Ajker Patrika

বিএসইসির নতুন নীতিমালার বিরুদ্ধে বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

মার্জিন ঋণ ও মিউচুয়াল ফান্ড নিয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নতুন খসড়া নীতিমালার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন বিনিয়োগকারীরা।

আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর মতিঝিলে পুরোনো ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ভবনের সামনে এ বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।

মিউচুয়াল ফান্ড বিনিয়োগকারী ঐক্য ফ্রন্ট, বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশন ও ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশন যৌথভাবে এ কর্মসূচির আয়োজন করে।

বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন, বিএসইসির একের পর এক অবিবেচক সিদ্ধান্তে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা নিঃস্ব হয়ে পড়ছেন। বিশেষ করে, সম্প্রতি প্রকাশিত মার্জিন বিধিমালা, ২০২৫ ও মিউচুয়াল ফান্ড বিধিমালা, ২০২৫-এর বিভিন্ন কঠোর শর্ত বাজারের স্থিতিশীলতা নষ্ট করছে এবং বিনিয়োগকারীদের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করছে।

মিউচুয়াল ফান্ড বিনিয়োগকারী ঐক্য ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক জহুরুল হক জুয়েল বলেন, বিএসইসি দেশের বর্তমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বাস্তবতা উপেক্ষা করছে। নতুন মার্জিন ও মিউচুয়াল ফান্ড বিধিমালায় এমন কিছু শর্ত দেওয়া হয়েছে, যা বাজারকে আরও অস্থিতিশীল করে তুলছে। কোনো আইন প্রণয়নের আগে কমিশন স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করছে না। এর ফলে হাজার হাজার কোটি টাকার মার্কেটে ক্যাপিটাল উধাও হয়ে গেছে, অসংখ্য বিনিয়োগকারী দেউলিয়া হয়ে পড়েছেন।

জহুরুল হক জুয়েল আরও বলেন, ‘আমরা বিএসইসিকে অনুরোধ করছি, বাজারের বাস্তবতা গভীরভাবে পর্যালোচনা করে ও স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে বিনিয়োগকারীবান্ধব নীতিমালা গ্রহণ করুন।’

একজন ক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারী অভিযোগ করে বলেন, ‘কঠোর প্রভিশনিং নীতির কারণে টানা দুই বছর আমরা কোনো ডিভিডেন্ড পাচ্ছি না। এখন কমিশন এসব ফান্ড বন্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছে। অথচ আমরা নিজের ঝুঁকিতে এসব ফান্ডে বিনিয়োগ করেছি। বিএসইসির এসব ফান্ড জোরপূর্বক বন্ধ করে দেওয়ার কোনো অধিকার নেই।’

আরও এক বিনিয়োগকারী বলেন, নতুন মার্জিন রুলসে কেবল ‘এ’ ক্যাটাগরির শেয়ারেই ঋণ দেওয়া যাবে—এমন শর্ত বাজারকে ঝুঁকির মুখে ফেলবে। ‘এ’ ক্যাটাগরির শেয়ার ‘বি’ বা ‘জেড’ হলে তা দ্রুত বিক্রির বাধ্যবাধকতা এবং দাম কমলে জোরপূর্বক বিক্রির বিধান বিনিয়োগকারীদের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হবে। এতে ব্রোকারেজ হাউসগুলোরও বিপুল ক্ষতি হবে।

ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক শেখ মেহেদী ফারহান বলেন, ‘রিফর্মের নামে বিএসইসির গুটিকয়েক কর্মকর্তার উর্বর মস্তিষ্ক থেকে এসব উদ্ভট নীতিমালা আসছে, যা লাখ লাখ বিনিয়োগকারীর ক্ষতি করবে। আমরা শিশু নই। নিজেদের ভালো-মন্দ বুঝি। আমাদের নাম ভাঙিয়ে নিজেদের অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে বিএসইসি। আগে বাজারে লেনদেন বাড়ানোর উদ্যোগ নিন। তারপর মিউচুয়াল ফান্ড সংস্কার করুন।’

বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মানিক বলেন, ‘বিএসইসির খসড়া মার্জিন রুলসে শুভংকরের ফাঁকি রয়েছে। এতে বড় বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বিক্রি করে বাজার থেকে সরে যাচ্ছেন। আমরা সম্মিলিতভাবে আমাদের দাবি আদায়ে আন্দোলন চালিয়ে যাব।’

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া বিনিয়োগকারীরা বিএসইসির বিতর্কিত সিদ্ধান্ত বাতিল, বাজার স্থিতিশীলতায় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া ও ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের স্বার্থরক্ষায় নীতিমালা সংশোধনের দাবি জানান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘আমি বিএনপি করি, তবে শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী’

ড্রাইভিং লাইসেন্সে বিআরটিএর নিয়ন্ত্রণ থাকছে না: উপদেষ্টা ফাওজুল কবির

সন্তান জন্মের ৪ মাস পর বিয়ের খবর দিলেন জেমস

সেনানিবাসের সাবজেলেই রাখা হবে ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে: কারা মহাপরিদর্শক

ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সুরক্ষায় নতুন ৩ ব্যাটালিয়ন, দুই হাজার ২৫৮ পদ সৃষ্টি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ