Ajker Patrika

সেরা স্থপতিদের স্বীকৃতি দিল বার্জার

বিজ্ঞপ্তি  
আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১: ৪৪
Thumbnail image
সেরা স্থপতিদের স্বীকৃতি দিল বার্জার। ছবি: সংগৃহীত

বার্জার অ্যাওয়ার্ড ফর এক্সিলেন্স ইন আর্কিটেকচারের ১১তম আসরের পর্দা নেমেছে গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে। মনোনয়ন করা ১১৬ প্রজেক্টের মধ্য থেকে অনুষ্ঠানে অসামান্য উৎকর্ষের স্বীকৃতি হিসেবে সেরা ছয়টি স্থাপত্য প্রকল্প এবং সংশ্লিষ্ট স্থপতিদের সম্মাননা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে অসাধারণ শিল্পবোধসমৃদ্ধ স্থপতি-শিক্ষক, শিল্প সমালোচক, দেশবরেণ্য স্থপতি অধ্যাপক শামসুল ওয়ারেসকে আজীবন সম্মাননায় ভূষিত করা হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্টস বাংলাদেশের (আইএবি) প্রেসিডেন্ট স্থপতি অধ্যাপক খন্দকার সাব্বির আহমেদ, জেনারেল সেক্রেটারি নবী নেওয়াজ খান, বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর রূপালী চৌধুরী, চিফ অপারেটিং অফিসার এবং ডিরেক্টর মহসিন হাবিব চৌধুরী এবং ১১তম আসরের অ্যাওয়ার্ড ডিরেক্টর, অ্যাওয়ার্ড কমিটির সদস্য, বিচারকেরা, বিশিষ্ট স্থপতিরা এবং বার্জার পেইন্টস লিমিটেডের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।

এবারের আসরে জুরি প্যানেলের সদস্যরা হলেন স্বনামধন্য স্থপতি আবু হায়দার ইমামউদ্দিন, স্থপতি বায়েজিদ মাহবুব খন্দকার, স্থপতি তামান্না সাঈদ, স্থপতি গিবসন রিহ (সাউথ কোরিয়া) এবং স্থপতি কামার আহমেদ সাইমন (চলচ্চিত্র নির্মাতা)। অ্যাওয়ার্ড ডিরেক্টর হিসেবে স্থপতি আছিয়া করিম, ডেপুটি অ্যাওয়ার্ড ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন স্থপতি আবু মুসা ইফতেখার ও স্থপতি নাজিফা তাবাসসুম।

জুরিদের বিবেচনায় দুই পর্বের পর্যালোচনার মাধ্যমে নির্বাচিত ছয়টি প্রকল্পকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। অ্যাওয়ার্ডেড প্রকল্পের বিজয়ীরা হচ্ছেন স্টুডিও গোমতী ঘর প্রতিষ্ঠানের স্থপতি রাহাত ইবনে হাসানের ‘আ হোম ফোর মেমোরিস অ্যান্ড ডেড্রিমস’, পারসিভ–এএসপি প্রতিষ্ঠানের স্থপতি ফজলে রাব্বির ‘রূপগাঁও’, নিউফরমেশন আর্কিটেক্টসের স্থপতি খন্দকার নাজমুল হাসান ও খালিদ আহমেদ খানের ‘ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড ইউনিট-১৭ মাল্টিপারপাস ইন্ডাস্ট্রিয়াল বিল্ডিং’ প্রকল্প।

এ বিষয়ে বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের (বিপিবিএল) ম্যানেজিং ডিরেক্টর রূপালী চৌধুরী বলেন, ‘চলতি বছরের বার্জার পুরস্কারের মধ্য দিয়ে আমরা ২২ বছরের যাত্রা উদ্‌যাপন করছি। বার্জার অনেক বছর ধরেই দক্ষ ও উদীয়মান স্থপতিদের অবদান ও প্রচেষ্টার স্বীকৃতিদানে ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। আমরা স্থাপত্যের উৎকর্ষকে উদ্‌যাপন করতে পেরে গর্বিত। সামনের দিনগুলোতেও বার্জার এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে।’

ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্টস বাংলাদেশের (আইএবি) প্রেসিডেন্ট স্থপতি অধ্যাপক খন্দকার সাব্বির আহমেদ বলেন, বার্জার অ্যাওয়ার্ড ফর এক্সেলেন্স ইন আর্কিটেকচার স্থাপত্য খাতে সৃজনশীলতা ও নতুন উদ্যোগকে অনুপ্রাণিত করে। এটি শুধু একটি পুরস্কার নয়, বরং স্থপতিদের প্রতি বার্জারের অবিচল উৎসাহ ও সমর্থনের প্রতীক।

স্থাপত্য খাতে অসামান্য কাজের স্বীকৃতি দিতে ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্টস বাংলাদেশের (আইএবি) সহযোগিতায় ২০০৩ সালে প্রথম ‘বার্জার ইয়াং আর্কিটেক্ট অ্যাওয়ার্ড’ হিসেবে এ পুরস্কার দেওয়া শুরু হয়। পরবর্তী সময় দক্ষ ও উদীয়মান স্থপতিদের জন্য বিস্তৃত সুযোগ তৈরি করতে পুরস্কারের পরিসর বাড়িয়ে এর নামকরণ করা হয় ‘বার্জার অ্যাওয়ার্ড ফর এক্সিলেন্স ইন আর্কিটেকচার’।

পুরস্কারে এবারের আসরের মধ্য দিয়ে মর্যাদাপূর্ণ এ প্রতিযোগিতার ২২ বছরের যাত্রা উদ্‌যাপন করে বার্জার। বাংলাদেশের স্থাপত্য পেশায় এটি অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার হিসেবে স্বীকৃত। এ পুরস্কার দেশের স্থপতিদের সম্ভাবনার পরিসরকে সমৃদ্ধ করছে এবং তাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত