
২০২১ সালের জুন মাস। করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর ব্যবসা সামলাচ্ছিলেন ভারতের তিরুপ্পুর-ভিত্তিক টেকনো স্পোর্টসওয়্যার প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুনীল ঝুঞ্জুনওয়ালা। হঠাৎ তিনি লক্ষ্য করেন, পোন্ডিচেরির খুচরা বিক্রেতাদের কাছে কোম্পানিটির ‘রাউন্ড-নেক ফুল-স্লিভ’ পলিয়েস্টার টি-শার্টের চাহিদা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে। তিনি সরবরাহ বাড়ালেন, সেগুলো অল্প সময়ের মধ্যেই বিক্রি হয়ে গেল। এরপর তিনি বুঝতে পারলেন, এই টি-শার্টগুলো বিশেষ একধরনের ক্রেতার কাছেই বেশি চাহিদাসম্পন্ন— আর তাঁরা হলেন মৎস্যজীবী।
মহামারির সময় তুলার পোশাকের দাম বেড়ে যাওয়ায় মৎস্যজীবীরা পলিয়েস্টারের দিকে ঝোঁকেন। পলিয়েস্টার শুধু সস্তাই নয়, দ্রুত শুকিয়ে যায়। টেকনো স্পোর্টসওয়্যারের টি-শার্টগুলো অতিবেগুনি রশ্মি থেকেও সুরক্ষা দেয় এবং অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল হওয়ায় সমুদ্রে কয়েক দিন থাকলেও দুর্গন্ধ ছড়ায় না। ফলে দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এই টি-শার্টগুলো।
অ্যাক্টিভউয়্যার বা খেলাধুলার পোশাক তৈরিতে ভারতের বৃহত্তম ঘরোয়া ব্র্যান্ডের পরিচালক ঝুঞ্জুনওয়ালা দাবি করেন, ‘আজকের দিনে কন্যাকুমারী থেকে চেন্নাই পর্যন্ত তিনজন মৎস্যজীবীর মধ্যে একজন আমাদের ব্র্যান্ডের পোশাক ব্যবহার করে।’
বিশ্বজুড়ে পলিয়েস্টার টি-শার্ট, ভিসকোস বা অন্যান্য সিনথেটিক ফাইবারের মিশ্রণে তৈরি পোশাকগুলো ‘ম্যান-মেড ফাইবার’ বা এমএমএফ নামে পরিচিত। এসব পোশাক ভারতে চল পেতে সময় লেগেছে। ভারত এখনো তুলার বাজারের ওপর নির্ভরশীল। দেশটিতে তুলার পোশাকের চাহিদা এখনো ৬০ শতাংশের বেশি। তবে বৈশ্বিক চিত্র ভিন্ন।
আন্তর্জাতিক তুলা উপদেষ্টা কমিটির (আইসিএসি) মতে, ১৯৬০ সালে বিশ্বের মোট টেক্সটাইল ফাইবারের চাহিদায় তুলার পরিমাণ ছিল ৬৮ শতাংশ। ২০২৩ সালে এটি মাত্র ২০ শতাংশে নেমে এসেছে। বিশ্বে এখন এমএমএফ ফাইবারের চাহিদার পরিমাণ এখন ৭৪ শতাংশ।
ঝুঞ্জুনওয়ালা বলেন, বিশ্বের ক্রেতারা ফাংশনাল পোশাকের দিকে ঝুঁকছেন। তুলা সেই চাহিদা পূরণ করতে পারছে না। সেখানে এমএমএফ ক্রেতাদের বহুমুখী চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম। তাঁর মতে, তুলার তৈরি পোশাকের চাহিদা ক্রমশ কমতে থাকবে।
ফাংশনাল পোশাক বলতে বিশেষ ব্যবহারের জন্য তৈরি পোশাক বোঝানো হয়, যেমন জিম বা অফিসে পরার পোশাক।

এদিকে ভারতের রপ্তানি বাজারে তুলাভিত্তিক পোশাকের প্রভাব উল্লেখযোগ্য। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভারতের মোট রপ্তানির মধ্যে এমএমএফ টেক্সটাইলের পোশাক মাত্র ১৪ শতাংশ। ফলে চীন, তাইওয়ান এবং ভিয়েতনামের কাছে ভারত দ্রুত-বর্ধনশীল এমএমএফ বাজার হারাচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারত এক সময় বিশ্ব টেক্সটাইল বাজারে প্রভাবশালী অবস্থানে থাকলেও এখন তা প্রশ্নের মুখে পড়েছে। তাহলে, ভারত কীভাবে আবার প্রতিযোগিতায় ফিরে আসতে পারে? প্রথমে বোঝা যাক, ভারত কেন ম্যান-মেড ফাইবার (এমএমএফ) টেক্সটাইল পণ্য উৎপাদনে পিছিয়ে পড়ছে।
উদ্ভাবন বনাম দক্ষতা
গোপীনাথ বালার কেমিস্ট্রির প্রতি মুগ্ধতা ছোটবেলা থেকেই। ২০০২ সালে যুক্তরাষ্ট্র থেকে পলিমার কেমিস্ট্রিতে পিএইচডি সম্পন্ন করেন তিনি। এরপর নাসার জন্য ন্যানো ম্যাটেরিয়াল ও মহাকাশ প্রকল্পে তিনটি কাজে যুক্ত ছিলেন, যার মধ্যে একটি ছিল মঙ্গল গ্রহের প্রকল্প। ২০০৭ সালে ভারত ফিরে এসে কোয়েম্বাটোরের কাছে উদুমালপেট এলাকায় পরিবারের মালিকানাধীন শ্রী ভেঙ্কটলক্ষ্মী স্পিনার্স প্রাইভেট লিমিটেডে মিলে কাজ শুরু করেন। কোম্পানিটি তুলার সুতা উৎপাদন করত। তবে তুলার সুতা উৎপাদন লাভজনক না হওয়ায় ২০১৬ সালে মিলটি বন্ধ করে বালা টেকনিক্যাল টেক্সটাইল খাতে প্রবেশ করেন। এ ধরনের টেক্সটাইল প্রতিরক্ষা, অটোমোবাইল, বিমান ও মহাকাশযানে ব্যবহার করা হয়।
বালা দুটি পণ্য তৈরি করেছেন—একটি হলো বায়োডিগ্রেডেবল ফেব্রিক, যা বিজ্ঞাপনী বোর্ডে ব্যবহৃত ফ্লেক্স কাপড়ের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। আরেকটি হলো আউটডোর ছাউনি ও ত্রাণ কাঠামো তৈরির জন্য কাপড়, যা ধাতু বা পাতের পরিবর্তে ছাদের জন্য ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
ভবিষ্যতে বালা গাড়ির জন্য এয়ারব্যাগ তৈরি করতে চান। তবে তা তখনই সম্ভব হবে যখন তাঁর প্রথম দুটি পণ্য থেকে পর্যাপ্ত আয় আসবে।
বালা বলেন, ‘এই দুটি পণ্য তৈরি করতে আমার তিন বছরেরও বেশি সময় লেগেছে। তুলা টেক্সটাইলের তুলনায় ম্যান-মেড ফাইবার (এমএমএফ) কাপড় বা টেকনিক্যাল টেক্সটাইল তৈরি করতে দীর্ঘ সময় লাগে। কারণ এটাতে হাতে-কলমে কাজ করতে হয়।’
কাঙ্ক্ষিত গুণমান অর্জন করতে পণ্যের বিভিন্ন সংস্করণ তৈরি করতে হয়, তার জন্য বড় অঙ্কের প্রাথমিক বিনিয়োগও প্রয়োজন। তিনি আশা করেন, এয়ারব্যাগ প্রকল্পটি বাজারে আসতে আরও চার বছর লাগবে।
বালা আরও বলেন, এমএমএফ ও টেকনিক্যাল টেক্সটাইল তৈরি সুতির চেয়ে ভিন্ন। উন্নত টেক্সটাইল ব্যবহারিক ও তাত্ত্বিক জ্ঞানের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়। এখানে উদ্ভাবনী হতে হয়। অন্যদিকে প্রচলিত তুলার পোশাক তৈরির প্রক্রিয়া টেক্সটাইল উদ্যোক্তাদের দক্ষতা ও দৃষ্টিভঙ্গি থেকে আলাদা।
এ বিষয়ে মেনকা মিলস প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক ও বিশ্বের বৃহত্তম স্পোর্টস পণ্যসামগ্রীর খুচরা বিক্রেতা ডেকাথলনের সরবরাহকারী আর.এম. লক্ষ্মণ নারায়ণ বলেন, উদাহরণ হিসেবে কাঁচামালের বিষয়টি ধরা যাক। তুলার বিপরীতে পলিয়েস্টার সুতা তৈরির ক্ষেত্রে এর গঠন জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি সরাসরি পারফরম্যান্সের ওপর প্রভাব ফেলে। পলিয়েস্টারের শত শত প্রকার রয়েছে এবং প্রতিটি প্রকারের আরও বিভিন্ন উপভাগ আছে। সঠিক ধরনের সুতা বাছাই করতে প্রায় ২০টি বৈশিষ্ট্যের জন্য এই সুতাগুলোর পরীক্ষা করতে হয়, যেমন সংকোচন, প্রসারণ যোগ্যতা, সংকোচন ক্ষমতা বা কার্ল স্থিতিশীলতা।

তাই বেশির ভাগ তুলার কাপড়ের উদ্যোক্তা এমএমএফ বা টেকনিক্যাল টেক্সটাইলের বাজারে প্রবেশ করতে চান না। বালার মতে, টেক্সটাইল শিল্পের ১৫ শতাংশ উদ্যোক্তা টেকনিক্যাল টেক্সটাইলের জগতে প্রবেশ করতে পারেন। আর প্রায় ৪০ শতাংশ উদ্যোক্তা এমএমএফ টেক্সটাইলকে উন্নত ক্ষেত্র হিসেবে বিবেচনা করছেন।
সংক্ষেপে বলতে গেলে, টেকনিক্যাল টেক্সটাইল পণ্য তৈরি করতে তুলনামূলকভাবে আরও বেশি কারিগরি দক্ষতা, উচ্চতর পরিশ্রম এবং ধৈর্যের প্রয়োজন।
কাঁচামালের সংকট
সমস্যার শেষ নেই। ভারত বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম পলিয়েস্টার ও ভিসকোজ উৎপাদনকারী হলেও মানসম্পন্ন কাঁচামালের অভাব রয়েছে। বিশেষ করে পলিয়েস্টার ফিলামেন্ট সুতার। ঝুঞ্জুনওয়ালা বলেন, ‘ভারতে যে পলিয়েস্টার ফিলামেন্ট সুতা পাওয়া যায়— তা গুণগত দিক থেকে চীন, তাইওয়ান ও ভিয়েতনামের চেয়ে নিম্নমানের।’
ভারতীয় কাঁচামাল সরবরাহকারীরা বিশ্বের অন্য দেশের তুলনায় নতুনত্ব আনেনি। এর পেছনে একটি কারণ রয়েছে। এসভিজি ফ্যাশনস প্রাইভেট লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাজকুমার আগরওয়াল বলেন, ভারতের পলিয়েস্টার শিল্প অধিকাংশ সময় অভ্যন্তরীণ বাজারে মনোযোগী ও এর দাম খুব কম। পলিয়েস্টার সুতা প্রস্তুতকারকদের জন্য নতুনত্বে বিনিয়োগের কোনো প্রণোদনা নেই। তবে এমএমএফ টেক্সটাইল রপ্তানি একবার বাড়তে শুরু করলে কাঁচামালের গুণগত মান উন্নত হবে।
ঝুঞ্জুনওয়ালার টেকনোস্পোর্টসওয়ার প্রায় সব পলিয়েস্টার সুতা চীন থেকে আমদানি করে। কোম্পানিটি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৫০০ কোটি রুপি আয়ের আশা করছে এবং সম্প্রতি তারা এ৯১ পার্টনার্স থেকে ১৭৫ কোটি রুপি তহবিল পেয়েছে।
আমদানি করাও সহজ নয়। ভারত সরকার নির্দিষ্ট পলিয়েস্টার ফিলামেন্ট সুতার ক্ষেত্রে কোয়ালিটি কন্ট্রোল অর্ডার (কিউসিও) আরোপ করেছে, যার ফলে আমদানির জন্য ভারতীয় মান সংস্থার (বিআইএস) শংসাপত্র প্রয়োজন হয়। এর ফলে চীন থেকে আমদানি সীমিত হচ্ছে।
আগরওয়াল বলেন, চীনা কোম্পানিগুলো বিএআইএস সার্টিফিকেশন নিবন্ধন করতে পারে না, ফলে চীন থেকে আমদানি নিষিদ্ধ হয়ে গেছে।
টেকনোস্পোর্টসওয়ার চীনা ‘ফুললি ড্রন ইয়র্ন’ দিয়ে পোশাক তৈরি বন্ধ করে দিয়েছে। এর পরিবর্তে তারা ‘ড্রন টেক্সচারাইজড ইয়র্ন’ নামে আরেকটি ভিন্ন ধরনের সুতা ব্যবহার করছে। এই সুতার ওপরও কিউসি প্রযোজ্য হলে কোম্পানিটির কপাল পুড়বে।
ঝুঞ্জুনওয়ালা বলেন, ‘ভারত এমএমএফ পোশাকের বাজারে জায়গা করে নিতে চাইলে কাঁচামাল আমদানির ব্যাপারে খোলামেলা নীতি প্রণয়ন করতে হবে। গ্লোবাল সাপ্লাই চেইনে চীনকে উপেক্ষা করা সম্ভব নয়। আমাদের তাঁদের সঙ্গে কাজ করতে হবে, আগে তাঁদের সঙ্গে তাল মেলাতে হবে এবং এরপর পেছনে ফেলতে হবে। আমরা কেন নিজেদের সবচেয়ে কার্যকরী সাপ্লাই চেইন থেকে আলাদা রাখব?’
ঝুনঝুনওয়ালা আরও প্রশ্ন করেন, ‘কাঁচামাল আমদানির অনুমতি দিলে ভারতীয় এমএমএফ টেক্সটাইল শিল্প উন্নত হবে, বাজারে পৌঁছাবে ও রপ্তানি বাড়বে। একবার এটি ঘটলে দেশীয় কাঁচামালের মান উন্নত হবে। তখন আমদানি কমে যাবে। ভারত সরকার মোবাইল ফোন তৈরির ক্ষেত্রেও একই পদ্ধতি অনুসরণ করেছে। বেশির ভাগ পলিয়েস্টার উপাদান চীন থেকে আসে। সেখানে টেক্সটাইল খাতকে কেন আলাদা ভাবতে হবে?’
‘মেইক-ইন-চায়না’ পলিসি
একটি বড় সমস্যা হলো, পলিয়েস্টার ফিলামেন্ট সুতার মতো যেসব কাঁচামালের জন্য মান নিয়ন্ত্রণ নীতিমালা রয়েছে, সেই মানগুলো ফেব্রিকসের মতো ডাউনস্ট্রিম পণ্যের বেলায় প্রযোজ্য নয়। প্রতিদিন চীন থেকে ৮ লক্ষ কেজি এমএমএফ ফেব্রিক আসে। চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত এগুলো কেজিপ্রতি ১ ডলারে আমদানি হতো, যা ভারতীয় সুতার খরচের থেকেও কম।
এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশের পর মার্চে পাঁচ ক্যাটাগরির পণ্য আমদানিতে কেজিপ্রতি সর্বনিম্ন মূল্য ৩ দশমিক ৫ ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। এটি ছয় মাসের জন্য। এরপর আমদানিকারকরা অন্য ক্যাটাগরির অধীনে আমদানি করতে শুরু করেন। এমএমএফ ফেব্রিকসের ৫০টি ক্যাটাগরি রয়েছে। সরকার এখন ১৩ ক্যাটাগরির পণ্য আমদানিতে সর্বনিম্ন মূল্য আরোপ করেছে এবং ডিসেম্বর পর্যন্ত তা বাড়ানো হয়েছে।
এদিকে ভারত বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশীয় মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আওতায় শুল্কমুক্ত পোশাক রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে। আগরওয়াল বলেন, ‘এখানে সমস্যা হলো বাংলাদেশ চীন থেকে এমএমএফ ফেব্রিক বিনা শুল্কে আমদানি করে, সেগুলো দিয়ে পোশাক তৈরি করে আবার বিনা শুল্কে ভারতে রপ্তানি করে। বাস্তবে আমরা বিনা শুল্কে চীনা ফেব্রিক আমদানি করতে দিচ্ছি।’
ভারতের এমএমএফ শিল্প শক্তিশালী করতে এই নীতিটি সংশোধন করা প্রয়োজন। আগরওয়াল আরও বলেন, ‘আপনি কাঁচামালের আমদানিকে সীমাবদ্ধ করতে পারেন না এবং ডাউন স্ট্রিম পণ্যের অবাধ প্রবাহকে অনুমতি দিতে পারেন না। এটা হচ্ছে ‘মেক-ইন-চায়না’ নীতি।’

মিসিং লিংক
গুণগত মানের সমস্যা সত্ত্বেও ভারত এমএমএফ সুতা উৎপাদন করতে সক্ষম। ভারত যথেষ্ট পরিমাণে নিটিং ও উইভিং সক্ষমতা অর্জন করছে। কিন্তু সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো প্রক্রিয়াজাতকরণ অবকাঠামোর অভাব, বিশেষত ডাইং (রঙ করা)। কঠোর দূষণ নীতিমালা ও অভ্যন্তরীণ বাজারে কম দামের কারণে দেশীয় শিল্প যথেষ্ট সুবিধা করতে পারছে না। আরও কিছু কারণও রয়েছে।
মেনাকা মিলসের নারায়ণ বলেন, এমএমএফ ডাইং সুতি ডাইংয়ের চেয়ে আলাদা। ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি ও প্রক্রিয়া ভিন্ন। এতে অতিরিক্ত প্রক্রিয়াও প্রয়োজন। ডাইং প্রক্রিয়া পরিপূর্ণ করতে পাঁচ থেকে ছয় বছর সময় লাগে।
শিল্পটি এগিয়ে নিতে সরকার এ ক্ষেত্রে এফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্লান্ট (শিল্প কারখানার দূষিত পানি পরিশোধনাগার) স্থাপন করতে পারে। আগরওয়াল বলেন, এগুলো পিএম-এমআইটিআরএ প্রকল্পের আওতায় করা যেতে পারে। কেননা প্রকল্পটি টেক্সটাইল শিল্পের জন্য বিশ্বমানের অবকাঠামো তৈরির জন্য গঠন করা হয়েছে।
সম্প্রতি তাইওয়ান সফরের সময় নারায়ণ হতবাক হন যে, সেখানে শিল্পটি প্রতিকেজি ফেব্রিক ডাইং করতে ৭০ লিটার পানি ব্যবহার করে। মেনাকা মিলসে ছয় বছর ধরে কাজ করার পর তিনি পানি ব্যবহারের পরিমাণ মাত্র ২৬ লিটারে কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এটি প্রমাণ করে যে, আমরা এমএমএফের বাজারে পৃথিবীর সেরা হতে পারি। শুধু আমাদের সুষম প্রতিযোগিতার মাঠ দিন।’
উৎপাদন বৃদ্ধিতে প্রণোদনা
ভারত সরকার খাতটিকে আরও প্রতিযোগিতামূলক করতে কাজ করছে। সম্প্রতি তারা এমএমএফ টেক্সটাইল এবং টেকনিক্যাল টেক্সটাইল উৎপাদনকে উৎসাহিত করতে নীতিমালা প্রণয়ন করেছে।
২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে এমএমএফ ফেব্রিক, এমএমএফ পোশাক এবং টেকনিক্যাল টেক্সটাইলের জন্য ১০ হাজার ৬৮৩ কোটি রুপির প্রোডাকশন-লিংকড ইনসেনটিভ (পিএলআই) স্কিম ঘোষণা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৬৪টি আবেদন স্কিমটির আওতায় অনুমোদিত হয়েছে, যার মোট বিনিয়োগ ১৯ হাজার ৭৯৮ কোটি।
সরকার একটি জাতীয় টেকনিক্যাল টেক্সটাইল মিশনও ঘোষণা করেছে এবং এখন পর্যন্ত ১৬৮টি গবেষণা প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে।
এমএমএফ এবং টেকনিক্যাল টেক্সটাইল শিল্পকে এগিয়ে নিতে ভারত এসব পদক্ষেপ অনেক দেরিতে নিয়েছে। সামনে পথ এখনো বন্ধুর। ভারতের টেক্সটাইল খাতের উদ্যোক্তাদের মানসিকতা এখনো তুলাকে ঘিরে। যারা সাহস করে এমএমএফ শুরু করেছে তাঁরা নানাবিধ সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে। এসবের মধ্যে রয়েছে সঠিক ইকোসিস্টেমের অভাব, কাঁচামাল সরবরাহে নিয়ন্ত্রণমূলক প্রতিবন্ধকতা ও চড়া আমদানি মূল্য। ভারতে পলিয়েস্টারের চাহিদা এখনো ধীরে বাড়ছে ও বৈশ্বিক ক্রেতারা এখনো ভারতের এমএমএফ পণ্য গ্রহণ করতে প্রস্তুত নয়। শিল্পটি আশা করছে, অন্তত তাদের ক্ষতিকর আমদানি নীতিগুলো সংশোধন করা হোক।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘মিন্ট’ থেকে ভাষান্তর করেছেন আবদুল বাছেদ

২০২১ সালের জুন মাস। করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর ব্যবসা সামলাচ্ছিলেন ভারতের তিরুপ্পুর-ভিত্তিক টেকনো স্পোর্টসওয়্যার প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুনীল ঝুঞ্জুনওয়ালা। হঠাৎ তিনি লক্ষ্য করেন, পোন্ডিচেরির খুচরা বিক্রেতাদের কাছে কোম্পানিটির ‘রাউন্ড-নেক ফুল-স্লিভ’ পলিয়েস্টার টি-শার্টের চাহিদা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে। তিনি সরবরাহ বাড়ালেন, সেগুলো অল্প সময়ের মধ্যেই বিক্রি হয়ে গেল। এরপর তিনি বুঝতে পারলেন, এই টি-শার্টগুলো বিশেষ একধরনের ক্রেতার কাছেই বেশি চাহিদাসম্পন্ন— আর তাঁরা হলেন মৎস্যজীবী।
মহামারির সময় তুলার পোশাকের দাম বেড়ে যাওয়ায় মৎস্যজীবীরা পলিয়েস্টারের দিকে ঝোঁকেন। পলিয়েস্টার শুধু সস্তাই নয়, দ্রুত শুকিয়ে যায়। টেকনো স্পোর্টসওয়্যারের টি-শার্টগুলো অতিবেগুনি রশ্মি থেকেও সুরক্ষা দেয় এবং অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল হওয়ায় সমুদ্রে কয়েক দিন থাকলেও দুর্গন্ধ ছড়ায় না। ফলে দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এই টি-শার্টগুলো।
অ্যাক্টিভউয়্যার বা খেলাধুলার পোশাক তৈরিতে ভারতের বৃহত্তম ঘরোয়া ব্র্যান্ডের পরিচালক ঝুঞ্জুনওয়ালা দাবি করেন, ‘আজকের দিনে কন্যাকুমারী থেকে চেন্নাই পর্যন্ত তিনজন মৎস্যজীবীর মধ্যে একজন আমাদের ব্র্যান্ডের পোশাক ব্যবহার করে।’
বিশ্বজুড়ে পলিয়েস্টার টি-শার্ট, ভিসকোস বা অন্যান্য সিনথেটিক ফাইবারের মিশ্রণে তৈরি পোশাকগুলো ‘ম্যান-মেড ফাইবার’ বা এমএমএফ নামে পরিচিত। এসব পোশাক ভারতে চল পেতে সময় লেগেছে। ভারত এখনো তুলার বাজারের ওপর নির্ভরশীল। দেশটিতে তুলার পোশাকের চাহিদা এখনো ৬০ শতাংশের বেশি। তবে বৈশ্বিক চিত্র ভিন্ন।
আন্তর্জাতিক তুলা উপদেষ্টা কমিটির (আইসিএসি) মতে, ১৯৬০ সালে বিশ্বের মোট টেক্সটাইল ফাইবারের চাহিদায় তুলার পরিমাণ ছিল ৬৮ শতাংশ। ২০২৩ সালে এটি মাত্র ২০ শতাংশে নেমে এসেছে। বিশ্বে এখন এমএমএফ ফাইবারের চাহিদার পরিমাণ এখন ৭৪ শতাংশ।
ঝুঞ্জুনওয়ালা বলেন, বিশ্বের ক্রেতারা ফাংশনাল পোশাকের দিকে ঝুঁকছেন। তুলা সেই চাহিদা পূরণ করতে পারছে না। সেখানে এমএমএফ ক্রেতাদের বহুমুখী চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম। তাঁর মতে, তুলার তৈরি পোশাকের চাহিদা ক্রমশ কমতে থাকবে।
ফাংশনাল পোশাক বলতে বিশেষ ব্যবহারের জন্য তৈরি পোশাক বোঝানো হয়, যেমন জিম বা অফিসে পরার পোশাক।

এদিকে ভারতের রপ্তানি বাজারে তুলাভিত্তিক পোশাকের প্রভাব উল্লেখযোগ্য। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভারতের মোট রপ্তানির মধ্যে এমএমএফ টেক্সটাইলের পোশাক মাত্র ১৪ শতাংশ। ফলে চীন, তাইওয়ান এবং ভিয়েতনামের কাছে ভারত দ্রুত-বর্ধনশীল এমএমএফ বাজার হারাচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারত এক সময় বিশ্ব টেক্সটাইল বাজারে প্রভাবশালী অবস্থানে থাকলেও এখন তা প্রশ্নের মুখে পড়েছে। তাহলে, ভারত কীভাবে আবার প্রতিযোগিতায় ফিরে আসতে পারে? প্রথমে বোঝা যাক, ভারত কেন ম্যান-মেড ফাইবার (এমএমএফ) টেক্সটাইল পণ্য উৎপাদনে পিছিয়ে পড়ছে।
উদ্ভাবন বনাম দক্ষতা
গোপীনাথ বালার কেমিস্ট্রির প্রতি মুগ্ধতা ছোটবেলা থেকেই। ২০০২ সালে যুক্তরাষ্ট্র থেকে পলিমার কেমিস্ট্রিতে পিএইচডি সম্পন্ন করেন তিনি। এরপর নাসার জন্য ন্যানো ম্যাটেরিয়াল ও মহাকাশ প্রকল্পে তিনটি কাজে যুক্ত ছিলেন, যার মধ্যে একটি ছিল মঙ্গল গ্রহের প্রকল্প। ২০০৭ সালে ভারত ফিরে এসে কোয়েম্বাটোরের কাছে উদুমালপেট এলাকায় পরিবারের মালিকানাধীন শ্রী ভেঙ্কটলক্ষ্মী স্পিনার্স প্রাইভেট লিমিটেডে মিলে কাজ শুরু করেন। কোম্পানিটি তুলার সুতা উৎপাদন করত। তবে তুলার সুতা উৎপাদন লাভজনক না হওয়ায় ২০১৬ সালে মিলটি বন্ধ করে বালা টেকনিক্যাল টেক্সটাইল খাতে প্রবেশ করেন। এ ধরনের টেক্সটাইল প্রতিরক্ষা, অটোমোবাইল, বিমান ও মহাকাশযানে ব্যবহার করা হয়।
বালা দুটি পণ্য তৈরি করেছেন—একটি হলো বায়োডিগ্রেডেবল ফেব্রিক, যা বিজ্ঞাপনী বোর্ডে ব্যবহৃত ফ্লেক্স কাপড়ের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। আরেকটি হলো আউটডোর ছাউনি ও ত্রাণ কাঠামো তৈরির জন্য কাপড়, যা ধাতু বা পাতের পরিবর্তে ছাদের জন্য ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
ভবিষ্যতে বালা গাড়ির জন্য এয়ারব্যাগ তৈরি করতে চান। তবে তা তখনই সম্ভব হবে যখন তাঁর প্রথম দুটি পণ্য থেকে পর্যাপ্ত আয় আসবে।
বালা বলেন, ‘এই দুটি পণ্য তৈরি করতে আমার তিন বছরেরও বেশি সময় লেগেছে। তুলা টেক্সটাইলের তুলনায় ম্যান-মেড ফাইবার (এমএমএফ) কাপড় বা টেকনিক্যাল টেক্সটাইল তৈরি করতে দীর্ঘ সময় লাগে। কারণ এটাতে হাতে-কলমে কাজ করতে হয়।’
কাঙ্ক্ষিত গুণমান অর্জন করতে পণ্যের বিভিন্ন সংস্করণ তৈরি করতে হয়, তার জন্য বড় অঙ্কের প্রাথমিক বিনিয়োগও প্রয়োজন। তিনি আশা করেন, এয়ারব্যাগ প্রকল্পটি বাজারে আসতে আরও চার বছর লাগবে।
বালা আরও বলেন, এমএমএফ ও টেকনিক্যাল টেক্সটাইল তৈরি সুতির চেয়ে ভিন্ন। উন্নত টেক্সটাইল ব্যবহারিক ও তাত্ত্বিক জ্ঞানের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়। এখানে উদ্ভাবনী হতে হয়। অন্যদিকে প্রচলিত তুলার পোশাক তৈরির প্রক্রিয়া টেক্সটাইল উদ্যোক্তাদের দক্ষতা ও দৃষ্টিভঙ্গি থেকে আলাদা।
এ বিষয়ে মেনকা মিলস প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক ও বিশ্বের বৃহত্তম স্পোর্টস পণ্যসামগ্রীর খুচরা বিক্রেতা ডেকাথলনের সরবরাহকারী আর.এম. লক্ষ্মণ নারায়ণ বলেন, উদাহরণ হিসেবে কাঁচামালের বিষয়টি ধরা যাক। তুলার বিপরীতে পলিয়েস্টার সুতা তৈরির ক্ষেত্রে এর গঠন জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি সরাসরি পারফরম্যান্সের ওপর প্রভাব ফেলে। পলিয়েস্টারের শত শত প্রকার রয়েছে এবং প্রতিটি প্রকারের আরও বিভিন্ন উপভাগ আছে। সঠিক ধরনের সুতা বাছাই করতে প্রায় ২০টি বৈশিষ্ট্যের জন্য এই সুতাগুলোর পরীক্ষা করতে হয়, যেমন সংকোচন, প্রসারণ যোগ্যতা, সংকোচন ক্ষমতা বা কার্ল স্থিতিশীলতা।

তাই বেশির ভাগ তুলার কাপড়ের উদ্যোক্তা এমএমএফ বা টেকনিক্যাল টেক্সটাইলের বাজারে প্রবেশ করতে চান না। বালার মতে, টেক্সটাইল শিল্পের ১৫ শতাংশ উদ্যোক্তা টেকনিক্যাল টেক্সটাইলের জগতে প্রবেশ করতে পারেন। আর প্রায় ৪০ শতাংশ উদ্যোক্তা এমএমএফ টেক্সটাইলকে উন্নত ক্ষেত্র হিসেবে বিবেচনা করছেন।
সংক্ষেপে বলতে গেলে, টেকনিক্যাল টেক্সটাইল পণ্য তৈরি করতে তুলনামূলকভাবে আরও বেশি কারিগরি দক্ষতা, উচ্চতর পরিশ্রম এবং ধৈর্যের প্রয়োজন।
কাঁচামালের সংকট
সমস্যার শেষ নেই। ভারত বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম পলিয়েস্টার ও ভিসকোজ উৎপাদনকারী হলেও মানসম্পন্ন কাঁচামালের অভাব রয়েছে। বিশেষ করে পলিয়েস্টার ফিলামেন্ট সুতার। ঝুঞ্জুনওয়ালা বলেন, ‘ভারতে যে পলিয়েস্টার ফিলামেন্ট সুতা পাওয়া যায়— তা গুণগত দিক থেকে চীন, তাইওয়ান ও ভিয়েতনামের চেয়ে নিম্নমানের।’
ভারতীয় কাঁচামাল সরবরাহকারীরা বিশ্বের অন্য দেশের তুলনায় নতুনত্ব আনেনি। এর পেছনে একটি কারণ রয়েছে। এসভিজি ফ্যাশনস প্রাইভেট লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাজকুমার আগরওয়াল বলেন, ভারতের পলিয়েস্টার শিল্প অধিকাংশ সময় অভ্যন্তরীণ বাজারে মনোযোগী ও এর দাম খুব কম। পলিয়েস্টার সুতা প্রস্তুতকারকদের জন্য নতুনত্বে বিনিয়োগের কোনো প্রণোদনা নেই। তবে এমএমএফ টেক্সটাইল রপ্তানি একবার বাড়তে শুরু করলে কাঁচামালের গুণগত মান উন্নত হবে।
ঝুঞ্জুনওয়ালার টেকনোস্পোর্টসওয়ার প্রায় সব পলিয়েস্টার সুতা চীন থেকে আমদানি করে। কোম্পানিটি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৫০০ কোটি রুপি আয়ের আশা করছে এবং সম্প্রতি তারা এ৯১ পার্টনার্স থেকে ১৭৫ কোটি রুপি তহবিল পেয়েছে।
আমদানি করাও সহজ নয়। ভারত সরকার নির্দিষ্ট পলিয়েস্টার ফিলামেন্ট সুতার ক্ষেত্রে কোয়ালিটি কন্ট্রোল অর্ডার (কিউসিও) আরোপ করেছে, যার ফলে আমদানির জন্য ভারতীয় মান সংস্থার (বিআইএস) শংসাপত্র প্রয়োজন হয়। এর ফলে চীন থেকে আমদানি সীমিত হচ্ছে।
আগরওয়াল বলেন, চীনা কোম্পানিগুলো বিএআইএস সার্টিফিকেশন নিবন্ধন করতে পারে না, ফলে চীন থেকে আমদানি নিষিদ্ধ হয়ে গেছে।
টেকনোস্পোর্টসওয়ার চীনা ‘ফুললি ড্রন ইয়র্ন’ দিয়ে পোশাক তৈরি বন্ধ করে দিয়েছে। এর পরিবর্তে তারা ‘ড্রন টেক্সচারাইজড ইয়র্ন’ নামে আরেকটি ভিন্ন ধরনের সুতা ব্যবহার করছে। এই সুতার ওপরও কিউসি প্রযোজ্য হলে কোম্পানিটির কপাল পুড়বে।
ঝুঞ্জুনওয়ালা বলেন, ‘ভারত এমএমএফ পোশাকের বাজারে জায়গা করে নিতে চাইলে কাঁচামাল আমদানির ব্যাপারে খোলামেলা নীতি প্রণয়ন করতে হবে। গ্লোবাল সাপ্লাই চেইনে চীনকে উপেক্ষা করা সম্ভব নয়। আমাদের তাঁদের সঙ্গে কাজ করতে হবে, আগে তাঁদের সঙ্গে তাল মেলাতে হবে এবং এরপর পেছনে ফেলতে হবে। আমরা কেন নিজেদের সবচেয়ে কার্যকরী সাপ্লাই চেইন থেকে আলাদা রাখব?’
ঝুনঝুনওয়ালা আরও প্রশ্ন করেন, ‘কাঁচামাল আমদানির অনুমতি দিলে ভারতীয় এমএমএফ টেক্সটাইল শিল্প উন্নত হবে, বাজারে পৌঁছাবে ও রপ্তানি বাড়বে। একবার এটি ঘটলে দেশীয় কাঁচামালের মান উন্নত হবে। তখন আমদানি কমে যাবে। ভারত সরকার মোবাইল ফোন তৈরির ক্ষেত্রেও একই পদ্ধতি অনুসরণ করেছে। বেশির ভাগ পলিয়েস্টার উপাদান চীন থেকে আসে। সেখানে টেক্সটাইল খাতকে কেন আলাদা ভাবতে হবে?’
‘মেইক-ইন-চায়না’ পলিসি
একটি বড় সমস্যা হলো, পলিয়েস্টার ফিলামেন্ট সুতার মতো যেসব কাঁচামালের জন্য মান নিয়ন্ত্রণ নীতিমালা রয়েছে, সেই মানগুলো ফেব্রিকসের মতো ডাউনস্ট্রিম পণ্যের বেলায় প্রযোজ্য নয়। প্রতিদিন চীন থেকে ৮ লক্ষ কেজি এমএমএফ ফেব্রিক আসে। চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত এগুলো কেজিপ্রতি ১ ডলারে আমদানি হতো, যা ভারতীয় সুতার খরচের থেকেও কম।
এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশের পর মার্চে পাঁচ ক্যাটাগরির পণ্য আমদানিতে কেজিপ্রতি সর্বনিম্ন মূল্য ৩ দশমিক ৫ ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। এটি ছয় মাসের জন্য। এরপর আমদানিকারকরা অন্য ক্যাটাগরির অধীনে আমদানি করতে শুরু করেন। এমএমএফ ফেব্রিকসের ৫০টি ক্যাটাগরি রয়েছে। সরকার এখন ১৩ ক্যাটাগরির পণ্য আমদানিতে সর্বনিম্ন মূল্য আরোপ করেছে এবং ডিসেম্বর পর্যন্ত তা বাড়ানো হয়েছে।
এদিকে ভারত বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশীয় মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আওতায় শুল্কমুক্ত পোশাক রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে। আগরওয়াল বলেন, ‘এখানে সমস্যা হলো বাংলাদেশ চীন থেকে এমএমএফ ফেব্রিক বিনা শুল্কে আমদানি করে, সেগুলো দিয়ে পোশাক তৈরি করে আবার বিনা শুল্কে ভারতে রপ্তানি করে। বাস্তবে আমরা বিনা শুল্কে চীনা ফেব্রিক আমদানি করতে দিচ্ছি।’
ভারতের এমএমএফ শিল্প শক্তিশালী করতে এই নীতিটি সংশোধন করা প্রয়োজন। আগরওয়াল আরও বলেন, ‘আপনি কাঁচামালের আমদানিকে সীমাবদ্ধ করতে পারেন না এবং ডাউন স্ট্রিম পণ্যের অবাধ প্রবাহকে অনুমতি দিতে পারেন না। এটা হচ্ছে ‘মেক-ইন-চায়না’ নীতি।’

মিসিং লিংক
গুণগত মানের সমস্যা সত্ত্বেও ভারত এমএমএফ সুতা উৎপাদন করতে সক্ষম। ভারত যথেষ্ট পরিমাণে নিটিং ও উইভিং সক্ষমতা অর্জন করছে। কিন্তু সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো প্রক্রিয়াজাতকরণ অবকাঠামোর অভাব, বিশেষত ডাইং (রঙ করা)। কঠোর দূষণ নীতিমালা ও অভ্যন্তরীণ বাজারে কম দামের কারণে দেশীয় শিল্প যথেষ্ট সুবিধা করতে পারছে না। আরও কিছু কারণও রয়েছে।
মেনাকা মিলসের নারায়ণ বলেন, এমএমএফ ডাইং সুতি ডাইংয়ের চেয়ে আলাদা। ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি ও প্রক্রিয়া ভিন্ন। এতে অতিরিক্ত প্রক্রিয়াও প্রয়োজন। ডাইং প্রক্রিয়া পরিপূর্ণ করতে পাঁচ থেকে ছয় বছর সময় লাগে।
শিল্পটি এগিয়ে নিতে সরকার এ ক্ষেত্রে এফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্লান্ট (শিল্প কারখানার দূষিত পানি পরিশোধনাগার) স্থাপন করতে পারে। আগরওয়াল বলেন, এগুলো পিএম-এমআইটিআরএ প্রকল্পের আওতায় করা যেতে পারে। কেননা প্রকল্পটি টেক্সটাইল শিল্পের জন্য বিশ্বমানের অবকাঠামো তৈরির জন্য গঠন করা হয়েছে।
সম্প্রতি তাইওয়ান সফরের সময় নারায়ণ হতবাক হন যে, সেখানে শিল্পটি প্রতিকেজি ফেব্রিক ডাইং করতে ৭০ লিটার পানি ব্যবহার করে। মেনাকা মিলসে ছয় বছর ধরে কাজ করার পর তিনি পানি ব্যবহারের পরিমাণ মাত্র ২৬ লিটারে কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এটি প্রমাণ করে যে, আমরা এমএমএফের বাজারে পৃথিবীর সেরা হতে পারি। শুধু আমাদের সুষম প্রতিযোগিতার মাঠ দিন।’
উৎপাদন বৃদ্ধিতে প্রণোদনা
ভারত সরকার খাতটিকে আরও প্রতিযোগিতামূলক করতে কাজ করছে। সম্প্রতি তারা এমএমএফ টেক্সটাইল এবং টেকনিক্যাল টেক্সটাইল উৎপাদনকে উৎসাহিত করতে নীতিমালা প্রণয়ন করেছে।
২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে এমএমএফ ফেব্রিক, এমএমএফ পোশাক এবং টেকনিক্যাল টেক্সটাইলের জন্য ১০ হাজার ৬৮৩ কোটি রুপির প্রোডাকশন-লিংকড ইনসেনটিভ (পিএলআই) স্কিম ঘোষণা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৬৪টি আবেদন স্কিমটির আওতায় অনুমোদিত হয়েছে, যার মোট বিনিয়োগ ১৯ হাজার ৭৯৮ কোটি।
সরকার একটি জাতীয় টেকনিক্যাল টেক্সটাইল মিশনও ঘোষণা করেছে এবং এখন পর্যন্ত ১৬৮টি গবেষণা প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে।
এমএমএফ এবং টেকনিক্যাল টেক্সটাইল শিল্পকে এগিয়ে নিতে ভারত এসব পদক্ষেপ অনেক দেরিতে নিয়েছে। সামনে পথ এখনো বন্ধুর। ভারতের টেক্সটাইল খাতের উদ্যোক্তাদের মানসিকতা এখনো তুলাকে ঘিরে। যারা সাহস করে এমএমএফ শুরু করেছে তাঁরা নানাবিধ সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে। এসবের মধ্যে রয়েছে সঠিক ইকোসিস্টেমের অভাব, কাঁচামাল সরবরাহে নিয়ন্ত্রণমূলক প্রতিবন্ধকতা ও চড়া আমদানি মূল্য। ভারতে পলিয়েস্টারের চাহিদা এখনো ধীরে বাড়ছে ও বৈশ্বিক ক্রেতারা এখনো ভারতের এমএমএফ পণ্য গ্রহণ করতে প্রস্তুত নয়। শিল্পটি আশা করছে, অন্তত তাদের ক্ষতিকর আমদানি নীতিগুলো সংশোধন করা হোক।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘মিন্ট’ থেকে ভাষান্তর করেছেন আবদুল বাছেদ

গত মৌসুমের লোকসান কাটতে না কাটতেই আবারও মুন্সিগঞ্জের ছয়টি উপজেলায় আলু রোপণ শুরু করেছেন কৃষকেরা। শীতের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে জেলার বিস্তীর্ণ জমিতে এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তাঁরা। বর্তমানে পাইকারি দরে এক কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ১৪ টাকা। চলতি মৌসুমে প্রতি কেজি আলুবীজ রোপণে খরচ পড়ছে সাড়ে ১৪ টাকার বেশি।
৭ ঘণ্টা আগে
কোনো ঘোষণা ছাড়াই নীরবে ভোক্তা পর্যায়ে সয়াবিন তেলের দাম একলাফে লিটারে ৯ টাকা এবং পাম তেলের দাম ৫ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে আমদানিকারক, পরিশোধন ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে না জানিয়েই নিজেদের মতো করে দাম নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি...
৭ ঘণ্টা আগে
রূপালী ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের সভায় বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দ্রুত রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় এক বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (৩ ডিসেম্বর) দিলকুশায় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বোর্ড রুমে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
৯ ঘণ্টা আগে
বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মো. আবদুর রশিদ ভূঁইয়া গতকাল মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) আনুমানিক বিকেল ৫টায় হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি ঢাকার হেমায়েতপুরের বিসিক শিল্পনগরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় আয়োজিত
৯ ঘণ্টা আগেআব্দুল্লাহ আল মাসুদ, মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি

গত মৌসুমের লোকসান কাটতে না কাটতেই আবারও মুন্সিগঞ্জের ছয়টি উপজেলায় আলু রোপণ শুরু করেছেন কৃষকেরা। শীতের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে জেলার বিস্তীর্ণ জমিতে এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তাঁরা। বর্তমানে পাইকারি দরে এক কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ১৪ টাকা। চলতি মৌসুমে প্রতি কেজি আলুবীজ রোপণে খরচ পড়ছে সাড়ে ১৪ টাকার বেশি।
কৃষকেরা বলছেন, প্রতি কানি (১৪০ শতাংশ) জমিতে আলুবীজ রোপণের জন্য খরচ পড়বে প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এর মধ্যে জমির ভাড়া ৬০ হাজার, বীজ আলু ৪৫ হাজার, সার ৩৫ হাজার, জমি চাষ ১০ হাজার, শ্রমিক খরচ ২৫ হাজার, সেচ ১০ হাজার এবং কীটনাশক খরচ ২০ হাজার টাকা। এই হিসাবে প্রতি কেজি আলুর উৎপাদন খরচ দাঁড়াচ্ছে ১৪ টাকা ৬৪ পয়সা। একই পরিমাণ জমি থেকে প্রাকৃতিক উৎপাদনের ভিত্তিতে ৪০০ মণ বা ১৬ হাজার কেজি আলু উৎপাদনের আশা করা হচ্ছে। গত মৌসুমে কৃষকের উৎপাদন খরচ ছিল কেজি প্রতি ১৬ থেকে ১৮ টাকা। চলতি বছরে বীজ ও জমির ভাড়া কমায় উৎপাদন খরচ কিছুটা কমেছে, তবে সংরক্ষণ খরচ যোগ করলে কেজিপ্রতি আলুর খরচ অন্তত ২৬ টাকা হবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে মুন্সিগঞ্জে আলু আবাদের লক্ষ্যও কিছুটা কমানো হয়েছে। গতবার জেলার ৩৫ হাজার ৭৯৬ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছিল, চলতি মৌসুমে লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৩৪ হাজার ৬৫৫ হেক্টর, যা ২ হাজার ১০৪ হেক্টর কম। এই বছর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে ১০ লাখ ৯৭ হাজার ১৪৭ টন।
সিরাজদিখান উপজেলার কুসুমপুর গ্রামের কৃষক সেলিম শেখ বলেন, ‘গত মৌসুমের লোকসান কাটিয়ে উঠতেই এবার আবার আলু চাষে নেমেছি। এবার কিছু খরচ কমেছে। আশা করছি, যদি কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হয় এবং ফলন ভালো হয়, তাহলে গতবারের লোকসান কিছুটা হলেও পুষিয়ে নিতে পারব।’
এদিকে উৎপাদন বাড়ানোর জন্য অনেক সময় অতিরিক্ত সার ব্যবহার করেন কৃষকেরা। সিরাজদিখান উপজেলার চন্দনধুল গ্রামের মো. জুলহাস মিয়া বলেন, ‘আমি কানিপ্রতি প্রায় ২৬ বস্তা সার ব্যবহার করি। আমার ধারণা, জমির উর্বরতা শক্তি কমে গেলে অতিরিক্ত সার দিলে মাটির শক্তি বাড়ে এবং আলুর ফলনও বাড়ে। এ ছাড়া আলু পরিপক্ব হওয়ার ১৫ দিন থেকে এক মাস আগে জিবরেলিক অ্যাসিড স্প্রে ব্যবহার করে আলুর আকার বড় করার চেষ্টা করা হয়।’
তবে কৃষি কর্মকর্তারা সতর্ক করেছেন, প্রয়োজনের অতিরিক্ত সার ব্যবহার বা জিবরেলিক অ্যাসিড স্প্রে উৎপাদন বাড়ায় না, বরং আলু দ্রুত পচে যায় এবং খরচ বেড়ে যায়। সিরাজদিখান উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, এক কানি জমিতে ১৮ বস্তা সার যথেষ্ট। অতিরিক্ত সার দেওয়ার দরকার নেই। সঠিক পরিমাণে সার প্রয়োগ করলে আলুর ফলন ভালো হয় এবং কৃষক লাভবান হন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. মো. হাবিবুর রহমান বলেন, গত মৌসুমে আলুতে লোকসান ও বিকল্প শস্য চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করার কারণে চলতি মৌসুমে আলু আবাদের লক্ষ্য কমানো হয়েছে। তবু জেলার সব উপজেলায় আলু রোপণে ব্যাপক সাড়া মিলছে।

গত মৌসুমের লোকসান কাটতে না কাটতেই আবারও মুন্সিগঞ্জের ছয়টি উপজেলায় আলু রোপণ শুরু করেছেন কৃষকেরা। শীতের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে জেলার বিস্তীর্ণ জমিতে এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তাঁরা। বর্তমানে পাইকারি দরে এক কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ১৪ টাকা। চলতি মৌসুমে প্রতি কেজি আলুবীজ রোপণে খরচ পড়ছে সাড়ে ১৪ টাকার বেশি।
কৃষকেরা বলছেন, প্রতি কানি (১৪০ শতাংশ) জমিতে আলুবীজ রোপণের জন্য খরচ পড়বে প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এর মধ্যে জমির ভাড়া ৬০ হাজার, বীজ আলু ৪৫ হাজার, সার ৩৫ হাজার, জমি চাষ ১০ হাজার, শ্রমিক খরচ ২৫ হাজার, সেচ ১০ হাজার এবং কীটনাশক খরচ ২০ হাজার টাকা। এই হিসাবে প্রতি কেজি আলুর উৎপাদন খরচ দাঁড়াচ্ছে ১৪ টাকা ৬৪ পয়সা। একই পরিমাণ জমি থেকে প্রাকৃতিক উৎপাদনের ভিত্তিতে ৪০০ মণ বা ১৬ হাজার কেজি আলু উৎপাদনের আশা করা হচ্ছে। গত মৌসুমে কৃষকের উৎপাদন খরচ ছিল কেজি প্রতি ১৬ থেকে ১৮ টাকা। চলতি বছরে বীজ ও জমির ভাড়া কমায় উৎপাদন খরচ কিছুটা কমেছে, তবে সংরক্ষণ খরচ যোগ করলে কেজিপ্রতি আলুর খরচ অন্তত ২৬ টাকা হবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে মুন্সিগঞ্জে আলু আবাদের লক্ষ্যও কিছুটা কমানো হয়েছে। গতবার জেলার ৩৫ হাজার ৭৯৬ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছিল, চলতি মৌসুমে লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৩৪ হাজার ৬৫৫ হেক্টর, যা ২ হাজার ১০৪ হেক্টর কম। এই বছর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে ১০ লাখ ৯৭ হাজার ১৪৭ টন।
সিরাজদিখান উপজেলার কুসুমপুর গ্রামের কৃষক সেলিম শেখ বলেন, ‘গত মৌসুমের লোকসান কাটিয়ে উঠতেই এবার আবার আলু চাষে নেমেছি। এবার কিছু খরচ কমেছে। আশা করছি, যদি কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হয় এবং ফলন ভালো হয়, তাহলে গতবারের লোকসান কিছুটা হলেও পুষিয়ে নিতে পারব।’
এদিকে উৎপাদন বাড়ানোর জন্য অনেক সময় অতিরিক্ত সার ব্যবহার করেন কৃষকেরা। সিরাজদিখান উপজেলার চন্দনধুল গ্রামের মো. জুলহাস মিয়া বলেন, ‘আমি কানিপ্রতি প্রায় ২৬ বস্তা সার ব্যবহার করি। আমার ধারণা, জমির উর্বরতা শক্তি কমে গেলে অতিরিক্ত সার দিলে মাটির শক্তি বাড়ে এবং আলুর ফলনও বাড়ে। এ ছাড়া আলু পরিপক্ব হওয়ার ১৫ দিন থেকে এক মাস আগে জিবরেলিক অ্যাসিড স্প্রে ব্যবহার করে আলুর আকার বড় করার চেষ্টা করা হয়।’
তবে কৃষি কর্মকর্তারা সতর্ক করেছেন, প্রয়োজনের অতিরিক্ত সার ব্যবহার বা জিবরেলিক অ্যাসিড স্প্রে উৎপাদন বাড়ায় না, বরং আলু দ্রুত পচে যায় এবং খরচ বেড়ে যায়। সিরাজদিখান উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, এক কানি জমিতে ১৮ বস্তা সার যথেষ্ট। অতিরিক্ত সার দেওয়ার দরকার নেই। সঠিক পরিমাণে সার প্রয়োগ করলে আলুর ফলন ভালো হয় এবং কৃষক লাভবান হন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. মো. হাবিবুর রহমান বলেন, গত মৌসুমে আলুতে লোকসান ও বিকল্প শস্য চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করার কারণে চলতি মৌসুমে আলু আবাদের লক্ষ্য কমানো হয়েছে। তবু জেলার সব উপজেলায় আলু রোপণে ব্যাপক সাড়া মিলছে।

২০২১ সালের জুন মাস। কোভিড-১৯ মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর ব্যবসা সামলাচ্ছিলেন ভারতের তিরুপ্পুর-ভিত্তিক টেকনো স্পোর্টসওয়্যার প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুনীল ঝুঞ্জুনওয়ালা। হঠাৎ তিনি লক্ষ্য করলেন, পোন্ডিচেরির খুচরা বিক্রেতাদের কাছ থেকে তাঁদের কোম্পানির ‘রাউন্ড-নেক ফুল-স্লিভ’ পলিয়েস্টার..
১৮ নভেম্বর ২০২৪
কোনো ঘোষণা ছাড়াই নীরবে ভোক্তা পর্যায়ে সয়াবিন তেলের দাম একলাফে লিটারে ৯ টাকা এবং পাম তেলের দাম ৫ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে আমদানিকারক, পরিশোধন ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে না জানিয়েই নিজেদের মতো করে দাম নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি...
৭ ঘণ্টা আগে
রূপালী ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের সভায় বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দ্রুত রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় এক বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (৩ ডিসেম্বর) দিলকুশায় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বোর্ড রুমে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
৯ ঘণ্টা আগে
বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মো. আবদুর রশিদ ভূঁইয়া গতকাল মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) আনুমানিক বিকেল ৫টায় হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি ঢাকার হেমায়েতপুরের বিসিক শিল্পনগরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় আয়োজিত
৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কোনো ঘোষণা ছাড়াই নীরবে ভোক্তা পর্যায়ে সয়াবিন তেলের দাম একলাফে লিটারে ৯ টাকা এবং পাম তেলের দাম ৫ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে আমদানিকারক, পরিশোধন ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে না জানিয়েই নিজেদের মতো করে দাম নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন।
এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। অপর দিকে হঠাৎ করেই সয়াবিনের দাম লিটারে ৯ টাকা বাড়ানোর ঘোষণাকে স্বাভাবিকভাবে নেয়নি সরকারও। বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন সচিবালয়ে গতকাল সাংবাদিকদের বলেছেন, ব্যবসায়ীদের এ পদক্ষেপ বেআইনি। মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
আর বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, সরকার মূল্যস্ফীতি কমাতে চাইছে, কিন্তু ভোজ্যতেলের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত মূল্যস্ফীতিকে আরও উসকে দেবে। বাজারে ভোক্তাপর্যায়ে আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের সমন্বয়ে নতুন চাপ তৈরি করবে।
গত ১৩ এপ্রিল প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১৮৯ টাকা এবং পাম তেলের দাম ১৬৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তবে গত সেপ্টেম্বর মাসে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনকে চিঠি দেয় আমদানিকারক ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন।
ওই চিঠিতে বোতলজাত প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১০ টাকা বাড়িয়ে ১৯৯ টাকা ও পাঁচ লিটারের বোতল ৯৮৫ টাকা নির্ধারণ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। এ ছাড়া প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন ১৭৯ ও পাম তেল ১৬৯ টাকা নির্ধারণের দাবি জানানো হয়। তবে সরকার তাতে সায় দেয়নি। ওই সময় মিলমালিকদের সঙ্গে বৈঠক করে বাণিজ্য উপদেষ্টা জানান, লিটারে সর্বোচ্চ ১ টাকা বাড়ানো যেতে পারে।
এই অবস্থায় নিজেদের মতো করে দাম নির্ধারণ করেছেন ব্যবসায়ীরা। গতকাল বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পাঁচ লিটারের সয়াবিন তেলের বোতল বিক্রি হচ্ছে ৯৬৫ টাকা, যা এত দিন ছিল ৯২২ টাকা। অর্থাৎ লিটারে বেড়েছে সাড়ে ৮ টাকার বেশি। এ ছাড়া বোতলজাত প্রতি লিটার সয়াবিন ১৯৮ টাকা বিক্রি হচ্ছে, এত দিন ১৮৯ টাকা ছিল। এখানে বেড়েছে ৯ টাকা। তবে অনেক দোকানে আগের মূল্যের তেল থাকায় আগের দামেও বিক্রি হচ্ছে কোথাও কোথাও।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বশিরউদ্দীন গতকাল সচিবালয়ে বলেন, সরকারকে না জানিয়ে ভোজ্যতেলের দাম বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। আধা ঘণ্টা আগে তিনি বিষয়টি জানতে পেরেছেন।
সরকারকে পাশ কাটিয়ে ব্যবসায়ীরা কীভাবে তেলের দাম বাড়িয়ে দিলেন, এ প্রশ্নে উপদেষ্টা বলেন, ‘এ প্রশ্ন ব্যবসায়ীদের করুন। আমরা আলোচনা করেছি, পদক্ষেপ নিচ্ছি। এটা তো বাজারে গিয়ে তলোয়ার নিয়ে যুদ্ধ করার বিষয় নয়।’ তবে তিনি বলেন, ‘তেলের দাম বাড়ানোর যৌক্তিক কারণ থাকলে আলোচনা করা যাবে। সরকার সরবরাহব্যবস্থা গতিশীল রাখতে চায়। সরবরাহব্যবস্থা বিঘ্নিত করতে চাই না আমরা।’
ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীরা বলেছেন, দাম বাড়ানোর বিষয়ে মন্ত্রণালয় কিংবা ট্যারিফ কমিশনের অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন নেই। এ বিষয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘এটা তাঁদের বক্তব্য। তাঁদের এ কথা আমরা মানি না।’
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবিত অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইনের খসড়া নিয়ে গতকাল বৈঠক হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন ক্যাবের সভাপতি সাবেক সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ আইন অনুযায়ী কিছু পণ্যের মূল্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নির্ধারণ করে দেয়। মূল্য নির্ধারণ কীভাবে করা হবে, সেটার একটা সূত্র আছে। হঠাৎ করে ভোজ্যতেলের দাম লিটারে ৯ টাকা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ভোজ্যতেল পরিশোধন কারখানার সমিতি যদি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে পরামর্শ না করে তেলের দাম বাড়ায়, আমি বলব, তা আইনের ব্যত্যয়।’
ক্যাব সভাপতি আরও বলেন, ‘বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়া তেলের মূল্যবৃদ্ধি ভোক্তার অধিকারের প্রশ্ন। বাণিজ্য উপদেষ্টা যে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন, আমরা তা দেখার অপেক্ষায় আছি।’
বাণিজ্য উপদেষ্টা জানান, গত মঙ্গলবার সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটিতে টিসিবির জন্য দেড় কোটি লিটার ভোজ্যতেল কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৫০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল ও এক কোটি লিটার রাইস ব্র্যান তেল কেনা হবে।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, সরকার গতকাল ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে যে দামে ভোজ্যতেল কিনেছে, আজ বাজারে তার চেয়ে ২০ টাকা বেশি দামে তেল বিক্রি হচ্ছে। তিনি এর যৌক্তিক কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না।
ব্যবসায়ীরা যা বলছেন
মিলমালিকদের দাবি, তাঁরা নিয়ম মেনেই ভোজ্যতেলের দাম বাড়িয়েছেন। অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বিপণন ও পরিবেশক নিয়োগ আদেশ, ২০১১-এর বিধান অনুসারেই দাম সমন্বয় করা হয়েছে। বিধান অনুসারে মিলমালিকেরা প্রয়োজন অনুসারে সময় সময় দাম সমন্বয় করতে পারেন। তবে এটি সরকারকে অবহিত করতে হবে। যদি সরকার এতে আপত্তি তোলে, তবে আলোচনার ভিত্তিতে দাম নির্ধারণ হবে, তাঁরা সেটিই করেছেন। এবং এই মূল্যবৃদ্ধি আন্তর্জাতিক বাজার, দেশের খরচ বৃদ্ধিসহ সব দিক থেকেই যৌক্তিক।
জানতে চাইলে ভোজ্যতেলের অন্যতম বৃহৎ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান টিকে গ্রুপের পরিচালক শফিউল আতহার তসলিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা নিয়ম অনুযায়ী গত ১০ নভেম্বর সরকারকে দাম বাড়ানোর বিষয়টি অবহিত করেছি। ট্যারিফ কমিশন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, এনবিআরসহ সব জায়গায় চিঠি দিয়েছি। সেখানে কত দাম বাড়নো হবে, নতুন দাম কত হবে, সব লেখা রয়েছে। চিঠি দেওয়ার পর সরকারের তরফ থেকে কোনো আপত্তি বা বাধা পাইনি। সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আমাদের ডাকাও হয়নি। তাই যথানিয়মে আমরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছি।’

কোনো ঘোষণা ছাড়াই নীরবে ভোক্তা পর্যায়ে সয়াবিন তেলের দাম একলাফে লিটারে ৯ টাকা এবং পাম তেলের দাম ৫ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে আমদানিকারক, পরিশোধন ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে না জানিয়েই নিজেদের মতো করে দাম নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন।
এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। অপর দিকে হঠাৎ করেই সয়াবিনের দাম লিটারে ৯ টাকা বাড়ানোর ঘোষণাকে স্বাভাবিকভাবে নেয়নি সরকারও। বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন সচিবালয়ে গতকাল সাংবাদিকদের বলেছেন, ব্যবসায়ীদের এ পদক্ষেপ বেআইনি। মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
আর বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, সরকার মূল্যস্ফীতি কমাতে চাইছে, কিন্তু ভোজ্যতেলের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত মূল্যস্ফীতিকে আরও উসকে দেবে। বাজারে ভোক্তাপর্যায়ে আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের সমন্বয়ে নতুন চাপ তৈরি করবে।
গত ১৩ এপ্রিল প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১৮৯ টাকা এবং পাম তেলের দাম ১৬৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তবে গত সেপ্টেম্বর মাসে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনকে চিঠি দেয় আমদানিকারক ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন।
ওই চিঠিতে বোতলজাত প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১০ টাকা বাড়িয়ে ১৯৯ টাকা ও পাঁচ লিটারের বোতল ৯৮৫ টাকা নির্ধারণ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। এ ছাড়া প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন ১৭৯ ও পাম তেল ১৬৯ টাকা নির্ধারণের দাবি জানানো হয়। তবে সরকার তাতে সায় দেয়নি। ওই সময় মিলমালিকদের সঙ্গে বৈঠক করে বাণিজ্য উপদেষ্টা জানান, লিটারে সর্বোচ্চ ১ টাকা বাড়ানো যেতে পারে।
এই অবস্থায় নিজেদের মতো করে দাম নির্ধারণ করেছেন ব্যবসায়ীরা। গতকাল বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পাঁচ লিটারের সয়াবিন তেলের বোতল বিক্রি হচ্ছে ৯৬৫ টাকা, যা এত দিন ছিল ৯২২ টাকা। অর্থাৎ লিটারে বেড়েছে সাড়ে ৮ টাকার বেশি। এ ছাড়া বোতলজাত প্রতি লিটার সয়াবিন ১৯৮ টাকা বিক্রি হচ্ছে, এত দিন ১৮৯ টাকা ছিল। এখানে বেড়েছে ৯ টাকা। তবে অনেক দোকানে আগের মূল্যের তেল থাকায় আগের দামেও বিক্রি হচ্ছে কোথাও কোথাও।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বশিরউদ্দীন গতকাল সচিবালয়ে বলেন, সরকারকে না জানিয়ে ভোজ্যতেলের দাম বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। আধা ঘণ্টা আগে তিনি বিষয়টি জানতে পেরেছেন।
সরকারকে পাশ কাটিয়ে ব্যবসায়ীরা কীভাবে তেলের দাম বাড়িয়ে দিলেন, এ প্রশ্নে উপদেষ্টা বলেন, ‘এ প্রশ্ন ব্যবসায়ীদের করুন। আমরা আলোচনা করেছি, পদক্ষেপ নিচ্ছি। এটা তো বাজারে গিয়ে তলোয়ার নিয়ে যুদ্ধ করার বিষয় নয়।’ তবে তিনি বলেন, ‘তেলের দাম বাড়ানোর যৌক্তিক কারণ থাকলে আলোচনা করা যাবে। সরকার সরবরাহব্যবস্থা গতিশীল রাখতে চায়। সরবরাহব্যবস্থা বিঘ্নিত করতে চাই না আমরা।’
ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীরা বলেছেন, দাম বাড়ানোর বিষয়ে মন্ত্রণালয় কিংবা ট্যারিফ কমিশনের অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন নেই। এ বিষয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘এটা তাঁদের বক্তব্য। তাঁদের এ কথা আমরা মানি না।’
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবিত অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইনের খসড়া নিয়ে গতকাল বৈঠক হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন ক্যাবের সভাপতি সাবেক সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ আইন অনুযায়ী কিছু পণ্যের মূল্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নির্ধারণ করে দেয়। মূল্য নির্ধারণ কীভাবে করা হবে, সেটার একটা সূত্র আছে। হঠাৎ করে ভোজ্যতেলের দাম লিটারে ৯ টাকা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ভোজ্যতেল পরিশোধন কারখানার সমিতি যদি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে পরামর্শ না করে তেলের দাম বাড়ায়, আমি বলব, তা আইনের ব্যত্যয়।’
ক্যাব সভাপতি আরও বলেন, ‘বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়া তেলের মূল্যবৃদ্ধি ভোক্তার অধিকারের প্রশ্ন। বাণিজ্য উপদেষ্টা যে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন, আমরা তা দেখার অপেক্ষায় আছি।’
বাণিজ্য উপদেষ্টা জানান, গত মঙ্গলবার সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটিতে টিসিবির জন্য দেড় কোটি লিটার ভোজ্যতেল কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৫০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল ও এক কোটি লিটার রাইস ব্র্যান তেল কেনা হবে।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, সরকার গতকাল ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে যে দামে ভোজ্যতেল কিনেছে, আজ বাজারে তার চেয়ে ২০ টাকা বেশি দামে তেল বিক্রি হচ্ছে। তিনি এর যৌক্তিক কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না।
ব্যবসায়ীরা যা বলছেন
মিলমালিকদের দাবি, তাঁরা নিয়ম মেনেই ভোজ্যতেলের দাম বাড়িয়েছেন। অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বিপণন ও পরিবেশক নিয়োগ আদেশ, ২০১১-এর বিধান অনুসারেই দাম সমন্বয় করা হয়েছে। বিধান অনুসারে মিলমালিকেরা প্রয়োজন অনুসারে সময় সময় দাম সমন্বয় করতে পারেন। তবে এটি সরকারকে অবহিত করতে হবে। যদি সরকার এতে আপত্তি তোলে, তবে আলোচনার ভিত্তিতে দাম নির্ধারণ হবে, তাঁরা সেটিই করেছেন। এবং এই মূল্যবৃদ্ধি আন্তর্জাতিক বাজার, দেশের খরচ বৃদ্ধিসহ সব দিক থেকেই যৌক্তিক।
জানতে চাইলে ভোজ্যতেলের অন্যতম বৃহৎ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান টিকে গ্রুপের পরিচালক শফিউল আতহার তসলিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা নিয়ম অনুযায়ী গত ১০ নভেম্বর সরকারকে দাম বাড়ানোর বিষয়টি অবহিত করেছি। ট্যারিফ কমিশন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, এনবিআরসহ সব জায়গায় চিঠি দিয়েছি। সেখানে কত দাম বাড়নো হবে, নতুন দাম কত হবে, সব লেখা রয়েছে। চিঠি দেওয়ার পর সরকারের তরফ থেকে কোনো আপত্তি বা বাধা পাইনি। সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আমাদের ডাকাও হয়নি। তাই যথানিয়মে আমরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছি।’

২০২১ সালের জুন মাস। কোভিড-১৯ মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর ব্যবসা সামলাচ্ছিলেন ভারতের তিরুপ্পুর-ভিত্তিক টেকনো স্পোর্টসওয়্যার প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুনীল ঝুঞ্জুনওয়ালা। হঠাৎ তিনি লক্ষ্য করলেন, পোন্ডিচেরির খুচরা বিক্রেতাদের কাছ থেকে তাঁদের কোম্পানির ‘রাউন্ড-নেক ফুল-স্লিভ’ পলিয়েস্টার..
১৮ নভেম্বর ২০২৪
গত মৌসুমের লোকসান কাটতে না কাটতেই আবারও মুন্সিগঞ্জের ছয়টি উপজেলায় আলু রোপণ শুরু করেছেন কৃষকেরা। শীতের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে জেলার বিস্তীর্ণ জমিতে এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তাঁরা। বর্তমানে পাইকারি দরে এক কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ১৪ টাকা। চলতি মৌসুমে প্রতি কেজি আলুবীজ রোপণে খরচ পড়ছে সাড়ে ১৪ টাকার বেশি।
৭ ঘণ্টা আগে
রূপালী ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের সভায় বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দ্রুত রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় এক বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (৩ ডিসেম্বর) দিলকুশায় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বোর্ড রুমে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
৯ ঘণ্টা আগে
বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মো. আবদুর রশিদ ভূঁইয়া গতকাল মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) আনুমানিক বিকেল ৫টায় হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি ঢাকার হেমায়েতপুরের বিসিক শিল্পনগরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় আয়োজিত
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রূপালী ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের সভায় বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দ্রুত রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় এক বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (৩ ডিসেম্বর) দিলকুশায় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বোর্ডরুমে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে তিনবারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে খালেদা জিয়ার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা, দীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রাম, ত্যাগ ও অবদান স্মরণের পাশাপাশি তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
এতে পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মো. নজরুল হুদা উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া ব্যাংকের পরিচালক এ বি এম আব্দুস সাত্তার, মো. আবু ইউসুফ মিয়া, সোয়ায়েব আহমেদ, মুজিব আহমদ সিদ্দিকী, এ এইচ এম মঈন উদ্দীন, এ বি এম শওকত ইকবাল শাহিন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মো. ওয়াহিদুল ইসলামসহ ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালকেরা উপস্থিত ছিলেন।

রূপালী ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের সভায় বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দ্রুত রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় এক বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (৩ ডিসেম্বর) দিলকুশায় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বোর্ডরুমে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে তিনবারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে খালেদা জিয়ার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা, দীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রাম, ত্যাগ ও অবদান স্মরণের পাশাপাশি তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
এতে পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মো. নজরুল হুদা উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া ব্যাংকের পরিচালক এ বি এম আব্দুস সাত্তার, মো. আবু ইউসুফ মিয়া, সোয়ায়েব আহমেদ, মুজিব আহমদ সিদ্দিকী, এ এইচ এম মঈন উদ্দীন, এ বি এম শওকত ইকবাল শাহিন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মো. ওয়াহিদুল ইসলামসহ ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালকেরা উপস্থিত ছিলেন।

২০২১ সালের জুন মাস। কোভিড-১৯ মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর ব্যবসা সামলাচ্ছিলেন ভারতের তিরুপ্পুর-ভিত্তিক টেকনো স্পোর্টসওয়্যার প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুনীল ঝুঞ্জুনওয়ালা। হঠাৎ তিনি লক্ষ্য করলেন, পোন্ডিচেরির খুচরা বিক্রেতাদের কাছ থেকে তাঁদের কোম্পানির ‘রাউন্ড-নেক ফুল-স্লিভ’ পলিয়েস্টার..
১৮ নভেম্বর ২০২৪
গত মৌসুমের লোকসান কাটতে না কাটতেই আবারও মুন্সিগঞ্জের ছয়টি উপজেলায় আলু রোপণ শুরু করেছেন কৃষকেরা। শীতের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে জেলার বিস্তীর্ণ জমিতে এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তাঁরা। বর্তমানে পাইকারি দরে এক কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ১৪ টাকা। চলতি মৌসুমে প্রতি কেজি আলুবীজ রোপণে খরচ পড়ছে সাড়ে ১৪ টাকার বেশি।
৭ ঘণ্টা আগে
কোনো ঘোষণা ছাড়াই নীরবে ভোক্তা পর্যায়ে সয়াবিন তেলের দাম একলাফে লিটারে ৯ টাকা এবং পাম তেলের দাম ৫ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে আমদানিকারক, পরিশোধন ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে না জানিয়েই নিজেদের মতো করে দাম নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি...
৭ ঘণ্টা আগে
বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মো. আবদুর রশিদ ভূঁইয়া গতকাল মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) আনুমানিক বিকেল ৫টায় হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি ঢাকার হেমায়েতপুরের বিসিক শিল্পনগরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় আয়োজিত
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মো. আবদুর রশিদ ভূঁইয়া গতকাল মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) আনুমানিক বিকেল ৫টায় হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি ঢাকার হেমায়েতপুরের বিসিক শিল্পনগরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় আয়োজিত মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে অংশ নেওয়ার সময় মৃত্যুবরণ করেন।
তিনি রশিদ গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের কর্ণধার এবং ঢাকা হ্যান্ড অ্যান্ড স্ক্রিনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন।
এ ছাড়া তিনি বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদার সুজ ও ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সাবেক সংসদ সদস্য শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানির শ্বশুর তিনি।
তাঁর মৃত্যুতে অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আনোয়ারুল ইসলাম গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।

বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মো. আবদুর রশিদ ভূঁইয়া গতকাল মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) আনুমানিক বিকেল ৫টায় হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি ঢাকার হেমায়েতপুরের বিসিক শিল্পনগরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় আয়োজিত মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে অংশ নেওয়ার সময় মৃত্যুবরণ করেন।
তিনি রশিদ গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের কর্ণধার এবং ঢাকা হ্যান্ড অ্যান্ড স্ক্রিনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন।
এ ছাড়া তিনি বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদার সুজ ও ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সাবেক সংসদ সদস্য শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানির শ্বশুর তিনি।
তাঁর মৃত্যুতে অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আনোয়ারুল ইসলাম গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।

২০২১ সালের জুন মাস। কোভিড-১৯ মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর ব্যবসা সামলাচ্ছিলেন ভারতের তিরুপ্পুর-ভিত্তিক টেকনো স্পোর্টসওয়্যার প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুনীল ঝুঞ্জুনওয়ালা। হঠাৎ তিনি লক্ষ্য করলেন, পোন্ডিচেরির খুচরা বিক্রেতাদের কাছ থেকে তাঁদের কোম্পানির ‘রাউন্ড-নেক ফুল-স্লিভ’ পলিয়েস্টার..
১৮ নভেম্বর ২০২৪
গত মৌসুমের লোকসান কাটতে না কাটতেই আবারও মুন্সিগঞ্জের ছয়টি উপজেলায় আলু রোপণ শুরু করেছেন কৃষকেরা। শীতের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে জেলার বিস্তীর্ণ জমিতে এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তাঁরা। বর্তমানে পাইকারি দরে এক কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ১৪ টাকা। চলতি মৌসুমে প্রতি কেজি আলুবীজ রোপণে খরচ পড়ছে সাড়ে ১৪ টাকার বেশি।
৭ ঘণ্টা আগে
কোনো ঘোষণা ছাড়াই নীরবে ভোক্তা পর্যায়ে সয়াবিন তেলের দাম একলাফে লিটারে ৯ টাকা এবং পাম তেলের দাম ৫ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে আমদানিকারক, পরিশোধন ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে না জানিয়েই নিজেদের মতো করে দাম নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি...
৭ ঘণ্টা আগে
রূপালী ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের সভায় বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দ্রুত রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় এক বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (৩ ডিসেম্বর) দিলকুশায় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বোর্ড রুমে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
৯ ঘণ্টা আগে