আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম
দেশে রাজস্ব ব্যবস্থাপনা আরও কার্যকর ও সুসংগঠিত করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সেবার পরিসর বাড়াচ্ছে। এর অংশ হিসেবে ভ্যাট ও শুল্ক বিভাগের কার্যক্রম দ্রুত সম্প্রসারিত হচ্ছে। পরিকল্পনায় রয়েছে ৪টি নতুন কাস্টম হাউস, ৮টি কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট স্থাপন। একই সঙ্গে প্রয়োজনীয় জনবল বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হবে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের ঋণ কর্মসূচির শর্ত অনুযায়ী, রাজস্ব আয় বাড়ানোর লক্ষ্যে সক্ষমতা বাড়াতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আশা করছেন, অবকাঠামো ও জনবল বৃদ্ধি কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হলে এনবিআরের সেবা কার্যক্রম আরও সহজ ও দ্রুত হবে। এতে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে গতি আসবে এবং ব্যবসা-বাণিজ্যে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে, যা রাজস্ব আয়ের বৃদ্ধি নিশ্চিত করবে।
এনবিআরের দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, এরই মধ্যে নতুন ভ্যাট কমিশনারেট ও কাস্টম হাউসগুলোর সাংগঠনিক কাঠামো (অর্গানোগ্রাম) চূড়ান্ত করেছে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ। এ লক্ষ্যে গত ১২ নভেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ থেকে চূড়ান্ত অর্গানোগ্রাম অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে নতুন কাস্টম হাউস এবং ভ্যাট কমিশনারেট স্থাপন ও প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগের পথ খুলেছে।
নতুন কাস্টম হাউসগুলোর মধ্যে রয়েছে কাস্টম হাউস আইসিডি, চট্টগ্রাম; কাস্টম হাউস (সাতক্ষীরা) ভোমরা; কাস্টম হাউস (কক্সবাজার) মাতারবাড়ী এবং বে-কাস্টম হাউস, চট্টগ্রাম। অন্যদিকে নতুন ভ্যাট কমিশনারেটগুলোর তালিকায় রয়েছে কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট কক্সবাজার, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও ময়মনসিংহ। এ ছাড়া আরও রয়েছে ইকোনমিক জোন কমিশনারেট ঢাকা ও চট্টগ্রাম এবং কাস্টম কেন্দ্রীয় রাসায়নিক পরীক্ষাগার কমিশনারেট। এই সম্প্রসারণ দেশব্যাপী রাজস্ব সংগ্রহের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মুশফিকুর রহমান বলেন, নতুন কাস্টম হাউসগুলো স্থাপিত হলে দেশের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে উল্লেখযোগ্য গতি আসবে এবং রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি নতুন ভ্যাট কমিশনারেটগুলোর মাধ্যমে ভ্যাট সংগ্রহের প্রক্রিয়া আরও সহজ ও কার্যকর হবে।
সূত্র জানিয়েছে, নতুন ভ্যাট কমিশনারেট ও কাস্টম হাউসগুলোর সাংগঠনিক জনবলকাঠামো (অর্গানোগ্রাম) চূড়ান্ত করার পাশাপাশি বিদ্যমান কাস্টম হাউস ও ভ্যাট কমিশনারেটগুলোর জনবলও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করা হয়েছে। বর্তমানে এসব প্রতিষ্ঠানে ৩৭৩টি ক্যাডার ও ৩ হাজার ২২৪টি নন-ক্যাডার পদ রয়েছে।
নতুন অর্গানোগ্রামের আওতায় তিন ধাপে ভ্যাট কমিশনারেট ও কাস্টম হাউসগুলোর জন্য ৩ হাজার ৫৯৭টি নতুন পদ সৃষ্টির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ৩ হাজার ৬৬টি, দ্বিতীয় পর্যায়ে ২৩৮ ও তৃতীয় পর্যায়ে ২৯৩টি পদ অনুমোদিত হয়েছে। নবম গ্রেড (প্রথম শ্রেণি) ও তার ঊর্ধ্বতন পদগুলো সরকারি চাকরি (কাস্টমস অ্যান্ড এক্সাইজ) নিয়োগ বিধিমালা অনুযায়ী পূরণ করা হবে। অন্যদিকে বাকি পদগুলো বিভাগীয় পরীক্ষার মাধ্যমে পদোন্নতির সুযোগ রেখে পরিচালিত হবে। এ উদ্যোগের মাধ্যমে এনবিআরের কার্যক্রম আরও কার্যকর হবে এবং সেবার মান উন্নত হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
বর্তমানে ক্যাডারবহির্ভূত প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা (শুল্ক, আবগারি ও ভ্যাট) নিয়োগ ও কর্মের শর্তাবলি আইনে উল্লেখ রয়েছে, দ্বিতীয় শ্রেণির সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা পদে শূন্য পদের ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ সরাসরি নিয়োগ এবং বাকিটা পদোন্নতির মাধ্যমে পূরণ করতে হবে। নতুন অর্গানোগ্রামে এ বিধান আরও সুসংগঠিত করা হয়েছে। সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা পদে নতুন নিয়োগের পাশাপাশি তৃতীয় শ্রেণির পদ থেকে পদোন্নতির সুযোগও নিশ্চিত করা হয়েছে। এ উদ্যোগ কর্মকর্তাদের জন্য পেশাগত উন্নতির পথ আরও সুগম করবে এবং প্রশাসনিক কাঠামো কার্যকর হবে।
বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপোস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব রুহুল আমিন সিকদার বলেন, চট্টগ্রামের আইসিডিগুলোর জন্য আলাদা কাস্টম হাউস স্থাপিত হলে কার্যক্রমে আরও গতি আসবে। বিশেষ করে রপ্তানিমুখী কার্যক্রম সহজ ও দ্রুততর হবে, যা ব্যবসায়িক কার্যক্রমে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং রপ্তানি খাতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করবে।
দেশে রাজস্ব ব্যবস্থাপনা আরও কার্যকর ও সুসংগঠিত করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সেবার পরিসর বাড়াচ্ছে। এর অংশ হিসেবে ভ্যাট ও শুল্ক বিভাগের কার্যক্রম দ্রুত সম্প্রসারিত হচ্ছে। পরিকল্পনায় রয়েছে ৪টি নতুন কাস্টম হাউস, ৮টি কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট স্থাপন। একই সঙ্গে প্রয়োজনীয় জনবল বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হবে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের ঋণ কর্মসূচির শর্ত অনুযায়ী, রাজস্ব আয় বাড়ানোর লক্ষ্যে সক্ষমতা বাড়াতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আশা করছেন, অবকাঠামো ও জনবল বৃদ্ধি কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হলে এনবিআরের সেবা কার্যক্রম আরও সহজ ও দ্রুত হবে। এতে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে গতি আসবে এবং ব্যবসা-বাণিজ্যে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে, যা রাজস্ব আয়ের বৃদ্ধি নিশ্চিত করবে।
এনবিআরের দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, এরই মধ্যে নতুন ভ্যাট কমিশনারেট ও কাস্টম হাউসগুলোর সাংগঠনিক কাঠামো (অর্গানোগ্রাম) চূড়ান্ত করেছে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ। এ লক্ষ্যে গত ১২ নভেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ থেকে চূড়ান্ত অর্গানোগ্রাম অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে নতুন কাস্টম হাউস এবং ভ্যাট কমিশনারেট স্থাপন ও প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগের পথ খুলেছে।
নতুন কাস্টম হাউসগুলোর মধ্যে রয়েছে কাস্টম হাউস আইসিডি, চট্টগ্রাম; কাস্টম হাউস (সাতক্ষীরা) ভোমরা; কাস্টম হাউস (কক্সবাজার) মাতারবাড়ী এবং বে-কাস্টম হাউস, চট্টগ্রাম। অন্যদিকে নতুন ভ্যাট কমিশনারেটগুলোর তালিকায় রয়েছে কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট কক্সবাজার, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও ময়মনসিংহ। এ ছাড়া আরও রয়েছে ইকোনমিক জোন কমিশনারেট ঢাকা ও চট্টগ্রাম এবং কাস্টম কেন্দ্রীয় রাসায়নিক পরীক্ষাগার কমিশনারেট। এই সম্প্রসারণ দেশব্যাপী রাজস্ব সংগ্রহের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মুশফিকুর রহমান বলেন, নতুন কাস্টম হাউসগুলো স্থাপিত হলে দেশের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে উল্লেখযোগ্য গতি আসবে এবং রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি নতুন ভ্যাট কমিশনারেটগুলোর মাধ্যমে ভ্যাট সংগ্রহের প্রক্রিয়া আরও সহজ ও কার্যকর হবে।
সূত্র জানিয়েছে, নতুন ভ্যাট কমিশনারেট ও কাস্টম হাউসগুলোর সাংগঠনিক জনবলকাঠামো (অর্গানোগ্রাম) চূড়ান্ত করার পাশাপাশি বিদ্যমান কাস্টম হাউস ও ভ্যাট কমিশনারেটগুলোর জনবলও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করা হয়েছে। বর্তমানে এসব প্রতিষ্ঠানে ৩৭৩টি ক্যাডার ও ৩ হাজার ২২৪টি নন-ক্যাডার পদ রয়েছে।
নতুন অর্গানোগ্রামের আওতায় তিন ধাপে ভ্যাট কমিশনারেট ও কাস্টম হাউসগুলোর জন্য ৩ হাজার ৫৯৭টি নতুন পদ সৃষ্টির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ৩ হাজার ৬৬টি, দ্বিতীয় পর্যায়ে ২৩৮ ও তৃতীয় পর্যায়ে ২৯৩টি পদ অনুমোদিত হয়েছে। নবম গ্রেড (প্রথম শ্রেণি) ও তার ঊর্ধ্বতন পদগুলো সরকারি চাকরি (কাস্টমস অ্যান্ড এক্সাইজ) নিয়োগ বিধিমালা অনুযায়ী পূরণ করা হবে। অন্যদিকে বাকি পদগুলো বিভাগীয় পরীক্ষার মাধ্যমে পদোন্নতির সুযোগ রেখে পরিচালিত হবে। এ উদ্যোগের মাধ্যমে এনবিআরের কার্যক্রম আরও কার্যকর হবে এবং সেবার মান উন্নত হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
বর্তমানে ক্যাডারবহির্ভূত প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা (শুল্ক, আবগারি ও ভ্যাট) নিয়োগ ও কর্মের শর্তাবলি আইনে উল্লেখ রয়েছে, দ্বিতীয় শ্রেণির সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা পদে শূন্য পদের ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ সরাসরি নিয়োগ এবং বাকিটা পদোন্নতির মাধ্যমে পূরণ করতে হবে। নতুন অর্গানোগ্রামে এ বিধান আরও সুসংগঠিত করা হয়েছে। সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা পদে নতুন নিয়োগের পাশাপাশি তৃতীয় শ্রেণির পদ থেকে পদোন্নতির সুযোগও নিশ্চিত করা হয়েছে। এ উদ্যোগ কর্মকর্তাদের জন্য পেশাগত উন্নতির পথ আরও সুগম করবে এবং প্রশাসনিক কাঠামো কার্যকর হবে।
বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপোস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব রুহুল আমিন সিকদার বলেন, চট্টগ্রামের আইসিডিগুলোর জন্য আলাদা কাস্টম হাউস স্থাপিত হলে কার্যক্রমে আরও গতি আসবে। বিশেষ করে রপ্তানিমুখী কার্যক্রম সহজ ও দ্রুততর হবে, যা ব্যবসায়িক কার্যক্রমে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং রপ্তানি খাতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করবে।
রাফায়েল গ্যালার্দো বলেন, ‘আমেরিকা এখন বিনিয়োগের জন্য নিরাপদ নয়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নতুন কর নীতি বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীদের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করেছে।’
৬ ঘণ্টা আগেভারতের তৈরি পোশাক শিল্প বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার সুযোগ কাজে লাগিয়ে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে নিজেদের অবস্থান জোরদার করছে। শুল্কমুক্ত বা স্বল্প শুল্ক সুবিধা, উৎপাদন দক্ষতা ও সরকারের সহায়তায় ভারতীয় গার্মেন্টস শিল্প দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে, যার নেতৃত্বে রয়েছে
৮ ঘণ্টা আগেদায়িত্ব নেওয়ার আট মাস পূর্তিতে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন ‘আমাদের আমলনামা’ শিরোনামে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন।
১ দিন আগেট্রাম্পের প্রস্তাব অনুযায়ী, গ্রিন কার্ডধারী ও অস্থায়ী ভিসাধারী— যেমন; এইচ-ওয়ান বি কর্মীদের পাঠানো অর্থেও এই কর আরোপিত হবে। বিশ্বে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স পাওয়া দেশ ভারত। তাই এর প্রভাব ভারতের জন্য হবে ব্যাপক, বলছেন বিশ্লেষকেরা। অন্যান্য বড় রেমিট্যান্স নির্ভর দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে— মেক্সিকো, চীন
১ দিন আগে