আমানুর রহমান রনি ও নাজমুল হাসান সাগর, ঢাকা
অবৈধভাবে সীমান্ত দিয়ে আসা ভারতীয় গরু জব্দ করার পর একটি নির্দিষ্ট স্থানে রাখে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। স্থায়ী ও অস্থায়ী এসব স্থানকে বলে খাটাল। এই খাটাল ভাড়া দেওয়ার কাজ করতেন আর্থিকভাবে অসচ্ছল নাসিরুদ্দীন ও রমজান। যশোর-বেনাপোল সীমান্ত এলাকার বিজিবি ক্যাম্পের আওতাধীন এসব খাটাল থেকে দু-একটি গরু সরিয়ে বিক্রি করতেন তাঁরা। এভাবে অপরাধে হাতেখড়ি হয়। একপর্যায়ে দুজনে জড়িয়ে পড়েন সীমান্তপথে চোরাচালানে। জড়িয়ে পড়েন সোনা চোরাচালান ও অবৈধ ডলার ব্যবসায়।
খাটালের আড়ালে চোরাচালান চালিয়ে যান নাসিরুদ্দীন ও রমজান। পরে তাঁদের সঙ্গী হন কুমিল্লার রেজাউল, রুহুল আমীন ও আনিসুর রহমান। সংঘবদ্ধ এই সোনা চোরাচালান চক্র গড়ে তুলে কয়েক বছরেই যশোর ও ঢাকায় অন্তত ১৫ কোটি টাকা মূল্যমানের জমি, বাড়ি-গাড়ি করেছেন দুজন।
এই চক্র সম্পর্কে অনুসন্ধান চালায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট। প্রাপ্ত প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে গত বছর যশোর কোতোয়ালি থানার একটি মানি লন্ডারিং মামলা করে সিআইডি। এরপর অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে পুলিশের মাধ্যমে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত সিআইডি) ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটকে তদন্তের দায়িত্ব দেন।
তদন্তসংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রাথমিক অনুসন্ধানে এই চক্রের সদস্যদের বিপুল সম্পদের হদিস পাওয়া গেছে। এটি তাঁদের আয়ের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। আলামতের সুরক্ষায় বিভিন্ন ব্যাংকের ৪৬টি হিসাব ফ্রিজ এবং প্রায় ১৫ কোটি টাকার স্থাবর সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে যশোর জেলার বিশেষ আদালতে আবেদন করলে তা মঞ্জুর করা হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের পরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘এরা একটি সংঘবদ্ধ সোনা চোরাচালান চক্র। আমরা প্রাথমিক অনুসন্ধানে নামে-বেনামে তাঁদের প্রায় ১৫ কোটি টাকার সম্পদের খোঁজ পেয়েছি। এ ছাড়া বিভিন্ন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠানের নামে ৪৬টি ব্যাংক হিসাবে তাঁরা বিপুল অঙ্কের টাকার লেনদেন করেছেন, যা তাঁদের আয়ের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। নাসিরুদ্দিন আর রমজান এই চক্রের মূল হোতা। তাঁরা একসময় জব্দ হওয়া চোরাই গরু রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করতেন।’
সিআইডি জানিয়েছে, এই চক্রের অন্যতম মূল হোতা মো. নাসিরুদ্দিন। তাঁর নিজ নামে যশোরের পুটখালী, বেনাপোল ও শার্শা এলাকায় দেড় একর জমি রয়েছে। এসব জমিতে আছে বাড়ি, গরুর খামার ও মার্কেট। স্থাবর এসব সম্পদের মোট দলিলমূল্যই ধরা হয়েছে ৫ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। এ ছাড়া স্ত্রী বিলকিচ খাতুনের নামে যশোরের ঝিকরগাছা ও পুটখালীতে কিনেছেন ২৫ শতাংশ জমি, যার দলিলমূল্য ৪৯ লাখ টাকা। ছোট ভাই ওলিয়ার রহমানের নামে আছে শার্শায় ৬৫ হাজার টাকার দশমিক ৪০ শতাংশ জমি।
চক্রের আরেক অন্যতম হোতা রমজান গাজীপুরের কালীগঞ্জে নাভানা রিয়েল এস্টেট লিমিটেডে একটি প্লট কিনেছেন কিস্তিতে। এ ছাড়া যশোর সদরে তাঁর নামে জমি আছে ১৪ দশমিক ৫২ শতাংশ। চলাফেরা করেন ২০১৭ মডেলের ১৫০০ সিসির একটি টয়োটা স্যালুন কারে। জমির দলিল মূল্যসহ তাঁর প্রায় ২ কোটি টাকা মূল্যমানের সম্পদের খোঁজ পেয়েছে সিআইডি।
নাসিরুদ্দিন ও রমজানের সোনা চোরাচালানের অন্যতম সহযোগী কুমিল্লার রেজাউল, রুহুল আমীন, আনিসুর রহমান ও যশোরের সেলিম আহমেদ, নাজমুল হোসেন। তাঁরা মূলত সোনার বাহক হিসেবে কাজ করেন বলে সিআইডির অনুসন্ধানে উঠে এসেছে। যশোরের সেলিম আনুমানিক ৩০ লাখ টাকা মূল্যের টয়োটা ২০১৭ মডেলের স্যালুন ১৫০০ সিসির কার হাঁকিয়ে বেড়ান। যশোর সদরে তাঁর নামে আছে ১৪ দশমিক ৬৭ শতাংশ জমি। রুহুল আমিন ও নাজমুল হোসেন হাঁকিয়ে বেড়ান একই মূল্যের একই ব্র্যান্ডের ২০১৩ মডেলের কার। আনিসুর রহমান চলাফেরা করেন নিবন্ধনহীন টয়োটা স্যালুন এক্সিয়ো ২০১৬ মডেলের গাড়িতে।
এই চক্রের মূল হোতা নাসিরুদ্দিন ও তাঁর স্ত্রী মোছা. বিলকিচ খাতুন, মো. সেলিম হোসেন ও নাজমুল হোসেন বর্তমানে কারাগারে। আরেক হোতা মো. রমজান আলী এবং সহযোগী মো. ওলিয়ার রহমান, রেজাউল করিম, রুহুল আমীন ও মোহাম্মদ আনিসুর রহমান পলাতক।
অবৈধভাবে সীমান্ত দিয়ে আসা ভারতীয় গরু জব্দ করার পর একটি নির্দিষ্ট স্থানে রাখে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। স্থায়ী ও অস্থায়ী এসব স্থানকে বলে খাটাল। এই খাটাল ভাড়া দেওয়ার কাজ করতেন আর্থিকভাবে অসচ্ছল নাসিরুদ্দীন ও রমজান। যশোর-বেনাপোল সীমান্ত এলাকার বিজিবি ক্যাম্পের আওতাধীন এসব খাটাল থেকে দু-একটি গরু সরিয়ে বিক্রি করতেন তাঁরা। এভাবে অপরাধে হাতেখড়ি হয়। একপর্যায়ে দুজনে জড়িয়ে পড়েন সীমান্তপথে চোরাচালানে। জড়িয়ে পড়েন সোনা চোরাচালান ও অবৈধ ডলার ব্যবসায়।
খাটালের আড়ালে চোরাচালান চালিয়ে যান নাসিরুদ্দীন ও রমজান। পরে তাঁদের সঙ্গী হন কুমিল্লার রেজাউল, রুহুল আমীন ও আনিসুর রহমান। সংঘবদ্ধ এই সোনা চোরাচালান চক্র গড়ে তুলে কয়েক বছরেই যশোর ও ঢাকায় অন্তত ১৫ কোটি টাকা মূল্যমানের জমি, বাড়ি-গাড়ি করেছেন দুজন।
এই চক্র সম্পর্কে অনুসন্ধান চালায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট। প্রাপ্ত প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে গত বছর যশোর কোতোয়ালি থানার একটি মানি লন্ডারিং মামলা করে সিআইডি। এরপর অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে পুলিশের মাধ্যমে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত সিআইডি) ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটকে তদন্তের দায়িত্ব দেন।
তদন্তসংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রাথমিক অনুসন্ধানে এই চক্রের সদস্যদের বিপুল সম্পদের হদিস পাওয়া গেছে। এটি তাঁদের আয়ের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। আলামতের সুরক্ষায় বিভিন্ন ব্যাংকের ৪৬টি হিসাব ফ্রিজ এবং প্রায় ১৫ কোটি টাকার স্থাবর সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে যশোর জেলার বিশেষ আদালতে আবেদন করলে তা মঞ্জুর করা হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের পরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘এরা একটি সংঘবদ্ধ সোনা চোরাচালান চক্র। আমরা প্রাথমিক অনুসন্ধানে নামে-বেনামে তাঁদের প্রায় ১৫ কোটি টাকার সম্পদের খোঁজ পেয়েছি। এ ছাড়া বিভিন্ন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠানের নামে ৪৬টি ব্যাংক হিসাবে তাঁরা বিপুল অঙ্কের টাকার লেনদেন করেছেন, যা তাঁদের আয়ের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। নাসিরুদ্দিন আর রমজান এই চক্রের মূল হোতা। তাঁরা একসময় জব্দ হওয়া চোরাই গরু রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করতেন।’
সিআইডি জানিয়েছে, এই চক্রের অন্যতম মূল হোতা মো. নাসিরুদ্দিন। তাঁর নিজ নামে যশোরের পুটখালী, বেনাপোল ও শার্শা এলাকায় দেড় একর জমি রয়েছে। এসব জমিতে আছে বাড়ি, গরুর খামার ও মার্কেট। স্থাবর এসব সম্পদের মোট দলিলমূল্যই ধরা হয়েছে ৫ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। এ ছাড়া স্ত্রী বিলকিচ খাতুনের নামে যশোরের ঝিকরগাছা ও পুটখালীতে কিনেছেন ২৫ শতাংশ জমি, যার দলিলমূল্য ৪৯ লাখ টাকা। ছোট ভাই ওলিয়ার রহমানের নামে আছে শার্শায় ৬৫ হাজার টাকার দশমিক ৪০ শতাংশ জমি।
চক্রের আরেক অন্যতম হোতা রমজান গাজীপুরের কালীগঞ্জে নাভানা রিয়েল এস্টেট লিমিটেডে একটি প্লট কিনেছেন কিস্তিতে। এ ছাড়া যশোর সদরে তাঁর নামে জমি আছে ১৪ দশমিক ৫২ শতাংশ। চলাফেরা করেন ২০১৭ মডেলের ১৫০০ সিসির একটি টয়োটা স্যালুন কারে। জমির দলিল মূল্যসহ তাঁর প্রায় ২ কোটি টাকা মূল্যমানের সম্পদের খোঁজ পেয়েছে সিআইডি।
নাসিরুদ্দিন ও রমজানের সোনা চোরাচালানের অন্যতম সহযোগী কুমিল্লার রেজাউল, রুহুল আমীন, আনিসুর রহমান ও যশোরের সেলিম আহমেদ, নাজমুল হোসেন। তাঁরা মূলত সোনার বাহক হিসেবে কাজ করেন বলে সিআইডির অনুসন্ধানে উঠে এসেছে। যশোরের সেলিম আনুমানিক ৩০ লাখ টাকা মূল্যের টয়োটা ২০১৭ মডেলের স্যালুন ১৫০০ সিসির কার হাঁকিয়ে বেড়ান। যশোর সদরে তাঁর নামে আছে ১৪ দশমিক ৬৭ শতাংশ জমি। রুহুল আমিন ও নাজমুল হোসেন হাঁকিয়ে বেড়ান একই মূল্যের একই ব্র্যান্ডের ২০১৩ মডেলের কার। আনিসুর রহমান চলাফেরা করেন নিবন্ধনহীন টয়োটা স্যালুন এক্সিয়ো ২০১৬ মডেলের গাড়িতে।
এই চক্রের মূল হোতা নাসিরুদ্দিন ও তাঁর স্ত্রী মোছা. বিলকিচ খাতুন, মো. সেলিম হোসেন ও নাজমুল হোসেন বর্তমানে কারাগারে। আরেক হোতা মো. রমজান আলী এবং সহযোগী মো. ওলিয়ার রহমান, রেজাউল করিম, রুহুল আমীন ও মোহাম্মদ আনিসুর রহমান পলাতক।
সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে ১ হাজার ৬৬৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ৯৭২ জন ও অন্যান্য ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছেন ৬৯৩ জন। আজ সোমবার পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর এ তথ্য জানান।
২ দিন আগেরাজধানীর মিরপুরে ছিনতাইয়ের ঘটনায় ইমরান খান সাকিব ওরফে শাকিল (৩৫) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে মিরপুর মডেল থানা-পুলিশ। ডিএমপি জানায়, শাকিল পেশাদার ছিনতাইকারী। গতকাল শুক্রবার সকাল ৬টা ১৫ মিনিটের দিকে গাজীপুরের পুবাইল থানার কুদাব পশ্চিমপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়...
১৮ এপ্রিল ২০২৫রাজধানীর খিলগাঁওয়ের তালতলায় ‘আপন কফি হাউসে’ তরুণীকে মারধরের ঘটনায় কফি হাউসের ব্যবস্থাপক (ম্যানেজার) আল আমিন ও কর্মচারী শুভ সূত্রধরকে এক দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাকিবুল হাসান এ আদেশ দেন।
১৫ এপ্রিল ২০২৫ক্যামেরার লেন্সে ধরা পড়ল অমানবিক দৃশ্য— মেয়েটিকে বেশ কিছুক্ষণ ধমকানো হলো। এরপর ঘাড় ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়। সে যেন মানুষ নয়, পথের ধুলো। এর মধ্যেই এক কর্মচারী হঠাৎ মোটা লাঠি নিয়ে আঘাত করে তাঁর ছোট্ট পায়ে। শিশুটি কাতরাতে কাতরাতে পাশের দুটি গাড়ির ফাঁকে আশ্রয় নেয়। কিন্তু নির্যাতন থামে না, সেই লাঠি আব
১৪ এপ্রিল ২০২৫