ফারুক মেহেদী, ঢাকা

টানা লকডাউনে স্থবির হয়ে পড়ছে অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য। আমদানি, রপ্তানিতে দীর্ঘ হচ্ছে অচলাবস্থা। অর্থনীতির প্রাণ তৈরি পোশাকসহ প্রায় সব ধরনের কারখানা বন্ধের ফলে পুরো সাপ্লাই চেইন বা সরবরাহব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তার কারণে নাজুক হয়ে পড়েছে বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান পরিস্থিতি। প্রায় মরে যাচ্ছে পর্যটন খাত। ক্ষুদ্র শিল্প থেকে শাকসবজি; কৃষি থেকে বড় শিল্প কিংবা সেবা খাত-সর্বত্র শুধুই অনিশ্চয়তা আর অজানা আতঙ্ক।
সরকারের অর্থনীতির রক্তপ্রবাহ বলে পরিচিত রাজস্ব আয়ও থমকে যাচ্ছে। মাঠপর্যায়ে ৫০ থেকে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত রাজস্ব আদায় কম হচ্ছে। সব মিলিয়ে কমছে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের আয়। গরিব হচ্ছে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ। করোনার উচ্চ সংক্রমণে লকডাউন অবধারিত হলেও সার্বিকভাবে বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় অর্থনীতি এখন ক্ষতির চক্রে ঘুরপাক খাচ্ছে। বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তা ও বিশ্লেষকেরা মনে করেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি কঠিন সময় পার করছে। এভাবে চলত থাকলে অনেক প্রতিষ্ঠানই বন্ধ হয়ে যাবে।
চলতি অর্থবছর শুরু প্রথম মাস প্রায় শেষের পথে। বিদায়ী অর্থবছরের করোনার কালো থাবার রেশ নতুন অর্থবছরকেও আক্রান্ত করেছে। দফায় দফায় লকডাউনে বিপর্যস্ত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। চলতি অর্থবছরে সরকার ৬ লাখ ২ হাজার কোটি টাকার বাজেটে শুধু কর রাজস্ব আদায় করার কথা ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। সেই হিসাবে গড়ে প্রতি কর্মদিবসে আদায় করার কথা ১ হাজার ২৬৪ কোটি টাকা। এর হেরফের হলেই ঘাটতি বাড়তে থাকবে। তবে এনবিআরের বিভিন্ন কর, ভ্যাট ও শুল্ক কমিশনারেটে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজস্ব আয়েও করোনার শক্ত থাবা পড়েছে। জরুরি সেবার আওতায় বলে রাজস্ব অফিস খুলে বসে থাকছেন কর্মকর্তারা।
কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আসছে না। মাস শেষ না হওয়ায় এ মাসে কত রাজস্ব আয় হলো, তা জানার এখনই সুযোগ নেই।
চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনার এম ফখরুল আলম আজকের পত্রিকাকে জানান, লকডাউনের কারণে আমদানি-রপ্তানি কমেছে। কমার প্রভাব বেশি ধরা পড়বে আগামী মাসে। কারণ, এখন যা আসছে আগের পণ্য। শিল্পকারখানা বন্ধের কারণে পণ্য খালাস কমে গেছে। রাজস্ব আয় কমে গেছে প্রায় ৬০ শতাংশ পর্যন্ত। কুমিল্লার ভ্যাট কমিশনার বেলাল হোসেইন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, শিল্পকারখানা প্রায় সব বন্ধ। তাই রাজস্ব ৯০ শতাংশ পর্যন্ত কম আদায় হচ্ছে। আয়কর অফিসেও খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নামমাত্র রাজস্ব জমা হচ্ছে। কোম্পানি ও ব্যক্তির আয় কমছে বলে, সামনে এর নেতিবাচক প্রভাব দেখা যাবে।
অন্য সময় রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক খাত চালু থাকে। এবার তা–ও বন্ধ। শুধু রপ্তানিমুখী নয়; স্থানীয় চাহিদা মেটানোর জন্য যত ধরনের ছোট, বড়, মাঝারি শিল্পকারখানা রয়েছে, সবই বন্ধ। জিডিপির ৫৪ শতাংশ অবদান রাখছে যে সেবা খাত, সেটিও বন্ধ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সবশেষ ২০১৩ সালের অর্থনৈতিক শুমারির তথ্য বলছে, দেশে মোট অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৭৮ লাখ ১৮ হাজার ৫৬৫টি। এর মধ্যে স্থায়ী ৪৫ লাখ ১৪ হাজার ৯১টি। আর অস্থায়ী ৪ লাখ ৮২ হাজার ৯০৩টি। আর সরাসরি অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত পরিবারের সংখ্যা ২৮ লাখ ২১ হাজার ৫৭১টি। এর মধ্যে পুরুষনিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠান ৭২ লাখ ৫৫ হাজার ১৯৭টি আর নারীদের নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠান ৫ লাখ ৬৩ হাজার ৩৬৮টি। লকডাউনে যেহেতু প্রায় সবই বন্ধ রয়েছে, তাতে ধরে নেওয়া যায় যে এই বিশাল পরিমাণ অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানও এখন বন্ধ রয়েছে।
বিবিএসের অর্থনৈতিক জরিপের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের একজন জানান, ২০১৩ সালের পর অর্থনীতিতে আরও বিনিয়োগ হয়েছে। এর মধ্যে মানুষের মাথাপিছু আয় আরও বেড়েছে। যেহেতু সবকিছু বেড়েছে, সুতরাং অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও আরও বেড়েছে–এসবের হিসাব যোগ হয়নি। যেটুকুর হিসাব আছে, তা ধরলেও অর্থনীতিতে কী ক্ষতি হচ্ছে, তা সহজেই বোঝা যাবে।
তবে এর হিসাব না থাকায়, তা জানতে উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, ‘করোনার প্রভাব আমাদের অর্থনীতির কী ক্ষতি হচ্ছে, তা দেখার জন্য আমরা একটা ধারণা জরিপ করতে চাই। শিগগিরই আমি সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে নির্দেশনা দেব। এর আগেও আমরা এ রকম একটা জরিপ করেছিলাম। এর ফলে আমরা বুঝতে পারব কী পদক্ষেপ নিতে হবে।’
রপ্তানি খাতের উদ্যোক্তারা জানান, রপ্তানির ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। অর্ডার আসছে বিপুল হারে। কিন্তু ঠিকমতো জাহাজীকরণ করা যাচ্ছে না। ফলে কনটেইনার জট বন্দরে। রপ্তানিবাহী কনটেইনার পাঠাতে বিলম্বের কারণে দীর্ঘ মেয়াদে অর্ডার বাতিল এবং নতুন অর্ডার না পাওয়ার ঝুঁকিও তৈরি হচ্ছে। এর ফলে লাভ দূরের কথা বিপুল অঙ্কের লোকসানের আতঙ্কে আছেন উদ্যোক্তারা। এ বিষয়ে পোশাক, টেক্সটাইল ও খাদ্যপণ্য খাতের উদ্যোক্তা, ওয়েল গ্রুপের চেয়ারম্যান সৈয়দ নুরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি মনে করি ২০২১ সাল পুরোটাই বন্ধ। এখন টিকে থাকার জন্য একমাত্র আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছি। এর বেশি কিছু আসলে বলার নাই। আমার ধারণা, এ বছর বেশির ভাগ কোম্পানি দেউলিয়া হয়ে যাবে।’
অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তা ও লকডাউনের কারণে বিনিয়োগেও স্থবিরতা চলছে। চলমান শিল্পকারখানাই যেখানে চালু রাখা যাচ্ছে না, সেখানে নতুন বিনিয়োগের কোনো আগ্রহ দেখাচ্ছেন না উদ্যোক্তারা। ফলে নতুন নতুন শিল্পকারখানা স্থাপন থমকে আছে। আসছে না যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ। এতে সংকুচিত হবে নতুন চাকরির সুযোগ। এ বিষয়ে বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তা সিরাজগঞ্জ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের পরিচালক শেখ মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এখন বিনিয়োগ একদম থমকে রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে সবাই অপেক্ষা করছে। সামনে ভালো সময় আসবে, এ জন্য অপেক্ষায় অনেকে।’
বিনিয়োগ যে হচ্ছে না, তা ব্যাংকের ঋণপ্রবাহের তথ্যের দিকে তাকালেই বোঝা যায়। বিদায়ী অর্থবছরের মে মাস পর্যন্ত ১১ মাসে ঋণের প্রবৃদ্ধি মাত্র ৭ দশমিক ৫৫ শতাংশ। অথচ বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রানীতি অনুযায়ী তার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ। বারবার সুযোগ দেওয়ার পরও উদ্যোক্তারা পুরোনো ঋণই পরিশোধ করতে পারছেন না। নতুন ঋণ নেবেন কীভাবে? তাদের কেউ কেউ মনে করেন, যে লোকসানে পড়েছেন, অধিকাংশ মালিকই ঋণ খেলাপি হওয়ার ঝুঁকিতে। এ ব্যাপারে, বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তা ও বিসিআইয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট প্রীতি চক্রবর্তী বলেন, ‘আমরা দেড় বছরের বেশি সময় ধরে একটা কঠিন অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা করছি। আমাদের একটু একটু করে সহায়তা দিয়ে এগিয়ে নিতে হবে। না হলে আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে ৯০ শতাংশ উদ্যোক্তা ঋণের কিস্তি দিতে পারবে না। এতে অর্থনীতির মূল ভিত্তি বড় রকমের ঝাঁকুনি খাবে বলে মনে করছি।’
অর্থনীতির একটি বড় খাত পর্যটন। প্রায় ৪৫ লাখ লোক এ খাতের সঙ্গে নানাভাবে জড়িত। করোনার সবচেয়ে বড় আঘাত পড়েছে এ খাতে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের সিইও জাবেদ আহমেদ বলেন, ‘ইনবাউন্ড, আউটবাউন্ড পর্যটনের মতো দেশীয় পর্যটনের অবস্থাও খারাপ। হোটেল, মোটেল, রিসোর্টে কোনো বুকিং নেই, একেবারেই শূন্য। এর দিকে কেউ তাকাচ্ছে না। এটি মরে যাচ্ছে।’
আমদানি হলে সরকার রাজস্ব পায়। রপ্তানি হলে উদ্যোক্তাদের আয় হয়, তাতে সরকারেরও আয় হয়। সেবা খাত সচল থাকলে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের আয় বাড়ে, এতে সরকার কর পায়। সবকিছু সচল থাকলে সরকার কোথাও শুল্ক, কোথাও ভ্যাট আবার কোথাও থেকে আয়কর পায়। আর এসবই রাজস্ব খাতে জমা হয়।
অর্থনীতি চলে এ আয় দিয়ে। সবকিছু বন্ধ মানে, আমদানিকারক, রপ্তানিকারক, ব্যবসায়ী, কর্মকর্তা–কর্মচারী, কোম্পানি, সরকার সবার আয় বন্ধ।
এ বিষয়ে বিশ্ব ব্যাংক ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ ধরনের লকডাউন আমাদের মতো দেশের অর্থনীতির চাকা একদম বন্ধ করে দেয়। সরাসরি এর নেতিবাচক প্রভাব জিডিপিতে পড়ে। বিভিন্ন জরিপ অনুযায়ী, লকডাউনের ক্ষতির মাত্রাটা ওঠানামা করে। এর ফলে গড়ে ৩০ থেকে ৫০ শতাংশের মতো আয় কমে যায়। আর এসএমইর ক্ষতিও ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত হয়। দেশের বিনিয়োগের অবস্থা এমনিতেই ভালো না। লকডাউন একে আরও নাজুক করে তুলতে পারে।’

টানা লকডাউনে স্থবির হয়ে পড়ছে অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য। আমদানি, রপ্তানিতে দীর্ঘ হচ্ছে অচলাবস্থা। অর্থনীতির প্রাণ তৈরি পোশাকসহ প্রায় সব ধরনের কারখানা বন্ধের ফলে পুরো সাপ্লাই চেইন বা সরবরাহব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তার কারণে নাজুক হয়ে পড়েছে বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান পরিস্থিতি। প্রায় মরে যাচ্ছে পর্যটন খাত। ক্ষুদ্র শিল্প থেকে শাকসবজি; কৃষি থেকে বড় শিল্প কিংবা সেবা খাত-সর্বত্র শুধুই অনিশ্চয়তা আর অজানা আতঙ্ক।
সরকারের অর্থনীতির রক্তপ্রবাহ বলে পরিচিত রাজস্ব আয়ও থমকে যাচ্ছে। মাঠপর্যায়ে ৫০ থেকে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত রাজস্ব আদায় কম হচ্ছে। সব মিলিয়ে কমছে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের আয়। গরিব হচ্ছে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ। করোনার উচ্চ সংক্রমণে লকডাউন অবধারিত হলেও সার্বিকভাবে বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় অর্থনীতি এখন ক্ষতির চক্রে ঘুরপাক খাচ্ছে। বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তা ও বিশ্লেষকেরা মনে করেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি কঠিন সময় পার করছে। এভাবে চলত থাকলে অনেক প্রতিষ্ঠানই বন্ধ হয়ে যাবে।
চলতি অর্থবছর শুরু প্রথম মাস প্রায় শেষের পথে। বিদায়ী অর্থবছরের করোনার কালো থাবার রেশ নতুন অর্থবছরকেও আক্রান্ত করেছে। দফায় দফায় লকডাউনে বিপর্যস্ত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। চলতি অর্থবছরে সরকার ৬ লাখ ২ হাজার কোটি টাকার বাজেটে শুধু কর রাজস্ব আদায় করার কথা ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। সেই হিসাবে গড়ে প্রতি কর্মদিবসে আদায় করার কথা ১ হাজার ২৬৪ কোটি টাকা। এর হেরফের হলেই ঘাটতি বাড়তে থাকবে। তবে এনবিআরের বিভিন্ন কর, ভ্যাট ও শুল্ক কমিশনারেটে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজস্ব আয়েও করোনার শক্ত থাবা পড়েছে। জরুরি সেবার আওতায় বলে রাজস্ব অফিস খুলে বসে থাকছেন কর্মকর্তারা।
কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আসছে না। মাস শেষ না হওয়ায় এ মাসে কত রাজস্ব আয় হলো, তা জানার এখনই সুযোগ নেই।
চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনার এম ফখরুল আলম আজকের পত্রিকাকে জানান, লকডাউনের কারণে আমদানি-রপ্তানি কমেছে। কমার প্রভাব বেশি ধরা পড়বে আগামী মাসে। কারণ, এখন যা আসছে আগের পণ্য। শিল্পকারখানা বন্ধের কারণে পণ্য খালাস কমে গেছে। রাজস্ব আয় কমে গেছে প্রায় ৬০ শতাংশ পর্যন্ত। কুমিল্লার ভ্যাট কমিশনার বেলাল হোসেইন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, শিল্পকারখানা প্রায় সব বন্ধ। তাই রাজস্ব ৯০ শতাংশ পর্যন্ত কম আদায় হচ্ছে। আয়কর অফিসেও খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নামমাত্র রাজস্ব জমা হচ্ছে। কোম্পানি ও ব্যক্তির আয় কমছে বলে, সামনে এর নেতিবাচক প্রভাব দেখা যাবে।
অন্য সময় রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক খাত চালু থাকে। এবার তা–ও বন্ধ। শুধু রপ্তানিমুখী নয়; স্থানীয় চাহিদা মেটানোর জন্য যত ধরনের ছোট, বড়, মাঝারি শিল্পকারখানা রয়েছে, সবই বন্ধ। জিডিপির ৫৪ শতাংশ অবদান রাখছে যে সেবা খাত, সেটিও বন্ধ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সবশেষ ২০১৩ সালের অর্থনৈতিক শুমারির তথ্য বলছে, দেশে মোট অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৭৮ লাখ ১৮ হাজার ৫৬৫টি। এর মধ্যে স্থায়ী ৪৫ লাখ ১৪ হাজার ৯১টি। আর অস্থায়ী ৪ লাখ ৮২ হাজার ৯০৩টি। আর সরাসরি অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত পরিবারের সংখ্যা ২৮ লাখ ২১ হাজার ৫৭১টি। এর মধ্যে পুরুষনিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠান ৭২ লাখ ৫৫ হাজার ১৯৭টি আর নারীদের নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠান ৫ লাখ ৬৩ হাজার ৩৬৮টি। লকডাউনে যেহেতু প্রায় সবই বন্ধ রয়েছে, তাতে ধরে নেওয়া যায় যে এই বিশাল পরিমাণ অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানও এখন বন্ধ রয়েছে।
বিবিএসের অর্থনৈতিক জরিপের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের একজন জানান, ২০১৩ সালের পর অর্থনীতিতে আরও বিনিয়োগ হয়েছে। এর মধ্যে মানুষের মাথাপিছু আয় আরও বেড়েছে। যেহেতু সবকিছু বেড়েছে, সুতরাং অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও আরও বেড়েছে–এসবের হিসাব যোগ হয়নি। যেটুকুর হিসাব আছে, তা ধরলেও অর্থনীতিতে কী ক্ষতি হচ্ছে, তা সহজেই বোঝা যাবে।
তবে এর হিসাব না থাকায়, তা জানতে উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, ‘করোনার প্রভাব আমাদের অর্থনীতির কী ক্ষতি হচ্ছে, তা দেখার জন্য আমরা একটা ধারণা জরিপ করতে চাই। শিগগিরই আমি সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে নির্দেশনা দেব। এর আগেও আমরা এ রকম একটা জরিপ করেছিলাম। এর ফলে আমরা বুঝতে পারব কী পদক্ষেপ নিতে হবে।’
রপ্তানি খাতের উদ্যোক্তারা জানান, রপ্তানির ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। অর্ডার আসছে বিপুল হারে। কিন্তু ঠিকমতো জাহাজীকরণ করা যাচ্ছে না। ফলে কনটেইনার জট বন্দরে। রপ্তানিবাহী কনটেইনার পাঠাতে বিলম্বের কারণে দীর্ঘ মেয়াদে অর্ডার বাতিল এবং নতুন অর্ডার না পাওয়ার ঝুঁকিও তৈরি হচ্ছে। এর ফলে লাভ দূরের কথা বিপুল অঙ্কের লোকসানের আতঙ্কে আছেন উদ্যোক্তারা। এ বিষয়ে পোশাক, টেক্সটাইল ও খাদ্যপণ্য খাতের উদ্যোক্তা, ওয়েল গ্রুপের চেয়ারম্যান সৈয়দ নুরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি মনে করি ২০২১ সাল পুরোটাই বন্ধ। এখন টিকে থাকার জন্য একমাত্র আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছি। এর বেশি কিছু আসলে বলার নাই। আমার ধারণা, এ বছর বেশির ভাগ কোম্পানি দেউলিয়া হয়ে যাবে।’
অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তা ও লকডাউনের কারণে বিনিয়োগেও স্থবিরতা চলছে। চলমান শিল্পকারখানাই যেখানে চালু রাখা যাচ্ছে না, সেখানে নতুন বিনিয়োগের কোনো আগ্রহ দেখাচ্ছেন না উদ্যোক্তারা। ফলে নতুন নতুন শিল্পকারখানা স্থাপন থমকে আছে। আসছে না যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ। এতে সংকুচিত হবে নতুন চাকরির সুযোগ। এ বিষয়ে বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তা সিরাজগঞ্জ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের পরিচালক শেখ মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এখন বিনিয়োগ একদম থমকে রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে সবাই অপেক্ষা করছে। সামনে ভালো সময় আসবে, এ জন্য অপেক্ষায় অনেকে।’
বিনিয়োগ যে হচ্ছে না, তা ব্যাংকের ঋণপ্রবাহের তথ্যের দিকে তাকালেই বোঝা যায়। বিদায়ী অর্থবছরের মে মাস পর্যন্ত ১১ মাসে ঋণের প্রবৃদ্ধি মাত্র ৭ দশমিক ৫৫ শতাংশ। অথচ বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রানীতি অনুযায়ী তার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ। বারবার সুযোগ দেওয়ার পরও উদ্যোক্তারা পুরোনো ঋণই পরিশোধ করতে পারছেন না। নতুন ঋণ নেবেন কীভাবে? তাদের কেউ কেউ মনে করেন, যে লোকসানে পড়েছেন, অধিকাংশ মালিকই ঋণ খেলাপি হওয়ার ঝুঁকিতে। এ ব্যাপারে, বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তা ও বিসিআইয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট প্রীতি চক্রবর্তী বলেন, ‘আমরা দেড় বছরের বেশি সময় ধরে একটা কঠিন অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা করছি। আমাদের একটু একটু করে সহায়তা দিয়ে এগিয়ে নিতে হবে। না হলে আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে ৯০ শতাংশ উদ্যোক্তা ঋণের কিস্তি দিতে পারবে না। এতে অর্থনীতির মূল ভিত্তি বড় রকমের ঝাঁকুনি খাবে বলে মনে করছি।’
অর্থনীতির একটি বড় খাত পর্যটন। প্রায় ৪৫ লাখ লোক এ খাতের সঙ্গে নানাভাবে জড়িত। করোনার সবচেয়ে বড় আঘাত পড়েছে এ খাতে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের সিইও জাবেদ আহমেদ বলেন, ‘ইনবাউন্ড, আউটবাউন্ড পর্যটনের মতো দেশীয় পর্যটনের অবস্থাও খারাপ। হোটেল, মোটেল, রিসোর্টে কোনো বুকিং নেই, একেবারেই শূন্য। এর দিকে কেউ তাকাচ্ছে না। এটি মরে যাচ্ছে।’
আমদানি হলে সরকার রাজস্ব পায়। রপ্তানি হলে উদ্যোক্তাদের আয় হয়, তাতে সরকারেরও আয় হয়। সেবা খাত সচল থাকলে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের আয় বাড়ে, এতে সরকার কর পায়। সবকিছু সচল থাকলে সরকার কোথাও শুল্ক, কোথাও ভ্যাট আবার কোথাও থেকে আয়কর পায়। আর এসবই রাজস্ব খাতে জমা হয়।
অর্থনীতি চলে এ আয় দিয়ে। সবকিছু বন্ধ মানে, আমদানিকারক, রপ্তানিকারক, ব্যবসায়ী, কর্মকর্তা–কর্মচারী, কোম্পানি, সরকার সবার আয় বন্ধ।
এ বিষয়ে বিশ্ব ব্যাংক ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ ধরনের লকডাউন আমাদের মতো দেশের অর্থনীতির চাকা একদম বন্ধ করে দেয়। সরাসরি এর নেতিবাচক প্রভাব জিডিপিতে পড়ে। বিভিন্ন জরিপ অনুযায়ী, লকডাউনের ক্ষতির মাত্রাটা ওঠানামা করে। এর ফলে গড়ে ৩০ থেকে ৫০ শতাংশের মতো আয় কমে যায়। আর এসএমইর ক্ষতিও ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত হয়। দেশের বিনিয়োগের অবস্থা এমনিতেই ভালো না। লকডাউন একে আরও নাজুক করে তুলতে পারে।’
ফারুক মেহেদী, ঢাকা

টানা লকডাউনে স্থবির হয়ে পড়ছে অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য। আমদানি, রপ্তানিতে দীর্ঘ হচ্ছে অচলাবস্থা। অর্থনীতির প্রাণ তৈরি পোশাকসহ প্রায় সব ধরনের কারখানা বন্ধের ফলে পুরো সাপ্লাই চেইন বা সরবরাহব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তার কারণে নাজুক হয়ে পড়েছে বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান পরিস্থিতি। প্রায় মরে যাচ্ছে পর্যটন খাত। ক্ষুদ্র শিল্প থেকে শাকসবজি; কৃষি থেকে বড় শিল্প কিংবা সেবা খাত-সর্বত্র শুধুই অনিশ্চয়তা আর অজানা আতঙ্ক।
সরকারের অর্থনীতির রক্তপ্রবাহ বলে পরিচিত রাজস্ব আয়ও থমকে যাচ্ছে। মাঠপর্যায়ে ৫০ থেকে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত রাজস্ব আদায় কম হচ্ছে। সব মিলিয়ে কমছে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের আয়। গরিব হচ্ছে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ। করোনার উচ্চ সংক্রমণে লকডাউন অবধারিত হলেও সার্বিকভাবে বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় অর্থনীতি এখন ক্ষতির চক্রে ঘুরপাক খাচ্ছে। বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তা ও বিশ্লেষকেরা মনে করেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি কঠিন সময় পার করছে। এভাবে চলত থাকলে অনেক প্রতিষ্ঠানই বন্ধ হয়ে যাবে।
চলতি অর্থবছর শুরু প্রথম মাস প্রায় শেষের পথে। বিদায়ী অর্থবছরের করোনার কালো থাবার রেশ নতুন অর্থবছরকেও আক্রান্ত করেছে। দফায় দফায় লকডাউনে বিপর্যস্ত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। চলতি অর্থবছরে সরকার ৬ লাখ ২ হাজার কোটি টাকার বাজেটে শুধু কর রাজস্ব আদায় করার কথা ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। সেই হিসাবে গড়ে প্রতি কর্মদিবসে আদায় করার কথা ১ হাজার ২৬৪ কোটি টাকা। এর হেরফের হলেই ঘাটতি বাড়তে থাকবে। তবে এনবিআরের বিভিন্ন কর, ভ্যাট ও শুল্ক কমিশনারেটে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজস্ব আয়েও করোনার শক্ত থাবা পড়েছে। জরুরি সেবার আওতায় বলে রাজস্ব অফিস খুলে বসে থাকছেন কর্মকর্তারা।
কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আসছে না। মাস শেষ না হওয়ায় এ মাসে কত রাজস্ব আয় হলো, তা জানার এখনই সুযোগ নেই।
চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনার এম ফখরুল আলম আজকের পত্রিকাকে জানান, লকডাউনের কারণে আমদানি-রপ্তানি কমেছে। কমার প্রভাব বেশি ধরা পড়বে আগামী মাসে। কারণ, এখন যা আসছে আগের পণ্য। শিল্পকারখানা বন্ধের কারণে পণ্য খালাস কমে গেছে। রাজস্ব আয় কমে গেছে প্রায় ৬০ শতাংশ পর্যন্ত। কুমিল্লার ভ্যাট কমিশনার বেলাল হোসেইন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, শিল্পকারখানা প্রায় সব বন্ধ। তাই রাজস্ব ৯০ শতাংশ পর্যন্ত কম আদায় হচ্ছে। আয়কর অফিসেও খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নামমাত্র রাজস্ব জমা হচ্ছে। কোম্পানি ও ব্যক্তির আয় কমছে বলে, সামনে এর নেতিবাচক প্রভাব দেখা যাবে।
অন্য সময় রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক খাত চালু থাকে। এবার তা–ও বন্ধ। শুধু রপ্তানিমুখী নয়; স্থানীয় চাহিদা মেটানোর জন্য যত ধরনের ছোট, বড়, মাঝারি শিল্পকারখানা রয়েছে, সবই বন্ধ। জিডিপির ৫৪ শতাংশ অবদান রাখছে যে সেবা খাত, সেটিও বন্ধ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সবশেষ ২০১৩ সালের অর্থনৈতিক শুমারির তথ্য বলছে, দেশে মোট অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৭৮ লাখ ১৮ হাজার ৫৬৫টি। এর মধ্যে স্থায়ী ৪৫ লাখ ১৪ হাজার ৯১টি। আর অস্থায়ী ৪ লাখ ৮২ হাজার ৯০৩টি। আর সরাসরি অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত পরিবারের সংখ্যা ২৮ লাখ ২১ হাজার ৫৭১টি। এর মধ্যে পুরুষনিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠান ৭২ লাখ ৫৫ হাজার ১৯৭টি আর নারীদের নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠান ৫ লাখ ৬৩ হাজার ৩৬৮টি। লকডাউনে যেহেতু প্রায় সবই বন্ধ রয়েছে, তাতে ধরে নেওয়া যায় যে এই বিশাল পরিমাণ অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানও এখন বন্ধ রয়েছে।
বিবিএসের অর্থনৈতিক জরিপের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের একজন জানান, ২০১৩ সালের পর অর্থনীতিতে আরও বিনিয়োগ হয়েছে। এর মধ্যে মানুষের মাথাপিছু আয় আরও বেড়েছে। যেহেতু সবকিছু বেড়েছে, সুতরাং অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও আরও বেড়েছে–এসবের হিসাব যোগ হয়নি। যেটুকুর হিসাব আছে, তা ধরলেও অর্থনীতিতে কী ক্ষতি হচ্ছে, তা সহজেই বোঝা যাবে।
তবে এর হিসাব না থাকায়, তা জানতে উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, ‘করোনার প্রভাব আমাদের অর্থনীতির কী ক্ষতি হচ্ছে, তা দেখার জন্য আমরা একটা ধারণা জরিপ করতে চাই। শিগগিরই আমি সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে নির্দেশনা দেব। এর আগেও আমরা এ রকম একটা জরিপ করেছিলাম। এর ফলে আমরা বুঝতে পারব কী পদক্ষেপ নিতে হবে।’
রপ্তানি খাতের উদ্যোক্তারা জানান, রপ্তানির ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। অর্ডার আসছে বিপুল হারে। কিন্তু ঠিকমতো জাহাজীকরণ করা যাচ্ছে না। ফলে কনটেইনার জট বন্দরে। রপ্তানিবাহী কনটেইনার পাঠাতে বিলম্বের কারণে দীর্ঘ মেয়াদে অর্ডার বাতিল এবং নতুন অর্ডার না পাওয়ার ঝুঁকিও তৈরি হচ্ছে। এর ফলে লাভ দূরের কথা বিপুল অঙ্কের লোকসানের আতঙ্কে আছেন উদ্যোক্তারা। এ বিষয়ে পোশাক, টেক্সটাইল ও খাদ্যপণ্য খাতের উদ্যোক্তা, ওয়েল গ্রুপের চেয়ারম্যান সৈয়দ নুরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি মনে করি ২০২১ সাল পুরোটাই বন্ধ। এখন টিকে থাকার জন্য একমাত্র আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছি। এর বেশি কিছু আসলে বলার নাই। আমার ধারণা, এ বছর বেশির ভাগ কোম্পানি দেউলিয়া হয়ে যাবে।’
অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তা ও লকডাউনের কারণে বিনিয়োগেও স্থবিরতা চলছে। চলমান শিল্পকারখানাই যেখানে চালু রাখা যাচ্ছে না, সেখানে নতুন বিনিয়োগের কোনো আগ্রহ দেখাচ্ছেন না উদ্যোক্তারা। ফলে নতুন নতুন শিল্পকারখানা স্থাপন থমকে আছে। আসছে না যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ। এতে সংকুচিত হবে নতুন চাকরির সুযোগ। এ বিষয়ে বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তা সিরাজগঞ্জ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের পরিচালক শেখ মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এখন বিনিয়োগ একদম থমকে রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে সবাই অপেক্ষা করছে। সামনে ভালো সময় আসবে, এ জন্য অপেক্ষায় অনেকে।’
বিনিয়োগ যে হচ্ছে না, তা ব্যাংকের ঋণপ্রবাহের তথ্যের দিকে তাকালেই বোঝা যায়। বিদায়ী অর্থবছরের মে মাস পর্যন্ত ১১ মাসে ঋণের প্রবৃদ্ধি মাত্র ৭ দশমিক ৫৫ শতাংশ। অথচ বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রানীতি অনুযায়ী তার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ। বারবার সুযোগ দেওয়ার পরও উদ্যোক্তারা পুরোনো ঋণই পরিশোধ করতে পারছেন না। নতুন ঋণ নেবেন কীভাবে? তাদের কেউ কেউ মনে করেন, যে লোকসানে পড়েছেন, অধিকাংশ মালিকই ঋণ খেলাপি হওয়ার ঝুঁকিতে। এ ব্যাপারে, বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তা ও বিসিআইয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট প্রীতি চক্রবর্তী বলেন, ‘আমরা দেড় বছরের বেশি সময় ধরে একটা কঠিন অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা করছি। আমাদের একটু একটু করে সহায়তা দিয়ে এগিয়ে নিতে হবে। না হলে আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে ৯০ শতাংশ উদ্যোক্তা ঋণের কিস্তি দিতে পারবে না। এতে অর্থনীতির মূল ভিত্তি বড় রকমের ঝাঁকুনি খাবে বলে মনে করছি।’
অর্থনীতির একটি বড় খাত পর্যটন। প্রায় ৪৫ লাখ লোক এ খাতের সঙ্গে নানাভাবে জড়িত। করোনার সবচেয়ে বড় আঘাত পড়েছে এ খাতে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের সিইও জাবেদ আহমেদ বলেন, ‘ইনবাউন্ড, আউটবাউন্ড পর্যটনের মতো দেশীয় পর্যটনের অবস্থাও খারাপ। হোটেল, মোটেল, রিসোর্টে কোনো বুকিং নেই, একেবারেই শূন্য। এর দিকে কেউ তাকাচ্ছে না। এটি মরে যাচ্ছে।’
আমদানি হলে সরকার রাজস্ব পায়। রপ্তানি হলে উদ্যোক্তাদের আয় হয়, তাতে সরকারেরও আয় হয়। সেবা খাত সচল থাকলে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের আয় বাড়ে, এতে সরকার কর পায়। সবকিছু সচল থাকলে সরকার কোথাও শুল্ক, কোথাও ভ্যাট আবার কোথাও থেকে আয়কর পায়। আর এসবই রাজস্ব খাতে জমা হয়।
অর্থনীতি চলে এ আয় দিয়ে। সবকিছু বন্ধ মানে, আমদানিকারক, রপ্তানিকারক, ব্যবসায়ী, কর্মকর্তা–কর্মচারী, কোম্পানি, সরকার সবার আয় বন্ধ।
এ বিষয়ে বিশ্ব ব্যাংক ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ ধরনের লকডাউন আমাদের মতো দেশের অর্থনীতির চাকা একদম বন্ধ করে দেয়। সরাসরি এর নেতিবাচক প্রভাব জিডিপিতে পড়ে। বিভিন্ন জরিপ অনুযায়ী, লকডাউনের ক্ষতির মাত্রাটা ওঠানামা করে। এর ফলে গড়ে ৩০ থেকে ৫০ শতাংশের মতো আয় কমে যায়। আর এসএমইর ক্ষতিও ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত হয়। দেশের বিনিয়োগের অবস্থা এমনিতেই ভালো না। লকডাউন একে আরও নাজুক করে তুলতে পারে।’

টানা লকডাউনে স্থবির হয়ে পড়ছে অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য। আমদানি, রপ্তানিতে দীর্ঘ হচ্ছে অচলাবস্থা। অর্থনীতির প্রাণ তৈরি পোশাকসহ প্রায় সব ধরনের কারখানা বন্ধের ফলে পুরো সাপ্লাই চেইন বা সরবরাহব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তার কারণে নাজুক হয়ে পড়েছে বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান পরিস্থিতি। প্রায় মরে যাচ্ছে পর্যটন খাত। ক্ষুদ্র শিল্প থেকে শাকসবজি; কৃষি থেকে বড় শিল্প কিংবা সেবা খাত-সর্বত্র শুধুই অনিশ্চয়তা আর অজানা আতঙ্ক।
সরকারের অর্থনীতির রক্তপ্রবাহ বলে পরিচিত রাজস্ব আয়ও থমকে যাচ্ছে। মাঠপর্যায়ে ৫০ থেকে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত রাজস্ব আদায় কম হচ্ছে। সব মিলিয়ে কমছে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের আয়। গরিব হচ্ছে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ। করোনার উচ্চ সংক্রমণে লকডাউন অবধারিত হলেও সার্বিকভাবে বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় অর্থনীতি এখন ক্ষতির চক্রে ঘুরপাক খাচ্ছে। বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তা ও বিশ্লেষকেরা মনে করেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি কঠিন সময় পার করছে। এভাবে চলত থাকলে অনেক প্রতিষ্ঠানই বন্ধ হয়ে যাবে।
চলতি অর্থবছর শুরু প্রথম মাস প্রায় শেষের পথে। বিদায়ী অর্থবছরের করোনার কালো থাবার রেশ নতুন অর্থবছরকেও আক্রান্ত করেছে। দফায় দফায় লকডাউনে বিপর্যস্ত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। চলতি অর্থবছরে সরকার ৬ লাখ ২ হাজার কোটি টাকার বাজেটে শুধু কর রাজস্ব আদায় করার কথা ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। সেই হিসাবে গড়ে প্রতি কর্মদিবসে আদায় করার কথা ১ হাজার ২৬৪ কোটি টাকা। এর হেরফের হলেই ঘাটতি বাড়তে থাকবে। তবে এনবিআরের বিভিন্ন কর, ভ্যাট ও শুল্ক কমিশনারেটে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজস্ব আয়েও করোনার শক্ত থাবা পড়েছে। জরুরি সেবার আওতায় বলে রাজস্ব অফিস খুলে বসে থাকছেন কর্মকর্তারা।
কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আসছে না। মাস শেষ না হওয়ায় এ মাসে কত রাজস্ব আয় হলো, তা জানার এখনই সুযোগ নেই।
চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনার এম ফখরুল আলম আজকের পত্রিকাকে জানান, লকডাউনের কারণে আমদানি-রপ্তানি কমেছে। কমার প্রভাব বেশি ধরা পড়বে আগামী মাসে। কারণ, এখন যা আসছে আগের পণ্য। শিল্পকারখানা বন্ধের কারণে পণ্য খালাস কমে গেছে। রাজস্ব আয় কমে গেছে প্রায় ৬০ শতাংশ পর্যন্ত। কুমিল্লার ভ্যাট কমিশনার বেলাল হোসেইন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, শিল্পকারখানা প্রায় সব বন্ধ। তাই রাজস্ব ৯০ শতাংশ পর্যন্ত কম আদায় হচ্ছে। আয়কর অফিসেও খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নামমাত্র রাজস্ব জমা হচ্ছে। কোম্পানি ও ব্যক্তির আয় কমছে বলে, সামনে এর নেতিবাচক প্রভাব দেখা যাবে।
অন্য সময় রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক খাত চালু থাকে। এবার তা–ও বন্ধ। শুধু রপ্তানিমুখী নয়; স্থানীয় চাহিদা মেটানোর জন্য যত ধরনের ছোট, বড়, মাঝারি শিল্পকারখানা রয়েছে, সবই বন্ধ। জিডিপির ৫৪ শতাংশ অবদান রাখছে যে সেবা খাত, সেটিও বন্ধ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সবশেষ ২০১৩ সালের অর্থনৈতিক শুমারির তথ্য বলছে, দেশে মোট অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৭৮ লাখ ১৮ হাজার ৫৬৫টি। এর মধ্যে স্থায়ী ৪৫ লাখ ১৪ হাজার ৯১টি। আর অস্থায়ী ৪ লাখ ৮২ হাজার ৯০৩টি। আর সরাসরি অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত পরিবারের সংখ্যা ২৮ লাখ ২১ হাজার ৫৭১টি। এর মধ্যে পুরুষনিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠান ৭২ লাখ ৫৫ হাজার ১৯৭টি আর নারীদের নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠান ৫ লাখ ৬৩ হাজার ৩৬৮টি। লকডাউনে যেহেতু প্রায় সবই বন্ধ রয়েছে, তাতে ধরে নেওয়া যায় যে এই বিশাল পরিমাণ অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানও এখন বন্ধ রয়েছে।
বিবিএসের অর্থনৈতিক জরিপের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের একজন জানান, ২০১৩ সালের পর অর্থনীতিতে আরও বিনিয়োগ হয়েছে। এর মধ্যে মানুষের মাথাপিছু আয় আরও বেড়েছে। যেহেতু সবকিছু বেড়েছে, সুতরাং অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও আরও বেড়েছে–এসবের হিসাব যোগ হয়নি। যেটুকুর হিসাব আছে, তা ধরলেও অর্থনীতিতে কী ক্ষতি হচ্ছে, তা সহজেই বোঝা যাবে।
তবে এর হিসাব না থাকায়, তা জানতে উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, ‘করোনার প্রভাব আমাদের অর্থনীতির কী ক্ষতি হচ্ছে, তা দেখার জন্য আমরা একটা ধারণা জরিপ করতে চাই। শিগগিরই আমি সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে নির্দেশনা দেব। এর আগেও আমরা এ রকম একটা জরিপ করেছিলাম। এর ফলে আমরা বুঝতে পারব কী পদক্ষেপ নিতে হবে।’
রপ্তানি খাতের উদ্যোক্তারা জানান, রপ্তানির ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। অর্ডার আসছে বিপুল হারে। কিন্তু ঠিকমতো জাহাজীকরণ করা যাচ্ছে না। ফলে কনটেইনার জট বন্দরে। রপ্তানিবাহী কনটেইনার পাঠাতে বিলম্বের কারণে দীর্ঘ মেয়াদে অর্ডার বাতিল এবং নতুন অর্ডার না পাওয়ার ঝুঁকিও তৈরি হচ্ছে। এর ফলে লাভ দূরের কথা বিপুল অঙ্কের লোকসানের আতঙ্কে আছেন উদ্যোক্তারা। এ বিষয়ে পোশাক, টেক্সটাইল ও খাদ্যপণ্য খাতের উদ্যোক্তা, ওয়েল গ্রুপের চেয়ারম্যান সৈয়দ নুরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি মনে করি ২০২১ সাল পুরোটাই বন্ধ। এখন টিকে থাকার জন্য একমাত্র আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছি। এর বেশি কিছু আসলে বলার নাই। আমার ধারণা, এ বছর বেশির ভাগ কোম্পানি দেউলিয়া হয়ে যাবে।’
অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তা ও লকডাউনের কারণে বিনিয়োগেও স্থবিরতা চলছে। চলমান শিল্পকারখানাই যেখানে চালু রাখা যাচ্ছে না, সেখানে নতুন বিনিয়োগের কোনো আগ্রহ দেখাচ্ছেন না উদ্যোক্তারা। ফলে নতুন নতুন শিল্পকারখানা স্থাপন থমকে আছে। আসছে না যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ। এতে সংকুচিত হবে নতুন চাকরির সুযোগ। এ বিষয়ে বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তা সিরাজগঞ্জ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের পরিচালক শেখ মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এখন বিনিয়োগ একদম থমকে রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে সবাই অপেক্ষা করছে। সামনে ভালো সময় আসবে, এ জন্য অপেক্ষায় অনেকে।’
বিনিয়োগ যে হচ্ছে না, তা ব্যাংকের ঋণপ্রবাহের তথ্যের দিকে তাকালেই বোঝা যায়। বিদায়ী অর্থবছরের মে মাস পর্যন্ত ১১ মাসে ঋণের প্রবৃদ্ধি মাত্র ৭ দশমিক ৫৫ শতাংশ। অথচ বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রানীতি অনুযায়ী তার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ। বারবার সুযোগ দেওয়ার পরও উদ্যোক্তারা পুরোনো ঋণই পরিশোধ করতে পারছেন না। নতুন ঋণ নেবেন কীভাবে? তাদের কেউ কেউ মনে করেন, যে লোকসানে পড়েছেন, অধিকাংশ মালিকই ঋণ খেলাপি হওয়ার ঝুঁকিতে। এ ব্যাপারে, বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তা ও বিসিআইয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট প্রীতি চক্রবর্তী বলেন, ‘আমরা দেড় বছরের বেশি সময় ধরে একটা কঠিন অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা করছি। আমাদের একটু একটু করে সহায়তা দিয়ে এগিয়ে নিতে হবে। না হলে আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে ৯০ শতাংশ উদ্যোক্তা ঋণের কিস্তি দিতে পারবে না। এতে অর্থনীতির মূল ভিত্তি বড় রকমের ঝাঁকুনি খাবে বলে মনে করছি।’
অর্থনীতির একটি বড় খাত পর্যটন। প্রায় ৪৫ লাখ লোক এ খাতের সঙ্গে নানাভাবে জড়িত। করোনার সবচেয়ে বড় আঘাত পড়েছে এ খাতে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের সিইও জাবেদ আহমেদ বলেন, ‘ইনবাউন্ড, আউটবাউন্ড পর্যটনের মতো দেশীয় পর্যটনের অবস্থাও খারাপ। হোটেল, মোটেল, রিসোর্টে কোনো বুকিং নেই, একেবারেই শূন্য। এর দিকে কেউ তাকাচ্ছে না। এটি মরে যাচ্ছে।’
আমদানি হলে সরকার রাজস্ব পায়। রপ্তানি হলে উদ্যোক্তাদের আয় হয়, তাতে সরকারেরও আয় হয়। সেবা খাত সচল থাকলে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের আয় বাড়ে, এতে সরকার কর পায়। সবকিছু সচল থাকলে সরকার কোথাও শুল্ক, কোথাও ভ্যাট আবার কোথাও থেকে আয়কর পায়। আর এসবই রাজস্ব খাতে জমা হয়।
অর্থনীতি চলে এ আয় দিয়ে। সবকিছু বন্ধ মানে, আমদানিকারক, রপ্তানিকারক, ব্যবসায়ী, কর্মকর্তা–কর্মচারী, কোম্পানি, সরকার সবার আয় বন্ধ।
এ বিষয়ে বিশ্ব ব্যাংক ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ ধরনের লকডাউন আমাদের মতো দেশের অর্থনীতির চাকা একদম বন্ধ করে দেয়। সরাসরি এর নেতিবাচক প্রভাব জিডিপিতে পড়ে। বিভিন্ন জরিপ অনুযায়ী, লকডাউনের ক্ষতির মাত্রাটা ওঠানামা করে। এর ফলে গড়ে ৩০ থেকে ৫০ শতাংশের মতো আয় কমে যায়। আর এসএমইর ক্ষতিও ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত হয়। দেশের বিনিয়োগের অবস্থা এমনিতেই ভালো না। লকডাউন একে আরও নাজুক করে তুলতে পারে।’

তিন থেকে চার মাস ভোগান্তির পর দুই সপ্তাহ ধরে কমছে সবজির দাম। চলতি সপ্তাহে সবজির সঙ্গে ক্রেতা-ভোক্তার জন্য স্বস্তি রয়েছে ডিম ও চিনির ক্ষেত্রেও। প্রতি ডজন ডিমের দাম ১০-১৫ টাকা কমেছে। চিনির দাম কমেছে কেজিপ্রতি আরও ৫ টাকা।
৩৮ মিনিট আগে
সমুদ্রপথে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের আধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে এসেছে এমভি বাংলার প্রগতি। পরিবেশবান্ধব নকশা, জ্বালানিসাশ্রয়ী ইঞ্জিন এবং অসাধারণ অপারেশনাল দক্ষতার এ জাহাজটি ৬৫ হাজার টন পণ্য বহন করতে সক্ষম। সম্প্রতি রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) বহরে যুক্ত হয়ে দেশের জ্বালানি পরিবহনকে দিয়েছে নত
৩৯ মিনিট আগে
দেশের বাজারে কমেছে সোনার দাম। এবার নতুন করে প্রতি ভরি ভালো মানের সোনার (২২ ক্যারেট) দাম কমেছে ২ হাজার ৬১৩ টাকা। এখন থেকে দেশের বাজারে প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের সোনা বিক্রি হবে ২ লাখ ৯৬ টাকায়।
৫ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণ কোরিয়ার বুসান শহরে আজ বৃহস্পতিবার দুই নেতার মুখোমুখি বৈঠকে এই সমঝোতা হয়েছে। ২০১৯ সালের পর এটাই তাঁদের প্রথম সরাসরি সাক্ষাৎ। এর আগে ট্রাম্প দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে বৈঠক করেন।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

তিন থেকে চার মাস ভোগান্তির পর দুই সপ্তাহ ধরে কমছে সবজির দাম। চলতি সপ্তাহে সবজির সঙ্গে ক্রেতা-ভোক্তার জন্য স্বস্তি রয়েছে ডিম ও চিনির ক্ষেত্রেও। প্রতি ডজন ডিমের দাম ১০-১৫ টাকা কমেছে। চিনির দাম কমেছে কেজিপ্রতি আরও ৫ টাকা।
অন্যদিকে আহরণের নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলেও বাজারে ইলিশের তেমন দেখা নেই, দামও কমেনি। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচা, রামপুরা, মানিকনগর ও মুগদাসহ কয়েকটি কাঁচাবাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
বিক্রেতারা বলছেন, একদিকে আবহাওয়া ভালো থাকায় ডিমের উৎপাদন বাড়ছে, অন্যদিকে সবজির দাম কমতে থাকায় ডিমের চাহিদাও কমছে। এ দুটি মিলিয়ে ডিমের দাম কমে এসেছে।
গতকাল বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির বাদামি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৪০ টাকায়। সাদা ডিমের দাম ছিল ডজনপ্রতি আরও ৫ টাকা কম। গত সপ্তাহ পর্যন্ত বাদামি ডিম বিক্রি হয়েছে ১৪৫-১৫০ টাকা ডজন। সাদা ডিমের ডজন তখনো ৫ টাকা কম ছিল। পাড়ামহল্লার দোকানে খুচরায় প্রতি হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৪৬ টাকায়, সে হিসাবে দাম প্রতি ডজন ১৩৮ টাকা।
সেগুনবাগিচা বাজারের ডিম ব্যবসায়ী নুর এ আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘যখন শাকসবজির দাম বেশি থাকে তখন নিম্ন আয়ের মানুষ ডিম দিয়েই একবেলার খাবার চালিয়ে নেন। এখন শাকসবজি ও আলুর দাম কম হওয়ায় ডিমের চাহিদা কমেছে। আবার বৃষ্টি-বাদল না থাকায় ও গরম কমে আসায় ডিমের উৎপাদনও বাড়ছে। এটাও দাম কমার আরেকটি কারণ।’
ডিমের দাম কম থাকলেও ফার্মের মুরগির দাম আগের মতোই ১৭০-১৮০ টাকা কেজিতে স্থির রয়েছে। এ ছাড়া গরু ও খাসির মাংসও বিক্রি হচ্ছে আগের দাম ৭০০-৭৫০ ও ১০০০-১১০০ টাকা কেজি করে।
এদিকে ইলিশ শিকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা কয়েকদিন আগেই উঠে গেলেও বাজারে মহার্ঘ্য মাছটির প্রত্যাশামতো সরবরাহ নেই। অনেক ক্রেতাই ইলিশের আশায় মাছের বাজারে ঢুঁ মেরে হতাশ হয়েছেন। মালিবাগ বাজারে আসা কামাল উদ্দীন তাঁদেরই একজন। তিনি বললেন, ‘ভেবেছিলাম নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশের সরবরাহ বাড়বে। কিন্তু বাজারে ইলিশের দেখা মিলছে না বললেই চলে, যা পাওয়া যাচ্ছে তা খুবই ছোট আকারের। বড় আকারের মাছ নেই।’
মালিবাগ বাজার ঘুরে দেখা গেল, মাছের ১০টি দোকানের মধ্যে মাত্র দুজন বিক্রেতা ছোট আকারের ইলিশ বিক্রি করছেন। তাঁরা ২৫০-৩০০ গ্রাম ওজনের এ মাছেরই দাম চাইলেন ৮০০-৯০০ টাকা কেজি। একই অবস্থা সেগুনবাগিচা বাজারে। সেখানে ৮ জন মাছ বিক্রেতার মধ্যে মাত্র একজনের কাছে ইলিশ পাওয়া গেল। তিনি ২০০-৩০০ গ্রাম ওজনের এসব মাছের দাম চাইলেন ৮০০ টাকা কেজি। জানা গেল, এই বাজারের একজন বিক্রেতা ৬০০-৭০০ গ্রাম ওজনের অল্প কিছু ইলিশ এনেছিলেন। তবে সকালেই সেগুলো শেষ হয়ে গেছে।
এ নিয়ে জানতে চাইলে সেগুনবাগিচা বাজারের ইলিশ বিক্রেতা জসিম উদ্দীন বলেন, ‘পাঁচ দিন হয়ে গেছে ইলিশ ধরা শুরু হয়েছে। এক দিনও পাইকারি বাজারে গিয়ে ভালো মাছ পাই নাই। ইলিশ ধরা পড়ছে কম। তাই সাপ্লাই কম, দাম এখনো বেশি।’
মুদিপণ্যের মধ্যে মসুর ডালের দাম সপ্তাহতিনেক আগে বাড়ার পর থেকে এখনো সেখানেই আছে। তবে কমেছে চিনির দাম। এখন চিনি পাওয়া যাচ্ছে ১০০-১১০ টাকা কেজিতে। দুই সপ্তাহ আগেও ১০৫-১১৫ টাকা ছিল। মাসদেড়েক আগে ছিল ১১৫-১২০ টাকা। ভোজ্যতেল, আটা, ময়দাসহ বাকি প্রায় সব মুদিপণ্য আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে গত দুই সপ্তাহ সবজির দাম দ্রুত কমলেও এখন কমার গতি কিছুটা ধীর। শিম, বেগুন, টমেটোসহ ৩-৪ ধরনের সবজির দাম কমেছে। বাকিগুলো গত সপ্তাহের দামই বিক্রি হচ্ছে।
গতকাল বাজার ঘুরে দেখা যায়, আগাম শীতের শিমের দাম গত সপ্তাহের তুলনায় ঠিক অর্ধেকে নেমে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি করে। কেজিপ্রতি ২০ টাকা কমে বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। বাজারে উঠেছে নতুন কাঁচা টমেটো, দাম ৭০ টাকা। তবে পাকা টমেটোর দাম আগের মতোই ১২০ টাকা কেজি।
এ ছাড়া করলা, শসা, ঢ্যাঁড়স, পটোল, বরবটি, কচুর মুখীসহ অধিকাংশ সবজির দাম গত সপ্তাহের মতোই ৫০-৬০ টাকা কেজির মধ্যে রয়েছে। লাউ, ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা প্রতিটি। লালশাক, মুলাশাক, লাউশাক, পুঁইশাকের আঁটি বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকায়।
মুগদা বাজারের সবজি বিক্রেতা আনোয়ার জানালেন, গত দুই সপ্তাহে সবজির দাম অনেকটাই কমেছে। আপাতত আর খুব বেশি কমার সম্ভাবনা নেই। আবার ডিসেম্বরের দিকে দাম কমবে। তখন টমেটো, ফুলকপি, বাঁধাকপিসহ সব শীতের সবজির ভরা মৌসুম শুরু হবে।

তিন থেকে চার মাস ভোগান্তির পর দুই সপ্তাহ ধরে কমছে সবজির দাম। চলতি সপ্তাহে সবজির সঙ্গে ক্রেতা-ভোক্তার জন্য স্বস্তি রয়েছে ডিম ও চিনির ক্ষেত্রেও। প্রতি ডজন ডিমের দাম ১০-১৫ টাকা কমেছে। চিনির দাম কমেছে কেজিপ্রতি আরও ৫ টাকা।
অন্যদিকে আহরণের নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলেও বাজারে ইলিশের তেমন দেখা নেই, দামও কমেনি। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচা, রামপুরা, মানিকনগর ও মুগদাসহ কয়েকটি কাঁচাবাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
বিক্রেতারা বলছেন, একদিকে আবহাওয়া ভালো থাকায় ডিমের উৎপাদন বাড়ছে, অন্যদিকে সবজির দাম কমতে থাকায় ডিমের চাহিদাও কমছে। এ দুটি মিলিয়ে ডিমের দাম কমে এসেছে।
গতকাল বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির বাদামি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৪০ টাকায়। সাদা ডিমের দাম ছিল ডজনপ্রতি আরও ৫ টাকা কম। গত সপ্তাহ পর্যন্ত বাদামি ডিম বিক্রি হয়েছে ১৪৫-১৫০ টাকা ডজন। সাদা ডিমের ডজন তখনো ৫ টাকা কম ছিল। পাড়ামহল্লার দোকানে খুচরায় প্রতি হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৪৬ টাকায়, সে হিসাবে দাম প্রতি ডজন ১৩৮ টাকা।
সেগুনবাগিচা বাজারের ডিম ব্যবসায়ী নুর এ আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘যখন শাকসবজির দাম বেশি থাকে তখন নিম্ন আয়ের মানুষ ডিম দিয়েই একবেলার খাবার চালিয়ে নেন। এখন শাকসবজি ও আলুর দাম কম হওয়ায় ডিমের চাহিদা কমেছে। আবার বৃষ্টি-বাদল না থাকায় ও গরম কমে আসায় ডিমের উৎপাদনও বাড়ছে। এটাও দাম কমার আরেকটি কারণ।’
ডিমের দাম কম থাকলেও ফার্মের মুরগির দাম আগের মতোই ১৭০-১৮০ টাকা কেজিতে স্থির রয়েছে। এ ছাড়া গরু ও খাসির মাংসও বিক্রি হচ্ছে আগের দাম ৭০০-৭৫০ ও ১০০০-১১০০ টাকা কেজি করে।
এদিকে ইলিশ শিকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা কয়েকদিন আগেই উঠে গেলেও বাজারে মহার্ঘ্য মাছটির প্রত্যাশামতো সরবরাহ নেই। অনেক ক্রেতাই ইলিশের আশায় মাছের বাজারে ঢুঁ মেরে হতাশ হয়েছেন। মালিবাগ বাজারে আসা কামাল উদ্দীন তাঁদেরই একজন। তিনি বললেন, ‘ভেবেছিলাম নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশের সরবরাহ বাড়বে। কিন্তু বাজারে ইলিশের দেখা মিলছে না বললেই চলে, যা পাওয়া যাচ্ছে তা খুবই ছোট আকারের। বড় আকারের মাছ নেই।’
মালিবাগ বাজার ঘুরে দেখা গেল, মাছের ১০টি দোকানের মধ্যে মাত্র দুজন বিক্রেতা ছোট আকারের ইলিশ বিক্রি করছেন। তাঁরা ২৫০-৩০০ গ্রাম ওজনের এ মাছেরই দাম চাইলেন ৮০০-৯০০ টাকা কেজি। একই অবস্থা সেগুনবাগিচা বাজারে। সেখানে ৮ জন মাছ বিক্রেতার মধ্যে মাত্র একজনের কাছে ইলিশ পাওয়া গেল। তিনি ২০০-৩০০ গ্রাম ওজনের এসব মাছের দাম চাইলেন ৮০০ টাকা কেজি। জানা গেল, এই বাজারের একজন বিক্রেতা ৬০০-৭০০ গ্রাম ওজনের অল্প কিছু ইলিশ এনেছিলেন। তবে সকালেই সেগুলো শেষ হয়ে গেছে।
এ নিয়ে জানতে চাইলে সেগুনবাগিচা বাজারের ইলিশ বিক্রেতা জসিম উদ্দীন বলেন, ‘পাঁচ দিন হয়ে গেছে ইলিশ ধরা শুরু হয়েছে। এক দিনও পাইকারি বাজারে গিয়ে ভালো মাছ পাই নাই। ইলিশ ধরা পড়ছে কম। তাই সাপ্লাই কম, দাম এখনো বেশি।’
মুদিপণ্যের মধ্যে মসুর ডালের দাম সপ্তাহতিনেক আগে বাড়ার পর থেকে এখনো সেখানেই আছে। তবে কমেছে চিনির দাম। এখন চিনি পাওয়া যাচ্ছে ১০০-১১০ টাকা কেজিতে। দুই সপ্তাহ আগেও ১০৫-১১৫ টাকা ছিল। মাসদেড়েক আগে ছিল ১১৫-১২০ টাকা। ভোজ্যতেল, আটা, ময়দাসহ বাকি প্রায় সব মুদিপণ্য আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে গত দুই সপ্তাহ সবজির দাম দ্রুত কমলেও এখন কমার গতি কিছুটা ধীর। শিম, বেগুন, টমেটোসহ ৩-৪ ধরনের সবজির দাম কমেছে। বাকিগুলো গত সপ্তাহের দামই বিক্রি হচ্ছে।
গতকাল বাজার ঘুরে দেখা যায়, আগাম শীতের শিমের দাম গত সপ্তাহের তুলনায় ঠিক অর্ধেকে নেমে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি করে। কেজিপ্রতি ২০ টাকা কমে বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। বাজারে উঠেছে নতুন কাঁচা টমেটো, দাম ৭০ টাকা। তবে পাকা টমেটোর দাম আগের মতোই ১২০ টাকা কেজি।
এ ছাড়া করলা, শসা, ঢ্যাঁড়স, পটোল, বরবটি, কচুর মুখীসহ অধিকাংশ সবজির দাম গত সপ্তাহের মতোই ৫০-৬০ টাকা কেজির মধ্যে রয়েছে। লাউ, ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা প্রতিটি। লালশাক, মুলাশাক, লাউশাক, পুঁইশাকের আঁটি বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকায়।
মুগদা বাজারের সবজি বিক্রেতা আনোয়ার জানালেন, গত দুই সপ্তাহে সবজির দাম অনেকটাই কমেছে। আপাতত আর খুব বেশি কমার সম্ভাবনা নেই। আবার ডিসেম্বরের দিকে দাম কমবে। তখন টমেটো, ফুলকপি, বাঁধাকপিসহ সব শীতের সবজির ভরা মৌসুম শুরু হবে।

টানা লকডাউনে স্থবির হয়ে পড়ছে অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য। আমদানি, রপ্তানিতে দীর্ঘ হচ্ছে অচলাবস্থা। অর্থনীতির প্রাণ তৈরি পোশাকসহ প্রায় সব ধরনের কারখানা বন্ধের ফলে পুরো সাপ্লাই চেইন বা সরবরাহব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তার কারণে নাজুক হয়ে পড়েছে বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান পরিস্থিতি। প্রায় মরে যাচ্ছে
৩০ জুলাই ২০২১
সমুদ্রপথে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের আধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে এসেছে এমভি বাংলার প্রগতি। পরিবেশবান্ধব নকশা, জ্বালানিসাশ্রয়ী ইঞ্জিন এবং অসাধারণ অপারেশনাল দক্ষতার এ জাহাজটি ৬৫ হাজার টন পণ্য বহন করতে সক্ষম। সম্প্রতি রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) বহরে যুক্ত হয়ে দেশের জ্বালানি পরিবহনকে দিয়েছে নত
৩৯ মিনিট আগে
দেশের বাজারে কমেছে সোনার দাম। এবার নতুন করে প্রতি ভরি ভালো মানের সোনার (২২ ক্যারেট) দাম কমেছে ২ হাজার ৬১৩ টাকা। এখন থেকে দেশের বাজারে প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের সোনা বিক্রি হবে ২ লাখ ৯৬ টাকায়।
৫ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণ কোরিয়ার বুসান শহরে আজ বৃহস্পতিবার দুই নেতার মুখোমুখি বৈঠকে এই সমঝোতা হয়েছে। ২০১৯ সালের পর এটাই তাঁদের প্রথম সরাসরি সাক্ষাৎ। এর আগে ট্রাম্প দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে বৈঠক করেন।
৬ ঘণ্টা আগেমো. আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম

সমুদ্রপথে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের আধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে এসেছে এমভি বাংলার প্রগতি। পরিবেশবান্ধব নকশা, জ্বালানিসাশ্রয়ী ইঞ্জিন এবং অসাধারণ অপারেশনাল দক্ষতার এ জাহাজটি ৬৫ হাজার টন পণ্য বহন করতে সক্ষম। সম্প্রতি রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) বহরে যুক্ত হয়ে দেশের জ্বালানি পরিবহনকে দিয়েছে নতুন গতি। সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে কেনা এ জাহাজটি শুধু বহরের শক্তি বাড়ায়নি; সংস্থার আত্মনির্ভরতার প্রতীকও হয়ে উঠেছে।
বিএসসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কমোডর মাহমুদুল মালেক বহরে যুক্ত এমভি বাংলার প্রগতিকে সংস্থার ‘৫০ বছরের ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এমভি বাংলার নবযাত্রা নামে আরও একটি আধুনিক জাহাজ বহরে যোগ দিচ্ছে, যা বিএসসির সক্ষমতার ধারাকে আরও একধাপ এগিয়ে নেবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২৭ অক্টোবর বহরে যুক্ত হওয়া বাংলার প্রগতি ইতিমধ্যে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করেছে। হংকংভিত্তিক এক প্রতিষ্ঠানের কাছে এটি ভাড়া দেওয়া হয়েছে প্রতিদিন ২০ হাজার মার্কিন ডলারে, যা টাকায় প্রায় ২৪ লাখ ৪০ হাজার। গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এটি চতুর্থ দিনের মতো সমুদ্রপথে যাত্রায় রয়েছে। চীনের জিংজিয়াং ইন্টারন্যাশনাল বাথ থেকে ঝুশানে যাচ্ছে জাহাজটি, সেখান থেকে রসদ ও তেল সংগ্রহ শেষে আরেক বন্দরে পণ্যবোঝাইয়ের উদ্দেশে রওনা দেবে।
বিএসসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এমভি বাংলার প্রগতি প্রায় ১৯৯ মিটার দৈর্ঘ্য, ৩৩ মিটার প্রস্থ ও ১৮ মিটার গভীরতার, ৬৫ হাজার টন পণ্য বহনের সক্ষমতাসম্পন্ন আধুনিক বাল্ক ক্যারিয়ার। এর প্রধান ইঞ্জিন এমএএন-বিঅ্যান্ডডব্লিউ, জার্মান লাইসেন্সে তৈরি ও চীনে সংযোজিত; পাম্প এসেছে স্পেন থেকে, কম্প্রেসর নরওয়ে থেকে। পুরো কাঠামো ‘গ্রিন শিপ কনসেপ্ট’-এ তৈরি, যা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড (আইএমও) পূরণ করে। নকশা জ্বালানিসাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব; নাইট্রোজেন অক্সাইড নির্গমন নিয়ন্ত্রণ করে, হাইড্রোডাইনামিক ড্রাগ কমিয়ে গতি ও জ্বালানিসাশ্রয় নিশ্চিত করে—বিশেষ করে দীর্ঘ রুটে কার্যকর।
এই দুটি জাহাজ কেনার জন্য বিএসসি গত ২১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের হেলেনিক ড্রাই বাল্ক ভেঞ্চারস এলএলসির সঙ্গে চুক্তি করেছে। প্রতিটি জাহাজের দাম ৩৮.৩৪৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, মোট ব্যয় প্রায় ৭৬.৬৯৮ মিলিয়ন ডলার বা আনুমানিক ৯৩৫ কোটি টাকা। বিএসসির নিজস্ব তহবিল থেকে পুরো অর্থ জোগান দেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পাওয়ার পর জাহাজ দুটির নাম পরিবর্তন করা হয়েছে—আগের এক্সসিএল জেমিনি এখন এমভি বাংলার প্রগতি, আর এক্সসিএল লায়ন পেয়েছে নতুন নাম এমভি বাংলার নবযাত্রা।
বিএসসির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বিদেশি সহায়তা ছাড়া এমন বড় বিনিয়োগ সম্ভব হয়েছে। এর আগে ২০১৮ ও ২০১৯ সালে চীনা সরকারের আর্থিক সহায়তায় ১৮৪৩ কোটি টাকার প্রকল্পে ছয়টি জাহাজ কেনা হয়েছিল।

সমুদ্রপথে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের আধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে এসেছে এমভি বাংলার প্রগতি। পরিবেশবান্ধব নকশা, জ্বালানিসাশ্রয়ী ইঞ্জিন এবং অসাধারণ অপারেশনাল দক্ষতার এ জাহাজটি ৬৫ হাজার টন পণ্য বহন করতে সক্ষম। সম্প্রতি রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) বহরে যুক্ত হয়ে দেশের জ্বালানি পরিবহনকে দিয়েছে নতুন গতি। সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে কেনা এ জাহাজটি শুধু বহরের শক্তি বাড়ায়নি; সংস্থার আত্মনির্ভরতার প্রতীকও হয়ে উঠেছে।
বিএসসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কমোডর মাহমুদুল মালেক বহরে যুক্ত এমভি বাংলার প্রগতিকে সংস্থার ‘৫০ বছরের ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এমভি বাংলার নবযাত্রা নামে আরও একটি আধুনিক জাহাজ বহরে যোগ দিচ্ছে, যা বিএসসির সক্ষমতার ধারাকে আরও একধাপ এগিয়ে নেবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২৭ অক্টোবর বহরে যুক্ত হওয়া বাংলার প্রগতি ইতিমধ্যে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করেছে। হংকংভিত্তিক এক প্রতিষ্ঠানের কাছে এটি ভাড়া দেওয়া হয়েছে প্রতিদিন ২০ হাজার মার্কিন ডলারে, যা টাকায় প্রায় ২৪ লাখ ৪০ হাজার। গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এটি চতুর্থ দিনের মতো সমুদ্রপথে যাত্রায় রয়েছে। চীনের জিংজিয়াং ইন্টারন্যাশনাল বাথ থেকে ঝুশানে যাচ্ছে জাহাজটি, সেখান থেকে রসদ ও তেল সংগ্রহ শেষে আরেক বন্দরে পণ্যবোঝাইয়ের উদ্দেশে রওনা দেবে।
বিএসসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এমভি বাংলার প্রগতি প্রায় ১৯৯ মিটার দৈর্ঘ্য, ৩৩ মিটার প্রস্থ ও ১৮ মিটার গভীরতার, ৬৫ হাজার টন পণ্য বহনের সক্ষমতাসম্পন্ন আধুনিক বাল্ক ক্যারিয়ার। এর প্রধান ইঞ্জিন এমএএন-বিঅ্যান্ডডব্লিউ, জার্মান লাইসেন্সে তৈরি ও চীনে সংযোজিত; পাম্প এসেছে স্পেন থেকে, কম্প্রেসর নরওয়ে থেকে। পুরো কাঠামো ‘গ্রিন শিপ কনসেপ্ট’-এ তৈরি, যা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড (আইএমও) পূরণ করে। নকশা জ্বালানিসাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব; নাইট্রোজেন অক্সাইড নির্গমন নিয়ন্ত্রণ করে, হাইড্রোডাইনামিক ড্রাগ কমিয়ে গতি ও জ্বালানিসাশ্রয় নিশ্চিত করে—বিশেষ করে দীর্ঘ রুটে কার্যকর।
এই দুটি জাহাজ কেনার জন্য বিএসসি গত ২১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের হেলেনিক ড্রাই বাল্ক ভেঞ্চারস এলএলসির সঙ্গে চুক্তি করেছে। প্রতিটি জাহাজের দাম ৩৮.৩৪৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, মোট ব্যয় প্রায় ৭৬.৬৯৮ মিলিয়ন ডলার বা আনুমানিক ৯৩৫ কোটি টাকা। বিএসসির নিজস্ব তহবিল থেকে পুরো অর্থ জোগান দেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পাওয়ার পর জাহাজ দুটির নাম পরিবর্তন করা হয়েছে—আগের এক্সসিএল জেমিনি এখন এমভি বাংলার প্রগতি, আর এক্সসিএল লায়ন পেয়েছে নতুন নাম এমভি বাংলার নবযাত্রা।
বিএসসির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বিদেশি সহায়তা ছাড়া এমন বড় বিনিয়োগ সম্ভব হয়েছে। এর আগে ২০১৮ ও ২০১৯ সালে চীনা সরকারের আর্থিক সহায়তায় ১৮৪৩ কোটি টাকার প্রকল্পে ছয়টি জাহাজ কেনা হয়েছিল।

টানা লকডাউনে স্থবির হয়ে পড়ছে অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য। আমদানি, রপ্তানিতে দীর্ঘ হচ্ছে অচলাবস্থা। অর্থনীতির প্রাণ তৈরি পোশাকসহ প্রায় সব ধরনের কারখানা বন্ধের ফলে পুরো সাপ্লাই চেইন বা সরবরাহব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তার কারণে নাজুক হয়ে পড়েছে বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান পরিস্থিতি। প্রায় মরে যাচ্ছে
৩০ জুলাই ২০২১
তিন থেকে চার মাস ভোগান্তির পর দুই সপ্তাহ ধরে কমছে সবজির দাম। চলতি সপ্তাহে সবজির সঙ্গে ক্রেতা-ভোক্তার জন্য স্বস্তি রয়েছে ডিম ও চিনির ক্ষেত্রেও। প্রতি ডজন ডিমের দাম ১০-১৫ টাকা কমেছে। চিনির দাম কমেছে কেজিপ্রতি আরও ৫ টাকা।
৩৮ মিনিট আগে
দেশের বাজারে কমেছে সোনার দাম। এবার নতুন করে প্রতি ভরি ভালো মানের সোনার (২২ ক্যারেট) দাম কমেছে ২ হাজার ৬১৩ টাকা। এখন থেকে দেশের বাজারে প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের সোনা বিক্রি হবে ২ লাখ ৯৬ টাকায়।
৫ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণ কোরিয়ার বুসান শহরে আজ বৃহস্পতিবার দুই নেতার মুখোমুখি বৈঠকে এই সমঝোতা হয়েছে। ২০১৯ সালের পর এটাই তাঁদের প্রথম সরাসরি সাক্ষাৎ। এর আগে ট্রাম্প দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে বৈঠক করেন।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দেশের বাজারে কমেছে সোনার দাম। এবার নতুন করে প্রতি ভরি ভালো মানের সোনার (২২ ক্যারেট) দাম কমেছে ২ হাজার ৬১৩ টাকা। এখন থেকে দেশের বাজারে প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের সোনা বিক্রি হবে ২ লাখ ৯৬ টাকায়।
আগামীকাল শুক্রবার থেকে সারা দেশে সোনার নতুন এ দর কার্যকর হবে।
আজ বৃহস্পতিবার রাতে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) এক বিজ্ঞপ্তিতে সোনার এ দাম কমার তথ্য জানায়। এতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি (পিওর গোল্ড) সোনার মূল্য কমেছে। সে কারণে সোনার দাম সমন্বয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাজুস।
নতুন মূল্য অনুযায়ী, ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৯০ হাজার ৯৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৬৩ হাজার ৭১৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৩৬ হাজার ১৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
তবে সোনার দাম কমলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের রুপার ভরি ৪ হাজার ২৪৬ টাকা, ২১ ক্যারেটের রুপার ভরি ৪ হাজার ৪৭ টাকা ও ১৮ ক্যারেটের রুপার ভরি ৩ হাজার ৪৭৬ টাকা দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার ৬০১ টাকা।

দেশের বাজারে কমেছে সোনার দাম। এবার নতুন করে প্রতি ভরি ভালো মানের সোনার (২২ ক্যারেট) দাম কমেছে ২ হাজার ৬১৩ টাকা। এখন থেকে দেশের বাজারে প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের সোনা বিক্রি হবে ২ লাখ ৯৬ টাকায়।
আগামীকাল শুক্রবার থেকে সারা দেশে সোনার নতুন এ দর কার্যকর হবে।
আজ বৃহস্পতিবার রাতে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) এক বিজ্ঞপ্তিতে সোনার এ দাম কমার তথ্য জানায়। এতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি (পিওর গোল্ড) সোনার মূল্য কমেছে। সে কারণে সোনার দাম সমন্বয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাজুস।
নতুন মূল্য অনুযায়ী, ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৯০ হাজার ৯৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৬৩ হাজার ৭১৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৩৬ হাজার ১৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
তবে সোনার দাম কমলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের রুপার ভরি ৪ হাজার ২৪৬ টাকা, ২১ ক্যারেটের রুপার ভরি ৪ হাজার ৪৭ টাকা ও ১৮ ক্যারেটের রুপার ভরি ৩ হাজার ৪৭৬ টাকা দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার ৬০১ টাকা।

টানা লকডাউনে স্থবির হয়ে পড়ছে অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য। আমদানি, রপ্তানিতে দীর্ঘ হচ্ছে অচলাবস্থা। অর্থনীতির প্রাণ তৈরি পোশাকসহ প্রায় সব ধরনের কারখানা বন্ধের ফলে পুরো সাপ্লাই চেইন বা সরবরাহব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তার কারণে নাজুক হয়ে পড়েছে বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান পরিস্থিতি। প্রায় মরে যাচ্ছে
৩০ জুলাই ২০২১
তিন থেকে চার মাস ভোগান্তির পর দুই সপ্তাহ ধরে কমছে সবজির দাম। চলতি সপ্তাহে সবজির সঙ্গে ক্রেতা-ভোক্তার জন্য স্বস্তি রয়েছে ডিম ও চিনির ক্ষেত্রেও। প্রতি ডজন ডিমের দাম ১০-১৫ টাকা কমেছে। চিনির দাম কমেছে কেজিপ্রতি আরও ৫ টাকা।
৩৮ মিনিট আগে
সমুদ্রপথে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের আধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে এসেছে এমভি বাংলার প্রগতি। পরিবেশবান্ধব নকশা, জ্বালানিসাশ্রয়ী ইঞ্জিন এবং অসাধারণ অপারেশনাল দক্ষতার এ জাহাজটি ৬৫ হাজার টন পণ্য বহন করতে সক্ষম। সম্প্রতি রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) বহরে যুক্ত হয়ে দেশের জ্বালানি পরিবহনকে দিয়েছে নত
৩৯ মিনিট আগে
দক্ষিণ কোরিয়ার বুসান শহরে আজ বৃহস্পতিবার দুই নেতার মুখোমুখি বৈঠকে এই সমঝোতা হয়েছে। ২০১৯ সালের পর এটাই তাঁদের প্রথম সরাসরি সাক্ষাৎ। এর আগে ট্রাম্প দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে বৈঠক করেন।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপরেই তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, চীনের ওপর আরোপিত শুল্ক কিছুটা কমানো হবে। তিনি বলেছেন, ‘বেইজিং অবৈধ ফেন্টানিলের বাণিজ্য বন্ধ, যুক্তরাষ্ট্র থেকে পুনরায় সয়াবিন আমদানি শুরু এবং বিরল উপাদান রপ্তানি অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তাই আমরা চীনের ওপর আরোপিত শুল্ক কিছুটা কমাব।’
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার বুসান শহরে আজ বৃহস্পতিবার দুই নেতার মুখোমুখি বৈঠকে এই সমঝোতা হয়েছে। ২০১৯ সালের পর এটাই তাঁদের প্রথম সরাসরি সাক্ষাৎ। এর আগে ট্রাম্প দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে বৈঠক করেন।
দক্ষিণ কোরিয়া ছাড়ার কিছুক্ষণ পর এয়ারফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, ‘অসাধারণ একটি বৈঠক হয়েছে—আমি একে ১০-এর মধ্যে ১২ দেব।’
ট্রাম্প জানান, চীন থেকে আমদানি পণ্যের ওপর শুল্ক ৫৭ থেকে কমিয়ে ৪৭ শতাংশ করা হবে। বিশেষ করে, ফেন্টানিল উৎপাদনে ব্যবহৃত রাসায়নিক দ্রব্যের বাণিজ্যের ক্ষেত্রে শুল্ক ১০ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে। তিনি বলেন, সি চিন পিং কথা দিয়েছেন, ফেন্টানিলের পাচার রোধে তিনি সর্বাত্মক চেষ্টা করবেন।
প্রসঙ্গত, ফেন্টানিল সাধারণত চিকিৎসায় ব্যথা উপশমকারী হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এর শক্তি মরফিন বা হেরোইনের চেয়ে ৫০ থেকে ১০০ গুণ বেশি। তবে এর মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার বা অপব্যবহার অত্যন্ত বিপজ্জনক। ফেন্টানিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাচার হওয়া সবচেয়ে ভয়ানক মাদকগুলোর মধ্যে অন্যতম। এর কারণে শুধু ২০২২ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ১২ মাসে ৫২ হাজারের বেশি মার্কিন নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে, চীন বিরল খনিজ উপাদান রপ্তানির ওপর আরোপিত বিধিনিষেধ এক বছরের জন্য স্থগিত করেছে। চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানায়, এই উপাদানগুলো গাড়ি, বিমান ও অস্ত্রশিল্পে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধে এগুলো বেইজিংয়ের অন্যতম শক্তিশালী হাতিয়ার হয়ে উঠেছিল।
এ ছাড়া দুই দেশ কৃষি-বাণিজ্য বাড়ানোর বিষয়ে একমত হয়েছে। এর পাশাপাশি টিকটক অ্যাপসংক্রান্ত মালিকানা সমস্যার সমাধানেও একসঙ্গে কাজ করবে বলে জানিয়েছে বেইজিং।
যদিও ট্রাম্প এই বৈঠককে ‘অসাধারণ সাফল্য’ হিসেবে তুলে ধরেছেন, তবে বৈশ্বিক শেয়ারবাজারে এর প্রতিক্রিয়া ছিল মিশ্র। চীনের সাংহাই কম্পোজিট সূচক ১০ বছরের সর্বোচ্চ অবস্থান থেকে কিছুটা নেমে আসে এবং যুক্তরাষ্ট্রে সয়াবিন ফিউচারও দুর্বল ছিল।
অস্ট্রেলিয়ার উইলিয়াম বাক পরামর্শক সংস্থার প্রধান অর্থনীতিবিদ বেসা ডেডা রয়টার্সকে বলেন, বাজারের প্রতিক্রিয়া ট্রাম্পের বর্ণনার মতো উচ্ছ্বসিত নয়—বরং বেশ সতর্ক।
অন্যদিকে, মার্কিন সিনেটের ডেমোক্র্যাট নেতা চাক শুমার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, ‘ট্রাম্প চীনের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন—তাঁর কথায় বিশ্বাস করা উচিত নয়।’
বুসানে সির সঙ্গে বৈঠকের আগে ট্রাম্প দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিউংয়ের সঙ্গে শুল্কসংক্রান্ত চুক্তির অধিকাংশ বিষয় চূড়ান্ত করেন। ট্রাম্প জানান, চীনও যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি ক্রয়ের প্রক্রিয়া শুরু করবে। তিনি ইঙ্গিত দেন, আলাস্কায় ৪৪ বিলিয়ন ডলারের এলএনজি প্রকল্প নিয়ে বড় ধরনের চুক্তি হতে পারে। তিনি আরও জানান, আগামী এপ্রিলে তিনি চীন সফর করবেন এবং পরে সি চিন পিংকে যুক্তরাষ্ট্রে আমন্ত্রণ জানাবেন।
চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া এ বৈঠককে সির কূটনৈতিক সাফল্য হিসেবে বর্ণনা করেছে।
তবে বৈঠকে তাইওয়ান বা এনভিডিয়ার আধুনিক ব্ল্যাকওয়েল চিপ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলে ট্রাম্প জানান। এতে চীনের ৫০ বিলিয়ন ডলারের এআই বাজারে এনভিডিয়ার অবস্থান আরও অনিশ্চিত হয়ে পড়তে পারে। তবে তাইওয়ানের প্রধান বাণিজ্য আলোচক জানান, তিনি এপেক সম্মেলনের ফাঁকে এক মার্কিন বাণিজ্য কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করেছেন, যদিও আলোচনার বিস্তারিত জানাতে অস্বীকৃতি জানান।
এদিকে বৈঠক শুরুর কয়েক মিনিট আগে ৩৩ বছর পর আবারও পেন্টাগনকে পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার নির্দেশ দেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তিনি জানান, রাশিয়া ও চীনের বাড়তে থাকা প্রভাবের প্রেক্ষাপটে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, তারা আশা করে, যুক্তরাষ্ট্র পারমাণবিক পরীক্ষা স্থগিত রাখার নীতি বজায় রাখবে।

চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপরেই তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, চীনের ওপর আরোপিত শুল্ক কিছুটা কমানো হবে। তিনি বলেছেন, ‘বেইজিং অবৈধ ফেন্টানিলের বাণিজ্য বন্ধ, যুক্তরাষ্ট্র থেকে পুনরায় সয়াবিন আমদানি শুরু এবং বিরল উপাদান রপ্তানি অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তাই আমরা চীনের ওপর আরোপিত শুল্ক কিছুটা কমাব।’
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার বুসান শহরে আজ বৃহস্পতিবার দুই নেতার মুখোমুখি বৈঠকে এই সমঝোতা হয়েছে। ২০১৯ সালের পর এটাই তাঁদের প্রথম সরাসরি সাক্ষাৎ। এর আগে ট্রাম্প দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে বৈঠক করেন।
দক্ষিণ কোরিয়া ছাড়ার কিছুক্ষণ পর এয়ারফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, ‘অসাধারণ একটি বৈঠক হয়েছে—আমি একে ১০-এর মধ্যে ১২ দেব।’
ট্রাম্প জানান, চীন থেকে আমদানি পণ্যের ওপর শুল্ক ৫৭ থেকে কমিয়ে ৪৭ শতাংশ করা হবে। বিশেষ করে, ফেন্টানিল উৎপাদনে ব্যবহৃত রাসায়নিক দ্রব্যের বাণিজ্যের ক্ষেত্রে শুল্ক ১০ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে। তিনি বলেন, সি চিন পিং কথা দিয়েছেন, ফেন্টানিলের পাচার রোধে তিনি সর্বাত্মক চেষ্টা করবেন।
প্রসঙ্গত, ফেন্টানিল সাধারণত চিকিৎসায় ব্যথা উপশমকারী হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এর শক্তি মরফিন বা হেরোইনের চেয়ে ৫০ থেকে ১০০ গুণ বেশি। তবে এর মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার বা অপব্যবহার অত্যন্ত বিপজ্জনক। ফেন্টানিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাচার হওয়া সবচেয়ে ভয়ানক মাদকগুলোর মধ্যে অন্যতম। এর কারণে শুধু ২০২২ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ১২ মাসে ৫২ হাজারের বেশি মার্কিন নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে, চীন বিরল খনিজ উপাদান রপ্তানির ওপর আরোপিত বিধিনিষেধ এক বছরের জন্য স্থগিত করেছে। চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানায়, এই উপাদানগুলো গাড়ি, বিমান ও অস্ত্রশিল্পে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধে এগুলো বেইজিংয়ের অন্যতম শক্তিশালী হাতিয়ার হয়ে উঠেছিল।
এ ছাড়া দুই দেশ কৃষি-বাণিজ্য বাড়ানোর বিষয়ে একমত হয়েছে। এর পাশাপাশি টিকটক অ্যাপসংক্রান্ত মালিকানা সমস্যার সমাধানেও একসঙ্গে কাজ করবে বলে জানিয়েছে বেইজিং।
যদিও ট্রাম্প এই বৈঠককে ‘অসাধারণ সাফল্য’ হিসেবে তুলে ধরেছেন, তবে বৈশ্বিক শেয়ারবাজারে এর প্রতিক্রিয়া ছিল মিশ্র। চীনের সাংহাই কম্পোজিট সূচক ১০ বছরের সর্বোচ্চ অবস্থান থেকে কিছুটা নেমে আসে এবং যুক্তরাষ্ট্রে সয়াবিন ফিউচারও দুর্বল ছিল।
অস্ট্রেলিয়ার উইলিয়াম বাক পরামর্শক সংস্থার প্রধান অর্থনীতিবিদ বেসা ডেডা রয়টার্সকে বলেন, বাজারের প্রতিক্রিয়া ট্রাম্পের বর্ণনার মতো উচ্ছ্বসিত নয়—বরং বেশ সতর্ক।
অন্যদিকে, মার্কিন সিনেটের ডেমোক্র্যাট নেতা চাক শুমার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, ‘ট্রাম্প চীনের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন—তাঁর কথায় বিশ্বাস করা উচিত নয়।’
বুসানে সির সঙ্গে বৈঠকের আগে ট্রাম্প দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিউংয়ের সঙ্গে শুল্কসংক্রান্ত চুক্তির অধিকাংশ বিষয় চূড়ান্ত করেন। ট্রাম্প জানান, চীনও যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি ক্রয়ের প্রক্রিয়া শুরু করবে। তিনি ইঙ্গিত দেন, আলাস্কায় ৪৪ বিলিয়ন ডলারের এলএনজি প্রকল্প নিয়ে বড় ধরনের চুক্তি হতে পারে। তিনি আরও জানান, আগামী এপ্রিলে তিনি চীন সফর করবেন এবং পরে সি চিন পিংকে যুক্তরাষ্ট্রে আমন্ত্রণ জানাবেন।
চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া এ বৈঠককে সির কূটনৈতিক সাফল্য হিসেবে বর্ণনা করেছে।
তবে বৈঠকে তাইওয়ান বা এনভিডিয়ার আধুনিক ব্ল্যাকওয়েল চিপ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলে ট্রাম্প জানান। এতে চীনের ৫০ বিলিয়ন ডলারের এআই বাজারে এনভিডিয়ার অবস্থান আরও অনিশ্চিত হয়ে পড়তে পারে। তবে তাইওয়ানের প্রধান বাণিজ্য আলোচক জানান, তিনি এপেক সম্মেলনের ফাঁকে এক মার্কিন বাণিজ্য কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করেছেন, যদিও আলোচনার বিস্তারিত জানাতে অস্বীকৃতি জানান।
এদিকে বৈঠক শুরুর কয়েক মিনিট আগে ৩৩ বছর পর আবারও পেন্টাগনকে পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার নির্দেশ দেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তিনি জানান, রাশিয়া ও চীনের বাড়তে থাকা প্রভাবের প্রেক্ষাপটে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, তারা আশা করে, যুক্তরাষ্ট্র পারমাণবিক পরীক্ষা স্থগিত রাখার নীতি বজায় রাখবে।

টানা লকডাউনে স্থবির হয়ে পড়ছে অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য। আমদানি, রপ্তানিতে দীর্ঘ হচ্ছে অচলাবস্থা। অর্থনীতির প্রাণ তৈরি পোশাকসহ প্রায় সব ধরনের কারখানা বন্ধের ফলে পুরো সাপ্লাই চেইন বা সরবরাহব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তার কারণে নাজুক হয়ে পড়েছে বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান পরিস্থিতি। প্রায় মরে যাচ্ছে
৩০ জুলাই ২০২১
তিন থেকে চার মাস ভোগান্তির পর দুই সপ্তাহ ধরে কমছে সবজির দাম। চলতি সপ্তাহে সবজির সঙ্গে ক্রেতা-ভোক্তার জন্য স্বস্তি রয়েছে ডিম ও চিনির ক্ষেত্রেও। প্রতি ডজন ডিমের দাম ১০-১৫ টাকা কমেছে। চিনির দাম কমেছে কেজিপ্রতি আরও ৫ টাকা।
৩৮ মিনিট আগে
সমুদ্রপথে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের আধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে এসেছে এমভি বাংলার প্রগতি। পরিবেশবান্ধব নকশা, জ্বালানিসাশ্রয়ী ইঞ্জিন এবং অসাধারণ অপারেশনাল দক্ষতার এ জাহাজটি ৬৫ হাজার টন পণ্য বহন করতে সক্ষম। সম্প্রতি রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) বহরে যুক্ত হয়ে দেশের জ্বালানি পরিবহনকে দিয়েছে নত
৩৯ মিনিট আগে
দেশের বাজারে কমেছে সোনার দাম। এবার নতুন করে প্রতি ভরি ভালো মানের সোনার (২২ ক্যারেট) দাম কমেছে ২ হাজার ৬১৩ টাকা। এখন থেকে দেশের বাজারে প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের সোনা বিক্রি হবে ২ লাখ ৯৬ টাকায়।
৫ ঘণ্টা আগে