এএফপি, ওসাকা
জাপানে আনুষ্ঠানিকভাবে পর্দা উঠেছে ওয়ার্ল্ড এক্সপো ২০২৫-এর। গতকাল রোববার ওসাকায় শুরু হওয়া এক্সপোতে ১৬০টি দেশ ও অঞ্চল অংশ নিচ্ছে, প্রদর্শন করছে তাদের প্রযুক্তি, সংস্কৃতি ও খাদ্যবৈচিত্র্য। অক্টোবরের মাঝামাঝি পর্যন্ত চলবে এ মেলা। আয়োজক জাপানের আশা, এই মেলা বৈশ্বিক অস্থিরতার মধ্যে নতুন করে আশার সঞ্চার করবে।
এ বছরের আকর্ষণীয় উপস্থাপনাগুলোর মধ্যে রয়েছে মঙ্গলগ্রহের একটি উল্কাপিণ্ড, স্টেমসেল থেকে তৈরি জীবন্ত কৃত্রিম হৃৎপিণ্ড এবং শৈবাল-আকৃতির হ্যালো কিটি ভাস্কর্য—সবই যেন প্রযুক্তি, বিজ্ঞান ও সৃজনশীলতার মিলনমেলা। বিশাল কাঠের তৈরি আংটির মতো কাঠামো ‘গ্র্যান্ড রিং’ ঘিরে রেখেছে পুরো এক্সপো এলাকা—বিশ্বের সবচেয়ে বড় কাঠের স্থাপনা এটি। এর ওপরের ‘স্কাইওয়াক’ থেকে পুরো এলাকাটির সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা উদ্বোধনী ভাষণে বলেন, ‘বিভক্ত সমাজে এ মেলা ঐক্যের এক প্রতীক হবে।’
তবে বিশ্বের নানা প্রান্তে চলমান যুদ্ধ এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য নীতিতে বিশ্ব অর্থনীতির টানাপোড়েনের প্রেক্ষাপটে এই আশা বাস্তবায়ন কতটা সম্ভব, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
শান্তির বার্তা, অনুপস্থিত রাশিয়া
ইউক্রেন প্যাভিলিয়নের ওপর লেখা ছিল ‘বিক্রির জন্য নয়’—এটি যেন এক প্রতীকী জবাব রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে। প্যাভিলিয়নে যুদ্ধবিধ্বস্ত বিদ্যুৎকেন্দ্র পুনর্গঠনে ব্যবহৃত জিনিসপত্র রাখা হয়েছে। রাশিয়া এই এক্সপোতে অংশ নেয়নি।
ইউক্রেনের উপ-অর্থনৈতিক মন্ত্রী তাতিয়ানা বেরেজনা বলেন, ‘আমরাই গড়ি, ধ্বংস করি না।’
ইসরায়েলের প্যাভিলিয়নে রাখা হয়েছে পূর্ব জেরুজালেমের পশ্চিম প্রাচীর থেকে আনা একটি পাথর। ইসরায়েলের প্রতিনিধি ইয়াহেল ভিলান বলেন, ‘আমরা এসেছি শান্তির বার্তা নিয়ে।’ পাশেই রয়েছে ফিলিস্তিনের প্যাভিলিয়ন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্যাভিলিয়নের নাম ‘আমেরিকা দ্য বিউটিফুল’—এখানে রাজনীতির চেয়ে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও মহাকাশ গবেষণায়।
চীনের প্যাভিলিয়ন দেখতে যেন একটি ক্যালিগ্রাফির স্ক্রল—ভেতরে রয়েছে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ও চাঁদ থেকে আনা নমুনা।
ফ্রান্সের প্যাভিলিয়ন ঢেকে রাখা বিশাল সাদা কাপড়ে—অনুপ্রেরণা নেওয়া হয়েছে জাপানি লোককথা ‘আকাই ইতো’ থেকে, যেখানে একটি অদৃশ্য লাল সুতো ভাগ্য ও সম্পর্কের প্রতীক।
অদ্ভুত ও আকর্ষণীয়
এক্সপোর মজার দিকগুলোও কম নয়। দেখা যাবে বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা সুশি পরিবেশন বেল্ট, ‘মিয়াকু-মিয়াকু’ নামের একাধিক চোখওয়ালা মাসকট, ৩২ রকমের শৈবালরূপী হ্যালো কিটি, এমনকি ‘মানব ধোয়ার মেশিন’।
প্রথমবার জনসমক্ষে প্রদর্শিত হয়েছে জীবন্ত কৃত্রিম হৃদয়, যা তৈরি হয়েছে স্টেমসেল থেকে। ‘এটি বাস্তব হৃদয়ের মতো স্পন্দিত হয়’, জানালেন পাশোনা গ্রুপের বায়রন রাসেল।
ধীর টিকিট বিক্রি
১৯৭০ সালে যখন ওসাকা শেষবার এক্সপোর আয়োজন করেছিল, জাপান তখন প্রযুক্তির শীর্ষে ছিল এবং সেই মেলায় ৬৪ মিলিয়ন দর্শনার্থী এসেছিলেন, যা ২০১০ সালে সাংহাই এক্সপো পর্যন্ত রেকর্ড ছিল। এবার অবকাঠামোগত খরচ ২৭ শতাংশ বেড়ে যাওয়ার কারণে জাপানের জনগণের উৎসাহ কমেছে। ১৪ মিলিয়নের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে এখন পর্যন্ত অগ্রিম টিকিট বিক্রি হয়েছে মাত্র ৮ দশমিক ৭ মিলিয়ন। তবে বিদেশি পর্যটকদের ভিড়ে ওসাকায় হোটেল খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে উঠেছে। দামও অস্বাভাবিক।
জাপানে আনুষ্ঠানিকভাবে পর্দা উঠেছে ওয়ার্ল্ড এক্সপো ২০২৫-এর। গতকাল রোববার ওসাকায় শুরু হওয়া এক্সপোতে ১৬০টি দেশ ও অঞ্চল অংশ নিচ্ছে, প্রদর্শন করছে তাদের প্রযুক্তি, সংস্কৃতি ও খাদ্যবৈচিত্র্য। অক্টোবরের মাঝামাঝি পর্যন্ত চলবে এ মেলা। আয়োজক জাপানের আশা, এই মেলা বৈশ্বিক অস্থিরতার মধ্যে নতুন করে আশার সঞ্চার করবে।
এ বছরের আকর্ষণীয় উপস্থাপনাগুলোর মধ্যে রয়েছে মঙ্গলগ্রহের একটি উল্কাপিণ্ড, স্টেমসেল থেকে তৈরি জীবন্ত কৃত্রিম হৃৎপিণ্ড এবং শৈবাল-আকৃতির হ্যালো কিটি ভাস্কর্য—সবই যেন প্রযুক্তি, বিজ্ঞান ও সৃজনশীলতার মিলনমেলা। বিশাল কাঠের তৈরি আংটির মতো কাঠামো ‘গ্র্যান্ড রিং’ ঘিরে রেখেছে পুরো এক্সপো এলাকা—বিশ্বের সবচেয়ে বড় কাঠের স্থাপনা এটি। এর ওপরের ‘স্কাইওয়াক’ থেকে পুরো এলাকাটির সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা উদ্বোধনী ভাষণে বলেন, ‘বিভক্ত সমাজে এ মেলা ঐক্যের এক প্রতীক হবে।’
তবে বিশ্বের নানা প্রান্তে চলমান যুদ্ধ এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য নীতিতে বিশ্ব অর্থনীতির টানাপোড়েনের প্রেক্ষাপটে এই আশা বাস্তবায়ন কতটা সম্ভব, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
শান্তির বার্তা, অনুপস্থিত রাশিয়া
ইউক্রেন প্যাভিলিয়নের ওপর লেখা ছিল ‘বিক্রির জন্য নয়’—এটি যেন এক প্রতীকী জবাব রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে। প্যাভিলিয়নে যুদ্ধবিধ্বস্ত বিদ্যুৎকেন্দ্র পুনর্গঠনে ব্যবহৃত জিনিসপত্র রাখা হয়েছে। রাশিয়া এই এক্সপোতে অংশ নেয়নি।
ইউক্রেনের উপ-অর্থনৈতিক মন্ত্রী তাতিয়ানা বেরেজনা বলেন, ‘আমরাই গড়ি, ধ্বংস করি না।’
ইসরায়েলের প্যাভিলিয়নে রাখা হয়েছে পূর্ব জেরুজালেমের পশ্চিম প্রাচীর থেকে আনা একটি পাথর। ইসরায়েলের প্রতিনিধি ইয়াহেল ভিলান বলেন, ‘আমরা এসেছি শান্তির বার্তা নিয়ে।’ পাশেই রয়েছে ফিলিস্তিনের প্যাভিলিয়ন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্যাভিলিয়নের নাম ‘আমেরিকা দ্য বিউটিফুল’—এখানে রাজনীতির চেয়ে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও মহাকাশ গবেষণায়।
চীনের প্যাভিলিয়ন দেখতে যেন একটি ক্যালিগ্রাফির স্ক্রল—ভেতরে রয়েছে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ও চাঁদ থেকে আনা নমুনা।
ফ্রান্সের প্যাভিলিয়ন ঢেকে রাখা বিশাল সাদা কাপড়ে—অনুপ্রেরণা নেওয়া হয়েছে জাপানি লোককথা ‘আকাই ইতো’ থেকে, যেখানে একটি অদৃশ্য লাল সুতো ভাগ্য ও সম্পর্কের প্রতীক।
অদ্ভুত ও আকর্ষণীয়
এক্সপোর মজার দিকগুলোও কম নয়। দেখা যাবে বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা সুশি পরিবেশন বেল্ট, ‘মিয়াকু-মিয়াকু’ নামের একাধিক চোখওয়ালা মাসকট, ৩২ রকমের শৈবালরূপী হ্যালো কিটি, এমনকি ‘মানব ধোয়ার মেশিন’।
প্রথমবার জনসমক্ষে প্রদর্শিত হয়েছে জীবন্ত কৃত্রিম হৃদয়, যা তৈরি হয়েছে স্টেমসেল থেকে। ‘এটি বাস্তব হৃদয়ের মতো স্পন্দিত হয়’, জানালেন পাশোনা গ্রুপের বায়রন রাসেল।
ধীর টিকিট বিক্রি
১৯৭০ সালে যখন ওসাকা শেষবার এক্সপোর আয়োজন করেছিল, জাপান তখন প্রযুক্তির শীর্ষে ছিল এবং সেই মেলায় ৬৪ মিলিয়ন দর্শনার্থী এসেছিলেন, যা ২০১০ সালে সাংহাই এক্সপো পর্যন্ত রেকর্ড ছিল। এবার অবকাঠামোগত খরচ ২৭ শতাংশ বেড়ে যাওয়ার কারণে জাপানের জনগণের উৎসাহ কমেছে। ১৪ মিলিয়নের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে এখন পর্যন্ত অগ্রিম টিকিট বিক্রি হয়েছে মাত্র ৮ দশমিক ৭ মিলিয়ন। তবে বিদেশি পর্যটকদের ভিড়ে ওসাকায় হোটেল খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে উঠেছে। দামও অস্বাভাবিক।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) একটি দল তাদের ঋণের শর্ত হিসেবে ঢাকায় সরকারি অর্থের হিসাব খতিয়ে দেখছে। একই সময়ে, বাংলাদেশ আগামী জুলাই মাস থেকে শুরু হওয়া অর্থবছরের জন্য প্রথমবারের মতো ছোট আকারের বাজেট তৈরি করছে। ছোট বাজেট তৈরি কারণ, দেশ নিয়মিতই বাজেট ব্যবহার ও বাস্তবায়নে পিছিয়ে থাকছে। বিশ্লেষকেরা
১৮ মিনিট আগেদক্ষিণ এশিয়ায় ১৮ কোটি মানুষের দেশ বাংলাদেশ। দেশটি বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ এক অর্থনৈতিক পরিবর্তনের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে। মাথাপিছু জিডিপিতে ধারাবাহিকভাবে ভারতকে ছাড়িয়ে যাওয়া বাংলাদেশ ২০৩৫ সালের মধ্যে বিশ্ব শীর্ষ ২৫ তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে বলে আশা করা
২ ঘণ্টা আগেটেক জায়ান্ট অ্যাপল ভারতে বেশ কিছুদিন হলো আইফোন তৈরি করছে। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোম্পানিটি গত ১২ মাসে ভারতে প্রায় ২২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের আইফোন তৈরি করেছে। এই পরিমাণ আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৬০ শতাংশ বেশি। মূলত চীন থেকে উৎপাদন সরিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবেই
১৫ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত শুল্কের ঝড় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চিংড়ি সরবরাহ ব্যবস্থায় বড় ধরনের আঘাত হানতে পারে। বৃহত্তম সরবরাহকারী দেশ ভারতের রপ্তানিকারকেরা বলছেন, হিমায়িত এই সুস্বাদু খাদ্য বোঝাই ২ হাজার কন্টেইনার ঝুঁকির মুখে পড়েছে।
১ দিন আগে