জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা
সবুজ অর্থায়নে দেশে নীরব বিপ্লব ঘটেছে। সরকারি ও বেসরকারি সব পরিকল্পনায় এখন সবুজ অর্থায়নকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। ব্যবসা টেকসই করতে উদ্যোক্তাদের সবুজ অর্থায়নে বিনিয়োগ ঝোঁক বেড়েছে। ফলে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো এক দশকের ব্যবধানে এ খাতে তাদের ঋণ বিতরণ আগের তুলনায় ১০ থেকে ২০ গুণ পর্যন্ত বাড়িয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে সবুজ অর্থায়নের সার্বিক বিনিয়োগে। মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে এ খাতে অর্থায়ন বেড়েছে ২৮ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্য দিয়ে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত হিসাবে দেশে টেকসই সবুজ অর্থায়নের প্রকল্পে বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১৬ হাজার ৭৯৯ কোটি ২৫ লাখ টাকা।
সবুজ অর্থায়ন হলো পরিবেশের কোনো ক্ষতি না করে টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জন করা। যেখানে গৃহীত শিল্প কিংবা কোনো অবকাঠামো নির্মাণ পরিকল্পনায় পরিবেশগত ঝুঁকি এবং পরিবেশগত ঘাটতি দক্ষ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা হয়; যা সরাসরি পরিবেশগত অর্থনীতির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। জাতিসংঘের এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রামের (ইউএনইপি) গ্রিন ইকোনমি পর্যালোচনা বলছে, ‘সবুজ হতে হলে একটি অর্থনীতিকে কেবল দক্ষই নয়, ন্যায্যও হতে হবে ৷ ন্যায্যতা মানে বৈশ্বিক এবং দেশীয় পর্যায়ের সমতার মাত্রাকে স্বীকৃতি দেওয়া, বিশেষ করে একটি অর্থনীতিতে ন্যায্য রূপান্তর নিশ্চিত করা; যা কম কার্বন, সম্পদ দক্ষ এবং সামাজিকভাবে অন্তর্ভুক্ত বলে বিবেচিত হয়।
২০১৩ সালে রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির পর আন্তর্জাতিক চাপে দেশে এই সবুজ অর্থায়নের বিপ্লবে গতি আসে। এতে বদলে যায় দেশে শিল্পোদ্যোক্তার বিনিয়োগ পরিকল্পনা। সবার জন্য কর্মক্ষেত্রকে নিরাপদ রাখতে ন্যাশনাল অ্যাকশন প্লানের আওতায় শিল্প-কারখানার অবকাঠামো উন্নয়ন ও সংস্কার আনার পাশাপাশি ভেতরে-বাইরের দৃশ্যপটেও লাগে সবুজের ছোঁয়া। অর্থাৎ কমপ্লায়েন্স উন্নয়নের লক্ষ্যে সবুজ অর্থায়নের এই বিপ্লব শুরু হওয়ার পর দেশকে আর বিশ্ব দরবারে বদনামের ভাগীদার হতে হয়নি; বরং আগে যেখানে একটি সবুজ অর্থায়নের বিনিয়োগ প্রকল্প খুঁজে পাওয়া মুশকিলের ব্যাপার হতো, সেখানে মাত্র এক দশকের ব্যবধানে শিল্প খাত তথা সরকারি-বেসরকারি যেকোনো অবকাঠামো নির্মাণ কিংবা অন্য কোনো পরিকল্পনা তৈরির আগেই সবুজ বিনিয়োগের কথা সংশ্লিষ্ট পরিকল্পনাবিদ বা বিনিয়োগকারীকে অগ্রাধিকার দিতে হচ্ছে। সেটি এখন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে; যার সুফলও পাচ্ছে বাংলাদেশ। এরই মধ্যে বিশ্বের শীর্ষ ১০০ সবুজ কারখানার ৫৪টিই এখন বাংলাদেশের দখলে। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের দখলে এখন ২২৯টি সবুজায়ন কারখানা।
শুধু শিল্প বিনিয়োগেই নয়, সরকারি কর্মপরিকল্পনায় এখন অনিয়ন্ত্রিত কার্বন নিঃসরণে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি সর্বোচ্চ গুরুত্ব পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, খরা, নদীভাঙন, জলাবদ্ধতা, পানির উচ্চতা বৃদ্ধি এবং মাটির লবণাক্ততার ঝুঁকিগুলো কমাতে নানামুখী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আর সরকারি-বেসরকারি এসব উদ্যোগ বাস্তবায়নে ঋণ দিয়ে সহযোগিতা করে যাচ্ছে দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। এতে সম্পৃক্ত হচ্ছে আন্তর্জাতিক দাতাগোষ্ঠীও।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) সবুজ অর্থায়নে শুধু দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১৬ হাজার ৭৯৯ কোটি টাকা; যা মার্চ প্রান্তিকে ছিল ৮৮ হাজার ৬৯৬ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। এ ছাড়া চলতি বছরের জুন প্রান্তিকে টেকসই খাতে ব্যাংকগুলো অর্থায়ন করেছে ১ লাখ ১৩ হাজার ৮০৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা, এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো অর্থায়ন করেছে ২ হাজার ৯৯২ কোটি ৬১ লাখ টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স পলিসি অনুযায়ী, ব্যাংকগুলো সাসটেইনেবল ফিন্যান্সের ১১টি ক্যাটাগরিতে মোট ৬৮টি পণ্যের বিপরীতে এই ঋণ দিচ্ছে, যার অধিকাংশই সবুজ অর্থায়নের অন্তর্ভুক্ত।
বাংলাদেশ ব্যাংক টেকসই অর্থায়নে ব্যাংক ও ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে (এনবিএফআই) উৎসাহিত করে আসছে। এ জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সাসটেইনেবল রেটিং বা টেকসই মান প্রকাশ করছে। টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই উদ্যোগ নিয়েছে। মূলত পাঁচটি সূচকের ওপর ভিত্তি করে এই মান যাচাই করা হয়। সূচকগুলো হলো টেকসই অর্থায়ন, সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রম, পরিবেশবান্ধব প্রকল্পে অর্থায়ন, টেকসই কোর ব্যাংকিং সূচক এবং ব্যাংকিং সেবার পরিধি। তারই অংশ হিসেবে অনেক ব্যাংক তাদের শাখা ও এটিএমে সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার বাড়িয়েছে। কোনো কোনো ব্যাংক কাগজের ব্যবহারও কমিয়ে এনেছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের এ-সম্পর্কিত কার্যকর নীতি উদ্যোগ দেশে সবুজ অর্থায়নের এই বিপ্লব ঘটানো সম্ভব হয়েছে। এখানে পুনঃঅর্থায়ন সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। ব্যাংকগুলোও ঋণ ও সিএসআরের অর্থ দিচ্ছে। আগের চেয়ে এটা অনেক বেড়েছে, আরও বাড়বে; যা সবুজ অর্থনীতির জন্য সহায়ক হবে।
সবুজ অর্থায়নে দেশে নীরব বিপ্লব ঘটেছে। সরকারি ও বেসরকারি সব পরিকল্পনায় এখন সবুজ অর্থায়নকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। ব্যবসা টেকসই করতে উদ্যোক্তাদের সবুজ অর্থায়নে বিনিয়োগ ঝোঁক বেড়েছে। ফলে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো এক দশকের ব্যবধানে এ খাতে তাদের ঋণ বিতরণ আগের তুলনায় ১০ থেকে ২০ গুণ পর্যন্ত বাড়িয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে সবুজ অর্থায়নের সার্বিক বিনিয়োগে। মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে এ খাতে অর্থায়ন বেড়েছে ২৮ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্য দিয়ে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত হিসাবে দেশে টেকসই সবুজ অর্থায়নের প্রকল্পে বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১৬ হাজার ৭৯৯ কোটি ২৫ লাখ টাকা।
সবুজ অর্থায়ন হলো পরিবেশের কোনো ক্ষতি না করে টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জন করা। যেখানে গৃহীত শিল্প কিংবা কোনো অবকাঠামো নির্মাণ পরিকল্পনায় পরিবেশগত ঝুঁকি এবং পরিবেশগত ঘাটতি দক্ষ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা হয়; যা সরাসরি পরিবেশগত অর্থনীতির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। জাতিসংঘের এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রামের (ইউএনইপি) গ্রিন ইকোনমি পর্যালোচনা বলছে, ‘সবুজ হতে হলে একটি অর্থনীতিকে কেবল দক্ষই নয়, ন্যায্যও হতে হবে ৷ ন্যায্যতা মানে বৈশ্বিক এবং দেশীয় পর্যায়ের সমতার মাত্রাকে স্বীকৃতি দেওয়া, বিশেষ করে একটি অর্থনীতিতে ন্যায্য রূপান্তর নিশ্চিত করা; যা কম কার্বন, সম্পদ দক্ষ এবং সামাজিকভাবে অন্তর্ভুক্ত বলে বিবেচিত হয়।
২০১৩ সালে রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির পর আন্তর্জাতিক চাপে দেশে এই সবুজ অর্থায়নের বিপ্লবে গতি আসে। এতে বদলে যায় দেশে শিল্পোদ্যোক্তার বিনিয়োগ পরিকল্পনা। সবার জন্য কর্মক্ষেত্রকে নিরাপদ রাখতে ন্যাশনাল অ্যাকশন প্লানের আওতায় শিল্প-কারখানার অবকাঠামো উন্নয়ন ও সংস্কার আনার পাশাপাশি ভেতরে-বাইরের দৃশ্যপটেও লাগে সবুজের ছোঁয়া। অর্থাৎ কমপ্লায়েন্স উন্নয়নের লক্ষ্যে সবুজ অর্থায়নের এই বিপ্লব শুরু হওয়ার পর দেশকে আর বিশ্ব দরবারে বদনামের ভাগীদার হতে হয়নি; বরং আগে যেখানে একটি সবুজ অর্থায়নের বিনিয়োগ প্রকল্প খুঁজে পাওয়া মুশকিলের ব্যাপার হতো, সেখানে মাত্র এক দশকের ব্যবধানে শিল্প খাত তথা সরকারি-বেসরকারি যেকোনো অবকাঠামো নির্মাণ কিংবা অন্য কোনো পরিকল্পনা তৈরির আগেই সবুজ বিনিয়োগের কথা সংশ্লিষ্ট পরিকল্পনাবিদ বা বিনিয়োগকারীকে অগ্রাধিকার দিতে হচ্ছে। সেটি এখন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে; যার সুফলও পাচ্ছে বাংলাদেশ। এরই মধ্যে বিশ্বের শীর্ষ ১০০ সবুজ কারখানার ৫৪টিই এখন বাংলাদেশের দখলে। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের দখলে এখন ২২৯টি সবুজায়ন কারখানা।
শুধু শিল্প বিনিয়োগেই নয়, সরকারি কর্মপরিকল্পনায় এখন অনিয়ন্ত্রিত কার্বন নিঃসরণে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি সর্বোচ্চ গুরুত্ব পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, খরা, নদীভাঙন, জলাবদ্ধতা, পানির উচ্চতা বৃদ্ধি এবং মাটির লবণাক্ততার ঝুঁকিগুলো কমাতে নানামুখী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আর সরকারি-বেসরকারি এসব উদ্যোগ বাস্তবায়নে ঋণ দিয়ে সহযোগিতা করে যাচ্ছে দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। এতে সম্পৃক্ত হচ্ছে আন্তর্জাতিক দাতাগোষ্ঠীও।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) সবুজ অর্থায়নে শুধু দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১৬ হাজার ৭৯৯ কোটি টাকা; যা মার্চ প্রান্তিকে ছিল ৮৮ হাজার ৬৯৬ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। এ ছাড়া চলতি বছরের জুন প্রান্তিকে টেকসই খাতে ব্যাংকগুলো অর্থায়ন করেছে ১ লাখ ১৩ হাজার ৮০৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা, এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো অর্থায়ন করেছে ২ হাজার ৯৯২ কোটি ৬১ লাখ টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স পলিসি অনুযায়ী, ব্যাংকগুলো সাসটেইনেবল ফিন্যান্সের ১১টি ক্যাটাগরিতে মোট ৬৮টি পণ্যের বিপরীতে এই ঋণ দিচ্ছে, যার অধিকাংশই সবুজ অর্থায়নের অন্তর্ভুক্ত।
বাংলাদেশ ব্যাংক টেকসই অর্থায়নে ব্যাংক ও ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে (এনবিএফআই) উৎসাহিত করে আসছে। এ জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সাসটেইনেবল রেটিং বা টেকসই মান প্রকাশ করছে। টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই উদ্যোগ নিয়েছে। মূলত পাঁচটি সূচকের ওপর ভিত্তি করে এই মান যাচাই করা হয়। সূচকগুলো হলো টেকসই অর্থায়ন, সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রম, পরিবেশবান্ধব প্রকল্পে অর্থায়ন, টেকসই কোর ব্যাংকিং সূচক এবং ব্যাংকিং সেবার পরিধি। তারই অংশ হিসেবে অনেক ব্যাংক তাদের শাখা ও এটিএমে সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার বাড়িয়েছে। কোনো কোনো ব্যাংক কাগজের ব্যবহারও কমিয়ে এনেছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের এ-সম্পর্কিত কার্যকর নীতি উদ্যোগ দেশে সবুজ অর্থায়নের এই বিপ্লব ঘটানো সম্ভব হয়েছে। এখানে পুনঃঅর্থায়ন সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। ব্যাংকগুলোও ঋণ ও সিএসআরের অর্থ দিচ্ছে। আগের চেয়ে এটা অনেক বেড়েছে, আরও বাড়বে; যা সবুজ অর্থনীতির জন্য সহায়ক হবে।
নির্মাণ, আবাসন, জ্বালানি ও পানি প্রযুক্তি খাতের সর্ববৃহৎ আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী আয়োজন করতে যাচ্ছে কনফারেন্স অ্যান্ড এক্সিবিশন ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস (সেমস-গ্লোবাল ইউএসএ)। আগামী ১৩ থেকে ১৫ নভেম্বর রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) অনুষ্ঠিত হবে ৩০ তম বিল্ড সিরিজ...
৩ ঘণ্টা আগেপরিসংখ্যান অনুকূলে থাকলে প্রকাশ করা হয়। আবার অনুকূলে না থাকলে প্রকাশ করা হয় না। এভাবে অর্ধ সত্য প্রকাশিত হয়। আবার বিভিন্ন পদ্ধতিগতভাবে পরিসংখ্যান তৈরি করতে গিয়ে যেটা ভালো দেখায়, সেটা প্রকাশ করা হয়। এভাবে পরোক্ষ অপব্যবহার হয়।
৩ ঘণ্টা আগেআয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ সাড়ে তিন কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ মহির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিলের অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
৪ ঘণ্টা আগেপুঁজিবাজার ও বিনিয়োগ শিক্ষায় দেশব্যাপী সচেতনতা বাড়াতে মাঠ প্রশাসনকে সম্পৃক্ত করছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বিনিয়োগ শিক্ষা ও আর্থিক সাক্ষরতা (ফাইন্যান্সিয়াল লিটারেসি) কার্যক্রম বিস্তারে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নির্মাণ, আবাসন, জ্বালানি ও পানি প্রযুক্তি খাতের সর্ববৃহৎ আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী আয়োজন করতে যাচ্ছে কনফারেন্স অ্যান্ড এক্সিবিশন ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস (সেমস-গ্লোবাল ইউএসএ)। আগামী ১৩ থেকে ১৫ নভেম্বর রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) অনুষ্ঠিত হবে ৩০ তম বিল্ড সিরিজ অব এক্সিবিশনস, ২৭ তম পাওয়ার সিরিজ অব এক্সিবিশনস এবং সপ্তম ওয়াটার বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো ২০২৫। প্রদর্শনী প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
গতকাল সোমবার রাজধানীতে সেমস বাংলাদেশের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সেমস-গ্লোবাল ইউএসএ অ্যান্ড এশিয়া প্যাসিফিকের প্রেসিডেন্ট ও গ্রুপ ম্যানেজিং ডিরেক্টর মেহেরুন এন ইসলাম। এ সময় গ্রুপ সিইও এস এস সারওয়ার, নির্বাহী পরিচালক তানভীর কামরুল ইসলাম ও পরিচালক অভিষেক দাস উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, চীন, ভারত, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাজ্যসহ ২০ টিরও বেশি দেশের ২০০ টির বেশি প্রতিষ্ঠান এ আয়োজনে অংশ নেবে। ৫০০ টির বেশি বুথ ও আন্তর্জাতিক প্যাভিলিয়ন নিয়ে তিন দিনব্যাপী এ প্রদর্শনীতে প্রায় ৩৫ হাজার ব্যবসায়ী ও দর্শনার্থীর উপস্থিতির সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া থাকছে চারটি সেমিনার ও জ্ঞানবিনিময় সেশন, যেখানে বিশেষজ্ঞরা নির্মাণ, আবাসন, জ্বালানি ও পানি খাতের বৈশ্বিক প্রবণতা ও উদ্ভাবন নিয়ে আলোচনা করবেন।
ওয়ালটন, এসিআই, রহিম আফরোজ, ওমেরা, এসএসজিসহ দেশের শীর্ষ ব্র্যান্ডগুলো তাদের নতুন পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করবে। ২২ তম সোলার বাংলাদেশ এক্সপো ২০২৫-এর নলেজ পার্টনার হিসেবে রয়েছে জার্মান উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জিআইজেড বাংলাদেশ। সেমস-গ্লোবাল ও জিআইজেড যৌথভাবে ১৫ নভেম্বর আইসিসিবিতে আয়োজন করবে ‘শেপিং টুমরোস এনার্জি ওয়ার্কফোর্স’ শীর্ষক দিনব্যাপী সম্মেলন। প্রদর্শনীর ভ্রমণ, কুরিয়ার ও কার্গো পার্টনার হিসেবে থাকছে বেঙ্গল এয়ারলিফট লিমিটেড।
১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত সেমস-গ্লোবাল এ পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ৭৬০ টির বেশি আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী আয়োজন করেছে, যেখানে অংশ নিয়েছে ৫৫ হাজারের বেশি প্রতিষ্ঠান ও প্রায় ২০ লাখ ব্যবসায়ী দর্শনার্থী। প্রতিষ্ঠানটির ফ্ল্যাগশিপ প্রদর্শনীগুলোর মধ্যে রয়েছে টেক্সটাইল সিরিজ, পাওয়ার সিরিজ, বিল্ড সিরিজ, ফুড অ্যান্ড অ্যাগ্রো এক্সপো, মেডিটেক্স ও অটো সিরিজ।
নির্মাণ, আবাসন, জ্বালানি ও পানি প্রযুক্তি খাতের সর্ববৃহৎ আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী আয়োজন করতে যাচ্ছে কনফারেন্স অ্যান্ড এক্সিবিশন ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস (সেমস-গ্লোবাল ইউএসএ)। আগামী ১৩ থেকে ১৫ নভেম্বর রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) অনুষ্ঠিত হবে ৩০ তম বিল্ড সিরিজ অব এক্সিবিশনস, ২৭ তম পাওয়ার সিরিজ অব এক্সিবিশনস এবং সপ্তম ওয়াটার বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো ২০২৫। প্রদর্শনী প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
গতকাল সোমবার রাজধানীতে সেমস বাংলাদেশের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সেমস-গ্লোবাল ইউএসএ অ্যান্ড এশিয়া প্যাসিফিকের প্রেসিডেন্ট ও গ্রুপ ম্যানেজিং ডিরেক্টর মেহেরুন এন ইসলাম। এ সময় গ্রুপ সিইও এস এস সারওয়ার, নির্বাহী পরিচালক তানভীর কামরুল ইসলাম ও পরিচালক অভিষেক দাস উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, চীন, ভারত, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাজ্যসহ ২০ টিরও বেশি দেশের ২০০ টির বেশি প্রতিষ্ঠান এ আয়োজনে অংশ নেবে। ৫০০ টির বেশি বুথ ও আন্তর্জাতিক প্যাভিলিয়ন নিয়ে তিন দিনব্যাপী এ প্রদর্শনীতে প্রায় ৩৫ হাজার ব্যবসায়ী ও দর্শনার্থীর উপস্থিতির সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া থাকছে চারটি সেমিনার ও জ্ঞানবিনিময় সেশন, যেখানে বিশেষজ্ঞরা নির্মাণ, আবাসন, জ্বালানি ও পানি খাতের বৈশ্বিক প্রবণতা ও উদ্ভাবন নিয়ে আলোচনা করবেন।
ওয়ালটন, এসিআই, রহিম আফরোজ, ওমেরা, এসএসজিসহ দেশের শীর্ষ ব্র্যান্ডগুলো তাদের নতুন পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করবে। ২২ তম সোলার বাংলাদেশ এক্সপো ২০২৫-এর নলেজ পার্টনার হিসেবে রয়েছে জার্মান উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জিআইজেড বাংলাদেশ। সেমস-গ্লোবাল ও জিআইজেড যৌথভাবে ১৫ নভেম্বর আইসিসিবিতে আয়োজন করবে ‘শেপিং টুমরোস এনার্জি ওয়ার্কফোর্স’ শীর্ষক দিনব্যাপী সম্মেলন। প্রদর্শনীর ভ্রমণ, কুরিয়ার ও কার্গো পার্টনার হিসেবে থাকছে বেঙ্গল এয়ারলিফট লিমিটেড।
১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত সেমস-গ্লোবাল এ পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ৭৬০ টির বেশি আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী আয়োজন করেছে, যেখানে অংশ নিয়েছে ৫৫ হাজারের বেশি প্রতিষ্ঠান ও প্রায় ২০ লাখ ব্যবসায়ী দর্শনার্থী। প্রতিষ্ঠানটির ফ্ল্যাগশিপ প্রদর্শনীগুলোর মধ্যে রয়েছে টেক্সটাইল সিরিজ, পাওয়ার সিরিজ, বিল্ড সিরিজ, ফুড অ্যান্ড অ্যাগ্রো এক্সপো, মেডিটেক্স ও অটো সিরিজ।
সবুজ অর্থায়নে দেশে নীরব বিপ্লব ঘটেছে। সরকারি ও বেসরকারি সব পরিকল্পনায় এখন সবুজ অর্থায়নকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। ব্যবসা টেকসই করতে উদ্যোক্তাদের সবুজ অর্থায়নে বিনিয়োগ ঝোঁক বেড়েছে। ফলে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো এক দশকের ব্যবধানে এ খাতে তাদের ঋণ বিতরণ আগের তুলনায় ১০ থেকে ২০ গুণ পর্যন্ত বাড়িয়েছে। এ
০৩ অক্টোবর ২০২৪পরিসংখ্যান অনুকূলে থাকলে প্রকাশ করা হয়। আবার অনুকূলে না থাকলে প্রকাশ করা হয় না। এভাবে অর্ধ সত্য প্রকাশিত হয়। আবার বিভিন্ন পদ্ধতিগতভাবে পরিসংখ্যান তৈরি করতে গিয়ে যেটা ভালো দেখায়, সেটা প্রকাশ করা হয়। এভাবে পরোক্ষ অপব্যবহার হয়।
৩ ঘণ্টা আগেআয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ সাড়ে তিন কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ মহির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিলের অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
৪ ঘণ্টা আগেপুঁজিবাজার ও বিনিয়োগ শিক্ষায় দেশব্যাপী সচেতনতা বাড়াতে মাঠ প্রশাসনকে সম্পৃক্ত করছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বিনিয়োগ শিক্ষা ও আর্থিক সাক্ষরতা (ফাইন্যান্সিয়াল লিটারেসি) কার্যক্রম বিস্তারে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পরিসংখ্যান অনুকূলে থাকলে প্রকাশ করা হয়। আবার অনুকূলে না থাকলে প্রকাশ করা হয় না। এভাবে অর্ধ সত্য প্রকাশিত হয়। আবার বিভিন্ন পদ্ধতিগতভাবে পরিসংখ্যান তৈরি করতে গিয়ে যেটা ভালো দেখায়, সেটা প্রকাশ করা হয়। এভাবে পরোক্ষ অপব্যবহার হয়।
আজ সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বিশ্ব পরিসংখ্যান দিবস ২০২৫’ উপলক্ষে এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব আলেয়া আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পিপিআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য দেন বিবিএসের মহাপরিচালক মিজানুর রহমান। ’
পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, বিবিএসের স্বচ্ছতা বজায় রাখতে সার্ভে পদ্ধতি জনসমক্ষে উপস্থাপন করতে হবে। আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনেই জরিপ পরিচালনা জরুরি। বিশ্বাসযোগ্য তথ্য তৈরি করাও একটি বিনিয়োগ। বিনিয়োগকারীরা কোনো দেশে প্রবেশের আগে তার পরিসংখ্যান দেখেন। তাই আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে, দেশের বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তথ্য তৈরি করতে হবে। শুধু জিডিপি প্রবৃদ্ধি দিয়ে দেশের উন্নয়ন মাপা যাবে না। মানুষের জীবনমান ও সামাজিক সূচকের দিকেও গুরুত্ব দিতে হবে। আগে সরকার ভালো করছে—সেটা দেখাতে জিডিপির প্রবৃদ্ধি দেখানো হতো। মানুষের জীবনমান উন্নয়নের পরিমাপক হিসেবে জিডিপি প্রবৃদ্ধিকে গুরুত্ব দেওয়ার কিছু নেই।
পরিসংখ্যান অনুকূলে থাকলে প্রকাশ করা হয়। আবার অনুকূলে না থাকলে প্রকাশ করা হয় না। এভাবে অর্ধ সত্য প্রকাশিত হয়। আবার বিভিন্ন পদ্ধতিগতভাবে পরিসংখ্যান তৈরি করতে গিয়ে যেটা ভালো দেখায়, সেটা প্রকাশ করা হয়। এভাবে পরোক্ষ অপব্যবহার হয়।
আজ সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বিশ্ব পরিসংখ্যান দিবস ২০২৫’ উপলক্ষে এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব আলেয়া আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পিপিআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য দেন বিবিএসের মহাপরিচালক মিজানুর রহমান। ’
পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, বিবিএসের স্বচ্ছতা বজায় রাখতে সার্ভে পদ্ধতি জনসমক্ষে উপস্থাপন করতে হবে। আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনেই জরিপ পরিচালনা জরুরি। বিশ্বাসযোগ্য তথ্য তৈরি করাও একটি বিনিয়োগ। বিনিয়োগকারীরা কোনো দেশে প্রবেশের আগে তার পরিসংখ্যান দেখেন। তাই আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে, দেশের বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তথ্য তৈরি করতে হবে। শুধু জিডিপি প্রবৃদ্ধি দিয়ে দেশের উন্নয়ন মাপা যাবে না। মানুষের জীবনমান ও সামাজিক সূচকের দিকেও গুরুত্ব দিতে হবে। আগে সরকার ভালো করছে—সেটা দেখাতে জিডিপির প্রবৃদ্ধি দেখানো হতো। মানুষের জীবনমান উন্নয়নের পরিমাপক হিসেবে জিডিপি প্রবৃদ্ধিকে গুরুত্ব দেওয়ার কিছু নেই।
সবুজ অর্থায়নে দেশে নীরব বিপ্লব ঘটেছে। সরকারি ও বেসরকারি সব পরিকল্পনায় এখন সবুজ অর্থায়নকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। ব্যবসা টেকসই করতে উদ্যোক্তাদের সবুজ অর্থায়নে বিনিয়োগ ঝোঁক বেড়েছে। ফলে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো এক দশকের ব্যবধানে এ খাতে তাদের ঋণ বিতরণ আগের তুলনায় ১০ থেকে ২০ গুণ পর্যন্ত বাড়িয়েছে। এ
০৩ অক্টোবর ২০২৪নির্মাণ, আবাসন, জ্বালানি ও পানি প্রযুক্তি খাতের সর্ববৃহৎ আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী আয়োজন করতে যাচ্ছে কনফারেন্স অ্যান্ড এক্সিবিশন ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস (সেমস-গ্লোবাল ইউএসএ)। আগামী ১৩ থেকে ১৫ নভেম্বর রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) অনুষ্ঠিত হবে ৩০ তম বিল্ড সিরিজ...
৩ ঘণ্টা আগেআয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ সাড়ে তিন কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ মহির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিলের অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
৪ ঘণ্টা আগেপুঁজিবাজার ও বিনিয়োগ শিক্ষায় দেশব্যাপী সচেতনতা বাড়াতে মাঠ প্রশাসনকে সম্পৃক্ত করছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বিনিয়োগ শিক্ষা ও আর্থিক সাক্ষরতা (ফাইন্যান্সিয়াল লিটারেসি) কার্যক্রম বিস্তারে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ সাড়ে তিন কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ মহির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিলের অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ সোমবার দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। শিগগির অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হবে বলে জানান তিনি।
দুদকের তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, মহিউদ্দিন আহমেদ মহি দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৪৬ লাখ ৩৭ হাজার ৬৫ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। সমবায় ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি অবৈধভাবে আয় করা অর্থ বৈধ করার উদ্দেশ্যে ব্যবসার ছদ্মাবরণে ৩ কোটি ৫৫ লাখ ৪০ হাজার ৫২৯ টাকার জ্ঞাত আয়ের উৎসবহির্ভূত সম্পদ ভোগ ও দখলে রাখেন।
তদন্তে দেখা যায়, মহিউদ্দিন দুদকে দাখিল করা বিবরণীতে স্থাবর ও অস্থাবর মিলিয়ে মোট ৩ কোটি ৯৭ লাখ ৭৯ হাজার ৩৩৩ টাকার সম্পদের হিসাব দিয়েছেন। তবে যাচাইকালে তাঁর নামে ৫ কোটি ১২ লাখ ৫৩ হাজার ২১৩ টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। অর্থাৎ তিনি প্রায় ৪৬ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।
এ ছাড়া দুদকের তদন্তে তাঁর নিট সম্পদ, পারিবারিক ব্যয়সহ মোট ১০ কোটি ২১ লাখ ৪ হাজার ৬৭৩ টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। এর বিপরীতে তাঁর বৈধ আয় হিসেবে পাওয়া গেছে মাত্র ৬ কোটি ৬৫ লাখ ৬৪ হাজার ১৪৪ টাকা। সেই হিসাবে তাঁর জ্ঞাত আয়ের উৎসবহির্ভূত সম্পদের পরিমাণ ৩ কোটি ৫৫ লাখ ৪০ হাজার ৫২৯ টাকা।
সম্পদের তথ্য গোপন, মিথ্যা তথ্য প্রদান, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদক আইন, ২০০৪-এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিলের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত বছরের ১৬ অক্টোবর ২ কোটি ৭০ লাখ ৬৩ হাজার ৯৮ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সমবায় ব্যাংকের সাবেক এই ভাইস চেয়ারম্যান ও চেয়ারম্যানের নামে মামলা দায়ের করে দুদক।
প্রসঙ্গত, মহিউদ্দিন আহমেদ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সাবেক সহসভাপতি ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হলে দলটির শীর্ষ নেতাদের মতো তিনিও আত্মগোপনে চলে যান।
আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ সাড়ে তিন কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ মহির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিলের অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ সোমবার দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। শিগগির অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হবে বলে জানান তিনি।
দুদকের তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, মহিউদ্দিন আহমেদ মহি দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৪৬ লাখ ৩৭ হাজার ৬৫ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। সমবায় ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি অবৈধভাবে আয় করা অর্থ বৈধ করার উদ্দেশ্যে ব্যবসার ছদ্মাবরণে ৩ কোটি ৫৫ লাখ ৪০ হাজার ৫২৯ টাকার জ্ঞাত আয়ের উৎসবহির্ভূত সম্পদ ভোগ ও দখলে রাখেন।
তদন্তে দেখা যায়, মহিউদ্দিন দুদকে দাখিল করা বিবরণীতে স্থাবর ও অস্থাবর মিলিয়ে মোট ৩ কোটি ৯৭ লাখ ৭৯ হাজার ৩৩৩ টাকার সম্পদের হিসাব দিয়েছেন। তবে যাচাইকালে তাঁর নামে ৫ কোটি ১২ লাখ ৫৩ হাজার ২১৩ টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। অর্থাৎ তিনি প্রায় ৪৬ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।
এ ছাড়া দুদকের তদন্তে তাঁর নিট সম্পদ, পারিবারিক ব্যয়সহ মোট ১০ কোটি ২১ লাখ ৪ হাজার ৬৭৩ টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। এর বিপরীতে তাঁর বৈধ আয় হিসেবে পাওয়া গেছে মাত্র ৬ কোটি ৬৫ লাখ ৬৪ হাজার ১৪৪ টাকা। সেই হিসাবে তাঁর জ্ঞাত আয়ের উৎসবহির্ভূত সম্পদের পরিমাণ ৩ কোটি ৫৫ লাখ ৪০ হাজার ৫২৯ টাকা।
সম্পদের তথ্য গোপন, মিথ্যা তথ্য প্রদান, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদক আইন, ২০০৪-এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিলের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত বছরের ১৬ অক্টোবর ২ কোটি ৭০ লাখ ৬৩ হাজার ৯৮ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সমবায় ব্যাংকের সাবেক এই ভাইস চেয়ারম্যান ও চেয়ারম্যানের নামে মামলা দায়ের করে দুদক।
প্রসঙ্গত, মহিউদ্দিন আহমেদ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সাবেক সহসভাপতি ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হলে দলটির শীর্ষ নেতাদের মতো তিনিও আত্মগোপনে চলে যান।
সবুজ অর্থায়নে দেশে নীরব বিপ্লব ঘটেছে। সরকারি ও বেসরকারি সব পরিকল্পনায় এখন সবুজ অর্থায়নকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। ব্যবসা টেকসই করতে উদ্যোক্তাদের সবুজ অর্থায়নে বিনিয়োগ ঝোঁক বেড়েছে। ফলে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো এক দশকের ব্যবধানে এ খাতে তাদের ঋণ বিতরণ আগের তুলনায় ১০ থেকে ২০ গুণ পর্যন্ত বাড়িয়েছে। এ
০৩ অক্টোবর ২০২৪নির্মাণ, আবাসন, জ্বালানি ও পানি প্রযুক্তি খাতের সর্ববৃহৎ আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী আয়োজন করতে যাচ্ছে কনফারেন্স অ্যান্ড এক্সিবিশন ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস (সেমস-গ্লোবাল ইউএসএ)। আগামী ১৩ থেকে ১৫ নভেম্বর রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) অনুষ্ঠিত হবে ৩০ তম বিল্ড সিরিজ...
৩ ঘণ্টা আগেপরিসংখ্যান অনুকূলে থাকলে প্রকাশ করা হয়। আবার অনুকূলে না থাকলে প্রকাশ করা হয় না। এভাবে অর্ধ সত্য প্রকাশিত হয়। আবার বিভিন্ন পদ্ধতিগতভাবে পরিসংখ্যান তৈরি করতে গিয়ে যেটা ভালো দেখায়, সেটা প্রকাশ করা হয়। এভাবে পরোক্ষ অপব্যবহার হয়।
৩ ঘণ্টা আগেপুঁজিবাজার ও বিনিয়োগ শিক্ষায় দেশব্যাপী সচেতনতা বাড়াতে মাঠ প্রশাসনকে সম্পৃক্ত করছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বিনিয়োগ শিক্ষা ও আর্থিক সাক্ষরতা (ফাইন্যান্সিয়াল লিটারেসি) কার্যক্রম বিস্তারে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পুঁজিবাজার ও বিনিয়োগ শিক্ষায় দেশব্যাপী সচেতনতা বাড়াতে মাঠ প্রশাসনকে সম্পৃক্ত করছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বিনিয়োগ শিক্ষা ও আর্থিক সাক্ষরতা (ফাইন্যান্সিয়াল লিটারেসি) কার্যক্রম বিস্তারে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। বিএসইসির সুপারিশে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সব জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) প্রতি পাঁচটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এ উদ্যোগের লক্ষ্য হলো—পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের আগে মানুষকে শিক্ষিত করা, সঠিক তথ্যপ্রবাহ নিশ্চিত করা এবং ভ্রান্ত সিদ্ধান্তজনিত ঝুঁকি হ্রাস করা।
বিএসইসি মনে করে, প্রশাসনিক কাঠামোকে যুক্ত করা গেলে বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রমের প্রসার আরও গতিশীল হবে এবং দেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি পাবে।
বিএসইসির অনুরোধে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ (এফআইডি) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে একটি চিঠি পাঠায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাঠ প্রশাসন সংযোগ অধিশাখা ৮ অক্টোবর সব জেলা ও উপজেলা প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানায়।
চিঠির অনুলিপি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব, দেশের সব বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং জেলা তথ্য কর্মকর্তাদেরও পাঠানো হয়েছে। এর মাধ্যমে মাঠ প্রশাসনের সব পর্যায়ে বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক সংযোগ স্থাপন করা হলো।
পাঁচ নির্দেশনা
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের চিঠিতে বিনিয়োগ শিক্ষা ও পুঁজিবাজার সচেতনতা বৃদ্ধিতে মাঠ প্রশাসনের জন্য পাঁচটি নির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের ওয়েবসাইটে লিঙ্ক সংযুক্তকরণ: প্রতিটি জেলা প্রশাসনের ওয়েবসাইটে ‘ফাইন্যান্সিয়াল লিটারেসি ও বিনিয়োগ সচেতনতা’ শীর্ষক একটি লিঙ্ক যুক্ত করতে বলা হয়েছে। এর আওতায় বিএসইসির বিনিয়োগ শিক্ষা ওয়েবসাইট ও ইউটিউব চ্যানেলের সংযোগ থাকবে।
স্থানীয় পর্যায়ে কর্মশালা ও সেমিনারে সহায়তা: জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বিএসইসি আয়োজিত ফাইন্যান্সিয়াল লিটারেসি সেমিনার, কর্মশালা বা প্রশিক্ষণ আয়োজনের ক্ষেত্রে প্রশাসনের সহযোগিতা ও সমন্বয় সাধনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মাসিক সমন্বয় সভায় আলোচ্য বিষয় হিসেবে অন্তর্ভুক্তি: প্রতিটি জেলার মাসিক সমন্বয় সভায় ‘বিনিয়োগ শিক্ষা ও নিরাপদ বিনিয়োগ’ বিষয়টি নিয়মিত আলোচনার অন্তর্ভুক্ত করতে বলা হয়েছে, যাতে বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনিক কার্যক্রমের অংশ হয়ে ওঠে।
জেলা তথ্য কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রচারণা: বিনিয়োগ শিক্ষা ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জেলা তথ্য অফিসের সহায়তায় প্রচার-প্রকাশনার উদ্যোগ নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
প্রশাসনিক শাখার দায়িত্ব নির্ধারণ: প্রতিটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সহকারী কমিশনার (ব্যবসা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ) বা সিনিয়র সহকারী কমিশনারকে পুঁজিবাজারসংক্রান্ত তথ্য সরবরাহ ও সহযোগিতা প্রদানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া বিনিয়োগ শিক্ষার প্রসারে স্থানীয় প্রশাসনকে সম্পৃক্ত করার পাশাপাশি সম্প্রতি জাতীয় তথ্য বাতায়নে বিএসইসির বিনিয়োগ শিক্ষাবিষয়ক ওয়েবসাইট ও ইউটিউব লিঙ্ক সংযুক্ত করা হয়েছে। ফলে সরকারি ওয়েবসাইট থেকেই নাগরিকেরা সহজে বিনিয়োগসংক্রান্ত শিক্ষা ও প্রশিক্ষণে প্রবেশাধিকার পাবেন।
বিএসইসির মতে, ডিজিটাল সংযুক্তির মাধ্যমে এখন দেশের প্রত্যন্ত এলাকার মানুষও পুঁজিবাজার ও বিনিয়োগ সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা নিতে পারবে, যা দীর্ঘ মেয়াদে বিনিয়োগ সংস্কৃতি গড়ে তুলতে সহায়ক হবে।
বিএসইসির মুখপাত্র ও পরিচালক মো. আবুল কালাম বলেন, জেলা-উপজেলা প্রশাসনকে সম্পৃক্ত করা হলে বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রম সারা দেশে নতুন গতি পাবে। বিনিয়োগে ঝুঁকি কমাতে এবং জনসাধারণকে সচেতন করতে প্রশাসনের সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আবুল কালাম আরও বলেন, ‘বিনিয়োগ শিক্ষা শুধু বিনিয়োগকারীর সুরক্ষা নয়, বরং এটি দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতার অন্যতম শর্ত। আমরা চাই, দেশের প্রতিটি মানুষ বিনিয়োগ সম্পর্কে সচেতন হোক। সেই লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ।’
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে গবেষণা প্রতিষ্ঠান চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের গবেষণা ফেলো ও অর্থনীতিবিদ হেলাল আহমেদ জনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রশাসন, বিনিয়োগকারী, গণমাধ্যম ও সাধারণ মানুষের সমন্বিত অংশগ্রহণেই গড়ে উঠতে পারে একটি সচেতন বিনিয়োগ সংস্কৃতি, যা দেশের পুঁজিবাজার ও অর্থনীতিকে আরও শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করাবে।
তবে এই উদ্যোগের চ্যালেঞ্জ তুলে ধরে হেলাল আহমেদ জনি বলেন, মাঠপর্যায়ে কার্যকর করতে প্রশাসনের প্রশিক্ষণ, বাজেট ও মনিটরিং ব্যবস্থার অভাব বড় চ্যালেঞ্জ। শুধু নির্দেশনা নয়, বাস্তবায়নে ধারাবাহিক ফলোআপ ও প্রণোদনা নিশ্চিত করলেই উদ্যোগটি ফলপ্রসূ হবে।
পুঁজিবাজার ও বিনিয়োগ শিক্ষায় দেশব্যাপী সচেতনতা বাড়াতে মাঠ প্রশাসনকে সম্পৃক্ত করছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বিনিয়োগ শিক্ষা ও আর্থিক সাক্ষরতা (ফাইন্যান্সিয়াল লিটারেসি) কার্যক্রম বিস্তারে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। বিএসইসির সুপারিশে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সব জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) প্রতি পাঁচটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এ উদ্যোগের লক্ষ্য হলো—পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের আগে মানুষকে শিক্ষিত করা, সঠিক তথ্যপ্রবাহ নিশ্চিত করা এবং ভ্রান্ত সিদ্ধান্তজনিত ঝুঁকি হ্রাস করা।
বিএসইসি মনে করে, প্রশাসনিক কাঠামোকে যুক্ত করা গেলে বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রমের প্রসার আরও গতিশীল হবে এবং দেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি পাবে।
বিএসইসির অনুরোধে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ (এফআইডি) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে একটি চিঠি পাঠায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাঠ প্রশাসন সংযোগ অধিশাখা ৮ অক্টোবর সব জেলা ও উপজেলা প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানায়।
চিঠির অনুলিপি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব, দেশের সব বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং জেলা তথ্য কর্মকর্তাদেরও পাঠানো হয়েছে। এর মাধ্যমে মাঠ প্রশাসনের সব পর্যায়ে বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক সংযোগ স্থাপন করা হলো।
পাঁচ নির্দেশনা
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের চিঠিতে বিনিয়োগ শিক্ষা ও পুঁজিবাজার সচেতনতা বৃদ্ধিতে মাঠ প্রশাসনের জন্য পাঁচটি নির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের ওয়েবসাইটে লিঙ্ক সংযুক্তকরণ: প্রতিটি জেলা প্রশাসনের ওয়েবসাইটে ‘ফাইন্যান্সিয়াল লিটারেসি ও বিনিয়োগ সচেতনতা’ শীর্ষক একটি লিঙ্ক যুক্ত করতে বলা হয়েছে। এর আওতায় বিএসইসির বিনিয়োগ শিক্ষা ওয়েবসাইট ও ইউটিউব চ্যানেলের সংযোগ থাকবে।
স্থানীয় পর্যায়ে কর্মশালা ও সেমিনারে সহায়তা: জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বিএসইসি আয়োজিত ফাইন্যান্সিয়াল লিটারেসি সেমিনার, কর্মশালা বা প্রশিক্ষণ আয়োজনের ক্ষেত্রে প্রশাসনের সহযোগিতা ও সমন্বয় সাধনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মাসিক সমন্বয় সভায় আলোচ্য বিষয় হিসেবে অন্তর্ভুক্তি: প্রতিটি জেলার মাসিক সমন্বয় সভায় ‘বিনিয়োগ শিক্ষা ও নিরাপদ বিনিয়োগ’ বিষয়টি নিয়মিত আলোচনার অন্তর্ভুক্ত করতে বলা হয়েছে, যাতে বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনিক কার্যক্রমের অংশ হয়ে ওঠে।
জেলা তথ্য কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রচারণা: বিনিয়োগ শিক্ষা ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জেলা তথ্য অফিসের সহায়তায় প্রচার-প্রকাশনার উদ্যোগ নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
প্রশাসনিক শাখার দায়িত্ব নির্ধারণ: প্রতিটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সহকারী কমিশনার (ব্যবসা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ) বা সিনিয়র সহকারী কমিশনারকে পুঁজিবাজারসংক্রান্ত তথ্য সরবরাহ ও সহযোগিতা প্রদানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া বিনিয়োগ শিক্ষার প্রসারে স্থানীয় প্রশাসনকে সম্পৃক্ত করার পাশাপাশি সম্প্রতি জাতীয় তথ্য বাতায়নে বিএসইসির বিনিয়োগ শিক্ষাবিষয়ক ওয়েবসাইট ও ইউটিউব লিঙ্ক সংযুক্ত করা হয়েছে। ফলে সরকারি ওয়েবসাইট থেকেই নাগরিকেরা সহজে বিনিয়োগসংক্রান্ত শিক্ষা ও প্রশিক্ষণে প্রবেশাধিকার পাবেন।
বিএসইসির মতে, ডিজিটাল সংযুক্তির মাধ্যমে এখন দেশের প্রত্যন্ত এলাকার মানুষও পুঁজিবাজার ও বিনিয়োগ সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা নিতে পারবে, যা দীর্ঘ মেয়াদে বিনিয়োগ সংস্কৃতি গড়ে তুলতে সহায়ক হবে।
বিএসইসির মুখপাত্র ও পরিচালক মো. আবুল কালাম বলেন, জেলা-উপজেলা প্রশাসনকে সম্পৃক্ত করা হলে বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রম সারা দেশে নতুন গতি পাবে। বিনিয়োগে ঝুঁকি কমাতে এবং জনসাধারণকে সচেতন করতে প্রশাসনের সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আবুল কালাম আরও বলেন, ‘বিনিয়োগ শিক্ষা শুধু বিনিয়োগকারীর সুরক্ষা নয়, বরং এটি দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতার অন্যতম শর্ত। আমরা চাই, দেশের প্রতিটি মানুষ বিনিয়োগ সম্পর্কে সচেতন হোক। সেই লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ।’
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে গবেষণা প্রতিষ্ঠান চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের গবেষণা ফেলো ও অর্থনীতিবিদ হেলাল আহমেদ জনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রশাসন, বিনিয়োগকারী, গণমাধ্যম ও সাধারণ মানুষের সমন্বিত অংশগ্রহণেই গড়ে উঠতে পারে একটি সচেতন বিনিয়োগ সংস্কৃতি, যা দেশের পুঁজিবাজার ও অর্থনীতিকে আরও শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করাবে।
তবে এই উদ্যোগের চ্যালেঞ্জ তুলে ধরে হেলাল আহমেদ জনি বলেন, মাঠপর্যায়ে কার্যকর করতে প্রশাসনের প্রশিক্ষণ, বাজেট ও মনিটরিং ব্যবস্থার অভাব বড় চ্যালেঞ্জ। শুধু নির্দেশনা নয়, বাস্তবায়নে ধারাবাহিক ফলোআপ ও প্রণোদনা নিশ্চিত করলেই উদ্যোগটি ফলপ্রসূ হবে।
সবুজ অর্থায়নে দেশে নীরব বিপ্লব ঘটেছে। সরকারি ও বেসরকারি সব পরিকল্পনায় এখন সবুজ অর্থায়নকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। ব্যবসা টেকসই করতে উদ্যোক্তাদের সবুজ অর্থায়নে বিনিয়োগ ঝোঁক বেড়েছে। ফলে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো এক দশকের ব্যবধানে এ খাতে তাদের ঋণ বিতরণ আগের তুলনায় ১০ থেকে ২০ গুণ পর্যন্ত বাড়িয়েছে। এ
০৩ অক্টোবর ২০২৪নির্মাণ, আবাসন, জ্বালানি ও পানি প্রযুক্তি খাতের সর্ববৃহৎ আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী আয়োজন করতে যাচ্ছে কনফারেন্স অ্যান্ড এক্সিবিশন ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস (সেমস-গ্লোবাল ইউএসএ)। আগামী ১৩ থেকে ১৫ নভেম্বর রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) অনুষ্ঠিত হবে ৩০ তম বিল্ড সিরিজ...
৩ ঘণ্টা আগেপরিসংখ্যান অনুকূলে থাকলে প্রকাশ করা হয়। আবার অনুকূলে না থাকলে প্রকাশ করা হয় না। এভাবে অর্ধ সত্য প্রকাশিত হয়। আবার বিভিন্ন পদ্ধতিগতভাবে পরিসংখ্যান তৈরি করতে গিয়ে যেটা ভালো দেখায়, সেটা প্রকাশ করা হয়। এভাবে পরোক্ষ অপব্যবহার হয়।
৩ ঘণ্টা আগেআয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ সাড়ে তিন কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ মহির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিলের অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
৪ ঘণ্টা আগে