স্কুল ব্যাংকিং
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রমকে আরও বিস্তৃত ও কার্যকর করতে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। শিক্ষার্থীদের আর্থিক অন্তর্ভুক্তির আওতায় আনতে এবং তাদের অর্থ ব্যবস্থাপনায় দক্ষ করে তুলতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এতে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন আর্থিক সেবার সঙ্গে পরিচিত করানো এবং তাদের আর্থিক অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মকাণ্ডে অধিকতর সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রতিটি তফসিলি ব্যাংকের শাখার নিকটবর্তী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহকে স্কুল ব্যাংকিং সেবার আওতায় আনয়নের নীতি গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংককে তাদের প্রতিটি শাখার নিকটবর্তী কমপক্ষে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্কুল ব্যাংকিং সেবাসংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশনা প্রদান করা হলো। এ নীতির আওতায় কিছু নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে।
এদিকে, বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ডিসেম্বরে শিক্ষার্থীদের মোট ব্যাংক হিসাবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৩ লাখ ৮০ হাজার ১৫৯টি, যা তার আগের মাস নভেম্বরে ছিল ৪৩ লাখ ৪২ হাজার ২৫৯। ফলে এক মাসের ব্যবধানে ৩৭ হাজার ৯০০টি নতুন হিসাব খোলা হয়েছে। এর মধ্যে ছেলেদের হিসাবের সংখ্যা ২২ লাখ ৩২ হাজার ৬৭২, যা নভেম্বরের তুলনায় ২৬ হাজার ৬৮৮টি বেশি। অন্যদিকে মেয়েদের হিসাবের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১ লাখ ৪৭ হাজার ৮৮৭, যা আগের মাসের তুলনায় ১১ হাজার ২১২টি বেশি।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, প্রতিটি তফসিলি ব্যাংকের নিকটবর্তী অন্তত একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু করতে হবে। প্রতিটি জেলা, উপজেলা বা ইউনিয়ন পর্যায়ে একটি করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্বাচনপূর্বক সংশ্লিষ্ট ব্যাংক শাখাগুলোকে কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। শিক্ষার্থীরা যাতে নিকটবর্তী ব্যাংক শাখা থেকে সরাসরি ব্যাংকিং সেবা গ্রহণ করতে পারে, সে ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। হিসাব খোলা ও পরিচালনা, আর্থিক শিক্ষা, সচেতনতা বৃদ্ধি এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতা উন্নয়নে ব্যাংকগুলোকে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। প্রতিটি ব্যাংক শাখা স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রমের তথ্য ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট অফিসে প্রতিবেদন আকারে দাখিল করবে। স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রমের অগ্রগতি (ব্যাংক শাখা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা, শিক্ষার্থী হিসাবের সংখ্যা, লেনদেনের পরিমাণ এবং আর্থিক শিক্ষা কার্যক্রমের বিবরণসহ) সম্পর্কে ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারির এফআইডি সার্কুলার অনুযায়ী ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন ডিপার্টমেন্টে প্রতিবেদন দাখিলসহ অন্যান্য নির্দেশনাগুলো অপরিবর্তিত থাকবে।
শিক্ষার্থীদের অর্থ ব্যবস্থাপনায় সচেতন ও দক্ষ করে তুলতে ২০১০ সালে স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য শিক্ষার্থীদের সঞ্চয়ের অভ্যাস গড়ে তোলা এবং আর্থিক ব্যবস্থাপনার প্রতি আগ্রহী করা। ২০১১ সালে শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যাংক হিসাব খোলার সুযোগ দেওয়া হয় এবং প্রথম বছরে ২৯ হাজার ৮০টি হিসাব খোলা হয়। ২০১২ সালের ডিসেম্বর নাগাদ হিসাবের সংখ্যা ১ লাখ ৩২ হাজার ৫৩৭-এ পৌঁছে।
বর্তমানে ৫৯টি ব্যাংক স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ১১ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীরা এ ধরনের হিসাব খুলতে পারে। এসব অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সুবিধা পায়, যেমন—সব ধরনের ফি ও চার্জের ক্ষেত্রে রেয়াত পাওয়া, বিনা মূল্যে ইন্টারনেট ব্যাংকিং সুবিধা পাওয়া, ন্যূনতম স্থিতির বাধ্যবাধকতার ক্ষেত্রে ছাড় ও স্বল্প খরচে ডেবিট কার্ড পাওয়ার সুযোগ। শুধু ১০০ টাকা জমা রেখেই শিক্ষার্থীরা তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে। নতুন নির্দেশনার ফলে স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রম আরও সম্প্রসারিত হবে এবং শিক্ষার্থীদের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত হবে।
স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রমকে আরও বিস্তৃত ও কার্যকর করতে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। শিক্ষার্থীদের আর্থিক অন্তর্ভুক্তির আওতায় আনতে এবং তাদের অর্থ ব্যবস্থাপনায় দক্ষ করে তুলতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এতে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন আর্থিক সেবার সঙ্গে পরিচিত করানো এবং তাদের আর্থিক অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মকাণ্ডে অধিকতর সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রতিটি তফসিলি ব্যাংকের শাখার নিকটবর্তী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহকে স্কুল ব্যাংকিং সেবার আওতায় আনয়নের নীতি গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংককে তাদের প্রতিটি শাখার নিকটবর্তী কমপক্ষে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্কুল ব্যাংকিং সেবাসংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশনা প্রদান করা হলো। এ নীতির আওতায় কিছু নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে।
এদিকে, বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ডিসেম্বরে শিক্ষার্থীদের মোট ব্যাংক হিসাবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৩ লাখ ৮০ হাজার ১৫৯টি, যা তার আগের মাস নভেম্বরে ছিল ৪৩ লাখ ৪২ হাজার ২৫৯। ফলে এক মাসের ব্যবধানে ৩৭ হাজার ৯০০টি নতুন হিসাব খোলা হয়েছে। এর মধ্যে ছেলেদের হিসাবের সংখ্যা ২২ লাখ ৩২ হাজার ৬৭২, যা নভেম্বরের তুলনায় ২৬ হাজার ৬৮৮টি বেশি। অন্যদিকে মেয়েদের হিসাবের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১ লাখ ৪৭ হাজার ৮৮৭, যা আগের মাসের তুলনায় ১১ হাজার ২১২টি বেশি।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, প্রতিটি তফসিলি ব্যাংকের নিকটবর্তী অন্তত একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু করতে হবে। প্রতিটি জেলা, উপজেলা বা ইউনিয়ন পর্যায়ে একটি করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্বাচনপূর্বক সংশ্লিষ্ট ব্যাংক শাখাগুলোকে কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। শিক্ষার্থীরা যাতে নিকটবর্তী ব্যাংক শাখা থেকে সরাসরি ব্যাংকিং সেবা গ্রহণ করতে পারে, সে ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। হিসাব খোলা ও পরিচালনা, আর্থিক শিক্ষা, সচেতনতা বৃদ্ধি এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতা উন্নয়নে ব্যাংকগুলোকে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। প্রতিটি ব্যাংক শাখা স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রমের তথ্য ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট অফিসে প্রতিবেদন আকারে দাখিল করবে। স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রমের অগ্রগতি (ব্যাংক শাখা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা, শিক্ষার্থী হিসাবের সংখ্যা, লেনদেনের পরিমাণ এবং আর্থিক শিক্ষা কার্যক্রমের বিবরণসহ) সম্পর্কে ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারির এফআইডি সার্কুলার অনুযায়ী ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন ডিপার্টমেন্টে প্রতিবেদন দাখিলসহ অন্যান্য নির্দেশনাগুলো অপরিবর্তিত থাকবে।
শিক্ষার্থীদের অর্থ ব্যবস্থাপনায় সচেতন ও দক্ষ করে তুলতে ২০১০ সালে স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য শিক্ষার্থীদের সঞ্চয়ের অভ্যাস গড়ে তোলা এবং আর্থিক ব্যবস্থাপনার প্রতি আগ্রহী করা। ২০১১ সালে শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যাংক হিসাব খোলার সুযোগ দেওয়া হয় এবং প্রথম বছরে ২৯ হাজার ৮০টি হিসাব খোলা হয়। ২০১২ সালের ডিসেম্বর নাগাদ হিসাবের সংখ্যা ১ লাখ ৩২ হাজার ৫৩৭-এ পৌঁছে।
বর্তমানে ৫৯টি ব্যাংক স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ১১ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীরা এ ধরনের হিসাব খুলতে পারে। এসব অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সুবিধা পায়, যেমন—সব ধরনের ফি ও চার্জের ক্ষেত্রে রেয়াত পাওয়া, বিনা মূল্যে ইন্টারনেট ব্যাংকিং সুবিধা পাওয়া, ন্যূনতম স্থিতির বাধ্যবাধকতার ক্ষেত্রে ছাড় ও স্বল্প খরচে ডেবিট কার্ড পাওয়ার সুযোগ। শুধু ১০০ টাকা জমা রেখেই শিক্ষার্থীরা তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে। নতুন নির্দেশনার ফলে স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রম আরও সম্প্রসারিত হবে এবং শিক্ষার্থীদের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত হবে।
বাজারে চালের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়াচ্ছে। যদিও সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে চালের ব্যাপক আমদানি হচ্ছে এবং এতে সরকারি গুদামে মজুত আগের তুলনায় অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে, কিন্তু বাজারে এর কোনো প্রভাবই পড়ছে না। কমছে না চালের দাম। বরং গত কয়েক সপ্তাহে কিছু চালের দাম কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা
৪ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত মানসুর চাভোশি বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। আজ রোববার সচিবালয়ে এ সাক্ষাৎকালে তাঁরা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়ন এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির সম্ভাবনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
৪ ঘণ্টা আগেদেশের বাজারে সোনার দাম প্রতি ভরি এবার বাড়ল ২ হাজার ৬১৩ টাকা। এতে ভালো মানের এক ভরি সোনার দাম দাঁড়াবে ১ লাখ ৫৩ হাজার টাকা। নতুন এই দর কাল সোমবার থেকে কার্যকর হবে।
৫ ঘণ্টা আগেমুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় চলছে আলু উত্তোলনের ব্যস্ততম মৌসুম। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের প্রায় ১০-১২ হাজার কৃষক মাঠে পরিশ্রম করছেন। এ বছর পচা ও দাউদের পরিমাণ কম থাকলেও আলুর আকার ছোট হওয়ায় কৃষকেরা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
৫ ঘণ্টা আগে