রপ্তানি আয়
মাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা
চলতি অর্থবছরের মধ্যে এপ্রিল মাসে সর্বনিম্ন রপ্তানি আয়ের মুখ দেখেছে বাংলাদেশ। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ তথ্যমতে, মাসজুড়ে বাংলাদেশ পণ্য রপ্তানি করে আয় করেছে ৩০১ কোটি ৬৮ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার; যা মার্চ মাসের তুলনায় ১২৩ কোটি ১৮ লাখ ডলার কম। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, একদিকে ঈদের লম্বা ছুটি, অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক শুল্কনীতি—এই দুই মিলে এপ্রিল মাসে রপ্তানি আয়ে বড় ধস নেমেছে। শুধু মাসিক নয়, চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসের মধ্যে এই এপ্রিলেই সর্বনিম্ন রপ্তানি আয় রেকর্ড হয়েছে।
বিশ্বখ্যাত ক্রেতা প্রতিষ্ঠান ওয়ালমার্ট, আমাজন ও অন্যান্য মার্কিন রিটেইলাররা ট্রাম্প প্রশাসনের সম্ভাব্য শুল্ক আরোপের আগেই প্রয়োজনীয় পণ্য কিনে রেখেছে। ফলে এপ্রিল মাসে যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে রপ্তানি অর্ডার কমে যায়। একই সঙ্গে দেশে ঈদের ছুটিতে অন্তত ১০-১২ দিন রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ ছিল, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করেছে।
এ বিষয়ে পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, একদিকে ঈদের ছুটিজনিত দীর্ঘ কার্যবিরতি, অন্যদিকে বৈদেশিক বাজারে অর্ডার সংকোচন—এই দুইয়ের মিলিত প্রভাবে রপ্তানি খাতে যে চাপ তৈরি হয়েছে, তার পরিণতিতে আয় কমবে, এমনটি অনাকাঙ্ক্ষিত হলেও একেবারে অপ্রত্যাশিত ছিল না।
তবে অর্থনৈতিক বিশ্লেষকেরা এর পেছনে আরও গভীর কারণ খুঁজে পেয়েছেন। এ বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বায়ারদের অর্ডার থাকলেও গ্যাস-সংকটের কারণে অনেক ক্ষেত্রে সরবরাহ ব্যাহত হয়েছে। আবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক আরোপ নীতির কারণে মার্কিন ক্রেতারা অনেক আগেই প্রয়োজনীয় পণ্য কিনে নিয়েছে। এপ্রিল নাগাদ তাদের নতুন চাহিদা তেমন ছিল না। ফলে রপ্তানি আয় ধাক্কা খেয়েছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ তথ্যমতে, অর্থবছরের ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) মোট রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ২০ কোটি ৮১ লাখ ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে এই আয় ছিল ৩ হাজার ৬৬০ কোটি ৮৪ লাখ ডলার, অর্থাৎ প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ। কিন্তু একক মাস হিসেবে এপ্রিলের আয় সবচেয়ে কম।
তবে আশার বিষয় হলো, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এপ্রিল মাসে সামান্য হলেও রপ্তানি আয় বেড়েছে। ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে রপ্তানি আয় ছিল ২৯৯ কোটি ১০ লাখ ডলার, এবার তা বেড়ে হয়েছে ৩০১ কোটি ৬৮ লাখ, যা শূন্য দশমিক ৮৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নির্দেশ করে।
বাংলাদেশ থেকে বিশ্ববাজারে মূলত ২৭ ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। পোশাক খাত বরাবরের মতো রপ্তানির মূল ভরসা থাকলেও এ খাতেও গত মাসে বিশেষ গতি ছিল না। তৈরি পোশাক থেকে আয় এসেছে ২৩৯ কোটি ৩৭ লাখ ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় মাত্র দশমিক ৪৪ শতাংশ বেশি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রপ্তানি আয় এসেছে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের খাত থেকে—৮ কোটি ৫ লাখ ডলার। হোম টেক্সটাইল, পাটজাত পণ্য, কৃষিপণ্য ও ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য খাত থেকেও আয় কমেছে।
এ বিষয়ে ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন জানান, ‘সরকার প্রচলিত ও অপ্রচলিত বাজার সম্প্রসারণে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা আশা করছি, সামনের মাসগুলোয় এই ধস কাটিয়ে আবার রপ্তানি প্রবৃদ্ধিতে ফিরবে।’
বিশ্লেষকেরা বলছেন, একদিকে জ্বালানির সংকট, অন্যদিকে বৈশ্বিক শুল্কনীতি ও চাহিদা সংকোচন—এই ত্রিমুখী চাপে এখন রপ্তানি খাত এক অস্থির সময় পার করছে। এর মধ্যে সরকারের দ্রুত পদক্ষেপ না থাকলে ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত থাকতে পারে।
চলতি অর্থবছরের মধ্যে এপ্রিল মাসে সর্বনিম্ন রপ্তানি আয়ের মুখ দেখেছে বাংলাদেশ। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ তথ্যমতে, মাসজুড়ে বাংলাদেশ পণ্য রপ্তানি করে আয় করেছে ৩০১ কোটি ৬৮ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার; যা মার্চ মাসের তুলনায় ১২৩ কোটি ১৮ লাখ ডলার কম। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, একদিকে ঈদের লম্বা ছুটি, অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক শুল্কনীতি—এই দুই মিলে এপ্রিল মাসে রপ্তানি আয়ে বড় ধস নেমেছে। শুধু মাসিক নয়, চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসের মধ্যে এই এপ্রিলেই সর্বনিম্ন রপ্তানি আয় রেকর্ড হয়েছে।
বিশ্বখ্যাত ক্রেতা প্রতিষ্ঠান ওয়ালমার্ট, আমাজন ও অন্যান্য মার্কিন রিটেইলাররা ট্রাম্প প্রশাসনের সম্ভাব্য শুল্ক আরোপের আগেই প্রয়োজনীয় পণ্য কিনে রেখেছে। ফলে এপ্রিল মাসে যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে রপ্তানি অর্ডার কমে যায়। একই সঙ্গে দেশে ঈদের ছুটিতে অন্তত ১০-১২ দিন রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ ছিল, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করেছে।
এ বিষয়ে পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, একদিকে ঈদের ছুটিজনিত দীর্ঘ কার্যবিরতি, অন্যদিকে বৈদেশিক বাজারে অর্ডার সংকোচন—এই দুইয়ের মিলিত প্রভাবে রপ্তানি খাতে যে চাপ তৈরি হয়েছে, তার পরিণতিতে আয় কমবে, এমনটি অনাকাঙ্ক্ষিত হলেও একেবারে অপ্রত্যাশিত ছিল না।
তবে অর্থনৈতিক বিশ্লেষকেরা এর পেছনে আরও গভীর কারণ খুঁজে পেয়েছেন। এ বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বায়ারদের অর্ডার থাকলেও গ্যাস-সংকটের কারণে অনেক ক্ষেত্রে সরবরাহ ব্যাহত হয়েছে। আবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক আরোপ নীতির কারণে মার্কিন ক্রেতারা অনেক আগেই প্রয়োজনীয় পণ্য কিনে নিয়েছে। এপ্রিল নাগাদ তাদের নতুন চাহিদা তেমন ছিল না। ফলে রপ্তানি আয় ধাক্কা খেয়েছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ তথ্যমতে, অর্থবছরের ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) মোট রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ২০ কোটি ৮১ লাখ ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে এই আয় ছিল ৩ হাজার ৬৬০ কোটি ৮৪ লাখ ডলার, অর্থাৎ প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ। কিন্তু একক মাস হিসেবে এপ্রিলের আয় সবচেয়ে কম।
তবে আশার বিষয় হলো, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এপ্রিল মাসে সামান্য হলেও রপ্তানি আয় বেড়েছে। ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে রপ্তানি আয় ছিল ২৯৯ কোটি ১০ লাখ ডলার, এবার তা বেড়ে হয়েছে ৩০১ কোটি ৬৮ লাখ, যা শূন্য দশমিক ৮৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নির্দেশ করে।
বাংলাদেশ থেকে বিশ্ববাজারে মূলত ২৭ ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। পোশাক খাত বরাবরের মতো রপ্তানির মূল ভরসা থাকলেও এ খাতেও গত মাসে বিশেষ গতি ছিল না। তৈরি পোশাক থেকে আয় এসেছে ২৩৯ কোটি ৩৭ লাখ ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় মাত্র দশমিক ৪৪ শতাংশ বেশি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রপ্তানি আয় এসেছে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের খাত থেকে—৮ কোটি ৫ লাখ ডলার। হোম টেক্সটাইল, পাটজাত পণ্য, কৃষিপণ্য ও ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য খাত থেকেও আয় কমেছে।
এ বিষয়ে ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন জানান, ‘সরকার প্রচলিত ও অপ্রচলিত বাজার সম্প্রসারণে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা আশা করছি, সামনের মাসগুলোয় এই ধস কাটিয়ে আবার রপ্তানি প্রবৃদ্ধিতে ফিরবে।’
বিশ্লেষকেরা বলছেন, একদিকে জ্বালানির সংকট, অন্যদিকে বৈশ্বিক শুল্কনীতি ও চাহিদা সংকোচন—এই ত্রিমুখী চাপে এখন রপ্তানি খাত এক অস্থির সময় পার করছে। এর মধ্যে সরকারের দ্রুত পদক্ষেপ না থাকলে ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত থাকতে পারে।
দেশে সোনার দাম ক্রমেই বাড়ছে। প্রায় প্রতিদিন গড়ছে নতুন রেকর্ড। আন্তর্জাতিক বাজারে ঊর্ধ্বগতি, ডলার-সংকট ও আমদানির জটিলতা প্রভাব ফেলছে স্থানীয় বাজারে। ক্রেতারা আগ্রহ হারাচ্ছেন। ফলে বিপাকে পড়েছেন জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা।
৭ মিনিট আগেব্যাংক খাতে অস্থিরতা, দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ থাকলেও সুদের হার বেড়ে যাওয়ায় আমানতে নতুন করে সাড়া মিলেছে। চলতি বছরের এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে মাত্র তিন মাসে ব্যাংকে জমা বেড়েছে ৭৩ হাজার কোটি টাকা, যা প্রবৃদ্ধির হারে দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৮ শতাংশ।
৫ ঘণ্টা আগেকরপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) কর্মসূচির অংশ হিসেবে শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি কুমিল্লার মুরাদনগরের হতদরিদ্র কৃষক ও রিকশাচালক মো. মেহেদী হাসানকে স্ত্রী ও সন্তানের চিকিৎসার জন্য ৫ লাখ টাকার আর্থিক সহায়তা দিয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক (বিকেবি) ও স্পেনভিত্তিক ল্যাটিন ট্রাভেল মানি ট্রান্সফার এস.এর মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বোর্ডরুমে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়।
১৩ ঘণ্টা আগে