আমানুর রহমান রনি, ঢাকা

দেড় বছরের বেশি সময় ধরে ডলার সংকট চলছে দেশে। সংকটের এই সময়ে বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেনে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে মানি চেঞ্জার বা মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানগুলো। সব ধরনের নিয়মনীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা মজুত ও বিক্রি করে চলেছে তারা।
গত কয়েক মাসে বৈদেশিক মুদ্রার অবৈধ কারবারিদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে গিয়ে বৈধ মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠানগুলোতেও নানা অনিয়ম খুঁজে পেয়েছে পুলিশ ও বাংলাদেশ ব্যাংক।
অভিযানসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, নীতিমালা অনুযায়ী মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠানের কোনো শাখা রাখার সুযোগ নেই। তারপরও একাধিক অনুমোদনহীন অফিস খুলে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে অনেক মানি চেঞ্জার। এমনকি স্টেশনারি দোকানেও চলছে বৈদেশিক মুদ্রার কেনাবেচা। এ ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংককে বৈদেশিক মুদ্রার মজুত ও বিক্রির হিসাব দেওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকলেও অধিকাংশ মানি এক্সচেঞ্জ সঠিক হিসাব দিচ্ছে না।
অবৈধ মানি এক্সচেঞ্জের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত সংস্থা (সিআইডি)। গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর উত্তরায় দুটি মানি এক্সচেঞ্জে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি মুদ্রা উদ্ধার করে সংস্থাটি। ওই দিন উত্তরার লতিফ এম্পোরিয়াল মার্কেটের নিচতলায় আল-মদিনা ইন্টারন্যাশনাল কম্পিউটার অ্যান্ড স্টেশনারি দোকানে অভিযান চালায় সিআইডি।
স্টেশনারির ওই দোকানে বৈদেশিক মুদ্রার কেনাবেচা চলছিল। একই এলাকার কুশল সেন্টারের নিচতলায় মার্ক ন্যাশনাল মানি এক্সচেঞ্জে অভিযান চালিয়ে বাংলাদেশি মুদ্রাসহ ৪০টি দেশের ৮৮ লাখ ২ হাজার ২২৮ টাকার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা উদ্ধার করা হয়। তারা বাংলাদেশ ব্যাংককে মজুতের যে তথ্য দিয়েছে, তার সঙ্গে দোকানে থাকা মুদ্রার পরিমাণের মিল পায়নি সিআইডি। প্রতিষ্ঠানটি কেন্দ্রীয় ব্যাংককে দেওয়া তথ্যের কয়েক গুণ বৈদেশিক মুদ্রা মজুত করে রেখেছিল।

সিআইডির একটি সূত্র জানিয়েছে, মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানগুলোর দৈনিক ২৫ হাজার ডলার বা সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেনের অনুমোদন থাকলেও তারা এর বেশি মুদ্রা লেনদেন করে। নিয়ম অনুযায়ী তাদের রেজিস্টার খাতায় বেচাকেনা লিপিবদ্ধ করা উচিত, তবে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান কোনো কিছু লিখে রাখে না।
অভিযানসংশ্লিষ্ট সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের এক কর্মকর্তা বলেন, মানি এক্সচেঞ্জগুলো তাদের ব্যবসার কোনো রেকর্ড রেজিস্টার খাতায় রাখছে না। তারা অবৈধভাবে ডলার বা বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহ করে, আবার অবৈধভাবে বিক্রি করে। এ ছাড়া তারা সরকারনির্ধারিত দামে ডলার বিক্রি করে না। বেশি দামে ডলার বিক্রি করে।
এ বিষয়ে মানি চেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন সিকদার আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘মুক্তবাজার অর্থনীতিতে মুদ্রার দর বেঁধে দিলে তা নিয়ন্ত্রণে থাকে না। ডলার সংকটের মধ্যে মানুষ ডলার কিনতে দৌড়াচ্ছে, এর সুযোগ নিচ্ছে কেউ কেউ। আমরাও চাই এই সংকট কেটে যাক। যারা অবৈধ কাজ করে, তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চলুক।’
রেজিস্টার খাতায় হিসাব লিখে না রাখা নিয়ে হেলাল সিকদার বলেন, বৈধ প্রতিষ্ঠানের তথ্য গোপন করার সুযোগ কম। ডলার লেনদেনের টালিখাতা মেইনটেইন করতে হয়। সবাই মানছে না, তা বলা যাবে না। তবে বলা যেতে পারে, কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান মানছে না।

দেশে বৈধ মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৩৫। কিন্তু এর দ্বিগুণের বেশি অবৈধ মানি চেঞ্জার কার্যক্রমে আছে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের। অবৈধ এসব প্রতিষ্ঠানের ৫ শতাধিক ঢাকায় ব্যবসা করছে।
জানা গেছে, গত তিন মাসে এমন বৈধ ও অবৈধ অন্তত ১২টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে সিআইডি। অনিয়মের সঙ্গে জড়িত হওয়ায় কিছু প্রতিষ্ঠান বন্ধও করে দেওয়া হয়েছে।
সিআইডির সূত্র জানিয়েছে, গত তিন মাসে চলা অভিযানে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আল ঈমান মানি এক্সচেঞ্জ, মতিঝিলের ওয়েলকাম মানি এক্সচেঞ্জ ও নীলফামারীর কেএন্ডকে এক্সচেঞ্জ ইন্টারন্যাশনাল মানি এক্সচেঞ্জ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
অনিয়মের জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে। অপরদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়াই বৈদেশিক মুদ্রার ব্যবসা করছে এমন ৬৫টি অবৈধ মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানের তথ্য পেয়েছে সিআইডি। সম্প্রতি অভিযান শুরুর পর গা ঢাকা দিয়েছেন অবৈধ প্রতিষ্ঠানের মালিকেরা।
সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইমের বিশেষ সুপার (এসপি) মো. বাছির উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসার অনেক অস্বচ্ছতা রয়েছে। আমরা বাংলাদেশ ব্যাংক ও একটি গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে বেশ কিছু অভিযান পরিচালনা করছি। কিছু প্রতিষ্ঠান এবং এর মালিকদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে। আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে।’
গত ২২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর পল্টনের ‘শখ সেন্টারে’ অবৈধ মানি এক্সচেঞ্জের বিরুদ্ধে অভিযান চালায় সিআইডি। অভিযানে চকবাজার মানি এক্সচেঞ্জ লিমিটেড এবং বকাউল মানি এক্সচেঞ্জ নামের দুটি প্রতিষ্ঠান থেকে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের কাছ থেকে ইউএস ডলার ছাড়াও অন্যান্য পাঁচটি দেশের মুদ্রা উদ্ধার করা হয়। চকবাজার মানি এক্সচেঞ্জের মালিক আহমেদ নোমান হলেও সেটি এখন এম এম জাকারিয়া নামের অপর এক ব্যক্তি পরিচালনা করছেন, যা অবৈধ। আর চকবাজার মানি এক্সচেঞ্জের একটি কাউন্টার পরিচালনার অনুমোদন থাকলেও তারা ৯টি কাউন্টার পরিচালনা করে আসছিল। প্রতিষ্ঠান দুটি বৈদেশিক মুদ্রা বিক্রির কোনো রেজিস্টার খাতাও ব্যবহার করত না বলে জানিয়েছে সিআইডি।

সিআইডির প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, বৈধ ও অবৈধ মানি এক্সচেঞ্জের বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের লেনদেনের ওপর নজরদারি চলছে। সন্দেহজনক কিছু পেলেই প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ডলার কেনাবেচার ক্ষেত্রে কাউন্টারে বিনিময় হার প্রদর্শন করতে হবে মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠানগুলোকে। বাংলাদেশ ব্যাংক নির্দেশনায় এমনটাই বলা আছে। কিন্তু মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠানগুলোর বড় একটি অংশই এই নিয়ম মানছে না।
নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে ডলার কেনাবেচার অভিযোগে গত আগস্টের শেষ দিকে ৭ বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন স্থগিত করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে ইয়র্ক মানি এক্সচেঞ্জ লিমিটেড, জামান মানি চেঞ্জিং হাউস, জেনি মানি এক্সচেঞ্জ, স্ট্যান্ডার্ড মানি এক্সচেঞ্জ লিমিটেড, মার্সি মানি এক্সচেঞ্জ কোম্পানি লিমিটেড, জেবি মানি এক্সচেঞ্জ ও বেঙ্গল মানি এক্সচেঞ্জ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বলেন, প্রতিষ্ঠানগুলো বেশি দামে বৈদেশিক মুদ্রা কেনাবেচা করেছিল, তাই তাদের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। মানি এক্সচেঞ্জগুলোকে অবশ্যই বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়মনীতি মেনে ব্যবসা করতে হবে।

দেড় বছরের বেশি সময় ধরে ডলার সংকট চলছে দেশে। সংকটের এই সময়ে বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেনে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে মানি চেঞ্জার বা মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানগুলো। সব ধরনের নিয়মনীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা মজুত ও বিক্রি করে চলেছে তারা।
গত কয়েক মাসে বৈদেশিক মুদ্রার অবৈধ কারবারিদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে গিয়ে বৈধ মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠানগুলোতেও নানা অনিয়ম খুঁজে পেয়েছে পুলিশ ও বাংলাদেশ ব্যাংক।
অভিযানসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, নীতিমালা অনুযায়ী মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠানের কোনো শাখা রাখার সুযোগ নেই। তারপরও একাধিক অনুমোদনহীন অফিস খুলে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে অনেক মানি চেঞ্জার। এমনকি স্টেশনারি দোকানেও চলছে বৈদেশিক মুদ্রার কেনাবেচা। এ ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংককে বৈদেশিক মুদ্রার মজুত ও বিক্রির হিসাব দেওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকলেও অধিকাংশ মানি এক্সচেঞ্জ সঠিক হিসাব দিচ্ছে না।
অবৈধ মানি এক্সচেঞ্জের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত সংস্থা (সিআইডি)। গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর উত্তরায় দুটি মানি এক্সচেঞ্জে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি মুদ্রা উদ্ধার করে সংস্থাটি। ওই দিন উত্তরার লতিফ এম্পোরিয়াল মার্কেটের নিচতলায় আল-মদিনা ইন্টারন্যাশনাল কম্পিউটার অ্যান্ড স্টেশনারি দোকানে অভিযান চালায় সিআইডি।
স্টেশনারির ওই দোকানে বৈদেশিক মুদ্রার কেনাবেচা চলছিল। একই এলাকার কুশল সেন্টারের নিচতলায় মার্ক ন্যাশনাল মানি এক্সচেঞ্জে অভিযান চালিয়ে বাংলাদেশি মুদ্রাসহ ৪০টি দেশের ৮৮ লাখ ২ হাজার ২২৮ টাকার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা উদ্ধার করা হয়। তারা বাংলাদেশ ব্যাংককে মজুতের যে তথ্য দিয়েছে, তার সঙ্গে দোকানে থাকা মুদ্রার পরিমাণের মিল পায়নি সিআইডি। প্রতিষ্ঠানটি কেন্দ্রীয় ব্যাংককে দেওয়া তথ্যের কয়েক গুণ বৈদেশিক মুদ্রা মজুত করে রেখেছিল।

সিআইডির একটি সূত্র জানিয়েছে, মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানগুলোর দৈনিক ২৫ হাজার ডলার বা সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেনের অনুমোদন থাকলেও তারা এর বেশি মুদ্রা লেনদেন করে। নিয়ম অনুযায়ী তাদের রেজিস্টার খাতায় বেচাকেনা লিপিবদ্ধ করা উচিত, তবে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান কোনো কিছু লিখে রাখে না।
অভিযানসংশ্লিষ্ট সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের এক কর্মকর্তা বলেন, মানি এক্সচেঞ্জগুলো তাদের ব্যবসার কোনো রেকর্ড রেজিস্টার খাতায় রাখছে না। তারা অবৈধভাবে ডলার বা বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহ করে, আবার অবৈধভাবে বিক্রি করে। এ ছাড়া তারা সরকারনির্ধারিত দামে ডলার বিক্রি করে না। বেশি দামে ডলার বিক্রি করে।
এ বিষয়ে মানি চেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন সিকদার আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘মুক্তবাজার অর্থনীতিতে মুদ্রার দর বেঁধে দিলে তা নিয়ন্ত্রণে থাকে না। ডলার সংকটের মধ্যে মানুষ ডলার কিনতে দৌড়াচ্ছে, এর সুযোগ নিচ্ছে কেউ কেউ। আমরাও চাই এই সংকট কেটে যাক। যারা অবৈধ কাজ করে, তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চলুক।’
রেজিস্টার খাতায় হিসাব লিখে না রাখা নিয়ে হেলাল সিকদার বলেন, বৈধ প্রতিষ্ঠানের তথ্য গোপন করার সুযোগ কম। ডলার লেনদেনের টালিখাতা মেইনটেইন করতে হয়। সবাই মানছে না, তা বলা যাবে না। তবে বলা যেতে পারে, কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান মানছে না।

দেশে বৈধ মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৩৫। কিন্তু এর দ্বিগুণের বেশি অবৈধ মানি চেঞ্জার কার্যক্রমে আছে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের। অবৈধ এসব প্রতিষ্ঠানের ৫ শতাধিক ঢাকায় ব্যবসা করছে।
জানা গেছে, গত তিন মাসে এমন বৈধ ও অবৈধ অন্তত ১২টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে সিআইডি। অনিয়মের সঙ্গে জড়িত হওয়ায় কিছু প্রতিষ্ঠান বন্ধও করে দেওয়া হয়েছে।
সিআইডির সূত্র জানিয়েছে, গত তিন মাসে চলা অভিযানে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আল ঈমান মানি এক্সচেঞ্জ, মতিঝিলের ওয়েলকাম মানি এক্সচেঞ্জ ও নীলফামারীর কেএন্ডকে এক্সচেঞ্জ ইন্টারন্যাশনাল মানি এক্সচেঞ্জ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
অনিয়মের জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে। অপরদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়াই বৈদেশিক মুদ্রার ব্যবসা করছে এমন ৬৫টি অবৈধ মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানের তথ্য পেয়েছে সিআইডি। সম্প্রতি অভিযান শুরুর পর গা ঢাকা দিয়েছেন অবৈধ প্রতিষ্ঠানের মালিকেরা।
সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইমের বিশেষ সুপার (এসপি) মো. বাছির উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসার অনেক অস্বচ্ছতা রয়েছে। আমরা বাংলাদেশ ব্যাংক ও একটি গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে বেশ কিছু অভিযান পরিচালনা করছি। কিছু প্রতিষ্ঠান এবং এর মালিকদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে। আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে।’
গত ২২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর পল্টনের ‘শখ সেন্টারে’ অবৈধ মানি এক্সচেঞ্জের বিরুদ্ধে অভিযান চালায় সিআইডি। অভিযানে চকবাজার মানি এক্সচেঞ্জ লিমিটেড এবং বকাউল মানি এক্সচেঞ্জ নামের দুটি প্রতিষ্ঠান থেকে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের কাছ থেকে ইউএস ডলার ছাড়াও অন্যান্য পাঁচটি দেশের মুদ্রা উদ্ধার করা হয়। চকবাজার মানি এক্সচেঞ্জের মালিক আহমেদ নোমান হলেও সেটি এখন এম এম জাকারিয়া নামের অপর এক ব্যক্তি পরিচালনা করছেন, যা অবৈধ। আর চকবাজার মানি এক্সচেঞ্জের একটি কাউন্টার পরিচালনার অনুমোদন থাকলেও তারা ৯টি কাউন্টার পরিচালনা করে আসছিল। প্রতিষ্ঠান দুটি বৈদেশিক মুদ্রা বিক্রির কোনো রেজিস্টার খাতাও ব্যবহার করত না বলে জানিয়েছে সিআইডি।

সিআইডির প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, বৈধ ও অবৈধ মানি এক্সচেঞ্জের বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের লেনদেনের ওপর নজরদারি চলছে। সন্দেহজনক কিছু পেলেই প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ডলার কেনাবেচার ক্ষেত্রে কাউন্টারে বিনিময় হার প্রদর্শন করতে হবে মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠানগুলোকে। বাংলাদেশ ব্যাংক নির্দেশনায় এমনটাই বলা আছে। কিন্তু মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠানগুলোর বড় একটি অংশই এই নিয়ম মানছে না।
নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে ডলার কেনাবেচার অভিযোগে গত আগস্টের শেষ দিকে ৭ বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন স্থগিত করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে ইয়র্ক মানি এক্সচেঞ্জ লিমিটেড, জামান মানি চেঞ্জিং হাউস, জেনি মানি এক্সচেঞ্জ, স্ট্যান্ডার্ড মানি এক্সচেঞ্জ লিমিটেড, মার্সি মানি এক্সচেঞ্জ কোম্পানি লিমিটেড, জেবি মানি এক্সচেঞ্জ ও বেঙ্গল মানি এক্সচেঞ্জ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বলেন, প্রতিষ্ঠানগুলো বেশি দামে বৈদেশিক মুদ্রা কেনাবেচা করেছিল, তাই তাদের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। মানি এক্সচেঞ্জগুলোকে অবশ্যই বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়মনীতি মেনে ব্যবসা করতে হবে।

কিছুটা কমানোর পর দেশের বাজারে সোনার দাম আবার বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৬৮০ টাকা। এতে ১ ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১ হাজার ৭৭৬ টাকা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
অনিয়ন্ত্রিত কার্বন নিঃসরণে বাড়ছে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সংকট। দুর্যোগ দিন দিন বাড়লেও তা মোকাবিলায় বিনিয়োগ কমেছে। বিশেষ করে ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, খরা, নদীভাঙন, জলাবদ্ধতা, পানি বৃদ্ধি এবং মাটির লবণাক্ততা মোকাবিলায় গৃহীত উদ্যোগ বাস্তবায়নে দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগ কমেছে।
৭ ঘণ্টা আগে
গত সপ্তাহজুড়ে দেশের শেয়ারবাজারে যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, কমেছে তার চেয়ে বেশি। এতে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের সঙ্গে বাজার মূলধন প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা কমে গেছে। তবে দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে।
৭ ঘণ্টা আগে
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার বাসিন্দা আইয়ুব আলী একসময় রিকশা চালাতেন। শারীরিক সমস্যার কারণে এখন আর তা পারছেন না। বাড়ির কাছে বাজারে হকারি করে কিছু আয়-রোজগারের চেষ্টা করছেন; কিন্তু এতে তাঁর সংসার চলে না। বাধ্য হয়ে অন্যের বাড়িতে কাজ করেন তাঁর স্ত্রী।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কিছুটা কমানোর পর দেশের বাজারে সোনার দাম আবার বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৬৮০ টাকা। এতে ১ ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১ হাজার ৭৭৬ টাকা হয়েছে।
স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে। আগামীকাল রোববার (২ নভেম্বর) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
আজ শনিবার (১ নভেম্বর) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠকে করে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে গত ৩১ অক্টোবর প্রতি ভরি সোনার দাম কমানো হয় ২ হাজার ৬১৩ টাকা। তার আগে ৩০ অক্টোবর প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ৮ হাজার ৯০০ টাকা। এই দাম বাড়ানোর আগে চার দফায় ভালো মানের ১ ভরি সোনার দাম কমানো হয় ২৩ হাজার ৫৭৩ টাকা। এখন আবার দাম বাড়ানো হলো।
এখন সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৬৮০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ১ হাজার ৭৭৬ টাকা। ২১ ক্যারেটের ১ ভরি সোনায় ১ হাজার ৫৯৮ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৯২ হাজার ৫৯৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের ১ ভরি সোনায় ১ হাজার ৩৬৫ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম ১ লাখ ৬৫ হাজার ৮১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ১৬৬ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৩৭ হাজার ১৮০ টাকা।
এর আগে ৩১ অক্টোবর সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনায় ২ হাজার ৬১৩ টাকা কমিয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয় ২ লাখ ৯৬ টাকা। ২১ ক্যারেটের ১ ভরি সোনায় ২ হাজার ৫০৮ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ৯০ হাজার ৯৯৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের ১ ভরি সোনায় ২ হাজার ১৪৬ টাকা কমিয়ে নতুন দাম ১ লাখ ৬৩ হাজার ৭১৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৮৩১ টাকা কমিয়ে দাম নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ৩৬ হাজার ১৪ টাকা।
সোনার দাম বাড়ানো হলেও রুপার দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ২২ ক্যারেটের ১ ভরি রুপার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ হাজার ২৪৬ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের ১ ভরি রুপার দাম ৪ হাজার ৪৭, ১৮ ক্যারেটের ১ ভরির দাম ৩ হাজার ৪৭৬ এবং সনাতন পদ্ধতির ১ ভরির দাম ২ হাজার ৬০১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

কিছুটা কমানোর পর দেশের বাজারে সোনার দাম আবার বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৬৮০ টাকা। এতে ১ ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১ হাজার ৭৭৬ টাকা হয়েছে।
স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে। আগামীকাল রোববার (২ নভেম্বর) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
আজ শনিবার (১ নভেম্বর) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠকে করে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে গত ৩১ অক্টোবর প্রতি ভরি সোনার দাম কমানো হয় ২ হাজার ৬১৩ টাকা। তার আগে ৩০ অক্টোবর প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ৮ হাজার ৯০০ টাকা। এই দাম বাড়ানোর আগে চার দফায় ভালো মানের ১ ভরি সোনার দাম কমানো হয় ২৩ হাজার ৫৭৩ টাকা। এখন আবার দাম বাড়ানো হলো।
এখন সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৬৮০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ১ হাজার ৭৭৬ টাকা। ২১ ক্যারেটের ১ ভরি সোনায় ১ হাজার ৫৯৮ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৯২ হাজার ৫৯৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের ১ ভরি সোনায় ১ হাজার ৩৬৫ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম ১ লাখ ৬৫ হাজার ৮১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ১৬৬ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৩৭ হাজার ১৮০ টাকা।
এর আগে ৩১ অক্টোবর সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনায় ২ হাজার ৬১৩ টাকা কমিয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয় ২ লাখ ৯৬ টাকা। ২১ ক্যারেটের ১ ভরি সোনায় ২ হাজার ৫০৮ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ৯০ হাজার ৯৯৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের ১ ভরি সোনায় ২ হাজার ১৪৬ টাকা কমিয়ে নতুন দাম ১ লাখ ৬৩ হাজার ৭১৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৮৩১ টাকা কমিয়ে দাম নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ৩৬ হাজার ১৪ টাকা।
সোনার দাম বাড়ানো হলেও রুপার দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ২২ ক্যারেটের ১ ভরি রুপার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ হাজার ২৪৬ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের ১ ভরি রুপার দাম ৪ হাজার ৪৭, ১৮ ক্যারেটের ১ ভরির দাম ৩ হাজার ৪৭৬ এবং সনাতন পদ্ধতির ১ ভরির দাম ২ হাজার ৬০১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

দেড় বছরের বেশি সময় ধরে ডলার সংকট চলছে দেশে। সংকটের এই সময়ে বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেনে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে মানি চেঞ্জার বা মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানগুলো। সব ধরনের নিয়মনীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা মজুত ও বিক্রি করে চলেছে তারা।
২২ অক্টোবর ২০২৩
অনিয়ন্ত্রিত কার্বন নিঃসরণে বাড়ছে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সংকট। দুর্যোগ দিন দিন বাড়লেও তা মোকাবিলায় বিনিয়োগ কমেছে। বিশেষ করে ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, খরা, নদীভাঙন, জলাবদ্ধতা, পানি বৃদ্ধি এবং মাটির লবণাক্ততা মোকাবিলায় গৃহীত উদ্যোগ বাস্তবায়নে দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগ কমেছে।
৭ ঘণ্টা আগে
গত সপ্তাহজুড়ে দেশের শেয়ারবাজারে যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, কমেছে তার চেয়ে বেশি। এতে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের সঙ্গে বাজার মূলধন প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা কমে গেছে। তবে দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে।
৭ ঘণ্টা আগে
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার বাসিন্দা আইয়ুব আলী একসময় রিকশা চালাতেন। শারীরিক সমস্যার কারণে এখন আর তা পারছেন না। বাড়ির কাছে বাজারে হকারি করে কিছু আয়-রোজগারের চেষ্টা করছেন; কিন্তু এতে তাঁর সংসার চলে না। বাধ্য হয়ে অন্যের বাড়িতে কাজ করেন তাঁর স্ত্রী।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অনিয়ন্ত্রিত কার্বন নিঃসরণে বাড়ছে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সংকট। দুর্যোগ দিন দিন বাড়লেও তা মোকাবিলায় বিনিয়োগ কমেছে। বিশেষ করে ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, খরা, নদীভাঙন, জলাবদ্ধতা, পানি বৃদ্ধি এবং মাটির লবণাক্ততা মোকাবিলায় গৃহীত উদ্যোগ বাস্তবায়নে দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগ কমেছে। মূলত চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) টেকসই ও সবুজ অর্থায়নে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগ কমেছে ৯ হাজার ৬০৭ কোটি টাকা। এ প্রান্তিকে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মোট বিনিয়োগ হয়েছে ১ লাখ ৪৮ হাজার ৯৭৪ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। এর আগের প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) মোট বিনিয়োগ হয়েছিল ১ লাখ ৫৮ হাজার ৫৮২ কোটি ৫২ লাখ টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের জুন শেষে টেকসই প্রকল্পে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অর্থায়নের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৪১ হাজার ১২৫ কোটি টাকা। আর চলতি বছরের মার্চ শেষে টেকসই প্রকল্পে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অর্থায়নের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৪৯ হাজার ৮১৯ কোটি শূন্য ৫ লাখ টাকা। সেই হিসাবে তিন মাসের ব্যবধানে টেকসই প্রকল্পে অর্থায়ন কমেছে ৮ হাজার ৬৯৩ কোটি ২ লাখ টাকা।
তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে টেকসই খাতে ব্যাংকগুলো অর্থায়ন করেছে ১ লাখ ৩৮ হাজার ৩৯৫ কোটি ৩১ লাখ টাকা এবং এ খাতে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো অর্থায়ন করেছে ২ হাজার ৭৩০ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স পলিসি অনুযায়ী, ব্যাংকগুলো সাসটেইনেবল ফিন্যান্সের ১১ ক্যাটাগরিতে মোট ৬৮টি পণ্যের বিপরীতে ঋণ দিতে পারে। এসব পণ্যের অধিকাংশই সবুজ অর্থায়নের অন্তর্ভুক্ত। টেকসই প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে, কৃষি, সিএমএসএমই, পরিবেশবান্ধব কারখানা, সামাজিকভাবে দায়িত্বশীল প্রকল্পে অর্থায়ন। যদিও চলমান ঋণের ২০ শতাংশ টেকসই প্রকল্পে দেওয়ার নির্দেশ আছে বাংলাদেশ ব্যাংকের।
এদিকে পরিবেশবান্ধব প্রকল্পের মধ্যে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন, বর্জ্য পরিশোধনাগার বা ইটিপি নির্মাণ, পরিবেশবান্ধব ইট উৎপাদন অন্যতম। এ খাতে মোট মেয়াদি ঋণের ৫ শতাংশ ঋণ দেওয়ার শর্ত রয়েছে।
টেকসই ও সবুজ অর্থায়নে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে উৎসাহিত করতে গত কয়েক বছর বিভিন্ন মানদণ্ডে দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর (এনবিএফআই) টেকসই বা সাসটেইনেবল রেটিং বা মান প্রকাশ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, পরিবেশবান্ধব তথা সবুজ প্রকল্পে চলতি বছরের জুন শেষে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অর্থায়নের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৮৪৯ কোটি শূন্য ৪ লাখ টাকা। আর তিন মাস আগে অর্থাৎ চলতি বছরের মার্চ শেষে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অর্থায়নের পরিমাণ ছিল ৮ হাজার ৭৬৩ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। সেই হিসাবে তিন মাসের ব্যবধানে সবুজ প্রকল্পে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অর্থায়ন কমেছে ৯১৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।
তথ্য বলছে, চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) সবুজ প্রকল্পে ব্যাংকগুলোর অর্থায়নের পরিমাণ ছিল ৭ হাজার ৭০ কোটি ৪৫ লাখ টাকা এবং এ খাতে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অর্থায়নের পরিমাণ ছিল ৭৭৮ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, টেকসই কৃষিতে জুন প্রান্তিকে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অর্থায়ন বেড়েছে। জুন শেষে এ খাতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অর্থায়নের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৬৩৫ কোটি ১৪ লাখ টাকা। আর মার্চ শেষে এ খাতে অর্থায়নের পরিমাণ ছিল ৭ হাজার ৯২৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। সেই হিসাবে জুন প্রান্তিকে টেকসই কৃষিতে অর্থায়ন বেড়েছে ১ হাজার ৭১০ কোটি টাকা।

অনিয়ন্ত্রিত কার্বন নিঃসরণে বাড়ছে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সংকট। দুর্যোগ দিন দিন বাড়লেও তা মোকাবিলায় বিনিয়োগ কমেছে। বিশেষ করে ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, খরা, নদীভাঙন, জলাবদ্ধতা, পানি বৃদ্ধি এবং মাটির লবণাক্ততা মোকাবিলায় গৃহীত উদ্যোগ বাস্তবায়নে দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগ কমেছে। মূলত চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) টেকসই ও সবুজ অর্থায়নে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগ কমেছে ৯ হাজার ৬০৭ কোটি টাকা। এ প্রান্তিকে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মোট বিনিয়োগ হয়েছে ১ লাখ ৪৮ হাজার ৯৭৪ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। এর আগের প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) মোট বিনিয়োগ হয়েছিল ১ লাখ ৫৮ হাজার ৫৮২ কোটি ৫২ লাখ টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের জুন শেষে টেকসই প্রকল্পে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অর্থায়নের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৪১ হাজার ১২৫ কোটি টাকা। আর চলতি বছরের মার্চ শেষে টেকসই প্রকল্পে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অর্থায়নের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৪৯ হাজার ৮১৯ কোটি শূন্য ৫ লাখ টাকা। সেই হিসাবে তিন মাসের ব্যবধানে টেকসই প্রকল্পে অর্থায়ন কমেছে ৮ হাজার ৬৯৩ কোটি ২ লাখ টাকা।
তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে টেকসই খাতে ব্যাংকগুলো অর্থায়ন করেছে ১ লাখ ৩৮ হাজার ৩৯৫ কোটি ৩১ লাখ টাকা এবং এ খাতে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো অর্থায়ন করেছে ২ হাজার ৭৩০ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স পলিসি অনুযায়ী, ব্যাংকগুলো সাসটেইনেবল ফিন্যান্সের ১১ ক্যাটাগরিতে মোট ৬৮টি পণ্যের বিপরীতে ঋণ দিতে পারে। এসব পণ্যের অধিকাংশই সবুজ অর্থায়নের অন্তর্ভুক্ত। টেকসই প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে, কৃষি, সিএমএসএমই, পরিবেশবান্ধব কারখানা, সামাজিকভাবে দায়িত্বশীল প্রকল্পে অর্থায়ন। যদিও চলমান ঋণের ২০ শতাংশ টেকসই প্রকল্পে দেওয়ার নির্দেশ আছে বাংলাদেশ ব্যাংকের।
এদিকে পরিবেশবান্ধব প্রকল্পের মধ্যে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন, বর্জ্য পরিশোধনাগার বা ইটিপি নির্মাণ, পরিবেশবান্ধব ইট উৎপাদন অন্যতম। এ খাতে মোট মেয়াদি ঋণের ৫ শতাংশ ঋণ দেওয়ার শর্ত রয়েছে।
টেকসই ও সবুজ অর্থায়নে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে উৎসাহিত করতে গত কয়েক বছর বিভিন্ন মানদণ্ডে দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর (এনবিএফআই) টেকসই বা সাসটেইনেবল রেটিং বা মান প্রকাশ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, পরিবেশবান্ধব তথা সবুজ প্রকল্পে চলতি বছরের জুন শেষে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অর্থায়নের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৮৪৯ কোটি শূন্য ৪ লাখ টাকা। আর তিন মাস আগে অর্থাৎ চলতি বছরের মার্চ শেষে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অর্থায়নের পরিমাণ ছিল ৮ হাজার ৭৬৩ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। সেই হিসাবে তিন মাসের ব্যবধানে সবুজ প্রকল্পে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অর্থায়ন কমেছে ৯১৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।
তথ্য বলছে, চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) সবুজ প্রকল্পে ব্যাংকগুলোর অর্থায়নের পরিমাণ ছিল ৭ হাজার ৭০ কোটি ৪৫ লাখ টাকা এবং এ খাতে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অর্থায়নের পরিমাণ ছিল ৭৭৮ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, টেকসই কৃষিতে জুন প্রান্তিকে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অর্থায়ন বেড়েছে। জুন শেষে এ খাতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অর্থায়নের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৬৩৫ কোটি ১৪ লাখ টাকা। আর মার্চ শেষে এ খাতে অর্থায়নের পরিমাণ ছিল ৭ হাজার ৯২৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। সেই হিসাবে জুন প্রান্তিকে টেকসই কৃষিতে অর্থায়ন বেড়েছে ১ হাজার ৭১০ কোটি টাকা।

দেড় বছরের বেশি সময় ধরে ডলার সংকট চলছে দেশে। সংকটের এই সময়ে বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেনে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে মানি চেঞ্জার বা মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানগুলো। সব ধরনের নিয়মনীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা মজুত ও বিক্রি করে চলেছে তারা।
২২ অক্টোবর ২০২৩
কিছুটা কমানোর পর দেশের বাজারে সোনার দাম আবার বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৬৮০ টাকা। এতে ১ ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১ হাজার ৭৭৬ টাকা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
গত সপ্তাহজুড়ে দেশের শেয়ারবাজারে যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, কমেছে তার চেয়ে বেশি। এতে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের সঙ্গে বাজার মূলধন প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা কমে গেছে। তবে দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে।
৭ ঘণ্টা আগে
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার বাসিন্দা আইয়ুব আলী একসময় রিকশা চালাতেন। শারীরিক সমস্যার কারণে এখন আর তা পারছেন না। বাড়ির কাছে বাজারে হকারি করে কিছু আয়-রোজগারের চেষ্টা করছেন; কিন্তু এতে তাঁর সংসার চলে না। বাধ্য হয়ে অন্যের বাড়িতে কাজ করেন তাঁর স্ত্রী।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

গত সপ্তাহজুড়ে দেশের শেয়ারবাজারে যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, কমেছে তার চেয়ে বেশি। এতে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের সঙ্গে বাজার মূলধন প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা কমে গেছে। তবে দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে।
গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১৭৭টির স্থান হয়েছে দাম বাড়ার তালিকায়। বিপরীতে দাম কমেছে ৩৬টির। আর ১৭৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। অর্থাৎ লেনদেনে অংশ নেওয়া ৪৫ দশমিক ৫৫ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের দরপতন হয়েছে।
দরপতনের তালিকা বড় হওয়ায় সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৯৯ হাজার ৫৪৭ কোটি টাকা, যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৭ লাখ ৫ হাজার ৩৪৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৫ হাজার ৭৯৬ কোটি টাকা বা দশমিক ৮২ শতাংশ।
আগের সপ্তাহে বাজার মূলধন বাড়ে ৬ হাজার ৫৮ কোটি টাকা। তার আগের দুই সপ্তাহে কমে যথাক্রমে ১৭ হাজার ৮৪১ কোটি ও ৭ হাজার ৯৩৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ দুই সপ্তাহে ২৫ হাজার কোটি টাকা কমার পর ডিএসইর বাজার মূলধন ৬ হাজার কোটি টাকা বাড়ে। এখন আবার প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা কমল।
বাজার মূলধন কমার পাশাপাশি ডিএসইতে প্রধান মূল্যসূচকও কমেছে। ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স সপ্তাহজুড়ে কমেছে ২৭ দশমিক ৬৭ পয়েন্ট বা দশমিক ৫৪ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ৩০ দশমিক ৪৭ পয়েন্ট বা দশমিক ৬০ শতাংশ। তার আগের দুই সপ্তাহে কমে ১৬৪ দশমিক ৩০ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ১১ শতাংশ এবং ১৩২ দশমিক শূন্য ৭ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
এদিকে গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনের গতি কিছুটা বেড়েছে। সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৪৫৭ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৪২৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ২৯ কোটি ৬৩ লাখ টাকা বা ৬ দশমিক ৯৩ শতাংশ।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ার। কোম্পানিটির শেয়ার প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ২৪ কোটি ১০ লাখ টাকা, যা মোট লেনদেনের ৫ দশমিক ২৭ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগের শেয়ার প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ১৮ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। প্রতিদিন গড়ে ১৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকা লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক।
এ ছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে ডমিনেজ স্টিল বিল্ডিং, রবি, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, প্রগতি ইনস্যুরেন্স, সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট, সিটি ব্যাংক এবং সোনালী পেপার।

গত সপ্তাহজুড়ে দেশের শেয়ারবাজারে যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, কমেছে তার চেয়ে বেশি। এতে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের সঙ্গে বাজার মূলধন প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা কমে গেছে। তবে দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে।
গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১৭৭টির স্থান হয়েছে দাম বাড়ার তালিকায়। বিপরীতে দাম কমেছে ৩৬টির। আর ১৭৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। অর্থাৎ লেনদেনে অংশ নেওয়া ৪৫ দশমিক ৫৫ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের দরপতন হয়েছে।
দরপতনের তালিকা বড় হওয়ায় সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৯৯ হাজার ৫৪৭ কোটি টাকা, যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৭ লাখ ৫ হাজার ৩৪৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৫ হাজার ৭৯৬ কোটি টাকা বা দশমিক ৮২ শতাংশ।
আগের সপ্তাহে বাজার মূলধন বাড়ে ৬ হাজার ৫৮ কোটি টাকা। তার আগের দুই সপ্তাহে কমে যথাক্রমে ১৭ হাজার ৮৪১ কোটি ও ৭ হাজার ৯৩৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ দুই সপ্তাহে ২৫ হাজার কোটি টাকা কমার পর ডিএসইর বাজার মূলধন ৬ হাজার কোটি টাকা বাড়ে। এখন আবার প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা কমল।
বাজার মূলধন কমার পাশাপাশি ডিএসইতে প্রধান মূল্যসূচকও কমেছে। ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স সপ্তাহজুড়ে কমেছে ২৭ দশমিক ৬৭ পয়েন্ট বা দশমিক ৫৪ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ৩০ দশমিক ৪৭ পয়েন্ট বা দশমিক ৬০ শতাংশ। তার আগের দুই সপ্তাহে কমে ১৬৪ দশমিক ৩০ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ১১ শতাংশ এবং ১৩২ দশমিক শূন্য ৭ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
এদিকে গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনের গতি কিছুটা বেড়েছে। সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৪৫৭ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৪২৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ২৯ কোটি ৬৩ লাখ টাকা বা ৬ দশমিক ৯৩ শতাংশ।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ার। কোম্পানিটির শেয়ার প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ২৪ কোটি ১০ লাখ টাকা, যা মোট লেনদেনের ৫ দশমিক ২৭ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগের শেয়ার প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ১৮ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। প্রতিদিন গড়ে ১৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকা লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক।
এ ছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে ডমিনেজ স্টিল বিল্ডিং, রবি, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, প্রগতি ইনস্যুরেন্স, সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট, সিটি ব্যাংক এবং সোনালী পেপার।

দেড় বছরের বেশি সময় ধরে ডলার সংকট চলছে দেশে। সংকটের এই সময়ে বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেনে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে মানি চেঞ্জার বা মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানগুলো। সব ধরনের নিয়মনীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা মজুত ও বিক্রি করে চলেছে তারা।
২২ অক্টোবর ২০২৩
কিছুটা কমানোর পর দেশের বাজারে সোনার দাম আবার বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৬৮০ টাকা। এতে ১ ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১ হাজার ৭৭৬ টাকা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
অনিয়ন্ত্রিত কার্বন নিঃসরণে বাড়ছে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সংকট। দুর্যোগ দিন দিন বাড়লেও তা মোকাবিলায় বিনিয়োগ কমেছে। বিশেষ করে ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, খরা, নদীভাঙন, জলাবদ্ধতা, পানি বৃদ্ধি এবং মাটির লবণাক্ততা মোকাবিলায় গৃহীত উদ্যোগ বাস্তবায়নে দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগ কমেছে।
৭ ঘণ্টা আগে
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার বাসিন্দা আইয়ুব আলী একসময় রিকশা চালাতেন। শারীরিক সমস্যার কারণে এখন আর তা পারছেন না। বাড়ির কাছে বাজারে হকারি করে কিছু আয়-রোজগারের চেষ্টা করছেন; কিন্তু এতে তাঁর সংসার চলে না। বাধ্য হয়ে অন্যের বাড়িতে কাজ করেন তাঁর স্ত্রী।
২ দিন আগেরোকন উদ্দীন, ঢাকা

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার বাসিন্দা আইয়ুব আলী একসময় রিকশা চালাতেন। শারীরিক সমস্যার কারণে এখন আর তা পারছেন না। বাড়ির কাছে বাজারে হকারি করে কিছু আয়-রোজগারের চেষ্টা করছেন; কিন্তু এতে তাঁর সংসার চলে না। বাধ্য হয়ে অন্যের বাড়িতে কাজ করেন তাঁর স্ত্রী। এমন অভাব-অনটনে থাকা পরিবার বারবার চেয়েও পায়নি স্বল্পমূল্য পণ্য ক্রয়ের ফ্যামিলি কার্ড। শুধু আইয়ুব আলীই নন, তাঁর মতো প্রায় দেড় কোটি দরিদ্র মানুষ স্বল্পমূল্যের পণ্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত সাড়ে ৩৮ লাখ ফ্যামিলি কার্ড এখনো বিতরণ না হওয়ায়।
আইয়ুব আলী জানান, ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) প্রথম যখন ফ্যামিলি কার্ড বিতরণ শুরু করে তখন একটা কার্ড চেয়েছিলেন; কিন্তু পাননি। এখনো পাচ্ছেন না। তিনি বলেন, ‘আগের সরকারের সময় নেতাদের পিছে পিছে অনেক ঘুরেছি, মেম্বার-চেয়ারম্যানের কাছে গেছি, কার্ড পাইনি। এখন মেম্বার-চেয়ারম্যান নাই, কার কাছে যামু? নেতারা তাঁদের দলীয় লোকদের নামে কার্ড করতেই ব্যস্ত।’
পণ্য বিক্রিতে শৃঙ্খলা ফেরানো এবং প্রকৃত উপকারভোগী চিহ্নিত করে তাদের কাছে পণ্য পৌঁছানোর লক্ষ্যে ২০২২ সালে চালু করা হয় ‘ফ্যামিলি কার্ড’ ব্যবস্থা। লক্ষ্য ছিল ১ কোটি পরিবারকে এ কার্ডের আওতায় নিয়ে আসা। সে অনুযায়ী এক বছরের মধ্যে সরাসরি উপকারভোগী হিসেবে ১ কোটি পরিবারকে কার্ডও দেওয়া হয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রতিটি কার্ডের বিপরীতে ৪ জন করে উপকারভোগী হিসাব করেছিল তখন। সে হিসাবে মোট ৪ কোটি দরিদ্র মানুষ এ কার্ডের আওতায় ছিল।
গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে এসব কার্ড বিতরণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ফ্যামিলি কার্ড বিতরণে অনিয়ম খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নেয়। নানা যাচাই-বাছাই শেষে গত বছরের নভেম্বরের শুরুতে ৫৭ লাখ কার্ডকে স্মার্টকার্ডে রূপান্তর করা হয়। বাকি ৪৩ লাখ কার্ড বাতিল করে নতুন করে তথ্য চাওয়া হয় স্থানীয় সরকারের কাছে। চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে ৫৭ লাখ কার্ডের বিপরীতে পণ্য বিতরণ শুরু করে টিসিবি। টিসিবির সর্বশেষ হিসাবমতে, বর্তমানে ১ কোটি ফ্যামিলি কার্ডের মধ্যে সচল হয়েছে ৬১ লাখ ৫১ হাজার ২৩২টি। বাকি ৩৮ লাখ ৪৯ হাজার কার্ড এখনো অকার্যকর রয়েছে। প্রতিটি কার্ডের বিপরীতে ৪ জন করে হিসাবে করলে দেড় কোটি দরিদ্র মানুষ ফ্যামিলি কার্ডের সুবিধা থেকে বঞ্চিত।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি) এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ২০২২ সালে দেশে দারিদ্র্যের হার ছিল ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ। সে হিসাবে তখন দেশে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা ছিল ৩ কোটি ১৭ লাখ (জনসংখ্যা ১৭.৯৮ কোটি)।
গত চার বছরে দারিদ্র্যের হার বেড়ে ২৭ দশমিক ৯৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। দেশে বর্তমানে ৫ কোটি দরিদ্র মানুষ রয়েছে। বিপরীতে টিসিবির পণ্য পাচ্ছে ২ কোটি ৪৭ লাখ দরিদ্র মানুষ।
৪ কোটির মধ্যে বাকি ১ কোটি ৫৩ লাখ মানুষ সরকারের এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
টিসিবির কর্মকর্তারা বলছেন, একই ফ্যামিলিতে দুটি কার্ড থাকা, একই ফোন নম্বরে একাধিক কার্ড থাকা, কার্ডধারীর ফোন নম্বর সচল না থাকা, কার্ডধারীর মৃত্যুসহ বিভিন্ন কারণে বাতিল করা হয়। এসব সমস্যা না থাকলে আগের তালিকা অনুসারেই হাতে লেখা কার্ডের পরিবর্তে স্মার্টকার্ড বিতরণ করা হয়েছে। পরে স্মার্টকার্ড বিতরণের পরও অনেকে কার্ড সংগ্রহ ও অ্যাকটিভ করেনি। সে কার্ডগুলোও বাতিল করা হয়।
টিসিবির মুখপাত্র ও উপপরিচালক (বাণিজ্যিক) মো. শাহাদত হোসেন বলেন, ‘বাতিল হওয়া কার্ডগুলো প্রতিস্থাপনে গতিধীর হওয়ার মূল কারণ স্থানীয় সরকার থেকে তথ্য পাওয়ায় ধীরগতি। উপজেলা, জেলা কিংবা সিটি করপোরেশন থেকে কার্ডধারীদের নাম, ফোন নম্বর ও বিস্তারিত তথ্য দিলে আমাদের কাজ কার্ড প্রিন্ট করে বিতরণ করছি এবং পরে এসব কার্ডের বিপরীতে পণ্য বরাদ্দ দিচ্ছি।
’আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে বাকি কার্ডগুলো প্রতিস্থাপন হবে করা বলে আশা করছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। তাঁরা বলছেন, ডিসি ও সিটি করপোরেশনের প্রশাসকদের সঙ্গে বাণিজ্য উপদেষ্টা এ বিষয়ে বৈঠক করে করে দ্রুত তথ্য দিতে নির্দেশনা দিয়েছেন উপদেষ্টা।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি এস এম নাজের হোসাইন মনে করছেন, টিসিবি দায়সারা কাজ করছে। তিনি বলেন, এটা ঠিক যে, অনেক জায়গায় চেয়ারম্যান-মেম্বার না থাকায় কিছু সমস্যা হচ্ছে। তাই বলে এক বছরেও ৩৮ লাখ কার্ড বিতরণ করতে পারেননি তাঁরা, তা হলে তাঁরা কী কাজ করেন? তাঁরা সঠিকভাবে মনিটরিং করলে, স্থানীয় সরকারকে চাপ দিলে এত দিনে কার্ড হয়ে যেত। এ কার্ডগুলো বিতরণ করা হলে এই দুর্মূল্যের বাজারে দেড় কোটি মানুষ স্বস্তি পেত।

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার বাসিন্দা আইয়ুব আলী একসময় রিকশা চালাতেন। শারীরিক সমস্যার কারণে এখন আর তা পারছেন না। বাড়ির কাছে বাজারে হকারি করে কিছু আয়-রোজগারের চেষ্টা করছেন; কিন্তু এতে তাঁর সংসার চলে না। বাধ্য হয়ে অন্যের বাড়িতে কাজ করেন তাঁর স্ত্রী। এমন অভাব-অনটনে থাকা পরিবার বারবার চেয়েও পায়নি স্বল্পমূল্য পণ্য ক্রয়ের ফ্যামিলি কার্ড। শুধু আইয়ুব আলীই নন, তাঁর মতো প্রায় দেড় কোটি দরিদ্র মানুষ স্বল্পমূল্যের পণ্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত সাড়ে ৩৮ লাখ ফ্যামিলি কার্ড এখনো বিতরণ না হওয়ায়।
আইয়ুব আলী জানান, ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) প্রথম যখন ফ্যামিলি কার্ড বিতরণ শুরু করে তখন একটা কার্ড চেয়েছিলেন; কিন্তু পাননি। এখনো পাচ্ছেন না। তিনি বলেন, ‘আগের সরকারের সময় নেতাদের পিছে পিছে অনেক ঘুরেছি, মেম্বার-চেয়ারম্যানের কাছে গেছি, কার্ড পাইনি। এখন মেম্বার-চেয়ারম্যান নাই, কার কাছে যামু? নেতারা তাঁদের দলীয় লোকদের নামে কার্ড করতেই ব্যস্ত।’
পণ্য বিক্রিতে শৃঙ্খলা ফেরানো এবং প্রকৃত উপকারভোগী চিহ্নিত করে তাদের কাছে পণ্য পৌঁছানোর লক্ষ্যে ২০২২ সালে চালু করা হয় ‘ফ্যামিলি কার্ড’ ব্যবস্থা। লক্ষ্য ছিল ১ কোটি পরিবারকে এ কার্ডের আওতায় নিয়ে আসা। সে অনুযায়ী এক বছরের মধ্যে সরাসরি উপকারভোগী হিসেবে ১ কোটি পরিবারকে কার্ডও দেওয়া হয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রতিটি কার্ডের বিপরীতে ৪ জন করে উপকারভোগী হিসাব করেছিল তখন। সে হিসাবে মোট ৪ কোটি দরিদ্র মানুষ এ কার্ডের আওতায় ছিল।
গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে এসব কার্ড বিতরণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ফ্যামিলি কার্ড বিতরণে অনিয়ম খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নেয়। নানা যাচাই-বাছাই শেষে গত বছরের নভেম্বরের শুরুতে ৫৭ লাখ কার্ডকে স্মার্টকার্ডে রূপান্তর করা হয়। বাকি ৪৩ লাখ কার্ড বাতিল করে নতুন করে তথ্য চাওয়া হয় স্থানীয় সরকারের কাছে। চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে ৫৭ লাখ কার্ডের বিপরীতে পণ্য বিতরণ শুরু করে টিসিবি। টিসিবির সর্বশেষ হিসাবমতে, বর্তমানে ১ কোটি ফ্যামিলি কার্ডের মধ্যে সচল হয়েছে ৬১ লাখ ৫১ হাজার ২৩২টি। বাকি ৩৮ লাখ ৪৯ হাজার কার্ড এখনো অকার্যকর রয়েছে। প্রতিটি কার্ডের বিপরীতে ৪ জন করে হিসাবে করলে দেড় কোটি দরিদ্র মানুষ ফ্যামিলি কার্ডের সুবিধা থেকে বঞ্চিত।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি) এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ২০২২ সালে দেশে দারিদ্র্যের হার ছিল ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ। সে হিসাবে তখন দেশে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা ছিল ৩ কোটি ১৭ লাখ (জনসংখ্যা ১৭.৯৮ কোটি)।
গত চার বছরে দারিদ্র্যের হার বেড়ে ২৭ দশমিক ৯৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। দেশে বর্তমানে ৫ কোটি দরিদ্র মানুষ রয়েছে। বিপরীতে টিসিবির পণ্য পাচ্ছে ২ কোটি ৪৭ লাখ দরিদ্র মানুষ।
৪ কোটির মধ্যে বাকি ১ কোটি ৫৩ লাখ মানুষ সরকারের এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
টিসিবির কর্মকর্তারা বলছেন, একই ফ্যামিলিতে দুটি কার্ড থাকা, একই ফোন নম্বরে একাধিক কার্ড থাকা, কার্ডধারীর ফোন নম্বর সচল না থাকা, কার্ডধারীর মৃত্যুসহ বিভিন্ন কারণে বাতিল করা হয়। এসব সমস্যা না থাকলে আগের তালিকা অনুসারেই হাতে লেখা কার্ডের পরিবর্তে স্মার্টকার্ড বিতরণ করা হয়েছে। পরে স্মার্টকার্ড বিতরণের পরও অনেকে কার্ড সংগ্রহ ও অ্যাকটিভ করেনি। সে কার্ডগুলোও বাতিল করা হয়।
টিসিবির মুখপাত্র ও উপপরিচালক (বাণিজ্যিক) মো. শাহাদত হোসেন বলেন, ‘বাতিল হওয়া কার্ডগুলো প্রতিস্থাপনে গতিধীর হওয়ার মূল কারণ স্থানীয় সরকার থেকে তথ্য পাওয়ায় ধীরগতি। উপজেলা, জেলা কিংবা সিটি করপোরেশন থেকে কার্ডধারীদের নাম, ফোন নম্বর ও বিস্তারিত তথ্য দিলে আমাদের কাজ কার্ড প্রিন্ট করে বিতরণ করছি এবং পরে এসব কার্ডের বিপরীতে পণ্য বরাদ্দ দিচ্ছি।
’আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে বাকি কার্ডগুলো প্রতিস্থাপন হবে করা বলে আশা করছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। তাঁরা বলছেন, ডিসি ও সিটি করপোরেশনের প্রশাসকদের সঙ্গে বাণিজ্য উপদেষ্টা এ বিষয়ে বৈঠক করে করে দ্রুত তথ্য দিতে নির্দেশনা দিয়েছেন উপদেষ্টা।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি এস এম নাজের হোসাইন মনে করছেন, টিসিবি দায়সারা কাজ করছে। তিনি বলেন, এটা ঠিক যে, অনেক জায়গায় চেয়ারম্যান-মেম্বার না থাকায় কিছু সমস্যা হচ্ছে। তাই বলে এক বছরেও ৩৮ লাখ কার্ড বিতরণ করতে পারেননি তাঁরা, তা হলে তাঁরা কী কাজ করেন? তাঁরা সঠিকভাবে মনিটরিং করলে, স্থানীয় সরকারকে চাপ দিলে এত দিনে কার্ড হয়ে যেত। এ কার্ডগুলো বিতরণ করা হলে এই দুর্মূল্যের বাজারে দেড় কোটি মানুষ স্বস্তি পেত।

দেড় বছরের বেশি সময় ধরে ডলার সংকট চলছে দেশে। সংকটের এই সময়ে বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেনে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে মানি চেঞ্জার বা মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানগুলো। সব ধরনের নিয়মনীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা মজুত ও বিক্রি করে চলেছে তারা।
২২ অক্টোবর ২০২৩
কিছুটা কমানোর পর দেশের বাজারে সোনার দাম আবার বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৬৮০ টাকা। এতে ১ ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১ হাজার ৭৭৬ টাকা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
অনিয়ন্ত্রিত কার্বন নিঃসরণে বাড়ছে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সংকট। দুর্যোগ দিন দিন বাড়লেও তা মোকাবিলায় বিনিয়োগ কমেছে। বিশেষ করে ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, খরা, নদীভাঙন, জলাবদ্ধতা, পানি বৃদ্ধি এবং মাটির লবণাক্ততা মোকাবিলায় গৃহীত উদ্যোগ বাস্তবায়নে দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগ কমেছে।
৭ ঘণ্টা আগে
গত সপ্তাহজুড়ে দেশের শেয়ারবাজারে যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, কমেছে তার চেয়ে বেশি। এতে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের সঙ্গে বাজার মূলধন প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা কমে গেছে। তবে দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে।
৭ ঘণ্টা আগে