নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশের পোশাকশ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি ও অধিকার রক্ষায় সরকার ও কারখানা মালিকদের চাপ দিতে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বৈশ্বিক ক্রেতাদের সংগঠন আমেরিকান অ্যাপারেলস অ্যান্ড ফুটওয়্যারকে (এএএফএ) চিঠি দিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের আট সদস্য। এই চিঠির প্রতিক্রিয়ায় বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান উল্টো তৈরি পোশাকের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতাদের চাপ দিতে কংগ্রেস সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর উত্তরায় অবস্থিত বিজিএইর নিজস্ব ভবনে ‘বিজিএমইএ ক্যারিয়ার সামিট’ বিষয়ক এক সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান এ আহ্বান জানিয়েছেন।
ফারুক হাসান বলেন, ‘পোশাকের দাম বাড়ানোর জন্য আমরা (বিজিএমইএ) আমেরিকান অ্যাপারেলস অ্যান্ড ফুটওয়্যারসহ অন্যান্য ক্রেতাদের দুই বার চিঠি দিয়েছি। আমরা তাদের থেকে কোনো উত্তর পাইনি। যেই কয়জন কংগ্রেস সদস্য শ্রমিকদের মজুরি ও অধিকার নিয়ে চিঠি দিয়েছে তারা যেন পোশাকের ন্যায্যমূল্য নিয়ে একটু উদ্বিগ্ন হয়।’
গত ১৫ ডিসেম্বর এএএফএ প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী স্টিফেন লামারের কাছে লিখিত চিঠিতে ৮ মার্কিন আইনপ্রণেতা বলেন, ‘বাংলাদেশের মজুরি বোর্ড সম্প্রতি যে পরিমাণ মজুরি বৃদ্ধি ঘোষণা করেছে তা জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয় মেটাতে পারে না। ফলে বিষয়টি শ্রমিকদের গণবিক্ষোভের দিকে নিয়ে গেছে। পুলিশ প্রতিবাদকারী ও ট্রেড ইউনিয়ন নেতাদের বিরুদ্ধে সহিংস প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।’
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে শুল্কমুক্ত সুবিধায় তুলা রপ্তানি করে উল্লেখ করে ফারুক হাসান বলেন, বাংলাদেশ কোনো দিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে পোশাক রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা পায়নি। এমনকি কম শুল্কে পোশাক রপ্তানির সুযোগও পায় নাই। আমরা গড়ে ১৫ দশমিক ৫০ শতাংশে পোশাক রপ্তানি করি। এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশও শুল্ক দিতে হয়ে।
কংগ্রেস সদস্যদের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে ফারুক হাসান বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের শ্রমিকদের ব্যাপারে উদ্বিগ্ন। আমার তাদের এই উদ্বিগ্ন হওয়াকে স্বাগত জানাই। যেই শ্রমিকদের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এতই উদ্বিগ্ন তারা কখনোই তৈরি পোশাক খাতকে জিএসপি সুবিধার অধীনে রাখেনি। আমরা (বিজিএমইএ) আশা করি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তৈরি পোশাক রপ্তানিতে আমাদের শুল্কমুক্ত সুবিধা দেয়।’
পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২৩ হাজার টাকা করার ব্যাপারে কংগ্রেস সদস্যদের দাবির ব্যাপারে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, তারা তাদের কথা বলেছে। আমরা আমাদের সরকার যে ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করে দিয়েছে তার নিরিখে আমাদের কারকানাগুলো নতুন মজুরি বাস্তবায়ন করছে।
পোশাকের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে কংগ্রেস সদস্যদের সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ফারুক হাসান বলেন, ‘আমরা আশা করি কংগ্রেস সদস্যরা তাদের ভোক্তা, ক্রেতাদেরও বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশে যে অর্ডার করে সেখানে যেন তারা নৈতিক ও ন্যায্যমূল্য দিতে চাপ দেয় যাতে পোশাক কারখানা এবং দেশগুলো তাদের কর্মীদেরও তাদের ভাষায় লিভএ্যাবল ওয়েজ বা ‘জীবন ধারণের’ মত মজুরি দিতে পারে।’
শ্রমিকের অধিকার ও শ্রম আইন লঙ্ঘন নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে নিষেধাজ্ঞার আসার সম্ভাবনাকে বরাবরের মতোই উড়িয়ে দিয়ে ফারুক হাসান। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেনশিয়াল মেমোরেন্ডামের শ্রম আইন লঙ্ঘনের বিষয় আছে। আমাদের এখানে এমন ধরনের কোন আইন ভঙ্গ হচ্ছে না। সুতরাং আমার কেন চিন্তিত হব।
ফারুক হাসান বলেন, ‘শ্রম আইনের লঙ্ঘন নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কথা বলছে। আমরা বলছি আমাদের দেশে শ্রম আইনের কোনো লঙ্ঘন নাই। এই ক্ষেত্রে আমরা কোনো কারণ দেখি না এই ইস্যুতে বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা আসবে।’
ফারুক হাসান আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রও ডব্লিউটিও সদস্য। আমরা ডব্লিউটিও সদস্য। যেকোনো দেশকে বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার নিয়ম ও শর্ত আছে। এই নিয়ম অনুযায়ী কোনো কারণ নেই যুক্তরাষ্ট্র আমাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেবে।’
বাংলাদেশের পোশাকশ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি ও অধিকার রক্ষায় সরকার ও কারখানা মালিকদের চাপ দিতে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বৈশ্বিক ক্রেতাদের সংগঠন আমেরিকান অ্যাপারেলস অ্যান্ড ফুটওয়্যারকে (এএএফএ) চিঠি দিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের আট সদস্য। এই চিঠির প্রতিক্রিয়ায় বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান উল্টো তৈরি পোশাকের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতাদের চাপ দিতে কংগ্রেস সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর উত্তরায় অবস্থিত বিজিএইর নিজস্ব ভবনে ‘বিজিএমইএ ক্যারিয়ার সামিট’ বিষয়ক এক সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান এ আহ্বান জানিয়েছেন।
ফারুক হাসান বলেন, ‘পোশাকের দাম বাড়ানোর জন্য আমরা (বিজিএমইএ) আমেরিকান অ্যাপারেলস অ্যান্ড ফুটওয়্যারসহ অন্যান্য ক্রেতাদের দুই বার চিঠি দিয়েছি। আমরা তাদের থেকে কোনো উত্তর পাইনি। যেই কয়জন কংগ্রেস সদস্য শ্রমিকদের মজুরি ও অধিকার নিয়ে চিঠি দিয়েছে তারা যেন পোশাকের ন্যায্যমূল্য নিয়ে একটু উদ্বিগ্ন হয়।’
গত ১৫ ডিসেম্বর এএএফএ প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী স্টিফেন লামারের কাছে লিখিত চিঠিতে ৮ মার্কিন আইনপ্রণেতা বলেন, ‘বাংলাদেশের মজুরি বোর্ড সম্প্রতি যে পরিমাণ মজুরি বৃদ্ধি ঘোষণা করেছে তা জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয় মেটাতে পারে না। ফলে বিষয়টি শ্রমিকদের গণবিক্ষোভের দিকে নিয়ে গেছে। পুলিশ প্রতিবাদকারী ও ট্রেড ইউনিয়ন নেতাদের বিরুদ্ধে সহিংস প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।’
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে শুল্কমুক্ত সুবিধায় তুলা রপ্তানি করে উল্লেখ করে ফারুক হাসান বলেন, বাংলাদেশ কোনো দিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে পোশাক রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা পায়নি। এমনকি কম শুল্কে পোশাক রপ্তানির সুযোগও পায় নাই। আমরা গড়ে ১৫ দশমিক ৫০ শতাংশে পোশাক রপ্তানি করি। এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশও শুল্ক দিতে হয়ে।
কংগ্রেস সদস্যদের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে ফারুক হাসান বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের শ্রমিকদের ব্যাপারে উদ্বিগ্ন। আমার তাদের এই উদ্বিগ্ন হওয়াকে স্বাগত জানাই। যেই শ্রমিকদের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এতই উদ্বিগ্ন তারা কখনোই তৈরি পোশাক খাতকে জিএসপি সুবিধার অধীনে রাখেনি। আমরা (বিজিএমইএ) আশা করি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তৈরি পোশাক রপ্তানিতে আমাদের শুল্কমুক্ত সুবিধা দেয়।’
পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২৩ হাজার টাকা করার ব্যাপারে কংগ্রেস সদস্যদের দাবির ব্যাপারে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, তারা তাদের কথা বলেছে। আমরা আমাদের সরকার যে ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করে দিয়েছে তার নিরিখে আমাদের কারকানাগুলো নতুন মজুরি বাস্তবায়ন করছে।
পোশাকের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে কংগ্রেস সদস্যদের সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ফারুক হাসান বলেন, ‘আমরা আশা করি কংগ্রেস সদস্যরা তাদের ভোক্তা, ক্রেতাদেরও বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশে যে অর্ডার করে সেখানে যেন তারা নৈতিক ও ন্যায্যমূল্য দিতে চাপ দেয় যাতে পোশাক কারখানা এবং দেশগুলো তাদের কর্মীদেরও তাদের ভাষায় লিভএ্যাবল ওয়েজ বা ‘জীবন ধারণের’ মত মজুরি দিতে পারে।’
শ্রমিকের অধিকার ও শ্রম আইন লঙ্ঘন নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে নিষেধাজ্ঞার আসার সম্ভাবনাকে বরাবরের মতোই উড়িয়ে দিয়ে ফারুক হাসান। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেনশিয়াল মেমোরেন্ডামের শ্রম আইন লঙ্ঘনের বিষয় আছে। আমাদের এখানে এমন ধরনের কোন আইন ভঙ্গ হচ্ছে না। সুতরাং আমার কেন চিন্তিত হব।
ফারুক হাসান বলেন, ‘শ্রম আইনের লঙ্ঘন নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কথা বলছে। আমরা বলছি আমাদের দেশে শ্রম আইনের কোনো লঙ্ঘন নাই। এই ক্ষেত্রে আমরা কোনো কারণ দেখি না এই ইস্যুতে বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা আসবে।’
ফারুক হাসান আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রও ডব্লিউটিও সদস্য। আমরা ডব্লিউটিও সদস্য। যেকোনো দেশকে বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার নিয়ম ও শর্ত আছে। এই নিয়ম অনুযায়ী কোনো কারণ নেই যুক্তরাষ্ট্র আমাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেবে।’
দেশের বিভিন্ন পর্যটন এজেন্সি, বিটুবি এজেন্ট ও সাধারণ গ্রাহকেরা দাবি করছেন, ফ্লাইট এক্সপার্টের কাছে তাঁদের শতকোটি টাকার বেশি পাওনা রয়েছে। অনেকে এরই মধ্যে টাকা পরিশোধ করেও টিকিট, হোটেল বুকিংসহ অন্যান্য সেবা পাননি।
৩৬ মিনিট আগে‘আমাদের আত্মতুষ্টির কোনো সুযোগ নেই। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ নির্বাহী আদেশে স্পষ্ট বলা আছে, কিছু দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বা নিরাপত্তা চুক্তি আলোচনা এখনো চলমান রয়েছে, যেগুলো সম্পাদিত হলে এসব দেশের শুল্ক আরও কমতে পারে। তাই বাংলাদেশকে আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে।’
৪ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক ২০ শতাংশে নেমে আসায় স্বস্তি ফিরেছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে। পাল্টা শুল্ক প্রতিযোগী দেশগুলোর সমান হওয়ায় এটি ব্যবস্থাপনাযোগ্য বলে জানিয়েছেন তৈরি পোশাক খাতের ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলছেন, এখন পাল্টা শুল্কের যে হার নির্ধারণ করা হয়েছে, তাতে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে
১৯ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক ঘোষণাতেই রপ্তানিকারকদের কপালে পড়েছিল চিন্তার বড় ভাঁজ। এই নিয়ে গত ২ এপ্রিল থেকে ঘুম উড়ে যাওয়ার দশা ব্যবসায়ী ও নীতিনির্ধারকদের। শুরু হয় মার্কিন বাণিজ্য দপ্তরের সঙ্গে দেনদরবার; বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে দেওয়া হয় নানা প্রতিশ্রুতি ও ছাড়। দফায় দফায় আলোচনা এবং সরকারের
২০ ঘণ্টা আগে