
ভারতে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সম্পদের ওপর কর আরোপের প্রস্তাবের ফলে আম্বানি এবং আদানিরা নিজেদের ঘাঁটি দুবাইয়ের মতো দেশে সরিয়ে নিয়ে যেতে পারে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছেন বিজেপিঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক অর্থনীতিবিদ গৌতম সেন। তিনি ব্যাখ্যা করে আরও বলেছেন, ভারতের আম্বানি, আদানি এবং টাটা দুবাই চলে গেলে ভারতের যথেষ্ট ক্ষতি হবে।
সম্প্রতি কংগ্রেস নেতা স্যাম পিত্রোদা ভারতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনুরূপ উত্তরাধিকার কর চালু করার পরামর্শ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতেই গৌতম সেন অর্থনীতির এমন বিশ্লেষণ করলেন।
গৌতম সেন লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকসের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক। এর আগে তিনি একজন ভারত-যুক্তরাজ্যবিষয়ক গোলটেবিলের সদস্য এবং ইউএনডিপির সিনিয়র কনসালট্যান্ট ছিলেন। পাশাপাশি তিনি ওয়ার্ল্ড অ্যাসোসিয়েশন অব হিন্দু অ্যাকাডেমিশিয়ানের সভাপতি ও ধার্মিক আইডিয়াস অ্যান্ড পলিসি ফাউন্ডেশনের সহপরিচালক।
ভারতের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো ভারতে উত্তরাধিকার কর আরোপের প্রস্তাব সম্পর্কে নিজের মতামত তুলে ধরেছেন।
একান্ত সাক্ষাৎকারে ড. সেন বলেন, আম্বানি, আদানি, মাহিন্দ্রা এবং টাটাসহ ৫ শতাধিক অতি ধনী (বিলিয়নিয়ার) শ্রেণি ভারত থেকে দুবাইতে চলে যাবে। এরই মধ্যে যেসব ভারতীয় মিলিয়নিয়ার দেশ ছেড়েছেন তাঁদের ৭০ শতাংশই দুবাই চলে গেছেন, কারণ দুবাইতে কোনো আয়কর নেই। তাঁরা সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিজেদের ব্যবসা পুনরায় নিবন্ধন করবে, তখন ভারত তাঁদের কাছ থেকে কেবল করপোরেট কর সংগ্রহ করতে সক্ষম হবে কারণ তাদের ব্যবসা ভারতেই থাকবে।
সেন আরও বলেন, ‘তাই ভারতের সম্পদের বিশাল ক্ষতি হবে। এখন, যদি আপনি অন্যান্য দেশ সম্পর্কে ভাবেন তাহলে সেটা সুইডেনে। দেশটিতে আগে উত্তরাধিকার কর কঠোর ছিল এবং সুইডেন ইতিহাসে বিশ্বের সর্বোচ্চ কর আদায়কারী দেশগুলোর মধ্যে একটি ছিল। কিন্তু আপনি জানেন কি, সুইডেন উত্তরাধিকার কর প্রত্যাহার করেছে কারণ অনেক ধনী দেশ ছেড়ে পালাচ্ছিলেন। উদাহরণস্বরূপ, আইকেইএর মালিক সুইডেন থেকে চলে গেছেন।’
এই অর্থনীতিবিদ আরও বলেন, ‘উত্তরাধিকার কর অপসারণের পরে দেখা গেছে, দেশে প্রচুর সম্পদ ফিরে এসেছে, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও কর আদায় বেড়েছে। যদিও অতিরিক্ত কর আদায় করে সুইডেন কম সচ্ছলদের মধ্যে বিতরণ করতে পারত। তবুও আমি প্রকৃতপক্ষে, উত্তরাধিকার কর বা সম্পদ কর না রাখা সুইডেনের জন্য উপকারী বলব। এখন ভারতের ক্ষেত্রে আপনি একই কাজ করেন তবে আপনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, একটি কৃষিভিত্তিক দেশে আপনি এটি করতে পারবেন না।’
কংগ্রেস নেতা স্যাম পিত্রোদা সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনুরূপ উত্তরাধিকার কর ভারতে চালু করার পরামর্শ দিয়েছেন। তবে সেন বলছেন, এটি ভারতের মোটেই ভালো উপমা নয়। তাঁর কথায়, সব সমাজে অর্থের পুনর্বণ্টন ঘটে এবং গত এক দশকে ভারতের গ্রামীণ এলাকার সমাজের দরিদ্রতম অংশে উল্লেখযোগ্য উন্নতির নজির রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, গত ১ বছরে ভারতে যে পুনর্বণ্টন ঘটেছে তা এক হাজার বছরেও ঘটেনি।
গৌতম সেন বলেন, ‘মার্কিন উদাহরণটি ভারতের জন্য মোটেই ভালো উপমা নয়। উল্টো এক রকম সমস্যা। পুনর্বণ্টন এমন একটি বিষয় যা সমস্ত অর্থনীতি এবং সমস্ত সমাজে ঘটে। আসলে, গত ১০ বছরে ভারতে যে পুনর্বণ্টন ঘটেছে, গ্রামীণ ভারতের কল্যাণে গত এক হাজার বছরে এমনটি হয়নি। তাই ভারত আসলেই ভালো করছে। প্রশ্ন হলো, আপনি কীভাবে এটি অর্জন করবেন। তাই কর আরোপের প্রস্তাবটি সমস্ত পরিবার এবং ব্যবসার জরিপের ক্ষেত্রে অনেক কারণেই অবাস্তব।’
উত্তরাধিকারী কর প্রয়োগের বাস্তবতা সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করে ও কংগ্রেসের সমস্ত পরিবার ও ব্যবসার সমীক্ষা তুলে ধরার প্রস্তাব সম্পর্কে সেন বলেন, ভারতে মাত্র অল্প শতাংশ লোক ব্যক্তিগত আয়কর দেন এবং এই গোষ্ঠী থেকে সম্পদ পুনর্বণ্টন করার প্রচেষ্টা কার্যকরী হবে না।
সুইডেনের উত্তরাধিকার করের অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে সেন বলেন, ‘ভারতে ২ দশমিক ৪ শতাংশ বা তারও সামান্য কিছু লোক আয়কর দেন। যেটা ব্যক্তিগত কর। আমি মনে করি, সেই গোষ্ঠী ১২ লাখের বেশি নয়, সম্ভবত একটু বেশি। তাঁরা বাসস্থানেই রাখেন নিজেদের ৭৭ শতাংশ সম্পদ। এসবের মধ্যে রয়েছে স্বর্ণ, মোটরসাইকেল, ফ্যান, আলমারি। আপনি আয়কর আরোপের মাধ্যমে সমতা চাইলে এই সমস্ত লোকের সম্পদের তালিকা করতে হবে এবং সেসব তাঁদের থেকে নিয়ে নিতে হবে। এরপর এসব মানুষকে রাস্তায় নামিয়ে দিতে হবে। তবে ভারতের বাকি অংশের তুলনায় আপনি তাঁদের থেকে খুব কম পরিমাণ কর আদায় করতে পারবেন।’
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর প্রস্তাবিত সম্পদের পুনর্বণ্টন প্রস্তাব সম্পর্কে সেন যুক্তি দিয়ে বলেন, এই জাতীয় নীতির বাস্তবায়ন অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং হবে। তাঁর কথায়, ধনী ব্যক্তিদের কাছ থেকে সম্পদ নিয়ে নিলে অর্থনীতি ব্যাহত হবে। কারণ তারাই ব্যবসায় বিনিয়োগ করে, তাঁরাই অর্থনীতির চালিকাশক্তি। শুধু তাই নয়, এটি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
সেন বলেন, তাঁদের অর্থের পুরোটাই ব্যবসায় বিনিয়োগ করা হয়। সুতরাং তাঁদের সম্পদ কেড়ে নেওয়ার জন্য আপনাকে তাদের ব্যবসাহীন করতে হবে। এতে অর্থনীতি বিকল হয়ে পড়বে।’

ভারতে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সম্পদের ওপর কর আরোপের প্রস্তাবের ফলে আম্বানি এবং আদানিরা নিজেদের ঘাঁটি দুবাইয়ের মতো দেশে সরিয়ে নিয়ে যেতে পারে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছেন বিজেপিঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক অর্থনীতিবিদ গৌতম সেন। তিনি ব্যাখ্যা করে আরও বলেছেন, ভারতের আম্বানি, আদানি এবং টাটা দুবাই চলে গেলে ভারতের যথেষ্ট ক্ষতি হবে।
সম্প্রতি কংগ্রেস নেতা স্যাম পিত্রোদা ভারতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনুরূপ উত্তরাধিকার কর চালু করার পরামর্শ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতেই গৌতম সেন অর্থনীতির এমন বিশ্লেষণ করলেন।
গৌতম সেন লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকসের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক। এর আগে তিনি একজন ভারত-যুক্তরাজ্যবিষয়ক গোলটেবিলের সদস্য এবং ইউএনডিপির সিনিয়র কনসালট্যান্ট ছিলেন। পাশাপাশি তিনি ওয়ার্ল্ড অ্যাসোসিয়েশন অব হিন্দু অ্যাকাডেমিশিয়ানের সভাপতি ও ধার্মিক আইডিয়াস অ্যান্ড পলিসি ফাউন্ডেশনের সহপরিচালক।
ভারতের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো ভারতে উত্তরাধিকার কর আরোপের প্রস্তাব সম্পর্কে নিজের মতামত তুলে ধরেছেন।
একান্ত সাক্ষাৎকারে ড. সেন বলেন, আম্বানি, আদানি, মাহিন্দ্রা এবং টাটাসহ ৫ শতাধিক অতি ধনী (বিলিয়নিয়ার) শ্রেণি ভারত থেকে দুবাইতে চলে যাবে। এরই মধ্যে যেসব ভারতীয় মিলিয়নিয়ার দেশ ছেড়েছেন তাঁদের ৭০ শতাংশই দুবাই চলে গেছেন, কারণ দুবাইতে কোনো আয়কর নেই। তাঁরা সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিজেদের ব্যবসা পুনরায় নিবন্ধন করবে, তখন ভারত তাঁদের কাছ থেকে কেবল করপোরেট কর সংগ্রহ করতে সক্ষম হবে কারণ তাদের ব্যবসা ভারতেই থাকবে।
সেন আরও বলেন, ‘তাই ভারতের সম্পদের বিশাল ক্ষতি হবে। এখন, যদি আপনি অন্যান্য দেশ সম্পর্কে ভাবেন তাহলে সেটা সুইডেনে। দেশটিতে আগে উত্তরাধিকার কর কঠোর ছিল এবং সুইডেন ইতিহাসে বিশ্বের সর্বোচ্চ কর আদায়কারী দেশগুলোর মধ্যে একটি ছিল। কিন্তু আপনি জানেন কি, সুইডেন উত্তরাধিকার কর প্রত্যাহার করেছে কারণ অনেক ধনী দেশ ছেড়ে পালাচ্ছিলেন। উদাহরণস্বরূপ, আইকেইএর মালিক সুইডেন থেকে চলে গেছেন।’
এই অর্থনীতিবিদ আরও বলেন, ‘উত্তরাধিকার কর অপসারণের পরে দেখা গেছে, দেশে প্রচুর সম্পদ ফিরে এসেছে, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও কর আদায় বেড়েছে। যদিও অতিরিক্ত কর আদায় করে সুইডেন কম সচ্ছলদের মধ্যে বিতরণ করতে পারত। তবুও আমি প্রকৃতপক্ষে, উত্তরাধিকার কর বা সম্পদ কর না রাখা সুইডেনের জন্য উপকারী বলব। এখন ভারতের ক্ষেত্রে আপনি একই কাজ করেন তবে আপনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, একটি কৃষিভিত্তিক দেশে আপনি এটি করতে পারবেন না।’
কংগ্রেস নেতা স্যাম পিত্রোদা সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনুরূপ উত্তরাধিকার কর ভারতে চালু করার পরামর্শ দিয়েছেন। তবে সেন বলছেন, এটি ভারতের মোটেই ভালো উপমা নয়। তাঁর কথায়, সব সমাজে অর্থের পুনর্বণ্টন ঘটে এবং গত এক দশকে ভারতের গ্রামীণ এলাকার সমাজের দরিদ্রতম অংশে উল্লেখযোগ্য উন্নতির নজির রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, গত ১ বছরে ভারতে যে পুনর্বণ্টন ঘটেছে তা এক হাজার বছরেও ঘটেনি।
গৌতম সেন বলেন, ‘মার্কিন উদাহরণটি ভারতের জন্য মোটেই ভালো উপমা নয়। উল্টো এক রকম সমস্যা। পুনর্বণ্টন এমন একটি বিষয় যা সমস্ত অর্থনীতি এবং সমস্ত সমাজে ঘটে। আসলে, গত ১০ বছরে ভারতে যে পুনর্বণ্টন ঘটেছে, গ্রামীণ ভারতের কল্যাণে গত এক হাজার বছরে এমনটি হয়নি। তাই ভারত আসলেই ভালো করছে। প্রশ্ন হলো, আপনি কীভাবে এটি অর্জন করবেন। তাই কর আরোপের প্রস্তাবটি সমস্ত পরিবার এবং ব্যবসার জরিপের ক্ষেত্রে অনেক কারণেই অবাস্তব।’
উত্তরাধিকারী কর প্রয়োগের বাস্তবতা সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করে ও কংগ্রেসের সমস্ত পরিবার ও ব্যবসার সমীক্ষা তুলে ধরার প্রস্তাব সম্পর্কে সেন বলেন, ভারতে মাত্র অল্প শতাংশ লোক ব্যক্তিগত আয়কর দেন এবং এই গোষ্ঠী থেকে সম্পদ পুনর্বণ্টন করার প্রচেষ্টা কার্যকরী হবে না।
সুইডেনের উত্তরাধিকার করের অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে সেন বলেন, ‘ভারতে ২ দশমিক ৪ শতাংশ বা তারও সামান্য কিছু লোক আয়কর দেন। যেটা ব্যক্তিগত কর। আমি মনে করি, সেই গোষ্ঠী ১২ লাখের বেশি নয়, সম্ভবত একটু বেশি। তাঁরা বাসস্থানেই রাখেন নিজেদের ৭৭ শতাংশ সম্পদ। এসবের মধ্যে রয়েছে স্বর্ণ, মোটরসাইকেল, ফ্যান, আলমারি। আপনি আয়কর আরোপের মাধ্যমে সমতা চাইলে এই সমস্ত লোকের সম্পদের তালিকা করতে হবে এবং সেসব তাঁদের থেকে নিয়ে নিতে হবে। এরপর এসব মানুষকে রাস্তায় নামিয়ে দিতে হবে। তবে ভারতের বাকি অংশের তুলনায় আপনি তাঁদের থেকে খুব কম পরিমাণ কর আদায় করতে পারবেন।’
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর প্রস্তাবিত সম্পদের পুনর্বণ্টন প্রস্তাব সম্পর্কে সেন যুক্তি দিয়ে বলেন, এই জাতীয় নীতির বাস্তবায়ন অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং হবে। তাঁর কথায়, ধনী ব্যক্তিদের কাছ থেকে সম্পদ নিয়ে নিলে অর্থনীতি ব্যাহত হবে। কারণ তারাই ব্যবসায় বিনিয়োগ করে, তাঁরাই অর্থনীতির চালিকাশক্তি। শুধু তাই নয়, এটি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
সেন বলেন, তাঁদের অর্থের পুরোটাই ব্যবসায় বিনিয়োগ করা হয়। সুতরাং তাঁদের সম্পদ কেড়ে নেওয়ার জন্য আপনাকে তাদের ব্যবসাহীন করতে হবে। এতে অর্থনীতি বিকল হয়ে পড়বে।’

ভারতে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সম্পদের ওপর কর আরোপের প্রস্তাবের ফলে আম্বানি এবং আদানিরা নিজেদের ঘাঁটি দুবাইয়ের মতো দেশে সরিয়ে নিয়ে যেতে পারে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছেন বিজেপিঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক অর্থনীতিবিদ গৌতম সেন। তিনি ব্যাখ্যা করে আরও বলেছেন, ভারতের আম্বানি, আদানি এবং টাটা দুবাই চলে গেলে ভারতের যথেষ্ট ক্ষতি হবে।
সম্প্রতি কংগ্রেস নেতা স্যাম পিত্রোদা ভারতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনুরূপ উত্তরাধিকার কর চালু করার পরামর্শ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতেই গৌতম সেন অর্থনীতির এমন বিশ্লেষণ করলেন।
গৌতম সেন লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকসের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক। এর আগে তিনি একজন ভারত-যুক্তরাজ্যবিষয়ক গোলটেবিলের সদস্য এবং ইউএনডিপির সিনিয়র কনসালট্যান্ট ছিলেন। পাশাপাশি তিনি ওয়ার্ল্ড অ্যাসোসিয়েশন অব হিন্দু অ্যাকাডেমিশিয়ানের সভাপতি ও ধার্মিক আইডিয়াস অ্যান্ড পলিসি ফাউন্ডেশনের সহপরিচালক।
ভারতের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো ভারতে উত্তরাধিকার কর আরোপের প্রস্তাব সম্পর্কে নিজের মতামত তুলে ধরেছেন।
একান্ত সাক্ষাৎকারে ড. সেন বলেন, আম্বানি, আদানি, মাহিন্দ্রা এবং টাটাসহ ৫ শতাধিক অতি ধনী (বিলিয়নিয়ার) শ্রেণি ভারত থেকে দুবাইতে চলে যাবে। এরই মধ্যে যেসব ভারতীয় মিলিয়নিয়ার দেশ ছেড়েছেন তাঁদের ৭০ শতাংশই দুবাই চলে গেছেন, কারণ দুবাইতে কোনো আয়কর নেই। তাঁরা সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিজেদের ব্যবসা পুনরায় নিবন্ধন করবে, তখন ভারত তাঁদের কাছ থেকে কেবল করপোরেট কর সংগ্রহ করতে সক্ষম হবে কারণ তাদের ব্যবসা ভারতেই থাকবে।
সেন আরও বলেন, ‘তাই ভারতের সম্পদের বিশাল ক্ষতি হবে। এখন, যদি আপনি অন্যান্য দেশ সম্পর্কে ভাবেন তাহলে সেটা সুইডেনে। দেশটিতে আগে উত্তরাধিকার কর কঠোর ছিল এবং সুইডেন ইতিহাসে বিশ্বের সর্বোচ্চ কর আদায়কারী দেশগুলোর মধ্যে একটি ছিল। কিন্তু আপনি জানেন কি, সুইডেন উত্তরাধিকার কর প্রত্যাহার করেছে কারণ অনেক ধনী দেশ ছেড়ে পালাচ্ছিলেন। উদাহরণস্বরূপ, আইকেইএর মালিক সুইডেন থেকে চলে গেছেন।’
এই অর্থনীতিবিদ আরও বলেন, ‘উত্তরাধিকার কর অপসারণের পরে দেখা গেছে, দেশে প্রচুর সম্পদ ফিরে এসেছে, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও কর আদায় বেড়েছে। যদিও অতিরিক্ত কর আদায় করে সুইডেন কম সচ্ছলদের মধ্যে বিতরণ করতে পারত। তবুও আমি প্রকৃতপক্ষে, উত্তরাধিকার কর বা সম্পদ কর না রাখা সুইডেনের জন্য উপকারী বলব। এখন ভারতের ক্ষেত্রে আপনি একই কাজ করেন তবে আপনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, একটি কৃষিভিত্তিক দেশে আপনি এটি করতে পারবেন না।’
কংগ্রেস নেতা স্যাম পিত্রোদা সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনুরূপ উত্তরাধিকার কর ভারতে চালু করার পরামর্শ দিয়েছেন। তবে সেন বলছেন, এটি ভারতের মোটেই ভালো উপমা নয়। তাঁর কথায়, সব সমাজে অর্থের পুনর্বণ্টন ঘটে এবং গত এক দশকে ভারতের গ্রামীণ এলাকার সমাজের দরিদ্রতম অংশে উল্লেখযোগ্য উন্নতির নজির রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, গত ১ বছরে ভারতে যে পুনর্বণ্টন ঘটেছে তা এক হাজার বছরেও ঘটেনি।
গৌতম সেন বলেন, ‘মার্কিন উদাহরণটি ভারতের জন্য মোটেই ভালো উপমা নয়। উল্টো এক রকম সমস্যা। পুনর্বণ্টন এমন একটি বিষয় যা সমস্ত অর্থনীতি এবং সমস্ত সমাজে ঘটে। আসলে, গত ১০ বছরে ভারতে যে পুনর্বণ্টন ঘটেছে, গ্রামীণ ভারতের কল্যাণে গত এক হাজার বছরে এমনটি হয়নি। তাই ভারত আসলেই ভালো করছে। প্রশ্ন হলো, আপনি কীভাবে এটি অর্জন করবেন। তাই কর আরোপের প্রস্তাবটি সমস্ত পরিবার এবং ব্যবসার জরিপের ক্ষেত্রে অনেক কারণেই অবাস্তব।’
উত্তরাধিকারী কর প্রয়োগের বাস্তবতা সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করে ও কংগ্রেসের সমস্ত পরিবার ও ব্যবসার সমীক্ষা তুলে ধরার প্রস্তাব সম্পর্কে সেন বলেন, ভারতে মাত্র অল্প শতাংশ লোক ব্যক্তিগত আয়কর দেন এবং এই গোষ্ঠী থেকে সম্পদ পুনর্বণ্টন করার প্রচেষ্টা কার্যকরী হবে না।
সুইডেনের উত্তরাধিকার করের অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে সেন বলেন, ‘ভারতে ২ দশমিক ৪ শতাংশ বা তারও সামান্য কিছু লোক আয়কর দেন। যেটা ব্যক্তিগত কর। আমি মনে করি, সেই গোষ্ঠী ১২ লাখের বেশি নয়, সম্ভবত একটু বেশি। তাঁরা বাসস্থানেই রাখেন নিজেদের ৭৭ শতাংশ সম্পদ। এসবের মধ্যে রয়েছে স্বর্ণ, মোটরসাইকেল, ফ্যান, আলমারি। আপনি আয়কর আরোপের মাধ্যমে সমতা চাইলে এই সমস্ত লোকের সম্পদের তালিকা করতে হবে এবং সেসব তাঁদের থেকে নিয়ে নিতে হবে। এরপর এসব মানুষকে রাস্তায় নামিয়ে দিতে হবে। তবে ভারতের বাকি অংশের তুলনায় আপনি তাঁদের থেকে খুব কম পরিমাণ কর আদায় করতে পারবেন।’
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর প্রস্তাবিত সম্পদের পুনর্বণ্টন প্রস্তাব সম্পর্কে সেন যুক্তি দিয়ে বলেন, এই জাতীয় নীতির বাস্তবায়ন অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং হবে। তাঁর কথায়, ধনী ব্যক্তিদের কাছ থেকে সম্পদ নিয়ে নিলে অর্থনীতি ব্যাহত হবে। কারণ তারাই ব্যবসায় বিনিয়োগ করে, তাঁরাই অর্থনীতির চালিকাশক্তি। শুধু তাই নয়, এটি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
সেন বলেন, তাঁদের অর্থের পুরোটাই ব্যবসায় বিনিয়োগ করা হয়। সুতরাং তাঁদের সম্পদ কেড়ে নেওয়ার জন্য আপনাকে তাদের ব্যবসাহীন করতে হবে। এতে অর্থনীতি বিকল হয়ে পড়বে।’

ভারতে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সম্পদের ওপর কর আরোপের প্রস্তাবের ফলে আম্বানি এবং আদানিরা নিজেদের ঘাঁটি দুবাইয়ের মতো দেশে সরিয়ে নিয়ে যেতে পারে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছেন বিজেপিঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক অর্থনীতিবিদ গৌতম সেন। তিনি ব্যাখ্যা করে আরও বলেছেন, ভারতের আম্বানি, আদানি এবং টাটা দুবাই চলে গেলে ভারতের যথেষ্ট ক্ষতি হবে।
সম্প্রতি কংগ্রেস নেতা স্যাম পিত্রোদা ভারতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনুরূপ উত্তরাধিকার কর চালু করার পরামর্শ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতেই গৌতম সেন অর্থনীতির এমন বিশ্লেষণ করলেন।
গৌতম সেন লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকসের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক। এর আগে তিনি একজন ভারত-যুক্তরাজ্যবিষয়ক গোলটেবিলের সদস্য এবং ইউএনডিপির সিনিয়র কনসালট্যান্ট ছিলেন। পাশাপাশি তিনি ওয়ার্ল্ড অ্যাসোসিয়েশন অব হিন্দু অ্যাকাডেমিশিয়ানের সভাপতি ও ধার্মিক আইডিয়াস অ্যান্ড পলিসি ফাউন্ডেশনের সহপরিচালক।
ভারতের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো ভারতে উত্তরাধিকার কর আরোপের প্রস্তাব সম্পর্কে নিজের মতামত তুলে ধরেছেন।
একান্ত সাক্ষাৎকারে ড. সেন বলেন, আম্বানি, আদানি, মাহিন্দ্রা এবং টাটাসহ ৫ শতাধিক অতি ধনী (বিলিয়নিয়ার) শ্রেণি ভারত থেকে দুবাইতে চলে যাবে। এরই মধ্যে যেসব ভারতীয় মিলিয়নিয়ার দেশ ছেড়েছেন তাঁদের ৭০ শতাংশই দুবাই চলে গেছেন, কারণ দুবাইতে কোনো আয়কর নেই। তাঁরা সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিজেদের ব্যবসা পুনরায় নিবন্ধন করবে, তখন ভারত তাঁদের কাছ থেকে কেবল করপোরেট কর সংগ্রহ করতে সক্ষম হবে কারণ তাদের ব্যবসা ভারতেই থাকবে।
সেন আরও বলেন, ‘তাই ভারতের সম্পদের বিশাল ক্ষতি হবে। এখন, যদি আপনি অন্যান্য দেশ সম্পর্কে ভাবেন তাহলে সেটা সুইডেনে। দেশটিতে আগে উত্তরাধিকার কর কঠোর ছিল এবং সুইডেন ইতিহাসে বিশ্বের সর্বোচ্চ কর আদায়কারী দেশগুলোর মধ্যে একটি ছিল। কিন্তু আপনি জানেন কি, সুইডেন উত্তরাধিকার কর প্রত্যাহার করেছে কারণ অনেক ধনী দেশ ছেড়ে পালাচ্ছিলেন। উদাহরণস্বরূপ, আইকেইএর মালিক সুইডেন থেকে চলে গেছেন।’
এই অর্থনীতিবিদ আরও বলেন, ‘উত্তরাধিকার কর অপসারণের পরে দেখা গেছে, দেশে প্রচুর সম্পদ ফিরে এসেছে, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও কর আদায় বেড়েছে। যদিও অতিরিক্ত কর আদায় করে সুইডেন কম সচ্ছলদের মধ্যে বিতরণ করতে পারত। তবুও আমি প্রকৃতপক্ষে, উত্তরাধিকার কর বা সম্পদ কর না রাখা সুইডেনের জন্য উপকারী বলব। এখন ভারতের ক্ষেত্রে আপনি একই কাজ করেন তবে আপনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, একটি কৃষিভিত্তিক দেশে আপনি এটি করতে পারবেন না।’
কংগ্রেস নেতা স্যাম পিত্রোদা সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনুরূপ উত্তরাধিকার কর ভারতে চালু করার পরামর্শ দিয়েছেন। তবে সেন বলছেন, এটি ভারতের মোটেই ভালো উপমা নয়। তাঁর কথায়, সব সমাজে অর্থের পুনর্বণ্টন ঘটে এবং গত এক দশকে ভারতের গ্রামীণ এলাকার সমাজের দরিদ্রতম অংশে উল্লেখযোগ্য উন্নতির নজির রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, গত ১ বছরে ভারতে যে পুনর্বণ্টন ঘটেছে তা এক হাজার বছরেও ঘটেনি।
গৌতম সেন বলেন, ‘মার্কিন উদাহরণটি ভারতের জন্য মোটেই ভালো উপমা নয়। উল্টো এক রকম সমস্যা। পুনর্বণ্টন এমন একটি বিষয় যা সমস্ত অর্থনীতি এবং সমস্ত সমাজে ঘটে। আসলে, গত ১০ বছরে ভারতে যে পুনর্বণ্টন ঘটেছে, গ্রামীণ ভারতের কল্যাণে গত এক হাজার বছরে এমনটি হয়নি। তাই ভারত আসলেই ভালো করছে। প্রশ্ন হলো, আপনি কীভাবে এটি অর্জন করবেন। তাই কর আরোপের প্রস্তাবটি সমস্ত পরিবার এবং ব্যবসার জরিপের ক্ষেত্রে অনেক কারণেই অবাস্তব।’
উত্তরাধিকারী কর প্রয়োগের বাস্তবতা সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করে ও কংগ্রেসের সমস্ত পরিবার ও ব্যবসার সমীক্ষা তুলে ধরার প্রস্তাব সম্পর্কে সেন বলেন, ভারতে মাত্র অল্প শতাংশ লোক ব্যক্তিগত আয়কর দেন এবং এই গোষ্ঠী থেকে সম্পদ পুনর্বণ্টন করার প্রচেষ্টা কার্যকরী হবে না।
সুইডেনের উত্তরাধিকার করের অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে সেন বলেন, ‘ভারতে ২ দশমিক ৪ শতাংশ বা তারও সামান্য কিছু লোক আয়কর দেন। যেটা ব্যক্তিগত কর। আমি মনে করি, সেই গোষ্ঠী ১২ লাখের বেশি নয়, সম্ভবত একটু বেশি। তাঁরা বাসস্থানেই রাখেন নিজেদের ৭৭ শতাংশ সম্পদ। এসবের মধ্যে রয়েছে স্বর্ণ, মোটরসাইকেল, ফ্যান, আলমারি। আপনি আয়কর আরোপের মাধ্যমে সমতা চাইলে এই সমস্ত লোকের সম্পদের তালিকা করতে হবে এবং সেসব তাঁদের থেকে নিয়ে নিতে হবে। এরপর এসব মানুষকে রাস্তায় নামিয়ে দিতে হবে। তবে ভারতের বাকি অংশের তুলনায় আপনি তাঁদের থেকে খুব কম পরিমাণ কর আদায় করতে পারবেন।’
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর প্রস্তাবিত সম্পদের পুনর্বণ্টন প্রস্তাব সম্পর্কে সেন যুক্তি দিয়ে বলেন, এই জাতীয় নীতির বাস্তবায়ন অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং হবে। তাঁর কথায়, ধনী ব্যক্তিদের কাছ থেকে সম্পদ নিয়ে নিলে অর্থনীতি ব্যাহত হবে। কারণ তারাই ব্যবসায় বিনিয়োগ করে, তাঁরাই অর্থনীতির চালিকাশক্তি। শুধু তাই নয়, এটি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
সেন বলেন, তাঁদের অর্থের পুরোটাই ব্যবসায় বিনিয়োগ করা হয়। সুতরাং তাঁদের সম্পদ কেড়ে নেওয়ার জন্য আপনাকে তাদের ব্যবসাহীন করতে হবে। এতে অর্থনীতি বিকল হয়ে পড়বে।’

সংশ্লিষ্ট ইউনিটগুলোতে সহকারী কমিশনার ও উপকমিশনার পর্যায়ের কর্মকর্তারা প্রভাতি, দিবা ও নৈশ—এই তিন শিফটে দায়িত্ব পালন করবেন। পাশাপাশি, পর্যাপ্ত সংখ্যক রাজস্ব কর্মকর্তা, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা, সাব-ইন্সপেক্টর ও সিপাই নিয়োজিত রেখে শুল্ক কার্যক্রম নির্বিঘ্ন রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
৩২ মিনিট আগে
শিক্ষার খরচ মেটাতে কিংবা একটু একটু করে নিজের টাকায় কিছু করার স্বপ্নে খুদে শিক্ষার্থীরা এখন ব্যাংকের সঙ্গী। আগে যেখানে সঞ্চয়ের মানে ছিল মাটির ব্যাংকে কয়েন জমানো, এখন সেটি ডিজিটাল পর্দায় ব্যালেন্স হিসাবে দেখা যায়। দেশের ব্যাংকগুলো এখন শিশু-কিশোরদের সেই হাতেখড়ির জায়গা হয়ে উঠেছে।
৯ ঘণ্টা আগে
স্কুল ব্যাংকিং মূলত শিক্ষার্থীদের ছোটবেলা থেকে সঞ্চয়ী করে তোলার একটি উদ্যোগ। এটি প্রথম শুরু হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রে, ১৮৭০ সালের শেষ দিকে। বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে ২০১১ সালে এটি চালু হয়।
৯ ঘণ্টা আগে
চালের দাম কিছুটা কমায় খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে স্বস্তি এসেছে। একই সঙ্গে রিজার্ভ ও আমানত প্রবৃদ্ধি হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) প্রকাশিত অর্থনৈতিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই চিত্র উঠেছে। সংস্থাটির হালনাগাদ ও পূর্বাভাস প্রতিবেদনে দেশের অর্থনীতিতে আগামী...
১০ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো কমপ্লেক্সে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর আমদানি, রপ্তানি ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম সচল রাখতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা কাস্টম হাউস। দুর্যোগ-পরবর্তী সময়ে বাণিজ্য স্বাভাবিক রাখতে বিমানবন্দরের অধিক্ষেত্রাধীন এয়ারফ্রেইট ইউনিট ও এক্সপ্রেস সার্ভিস ইউনিটে ২৪ ঘণ্টা তিন শিফটে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নির্দেশ জারি করা হয়েছে।
ঢাকা কাস্টম হাউসের কমিশনারের নির্দেশক্রমে জয়েন্ট কমিশনার সুমন দাশ স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট ইউনিটগুলোতে সহকারী কমিশনার ও উপকমিশনার পর্যায়ের কর্মকর্তারা প্রভাতি, দিবা ও নৈশ—এই তিন শিফটে দায়িত্ব পালন করবেন। পাশাপাশি, পর্যাপ্ত সংখ্যক রাজস্ব কর্মকর্তা, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা, সাব-ইন্সপেক্টর ও সিপাই নিয়োজিত রেখে শুল্ক কার্যক্রম নির্বিঘ্ন রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা কাস্টম হাউসের একটি সূত্র জানায়, ২৪ ঘণ্টা কার্যক্রম চালুর ফলে বিমানবন্দর এলাকায় পণ্য খালাস, পরীক্ষা ও ছাড়পত্র প্রক্রিয়া আরও সহজ ও দ্রুততর হবে। এতে আমদানিকারক, রপ্তানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের জন্যও বাড়তি সুবিধা তৈরি হবে।
ঢাকা কাস্টম হাউস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি খায়রুল আলম ভুইয়া মিঠু বলেন, ‘এই উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানিয়েছি। এতে সবাই উপকৃত হবে এবং পণ্য খালাসের প্রক্রিয়া আরও গতিশীল হবে।’

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো কমপ্লেক্সে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর আমদানি, রপ্তানি ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম সচল রাখতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা কাস্টম হাউস। দুর্যোগ-পরবর্তী সময়ে বাণিজ্য স্বাভাবিক রাখতে বিমানবন্দরের অধিক্ষেত্রাধীন এয়ারফ্রেইট ইউনিট ও এক্সপ্রেস সার্ভিস ইউনিটে ২৪ ঘণ্টা তিন শিফটে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নির্দেশ জারি করা হয়েছে।
ঢাকা কাস্টম হাউসের কমিশনারের নির্দেশক্রমে জয়েন্ট কমিশনার সুমন দাশ স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট ইউনিটগুলোতে সহকারী কমিশনার ও উপকমিশনার পর্যায়ের কর্মকর্তারা প্রভাতি, দিবা ও নৈশ—এই তিন শিফটে দায়িত্ব পালন করবেন। পাশাপাশি, পর্যাপ্ত সংখ্যক রাজস্ব কর্মকর্তা, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা, সাব-ইন্সপেক্টর ও সিপাই নিয়োজিত রেখে শুল্ক কার্যক্রম নির্বিঘ্ন রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা কাস্টম হাউসের একটি সূত্র জানায়, ২৪ ঘণ্টা কার্যক্রম চালুর ফলে বিমানবন্দর এলাকায় পণ্য খালাস, পরীক্ষা ও ছাড়পত্র প্রক্রিয়া আরও সহজ ও দ্রুততর হবে। এতে আমদানিকারক, রপ্তানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের জন্যও বাড়তি সুবিধা তৈরি হবে।
ঢাকা কাস্টম হাউস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি খায়রুল আলম ভুইয়া মিঠু বলেন, ‘এই উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানিয়েছি। এতে সবাই উপকৃত হবে এবং পণ্য খালাসের প্রক্রিয়া আরও গতিশীল হবে।’

ভারতে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সম্পদের ওপর কর আরোপের প্রস্তাবের ফলে আম্বানি এবং আদানিরা নিজেদের ঘাঁটি দুবাইয়ের মতো দেশে সরিয়ে নিয়ে যেতে পারে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছেন বিজেপি ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক অর্থনীতিবিদ গৌতম সেন। তিনি ব্যাখ্যা করে আরও বলেছেন, ভারতের আম্বানি, আদানি এবং টাটা দুবাই চলে গেলে ভারতের যথেষ্ট
০৯ মে ২০২৪
শিক্ষার খরচ মেটাতে কিংবা একটু একটু করে নিজের টাকায় কিছু করার স্বপ্নে খুদে শিক্ষার্থীরা এখন ব্যাংকের সঙ্গী। আগে যেখানে সঞ্চয়ের মানে ছিল মাটির ব্যাংকে কয়েন জমানো, এখন সেটি ডিজিটাল পর্দায় ব্যালেন্স হিসাবে দেখা যায়। দেশের ব্যাংকগুলো এখন শিশু-কিশোরদের সেই হাতেখড়ির জায়গা হয়ে উঠেছে।
৯ ঘণ্টা আগে
স্কুল ব্যাংকিং মূলত শিক্ষার্থীদের ছোটবেলা থেকে সঞ্চয়ী করে তোলার একটি উদ্যোগ। এটি প্রথম শুরু হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রে, ১৮৭০ সালের শেষ দিকে। বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে ২০১১ সালে এটি চালু হয়।
৯ ঘণ্টা আগে
চালের দাম কিছুটা কমায় খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে স্বস্তি এসেছে। একই সঙ্গে রিজার্ভ ও আমানত প্রবৃদ্ধি হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) প্রকাশিত অর্থনৈতিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই চিত্র উঠেছে। সংস্থাটির হালনাগাদ ও পূর্বাভাস প্রতিবেদনে দেশের অর্থনীতিতে আগামী...
১০ ঘণ্টা আগেজয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা

শিক্ষার খরচ মেটাতে কিংবা একটু একটু করে নিজের টাকায় কিছু করার স্বপ্নে খুদে শিক্ষার্থীরা এখন ব্যাংকের সঙ্গী। আগে যেখানে সঞ্চয়ের মানে ছিল মাটির ব্যাংকে কয়েন জমানো, এখন সেটি ডিজিটাল পর্দায় ব্যালেন্স হিসাবে দেখা যায়। দেশের ব্যাংকগুলো এখন শিশু-কিশোরদের সেই হাতেখড়ির জায়গা হয়ে উঠেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যে দেখা যায়, চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত স্কুল ব্যাংকিংয়ের আওতায় হিসাবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৫ লাখ ১৫ হাজার ২৫টি। এর মধ্যে ২৩ লাখ ছেলে, আর ২২ লাখের বেশি মেয়ে শিক্ষার্থীর নামে হিসাব খোলা হয়েছে। গ্রামে এই উদ্যোগের বিস্তার আরও বড়—২৩ লাখ ৯১ হাজার শিক্ষার্থীর হিসাব গ্রামাঞ্চলে, শহরে ২১ লাখ ২৩ হাজার।
এখন পর্যন্ত এসব খুদে সঞ্চয়কারীর ব্যাংকে জমা স্থিতি দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১০৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে শহরের শিক্ষার্থীদের ১ হাজার ৪৪৫ কোটি, গ্রামের শিক্ষার্থীদের ৬৬৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ সংখ্যা অনুযায়ী গ্রাম এগিয়ে থাকলেও সঞ্চয়ের অঙ্কে পিছিয়ে তারা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, এই পুরো উদ্যোগই মূলত আর্থিক অন্তর্ভুক্তির একটি নতুন দরজা খুলে দিয়েছে। করোনাকালে কিছুটা ভাটা পড়লেও এখন আবার উল্টো স্রোত—স্কুল ব্যাংকিং দ্রুত জনপ্রিয় হচ্ছে। এর পেছনে বড় কারণ, ব্যাংকগুলোর ডিজিটাল সেবা। এখন অনেক স্কুলেই ব্যাংক প্রতিনিধি গিয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ সঞ্চয় হিসাব খুলে দেন। তাতে স্কুলের ফি, বৃত্তি বা উপবৃত্তির টাকা সহজে জমা বা উত্তোলন করা যায়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর এ বিষয়ে বলেন, ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতির কোনো জাদুকরি যন্ত্র নেই। প্রত্যেক স্কুলশিক্ষার্থীর ব্যাংক হিসাব নিশ্চিত করা গেলে সেটাই হবে শিক্ষায় অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতি গড়ার ভিত্তি।’
২০১১ সালে মাত্র ১০০ টাকা জমা দিয়ে ১১ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের জন্য শুরু হয় স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রম। সে সময় কয়েকটি ব্যাংকে সীমিতভাবে হিসাব খোলা হতো। এখন দেশের ৬১ ব্যাংকের মধ্যে ৫৯টিতেই রয়েছে স্কুল ব্যাংকিং এবং এর ৭১ শতাংশ হিসাব বেসরকারি ব্যাংকে। শুধু বেসরকারি ব্যাংকগুলোতেই শিক্ষার্থীদের আমানত পৌঁছেছে ১ হাজার ৭২৮ কোটিতে। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর ভাগে এসেছে ৩৮০ কোটি টাকা।
সবচেয়ে সক্রিয় ব্যাংকগুলোর তালিকায় রয়েছে ডাচ্-বাংলা, ইসলামী, অগ্রণী, সোনালী ও রূপালী ব্যাংক। বিশেষ করে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ডিজিটাল স্কুল ব্যাংকিং সেবা সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থীর নাগাল পেয়েছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম বলেন, ‘এই উদ্যোগ শুধু সঞ্চয় নয়, শিক্ষার্থীদের অর্থনীতির ধারায় যুক্ত করছে। এতে অভিভাবকের ওপর চাপ কমে, আর ব্যাংকও দীর্ঘমেয়াদি আমানতের ভিত্তি পায়। এই খুদে আমানতই পরোক্ষভাবে জাতীয় বিনিয়োগের জ্বালানি।’
অন্যদিকে, জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মজিবর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্কুল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে শিশুরা এখন থেকেই টাকা ব্যবস্থাপনার কৌশল শিখছে। এতে সঞ্চয়ের সঙ্গে শিক্ষাবিমা, বৃত্তি গ্রহণ বা স্কুল ফি পরিশোধের সুবিধাও পাচ্ছে তারা।’
মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্র আইমান জানায়, ‘উৎসবে পাওয়া টাকা আর টিফিনের কিছু অংশ ব্যাংকে রাখি। পরীক্ষার সময় সেই টাকা তুলে খরচ করেছি। ভালো লাগছে; কারণ, বাবার ওপর চাপ পড়েনি।’
বাংলাদেশ ব্যাংক এখন এই উদ্যোগকে আরও বিস্তৃত করতে মাঠে নেমেছে। চলতি বছরের মার্চে একটি নির্দেশনা জারি করে বলা হয়, প্রতিটি ব্যাংকের শাখা অন্তত একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্কুল ব্যাংকিং চালু করবে। এতে একদিকে শিক্ষার্থীরা ব্যাংকিং জগতে হাতে-কলমে অভিজ্ঞতা পাবে, অন্যদিকে দেশের চার লাখের বেশি স্কুল হয়ে উঠবে আর্থিক শিক্ষার মাঠ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, ‘এই উদ্যোগে সবাই লাভবান হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা সঞ্চয় করছে, অভিভাবকেরা স্বস্তি পাচ্ছেন, ব্যাংকও আমানত বাড়াচ্ছে। সব মিলিয়ে অর্থনীতিতে খুদে শিক্ষার্থীরাও এখন অবদান রাখছে।’

শিক্ষার খরচ মেটাতে কিংবা একটু একটু করে নিজের টাকায় কিছু করার স্বপ্নে খুদে শিক্ষার্থীরা এখন ব্যাংকের সঙ্গী। আগে যেখানে সঞ্চয়ের মানে ছিল মাটির ব্যাংকে কয়েন জমানো, এখন সেটি ডিজিটাল পর্দায় ব্যালেন্স হিসাবে দেখা যায়। দেশের ব্যাংকগুলো এখন শিশু-কিশোরদের সেই হাতেখড়ির জায়গা হয়ে উঠেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যে দেখা যায়, চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত স্কুল ব্যাংকিংয়ের আওতায় হিসাবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৫ লাখ ১৫ হাজার ২৫টি। এর মধ্যে ২৩ লাখ ছেলে, আর ২২ লাখের বেশি মেয়ে শিক্ষার্থীর নামে হিসাব খোলা হয়েছে। গ্রামে এই উদ্যোগের বিস্তার আরও বড়—২৩ লাখ ৯১ হাজার শিক্ষার্থীর হিসাব গ্রামাঞ্চলে, শহরে ২১ লাখ ২৩ হাজার।
এখন পর্যন্ত এসব খুদে সঞ্চয়কারীর ব্যাংকে জমা স্থিতি দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১০৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে শহরের শিক্ষার্থীদের ১ হাজার ৪৪৫ কোটি, গ্রামের শিক্ষার্থীদের ৬৬৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ সংখ্যা অনুযায়ী গ্রাম এগিয়ে থাকলেও সঞ্চয়ের অঙ্কে পিছিয়ে তারা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, এই পুরো উদ্যোগই মূলত আর্থিক অন্তর্ভুক্তির একটি নতুন দরজা খুলে দিয়েছে। করোনাকালে কিছুটা ভাটা পড়লেও এখন আবার উল্টো স্রোত—স্কুল ব্যাংকিং দ্রুত জনপ্রিয় হচ্ছে। এর পেছনে বড় কারণ, ব্যাংকগুলোর ডিজিটাল সেবা। এখন অনেক স্কুলেই ব্যাংক প্রতিনিধি গিয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ সঞ্চয় হিসাব খুলে দেন। তাতে স্কুলের ফি, বৃত্তি বা উপবৃত্তির টাকা সহজে জমা বা উত্তোলন করা যায়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর এ বিষয়ে বলেন, ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতির কোনো জাদুকরি যন্ত্র নেই। প্রত্যেক স্কুলশিক্ষার্থীর ব্যাংক হিসাব নিশ্চিত করা গেলে সেটাই হবে শিক্ষায় অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতি গড়ার ভিত্তি।’
২০১১ সালে মাত্র ১০০ টাকা জমা দিয়ে ১১ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের জন্য শুরু হয় স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রম। সে সময় কয়েকটি ব্যাংকে সীমিতভাবে হিসাব খোলা হতো। এখন দেশের ৬১ ব্যাংকের মধ্যে ৫৯টিতেই রয়েছে স্কুল ব্যাংকিং এবং এর ৭১ শতাংশ হিসাব বেসরকারি ব্যাংকে। শুধু বেসরকারি ব্যাংকগুলোতেই শিক্ষার্থীদের আমানত পৌঁছেছে ১ হাজার ৭২৮ কোটিতে। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর ভাগে এসেছে ৩৮০ কোটি টাকা।
সবচেয়ে সক্রিয় ব্যাংকগুলোর তালিকায় রয়েছে ডাচ্-বাংলা, ইসলামী, অগ্রণী, সোনালী ও রূপালী ব্যাংক। বিশেষ করে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ডিজিটাল স্কুল ব্যাংকিং সেবা সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থীর নাগাল পেয়েছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম বলেন, ‘এই উদ্যোগ শুধু সঞ্চয় নয়, শিক্ষার্থীদের অর্থনীতির ধারায় যুক্ত করছে। এতে অভিভাবকের ওপর চাপ কমে, আর ব্যাংকও দীর্ঘমেয়াদি আমানতের ভিত্তি পায়। এই খুদে আমানতই পরোক্ষভাবে জাতীয় বিনিয়োগের জ্বালানি।’
অন্যদিকে, জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মজিবর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্কুল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে শিশুরা এখন থেকেই টাকা ব্যবস্থাপনার কৌশল শিখছে। এতে সঞ্চয়ের সঙ্গে শিক্ষাবিমা, বৃত্তি গ্রহণ বা স্কুল ফি পরিশোধের সুবিধাও পাচ্ছে তারা।’
মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্র আইমান জানায়, ‘উৎসবে পাওয়া টাকা আর টিফিনের কিছু অংশ ব্যাংকে রাখি। পরীক্ষার সময় সেই টাকা তুলে খরচ করেছি। ভালো লাগছে; কারণ, বাবার ওপর চাপ পড়েনি।’
বাংলাদেশ ব্যাংক এখন এই উদ্যোগকে আরও বিস্তৃত করতে মাঠে নেমেছে। চলতি বছরের মার্চে একটি নির্দেশনা জারি করে বলা হয়, প্রতিটি ব্যাংকের শাখা অন্তত একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্কুল ব্যাংকিং চালু করবে। এতে একদিকে শিক্ষার্থীরা ব্যাংকিং জগতে হাতে-কলমে অভিজ্ঞতা পাবে, অন্যদিকে দেশের চার লাখের বেশি স্কুল হয়ে উঠবে আর্থিক শিক্ষার মাঠ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, ‘এই উদ্যোগে সবাই লাভবান হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা সঞ্চয় করছে, অভিভাবকেরা স্বস্তি পাচ্ছেন, ব্যাংকও আমানত বাড়াচ্ছে। সব মিলিয়ে অর্থনীতিতে খুদে শিক্ষার্থীরাও এখন অবদান রাখছে।’

ভারতে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সম্পদের ওপর কর আরোপের প্রস্তাবের ফলে আম্বানি এবং আদানিরা নিজেদের ঘাঁটি দুবাইয়ের মতো দেশে সরিয়ে নিয়ে যেতে পারে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছেন বিজেপি ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক অর্থনীতিবিদ গৌতম সেন। তিনি ব্যাখ্যা করে আরও বলেছেন, ভারতের আম্বানি, আদানি এবং টাটা দুবাই চলে গেলে ভারতের যথেষ্ট
০৯ মে ২০২৪
সংশ্লিষ্ট ইউনিটগুলোতে সহকারী কমিশনার ও উপকমিশনার পর্যায়ের কর্মকর্তারা প্রভাতি, দিবা ও নৈশ—এই তিন শিফটে দায়িত্ব পালন করবেন। পাশাপাশি, পর্যাপ্ত সংখ্যক রাজস্ব কর্মকর্তা, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা, সাব-ইন্সপেক্টর ও সিপাই নিয়োজিত রেখে শুল্ক কার্যক্রম নির্বিঘ্ন রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
৩২ মিনিট আগে
স্কুল ব্যাংকিং মূলত শিক্ষার্থীদের ছোটবেলা থেকে সঞ্চয়ী করে তোলার একটি উদ্যোগ। এটি প্রথম শুরু হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রে, ১৮৭০ সালের শেষ দিকে। বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে ২০১১ সালে এটি চালু হয়।
৯ ঘণ্টা আগে
চালের দাম কিছুটা কমায় খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে স্বস্তি এসেছে। একই সঙ্গে রিজার্ভ ও আমানত প্রবৃদ্ধি হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) প্রকাশিত অর্থনৈতিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই চিত্র উঠেছে। সংস্থাটির হালনাগাদ ও পূর্বাভাস প্রতিবেদনে দেশের অর্থনীতিতে আগামী...
১০ ঘণ্টা আগেসাক্ষাৎকার: এম. শামসুল আরেফিন
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

আজকের পত্রিকা: স্কুল ব্যাংকিংয়ের অগ্রযাত্রা কীভাবে শুরু হয়?
এম. শামসুল আরেফিন: স্কুল ব্যাংকিং মূলত শিক্ষার্থীদের ছোটবেলা থেকে সঞ্চয়ী করে তোলার একটি উদ্যোগ। এটি প্রথম শুরু হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রে, ১৮৭০ সালের শেষ দিকে। বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে ২০১১ সালে এটি চালু হয়।
আজকের পত্রিকা: স্কুল ব্যাংকিংয়ে এনসিসি ব্যাংকের শেয়ার কত?
এম. শামসুল আরেফিন: চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এনসিসি ব্যাংকে প্রায় ৩০ হাজার স্কুল ব্যাংকিং হিসাব রয়েছে। প্রতিনিয়ত এ সংখ্যা বেড়ে চলেছে।
আজকের পত্রিকা: বয়সের সীমা কি কোনো অন্তরায়?
এম. শামসুল আরেফিন: মোটেও না। এটা বরং বাড়তি সুযোগ। ১৮ বছরের কম বয়সী শিক্ষার্থীরা অভিভাবকদের সহায়তা নিয়ে হিসাব খুলতে পারছে। বড়দের অ্যাকাউন্টে যেসব বাধ্যবাধকতা রয়েছে, তার কোনোটাই এখানে নেই।
আজকের পত্রিকা: স্কুল ব্যাংকিংয়ের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জানতে চাই।
এম. শামসুল আরেফিন: প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি। আর দেশে মোট স্কুল ব্যাংকিং হিসাবের সংখ্যা সব মিলিয়ে ৪৪ লাখের বেশি। স্কুল ব্যাংকিং হিসাবে জমা আছে ২ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর সবই ছোট ছোট পকেটমানি কিংবা নাশতার টাকা কিংবা উপহারের টাকা। এটিএম কার্ড, ইন্টারনেট ব্যাংকিং এবং মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সুবিধা নিয়ে শিক্ষার্থীরা শুধু নিজেদের নয়, দেশের অর্থনীতিতেও সরাসরি ভূমিকা রাখার সুযোগ পাচ্ছে।
আজকের পত্রিকা: শিক্ষার্থীদের জন্য আগামীতে আর কী কী সুবিধা থাকছে?
এম. শামসুল আরেফিন: এনসিসি ব্যাংক ভবিষ্যতে ‘ইয়ংস্টার ম্যাক্সিমাস’ বা শিক্ষার্থীদের স্থায়ী আমানতকে (এফডিআর) আরও নমনীয় ও বৈচিত্র্যময় মেয়াদে রাখার সুযোগ দেবে। এ ছাড়া অ্যাপের মাধ্যমে ঘরে বসেই হিসাব খোলা যাবে।
আজকের পত্রিকা: স্কুল ব্যাংকিং নিয়ে আপনার ভাবনা কী?
এম. শামসুল আরেফিন: স্কুল ব্যাংকিং শুধু আর্থিক পণ্য বা সেবা নয়, এটা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করে তোলার অন্যতম হাতিয়ার। অর্থ ব্যবস্থাপনা, সঞ্চয়, বিনিয়োগ আর আধুনিক ব্যাংকিংয়ে অভ্যস্ততা এই শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ আর্থিক নিরাপত্তা ও সফলতা নিশ্চিত করবে। বাংলাদেশের জন্য একটি টেকসই এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতি নির্মাণে যার কোনো বিকল্প নেই।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, এনসিসি ব্যাংক পিএলসি

আজকের পত্রিকা: স্কুল ব্যাংকিংয়ের অগ্রযাত্রা কীভাবে শুরু হয়?
এম. শামসুল আরেফিন: স্কুল ব্যাংকিং মূলত শিক্ষার্থীদের ছোটবেলা থেকে সঞ্চয়ী করে তোলার একটি উদ্যোগ। এটি প্রথম শুরু হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রে, ১৮৭০ সালের শেষ দিকে। বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে ২০১১ সালে এটি চালু হয়।
আজকের পত্রিকা: স্কুল ব্যাংকিংয়ে এনসিসি ব্যাংকের শেয়ার কত?
এম. শামসুল আরেফিন: চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এনসিসি ব্যাংকে প্রায় ৩০ হাজার স্কুল ব্যাংকিং হিসাব রয়েছে। প্রতিনিয়ত এ সংখ্যা বেড়ে চলেছে।
আজকের পত্রিকা: বয়সের সীমা কি কোনো অন্তরায়?
এম. শামসুল আরেফিন: মোটেও না। এটা বরং বাড়তি সুযোগ। ১৮ বছরের কম বয়সী শিক্ষার্থীরা অভিভাবকদের সহায়তা নিয়ে হিসাব খুলতে পারছে। বড়দের অ্যাকাউন্টে যেসব বাধ্যবাধকতা রয়েছে, তার কোনোটাই এখানে নেই।
আজকের পত্রিকা: স্কুল ব্যাংকিংয়ের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জানতে চাই।
এম. শামসুল আরেফিন: প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি। আর দেশে মোট স্কুল ব্যাংকিং হিসাবের সংখ্যা সব মিলিয়ে ৪৪ লাখের বেশি। স্কুল ব্যাংকিং হিসাবে জমা আছে ২ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর সবই ছোট ছোট পকেটমানি কিংবা নাশতার টাকা কিংবা উপহারের টাকা। এটিএম কার্ড, ইন্টারনেট ব্যাংকিং এবং মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সুবিধা নিয়ে শিক্ষার্থীরা শুধু নিজেদের নয়, দেশের অর্থনীতিতেও সরাসরি ভূমিকা রাখার সুযোগ পাচ্ছে।
আজকের পত্রিকা: শিক্ষার্থীদের জন্য আগামীতে আর কী কী সুবিধা থাকছে?
এম. শামসুল আরেফিন: এনসিসি ব্যাংক ভবিষ্যতে ‘ইয়ংস্টার ম্যাক্সিমাস’ বা শিক্ষার্থীদের স্থায়ী আমানতকে (এফডিআর) আরও নমনীয় ও বৈচিত্র্যময় মেয়াদে রাখার সুযোগ দেবে। এ ছাড়া অ্যাপের মাধ্যমে ঘরে বসেই হিসাব খোলা যাবে।
আজকের পত্রিকা: স্কুল ব্যাংকিং নিয়ে আপনার ভাবনা কী?
এম. শামসুল আরেফিন: স্কুল ব্যাংকিং শুধু আর্থিক পণ্য বা সেবা নয়, এটা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করে তোলার অন্যতম হাতিয়ার। অর্থ ব্যবস্থাপনা, সঞ্চয়, বিনিয়োগ আর আধুনিক ব্যাংকিংয়ে অভ্যস্ততা এই শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ আর্থিক নিরাপত্তা ও সফলতা নিশ্চিত করবে। বাংলাদেশের জন্য একটি টেকসই এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতি নির্মাণে যার কোনো বিকল্প নেই।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, এনসিসি ব্যাংক পিএলসি

ভারতে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সম্পদের ওপর কর আরোপের প্রস্তাবের ফলে আম্বানি এবং আদানিরা নিজেদের ঘাঁটি দুবাইয়ের মতো দেশে সরিয়ে নিয়ে যেতে পারে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছেন বিজেপি ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক অর্থনীতিবিদ গৌতম সেন। তিনি ব্যাখ্যা করে আরও বলেছেন, ভারতের আম্বানি, আদানি এবং টাটা দুবাই চলে গেলে ভারতের যথেষ্ট
০৯ মে ২০২৪
সংশ্লিষ্ট ইউনিটগুলোতে সহকারী কমিশনার ও উপকমিশনার পর্যায়ের কর্মকর্তারা প্রভাতি, দিবা ও নৈশ—এই তিন শিফটে দায়িত্ব পালন করবেন। পাশাপাশি, পর্যাপ্ত সংখ্যক রাজস্ব কর্মকর্তা, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা, সাব-ইন্সপেক্টর ও সিপাই নিয়োজিত রেখে শুল্ক কার্যক্রম নির্বিঘ্ন রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
৩২ মিনিট আগে
শিক্ষার খরচ মেটাতে কিংবা একটু একটু করে নিজের টাকায় কিছু করার স্বপ্নে খুদে শিক্ষার্থীরা এখন ব্যাংকের সঙ্গী। আগে যেখানে সঞ্চয়ের মানে ছিল মাটির ব্যাংকে কয়েন জমানো, এখন সেটি ডিজিটাল পর্দায় ব্যালেন্স হিসাবে দেখা যায়। দেশের ব্যাংকগুলো এখন শিশু-কিশোরদের সেই হাতেখড়ির জায়গা হয়ে উঠেছে।
৯ ঘণ্টা আগে
চালের দাম কিছুটা কমায় খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে স্বস্তি এসেছে। একই সঙ্গে রিজার্ভ ও আমানত প্রবৃদ্ধি হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) প্রকাশিত অর্থনৈতিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই চিত্র উঠেছে। সংস্থাটির হালনাগাদ ও পূর্বাভাস প্রতিবেদনে দেশের অর্থনীতিতে আগামী...
১০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

চালের দাম কিছুটা কমায় খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে স্বস্তি এসেছে। একই সঙ্গে রিজার্ভ ও আমানত প্রবৃদ্ধি হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) প্রকাশিত অর্থনৈতিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই চিত্র উঠেছে। সংস্থাটির হালনাগাদ ও পূর্বাভাস প্রতিবেদনে দেশের অর্থনীতিতে আগামী মাসগুলোর জন্য সতর্ক আশাবাদের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
জিইডির বিশ্লেষণে বলা হয়, জাতীয় সঞ্চয়পত্রে সুদের হার কমানো, ই-মানি ও এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ডিজিটাল আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধি এবং সরকারি অর্থ ব্যাংকের মাধ্যমে বিতরণের মতো পদক্ষেপ আমানত বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে। প্রবাসী আয়ও এই প্রবণতাকে জোরদার করেছে। আগামী জাতীয় নির্বাচন ঘিরে অর্থনৈতিক কার্যক্রম সাময়িকভাবে বাড়বে, যা বিনিয়োগকারীদের মনোভাবেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতি সামান্য বেড়ে ৮ দশমিক ৩৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা আগস্টে ছিল ৮ দশমিক ২৯ শতাংশ। খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত উভয় খাতেই সামান্য বৃদ্ধি দেখা গেছে। ২০২২ সালের আগস্ট থেকে গড় মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৫৬ শতাংশে স্থির রয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে তেলের দাম ৫০ শতাংশের বেশি বাড়ায় মূল্যস্ফীতির ওপর দীর্ঘস্থায়ী চাপ তৈরি হয়েছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, চালের দাম কিছুটা কমায় খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে স্বস্তি এসেছে। আগস্টে যেখানে চালের অবদান ছিল ৪৮ দশমিক ৩৭ শতাংশ, সেপ্টেম্বরে তা কমে ৪৫ শতাংশে নেমেছে। সেপ্টেম্বরে সব ধরনের চালের দাম গড়ে প্রায় ১ শতাংশ কমেছে। আলু ও পেঁয়াজের দাম কমায় সাধারণ ভোক্তা কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে।
এদিকে খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার অক্টোবরের শুরুতে ভারতের কাছ থেকে ৫০ হাজার টন চাল এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২ লাখ ২০ হাজার টন গম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে। নভেম্বরে আরও ৪ লাখ টন খাদ্যশস্য আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। বর্তমানে সরকারি গুদামে খাদ্যশস্যের মজুত ১৫ লাখ ৫ হাজার টন, যা গত বছরের তুলনায় ২৪ শতাংশ বেশি।
রিজার্ভে উন্নতি, রপ্তানিতে সাময়িক ধাক্কা
দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীলভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। মার্চের ২৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার থেকে সেপ্টেম্বরে বেড়ে ৩১ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। বিএমপি-৬ মানদণ্ডে রিজার্ভ ২০ দশমিক ৪ বিলিয়ন থেকে বেড়ে ২৬ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। তবে সেপ্টেম্বরে রপ্তানি আয় কিছুটা কমে ৩ দশমিক ৬৩ বিলিয়ন ডলারে হয়েছে। আগস্টে ছিল রপ্তানি আয় ছিল ৩ দশমিক ৯২ বিলিয়ন ও জুলাইয়ে ৪ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার। মৌসুমি প্রভাব ও তৈরি পোশাক রপ্তানি হ্রাসই এর প্রধান কারণ। তবে পাটজাত পণ্য, চামড়া ও হালকা প্রকৌশল পণ্যের রপ্তানি স্থিতিশীল রয়েছে।
চলতি বছরের জুলাই-আগস্টে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ৫৪ হাজার ৪২৩ কোটি টাকা রাজস্ব সংগ্রহ করেছে, যা আগের বছরের তুলনায় ২১ শতাংশ বেশি। ভ্যাট আদায় বেড়েছে ৩৩ দশমিক ৮ শতাংশ এবং আয়কর ২৪ শতাংশ।

চালের দাম কিছুটা কমায় খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে স্বস্তি এসেছে। একই সঙ্গে রিজার্ভ ও আমানত প্রবৃদ্ধি হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) প্রকাশিত অর্থনৈতিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই চিত্র উঠেছে। সংস্থাটির হালনাগাদ ও পূর্বাভাস প্রতিবেদনে দেশের অর্থনীতিতে আগামী মাসগুলোর জন্য সতর্ক আশাবাদের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
জিইডির বিশ্লেষণে বলা হয়, জাতীয় সঞ্চয়পত্রে সুদের হার কমানো, ই-মানি ও এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ডিজিটাল আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধি এবং সরকারি অর্থ ব্যাংকের মাধ্যমে বিতরণের মতো পদক্ষেপ আমানত বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে। প্রবাসী আয়ও এই প্রবণতাকে জোরদার করেছে। আগামী জাতীয় নির্বাচন ঘিরে অর্থনৈতিক কার্যক্রম সাময়িকভাবে বাড়বে, যা বিনিয়োগকারীদের মনোভাবেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতি সামান্য বেড়ে ৮ দশমিক ৩৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা আগস্টে ছিল ৮ দশমিক ২৯ শতাংশ। খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত উভয় খাতেই সামান্য বৃদ্ধি দেখা গেছে। ২০২২ সালের আগস্ট থেকে গড় মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৫৬ শতাংশে স্থির রয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে তেলের দাম ৫০ শতাংশের বেশি বাড়ায় মূল্যস্ফীতির ওপর দীর্ঘস্থায়ী চাপ তৈরি হয়েছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, চালের দাম কিছুটা কমায় খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে স্বস্তি এসেছে। আগস্টে যেখানে চালের অবদান ছিল ৪৮ দশমিক ৩৭ শতাংশ, সেপ্টেম্বরে তা কমে ৪৫ শতাংশে নেমেছে। সেপ্টেম্বরে সব ধরনের চালের দাম গড়ে প্রায় ১ শতাংশ কমেছে। আলু ও পেঁয়াজের দাম কমায় সাধারণ ভোক্তা কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে।
এদিকে খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার অক্টোবরের শুরুতে ভারতের কাছ থেকে ৫০ হাজার টন চাল এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২ লাখ ২০ হাজার টন গম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে। নভেম্বরে আরও ৪ লাখ টন খাদ্যশস্য আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। বর্তমানে সরকারি গুদামে খাদ্যশস্যের মজুত ১৫ লাখ ৫ হাজার টন, যা গত বছরের তুলনায় ২৪ শতাংশ বেশি।
রিজার্ভে উন্নতি, রপ্তানিতে সাময়িক ধাক্কা
দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীলভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। মার্চের ২৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার থেকে সেপ্টেম্বরে বেড়ে ৩১ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। বিএমপি-৬ মানদণ্ডে রিজার্ভ ২০ দশমিক ৪ বিলিয়ন থেকে বেড়ে ২৬ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। তবে সেপ্টেম্বরে রপ্তানি আয় কিছুটা কমে ৩ দশমিক ৬৩ বিলিয়ন ডলারে হয়েছে। আগস্টে ছিল রপ্তানি আয় ছিল ৩ দশমিক ৯২ বিলিয়ন ও জুলাইয়ে ৪ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার। মৌসুমি প্রভাব ও তৈরি পোশাক রপ্তানি হ্রাসই এর প্রধান কারণ। তবে পাটজাত পণ্য, চামড়া ও হালকা প্রকৌশল পণ্যের রপ্তানি স্থিতিশীল রয়েছে।
চলতি বছরের জুলাই-আগস্টে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ৫৪ হাজার ৪২৩ কোটি টাকা রাজস্ব সংগ্রহ করেছে, যা আগের বছরের তুলনায় ২১ শতাংশ বেশি। ভ্যাট আদায় বেড়েছে ৩৩ দশমিক ৮ শতাংশ এবং আয়কর ২৪ শতাংশ।

ভারতে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সম্পদের ওপর কর আরোপের প্রস্তাবের ফলে আম্বানি এবং আদানিরা নিজেদের ঘাঁটি দুবাইয়ের মতো দেশে সরিয়ে নিয়ে যেতে পারে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছেন বিজেপি ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক অর্থনীতিবিদ গৌতম সেন। তিনি ব্যাখ্যা করে আরও বলেছেন, ভারতের আম্বানি, আদানি এবং টাটা দুবাই চলে গেলে ভারতের যথেষ্ট
০৯ মে ২০২৪
সংশ্লিষ্ট ইউনিটগুলোতে সহকারী কমিশনার ও উপকমিশনার পর্যায়ের কর্মকর্তারা প্রভাতি, দিবা ও নৈশ—এই তিন শিফটে দায়িত্ব পালন করবেন। পাশাপাশি, পর্যাপ্ত সংখ্যক রাজস্ব কর্মকর্তা, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা, সাব-ইন্সপেক্টর ও সিপাই নিয়োজিত রেখে শুল্ক কার্যক্রম নির্বিঘ্ন রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
৩২ মিনিট আগে
শিক্ষার খরচ মেটাতে কিংবা একটু একটু করে নিজের টাকায় কিছু করার স্বপ্নে খুদে শিক্ষার্থীরা এখন ব্যাংকের সঙ্গী। আগে যেখানে সঞ্চয়ের মানে ছিল মাটির ব্যাংকে কয়েন জমানো, এখন সেটি ডিজিটাল পর্দায় ব্যালেন্স হিসাবে দেখা যায়। দেশের ব্যাংকগুলো এখন শিশু-কিশোরদের সেই হাতেখড়ির জায়গা হয়ে উঠেছে।
৯ ঘণ্টা আগে
স্কুল ব্যাংকিং মূলত শিক্ষার্থীদের ছোটবেলা থেকে সঞ্চয়ী করে তোলার একটি উদ্যোগ। এটি প্রথম শুরু হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রে, ১৮৭০ সালের শেষ দিকে। বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে ২০১১ সালে এটি চালু হয়।
৯ ঘণ্টা আগে