আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম
ডিজেল-কেরোসিনের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ডাকা পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার হয়েছে। কিন্তু চলছে না ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান কিংবা প্রাইমমুভার। এ কারণে বেসরকারি কোনো ডিপো (আইসিডি) থেকে রপ্তানি পণ্যের কনটেইনার জেটিতে পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না। একইভাবে আমদানি করা পণ্যের কনটেইনারও ডেলিভারি দেওয়া যাচ্ছে না বন্দর জেটি থেকে। এই অচলাবস্থায় অলস বসে না থেকে বাধ্য হয়ে অন্তত ১ হাজার ২৪৬ কনটেইনার না নিয়েই আজ সোমবার সকালে চট্টগ্রাম বন্দর ছেড়ে গেছে তিনটি জাহাজ। আর এই ১ হাজার ২৪৬ কনটেইনার ভরা ছিল অন্তত ২০ হাজার টন রপ্তানিপণ্যে।
জাহাজ তিনটি হলো- এমভি এএস সিসিলিয়া, এমভি কালামতি ট্রেডার ও এমভি এক্সপ্রেস লটসি। সিলিসিয়ার ১ হাজার ৩১৩ কনটেইনার নিয়ে বন্দর ত্যাগের প্রস্তুতি ছিল। কিন্তু এক দিন বেশি সময় জেটিতে বসে থাকার পরও জাহাজে তুলতে পেরেছে ৯০২টি কনটেইনার। একইভাবে কালামতির ৬৯৭ কনটেইনার নিয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও গেছে মাত্র ২৫০টি কনটেইনার নিয়ে। আর ধারণক্ষমতার তুলনায় ৫৮৫টি কনটেইনার কম নিয়ে জেটি ছেড়েছে লটসি।
হিসাব করে দেখা যায়, জাহাজ তিনটি যে পরিমাণ রপ্তানিপণ্য পরিবহনের পরিকল্পনা করেছিল, নিতে পেরেছে তার মাত্র অর্ধেক। এতে জাহাজের বাড়তি ভাড়া পরিশোধ এবং দেশের রপ্তানিকারকেরা বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতিতে পড়েছেন।
সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা মনে করেন, সময়মতো জাহাজে পণ্য তোলা (শিপমেন্ট) সম্ভব না হওয়ায় বিদেশি ক্রেতার হাতে এসব পণ্য পৌঁছানো অন্তত এক মাস পিছিয়ে যাচ্ছে। তাঁরা বলছেন, ইউরোপ, আমেরিকাসহ বিশ্বের নানা দেশে রপ্তানিপণ্য ভর্তি কনটেইনার সরাসরি পাঠানো হয় না। প্রথমে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে তুলনামূলক ছোট ফিডার জাহাজে করে পাঠানো হয় শ্রীলঙ্কার কলম্বো কিংবা সিঙ্গাপুর বন্দরে। এরপর জাহাজ পরিবর্তন করে সেই কনটেইনার বড় জাহাজে (মাদার ভ্যাসেল) করে যায় নির্দিষ্ট দেশের বন্দরে। এরপর লরিতে করে কনটেইনার যায় ক্রেতার গুদামে। কাজেই চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পাঠাতে দেরির কারণে সিঙ্গাপুর এবং কলম্বো বন্দরে নির্ধারিত বড় জাহাজে তোলা সম্ভব হয় না ওই রপ্তানিপণ্যের কনটেইনার।
ধারাবাহিক এই বিলম্বের কারণে বিদেশি ক্রেতার হাতে যখন পণ্য পৌঁছায়, তখন ওই পণ্য আর ক্রেতার কোনো কাজেই লাগছে না। ফলে সমুদয় দায় চাপানো হয় পণ্যের রপ্তানিকারকের ওপর।
এ প্রসঙ্গে নিট পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম আজকের পত্রিকাকে বলেন, সাধারণত প্রতিদিন গড়ে ১০ কোটি থেকে ১২ কোটি পিস পোশাক রপ্তানি করা হয়। চার দিন চালান পাঠানো সম্ভব না হওয়ায় ক্রেতারা দেরির জন্য পণ্য ফেরত দেবে, পরে বলবে প্লেনে পাঠাতে। এতে পণ্যের পরিবহন খরচ বেড়ে যাবে ৬০ শতাংশ। এই চার দিনের পরিবহন ধর্মঘটে শুধু পোশাক খাতের ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি (দিনে ১৫ কোটি ৭০ মার্কিন ডলার) ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি তাঁর।
পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সহসভাপতি মো. রাকিবুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, চলমান পরিবহন সংকটের কারণে আগামী দিনে আমাদের রপ্তানি আদেশ বাতিল হতে পারে। ক্রেতারা বিমানে পণ্য পাঠানোর জন্য চাপ দিচ্ছে। এতে পোশাকশিল্প হুমকির মুখে পড়তে পারে।
ডিজেল-কেরোসিনের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ডাকা পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার হয়েছে। কিন্তু চলছে না ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান কিংবা প্রাইমমুভার। এ কারণে বেসরকারি কোনো ডিপো (আইসিডি) থেকে রপ্তানি পণ্যের কনটেইনার জেটিতে পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না। একইভাবে আমদানি করা পণ্যের কনটেইনারও ডেলিভারি দেওয়া যাচ্ছে না বন্দর জেটি থেকে। এই অচলাবস্থায় অলস বসে না থেকে বাধ্য হয়ে অন্তত ১ হাজার ২৪৬ কনটেইনার না নিয়েই আজ সোমবার সকালে চট্টগ্রাম বন্দর ছেড়ে গেছে তিনটি জাহাজ। আর এই ১ হাজার ২৪৬ কনটেইনার ভরা ছিল অন্তত ২০ হাজার টন রপ্তানিপণ্যে।
জাহাজ তিনটি হলো- এমভি এএস সিসিলিয়া, এমভি কালামতি ট্রেডার ও এমভি এক্সপ্রেস লটসি। সিলিসিয়ার ১ হাজার ৩১৩ কনটেইনার নিয়ে বন্দর ত্যাগের প্রস্তুতি ছিল। কিন্তু এক দিন বেশি সময় জেটিতে বসে থাকার পরও জাহাজে তুলতে পেরেছে ৯০২টি কনটেইনার। একইভাবে কালামতির ৬৯৭ কনটেইনার নিয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও গেছে মাত্র ২৫০টি কনটেইনার নিয়ে। আর ধারণক্ষমতার তুলনায় ৫৮৫টি কনটেইনার কম নিয়ে জেটি ছেড়েছে লটসি।
হিসাব করে দেখা যায়, জাহাজ তিনটি যে পরিমাণ রপ্তানিপণ্য পরিবহনের পরিকল্পনা করেছিল, নিতে পেরেছে তার মাত্র অর্ধেক। এতে জাহাজের বাড়তি ভাড়া পরিশোধ এবং দেশের রপ্তানিকারকেরা বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতিতে পড়েছেন।
সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা মনে করেন, সময়মতো জাহাজে পণ্য তোলা (শিপমেন্ট) সম্ভব না হওয়ায় বিদেশি ক্রেতার হাতে এসব পণ্য পৌঁছানো অন্তত এক মাস পিছিয়ে যাচ্ছে। তাঁরা বলছেন, ইউরোপ, আমেরিকাসহ বিশ্বের নানা দেশে রপ্তানিপণ্য ভর্তি কনটেইনার সরাসরি পাঠানো হয় না। প্রথমে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে তুলনামূলক ছোট ফিডার জাহাজে করে পাঠানো হয় শ্রীলঙ্কার কলম্বো কিংবা সিঙ্গাপুর বন্দরে। এরপর জাহাজ পরিবর্তন করে সেই কনটেইনার বড় জাহাজে (মাদার ভ্যাসেল) করে যায় নির্দিষ্ট দেশের বন্দরে। এরপর লরিতে করে কনটেইনার যায় ক্রেতার গুদামে। কাজেই চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পাঠাতে দেরির কারণে সিঙ্গাপুর এবং কলম্বো বন্দরে নির্ধারিত বড় জাহাজে তোলা সম্ভব হয় না ওই রপ্তানিপণ্যের কনটেইনার।
ধারাবাহিক এই বিলম্বের কারণে বিদেশি ক্রেতার হাতে যখন পণ্য পৌঁছায়, তখন ওই পণ্য আর ক্রেতার কোনো কাজেই লাগছে না। ফলে সমুদয় দায় চাপানো হয় পণ্যের রপ্তানিকারকের ওপর।
এ প্রসঙ্গে নিট পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম আজকের পত্রিকাকে বলেন, সাধারণত প্রতিদিন গড়ে ১০ কোটি থেকে ১২ কোটি পিস পোশাক রপ্তানি করা হয়। চার দিন চালান পাঠানো সম্ভব না হওয়ায় ক্রেতারা দেরির জন্য পণ্য ফেরত দেবে, পরে বলবে প্লেনে পাঠাতে। এতে পণ্যের পরিবহন খরচ বেড়ে যাবে ৬০ শতাংশ। এই চার দিনের পরিবহন ধর্মঘটে শুধু পোশাক খাতের ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি (দিনে ১৫ কোটি ৭০ মার্কিন ডলার) ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি তাঁর।
পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সহসভাপতি মো. রাকিবুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, চলমান পরিবহন সংকটের কারণে আগামী দিনে আমাদের রপ্তানি আদেশ বাতিল হতে পারে। ক্রেতারা বিমানে পণ্য পাঠানোর জন্য চাপ দিচ্ছে। এতে পোশাকশিল্প হুমকির মুখে পড়তে পারে।
অসুস্থতা, দুর্ঘটনাসহ বিপদে-আপদে বিশ্বজুড়ে মানুষের ভরসার কেন্দ্র ‘বিমা’। বিমা পলিসি করা থাকলেই হাসপাতালের বিল পরিশোধ বা দুর্ঘটনার ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কোনো চিন্তা করতে হয় না গ্রাহককে। গ্রাহকের হয়ে বিমা কোম্পানিই সব শোধ করে দেয়। কিন্তু বাংলাদেশের বিমা খাত এখনো সেই ভরসার জায়গা হয়ে উঠতে পারেনি।
২৭ মিনিট আগেপেঁয়াজের মৌসুম এখনো শেষ হয়নি। তার আগেই দাম বাড়তে শুরু করেছে। বাজারে দাম আরও বাড়বে; সেই আশায় কৃষক, ফড়িয়া, ব্যবসায়ী—সবাই সাধ্যমতো পেঁয়াজ ধরে রাখছেন, সুবিধামতো সময়ে ছাড়ছেন অল্প অল্প করে। আর এতেই মোকামে বাড়ছে পণ্যটির দাম, যার প্রভাব পড়ছে পাইকারি ও খুচরা বাজারে।
১ ঘণ্টা আগেদক্ষিণ এশিয়ার বাণিজ্য মানচিত্রে বাংলাদেশের অবস্থান বদলে দিতে যাচ্ছে মাতারবাড়ী। বহুল কাঙ্ক্ষিত গভীর সমুদ্রবন্দর প্রকল্পটি এখন আর কাগজে আঁকা স্বপ্ন নয়, সেটি বাস্তবায়নের মোক্ষম বাঁক পেরিয়ে প্রবেশ করতে যাচ্ছে নির্মাণপর্বে। এ লক্ষ্যে আগামীকাল মঙ্গলবার ঢাকায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে জাপানের দুটি
১ ঘণ্টা আগে৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ কর্মসূচির আওতায় চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ ছাড় নিয়ে বাংলাদেশ সফর শেষ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধিদল। তবে এবারের মিশনে পূর্বের মতো সফরের শেষে ‘স্টাফ লেভেল অ্যাগ্রিমেন্ট’ হয়নি। আইএমএফের এই সিদ্ধান্ত, অর্থাৎ চুক্তি ছাড়াই মিশন শেষ করা, পূর্বের রীতি থেকে একটি বড়
১ ঘণ্টা আগে