অনলাইন ডেস্ক
সরকার ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে জনবান্ধব নীতি গ্রহণের অংশ হিসেবে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের শুল্ক-কর হ্রাস, শিল্প খাতে সহায়তা, ওষুধ শিল্পে প্রণোদনা, কৃষি খাতের উন্নয়ন এবং পরিবহন খাতে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাব করেছে। একই সঙ্গে বন্ড ব্যবস্থাপনাকে আধুনিকীকরণের মাধ্যমে ব্যবসার পরিবেশ সহজ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের শুল্ক-কর হ্রাস
পেট্রোলিয়ামজাত পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে অপরিশোধিত এবং পরিশোধিত উভয় ধরনের পেট্রোলিয়াম আমদানিতে শুল্ক-কর হার হ্রাস এবং এসব পণ্যের ট্যারিফ মূল্য প্রত্যাহারের প্রস্তাব করা হয়েছে। এর ফলে জ্বালানি তেলের দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এ ছাড়া, পরিশোধিত চিনির আমদানি শুল্ক কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে, যা নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যের মূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে সাহায্য করবে।
শিল্প খাতের সুরক্ষা ও সম্প্রসারণে নতুন উদ্যোগ
শিল্প খাতে প্রণোদনা প্রদানের অংশ হিসেবে বিভিন্ন পণ্য উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল আমদানিতে বিদ্যমান শুল্ক হার কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এটি দেশীয় শিল্প উৎপাদনকে উৎসাহিত করবে বলে আশা করছে সরকার। একই সঙ্গে, স্থানীয় শিল্পের সুরক্ষায় ক্লোরিনেটেড প্যারাফিন ওয়াক্স, সিল্ড ব্যাটারি, পলিয়েস্টার স্ট্যাপল ফাইবার, ব্যাটারির সেপারেটর, লিফট-এর যন্ত্রাংশ এবং এলইডি বাতির যন্ত্রাংশসহ কতিপয় পণ্যের আমদানি শুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। এটি বিদেশি পণ্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় দেশীয় শিল্পকে একটি শক্তিশালী অবস্থান দেবে বলে আশা করছেন অর্থ উপদেষ্টা।
ওষুধ শিল্পে শুল্ক-কর অব্যাহতি সম্প্রসারণ
স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে সরকার ওষুধ শিল্পকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। ক্যানসার প্রতিরোধক ওষুধসহ সকল ধরনের ওষুধ শিল্পের কাঁচামাল আমদানি এবং এপিআই (API-Active Pharmaceutical Ingredient) তৈরির কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক-কর অব্যাহতি সুবিধা সম্প্রসারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। এই পদক্ষেপ দেশের ওষুধ উৎপাদনকে আরও সহজ ও সাশ্রয়ী করবে।
কৃষি খাতের আধুনিকীকরণ ও যান্ত্রিকীকরণ
কৃষি খাতকে আরও শক্তিশালী করতে কোল্ড স্টোরেজ স্থাপনে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি আমদানিতে রেয়াতি সুবিধা প্রদান করে একটি নতুন প্রজ্ঞাপন জারির প্রস্তাব করা হয়েছে। এটি কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য সংরক্ষণে এবং ক্ষতির পরিমাণ কমাতে সাহায্য করবে। এ ছাড়া, স্থানীয়ভাবে কৃষি যন্ত্রপাতি উৎপাদনকে উৎসাহিত করতে কম্বাইন্ড হারভেস্টর তৈরির যন্ত্রাংশ আমদানিতে বিদ্যমান শুল্ক কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
পরিবহন খাতে সাশ্রয়
পরিবহন খাতের উন্নয়নেও সরকার গুরুত্বারোপ করেছে। টায়ার উৎপাদনে ব্যবহার্য উপকরণের শুল্ক কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে, যা টায়ার উৎপাদন খরচ কমিয়ে পরিবহন ব্যয়কে প্রভাবিত করতে পারে। এ ছাড়া, ১৬-৪০ আসন বিশিষ্ট বাস এবং ১০-১৫ আসন বিশিষ্ট মাইক্রোবাসের শুল্ক-কর হ্রাসের প্রস্তাব করা হয়েছে।
বন্ড ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন: ব্যবসা-বাণিজ্যে সহজীকরণ
বন্ড ব্যবস্থাকে সহজীকরণ ও ব্যবসাবান্ধব করার উদ্দেশ্যে ‘সেন্ট্রাল বন্ডেড ওয়্যারহাউস’ এবং ‘ফ্রি জোন বন্ডেড ওয়্যারহাউস’ ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়েছে। এই আধুনিকীকরণ দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিবেশকে আরও উন্নত করবে এবং বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করবে বলে আশা করছে সরকার।
সরকার ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে জনবান্ধব নীতি গ্রহণের অংশ হিসেবে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের শুল্ক-কর হ্রাস, শিল্প খাতে সহায়তা, ওষুধ শিল্পে প্রণোদনা, কৃষি খাতের উন্নয়ন এবং পরিবহন খাতে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাব করেছে। একই সঙ্গে বন্ড ব্যবস্থাপনাকে আধুনিকীকরণের মাধ্যমে ব্যবসার পরিবেশ সহজ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের শুল্ক-কর হ্রাস
পেট্রোলিয়ামজাত পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে অপরিশোধিত এবং পরিশোধিত উভয় ধরনের পেট্রোলিয়াম আমদানিতে শুল্ক-কর হার হ্রাস এবং এসব পণ্যের ট্যারিফ মূল্য প্রত্যাহারের প্রস্তাব করা হয়েছে। এর ফলে জ্বালানি তেলের দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এ ছাড়া, পরিশোধিত চিনির আমদানি শুল্ক কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে, যা নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যের মূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে সাহায্য করবে।
শিল্প খাতের সুরক্ষা ও সম্প্রসারণে নতুন উদ্যোগ
শিল্প খাতে প্রণোদনা প্রদানের অংশ হিসেবে বিভিন্ন পণ্য উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল আমদানিতে বিদ্যমান শুল্ক হার কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এটি দেশীয় শিল্প উৎপাদনকে উৎসাহিত করবে বলে আশা করছে সরকার। একই সঙ্গে, স্থানীয় শিল্পের সুরক্ষায় ক্লোরিনেটেড প্যারাফিন ওয়াক্স, সিল্ড ব্যাটারি, পলিয়েস্টার স্ট্যাপল ফাইবার, ব্যাটারির সেপারেটর, লিফট-এর যন্ত্রাংশ এবং এলইডি বাতির যন্ত্রাংশসহ কতিপয় পণ্যের আমদানি শুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। এটি বিদেশি পণ্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় দেশীয় শিল্পকে একটি শক্তিশালী অবস্থান দেবে বলে আশা করছেন অর্থ উপদেষ্টা।
ওষুধ শিল্পে শুল্ক-কর অব্যাহতি সম্প্রসারণ
স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে সরকার ওষুধ শিল্পকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। ক্যানসার প্রতিরোধক ওষুধসহ সকল ধরনের ওষুধ শিল্পের কাঁচামাল আমদানি এবং এপিআই (API-Active Pharmaceutical Ingredient) তৈরির কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক-কর অব্যাহতি সুবিধা সম্প্রসারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। এই পদক্ষেপ দেশের ওষুধ উৎপাদনকে আরও সহজ ও সাশ্রয়ী করবে।
কৃষি খাতের আধুনিকীকরণ ও যান্ত্রিকীকরণ
কৃষি খাতকে আরও শক্তিশালী করতে কোল্ড স্টোরেজ স্থাপনে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি আমদানিতে রেয়াতি সুবিধা প্রদান করে একটি নতুন প্রজ্ঞাপন জারির প্রস্তাব করা হয়েছে। এটি কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য সংরক্ষণে এবং ক্ষতির পরিমাণ কমাতে সাহায্য করবে। এ ছাড়া, স্থানীয়ভাবে কৃষি যন্ত্রপাতি উৎপাদনকে উৎসাহিত করতে কম্বাইন্ড হারভেস্টর তৈরির যন্ত্রাংশ আমদানিতে বিদ্যমান শুল্ক কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
পরিবহন খাতে সাশ্রয়
পরিবহন খাতের উন্নয়নেও সরকার গুরুত্বারোপ করেছে। টায়ার উৎপাদনে ব্যবহার্য উপকরণের শুল্ক কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে, যা টায়ার উৎপাদন খরচ কমিয়ে পরিবহন ব্যয়কে প্রভাবিত করতে পারে। এ ছাড়া, ১৬-৪০ আসন বিশিষ্ট বাস এবং ১০-১৫ আসন বিশিষ্ট মাইক্রোবাসের শুল্ক-কর হ্রাসের প্রস্তাব করা হয়েছে।
বন্ড ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন: ব্যবসা-বাণিজ্যে সহজীকরণ
বন্ড ব্যবস্থাকে সহজীকরণ ও ব্যবসাবান্ধব করার উদ্দেশ্যে ‘সেন্ট্রাল বন্ডেড ওয়্যারহাউস’ এবং ‘ফ্রি জোন বন্ডেড ওয়্যারহাউস’ ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়েছে। এই আধুনিকীকরণ দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিবেশকে আরও উন্নত করবে এবং বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করবে বলে আশা করছে সরকার।
মে মাসে বাংলাদেশে তৈরি পণ্যের রপ্তানি আগের মাস এবং আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত মে মাসে রপ্তানি আয় হয়েছে ৪৭৩ কোটি ৭৮ লাখ ৫০ হাজার ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের থেকে ৪৮ কোটি ৬৯ লাখ ৩০ হাজার ডলার বেশি এবং শতকরা হিসাবে ১১ দশমিক ৪৫ শতাংশ বেড়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেবিদায়ী মে মাসে দেশের সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে। মে মাসে পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট ভিত্তিতে সাধারণ মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ, যা এপ্রিলে ছিল ৯ দশমিক ১৭ শতাংশ। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমেছে দশমিক ১২ শতাংশ। আর গত বছরের মে মাসে এই হার ছিল ৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ।
৫ ঘণ্টা আগেবিদেশফেরত যাত্রীদের জন্য ব্যাগেজ রুলে বড় পরিবর্তন এনেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। এত দিন শুল্ক ছাড়াই বছরে একাধিকবার সোনা আনার সুযোগ থাকলেও এখন থেকে সেটি সীমিত করা হচ্ছে বছরে মাত্র একবার। একই সঙ্গে ১০ হাজার ডলারের বেশি বহন করলে তা নির্ধারিত ফরমে ঘোষণা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে।
৮ ঘণ্টা আগেপ্রস্তাবিত ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটকে কেন্দ্র করে ব্যবসা ও বিনিয়োগ পরিবেশে শঙ্কা প্রকাশ করেছে ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফআইসিসিআই)। সংগঠনটি মনে করছে, বাজেটের কিছু বিধান দেশের ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে এবং সৎ করদাতাদের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করবে।
৯ ঘণ্টা আগে