অভ্যন্তরীণ বাজারে স্থিতিশীলতা রক্ষার স্বার্থে নন-বাসমতী সাদা চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ভারত। সরকারের এ সিদ্ধান্তের পর ভারতীয় ডিলাররা আশঙ্কা করছেন, প্রায় ২০ লাখ ডলারের রপ্তানি চুক্তি ঝুঁকিতে পড়ল। এসব চাল আদৌ আর সরবরাহ করা যাবে কি না তা অনিশ্চিত। এই পরিমাণ চালের রপ্তানিমূল্য ১০০ কোটি ডলার।
গত শুক্রবার ভারতীয় ডিলারদের সঙ্গে কথা বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। তাঁরা সবাই একই আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন।
বৈশ্বিক চাল রপ্তানির ৪০ শতাংশই সরবরাহ করে ভারত। অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম বৃদ্ধির আশঙ্কায় গত বৃহস্পতিবার চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত সরকার। বৈরী আবহাওয়ার কারণে ধানের উৎপাদন কমে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে গত সপ্তাহেই ভারতে চালের দাম গত কয়েক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ হয়েছে।
মুম্বাইভিত্তিক একজন ডিলার রয়টার্সকে জানান, তাঁর আশঙ্কা, গত কয়েক দিনের মধ্যে যেসব ব্যবসায়ী ঋণপত্র (এলসি) অথবা পেমেন্ট গ্যারেন্টি পেয়েছেন তাঁরা চাল রপ্তানি করতে পারবেন না। চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আসছে—এটা তাঁরা অনুমান করেছিলেন। কিন্তু সরকার এত তাড়াতাড়ি করবে—এটা ভাবতে পারেননি। তাঁদের ধারণা ছিল, আগামী আগস্ট বা সেপ্টেম্বরে নিষেধাজ্ঞা আসবে। সরকার নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় এখন চুক্তি বাতিল করা ছাড়া ব্যবসায়ীদের কোনো উপায় নেই।
অন্তত চারজন ডিলার নিশ্চিত করেছেন, রপ্তানি চুক্তিতে থাকা ১০০ কোটি ডলার সমমূল্যের প্রায় ২০ লাখ টন চালের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত।
গত বৃহস্পতিবার সরকার ঘোষণা দেয়, ২০ জুলাই থেকেই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। তবে ঘোষণার সময় যেসব জাহাজে চালবোঝাই করা হচ্ছিল, শুধু সেসব সরবরাহ করা যাবে। কিন্তু আগের এলসির ভিত্তিতে ভবিষ্যতের সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
ওলাম অ্যাগ্রি ইন্ডিয়া লিমিটেডের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট নীতিন গুপ্ত বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা সাধারণত আগাম চুক্তি করে থাকেন। আগামী কয়েক মাসের রপ্তানি চুক্তি তাঁরা এখনই করে ফেলেন। সরকারের নিষেধাজ্ঞার কারণে তাঁরা বিপদে পড়বেন।’
নীতিন জানান, নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার আগে পর্যন্ত ভারত প্রতি মাসে প্রায় পাঁচ লাখ নন-বাসমতী সাদা চাল রপ্তানি করত।
এদিকে রাইস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বি ভি কৃষ্ণা রাও বলেন, শুক্রবার পর্যন্ত ভারতীয় বিভিন্ন বন্দরে প্রায় দুই লাখ টন চাল লোড করা হচ্ছিল। এসব চাল সরবরাহে সমস্যা হবে না। কিন্তু যেসব এলসি খোলা হয়েছে সেগুলোর বিপরীতে চাল সরবরাহে সরকারের অনুমতি দেওয়া উচিত।
তবে দুজন ব্যবসায়ী এবং একজন সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সরকারের এমন ছাড় দেওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
অপর দিকে নয়াদিল্লিভিত্তিক একজন ব্যবসায়ী বলেন, ‘কিছু রপ্তানিকারক এরই মধ্যে বিভিন্ন মিল থেকে উচ্চমূল্যে চাল কিনেছেন। রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় এখন দেশের বাজারে দাম পড়ে যাবে। এতে এই ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।’
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারত চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় এখন বিশ্ববাজারের চালের দাম বাড়বে। আর এদিকে অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম কমবে।
উল্লেখ্য, ভারতের নন-বাসমতী সাদা চালের প্রধান আমদানিকারকদের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ, নেপাল, বেনিন, সেনেগাল, আইভরি কোস্ট, টোগো ও গিনি। সারা বিশ্বে ৩০০ কোটির বেশি মানুষের প্রধান খাদ্য ভাত। এই শস্যের ৯০ শতাংশই উৎপন্ন হয় এশিয়ায়। তবে এল-নিনোর প্রভাবে খরার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফলে সেচের ওপর নির্ভরশীল ধানের উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
অভ্যন্তরীণ বাজারে স্থিতিশীলতা রক্ষার স্বার্থে নন-বাসমতী সাদা চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ভারত। সরকারের এ সিদ্ধান্তের পর ভারতীয় ডিলাররা আশঙ্কা করছেন, প্রায় ২০ লাখ ডলারের রপ্তানি চুক্তি ঝুঁকিতে পড়ল। এসব চাল আদৌ আর সরবরাহ করা যাবে কি না তা অনিশ্চিত। এই পরিমাণ চালের রপ্তানিমূল্য ১০০ কোটি ডলার।
গত শুক্রবার ভারতীয় ডিলারদের সঙ্গে কথা বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। তাঁরা সবাই একই আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন।
বৈশ্বিক চাল রপ্তানির ৪০ শতাংশই সরবরাহ করে ভারত। অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম বৃদ্ধির আশঙ্কায় গত বৃহস্পতিবার চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত সরকার। বৈরী আবহাওয়ার কারণে ধানের উৎপাদন কমে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে গত সপ্তাহেই ভারতে চালের দাম গত কয়েক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ হয়েছে।
মুম্বাইভিত্তিক একজন ডিলার রয়টার্সকে জানান, তাঁর আশঙ্কা, গত কয়েক দিনের মধ্যে যেসব ব্যবসায়ী ঋণপত্র (এলসি) অথবা পেমেন্ট গ্যারেন্টি পেয়েছেন তাঁরা চাল রপ্তানি করতে পারবেন না। চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আসছে—এটা তাঁরা অনুমান করেছিলেন। কিন্তু সরকার এত তাড়াতাড়ি করবে—এটা ভাবতে পারেননি। তাঁদের ধারণা ছিল, আগামী আগস্ট বা সেপ্টেম্বরে নিষেধাজ্ঞা আসবে। সরকার নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় এখন চুক্তি বাতিল করা ছাড়া ব্যবসায়ীদের কোনো উপায় নেই।
অন্তত চারজন ডিলার নিশ্চিত করেছেন, রপ্তানি চুক্তিতে থাকা ১০০ কোটি ডলার সমমূল্যের প্রায় ২০ লাখ টন চালের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত।
গত বৃহস্পতিবার সরকার ঘোষণা দেয়, ২০ জুলাই থেকেই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। তবে ঘোষণার সময় যেসব জাহাজে চালবোঝাই করা হচ্ছিল, শুধু সেসব সরবরাহ করা যাবে। কিন্তু আগের এলসির ভিত্তিতে ভবিষ্যতের সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
ওলাম অ্যাগ্রি ইন্ডিয়া লিমিটেডের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট নীতিন গুপ্ত বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা সাধারণত আগাম চুক্তি করে থাকেন। আগামী কয়েক মাসের রপ্তানি চুক্তি তাঁরা এখনই করে ফেলেন। সরকারের নিষেধাজ্ঞার কারণে তাঁরা বিপদে পড়বেন।’
নীতিন জানান, নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার আগে পর্যন্ত ভারত প্রতি মাসে প্রায় পাঁচ লাখ নন-বাসমতী সাদা চাল রপ্তানি করত।
এদিকে রাইস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বি ভি কৃষ্ণা রাও বলেন, শুক্রবার পর্যন্ত ভারতীয় বিভিন্ন বন্দরে প্রায় দুই লাখ টন চাল লোড করা হচ্ছিল। এসব চাল সরবরাহে সমস্যা হবে না। কিন্তু যেসব এলসি খোলা হয়েছে সেগুলোর বিপরীতে চাল সরবরাহে সরকারের অনুমতি দেওয়া উচিত।
তবে দুজন ব্যবসায়ী এবং একজন সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সরকারের এমন ছাড় দেওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
অপর দিকে নয়াদিল্লিভিত্তিক একজন ব্যবসায়ী বলেন, ‘কিছু রপ্তানিকারক এরই মধ্যে বিভিন্ন মিল থেকে উচ্চমূল্যে চাল কিনেছেন। রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় এখন দেশের বাজারে দাম পড়ে যাবে। এতে এই ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।’
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারত চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় এখন বিশ্ববাজারের চালের দাম বাড়বে। আর এদিকে অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম কমবে।
উল্লেখ্য, ভারতের নন-বাসমতী সাদা চালের প্রধান আমদানিকারকদের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ, নেপাল, বেনিন, সেনেগাল, আইভরি কোস্ট, টোগো ও গিনি। সারা বিশ্বে ৩০০ কোটির বেশি মানুষের প্রধান খাদ্য ভাত। এই শস্যের ৯০ শতাংশই উৎপন্ন হয় এশিয়ায়। তবে এল-নিনোর প্রভাবে খরার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফলে সেচের ওপর নির্ভরশীল ধানের উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
‘আমরা যে চামড়ার দাম নির্ধারণ করেছিলাম, সেটি ছিল লবণসহ দাম। ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা যেটা বিক্রি হচ্ছে, সেটি লবন ছাড়া। বিগত বহু বছর ধরে যে দামে বিক্রি হতো এই দাম তাঁর থেকে বেশি।’
১ দিন আগে২০২৫-২৬ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে সংস্কৃতি খাতে বরাদ্দ প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর নাট্য পর্ষদ। আজ রোববার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি এমনটি জানিয়েছে।
১ দিন আগেরাফায়েল গ্যালার্দো বলেন, ‘আমেরিকা এখন বিনিয়োগের জন্য নিরাপদ নয়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নতুন কর নীতি বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীদের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করেছে।’
২ দিন আগেভারতের তৈরি পোশাক শিল্প বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার সুযোগ কাজে লাগিয়ে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে নিজেদের অবস্থান জোরদার করছে। শুল্কমুক্ত বা স্বল্প শুল্ক সুবিধা, উৎপাদন দক্ষতা ও সরকারের সহায়তায় ভারতীয় গার্মেন্টস শিল্প দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে, যার নেতৃত্বে রয়েছে
২ দিন আগে