নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
২০২৩-২৪ অর্থবছরের শুরু থেকে প্রথম তিন মাসে রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হলেও চতুর্থ মাস অক্টোবরে এসে বড় ধরনের হোঁচট খেয়েছে রপ্তানি আয়। আগের অর্থবছরের একই মাসের তুলনায় চলতি অর্থবছরের অক্টোবরে রপ্তানি আয় কমেছে ১৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
আজ বৃহস্পতিবার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রকাশিত পরিসংখ্যানে দেখা যায়, অক্টোবরে মোট ৩৭৬ কোটি ২০ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে তা ৫৯ কোটি ৪৬ লাখ ডলার বা ১৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ কম। ২০২২ সালের অক্টোবরে ৪৩৫ কোটি ৬৬ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছিল।
অক্টোবর মাসে রপ্তানি আয়ে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রবৃদ্ধির কারণে চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসের মধ্যে এই প্রথম মোট পণ্য রপ্তানি ৪০০ কোটি ডলারের নিচে নেমে এসেছে। ইপিবির তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, রপ্তানি আয়ে এই ধসের জন্য মূলত বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাক খাতসহ অন্যান্য খাতে প্রত্যাশিত প্রবৃদ্ধি না হওয়ায় অন্যতম কারণ।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য যে ৬ হাজার ২০০ কোটি মার্কিন ডলারে কৌশলগত রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে তার জন্য অক্টোবর মাসে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৫২৫ কোটি ১০ লাখ ডলার। তৈরি পোশাকসহ অন্যান্য খাতে রপ্তানি কমে যাওয়ার কৌশলগত রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৮ দশমিক ৩৫ শতাংশ কম রপ্তানি হয়েছে।
তৈরি পোশাক খাতে চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাস সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রপ্তানি আয়ে ১৩ দশমিক ০৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি থাকলেও অক্টোবর মাসে বড় ধসের কারণে তৈরি পোশাক খাতে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি নেমে এসেছে ৫ দশমিক ৯৫ শতাংশে।
অর্থবছরের প্রথম চার মাস শেষে নিট পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৮৬৭ কোটি ৬৭ লাখ ডলারের; প্রবৃদ্ধি রয়েছে ১২ দশমিক ৩২ শতাংশ। ওভেন পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৬১০ কোটি ৬৩ লাখ ডলারের, পিছিয়ে গেছে ১ দশমিক ৯৪ শতাংশ।
জুলাই-অক্টোবর এই চার মাসের জন্য তৈরি পোশাক থেকে ১ হাজার ৬২২ কোটি ডলারের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আয় এসেছে ১ হাজার ৪৭৮ কোটি ডলারের যা কৌশলগত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৮ দশমিক ৮৬ শতাংশ কম।
ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, গত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর প্রতি মাসেই ৪০০ কোটির বেশি রপ্তানি আয় এসেছে। এর মধ্যে আগস্টে এসেছিল সবচেয়ে বেশি ৪৭৮ কোটি ডলার। জুলাইয়ে যা ছিল ৪৫৯ কোটি এবং সেপ্টেম্বরে ৪৩১ কোটি ডলার।
ইপিবির তথ্যে দেখা যায়, জুলাই থেকে অক্টোবরে মোট ১ হাজার ৭৪৪ কোটি ৭৪ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। প্রবৃদ্ধির হার মাত্র ৩ দশমিক ৫২ শতাংশ। সেপ্টেম্বর শেষে রপ্তানি প্রবৃদ্ধির এ হার ছিল ৯ দশমিক ৫১ শতাংশ।
২০২২-২৩ অর্থবছরে রপ্তানি আয়ে ব্যাপক ওঠানামা করার পরও রপ্তানিকারকরা ৫ হাজার ৫৫৬ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছিল। গেল অর্থবছরের আগের অর্থবছরের তুলনায় সার্বিক রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ছিল ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে ৬২ বিলিয়ন ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার।
বিজিএমইএ জানিয়েছে, ২০২২ সালের অক্টোবরে তৈরি পোশাক খাত থেকে রপ্তানি আয় এসেছিল ৩৬৮ কোটি মার্কিন ডলার। চলতি বছরের অক্টোবরে বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি খাত তৈরি পোশাক থেকে আয় এসেছে ৩১৭ কোটি মার্কিন ডলার যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ।
এই ব্যাপারে বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, গত বছরের অক্টোবরের তুলনায় এই বছরের তৈরি পোশাক খাতে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে যা আমাদের জন্য খুবই উদ্বেগজনক। তৈরি পোশাক খাতে ইপিবি যে চার মাসের হিসেব দিয়েছে তাতে যে প্রবৃদ্ধি দেখাচ্ছে সেটা রপ্তানির আসল চিত্র নিয়ে ভুল বার্তা দেবে।
ফারুক হাসান বলেন, ‘আমাদের যে কৌশলগত রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রায় ধাক্কা এসেছে সেটা আমাদের জন্য উদ্বেগজনক। ২০২০ সালের পর থেকে আমাদের মোট রপ্তানিতে কখনোই নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়নি। এই মাস থেকে আমাদের নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি শুরু হয়ে গেছে।’
২০২৩-২৪ অর্থবছরের শুরু থেকে প্রথম তিন মাসে রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হলেও চতুর্থ মাস অক্টোবরে এসে বড় ধরনের হোঁচট খেয়েছে রপ্তানি আয়। আগের অর্থবছরের একই মাসের তুলনায় চলতি অর্থবছরের অক্টোবরে রপ্তানি আয় কমেছে ১৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
আজ বৃহস্পতিবার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রকাশিত পরিসংখ্যানে দেখা যায়, অক্টোবরে মোট ৩৭৬ কোটি ২০ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে তা ৫৯ কোটি ৪৬ লাখ ডলার বা ১৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ কম। ২০২২ সালের অক্টোবরে ৪৩৫ কোটি ৬৬ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছিল।
অক্টোবর মাসে রপ্তানি আয়ে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রবৃদ্ধির কারণে চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসের মধ্যে এই প্রথম মোট পণ্য রপ্তানি ৪০০ কোটি ডলারের নিচে নেমে এসেছে। ইপিবির তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, রপ্তানি আয়ে এই ধসের জন্য মূলত বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাক খাতসহ অন্যান্য খাতে প্রত্যাশিত প্রবৃদ্ধি না হওয়ায় অন্যতম কারণ।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য যে ৬ হাজার ২০০ কোটি মার্কিন ডলারে কৌশলগত রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে তার জন্য অক্টোবর মাসে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৫২৫ কোটি ১০ লাখ ডলার। তৈরি পোশাকসহ অন্যান্য খাতে রপ্তানি কমে যাওয়ার কৌশলগত রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৮ দশমিক ৩৫ শতাংশ কম রপ্তানি হয়েছে।
তৈরি পোশাক খাতে চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাস সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রপ্তানি আয়ে ১৩ দশমিক ০৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি থাকলেও অক্টোবর মাসে বড় ধসের কারণে তৈরি পোশাক খাতে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি নেমে এসেছে ৫ দশমিক ৯৫ শতাংশে।
অর্থবছরের প্রথম চার মাস শেষে নিট পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৮৬৭ কোটি ৬৭ লাখ ডলারের; প্রবৃদ্ধি রয়েছে ১২ দশমিক ৩২ শতাংশ। ওভেন পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৬১০ কোটি ৬৩ লাখ ডলারের, পিছিয়ে গেছে ১ দশমিক ৯৪ শতাংশ।
জুলাই-অক্টোবর এই চার মাসের জন্য তৈরি পোশাক থেকে ১ হাজার ৬২২ কোটি ডলারের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আয় এসেছে ১ হাজার ৪৭৮ কোটি ডলারের যা কৌশলগত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৮ দশমিক ৮৬ শতাংশ কম।
ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, গত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর প্রতি মাসেই ৪০০ কোটির বেশি রপ্তানি আয় এসেছে। এর মধ্যে আগস্টে এসেছিল সবচেয়ে বেশি ৪৭৮ কোটি ডলার। জুলাইয়ে যা ছিল ৪৫৯ কোটি এবং সেপ্টেম্বরে ৪৩১ কোটি ডলার।
ইপিবির তথ্যে দেখা যায়, জুলাই থেকে অক্টোবরে মোট ১ হাজার ৭৪৪ কোটি ৭৪ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। প্রবৃদ্ধির হার মাত্র ৩ দশমিক ৫২ শতাংশ। সেপ্টেম্বর শেষে রপ্তানি প্রবৃদ্ধির এ হার ছিল ৯ দশমিক ৫১ শতাংশ।
২০২২-২৩ অর্থবছরে রপ্তানি আয়ে ব্যাপক ওঠানামা করার পরও রপ্তানিকারকরা ৫ হাজার ৫৫৬ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছিল। গেল অর্থবছরের আগের অর্থবছরের তুলনায় সার্বিক রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ছিল ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে ৬২ বিলিয়ন ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার।
বিজিএমইএ জানিয়েছে, ২০২২ সালের অক্টোবরে তৈরি পোশাক খাত থেকে রপ্তানি আয় এসেছিল ৩৬৮ কোটি মার্কিন ডলার। চলতি বছরের অক্টোবরে বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি খাত তৈরি পোশাক থেকে আয় এসেছে ৩১৭ কোটি মার্কিন ডলার যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ।
এই ব্যাপারে বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, গত বছরের অক্টোবরের তুলনায় এই বছরের তৈরি পোশাক খাতে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে যা আমাদের জন্য খুবই উদ্বেগজনক। তৈরি পোশাক খাতে ইপিবি যে চার মাসের হিসেব দিয়েছে তাতে যে প্রবৃদ্ধি দেখাচ্ছে সেটা রপ্তানির আসল চিত্র নিয়ে ভুল বার্তা দেবে।
ফারুক হাসান বলেন, ‘আমাদের যে কৌশলগত রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রায় ধাক্কা এসেছে সেটা আমাদের জন্য উদ্বেগজনক। ২০২০ সালের পর থেকে আমাদের মোট রপ্তানিতে কখনোই নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়নি। এই মাস থেকে আমাদের নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি শুরু হয়ে গেছে।’
যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপে ভারসাম্য রক্ষা ও বাংলাদেশকে অনুকূল অবস্থানে আনার লক্ষ্যে ২৫টি বোয়িং বিমানের অর্ডার, ৭ লাখ টন গম, এলএনজি, তুলা, ওষুধ, মূলধনী যন্ত্রপাতি, রাসায়নিক কাঁচামাল ও কৃষিজ পণ্য আমদানির ঘোষণা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনায় ইতিবাচক আবহ তৈরির চেষ্টায় নেমেছে ঢাকা।
১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর মহাখালী ডিওএইচএস এলাকায় কারখানা বন্ধ ও বিক্রি কমে যাওয়ার কারণে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বহুজাতিক কোম্পানি ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেডের (বিএটিবিসি) মুনাফায় ধস নেমেছে। আগের বছরের তুলনায় চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) কোম্পানিটির মুনাফা কমে পাঁচ ভাগের এক
২ ঘণ্টা আগেটাকার আন্তঃব্যাংক ও গ্রাহক লেনদেনের বিনিময় হার ডিলার ব্যাংকগুলো চাহিদা ও জোগানের ওপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করে। বাজারে শৃঙ্খলা বজায় রাখার প্রয়োজন হলে বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ডিলার ব্যাংকের সঙ্গে প্রচলিত আন্তঃব্যাংক বিনিময় হারে মার্কিন ডলার কেনা-বেচা করে।
৫ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ৩৫ শতাংশ পাল্টা শুল্কের চাপে ব্যবসায়ীরা যখন অস্থির, ঠিক সে সময় চট্টগ্রাম বন্দর ও অভ্যন্তরীণ কনটেইনার ডিপোর (আইসিডি) চার্জ বাড়ানোর প্রস্তাব এসেছে। চট্টগ্রাম বন্দরের ট্যারিফ (মাশুল) ৭০ থেকে ১০০ শতাংশ ও অভ্যন্তরীণ কনটেইনার ডিপোর (আইসিডি) চার্জ ২৯ থেকে ১০০ শতাংশ...
১৩ ঘণ্টা আগে