অনলাইন ডেস্ক
আগামী ১ আগস্টের মধ্যে চুক্তিতে না পৌঁছাতে পারলে এক ডজনেরও বেশি দেশের ওপর বড় ধরনের শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দ্বিতীয় দফায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর যে বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু করেছেন ট্রাম্প, তারই নতুন ধাপ এই হুঁশিয়ারি।
গত এপ্রিলে বিশ্বজুড়ে কয়েক ডজন দেশের পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ বেসলাইন শুল্ক ধরে বিভিন্ন হারে ‘অতিরিক্ত শুল্ক’ ঘোষণা করেন ট্রাম্প। পরে, আলোচনার সুযোগ রেখে ৯০ দিন পেছানো হয় কার্যকরের সময়সীমা। আগামীকাল ৯ জুলাই ৯০ দিনের ওই সময়সীমা শেষ হবে। তবে, সেই সময়সীমা আরও বাড়িয়ে আগামী ১ আগস্ট করেছেন ট্রাম্প। এর মধ্যে চুক্তিতে পৌঁছাতে ব্যর্থ হলে নতুন শুল্ক কার্যকর হবে।
তবে, ট্রাম্প প্রশাসন শুরুতে যে ৯০ দিনে ৯০টি চুক্তি করার ঘোষণা দিয়েছিল, তা বাস্তবায়ন থেকে এখনো অনেক দূরে রয়েছে। এত দিনে কেবল দুটি দেশ (ভিয়েতনাম ও যুক্তরাজ্য) চুক্তিতে পৌঁছাতে পেরেছে।
গতকাল সোমবার ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশ, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়াসহ ১৪টি দেশকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন, যদি তারা দ্রুত কোনো বাণিজ্য চুক্তি না করে, তাহলে আগস্ট থেকে তাদের রপ্তানি পণ্যের ওপর কমপক্ষে ২৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর করা হবে। যদি কোনো দেশ পাল্টা শুল্ক দেয় অথবা অন্য দেশের হয়ে পণ্য পাঠিয়ে শুল্ক এড়াতে চায়, তাহলে শুল্কের হার আরও বাড়ানো হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
কয়েক মাস ধরে আলোচনা চললেও এখনো স্পষ্ট নয় কোন কোন দেশ এই বাড়তি শুল্ক এড়াতে পারবে। তার ওপর ট্রাম্পের এই ঘোষণার পর বিশ্বজুড়ে নতুন করে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। নতুন এই ঘোষণায় দক্ষিণ কোরিয়ার ওপর আরোপিত শুল্কের হার (২৫ শতাংশ) আগের মতোই রয়েছে। তবে, জাপানের জন্য এপ্রিলের ঘোষণার (২৫ শতাংশ) চেয়ে ১ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে।
এবারের ঘোষণায় ১৪টি দেশের রপ্তানি পণ্যে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের কথা বলেছেন ট্রাম্প। প্রাথমিক তালিকায় থাকা দেশগুলো হলো—জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, কাজাখস্তান, লাওস, মিয়ানমার, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, সার্বিয়া, কম্বোডিয়া, বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, তিউনিসিয়া এবং থাইল্যান্ড। এর মধ্যে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার ক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হবে, যেখানে থাইল্যান্ডের জন্য ৩৬ শতাংশ এবং বাংলাদেশের জন্য ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ হতে পারে।
ট্রাম্পের এবারের ঘোষণায় বিশেষভাবে এশিয়ার দেশগুলোকে টার্গেট করা হয়েছে। ট্রাম্পের অভিযোগ, এশিয়ার অনেক দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ‘অন্যায্য বাণিজ্য ঘাটতি’ তৈরি করে রেখেছে—অর্থাৎ তারা যুক্তরাষ্ট্রে অনেক পণ্য রপ্তানি করলেও, যুক্তরাষ্ট্র থেকে খুব কম পণ্য আমদানি করে। এই কারণ দেখিয়ে তিনি এসব দেশের ওপর সবচেয়ে কঠোর শুল্ক বসিয়েছেন।
তবে বিশ্লেষকদের মতে, এই হিসাবের প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ। তাঁদের ধারণা, প্রকৃতপক্ষে ট্রাম্প সম্ভবত চীনকে চাপে ফেলতে চাচ্ছেন। আর সে জন্য তিনি এমন দেশগুলোকে টার্গেট করছেন, যেগুলো চীনের বড় বিনিয়োগ পায়।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশ, যারা ২০২৪ সালে বিশ্ব অর্থনীতিতে ৭ দশমিক ২ শতাংশ অবদান রেখেছে, এসব দেশ পোশাক, ফুটওয়্যার ও অন্যান্য পণ্যের প্রধান উৎপাদনকেন্দ্র। ফলে এই শুল্ক আরোপে তারা বড় ক্ষতির মুখে পড়বে। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের ভোক্তাদের জন্যও এসব পণ্য ব্যয়বহুল হয়ে পড়বে।
ট্রাম্পের বাণিজ্য নীতির কারণে বিশ্ববাজারে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারেও বড় পতন দেখা দিয়েছে। এসঅ্যান্ডপি ৫০০ নামক বড় শেয়ার সূচক ০ দশমিক ৮ শতাংশ কমেছে, যা গত তিন সপ্তাহের মধ্যে সবচেয়ে বড় পতন। আমেরিকায় লিস্টেড জাপানি গাড়ি কোম্পানি টয়োটার শেয়ার দাম ৪ শতাংশ এবং হোন্ডার শেয়ার দাম ৩ দশমিক ৯ শতাংশ কমে গেছে।
অপরদিকে, চলতি বছরের প্রথমার্ধে মার্কিন ডলারের মূল্য যত কমেছে, তা গত ৫০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় পতন।
আগামী ১ আগস্টের মধ্যে চুক্তিতে না পৌঁছাতে পারলে এক ডজনেরও বেশি দেশের ওপর বড় ধরনের শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দ্বিতীয় দফায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর যে বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু করেছেন ট্রাম্প, তারই নতুন ধাপ এই হুঁশিয়ারি।
গত এপ্রিলে বিশ্বজুড়ে কয়েক ডজন দেশের পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ বেসলাইন শুল্ক ধরে বিভিন্ন হারে ‘অতিরিক্ত শুল্ক’ ঘোষণা করেন ট্রাম্প। পরে, আলোচনার সুযোগ রেখে ৯০ দিন পেছানো হয় কার্যকরের সময়সীমা। আগামীকাল ৯ জুলাই ৯০ দিনের ওই সময়সীমা শেষ হবে। তবে, সেই সময়সীমা আরও বাড়িয়ে আগামী ১ আগস্ট করেছেন ট্রাম্প। এর মধ্যে চুক্তিতে পৌঁছাতে ব্যর্থ হলে নতুন শুল্ক কার্যকর হবে।
তবে, ট্রাম্প প্রশাসন শুরুতে যে ৯০ দিনে ৯০টি চুক্তি করার ঘোষণা দিয়েছিল, তা বাস্তবায়ন থেকে এখনো অনেক দূরে রয়েছে। এত দিনে কেবল দুটি দেশ (ভিয়েতনাম ও যুক্তরাজ্য) চুক্তিতে পৌঁছাতে পেরেছে।
গতকাল সোমবার ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশ, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়াসহ ১৪টি দেশকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন, যদি তারা দ্রুত কোনো বাণিজ্য চুক্তি না করে, তাহলে আগস্ট থেকে তাদের রপ্তানি পণ্যের ওপর কমপক্ষে ২৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর করা হবে। যদি কোনো দেশ পাল্টা শুল্ক দেয় অথবা অন্য দেশের হয়ে পণ্য পাঠিয়ে শুল্ক এড়াতে চায়, তাহলে শুল্কের হার আরও বাড়ানো হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
কয়েক মাস ধরে আলোচনা চললেও এখনো স্পষ্ট নয় কোন কোন দেশ এই বাড়তি শুল্ক এড়াতে পারবে। তার ওপর ট্রাম্পের এই ঘোষণার পর বিশ্বজুড়ে নতুন করে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। নতুন এই ঘোষণায় দক্ষিণ কোরিয়ার ওপর আরোপিত শুল্কের হার (২৫ শতাংশ) আগের মতোই রয়েছে। তবে, জাপানের জন্য এপ্রিলের ঘোষণার (২৫ শতাংশ) চেয়ে ১ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে।
এবারের ঘোষণায় ১৪টি দেশের রপ্তানি পণ্যে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের কথা বলেছেন ট্রাম্প। প্রাথমিক তালিকায় থাকা দেশগুলো হলো—জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, কাজাখস্তান, লাওস, মিয়ানমার, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, সার্বিয়া, কম্বোডিয়া, বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, তিউনিসিয়া এবং থাইল্যান্ড। এর মধ্যে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার ক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হবে, যেখানে থাইল্যান্ডের জন্য ৩৬ শতাংশ এবং বাংলাদেশের জন্য ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ হতে পারে।
ট্রাম্পের এবারের ঘোষণায় বিশেষভাবে এশিয়ার দেশগুলোকে টার্গেট করা হয়েছে। ট্রাম্পের অভিযোগ, এশিয়ার অনেক দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ‘অন্যায্য বাণিজ্য ঘাটতি’ তৈরি করে রেখেছে—অর্থাৎ তারা যুক্তরাষ্ট্রে অনেক পণ্য রপ্তানি করলেও, যুক্তরাষ্ট্র থেকে খুব কম পণ্য আমদানি করে। এই কারণ দেখিয়ে তিনি এসব দেশের ওপর সবচেয়ে কঠোর শুল্ক বসিয়েছেন।
তবে বিশ্লেষকদের মতে, এই হিসাবের প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ। তাঁদের ধারণা, প্রকৃতপক্ষে ট্রাম্প সম্ভবত চীনকে চাপে ফেলতে চাচ্ছেন। আর সে জন্য তিনি এমন দেশগুলোকে টার্গেট করছেন, যেগুলো চীনের বড় বিনিয়োগ পায়।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশ, যারা ২০২৪ সালে বিশ্ব অর্থনীতিতে ৭ দশমিক ২ শতাংশ অবদান রেখেছে, এসব দেশ পোশাক, ফুটওয়্যার ও অন্যান্য পণ্যের প্রধান উৎপাদনকেন্দ্র। ফলে এই শুল্ক আরোপে তারা বড় ক্ষতির মুখে পড়বে। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের ভোক্তাদের জন্যও এসব পণ্য ব্যয়বহুল হয়ে পড়বে।
ট্রাম্পের বাণিজ্য নীতির কারণে বিশ্ববাজারে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারেও বড় পতন দেখা দিয়েছে। এসঅ্যান্ডপি ৫০০ নামক বড় শেয়ার সূচক ০ দশমিক ৮ শতাংশ কমেছে, যা গত তিন সপ্তাহের মধ্যে সবচেয়ে বড় পতন। আমেরিকায় লিস্টেড জাপানি গাড়ি কোম্পানি টয়োটার শেয়ার দাম ৪ শতাংশ এবং হোন্ডার শেয়ার দাম ৩ দশমিক ৯ শতাংশ কমে গেছে।
অপরদিকে, চলতি বছরের প্রথমার্ধে মার্কিন ডলারের মূল্য যত কমেছে, তা গত ৫০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় পতন।
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন নির্ধারিত ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ হলে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে মোট শুল্ক দাঁড়াবে প্রায় ৫০ শতাংশ। মার্কিন উচ্চ শুল্ক এই খাতের জন্য বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি করবে। এর ফলে অনেক পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে মনে করেন তৈরি পোশাকশিল্পে
২১ মিনিট আগেএবার মাদারীপুরে চালু হলো সনি-স্মার্টের ৩০তম শোরুম। ফলে মাদারীপুর সদর এবং সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের হাতের নাগালে এল জাপানের বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ড সনির জেনুইন ইলেকট্রনিক পণ্য ও সংশ্লিষ্ট পরিষেবা।
১ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক নীতির কারণে ভারতের স্টিল ও অ্যালুমিনিয়াম শিল্প বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে ছোট ও মাঝারি যেসব শিল্প ইউনিট বিদেশে রপ্তানিকারকদের ওপর নির্ভরশীল, তাদের অবস্থা এখন সবচেয়ে করুণ।
১ ঘণ্টা আগেদেশের আউটডোর বিজ্ঞাপন খাতে প্রথমবারের মতো অডিয়েন্স মেজারমেন্ট ও মনিটরিং প্ল্যাটফর্ম নিয়ে এসেছে ব্রেইনকাউন্ট। এ প্রযুক্তিনির্ভর উদ্যোগের মাধ্যমে বিলবোর্ড বিজ্ঞাপনের কার্যকারিতা নিয়মিতভাবে পরিমাপ করা যাবে, যা ব্র্যান্ড ও এজেন্সিগুলোকে দ্রুত ও তথ্যভিত্তিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করবে।
২ ঘণ্টা আগে