ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান একীভূত ও অবসায়ন
আসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা

অর্থনীতিকে নাড়িয়ে দেওয়া সরকারের এক বড় সিদ্ধান্তে পুঁজিবাজারের হাজারো সাধারণ বিনিয়োগকারী এখন অনিশ্চয়তার ছায়ায়। লুটপাট ও অনিয়মে জর্জরিত পাঁচটি শরিয়াহভিত্তিক বেসরকারি ব্যাংককে একীভূত করে নতুন ব্যাংক গঠন এবং ৯টি দুর্বল আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফআই) বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সরকার এই উদ্যোগকে আর্থিক খাতের সংস্কারের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখলেও এসব প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করা সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের পুঁজি কীভাবে সুরক্ষিত থাকবে, তা এখনো কেউ স্পষ্ট করে বলেনি।
সরকারের পরিকল্পনায় আমানতকারীদের স্বার্থ সুরক্ষার বিষয়টি স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকলেও সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। এতে বাজারে ব্যাপক হতাশা ও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। বিনিয়োগকারীরা বলছেন, যাঁরা বছরের পর বছর ধরে এই ব্যাংকগুলোর শেয়ার কিনে রেখেছেন, তাঁদের সম্পূর্ণ অন্ধকারে রাখা হয়েছে।
ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সভাপতি সাইফুল ইসলাম এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে বলেন, শেয়ারহোল্ডারদের বিষয়ে কোনো স্পষ্ট ঘোষণা নেই। এই অস্পষ্টতার কারণেই ব্যাংকগুলোর শেয়ারদর এখন অস্বাভাবিকভাবে কমে গেছে। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বিষয়ে এখনই একটা পরিষ্কার সিদ্ধান্ত দরকার।
তথ্য অনুযায়ী, একীভূত বা বন্ধ হতে যাওয়া ১৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৩টি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত। এই ব্যাংক ও এনবিএফআইগুলোয় গত কয়েক বছরে লুটপাট, অনিয়ম ও অপব্যবস্থাপনার কারণে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য নেতিবাচক হয়ে গেছে। কিছু ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য ঋণাত্মক ৭৫ টাকা থেকে শুরু করে ৪৩৮ টাকা পর্যন্ত নেমে গেছে। অর্থাৎ এদের সম্পদের চেয়ে দায় অনেক বেশি। ফলে আইনি প্রক্রিয়ায় একীভূত হলে শেয়ারহোল্ডাররা কোনো ক্ষতিপূরণ পাবেন না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানিয়েছে, নতুন ‘ব্যাংক রেজল্যুশন অধ্যাদেশ, ২০২৫’ অনুযায়ী, একীভূতকরণের ক্ষেত্রে সাধারণ শেয়ারহোল্ডাররা কোনো আর্থিক ক্ষতিপূরণ বা নতুন শেয়ার পাবেন না। নতুন ব্যাংক পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হবে, কিন্তু পুরোনো ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগকারীরা সেখানে কোনো মালিকানা পাবেন না।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, শেয়ারহোল্ডারদের বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি, তবে আইনি কাঠামো অনুযায়ী খুব বেশি আশাবাদী হওয়ার সুযোগ নেই।
ব্যাংক একীভূতকরণ ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান অবসায়নের প্রক্রিয়ায় সবচেয়ে বড় অভিযোগ, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সঙ্গে কোনো পরামর্শ করা হয়নি। এমনকি তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোও তাদের শেয়ারহোল্ডারদের জানাতে পারেনি যে তাঁদের ভবিষ্যৎ কী হতে যাচ্ছে। স্টক এক্সচেঞ্জে মূল্য সংবেদনশীল তথ্য প্রকাশের সুযোগও দেওয়া হয়নি। বিশেষ করে ব্যাংক একীভূতকরণ বাস্তবায়নের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ (এফআইডি) আট সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে। সেখানেও বিএসইসির কোনো প্রতিনিধি রাখা হয়নি।
সম্প্রতি বিএসইসি এই বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নরকে চিঠি দিয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, এসব প্রতিষ্ঠানের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য সাধারণ বিনিয়োগকারীরা দায়ী নন, তাই তাঁদের স্বার্থ সংরক্ষণে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
বিএসইসি চারটি সুপারিশ করেছে—প্রথমত, ব্যাংকের সম্পদমূল্য নির্ধারণের সময় শুধু হিসাবের ব্যালান্স নয়, তাদের ব্র্যান্ড ভ্যালু, শাখা নেটওয়ার্ক, ক্লায়েন্ট বেস ও সার্ভিস সক্ষমতাও বিবেচনায় নিতে হবে। দ্বিতীয়ত, দায়ী ব্যক্তিদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে যা আদায় করা সম্ভব, তা বিনিয়োগকারীদের ক্ষতিপূরণের অংশে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তৃতীয়ত, দায়ী ব্যক্তিদের শেয়ার বাদ দিয়ে অন্য সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের ন্যূনতম স্বার্থমূল্য নির্ধারণ করতে হবে। চতুর্থত, এই মূল্যায়নের ভিত্তিতে একীভূতকরণের অনুপাত নির্ধারণ এবং নতুন ব্যাংকের শেয়ার ইস্যু বা ডিলিস্টিংয়ের আগে বিনিয়োগকারীদের অধিকার স্পষ্ট করতে হবে।
বিএসইসির মুখপাত্র আবুল কালাম বলেন, ‘একজন সাধারণ বিনিয়োগকারী আইনে যতটা সুরক্ষা পাওয়ার অধিকার রাখেন, বাংলাদেশ ব্যাংককে আমরা সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলেছি।’
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেউলিয়া অবস্থায় ফেলে রাখার দায় বিনিয়োগকারীদের নয়। এ বিষয়ে ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) চেয়ারম্যান ও পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, যারা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো লুট করেছে, তারা দায়ী। সরকার চাইলে তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের কিছুটা ক্ষতিপূরণ দিতে পারে। কারণ, আমানতকারী আর শেয়ারহোল্ডারই শেষ পর্যন্ত একই আর্থিক ব্যবস্থার অংশ।
অন্যদিকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন বলেন, সব চিন্তা আমানতকারীদের ঘিরে, কিন্তু শেয়ারহোল্ডারদের নিয়ে কেউ ভাবছে না। তাঁদের যেন বঞ্চিত না করা হয়, সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংককে সেটি নিশ্চিত করতে হবে।
সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য এই অনিশ্চয়তা এখন বাস্তব আতঙ্কে পরিণত হয়েছে। গত কয়েক মাসে বাজারে এই ব্যাংকগুলোর শেয়ারদর একবার হঠাৎ অর্ধেকে নেমেছে, আবার কিছুদিন পর অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে; যেখানে কোনো দিকনির্দেশনা ছিল না। অনেকেই না বুঝে এই অস্থিরতার সময় শেয়ার কিনে বড় ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
আরও খবর পড়ুন:

অর্থনীতিকে নাড়িয়ে দেওয়া সরকারের এক বড় সিদ্ধান্তে পুঁজিবাজারের হাজারো সাধারণ বিনিয়োগকারী এখন অনিশ্চয়তার ছায়ায়। লুটপাট ও অনিয়মে জর্জরিত পাঁচটি শরিয়াহভিত্তিক বেসরকারি ব্যাংককে একীভূত করে নতুন ব্যাংক গঠন এবং ৯টি দুর্বল আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফআই) বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সরকার এই উদ্যোগকে আর্থিক খাতের সংস্কারের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখলেও এসব প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করা সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের পুঁজি কীভাবে সুরক্ষিত থাকবে, তা এখনো কেউ স্পষ্ট করে বলেনি।
সরকারের পরিকল্পনায় আমানতকারীদের স্বার্থ সুরক্ষার বিষয়টি স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকলেও সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। এতে বাজারে ব্যাপক হতাশা ও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। বিনিয়োগকারীরা বলছেন, যাঁরা বছরের পর বছর ধরে এই ব্যাংকগুলোর শেয়ার কিনে রেখেছেন, তাঁদের সম্পূর্ণ অন্ধকারে রাখা হয়েছে।
ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সভাপতি সাইফুল ইসলাম এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে বলেন, শেয়ারহোল্ডারদের বিষয়ে কোনো স্পষ্ট ঘোষণা নেই। এই অস্পষ্টতার কারণেই ব্যাংকগুলোর শেয়ারদর এখন অস্বাভাবিকভাবে কমে গেছে। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বিষয়ে এখনই একটা পরিষ্কার সিদ্ধান্ত দরকার।
তথ্য অনুযায়ী, একীভূত বা বন্ধ হতে যাওয়া ১৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৩টি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত। এই ব্যাংক ও এনবিএফআইগুলোয় গত কয়েক বছরে লুটপাট, অনিয়ম ও অপব্যবস্থাপনার কারণে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য নেতিবাচক হয়ে গেছে। কিছু ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য ঋণাত্মক ৭৫ টাকা থেকে শুরু করে ৪৩৮ টাকা পর্যন্ত নেমে গেছে। অর্থাৎ এদের সম্পদের চেয়ে দায় অনেক বেশি। ফলে আইনি প্রক্রিয়ায় একীভূত হলে শেয়ারহোল্ডাররা কোনো ক্ষতিপূরণ পাবেন না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানিয়েছে, নতুন ‘ব্যাংক রেজল্যুশন অধ্যাদেশ, ২০২৫’ অনুযায়ী, একীভূতকরণের ক্ষেত্রে সাধারণ শেয়ারহোল্ডাররা কোনো আর্থিক ক্ষতিপূরণ বা নতুন শেয়ার পাবেন না। নতুন ব্যাংক পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হবে, কিন্তু পুরোনো ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগকারীরা সেখানে কোনো মালিকানা পাবেন না।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, শেয়ারহোল্ডারদের বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি, তবে আইনি কাঠামো অনুযায়ী খুব বেশি আশাবাদী হওয়ার সুযোগ নেই।
ব্যাংক একীভূতকরণ ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান অবসায়নের প্রক্রিয়ায় সবচেয়ে বড় অভিযোগ, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সঙ্গে কোনো পরামর্শ করা হয়নি। এমনকি তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোও তাদের শেয়ারহোল্ডারদের জানাতে পারেনি যে তাঁদের ভবিষ্যৎ কী হতে যাচ্ছে। স্টক এক্সচেঞ্জে মূল্য সংবেদনশীল তথ্য প্রকাশের সুযোগও দেওয়া হয়নি। বিশেষ করে ব্যাংক একীভূতকরণ বাস্তবায়নের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ (এফআইডি) আট সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে। সেখানেও বিএসইসির কোনো প্রতিনিধি রাখা হয়নি।
সম্প্রতি বিএসইসি এই বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নরকে চিঠি দিয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, এসব প্রতিষ্ঠানের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য সাধারণ বিনিয়োগকারীরা দায়ী নন, তাই তাঁদের স্বার্থ সংরক্ষণে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
বিএসইসি চারটি সুপারিশ করেছে—প্রথমত, ব্যাংকের সম্পদমূল্য নির্ধারণের সময় শুধু হিসাবের ব্যালান্স নয়, তাদের ব্র্যান্ড ভ্যালু, শাখা নেটওয়ার্ক, ক্লায়েন্ট বেস ও সার্ভিস সক্ষমতাও বিবেচনায় নিতে হবে। দ্বিতীয়ত, দায়ী ব্যক্তিদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে যা আদায় করা সম্ভব, তা বিনিয়োগকারীদের ক্ষতিপূরণের অংশে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তৃতীয়ত, দায়ী ব্যক্তিদের শেয়ার বাদ দিয়ে অন্য সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের ন্যূনতম স্বার্থমূল্য নির্ধারণ করতে হবে। চতুর্থত, এই মূল্যায়নের ভিত্তিতে একীভূতকরণের অনুপাত নির্ধারণ এবং নতুন ব্যাংকের শেয়ার ইস্যু বা ডিলিস্টিংয়ের আগে বিনিয়োগকারীদের অধিকার স্পষ্ট করতে হবে।
বিএসইসির মুখপাত্র আবুল কালাম বলেন, ‘একজন সাধারণ বিনিয়োগকারী আইনে যতটা সুরক্ষা পাওয়ার অধিকার রাখেন, বাংলাদেশ ব্যাংককে আমরা সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলেছি।’
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেউলিয়া অবস্থায় ফেলে রাখার দায় বিনিয়োগকারীদের নয়। এ বিষয়ে ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) চেয়ারম্যান ও পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, যারা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো লুট করেছে, তারা দায়ী। সরকার চাইলে তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের কিছুটা ক্ষতিপূরণ দিতে পারে। কারণ, আমানতকারী আর শেয়ারহোল্ডারই শেষ পর্যন্ত একই আর্থিক ব্যবস্থার অংশ।
অন্যদিকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন বলেন, সব চিন্তা আমানতকারীদের ঘিরে, কিন্তু শেয়ারহোল্ডারদের নিয়ে কেউ ভাবছে না। তাঁদের যেন বঞ্চিত না করা হয়, সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংককে সেটি নিশ্চিত করতে হবে।
সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য এই অনিশ্চয়তা এখন বাস্তব আতঙ্কে পরিণত হয়েছে। গত কয়েক মাসে বাজারে এই ব্যাংকগুলোর শেয়ারদর একবার হঠাৎ অর্ধেকে নেমেছে, আবার কিছুদিন পর অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে; যেখানে কোনো দিকনির্দেশনা ছিল না। অনেকেই না বুঝে এই অস্থিরতার সময় শেয়ার কিনে বড় ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
আরও খবর পড়ুন:
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান একীভূত ও অবসায়ন
আসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা

অর্থনীতিকে নাড়িয়ে দেওয়া সরকারের এক বড় সিদ্ধান্তে পুঁজিবাজারের হাজারো সাধারণ বিনিয়োগকারী এখন অনিশ্চয়তার ছায়ায়। লুটপাট ও অনিয়মে জর্জরিত পাঁচটি শরিয়াহভিত্তিক বেসরকারি ব্যাংককে একীভূত করে নতুন ব্যাংক গঠন এবং ৯টি দুর্বল আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফআই) বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সরকার এই উদ্যোগকে আর্থিক খাতের সংস্কারের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখলেও এসব প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করা সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের পুঁজি কীভাবে সুরক্ষিত থাকবে, তা এখনো কেউ স্পষ্ট করে বলেনি।
সরকারের পরিকল্পনায় আমানতকারীদের স্বার্থ সুরক্ষার বিষয়টি স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকলেও সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। এতে বাজারে ব্যাপক হতাশা ও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। বিনিয়োগকারীরা বলছেন, যাঁরা বছরের পর বছর ধরে এই ব্যাংকগুলোর শেয়ার কিনে রেখেছেন, তাঁদের সম্পূর্ণ অন্ধকারে রাখা হয়েছে।
ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সভাপতি সাইফুল ইসলাম এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে বলেন, শেয়ারহোল্ডারদের বিষয়ে কোনো স্পষ্ট ঘোষণা নেই। এই অস্পষ্টতার কারণেই ব্যাংকগুলোর শেয়ারদর এখন অস্বাভাবিকভাবে কমে গেছে। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বিষয়ে এখনই একটা পরিষ্কার সিদ্ধান্ত দরকার।
তথ্য অনুযায়ী, একীভূত বা বন্ধ হতে যাওয়া ১৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৩টি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত। এই ব্যাংক ও এনবিএফআইগুলোয় গত কয়েক বছরে লুটপাট, অনিয়ম ও অপব্যবস্থাপনার কারণে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য নেতিবাচক হয়ে গেছে। কিছু ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য ঋণাত্মক ৭৫ টাকা থেকে শুরু করে ৪৩৮ টাকা পর্যন্ত নেমে গেছে। অর্থাৎ এদের সম্পদের চেয়ে দায় অনেক বেশি। ফলে আইনি প্রক্রিয়ায় একীভূত হলে শেয়ারহোল্ডাররা কোনো ক্ষতিপূরণ পাবেন না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানিয়েছে, নতুন ‘ব্যাংক রেজল্যুশন অধ্যাদেশ, ২০২৫’ অনুযায়ী, একীভূতকরণের ক্ষেত্রে সাধারণ শেয়ারহোল্ডাররা কোনো আর্থিক ক্ষতিপূরণ বা নতুন শেয়ার পাবেন না। নতুন ব্যাংক পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হবে, কিন্তু পুরোনো ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগকারীরা সেখানে কোনো মালিকানা পাবেন না।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, শেয়ারহোল্ডারদের বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি, তবে আইনি কাঠামো অনুযায়ী খুব বেশি আশাবাদী হওয়ার সুযোগ নেই।
ব্যাংক একীভূতকরণ ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান অবসায়নের প্রক্রিয়ায় সবচেয়ে বড় অভিযোগ, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সঙ্গে কোনো পরামর্শ করা হয়নি। এমনকি তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোও তাদের শেয়ারহোল্ডারদের জানাতে পারেনি যে তাঁদের ভবিষ্যৎ কী হতে যাচ্ছে। স্টক এক্সচেঞ্জে মূল্য সংবেদনশীল তথ্য প্রকাশের সুযোগও দেওয়া হয়নি। বিশেষ করে ব্যাংক একীভূতকরণ বাস্তবায়নের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ (এফআইডি) আট সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে। সেখানেও বিএসইসির কোনো প্রতিনিধি রাখা হয়নি।
সম্প্রতি বিএসইসি এই বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নরকে চিঠি দিয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, এসব প্রতিষ্ঠানের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য সাধারণ বিনিয়োগকারীরা দায়ী নন, তাই তাঁদের স্বার্থ সংরক্ষণে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
বিএসইসি চারটি সুপারিশ করেছে—প্রথমত, ব্যাংকের সম্পদমূল্য নির্ধারণের সময় শুধু হিসাবের ব্যালান্স নয়, তাদের ব্র্যান্ড ভ্যালু, শাখা নেটওয়ার্ক, ক্লায়েন্ট বেস ও সার্ভিস সক্ষমতাও বিবেচনায় নিতে হবে। দ্বিতীয়ত, দায়ী ব্যক্তিদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে যা আদায় করা সম্ভব, তা বিনিয়োগকারীদের ক্ষতিপূরণের অংশে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তৃতীয়ত, দায়ী ব্যক্তিদের শেয়ার বাদ দিয়ে অন্য সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের ন্যূনতম স্বার্থমূল্য নির্ধারণ করতে হবে। চতুর্থত, এই মূল্যায়নের ভিত্তিতে একীভূতকরণের অনুপাত নির্ধারণ এবং নতুন ব্যাংকের শেয়ার ইস্যু বা ডিলিস্টিংয়ের আগে বিনিয়োগকারীদের অধিকার স্পষ্ট করতে হবে।
বিএসইসির মুখপাত্র আবুল কালাম বলেন, ‘একজন সাধারণ বিনিয়োগকারী আইনে যতটা সুরক্ষা পাওয়ার অধিকার রাখেন, বাংলাদেশ ব্যাংককে আমরা সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলেছি।’
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেউলিয়া অবস্থায় ফেলে রাখার দায় বিনিয়োগকারীদের নয়। এ বিষয়ে ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) চেয়ারম্যান ও পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, যারা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো লুট করেছে, তারা দায়ী। সরকার চাইলে তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের কিছুটা ক্ষতিপূরণ দিতে পারে। কারণ, আমানতকারী আর শেয়ারহোল্ডারই শেষ পর্যন্ত একই আর্থিক ব্যবস্থার অংশ।
অন্যদিকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন বলেন, সব চিন্তা আমানতকারীদের ঘিরে, কিন্তু শেয়ারহোল্ডারদের নিয়ে কেউ ভাবছে না। তাঁদের যেন বঞ্চিত না করা হয়, সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংককে সেটি নিশ্চিত করতে হবে।
সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য এই অনিশ্চয়তা এখন বাস্তব আতঙ্কে পরিণত হয়েছে। গত কয়েক মাসে বাজারে এই ব্যাংকগুলোর শেয়ারদর একবার হঠাৎ অর্ধেকে নেমেছে, আবার কিছুদিন পর অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে; যেখানে কোনো দিকনির্দেশনা ছিল না। অনেকেই না বুঝে এই অস্থিরতার সময় শেয়ার কিনে বড় ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
আরও খবর পড়ুন:

অর্থনীতিকে নাড়িয়ে দেওয়া সরকারের এক বড় সিদ্ধান্তে পুঁজিবাজারের হাজারো সাধারণ বিনিয়োগকারী এখন অনিশ্চয়তার ছায়ায়। লুটপাট ও অনিয়মে জর্জরিত পাঁচটি শরিয়াহভিত্তিক বেসরকারি ব্যাংককে একীভূত করে নতুন ব্যাংক গঠন এবং ৯টি দুর্বল আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফআই) বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সরকার এই উদ্যোগকে আর্থিক খাতের সংস্কারের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখলেও এসব প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করা সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের পুঁজি কীভাবে সুরক্ষিত থাকবে, তা এখনো কেউ স্পষ্ট করে বলেনি।
সরকারের পরিকল্পনায় আমানতকারীদের স্বার্থ সুরক্ষার বিষয়টি স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকলেও সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। এতে বাজারে ব্যাপক হতাশা ও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। বিনিয়োগকারীরা বলছেন, যাঁরা বছরের পর বছর ধরে এই ব্যাংকগুলোর শেয়ার কিনে রেখেছেন, তাঁদের সম্পূর্ণ অন্ধকারে রাখা হয়েছে।
ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সভাপতি সাইফুল ইসলাম এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে বলেন, শেয়ারহোল্ডারদের বিষয়ে কোনো স্পষ্ট ঘোষণা নেই। এই অস্পষ্টতার কারণেই ব্যাংকগুলোর শেয়ারদর এখন অস্বাভাবিকভাবে কমে গেছে। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বিষয়ে এখনই একটা পরিষ্কার সিদ্ধান্ত দরকার।
তথ্য অনুযায়ী, একীভূত বা বন্ধ হতে যাওয়া ১৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৩টি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত। এই ব্যাংক ও এনবিএফআইগুলোয় গত কয়েক বছরে লুটপাট, অনিয়ম ও অপব্যবস্থাপনার কারণে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য নেতিবাচক হয়ে গেছে। কিছু ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য ঋণাত্মক ৭৫ টাকা থেকে শুরু করে ৪৩৮ টাকা পর্যন্ত নেমে গেছে। অর্থাৎ এদের সম্পদের চেয়ে দায় অনেক বেশি। ফলে আইনি প্রক্রিয়ায় একীভূত হলে শেয়ারহোল্ডাররা কোনো ক্ষতিপূরণ পাবেন না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানিয়েছে, নতুন ‘ব্যাংক রেজল্যুশন অধ্যাদেশ, ২০২৫’ অনুযায়ী, একীভূতকরণের ক্ষেত্রে সাধারণ শেয়ারহোল্ডাররা কোনো আর্থিক ক্ষতিপূরণ বা নতুন শেয়ার পাবেন না। নতুন ব্যাংক পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হবে, কিন্তু পুরোনো ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগকারীরা সেখানে কোনো মালিকানা পাবেন না।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, শেয়ারহোল্ডারদের বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি, তবে আইনি কাঠামো অনুযায়ী খুব বেশি আশাবাদী হওয়ার সুযোগ নেই।
ব্যাংক একীভূতকরণ ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান অবসায়নের প্রক্রিয়ায় সবচেয়ে বড় অভিযোগ, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সঙ্গে কোনো পরামর্শ করা হয়নি। এমনকি তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোও তাদের শেয়ারহোল্ডারদের জানাতে পারেনি যে তাঁদের ভবিষ্যৎ কী হতে যাচ্ছে। স্টক এক্সচেঞ্জে মূল্য সংবেদনশীল তথ্য প্রকাশের সুযোগও দেওয়া হয়নি। বিশেষ করে ব্যাংক একীভূতকরণ বাস্তবায়নের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ (এফআইডি) আট সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে। সেখানেও বিএসইসির কোনো প্রতিনিধি রাখা হয়নি।
সম্প্রতি বিএসইসি এই বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নরকে চিঠি দিয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, এসব প্রতিষ্ঠানের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য সাধারণ বিনিয়োগকারীরা দায়ী নন, তাই তাঁদের স্বার্থ সংরক্ষণে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
বিএসইসি চারটি সুপারিশ করেছে—প্রথমত, ব্যাংকের সম্পদমূল্য নির্ধারণের সময় শুধু হিসাবের ব্যালান্স নয়, তাদের ব্র্যান্ড ভ্যালু, শাখা নেটওয়ার্ক, ক্লায়েন্ট বেস ও সার্ভিস সক্ষমতাও বিবেচনায় নিতে হবে। দ্বিতীয়ত, দায়ী ব্যক্তিদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে যা আদায় করা সম্ভব, তা বিনিয়োগকারীদের ক্ষতিপূরণের অংশে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তৃতীয়ত, দায়ী ব্যক্তিদের শেয়ার বাদ দিয়ে অন্য সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের ন্যূনতম স্বার্থমূল্য নির্ধারণ করতে হবে। চতুর্থত, এই মূল্যায়নের ভিত্তিতে একীভূতকরণের অনুপাত নির্ধারণ এবং নতুন ব্যাংকের শেয়ার ইস্যু বা ডিলিস্টিংয়ের আগে বিনিয়োগকারীদের অধিকার স্পষ্ট করতে হবে।
বিএসইসির মুখপাত্র আবুল কালাম বলেন, ‘একজন সাধারণ বিনিয়োগকারী আইনে যতটা সুরক্ষা পাওয়ার অধিকার রাখেন, বাংলাদেশ ব্যাংককে আমরা সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলেছি।’
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেউলিয়া অবস্থায় ফেলে রাখার দায় বিনিয়োগকারীদের নয়। এ বিষয়ে ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) চেয়ারম্যান ও পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, যারা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো লুট করেছে, তারা দায়ী। সরকার চাইলে তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের কিছুটা ক্ষতিপূরণ দিতে পারে। কারণ, আমানতকারী আর শেয়ারহোল্ডারই শেষ পর্যন্ত একই আর্থিক ব্যবস্থার অংশ।
অন্যদিকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন বলেন, সব চিন্তা আমানতকারীদের ঘিরে, কিন্তু শেয়ারহোল্ডারদের নিয়ে কেউ ভাবছে না। তাঁদের যেন বঞ্চিত না করা হয়, সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংককে সেটি নিশ্চিত করতে হবে।
সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য এই অনিশ্চয়তা এখন বাস্তব আতঙ্কে পরিণত হয়েছে। গত কয়েক মাসে বাজারে এই ব্যাংকগুলোর শেয়ারদর একবার হঠাৎ অর্ধেকে নেমেছে, আবার কিছুদিন পর অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে; যেখানে কোনো দিকনির্দেশনা ছিল না। অনেকেই না বুঝে এই অস্থিরতার সময় শেয়ার কিনে বড় ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
আরও খবর পড়ুন:

বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতে নতুন মাইলফলক তৈরি হয়েছে। রামপালে মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট (এমএসটিপিপি) গত নভেম্বর মাসে এককভাবে ৭০০ মিলিয়ন (৭০ কোটি) ইউনিট (এমইউ) বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছে।
১৯ মিনিট আগে
দুই মাসের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার দিকে এগোতে গিয়ে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ জানিয়েছেন, নির্বাচনের সময় কোনো প্রার্থীর পক্ষে এলাকায় প্রভাব ফেলবে, এমন কোনো প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, রাজনৈতিক প্রার্থীরা নানা প্রকল্পের অনুমোদনের চেষ্টা-তদবির করছেন, তবে সরকা
৮ ঘণ্টা আগে
দেশের অর্থনীতিতে ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়ানোর সংকেত দেখা গেলেও সামনে রয়েছে পাঁচ চ্যালেঞ্জ। চ্যালেঞ্জগুলো হলো বিনিয়োগে স্থবিরতা, রাজস্ব সংগ্রহে বড় ঘাটতি, আমদানি-রপ্তানিতে অস্থিরতা, টাকার ক্রয়ক্ষমতা বাড়ায় আন্তর্জাতিক বাজারে ঝুঁকি, সরকারি ঋণনির্ভরতা।
৮ ঘণ্টা আগে
দেশে বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা হচ্ছে প্রচুর, কিন্তু বাস্তবে এ উন্নয়নের সঙ্গে কথিত অগ্রগতির মিল কম। উৎপাদনক্ষমতা বেড়েছে, কিন্তু যথাযথ ব্যবহার না হওয়ায় বড় অপচয় হয়। বিদ্যুতের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ থেকে শুরু করে উৎপাদন পর্যন্ত এই অপচয় কমানো জরুরি।
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতে নতুন মাইলফলক তৈরি হয়েছে। রামপালে মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট (এমএসটিপিপি) গত নভেম্বর মাসে এককভাবে ৭০০ মিলিয়ন (৭০ কোটি) ইউনিট (এমইউ) বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছে।
ভারতের ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার কর্পোরেশন লিমিটেড (এনটিপিসি) এবং বাংলাদেশের পিডিবি-এর যৌথ উদ্যোগে গঠিত বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) বাগেরহাটের রামপালে স্থাপিত এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট। গত নভেম্বরে এটি বাংলাদেশের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর মধ্যে এক মাসে সর্বোচ্চ উৎপাদনের নতুন রেকর্ড করেছে।
গতকাল সোমবার বিআইএফপিসিএল-এর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিবৃতির তথ্যানুসারে, নভেম্বর মাস জুড়ে এমএসটিপিপি জাতীয় গ্রিডে নিরবচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ করেছে। এই পরিমাণ বিদ্যুৎ দেশের মোট বিদ্যুৎ চাহিদার প্রায় ১১ দশমিক ৫ শতাংশ। এটি এখন দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কেন্দ্র। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত এই প্ল্যান্টটি গ্রিডের স্থিতিশীলতা রক্ষায় অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখছে।
বিআইএফপিসিএল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই ঐতিহাসিক অর্জন বিদ্যুৎকেন্দ্রটির অসাধারণ কার্যকারিতা এবং উচ্চ লোড ফ্যাক্টরে নিরবচ্ছিন্ন সক্ষমতার প্রতীক। এই মাইলফলকটি অর্জন সম্ভব হয়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির উন্নত শিল্প সক্ষমতা, উচ্চমানের দক্ষ কয়লা ও সম্পদ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে।
উল্লেখ্য, এমএসটিপিপি নিয়মিতভাবে ৬০০ মিলিয়ন (৬০ কোটি) ইউনিটের বেশি বিদ্যুৎ সরবরাহ করে আসছে, যা জাতীয় চাহিদার প্রায় ৮ শতাংশ। নির্ভরযোগ্যতার মাধ্যমে এমএসটিপিপি বাংলাদেশের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির জ্বালানি নিরাপত্তার অন্যতম প্রধান স্তম্ভ হিসেবে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতে নতুন মাইলফলক তৈরি হয়েছে। রামপালে মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট (এমএসটিপিপি) গত নভেম্বর মাসে এককভাবে ৭০০ মিলিয়ন (৭০ কোটি) ইউনিট (এমইউ) বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছে।
ভারতের ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার কর্পোরেশন লিমিটেড (এনটিপিসি) এবং বাংলাদেশের পিডিবি-এর যৌথ উদ্যোগে গঠিত বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) বাগেরহাটের রামপালে স্থাপিত এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট। গত নভেম্বরে এটি বাংলাদেশের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর মধ্যে এক মাসে সর্বোচ্চ উৎপাদনের নতুন রেকর্ড করেছে।
গতকাল সোমবার বিআইএফপিসিএল-এর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিবৃতির তথ্যানুসারে, নভেম্বর মাস জুড়ে এমএসটিপিপি জাতীয় গ্রিডে নিরবচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ করেছে। এই পরিমাণ বিদ্যুৎ দেশের মোট বিদ্যুৎ চাহিদার প্রায় ১১ দশমিক ৫ শতাংশ। এটি এখন দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কেন্দ্র। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত এই প্ল্যান্টটি গ্রিডের স্থিতিশীলতা রক্ষায় অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখছে।
বিআইএফপিসিএল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই ঐতিহাসিক অর্জন বিদ্যুৎকেন্দ্রটির অসাধারণ কার্যকারিতা এবং উচ্চ লোড ফ্যাক্টরে নিরবচ্ছিন্ন সক্ষমতার প্রতীক। এই মাইলফলকটি অর্জন সম্ভব হয়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির উন্নত শিল্প সক্ষমতা, উচ্চমানের দক্ষ কয়লা ও সম্পদ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে।
উল্লেখ্য, এমএসটিপিপি নিয়মিতভাবে ৬০০ মিলিয়ন (৬০ কোটি) ইউনিটের বেশি বিদ্যুৎ সরবরাহ করে আসছে, যা জাতীয় চাহিদার প্রায় ৮ শতাংশ। নির্ভরযোগ্যতার মাধ্যমে এমএসটিপিপি বাংলাদেশের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির জ্বালানি নিরাপত্তার অন্যতম প্রধান স্তম্ভ হিসেবে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

অর্থনীতিকে নাড়িয়ে দেওয়া সরকারের এক বড় সিদ্ধান্তে পুঁজিবাজারের হাজারো সাধারণ বিনিয়োগকারী এখন অনিশ্চয়তার ছায়ায়। লুটপাট ও অনিয়মে জর্জরিত পাঁচটি শরিয়াহভিত্তিক বেসরকারি ব্যাংককে একীভূত করে নতুন ব্যাংক গঠন এবং ৯টি দুর্বল আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফআই) বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
১৪ অক্টোবর ২০২৫
দুই মাসের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার দিকে এগোতে গিয়ে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ জানিয়েছেন, নির্বাচনের সময় কোনো প্রার্থীর পক্ষে এলাকায় প্রভাব ফেলবে, এমন কোনো প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, রাজনৈতিক প্রার্থীরা নানা প্রকল্পের অনুমোদনের চেষ্টা-তদবির করছেন, তবে সরকা
৮ ঘণ্টা আগে
দেশের অর্থনীতিতে ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়ানোর সংকেত দেখা গেলেও সামনে রয়েছে পাঁচ চ্যালেঞ্জ। চ্যালেঞ্জগুলো হলো বিনিয়োগে স্থবিরতা, রাজস্ব সংগ্রহে বড় ঘাটতি, আমদানি-রপ্তানিতে অস্থিরতা, টাকার ক্রয়ক্ষমতা বাড়ায় আন্তর্জাতিক বাজারে ঝুঁকি, সরকারি ঋণনির্ভরতা।
৮ ঘণ্টা আগে
দেশে বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা হচ্ছে প্রচুর, কিন্তু বাস্তবে এ উন্নয়নের সঙ্গে কথিত অগ্রগতির মিল কম। উৎপাদনক্ষমতা বেড়েছে, কিন্তু যথাযথ ব্যবহার না হওয়ায় বড় অপচয় হয়। বিদ্যুতের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ থেকে শুরু করে উৎপাদন পর্যন্ত এই অপচয় কমানো জরুরি।
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দুই মাসের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার দিকে এগোতে গিয়ে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ জানিয়েছেন, নির্বাচনের সময় কোনো প্রার্থীর পক্ষে এলাকায় প্রভাব ফেলবে, এমন কোনো প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, রাজনৈতিক প্রার্থীরা নানা প্রকল্পের অনুমোদনের চেষ্টা-তদবির করছেন, তবে সরকার তাঁদের চাওয়া প্রকল্পে কোনোভাবেই সায় দেবে না।
গতকাল শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনা উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে এই ষষ্ঠ একনেক সভায় ১২টি নতুন, পাঁচটি সংশোধিতসহ মোট ১৭টি প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে, যার বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫ হাজার ৩৮৩ কোটি ৫১ লাখ টাকা। এতে সরকারি অর্থায়ন নির্ধারণ করা হয়েছে ৯ হাজার ৪৫১ কোটি ৮৪ লাখ টাকা, বৈদেশিক ঋণ ৫ হাজার ৬০৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৩৭৯ কোটি ৩১ লাখ টাকা। এই সভায় সচিবালয়ে নতুন ২১ তলা অফিস ভবন এবং হেলথ অ্যান্ড নিউট্রিশন সার্ভিসেস ইমপ্রুভমেন্ট অ্যান্ড সিস্টেম স্ট্রেনদেনিং প্রকল্প বাতিল করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার যে সংস্কার শুরু করেছে, তার কিছু অংশ পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের জন্য বাস্তবায়ন কঠিন হতে পারে, তবে পুরোটা না হলেও এই সংস্কারের মূল নির্যাস নির্বাচিত সরকারকে গ্রহণ করতেই হবে। কারণ, ভবিষ্যতে জনগণের চাহিদার সঙ্গে মিল রেখে তাদের কাজ করতে হবে।
বিচার বিভাগের স্বাধীনতার প্রসঙ্গে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, কতটুকু দেওয়া হয়েছে, তা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করলে বোঝা যাবে, বিষয়টি নতুন সরকারের জন্য অস্বস্তিকর হতে পারে। কারণ, বিচার বিভাগ স্বাধীন হয়ে গেছে। এ বিভাগকে সম্পূর্ণ স্বাধীন করার মানে হলো, আইন মন্ত্রণালয়ের হাতে অনেক কিছু থাকছে না। নতুন সরকার অবশ্যই বিষয়গুলো পুনর্বিবেচনা করবে।
সভায় অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়ের টেকসই কৃষি উন্নয়ন ও মানসম্পন্ন আলু উৎপাদন ও বিতরণ প্রকল্প। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের তিনটি অনুসন্ধান কূপ এবং ২২০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের চারটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে মিরপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত বা শহীদ পরিবারদের জন্য আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণে দুটি পৃথক প্রকল্প এবং সচিবালয় ও আবাসিক এলাকায় অগ্নিনিরাপত্তা আধুনিকায়ন।

সেতু মন্ত্রণালয়ের অধীনে ঢাকা এমআরটি লাইন-৬-এর তৃতীয় সংশোধিত উন্নয়ন প্রকল্প এবং সিরাজগঞ্জ-রায়গঞ্জ (চান্দাইকোনা) সড়ক চার লেনে উন্নীত করার প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে। স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতায় অনুমোদিত হয়েছে নারায়ণগঞ্জ গ্রিন অ্যান্ড রেজিলিয়েন্ট আরবান ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অটিজম ও এনডিডি সেবাদান কেন্দ্র প্রকল্পের দ্বিতীয় সংশোধন এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের জাপান হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট স্কলারশিপ অনুমোদিত হয়েছে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ডিজিটাল উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবন ইকো-সিস্টেম উন্নয়ন প্রকল্পের প্রথম সংশোধনও অনুমোদিত হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতায় নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় একাডেমিক, কেন্দ্রীয় গবেষণাগারসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্প সম্পন্ন করার অনুমোদন দেওয়া হয়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তিনটি প্রকল্প ক্লাইমেট রেসপন্স রিপ্রোডাকটিভ হেলথ অ্যান্ড পপুলেশন সার্ভিস ইমপ্রুভমেন্ট এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর এবং কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের অত্যাবশ্যক কার্যক্রম বাস্তবায়ন প্রকল্প সভায় অনুমোদন পেয়েছে।

দুই মাসের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার দিকে এগোতে গিয়ে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ জানিয়েছেন, নির্বাচনের সময় কোনো প্রার্থীর পক্ষে এলাকায় প্রভাব ফেলবে, এমন কোনো প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, রাজনৈতিক প্রার্থীরা নানা প্রকল্পের অনুমোদনের চেষ্টা-তদবির করছেন, তবে সরকার তাঁদের চাওয়া প্রকল্পে কোনোভাবেই সায় দেবে না।
গতকাল শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনা উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে এই ষষ্ঠ একনেক সভায় ১২টি নতুন, পাঁচটি সংশোধিতসহ মোট ১৭টি প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে, যার বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫ হাজার ৩৮৩ কোটি ৫১ লাখ টাকা। এতে সরকারি অর্থায়ন নির্ধারণ করা হয়েছে ৯ হাজার ৪৫১ কোটি ৮৪ লাখ টাকা, বৈদেশিক ঋণ ৫ হাজার ৬০৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৩৭৯ কোটি ৩১ লাখ টাকা। এই সভায় সচিবালয়ে নতুন ২১ তলা অফিস ভবন এবং হেলথ অ্যান্ড নিউট্রিশন সার্ভিসেস ইমপ্রুভমেন্ট অ্যান্ড সিস্টেম স্ট্রেনদেনিং প্রকল্প বাতিল করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার যে সংস্কার শুরু করেছে, তার কিছু অংশ পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের জন্য বাস্তবায়ন কঠিন হতে পারে, তবে পুরোটা না হলেও এই সংস্কারের মূল নির্যাস নির্বাচিত সরকারকে গ্রহণ করতেই হবে। কারণ, ভবিষ্যতে জনগণের চাহিদার সঙ্গে মিল রেখে তাদের কাজ করতে হবে।
বিচার বিভাগের স্বাধীনতার প্রসঙ্গে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, কতটুকু দেওয়া হয়েছে, তা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করলে বোঝা যাবে, বিষয়টি নতুন সরকারের জন্য অস্বস্তিকর হতে পারে। কারণ, বিচার বিভাগ স্বাধীন হয়ে গেছে। এ বিভাগকে সম্পূর্ণ স্বাধীন করার মানে হলো, আইন মন্ত্রণালয়ের হাতে অনেক কিছু থাকছে না। নতুন সরকার অবশ্যই বিষয়গুলো পুনর্বিবেচনা করবে।
সভায় অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়ের টেকসই কৃষি উন্নয়ন ও মানসম্পন্ন আলু উৎপাদন ও বিতরণ প্রকল্প। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের তিনটি অনুসন্ধান কূপ এবং ২২০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের চারটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে মিরপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত বা শহীদ পরিবারদের জন্য আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণে দুটি পৃথক প্রকল্প এবং সচিবালয় ও আবাসিক এলাকায় অগ্নিনিরাপত্তা আধুনিকায়ন।

সেতু মন্ত্রণালয়ের অধীনে ঢাকা এমআরটি লাইন-৬-এর তৃতীয় সংশোধিত উন্নয়ন প্রকল্প এবং সিরাজগঞ্জ-রায়গঞ্জ (চান্দাইকোনা) সড়ক চার লেনে উন্নীত করার প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে। স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতায় অনুমোদিত হয়েছে নারায়ণগঞ্জ গ্রিন অ্যান্ড রেজিলিয়েন্ট আরবান ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অটিজম ও এনডিডি সেবাদান কেন্দ্র প্রকল্পের দ্বিতীয় সংশোধন এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের জাপান হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট স্কলারশিপ অনুমোদিত হয়েছে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ডিজিটাল উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবন ইকো-সিস্টেম উন্নয়ন প্রকল্পের প্রথম সংশোধনও অনুমোদিত হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতায় নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় একাডেমিক, কেন্দ্রীয় গবেষণাগারসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্প সম্পন্ন করার অনুমোদন দেওয়া হয়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তিনটি প্রকল্প ক্লাইমেট রেসপন্স রিপ্রোডাকটিভ হেলথ অ্যান্ড পপুলেশন সার্ভিস ইমপ্রুভমেন্ট এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর এবং কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের অত্যাবশ্যক কার্যক্রম বাস্তবায়ন প্রকল্প সভায় অনুমোদন পেয়েছে।

অর্থনীতিকে নাড়িয়ে দেওয়া সরকারের এক বড় সিদ্ধান্তে পুঁজিবাজারের হাজারো সাধারণ বিনিয়োগকারী এখন অনিশ্চয়তার ছায়ায়। লুটপাট ও অনিয়মে জর্জরিত পাঁচটি শরিয়াহভিত্তিক বেসরকারি ব্যাংককে একীভূত করে নতুন ব্যাংক গঠন এবং ৯টি দুর্বল আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফআই) বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
১৪ অক্টোবর ২০২৫
বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতে নতুন মাইলফলক তৈরি হয়েছে। রামপালে মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট (এমএসটিপিপি) গত নভেম্বর মাসে এককভাবে ৭০০ মিলিয়ন (৭০ কোটি) ইউনিট (এমইউ) বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছে।
১৯ মিনিট আগে
দেশের অর্থনীতিতে ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়ানোর সংকেত দেখা গেলেও সামনে রয়েছে পাঁচ চ্যালেঞ্জ। চ্যালেঞ্জগুলো হলো বিনিয়োগে স্থবিরতা, রাজস্ব সংগ্রহে বড় ঘাটতি, আমদানি-রপ্তানিতে অস্থিরতা, টাকার ক্রয়ক্ষমতা বাড়ায় আন্তর্জাতিক বাজারে ঝুঁকি, সরকারি ঋণনির্ভরতা।
৮ ঘণ্টা আগে
দেশে বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা হচ্ছে প্রচুর, কিন্তু বাস্তবে এ উন্নয়নের সঙ্গে কথিত অগ্রগতির মিল কম। উৎপাদনক্ষমতা বেড়েছে, কিন্তু যথাযথ ব্যবহার না হওয়ায় বড় অপচয় হয়। বিদ্যুতের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ থেকে শুরু করে উৎপাদন পর্যন্ত এই অপচয় কমানো জরুরি।
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের অর্থনীতিতে ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়ানোর সংকেত দেখা গেলেও সামনে রয়েছে পাঁচ চ্যালেঞ্জ। চ্যালেঞ্জগুলো হলো বিনিয়োগে স্থবিরতা, রাজস্ব সংগ্রহে বড় ঘাটতি, আমদানি-রপ্তানিতে অস্থিরতা, টাকার ক্রয়ক্ষমতা বাড়ায় আন্তর্জাতিক বাজারে ঝুঁকি, সরকারি ঋণনির্ভরতা।
পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) সর্বশেষ অর্থনৈতিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ চিত্র উঠে এসেছে। প্রতিবেদনটি গতকাল সোমবার প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনের তথ্যমতে, খাদ্যপণ্যের দাম কমায় সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি এক বছর আগের তুলনায় নেমে এসেছে ১ অঙ্কে। গত অক্টোবরে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি নেমে এসেছে ৮ দশমিক ১৭ শতাংশে, যা অক্টোবর ২০২৪-এর ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে কম। চালের সরবরাহ বাড়ায় ধীরে ধীরে কমেছে দাম। নতুন আমন মৌসুম, সরকারি ক্রয় ও আমদানি—সব মিলিয়ে চালের দাম কমে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি নামিয়ে এনেছে ৭ দশমিক ০৮ শতাংশে। তবে নন-ফুড খাতে (বাসস্থান, পরিবহন, স্বাস্থ্যসেবা) চাপ কিছুটা বেড়েছে, সেখানে মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ১৩ শতাংশ।
অক্টোবরে খাদ্যে মূল্যস্ফীতিতে সবচেয়ে বেশি অবদান চালের, ৪৭ শতাংশ। মাছ-মাংস মিলিয়ে আরও বড় অংশ জুড়ে রয়েছে। বিপরীতে মৌসুমি সবজির সরবরাহ বেশি থাকায় সে খাতে মূল্যস্ফীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। আলু, পেঁয়াজের দাম কমে সামগ্রিক চাপ কিছুটা হালকা করেছে।
মূল্যস্ফীতি স্বস্তি দিলেও ব্যাংকঋণের প্রবাহ স্থবির, রাজস্ব আদায় লক্ষ্যমাত্রার অনেক পেছনে এবং রপ্তানি আয়ে ওঠানামা থাকায় অর্থনীতি শক্ত ভিত পাচ্ছে না।
ব্যাংকে আমানত বাড়ছে নীরবে। আগস্টে জমা বেড়েছিল প্রায় ১০ শতাংশ, সেপ্টেম্বরে ছিল ৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ। আবার ব্যক্তি খাতে ঋণের গতি থমথমে। সেপ্টেম্বরে প্রবৃদ্ধি নেমেছে ৬ দশমিক ২৯ শতাংশে, যা চার বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। উচ্চ সুদহার, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও ব্যবসায়িক ঝুঁকি বেড়ে যাওয়াই এর বড় কারণ। বিপরীতে সরকারি খাতে ঋণ বেড়েছে ২৪ শতাংশের বেশি, যা ব্যক্তি খাতে ঋণচাপ কমায়।
বিদেশি ব্যাংকের সুদহার ব্যবধান স্থানীয় ব্যাংকের তুলনায় অনেক বেশি—প্রায় ৯ শতাংশের কাছাকাছি। রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি ব্যাংকের স্প্রেড স্থিতিশীল থাকলেও উচ্চ নন-পারফর্মিং লোন ও পরিচালন ব্যয় বিনিয়োগে বাধা সৃষ্টি করছে।
অক্টোবর মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছে ২৮ হাজার ৪৬৯ কোটি টাকা, যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৮ হাজার ৩২৪ কোটি টাকা কম। অর্জনের হার মাত্র ৭৭ শতাংশ। আমদানি-রপ্তানি, ভ্যাট, আয়কর—সব খাতেই কমতি দেখা গেছে। যদিও গত বছরের একই সময়ের তুলনায় সামান্য বৃদ্ধি রয়েছে (মাত্র ২ দশমিক ২ শতাংশ), তবুও বিশেষজ্ঞদের ভাষায় এই হারে রাজস্ব কাঠামো টেকসই নয়।
চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে উন্নয়ন ব্যয় (এডিপি) বাস্তবায়ন হয়েছে ৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ, যা গত বছরের ৭ দশমিক ৯০ শতাংশ থেকে সামান্য বেশি। তবে মোট বরাদ্দ কমে যাওয়ায় এই অগ্রগতি বাস্তব উন্নতির ইঙ্গিত দেয় না—এমন মত অর্থনীতিবিদদের।
বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভে ধীরে ধীরে উন্নতি দেখা যাচ্ছে। অক্টোবর ২০২৫-এ মোট রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩২ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন ডলার, যা বছরের সর্বোচ্চ।
রেমিট্যান্সপ্রবাহও শক্তিশালী। জুলাই-অক্টোবর সময়কালে প্রতিটি মাসে গত বছরের তুলনায় বেশি রেমিট্যান্স এসেছে সেপ্টেম্বরে প্রায় ২ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় অনেক বেশি।
রপ্তানি আয় বছরের বিভিন্ন সময়ে বড় ধরনের ওঠানামার মধ্য দিয়ে গেছে। এপ্রিল ও জুনে বড় পতন হলেও জুলাইয়ে রপ্তানি পৌঁছায় ৪ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলারে। অক্টোবর শেষে আয় কিছুটা পুনরুদ্ধার হলেও, গতি খুব শক্তিশালী নয়।

দেশের অর্থনীতিতে ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়ানোর সংকেত দেখা গেলেও সামনে রয়েছে পাঁচ চ্যালেঞ্জ। চ্যালেঞ্জগুলো হলো বিনিয়োগে স্থবিরতা, রাজস্ব সংগ্রহে বড় ঘাটতি, আমদানি-রপ্তানিতে অস্থিরতা, টাকার ক্রয়ক্ষমতা বাড়ায় আন্তর্জাতিক বাজারে ঝুঁকি, সরকারি ঋণনির্ভরতা।
পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) সর্বশেষ অর্থনৈতিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ চিত্র উঠে এসেছে। প্রতিবেদনটি গতকাল সোমবার প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনের তথ্যমতে, খাদ্যপণ্যের দাম কমায় সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি এক বছর আগের তুলনায় নেমে এসেছে ১ অঙ্কে। গত অক্টোবরে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি নেমে এসেছে ৮ দশমিক ১৭ শতাংশে, যা অক্টোবর ২০২৪-এর ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে কম। চালের সরবরাহ বাড়ায় ধীরে ধীরে কমেছে দাম। নতুন আমন মৌসুম, সরকারি ক্রয় ও আমদানি—সব মিলিয়ে চালের দাম কমে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি নামিয়ে এনেছে ৭ দশমিক ০৮ শতাংশে। তবে নন-ফুড খাতে (বাসস্থান, পরিবহন, স্বাস্থ্যসেবা) চাপ কিছুটা বেড়েছে, সেখানে মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ১৩ শতাংশ।
অক্টোবরে খাদ্যে মূল্যস্ফীতিতে সবচেয়ে বেশি অবদান চালের, ৪৭ শতাংশ। মাছ-মাংস মিলিয়ে আরও বড় অংশ জুড়ে রয়েছে। বিপরীতে মৌসুমি সবজির সরবরাহ বেশি থাকায় সে খাতে মূল্যস্ফীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। আলু, পেঁয়াজের দাম কমে সামগ্রিক চাপ কিছুটা হালকা করেছে।
মূল্যস্ফীতি স্বস্তি দিলেও ব্যাংকঋণের প্রবাহ স্থবির, রাজস্ব আদায় লক্ষ্যমাত্রার অনেক পেছনে এবং রপ্তানি আয়ে ওঠানামা থাকায় অর্থনীতি শক্ত ভিত পাচ্ছে না।
ব্যাংকে আমানত বাড়ছে নীরবে। আগস্টে জমা বেড়েছিল প্রায় ১০ শতাংশ, সেপ্টেম্বরে ছিল ৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ। আবার ব্যক্তি খাতে ঋণের গতি থমথমে। সেপ্টেম্বরে প্রবৃদ্ধি নেমেছে ৬ দশমিক ২৯ শতাংশে, যা চার বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। উচ্চ সুদহার, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও ব্যবসায়িক ঝুঁকি বেড়ে যাওয়াই এর বড় কারণ। বিপরীতে সরকারি খাতে ঋণ বেড়েছে ২৪ শতাংশের বেশি, যা ব্যক্তি খাতে ঋণচাপ কমায়।
বিদেশি ব্যাংকের সুদহার ব্যবধান স্থানীয় ব্যাংকের তুলনায় অনেক বেশি—প্রায় ৯ শতাংশের কাছাকাছি। রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি ব্যাংকের স্প্রেড স্থিতিশীল থাকলেও উচ্চ নন-পারফর্মিং লোন ও পরিচালন ব্যয় বিনিয়োগে বাধা সৃষ্টি করছে।
অক্টোবর মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছে ২৮ হাজার ৪৬৯ কোটি টাকা, যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৮ হাজার ৩২৪ কোটি টাকা কম। অর্জনের হার মাত্র ৭৭ শতাংশ। আমদানি-রপ্তানি, ভ্যাট, আয়কর—সব খাতেই কমতি দেখা গেছে। যদিও গত বছরের একই সময়ের তুলনায় সামান্য বৃদ্ধি রয়েছে (মাত্র ২ দশমিক ২ শতাংশ), তবুও বিশেষজ্ঞদের ভাষায় এই হারে রাজস্ব কাঠামো টেকসই নয়।
চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে উন্নয়ন ব্যয় (এডিপি) বাস্তবায়ন হয়েছে ৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ, যা গত বছরের ৭ দশমিক ৯০ শতাংশ থেকে সামান্য বেশি। তবে মোট বরাদ্দ কমে যাওয়ায় এই অগ্রগতি বাস্তব উন্নতির ইঙ্গিত দেয় না—এমন মত অর্থনীতিবিদদের।
বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভে ধীরে ধীরে উন্নতি দেখা যাচ্ছে। অক্টোবর ২০২৫-এ মোট রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩২ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন ডলার, যা বছরের সর্বোচ্চ।
রেমিট্যান্সপ্রবাহও শক্তিশালী। জুলাই-অক্টোবর সময়কালে প্রতিটি মাসে গত বছরের তুলনায় বেশি রেমিট্যান্স এসেছে সেপ্টেম্বরে প্রায় ২ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় অনেক বেশি।
রপ্তানি আয় বছরের বিভিন্ন সময়ে বড় ধরনের ওঠানামার মধ্য দিয়ে গেছে। এপ্রিল ও জুনে বড় পতন হলেও জুলাইয়ে রপ্তানি পৌঁছায় ৪ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলারে। অক্টোবর শেষে আয় কিছুটা পুনরুদ্ধার হলেও, গতি খুব শক্তিশালী নয়।

অর্থনীতিকে নাড়িয়ে দেওয়া সরকারের এক বড় সিদ্ধান্তে পুঁজিবাজারের হাজারো সাধারণ বিনিয়োগকারী এখন অনিশ্চয়তার ছায়ায়। লুটপাট ও অনিয়মে জর্জরিত পাঁচটি শরিয়াহভিত্তিক বেসরকারি ব্যাংককে একীভূত করে নতুন ব্যাংক গঠন এবং ৯টি দুর্বল আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফআই) বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
১৪ অক্টোবর ২০২৫
বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতে নতুন মাইলফলক তৈরি হয়েছে। রামপালে মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট (এমএসটিপিপি) গত নভেম্বর মাসে এককভাবে ৭০০ মিলিয়ন (৭০ কোটি) ইউনিট (এমইউ) বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছে।
১৯ মিনিট আগে
দুই মাসের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার দিকে এগোতে গিয়ে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ জানিয়েছেন, নির্বাচনের সময় কোনো প্রার্থীর পক্ষে এলাকায় প্রভাব ফেলবে, এমন কোনো প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, রাজনৈতিক প্রার্থীরা নানা প্রকল্পের অনুমোদনের চেষ্টা-তদবির করছেন, তবে সরকা
৮ ঘণ্টা আগে
দেশে বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা হচ্ছে প্রচুর, কিন্তু বাস্তবে এ উন্নয়নের সঙ্গে কথিত অগ্রগতির মিল কম। উৎপাদনক্ষমতা বেড়েছে, কিন্তু যথাযথ ব্যবহার না হওয়ায় বড় অপচয় হয়। বিদ্যুতের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ থেকে শুরু করে উৎপাদন পর্যন্ত এই অপচয় কমানো জরুরি।
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা হচ্ছে প্রচুর, কিন্তু বাস্তবে এ উন্নয়নের সঙ্গে কথিত অগ্রগতির মিল কম। উৎপাদনক্ষমতা বেড়েছে, কিন্তু যথাযথ ব্যবহার না হওয়ায় বড় অপচয় হয়। বিদ্যুতের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ থেকে শুরু করে উৎপাদন পর্যন্ত এই অপচয় কমানো জরুরি।
আজ সোমবার রাজধানীর মহাখালীর ব্র্যাক ইন সেন্টারে সিপিডি আয়োজিত ‘রিসেন্ট প্রকিউরমেন্ট ইনিশিয়েটিভ অব রিনিউয়েবল এনার্জি আন্ডার দ্য পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অ্যাক্ট অ্যান্ড রুলস’ শীর্ষক ডায়ালগে এসব বিষয় উঠে আসে।
সিপিডির গবেষণা পরিচালক খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, দেশে এখন বিদ্যুৎ উৎপাদনে খরচ বেশি। কেনাকাটায় অনেক বেশি ব্যয় হয়। সরকারের কাছে বেসরকারি উদ্যোক্তারা পাওয়ার প্ল্যান্টের পরিত্যক্ত অংশে বায়ুবিদ্যুৎ উৎপাদনের অনুমতি চাইলে তা মেলে না। মূলত আইনি জটিলতায় বেড়ে যাচ্ছে খরচ। ক্ষতি হচ্ছে বিদ্যুৎ ব্যবসায়ীদের। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের লোকসান দিন দিন বাড়ছে। ভবিষ্যতে আরও বাড়তে পারে। বিপিসি বছরের শুরুতে লোকসান দেখায়। কিন্তু বছর শেষে লাভ করে। সংস্থাটির আর্থিক হিসাব-নিকাশ প্রশ্নবিদ্ধ।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘সারা বিশ্বে সৌরবিদ্যুৎ তথা নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়ছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎস বাড়াতে কাজ করছে সরকার। নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে পারলে আমাদের বিদ্যুতের ওপর থেকে চাপ কমে আসবে। বিদ্যুৎ উৎপাদন নীতিমালা নিয়ে কাজ চলছে। উৎপাদনকারী ও ব্যবহারকারী সবার সুযোগ-সুবিধা বিবেচনা করা হবে।’
পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম রেজওয়ান খান বলেন, দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং ক্রয়নীতিমালা যুগোপযোগী করতে হবে। ক্রয়ের সময় বাজার মনিটরিং করতে হবে। বিশেষ করে জমি অধিগ্রহণ এবং পাওয়ার জেনারেশনে দক্ষতা বাড়াতে হবে। ক্রয়াদেশ প্রদানে উপযুক্ত ইপিসি ঠিকাদার নির্বাচন করতে হবে।
মূল প্রবন্ধে সিপিডির রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট আতিকুজ্জামান শাহজীদ বলেন, বাংলাদেশে টেকসই বিদ্যুৎ খাত গড়ে তুলতে আগামী দুই দশকে বিপুল বিনিয়োগ প্রয়োজন হবে। বর্তমানে ১৬ হাজার ৬৫৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রয়োজন ১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০৩৫ সালে ১২ হাজার ৮৩২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে লাগবে ১৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২০৪১ সালে ১১ হাজার ১২৪ মেগাওয়াট উৎপাদনে প্রয়োজন হবে ১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সর্বমোট ৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ৩০টি বৈশ্বিক জলবায়ু তহবিল থেকে সংগ্রহ করা সম্ভব। আর নবায়নযোগ্য জ্বালানির সম্ভাবনা কাজে লাগাতে না পারলে জলবায়ু অভিযোজন ও নির্গমন হ্রাসের লক্ষ্য অর্জন কঠিন হয়ে যাবে।

দেশে বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা হচ্ছে প্রচুর, কিন্তু বাস্তবে এ উন্নয়নের সঙ্গে কথিত অগ্রগতির মিল কম। উৎপাদনক্ষমতা বেড়েছে, কিন্তু যথাযথ ব্যবহার না হওয়ায় বড় অপচয় হয়। বিদ্যুতের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ থেকে শুরু করে উৎপাদন পর্যন্ত এই অপচয় কমানো জরুরি।
আজ সোমবার রাজধানীর মহাখালীর ব্র্যাক ইন সেন্টারে সিপিডি আয়োজিত ‘রিসেন্ট প্রকিউরমেন্ট ইনিশিয়েটিভ অব রিনিউয়েবল এনার্জি আন্ডার দ্য পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অ্যাক্ট অ্যান্ড রুলস’ শীর্ষক ডায়ালগে এসব বিষয় উঠে আসে।
সিপিডির গবেষণা পরিচালক খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, দেশে এখন বিদ্যুৎ উৎপাদনে খরচ বেশি। কেনাকাটায় অনেক বেশি ব্যয় হয়। সরকারের কাছে বেসরকারি উদ্যোক্তারা পাওয়ার প্ল্যান্টের পরিত্যক্ত অংশে বায়ুবিদ্যুৎ উৎপাদনের অনুমতি চাইলে তা মেলে না। মূলত আইনি জটিলতায় বেড়ে যাচ্ছে খরচ। ক্ষতি হচ্ছে বিদ্যুৎ ব্যবসায়ীদের। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের লোকসান দিন দিন বাড়ছে। ভবিষ্যতে আরও বাড়তে পারে। বিপিসি বছরের শুরুতে লোকসান দেখায়। কিন্তু বছর শেষে লাভ করে। সংস্থাটির আর্থিক হিসাব-নিকাশ প্রশ্নবিদ্ধ।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘সারা বিশ্বে সৌরবিদ্যুৎ তথা নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়ছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎস বাড়াতে কাজ করছে সরকার। নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে পারলে আমাদের বিদ্যুতের ওপর থেকে চাপ কমে আসবে। বিদ্যুৎ উৎপাদন নীতিমালা নিয়ে কাজ চলছে। উৎপাদনকারী ও ব্যবহারকারী সবার সুযোগ-সুবিধা বিবেচনা করা হবে।’
পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম রেজওয়ান খান বলেন, দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং ক্রয়নীতিমালা যুগোপযোগী করতে হবে। ক্রয়ের সময় বাজার মনিটরিং করতে হবে। বিশেষ করে জমি অধিগ্রহণ এবং পাওয়ার জেনারেশনে দক্ষতা বাড়াতে হবে। ক্রয়াদেশ প্রদানে উপযুক্ত ইপিসি ঠিকাদার নির্বাচন করতে হবে।
মূল প্রবন্ধে সিপিডির রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট আতিকুজ্জামান শাহজীদ বলেন, বাংলাদেশে টেকসই বিদ্যুৎ খাত গড়ে তুলতে আগামী দুই দশকে বিপুল বিনিয়োগ প্রয়োজন হবে। বর্তমানে ১৬ হাজার ৬৫৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রয়োজন ১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০৩৫ সালে ১২ হাজার ৮৩২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে লাগবে ১৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২০৪১ সালে ১১ হাজার ১২৪ মেগাওয়াট উৎপাদনে প্রয়োজন হবে ১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সর্বমোট ৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ৩০টি বৈশ্বিক জলবায়ু তহবিল থেকে সংগ্রহ করা সম্ভব। আর নবায়নযোগ্য জ্বালানির সম্ভাবনা কাজে লাগাতে না পারলে জলবায়ু অভিযোজন ও নির্গমন হ্রাসের লক্ষ্য অর্জন কঠিন হয়ে যাবে।

অর্থনীতিকে নাড়িয়ে দেওয়া সরকারের এক বড় সিদ্ধান্তে পুঁজিবাজারের হাজারো সাধারণ বিনিয়োগকারী এখন অনিশ্চয়তার ছায়ায়। লুটপাট ও অনিয়মে জর্জরিত পাঁচটি শরিয়াহভিত্তিক বেসরকারি ব্যাংককে একীভূত করে নতুন ব্যাংক গঠন এবং ৯টি দুর্বল আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফআই) বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
১৪ অক্টোবর ২০২৫
বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতে নতুন মাইলফলক তৈরি হয়েছে। রামপালে মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট (এমএসটিপিপি) গত নভেম্বর মাসে এককভাবে ৭০০ মিলিয়ন (৭০ কোটি) ইউনিট (এমইউ) বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছে।
১৯ মিনিট আগে
দুই মাসের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার দিকে এগোতে গিয়ে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ জানিয়েছেন, নির্বাচনের সময় কোনো প্রার্থীর পক্ষে এলাকায় প্রভাব ফেলবে, এমন কোনো প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, রাজনৈতিক প্রার্থীরা নানা প্রকল্পের অনুমোদনের চেষ্টা-তদবির করছেন, তবে সরকা
৮ ঘণ্টা আগে
দেশের অর্থনীতিতে ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়ানোর সংকেত দেখা গেলেও সামনে রয়েছে পাঁচ চ্যালেঞ্জ। চ্যালেঞ্জগুলো হলো বিনিয়োগে স্থবিরতা, রাজস্ব সংগ্রহে বড় ঘাটতি, আমদানি-রপ্তানিতে অস্থিরতা, টাকার ক্রয়ক্ষমতা বাড়ায় আন্তর্জাতিক বাজারে ঝুঁকি, সরকারি ঋণনির্ভরতা।
৮ ঘণ্টা আগে