আজকের পত্রিকা ডেস্ক
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল শনিবার মেক্সিকো এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পণ্যের ওপর ৩০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন। এই দুটি দেশ আমেরিকার অন্যতম বড় বাণিজ্য অংশীদার।
গত জানুয়ারিতে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় ফেরার পর থেকে ট্রাম্পের শুল্ক নীতি বিশ্ব বাণিজ্যে বড় ধরনের অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে। এশিয়া ও আফ্রিকার দেশগুলোর বিভিন্ন হারে অতিরিক্ত আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন। এর প্রভাবে অনেক বিশ্লেষক আরেকটি মহামন্দার আশঙ্কা দেখছেন।
ট্রাম্প ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লিয়েনের কাছে লেখা একটি চিঠিতে বলেছেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্য ঘাটতি সত্ত্বেও আমরা একসঙ্গে কাজ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে, এটি কেবল আরও ন্যায্য ও ভারসাম্যপূর্ণ বাণিজ্যের শর্তে হবে।’ এই চিঠি তিনি তাঁর ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট করেছেন।
ট্রাম্প চলতি বছর বিভিন্ন দেশের ওপর শুল্ক আরোপ করেছেন এবং সেগুলো পরিবর্তন, বাড়ানো বা কমানোর মাধ্যমে একটি অস্থিতিশীল নীতির চর্চা শুরু করেছেন। এমন আচরণ বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা বাড়িয়েছে। আগামী ১ আগস্ট থেকে ইইউ এবং মেক্সিকোর আমদানি পণ্যের ওপর নতুন শুল্ক কার্যকর হবে। ট্রাম্প জানিয়েছেন, এই শুল্কের হার সব পণ্যের জন্য ৩০ শতাংশ, তবে ‘খাতভিত্তিক শুল্ক’ যেমন গাড়ির যন্ত্রাংশে ২৫ শতাংশ শুল্ক এর বাইরে থাকবে।
ট্রাম্পের নতুন শুল্ক ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় ইইউ প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লিয়েন এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘ইইউ ১ আগস্টের মধ্যে একটি চুক্তির জন্য কাজ চালিয়ে যেতে প্রস্তুত।’ তবে তিনি সতর্ক করে বলেছেন, ৩০ শতাংশ শুল্ক ইইউ-এর রপ্তানির ওপর আরোপ করা হলে এটি উভয় পক্ষের সাপ্লাই চেইন, ব্যবসা এবং ভোক্তাদের ক্ষতি করবে। তিনি আরও বলেন, ‘ইইউ তার স্বার্থ রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেবে, প্রয়োজনে সমানুপাতিক প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ এক্স-এ পোস্ট করে বলেছেন, ‘ইউরোপীয় কমিশনকে ইউরোপীয় স্বার্থ দৃঢ়ভাবে রক্ষা করতে হবে। এর জন্য প্রয়োজনীয় পাল্টা ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে।’
ইইউর অন্য কর্মকর্তারাও ট্রাম্প প্রশাসনের এই শুল্ক নীতির বিরুদ্ধে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
এদিকে মেক্সিকোর পণ্য সাধারণত ইউএসএমসিএ (ইউনাইটেড স্টেটস-মেক্সিকো-কানাডা চুক্তি)-এর আওতায় শুল্কমুক্তভাবে আমেরিকায় প্রবেশ করতে পারে। তবে ট্রাম্প মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লদিয়া শেইনবাউমের কাছে লেখা চিঠিতে বলেছেন, এই শুল্ক আরোপের উদ্দেশ্য হলো ফেন্টানাইলের মাদকের প্রবাহ বন্ধ করা। তিনি আরও বলেন, ‘মেক্সিকো সীমান্ত সুরক্ষায় সহায়তা করছে, কিন্তু এটি যথেষ্ট নয়।’
মেক্সিকোর অর্থমন্ত্রী মার্সেলো এব্রার্দ এক্স-এ লিখেছেন, গত শুক্রবার মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে মেক্সিকোর প্রতিনিধি দল এই শুল্ক আরোপকে ‘অন্যায্য’ বলে অভিহিত করেছে। তবে উভয় দেশ ব্যবসা ও কর্মসংস্থান রক্ষায় বিকল্প সমাধানের জন্য আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রেসিডেন্ট শেইনবাউম বলেছেন, তিনি আশাবাদী যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি চুক্তি এবং উন্নত বাণিজ্য শর্তে পৌঁছানো সম্ভব।
ট্রাম্প তাঁর চিঠিতে বলেছেন, মার্কিন আমদানির ওপর কোনো প্রতিশোধমূলক শুল্ক আরোপ করা হলে যুক্তরাষ্ট্রও পাল্টা ব্যবস্থা নেবে। তিনি বলেন, ‘আপনারা যত শতাংশ শুল্ক বাড়াবেন, আমরা আমাদের ৩০ শতাংশ শুল্কের সঙ্গে তত শতাংশ যোগ করব।’ তিনি শুল্ক এবং অ-শুল্ক বাণিজ্য বাধাকে এই নীতির জন্য দায়ী করেছেন।
ইইউর কিছু সদস্য দেশে প্রচলিত ডিজিটাল সার্ভিস ট্যাক্স এবং ভ্যালু-অ্যাডেড ট্যাক্সের বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসন বিশেষভাবে ক্ষুব্ধ। এই করগুলো অনলাইন কোম্পানিগুলোর আয়ের ওপর আরোপ করা হয়, যা ট্রাম্প প্রশাসনের মতে, ইইউর পক্ষ থেকে সৎভাবে আলোচনার অনাগ্রহ প্রকাশ করে।
মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে ইইউ আমেরিকার সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার, যার সঙ্গে প্রায় ৯৭৬ বিলিয়ন ডলারের দ্বিমুখী পণ্য বাণিজ্য হয়েছে। মেক্সিকোর সঙ্গে ৮৪০ বিলিয়ন ডলার এবং কানাডার সঙ্গে ৭৬২ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য হয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল শনিবার মেক্সিকো এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পণ্যের ওপর ৩০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন। এই দুটি দেশ আমেরিকার অন্যতম বড় বাণিজ্য অংশীদার।
গত জানুয়ারিতে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় ফেরার পর থেকে ট্রাম্পের শুল্ক নীতি বিশ্ব বাণিজ্যে বড় ধরনের অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে। এশিয়া ও আফ্রিকার দেশগুলোর বিভিন্ন হারে অতিরিক্ত আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন। এর প্রভাবে অনেক বিশ্লেষক আরেকটি মহামন্দার আশঙ্কা দেখছেন।
ট্রাম্প ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লিয়েনের কাছে লেখা একটি চিঠিতে বলেছেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্য ঘাটতি সত্ত্বেও আমরা একসঙ্গে কাজ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে, এটি কেবল আরও ন্যায্য ও ভারসাম্যপূর্ণ বাণিজ্যের শর্তে হবে।’ এই চিঠি তিনি তাঁর ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট করেছেন।
ট্রাম্প চলতি বছর বিভিন্ন দেশের ওপর শুল্ক আরোপ করেছেন এবং সেগুলো পরিবর্তন, বাড়ানো বা কমানোর মাধ্যমে একটি অস্থিতিশীল নীতির চর্চা শুরু করেছেন। এমন আচরণ বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা বাড়িয়েছে। আগামী ১ আগস্ট থেকে ইইউ এবং মেক্সিকোর আমদানি পণ্যের ওপর নতুন শুল্ক কার্যকর হবে। ট্রাম্প জানিয়েছেন, এই শুল্কের হার সব পণ্যের জন্য ৩০ শতাংশ, তবে ‘খাতভিত্তিক শুল্ক’ যেমন গাড়ির যন্ত্রাংশে ২৫ শতাংশ শুল্ক এর বাইরে থাকবে।
ট্রাম্পের নতুন শুল্ক ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় ইইউ প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লিয়েন এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘ইইউ ১ আগস্টের মধ্যে একটি চুক্তির জন্য কাজ চালিয়ে যেতে প্রস্তুত।’ তবে তিনি সতর্ক করে বলেছেন, ৩০ শতাংশ শুল্ক ইইউ-এর রপ্তানির ওপর আরোপ করা হলে এটি উভয় পক্ষের সাপ্লাই চেইন, ব্যবসা এবং ভোক্তাদের ক্ষতি করবে। তিনি আরও বলেন, ‘ইইউ তার স্বার্থ রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেবে, প্রয়োজনে সমানুপাতিক প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ এক্স-এ পোস্ট করে বলেছেন, ‘ইউরোপীয় কমিশনকে ইউরোপীয় স্বার্থ দৃঢ়ভাবে রক্ষা করতে হবে। এর জন্য প্রয়োজনীয় পাল্টা ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে।’
ইইউর অন্য কর্মকর্তারাও ট্রাম্প প্রশাসনের এই শুল্ক নীতির বিরুদ্ধে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
এদিকে মেক্সিকোর পণ্য সাধারণত ইউএসএমসিএ (ইউনাইটেড স্টেটস-মেক্সিকো-কানাডা চুক্তি)-এর আওতায় শুল্কমুক্তভাবে আমেরিকায় প্রবেশ করতে পারে। তবে ট্রাম্প মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লদিয়া শেইনবাউমের কাছে লেখা চিঠিতে বলেছেন, এই শুল্ক আরোপের উদ্দেশ্য হলো ফেন্টানাইলের মাদকের প্রবাহ বন্ধ করা। তিনি আরও বলেন, ‘মেক্সিকো সীমান্ত সুরক্ষায় সহায়তা করছে, কিন্তু এটি যথেষ্ট নয়।’
মেক্সিকোর অর্থমন্ত্রী মার্সেলো এব্রার্দ এক্স-এ লিখেছেন, গত শুক্রবার মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে মেক্সিকোর প্রতিনিধি দল এই শুল্ক আরোপকে ‘অন্যায্য’ বলে অভিহিত করেছে। তবে উভয় দেশ ব্যবসা ও কর্মসংস্থান রক্ষায় বিকল্প সমাধানের জন্য আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রেসিডেন্ট শেইনবাউম বলেছেন, তিনি আশাবাদী যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি চুক্তি এবং উন্নত বাণিজ্য শর্তে পৌঁছানো সম্ভব।
ট্রাম্প তাঁর চিঠিতে বলেছেন, মার্কিন আমদানির ওপর কোনো প্রতিশোধমূলক শুল্ক আরোপ করা হলে যুক্তরাষ্ট্রও পাল্টা ব্যবস্থা নেবে। তিনি বলেন, ‘আপনারা যত শতাংশ শুল্ক বাড়াবেন, আমরা আমাদের ৩০ শতাংশ শুল্কের সঙ্গে তত শতাংশ যোগ করব।’ তিনি শুল্ক এবং অ-শুল্ক বাণিজ্য বাধাকে এই নীতির জন্য দায়ী করেছেন।
ইইউর কিছু সদস্য দেশে প্রচলিত ডিজিটাল সার্ভিস ট্যাক্স এবং ভ্যালু-অ্যাডেড ট্যাক্সের বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসন বিশেষভাবে ক্ষুব্ধ। এই করগুলো অনলাইন কোম্পানিগুলোর আয়ের ওপর আরোপ করা হয়, যা ট্রাম্প প্রশাসনের মতে, ইইউর পক্ষ থেকে সৎভাবে আলোচনার অনাগ্রহ প্রকাশ করে।
মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে ইইউ আমেরিকার সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার, যার সঙ্গে প্রায় ৯৭৬ বিলিয়ন ডলারের দ্বিমুখী পণ্য বাণিজ্য হয়েছে। মেক্সিকোর সঙ্গে ৮৪০ বিলিয়ন ডলার এবং কানাডার সঙ্গে ৭৬২ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য হয়েছে।
দেশে সোনার দাম ক্রমেই বাড়ছে। প্রায় প্রতিদিন গড়ছে নতুন রেকর্ড। আন্তর্জাতিক বাজারে ঊর্ধ্বগতি, ডলার-সংকট ও আমদানির জটিলতা প্রভাব ফেলছে স্থানীয় বাজারে। ক্রেতারা আগ্রহ হারাচ্ছেন। ফলে বিপাকে পড়েছেন জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা।
১৪ মিনিট আগেব্যাংক খাতে অস্থিরতা, দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ থাকলেও সুদের হার বেড়ে যাওয়ায় আমানতে নতুন করে সাড়া মিলেছে। চলতি বছরের এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে মাত্র তিন মাসে ব্যাংকে জমা বেড়েছে ৭৩ হাজার কোটি টাকা, যা প্রবৃদ্ধির হারে দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৮ শতাংশ।
৫ ঘণ্টা আগেকরপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) কর্মসূচির অংশ হিসেবে শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি কুমিল্লার মুরাদনগরের হতদরিদ্র কৃষক ও রিকশাচালক মো. মেহেদী হাসানকে স্ত্রী ও সন্তানের চিকিৎসার জন্য ৫ লাখ টাকার আর্থিক সহায়তা দিয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক (বিকেবি) ও স্পেনভিত্তিক ল্যাটিন ট্রাভেল মানি ট্রান্সফার এস.এর মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বোর্ডরুমে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়।
১৩ ঘণ্টা আগে