নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশে তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপ বেড়েছে। ‘তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপ সূচক: এফসিটিসি আর্টিকেল ৫.৩ বাস্তবায়ন প্রতিবেদন, বাংলাদেশ ২০২১’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
আজ রোববার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বেসরকারি গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান ‘প্রগতির জন্য জ্ঞান’ এবং অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া অ্যালায়েন্স-আত্মার যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী, জাতীয় তামাকবিরোধী মঞ্চের আহ্বায়ক ও পল্লি কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ, সাংবাদিক নেতা মনজুরুল আহসান বুলবুল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়েরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপ সূচক, ২০২১’ এ বাংলাদেশের প্রাপ্ত স্কোর ৭২। গত বছর এই স্কোর ছিল ৬৮। কোভিড-১৯ মহামারিতে কোম্পানিগুলোর আগ্রাসী কার্যক্রমে হুমকির মুখে পড়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোল (এফসিটিসি)-এর কার্যকর বাস্তবায়ন এবং তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপ বেড়েছে এবং আর্টিকেল ৫.৩ এর নির্দেশনাবলি বাস্তবায়নে কোনো অগ্রগতি হয়নি। কূটনৈতিক মাধ্যম ব্যবহার করে সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপ এবং প্রভাব বিস্তারের চেষ্টার বিষয়টি উঠে এসেছে। জাপান টোব্যাকো ইন্টারন্যাশনাল (জেটিআই) কোম্পানির পক্ষে অর্থমন্ত্রীকে লেখা জাপানি রাষ্ট্রদূতের চিঠিতে বলা হয়, জেটিআই’র ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হয়—এমন কোনো তামাক নিয়ন্ত্রণ পদক্ষেপ নেওয়া হলে, তা বাংলাদেশে ভবিষ্যৎ জাপানি বিনিয়োগের (এফডিআই) পথে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করবে।
অপরদিকে প্রতিবেদনে উঠে আসা জনস্বাস্থ্য বিরোধী আরেকটি ঘটনার সূচনা করোনা মহামারির শুরুর দিকে বলে উল্লেখ করা হয়। ২০২০ সালের এপ্রিলে লকডাউন চলাকালীন সরকারি আদেশের মাধ্যমে দুটি বহুজাতিক তামাক কোম্পানি-ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ (বিএটিবি) এবং জেটিআইকে লকডাউনের বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি প্রদান করে শিল্প মন্ত্রণালয়। কোম্পানিগুলো যাতে নির্বিঘ্নে সিগারেট উৎপাদন, বিপণন ও তামাক পাতা ক্রয় করতে পারে, সে জন্য সকল বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা প্রশাসক বরাবর চিঠি প্রদান করা হয়। তামাক কোম্পানিকে দেওয়া এই বিশেষ অনুমতি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তুলে নেওয়ার অনুরোধ করা হলে শিল্প মন্ত্রণালয় তা নাকচ করে দেয়। এ ছাড়া এশিয়ান টোব্যাকো লিমিটেড নামে একটি তামাক কোম্পানিকে ঈশ্বরদী রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকায় কারখানা স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা)। ফলে কর অবকাশসহ বিভিন্ন সুবিধা ভোগ করবে তামাক কোম্পানিটি। এ ছাড়া বিড়ির ওপর কর কমানোর দাবি সমর্থন করে ১০ জন সংসদ সদস্য অর্থমন্ত্রী বরাবর আধা-সরকারি (ডিও) চিঠি পাঠিয়েছেন।
গবেষণায় ২০২০ সালে করোনা মহামারি চলাকালে তামাক কোম্পানিগুলোকে যেভাবে বিভিন্ন কথিত সামাজিক দায়বদ্ধতামূলক (সিএসআর) কর্মসূচি নিয়ে সক্রিয় থাকতে দেখা গেছে, ইতিপূর্বে সেভাবে কখনো দেখা যায়নি। মহামারির সুযোগ নিয়ে দাতব্য কাজের নামে আগ্রাসিভাবে ব্র্যান্ড ইমেজ বৃদ্ধি করেছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মতো সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে তামাক কোম্পানিকে পুরস্কৃত করার মতো ঘটনাও দেখা গেছে।
বাংলাদেশে তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপ বেড়েছে। ‘তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপ সূচক: এফসিটিসি আর্টিকেল ৫.৩ বাস্তবায়ন প্রতিবেদন, বাংলাদেশ ২০২১’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
আজ রোববার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বেসরকারি গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান ‘প্রগতির জন্য জ্ঞান’ এবং অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া অ্যালায়েন্স-আত্মার যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী, জাতীয় তামাকবিরোধী মঞ্চের আহ্বায়ক ও পল্লি কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ, সাংবাদিক নেতা মনজুরুল আহসান বুলবুল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়েরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপ সূচক, ২০২১’ এ বাংলাদেশের প্রাপ্ত স্কোর ৭২। গত বছর এই স্কোর ছিল ৬৮। কোভিড-১৯ মহামারিতে কোম্পানিগুলোর আগ্রাসী কার্যক্রমে হুমকির মুখে পড়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোল (এফসিটিসি)-এর কার্যকর বাস্তবায়ন এবং তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপ বেড়েছে এবং আর্টিকেল ৫.৩ এর নির্দেশনাবলি বাস্তবায়নে কোনো অগ্রগতি হয়নি। কূটনৈতিক মাধ্যম ব্যবহার করে সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপ এবং প্রভাব বিস্তারের চেষ্টার বিষয়টি উঠে এসেছে। জাপান টোব্যাকো ইন্টারন্যাশনাল (জেটিআই) কোম্পানির পক্ষে অর্থমন্ত্রীকে লেখা জাপানি রাষ্ট্রদূতের চিঠিতে বলা হয়, জেটিআই’র ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হয়—এমন কোনো তামাক নিয়ন্ত্রণ পদক্ষেপ নেওয়া হলে, তা বাংলাদেশে ভবিষ্যৎ জাপানি বিনিয়োগের (এফডিআই) পথে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করবে।
অপরদিকে প্রতিবেদনে উঠে আসা জনস্বাস্থ্য বিরোধী আরেকটি ঘটনার সূচনা করোনা মহামারির শুরুর দিকে বলে উল্লেখ করা হয়। ২০২০ সালের এপ্রিলে লকডাউন চলাকালীন সরকারি আদেশের মাধ্যমে দুটি বহুজাতিক তামাক কোম্পানি-ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ (বিএটিবি) এবং জেটিআইকে লকডাউনের বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি প্রদান করে শিল্প মন্ত্রণালয়। কোম্পানিগুলো যাতে নির্বিঘ্নে সিগারেট উৎপাদন, বিপণন ও তামাক পাতা ক্রয় করতে পারে, সে জন্য সকল বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা প্রশাসক বরাবর চিঠি প্রদান করা হয়। তামাক কোম্পানিকে দেওয়া এই বিশেষ অনুমতি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তুলে নেওয়ার অনুরোধ করা হলে শিল্প মন্ত্রণালয় তা নাকচ করে দেয়। এ ছাড়া এশিয়ান টোব্যাকো লিমিটেড নামে একটি তামাক কোম্পানিকে ঈশ্বরদী রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকায় কারখানা স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা)। ফলে কর অবকাশসহ বিভিন্ন সুবিধা ভোগ করবে তামাক কোম্পানিটি। এ ছাড়া বিড়ির ওপর কর কমানোর দাবি সমর্থন করে ১০ জন সংসদ সদস্য অর্থমন্ত্রী বরাবর আধা-সরকারি (ডিও) চিঠি পাঠিয়েছেন।
গবেষণায় ২০২০ সালে করোনা মহামারি চলাকালে তামাক কোম্পানিগুলোকে যেভাবে বিভিন্ন কথিত সামাজিক দায়বদ্ধতামূলক (সিএসআর) কর্মসূচি নিয়ে সক্রিয় থাকতে দেখা গেছে, ইতিপূর্বে সেভাবে কখনো দেখা যায়নি। মহামারির সুযোগ নিয়ে দাতব্য কাজের নামে আগ্রাসিভাবে ব্র্যান্ড ইমেজ বৃদ্ধি করেছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মতো সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে তামাক কোম্পানিকে পুরস্কৃত করার মতো ঘটনাও দেখা গেছে।
রাফায়েল গ্যালার্দো বলেন, ‘আমেরিকা এখন বিনিয়োগের জন্য নিরাপদ নয়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নতুন কর নীতি বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীদের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করেছে।’
১৬ ঘণ্টা আগেভারতের তৈরি পোশাক শিল্প বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার সুযোগ কাজে লাগিয়ে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে নিজেদের অবস্থান জোরদার করছে। শুল্কমুক্ত বা স্বল্প শুল্ক সুবিধা, উৎপাদন দক্ষতা ও সরকারের সহায়তায় ভারতীয় গার্মেন্টস শিল্প দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে, যার নেতৃত্বে রয়েছে
১৭ ঘণ্টা আগেদায়িত্ব নেওয়ার আট মাস পূর্তিতে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন ‘আমাদের আমলনামা’ শিরোনামে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন।
২ দিন আগেট্রাম্পের প্রস্তাব অনুযায়ী, গ্রিন কার্ডধারী ও অস্থায়ী ভিসাধারী— যেমন; এইচ-ওয়ান বি কর্মীদের পাঠানো অর্থেও এই কর আরোপিত হবে। বিশ্বে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স পাওয়া দেশ ভারত। তাই এর প্রভাব ভারতের জন্য হবে ব্যাপক, বলছেন বিশ্লেষকেরা। অন্যান্য বড় রেমিট্যান্স নির্ভর দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে— মেক্সিকো, চীন
২ দিন আগে