ফারুক মেহেদী, ঢাকা
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বলছে, ওমিক্রনের কারণে ঝুঁকিতে পড়বে উদীয়মান অর্থনীতিগুলো। ফলে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার আরও পিছিয়ে যাবে। এ জন্য উদীয়মান অর্থনীতিগুলোকে এখনই প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি। গতকাল সংস্থার পক্ষ থেকে এ রকম একটি পূর্বাভাস প্রকাশ করা হয়েছে। তবে বাংলাদেশ উদীয়মান অর্থনীতি হলেও এ নিয়ে এখনই খুব বেশি ভয়ের কারণ নেই বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা। তাঁরা মনে করেন, ওমিক্রনের সঙ্গে বাংলাদেশকে মানিয়ে চলতে হবে। ব্যবসা-বাণিজ্য সচল রাখতে হবে। কোনো কিছু বন্ধ করা চলবে না।
আইএমএফ বলছে, ওমিক্রনের কারণে বিশ্বে সংক্রমণ যেভাবে বাড়ছে, তাতে উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোকে সম্ভাব্য কঠিন সময় মোকাবিলার প্রস্তুতি নেওয়া উচিত। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার বৃদ্ধির প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং বৈশ্বিক অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিও মন্থর হয়ে যাচ্ছে। ২৫ জানুয়ারি বৈশ্বিক অর্থনীতির বিষয়ে হালনাগাদ রিপোর্ট প্রকাশ করবে আইএমএফ। এর আগে সোমবার সংস্থাটি জানিয়েছে, মহামারির কারণে ক্ষতির শিকার অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের কার্যক্রম চলতি বছর এবং আগামী বছরও অব্যাহত থাকবে।
আইএমএফের অর্থনীতিবিদ স্টেফান ড্যানিঞ্জার, কেনেথ ক্যাঙ এবং হেলেন পোইরসন একটি ব্লগ পোস্টে লিখেছেন, করোনার সংক্রমণ যেভাবে বাড়ছে, তাতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রতি ঝুঁকিও বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর তাই উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোকে সম্ভাব্য কঠিন সময়ের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া উচিত। কারণ, করোনা মহামারির কারণে এসব দেশে মুদ্রাস্ফীতি এবং উল্লেখযোগ্যভাবে সরকারি ঋণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
সংস্থাটির পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ শিগগিরই সুদের হার বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছে। সুদের হার আরও বাড়ানো হলে, উদীয়মান অনেক দেশের ডলার-নিয়ন্ত্রিত ঋণের খরচও বেড়ে যাবে। ওই সব দেশ মহামারির কারণে এমনিতেই অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে পিছিয়ে রয়েছে। সামনে ব্যয়ের বোঝা বাড়বে।
এ ব্যাপারে সৌদি আরব ও পাকিস্তানে আইএমএফের সাবেক আবাসিক পরিচালক, বর্তমানে গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওমিক্রনের প্রভাব সারা বিশ্বে পড়তে শুরু করেছে। বাংলাদেশেও পড়বে। তবে বিষয় হলো এটা কতটুকু ক্ষতিকর হবে। দেখা যাচ্ছে যে, এটা অত ক্ষতিকর নয়। মৃত্যু যদি খুব বেশি না বাড়ে, তাহলে ভয়ের কারণ নেই। যতদূর সম্ভব অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্বাভাবিক রাখতে হবে। লকডাউন দিয়ে লাভ নেই। বাংলাদেশের মানুষ লকডাউন মানে না। উৎপাদন কার্যক্রমকে ব্যাহত করলে অর্থনৈতিক ক্ষতি অনেক বেশি হয়। করোনাকে মেনেই চলতে হবে। কোনোভাবেই অর্থনীতিতে অচল করা যাবে না।’
ব্যবসায়ীরাও করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যকে বিধিনিষেধের বাইরে রাখার দাবি করে আসছেন। এ ব্যাপারে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘করোনার সঙ্গেই আমাদের থাকতে হবে। এটা আমাদের জীবনের অংশ হয়ে গেছে। যদি সংক্রমণ খুব বেড়ে যায় তখন অবস্থা অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য অর্থনীতি সবকিছু ব্যাংকনির্ভর। করোনাকে মেনে নিয়ে সব চালু রাখতে হবে, অন্যথায় ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে, উদ্যোক্তারা ঋণখেলাপি হবে।’
বিশ্লেষকেরা বলছেন, ওমিক্রনেও যাতে সবকিছু সচল রেখে চলা যায়, সেই প্রস্তুতি সরকারকে নিতে হবে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বলছে, ওমিক্রনের কারণে ঝুঁকিতে পড়বে উদীয়মান অর্থনীতিগুলো। ফলে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার আরও পিছিয়ে যাবে। এ জন্য উদীয়মান অর্থনীতিগুলোকে এখনই প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি। গতকাল সংস্থার পক্ষ থেকে এ রকম একটি পূর্বাভাস প্রকাশ করা হয়েছে। তবে বাংলাদেশ উদীয়মান অর্থনীতি হলেও এ নিয়ে এখনই খুব বেশি ভয়ের কারণ নেই বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা। তাঁরা মনে করেন, ওমিক্রনের সঙ্গে বাংলাদেশকে মানিয়ে চলতে হবে। ব্যবসা-বাণিজ্য সচল রাখতে হবে। কোনো কিছু বন্ধ করা চলবে না।
আইএমএফ বলছে, ওমিক্রনের কারণে বিশ্বে সংক্রমণ যেভাবে বাড়ছে, তাতে উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোকে সম্ভাব্য কঠিন সময় মোকাবিলার প্রস্তুতি নেওয়া উচিত। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার বৃদ্ধির প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং বৈশ্বিক অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিও মন্থর হয়ে যাচ্ছে। ২৫ জানুয়ারি বৈশ্বিক অর্থনীতির বিষয়ে হালনাগাদ রিপোর্ট প্রকাশ করবে আইএমএফ। এর আগে সোমবার সংস্থাটি জানিয়েছে, মহামারির কারণে ক্ষতির শিকার অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের কার্যক্রম চলতি বছর এবং আগামী বছরও অব্যাহত থাকবে।
আইএমএফের অর্থনীতিবিদ স্টেফান ড্যানিঞ্জার, কেনেথ ক্যাঙ এবং হেলেন পোইরসন একটি ব্লগ পোস্টে লিখেছেন, করোনার সংক্রমণ যেভাবে বাড়ছে, তাতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রতি ঝুঁকিও বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর তাই উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোকে সম্ভাব্য কঠিন সময়ের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া উচিত। কারণ, করোনা মহামারির কারণে এসব দেশে মুদ্রাস্ফীতি এবং উল্লেখযোগ্যভাবে সরকারি ঋণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
সংস্থাটির পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ শিগগিরই সুদের হার বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছে। সুদের হার আরও বাড়ানো হলে, উদীয়মান অনেক দেশের ডলার-নিয়ন্ত্রিত ঋণের খরচও বেড়ে যাবে। ওই সব দেশ মহামারির কারণে এমনিতেই অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে পিছিয়ে রয়েছে। সামনে ব্যয়ের বোঝা বাড়বে।
এ ব্যাপারে সৌদি আরব ও পাকিস্তানে আইএমএফের সাবেক আবাসিক পরিচালক, বর্তমানে গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওমিক্রনের প্রভাব সারা বিশ্বে পড়তে শুরু করেছে। বাংলাদেশেও পড়বে। তবে বিষয় হলো এটা কতটুকু ক্ষতিকর হবে। দেখা যাচ্ছে যে, এটা অত ক্ষতিকর নয়। মৃত্যু যদি খুব বেশি না বাড়ে, তাহলে ভয়ের কারণ নেই। যতদূর সম্ভব অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্বাভাবিক রাখতে হবে। লকডাউন দিয়ে লাভ নেই। বাংলাদেশের মানুষ লকডাউন মানে না। উৎপাদন কার্যক্রমকে ব্যাহত করলে অর্থনৈতিক ক্ষতি অনেক বেশি হয়। করোনাকে মেনেই চলতে হবে। কোনোভাবেই অর্থনীতিতে অচল করা যাবে না।’
ব্যবসায়ীরাও করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যকে বিধিনিষেধের বাইরে রাখার দাবি করে আসছেন। এ ব্যাপারে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘করোনার সঙ্গেই আমাদের থাকতে হবে। এটা আমাদের জীবনের অংশ হয়ে গেছে। যদি সংক্রমণ খুব বেড়ে যায় তখন অবস্থা অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য অর্থনীতি সবকিছু ব্যাংকনির্ভর। করোনাকে মেনে নিয়ে সব চালু রাখতে হবে, অন্যথায় ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে, উদ্যোক্তারা ঋণখেলাপি হবে।’
বিশ্লেষকেরা বলছেন, ওমিক্রনেও যাতে সবকিছু সচল রেখে চলা যায়, সেই প্রস্তুতি সরকারকে নিতে হবে।
রাফায়েল গ্যালার্দো বলেন, ‘আমেরিকা এখন বিনিয়োগের জন্য নিরাপদ নয়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নতুন কর নীতি বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীদের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করেছে।’
২০ ঘণ্টা আগেভারতের তৈরি পোশাক শিল্প বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার সুযোগ কাজে লাগিয়ে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে নিজেদের অবস্থান জোরদার করছে। শুল্কমুক্ত বা স্বল্প শুল্ক সুবিধা, উৎপাদন দক্ষতা ও সরকারের সহায়তায় ভারতীয় গার্মেন্টস শিল্প দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে, যার নেতৃত্বে রয়েছে
১ দিন আগেদায়িত্ব নেওয়ার আট মাস পূর্তিতে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন ‘আমাদের আমলনামা’ শিরোনামে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন।
২ দিন আগেট্রাম্পের প্রস্তাব অনুযায়ী, গ্রিন কার্ডধারী ও অস্থায়ী ভিসাধারী— যেমন; এইচ-ওয়ান বি কর্মীদের পাঠানো অর্থেও এই কর আরোপিত হবে। বিশ্বে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স পাওয়া দেশ ভারত। তাই এর প্রভাব ভারতের জন্য হবে ব্যাপক, বলছেন বিশ্লেষকেরা। অন্যান্য বড় রেমিট্যান্স নির্ভর দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে— মেক্সিকো, চীন
২ দিন আগে