নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশে আর্থিক খাতে অনিয়ম ও দুর্নীতির উদ্বেগজনক বিস্তারের মধ্যে সমাজে আয়বৈষম্য ব্যাপক বেড়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের উচ্চমূল্যের সঙ্গে তাল মেলাতে পারছে না স্বল্প আয়ের মানুষ। এমন পরিস্থিতিতেও দেশে গত পাঁচ বছরে ৩০ হাজারের বেশি নতুন কোটিপতি তৈরি হয়েছে। দেশের ব্যাংকগুলোতে রাখা আমানতের প্রায় অর্ধেক কোটিপতিদের। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
হালনাগাদ তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ব্যাংক খাতে মোট ১৪ কোটি ৯৭ লাখ ৭০ হাজার ৬৮৪ অ্যাকাউন্টে মোট জমার পরিমাণ ১৭ লাখ ১৩ হাজার ১৩৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১ কোটি টাকার বেশি আমানত আছে—এমন অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ১ লাখ ১৪ হাজার ৫৫। এসব হিসাবে জমা আছে ৭ লাখ ২৭ হাজার ১৩১ কোটি টাকা। অর্থাৎ, দেশের ব্যাংকিং খাতের মোট আমানতের মধ্যে প্রায় ৪৮ দশমিক ৩৮ শতাংশ দখলে রেখেছেন কোটিপতিরা।
এ বিষয়ে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর আজকের পত্রিকাকে বলেন, অর্থনীতির নানা সংকটের মধ্যে আমানতের প্রবৃদ্ধি অনেকটাই বাধাগ্রস্ত। তবু কোটিপতির সংখ্যা বেড়েই চলছে। অন্যদিকে সংকটে উৎপাদন কমে যাওয়ায় বেকারত্ব বেড়েছে। এর নেতিবাচক প্রভাব অর্থনীতির স্বাভাবিক গতিকে বাধাগ্রস্ত করেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১ কোটি ১ টাকা থেকে শুরু করে ৫ কোটি টাকার আমানতের হিসাব দাঁড়িয়েছে ৮৯ হাজার ৭৬০টি। আমানত ১ লাখ ৮৭ হাজার ৩২৭ কোটি টাকা। ৫ কোটি ১ টাকা থেকে ১০ কোটির ১২ হাজার ২২১টি হিসাবে সঞ্চয় ৮৬ হাজার ৩১২ কোটি টাকা।
এ ছাড়া ১০ কোটি থেকে ১৫ কোটি টাকার হিসাবের সংখ্যা ৪ হাজার ৭৪; ১৫ কোটি থেকে ২০ কোটির মধ্যে ১ হাজার ৯৬৮; ২০ কোটি থেকে ২৫ কোটির মধ্যে ১ হাজার ২৭৪ এবং ২৫ কোটি থেকে ৩০ কোটির মধ্যে ৯১৯টি আমানতকারীর হিসাব। ৩০ কোটি থেকে ৩৫ কোটি টাকার মধ্যে ৫১২টি এবং ৩৫ কোটি থেকে ৪০ কোটির মধ্যে রয়েছে ৩৪৩টি, ৪০ কোটি থেকে ৫০ কোটি টাকার হিসাব সংখ্যা ৭৪৭টি। তা ছাড়া ৫০ কোটি টাকার বেশি আমানত রাখা হিসাবের সংখ্যা ১ হাজার ৭৭৮।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘একদিকে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বাড়ছে, অন্যদিকে বাড়ছে কোটিপতির সংখ্যা। এর মানে হলো, দেশে আয়বৈষম্য সৃষ্টি হচ্ছে। এটি ভালো লক্ষণ নয়। এই বৈষম্য না কমলে অর্থনীতির গতি বাধাগ্রস্ত হবে।’
সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান মনে করেন, ব্যাংকিং খাতে অনিয়ম, কর ফাঁকি ও অর্থ পাচার উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় সমাজে আয়বৈষম্য বেড়েছে। এসব দুর্নীতির কারণে সমাজের একটি বড় অংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
বাংলাদেশে আর্থিক খাতে অনিয়ম ও দুর্নীতির উদ্বেগজনক বিস্তারের মধ্যে সমাজে আয়বৈষম্য ব্যাপক বেড়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের উচ্চমূল্যের সঙ্গে তাল মেলাতে পারছে না স্বল্প আয়ের মানুষ। এমন পরিস্থিতিতেও দেশে গত পাঁচ বছরে ৩০ হাজারের বেশি নতুন কোটিপতি তৈরি হয়েছে। দেশের ব্যাংকগুলোতে রাখা আমানতের প্রায় অর্ধেক কোটিপতিদের। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
হালনাগাদ তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ব্যাংক খাতে মোট ১৪ কোটি ৯৭ লাখ ৭০ হাজার ৬৮৪ অ্যাকাউন্টে মোট জমার পরিমাণ ১৭ লাখ ১৩ হাজার ১৩৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১ কোটি টাকার বেশি আমানত আছে—এমন অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ১ লাখ ১৪ হাজার ৫৫। এসব হিসাবে জমা আছে ৭ লাখ ২৭ হাজার ১৩১ কোটি টাকা। অর্থাৎ, দেশের ব্যাংকিং খাতের মোট আমানতের মধ্যে প্রায় ৪৮ দশমিক ৩৮ শতাংশ দখলে রেখেছেন কোটিপতিরা।
এ বিষয়ে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর আজকের পত্রিকাকে বলেন, অর্থনীতির নানা সংকটের মধ্যে আমানতের প্রবৃদ্ধি অনেকটাই বাধাগ্রস্ত। তবু কোটিপতির সংখ্যা বেড়েই চলছে। অন্যদিকে সংকটে উৎপাদন কমে যাওয়ায় বেকারত্ব বেড়েছে। এর নেতিবাচক প্রভাব অর্থনীতির স্বাভাবিক গতিকে বাধাগ্রস্ত করেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১ কোটি ১ টাকা থেকে শুরু করে ৫ কোটি টাকার আমানতের হিসাব দাঁড়িয়েছে ৮৯ হাজার ৭৬০টি। আমানত ১ লাখ ৮৭ হাজার ৩২৭ কোটি টাকা। ৫ কোটি ১ টাকা থেকে ১০ কোটির ১২ হাজার ২২১টি হিসাবে সঞ্চয় ৮৬ হাজার ৩১২ কোটি টাকা।
এ ছাড়া ১০ কোটি থেকে ১৫ কোটি টাকার হিসাবের সংখ্যা ৪ হাজার ৭৪; ১৫ কোটি থেকে ২০ কোটির মধ্যে ১ হাজার ৯৬৮; ২০ কোটি থেকে ২৫ কোটির মধ্যে ১ হাজার ২৭৪ এবং ২৫ কোটি থেকে ৩০ কোটির মধ্যে ৯১৯টি আমানতকারীর হিসাব। ৩০ কোটি থেকে ৩৫ কোটি টাকার মধ্যে ৫১২টি এবং ৩৫ কোটি থেকে ৪০ কোটির মধ্যে রয়েছে ৩৪৩টি, ৪০ কোটি থেকে ৫০ কোটি টাকার হিসাব সংখ্যা ৭৪৭টি। তা ছাড়া ৫০ কোটি টাকার বেশি আমানত রাখা হিসাবের সংখ্যা ১ হাজার ৭৭৮।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘একদিকে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বাড়ছে, অন্যদিকে বাড়ছে কোটিপতির সংখ্যা। এর মানে হলো, দেশে আয়বৈষম্য সৃষ্টি হচ্ছে। এটি ভালো লক্ষণ নয়। এই বৈষম্য না কমলে অর্থনীতির গতি বাধাগ্রস্ত হবে।’
সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান মনে করেন, ব্যাংকিং খাতে অনিয়ম, কর ফাঁকি ও অর্থ পাচার উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় সমাজে আয়বৈষম্য বেড়েছে। এসব দুর্নীতির কারণে সমাজের একটি বড় অংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
রাফায়েল গ্যালার্দো বলেন, ‘আমেরিকা এখন বিনিয়োগের জন্য নিরাপদ নয়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নতুন কর নীতি বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীদের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করেছে।’
৭ ঘণ্টা আগেভারতের তৈরি পোশাক শিল্প বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার সুযোগ কাজে লাগিয়ে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে নিজেদের অবস্থান জোরদার করছে। শুল্কমুক্ত বা স্বল্প শুল্ক সুবিধা, উৎপাদন দক্ষতা ও সরকারের সহায়তায় ভারতীয় গার্মেন্টস শিল্প দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে, যার নেতৃত্বে রয়েছে
৮ ঘণ্টা আগেদায়িত্ব নেওয়ার আট মাস পূর্তিতে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন ‘আমাদের আমলনামা’ শিরোনামে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন।
১ দিন আগেট্রাম্পের প্রস্তাব অনুযায়ী, গ্রিন কার্ডধারী ও অস্থায়ী ভিসাধারী— যেমন; এইচ-ওয়ান বি কর্মীদের পাঠানো অর্থেও এই কর আরোপিত হবে। বিশ্বে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স পাওয়া দেশ ভারত। তাই এর প্রভাব ভারতের জন্য হবে ব্যাপক, বলছেন বিশ্লেষকেরা। অন্যান্য বড় রেমিট্যান্স নির্ভর দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে— মেক্সিকো, চীন
১ দিন আগে