অনলাইন ডেস্ক
নানা নাটকীয়তার পর গতকাল মঙ্গলবার প্রতিবেশী কানাডা ও মেক্সিকোর ওপর কার্যকর হলো ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতি। শুল্ক ইস্যুতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের এমন বেপরোয়া সিদ্ধান্তে মার্কিন বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির বিশ্লেষণ বলছে, কানাডা-মেক্সিকো-চীনের ওপর ট্রাম্পের শুল্কারোপ গত ৭০ বছরের বিশ্বায়নের অগ্রগতিকে পিছিয়ে দেবে কয়েক ধাপ। যদিও ট্রাম্প বলছেন, নতুন এই শুল্কনীতিতে যুক্তরাষ্ট্র লাভবান হবে।
তবে ইতিহাস বলছে, বাণিজ্য যুদ্ধে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় মার্কিন ভোক্তারাই।
ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতির ফলে আমদানি করা পণ্যের ওপর চড়া কর দিতে হবে মার্কিনিদের; যা ১৯৩০–এর দশকে পর সর্বোচ্চ। মেক্সিকো থেকে সবজি, কানাডা থেকে গম, চীন থেকে খেলনা ও টি–শার্ট আমদানির ওপর আরোপিত হবে ট্রাম্পের ঐতিহাসিক এই শুল্ক। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এ ধরনের পণ্যের খুচরা বিক্রেতাদের লাভের মার্জিন খুবই কম হওয়ায়, শুল্কের কারণে বাড়তি খরচ পুষিয়ে নিতে দাম বাড়াবে তারা। এর ফলে, অতিরিক্ত দাম দিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে হবে মার্কিনদের।
এর আগে নিজের প্রথম মেয়াদেও দক্ষিণ কোরীয় প্রতিষ্ঠান স্যামসাং ও এলজির বিরুদ্ধে শুল্ক আরোপ করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের অতিরিক্ত শুল্ক মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রেই কারখানা স্থাপন করে প্রতিষ্ঠান দুটি। যাতে প্রায় ২ হাজার মার্কিনের কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছিল। কিন্তু, শুল্কের কারণে প্রতিষ্ঠান দু’টি থেকে একটি ওয়াশিং মেশিন কিনতে প্রায় ৩০ শতাংশ বেশি দাম গুনতে হয়েছে দেশটির মানুষকে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, শুল্কের কারণে সৃষ্ট প্রতিটি কর্মসংস্থানে জন্য আমেরিকানদের গড়ে ৮ লাখ ডলার ব্যয় করতে হয়েছে।
অর্থনীতিবিদরা আরও বলছেন, প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে পণ্য আমদানিতে প্রতি আমেরিকান পরিবারের জন্য বছরে প্রায় ৩০০ ডলার করের বোঝা সৃষ্টি করছে। শুধু তা–ই নয়, এই শুল্কের কারণে এক শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারে মার্কিন প্রবৃদ্ধি; যা দেশটির অর্থনীতিকে নিশ্চিত মন্দার দিকে ঠেলে না দিলেও ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
যেসব দেশে শুল্কারোপ করা হয়েছে সেসব দেশও পড়তে যাচ্ছে বিপাকে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হবে কানাডা। কারণ দেশটির প্রায় ৪০০ বিলিয়ন বা ৪০ হাজার কোটি ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি হয় আমেরিকায়, যা তাদের মোট আয়ের এক-পঞ্চমাংশ।
তবে, ট্রাম্পের এই শুল্কনীতি বর হতে পারে কোনো কোনো দেশের জন্য—এমনটাও বলছেন বিশ্লেষকেরা। এর আগে শুল্ক যুদ্ধের সময় চীনের বাজার দখল করে ব্যাপক লাভবান হয়েছিল ভিয়েতনাম ও মালয়েশিয়া। এবারও ঘটতে পারে তেমন কিছু। তা ছাড়া, যুক্তরাজ্যকে শুল্ক ইস্যুতে ছাড় দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। যদি দেশটিকে শুল্কনীতির বাইরে রাখা হয় তাহলে যুক্তরাষ্ট্র–যুক্তরাজ্য বাণিজ্য সম্পর্কের যে আরও উন্নতি হবে তা সহজেই অনুমেয়।
নানা নাটকীয়তার পর গতকাল মঙ্গলবার প্রতিবেশী কানাডা ও মেক্সিকোর ওপর কার্যকর হলো ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতি। শুল্ক ইস্যুতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের এমন বেপরোয়া সিদ্ধান্তে মার্কিন বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির বিশ্লেষণ বলছে, কানাডা-মেক্সিকো-চীনের ওপর ট্রাম্পের শুল্কারোপ গত ৭০ বছরের বিশ্বায়নের অগ্রগতিকে পিছিয়ে দেবে কয়েক ধাপ। যদিও ট্রাম্প বলছেন, নতুন এই শুল্কনীতিতে যুক্তরাষ্ট্র লাভবান হবে।
তবে ইতিহাস বলছে, বাণিজ্য যুদ্ধে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় মার্কিন ভোক্তারাই।
ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতির ফলে আমদানি করা পণ্যের ওপর চড়া কর দিতে হবে মার্কিনিদের; যা ১৯৩০–এর দশকে পর সর্বোচ্চ। মেক্সিকো থেকে সবজি, কানাডা থেকে গম, চীন থেকে খেলনা ও টি–শার্ট আমদানির ওপর আরোপিত হবে ট্রাম্পের ঐতিহাসিক এই শুল্ক। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এ ধরনের পণ্যের খুচরা বিক্রেতাদের লাভের মার্জিন খুবই কম হওয়ায়, শুল্কের কারণে বাড়তি খরচ পুষিয়ে নিতে দাম বাড়াবে তারা। এর ফলে, অতিরিক্ত দাম দিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে হবে মার্কিনদের।
এর আগে নিজের প্রথম মেয়াদেও দক্ষিণ কোরীয় প্রতিষ্ঠান স্যামসাং ও এলজির বিরুদ্ধে শুল্ক আরোপ করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের অতিরিক্ত শুল্ক মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রেই কারখানা স্থাপন করে প্রতিষ্ঠান দুটি। যাতে প্রায় ২ হাজার মার্কিনের কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছিল। কিন্তু, শুল্কের কারণে প্রতিষ্ঠান দু’টি থেকে একটি ওয়াশিং মেশিন কিনতে প্রায় ৩০ শতাংশ বেশি দাম গুনতে হয়েছে দেশটির মানুষকে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, শুল্কের কারণে সৃষ্ট প্রতিটি কর্মসংস্থানে জন্য আমেরিকানদের গড়ে ৮ লাখ ডলার ব্যয় করতে হয়েছে।
অর্থনীতিবিদরা আরও বলছেন, প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে পণ্য আমদানিতে প্রতি আমেরিকান পরিবারের জন্য বছরে প্রায় ৩০০ ডলার করের বোঝা সৃষ্টি করছে। শুধু তা–ই নয়, এই শুল্কের কারণে এক শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারে মার্কিন প্রবৃদ্ধি; যা দেশটির অর্থনীতিকে নিশ্চিত মন্দার দিকে ঠেলে না দিলেও ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
যেসব দেশে শুল্কারোপ করা হয়েছে সেসব দেশও পড়তে যাচ্ছে বিপাকে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হবে কানাডা। কারণ দেশটির প্রায় ৪০০ বিলিয়ন বা ৪০ হাজার কোটি ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি হয় আমেরিকায়, যা তাদের মোট আয়ের এক-পঞ্চমাংশ।
তবে, ট্রাম্পের এই শুল্কনীতি বর হতে পারে কোনো কোনো দেশের জন্য—এমনটাও বলছেন বিশ্লেষকেরা। এর আগে শুল্ক যুদ্ধের সময় চীনের বাজার দখল করে ব্যাপক লাভবান হয়েছিল ভিয়েতনাম ও মালয়েশিয়া। এবারও ঘটতে পারে তেমন কিছু। তা ছাড়া, যুক্তরাজ্যকে শুল্ক ইস্যুতে ছাড় দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। যদি দেশটিকে শুল্কনীতির বাইরে রাখা হয় তাহলে যুক্তরাষ্ট্র–যুক্তরাজ্য বাণিজ্য সম্পর্কের যে আরও উন্নতি হবে তা সহজেই অনুমেয়।
আইএমএফ বাংলাদেশকে যে ঋণ দিয়েছে, তার শর্তগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ কমানো ও সুশাসন নিশ্চিত করা। কিন্তু বাস্তবে ঠিক উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে। তিন বছর আগে দেশে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ২০ হাজার ৬৫৭ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৭ দশমিক ২৪ শতাংশ ছিল। কিন্তু ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে খেলাপি ঋণ
৫ ঘণ্টা আগেকেনাকাটার অভিজ্ঞতায় নতুন মাত্রা যোগ করতে দারাজ বাংলাদেশ চালু করেছে ‘চয়েস’— নামে একটি বিশেষ শপিং চ্যানেল। যেখানে গ্রাহকেরা পাবেন উন্নত মানের বাছাইকৃত পণ্য, দ্রুত ডেলিভারি, এবং এক্সক্লুসিভ ডিল।
৭ ঘণ্টা আগেউত্তরবঙ্গের অন্যতম বৃহৎ নৌবন্দর সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ী নৌবন্দর, যা দেশের নৌপরিবহন-ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত হয়। প্রতিদিন চট্টগ্রাম, খুলনা, মোংলা এবং অন্যান্য নৌবন্দর থেকে সার, কয়লা, পাথর, সিমেন্ট, জ্বালানি তেলসহ বিভিন্ন পণ্যবাহী জাহাজ এখানে নোঙর করে। তবে শুকনো মৌসুম এলেই নাব্য
৭ ঘণ্টা আগেব্যাংক এশিয়া পিএলসি নানা কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে গত সোমবার (৩ মার্চ) আর্থিক সাক্ষরতা দিবস— ২০২৫ পালন করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুসরণ করে দিনটি পালন উপলক্ষে দেশব্যাপী ব্যাংকের এজেন্ট, মাঠকর্মী ও শাখা কর্মকর্তাদের সংযুক্ত করে আর্থিক সাক্ষরতা বিষয়ক একটি অনলাইন মিটিংয়ের আয়োজন করা হয়।
৭ ঘণ্টা আগে