছালে গরুটি মারা যায়।

চরফ্যাশন শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আকতারুল আলম সামু বলেন, ‘সকালে ফোনকলে আমি মৃত গরু জবাইয়ের কথা জানতে পারি। পরে আমিসহ কয়েকজন সংবাদকর্মী ঘটনাস্থলে পৌঁছালে কসাই নোমান (৩৪), রায়হান (২৮), রাছেল (৩২) ও কবির (৩০) যন্ত্রপাতি ও জবাইকৃত গরুর মাংস ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌর মেয়র মোরশেদ মিয়াও পৌঁছান। থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ মরা গরুর মাংস জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়।’

কয়েকজন অসাধু কসাইয়ের কারণে মাংস বাজারের বদনাম হচ্ছে। এরাই বারবার অসুস্থ গরু জবাই করে মানুষকে খাওয়াচ্ছেন। এদের পৌরসভা থেকে লাইসেন্সও দেওয়া হয়নি। এমন ক্ষোভ প্রকাশ করে মাংস বাজারে গরুর জবাইয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মাওলানা আবু তাহের বলেন, ‘পশুডাক্তার গরুটিকে রোগাক্রান্ত চিহ্নিত করেন। তাই আমি গরুটি জবাই করিনি।’

চরফ্যাশন উপ-সহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আবু সাইদ বলেন, ‘নোমান কসাইয়ের গরুটি রোগাক্রান্ত। শোয়া অবস্থা থেকে উঠতে পারছিল না। পরে তারা গরুটিকে পাশের এলাকায় নিয়ে জবাই করে বলে শুনেছি।’

স্থানীরা বলেন, মরা ও রোগাক্রান্ত গরুটি গোপনে জবাই করে ফ্রিজে রেখে পরদিন ভালো গরুর মাংসের সঙ্গে মিশিয়ে বিক্রি করা হতো।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত