বাসস, চট্টগ্রাম
শুল্কমুক্ত আমদানি সুবিধা বাতিলের পর অবশেষে নিলামে তোলা হয়েছে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের সাবেক ২৪ সংসদ সদস্যের (এমপি) বিলাসবহুল গাড়ি। উচ্চ সিসির এসব গাড়ি বিক্রির টাকা জমা হবে সরকারি কোষাগারে।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা বিজন কুমার তালুকদার বলেন, আজ সোমবার থেকে অনলাইন নিলাম ওয়েবসাইটে আগ্রহীরা নিলামের ক্যাটালগ দেখতে পারছেন। আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টা পর্যন্ত অনলাইনে দর জমা দেওয়া যাবে। ১৭ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টায় দরপত্রের বাক্স খোলা হবে।
এবার মোট ৪৪টি গাড়ি নিলামে তোলা হয়েছে। আগামী ২ থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত গাড়িগুলো দেখার সুযোগ পাবেন আগ্রহী ক্রেতারা।
সম্প্রতি চট্টগ্রাম বন্দর স্টেডিয়ামের বিপরীতে নতুন কার শেডে গাড়িগুলো সারিবদ্ধভাবে রাখা হয়েছে।
চট্টগ্রাম কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, জাপানের তৈরি ২৬টি ল্যান্ড ক্রুজার, পাঁচটি টয়োটা হ্যারিয়ার, দুইটি টয়োটা র্যাভ ফোর, একটি টয়োটা এস্কোয়ার ও চীনের তৈরি হেভি ডিউটি সিনো ডাম্প ট্রাক ১০টি নিলামে তোলা হয়েছে। গাড়িগুলোর মধ্যে ২৪টি ল্যান্ড ক্রুজার নতুন, যা শুল্কমুক্ত সুবিধায় আওয়ামী লীগের সাবেক এমপিরা এনেছিলেন।
দুই দফা চিঠি দেওয়ার পরও আমদানি করা গাড়ি খালাস করিয়ে নেননি সাবেক সংসদ সদস্যরা। ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর শুল্কমুক্ত গাড়ির সুবিধা বাতিল হওয়ার পর গত পাঁচ মাসে মাত্র একজনই শুল্ক–কর দিয়ে একটি গাড়ি খালাস করেছেন।
কাস্টমস সূত্র জানায়, একটি গাড়ি আমদানিতে ৯৫ লাখ থেকে ১ কোটি টাকা পরিশোধ করেছেন সাবেক সংসদ সদস্যরা। সব মিলিয়ে এই ২৪টি গাড়ি আনতে সাবেক এমপিরা ব্যয় করেছেন প্রায় ২৩ কোটি টাকা। এই টাকা তাঁরা আর ফেরত পাবেন না। এখন কাস্টমস গাড়িগুলো নিলামে তুলে বিক্রি করে সরকারি কোষাগারে জমা দেবে।
গাড়িগুলোর সংরক্ষিত মূল্য ৯ কোটি ৬৭ লাখ টাকা নির্ধারণ করেছে কাস্টমস। প্রথম নিলামে ৬০ শতাংশ বা এর বেশি সর্বোচ্চ দরদাতা এই গাড়ি কিনতে পারবেন। সে হিসাবে প্রতিটি গাড়ি কিনতে ন্যূনতম ৫ কোটি ৮০ লাখ টাকা কর দিতে হবে। ২৫ শতাংশ করসহ গাড়ির সর্বনিম্ন দাম পড়বে ৭ কোটি ২৫ লাখ টাকা।
কাস্টমসের তালিকা অনুযায়ী, নিলামে তোলা গাড়িগুলোর মধ্যে সবচেয়ে দামি গাড়িটি আমদানি করেছিলেন সুনামগঞ্জ–৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাদিক। টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজারের গাড়িটির আমদানি মূল্য ১ কোটি ৬ লাখ টাকা। গাড়িটির শুল্ক–কর প্রায় ৮ কোটি ৭৮ লাখ টাকা।
নিলামে ওঠা সবচেয়ে কম দামি গাড়ি এনেছিলেন ময়মনসিংহ–৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম আনিসুজ্জামান। এক বছরের পুরোনো টয়োটা গাড়িটির আমদানি মূল্য ৫৭ হাজার ডলার বা ৬৮ লাখ টাকা। গাড়িটির শুল্ক–কর আসে ৫ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।
আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান ও জান্নাত আরা হেনরীর টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার মডেলের দুটি গাড়ি বন্দরে এসে পৌঁছেছিল জুলাইয়ের শেষে। সরকার পতনের পর ৬ আগস্ট সংসদ ভেঙে দেওয়া হয়। এরপর ১৪ আগস্ট দুজনেই তড়িঘড়ি করে অগ্রিম আয়কর বাবদ ৯ লাখ ৭৯ হাজার টাকা পরিশোধ করে খালাসের উদ্যোগ নেন। তবে সংসদ ভেঙে যাওয়ায় চট্টগ্রাম কাস্টমস তা আটকে দেয়। এই দুই গাড়িও নিলামে তোলা হচ্ছে।
যাদের গাড়ি নিলামে তোলা হচ্ছে তাঁদের মধ্যে আরও রয়েছেন—সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, মুহাম্মদ শাহজাহান ওমর, সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী, অনুপম শাহজাহান জয়, সাজ্জাদুল হাসান, সাদ্দাম হোসেন (পাভেল), নাসের শাহরিয়ার জাহেদী, আবুল কালাম আজাদ, আবদুল মোতালেব, মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ, তৌহিদুজ্জামান, শাহ সারোয়ার কবীর, এস এ কে একরামুজ্জামান, এস এম আল মামুন, এস এম কামাল হোসেন, মুজিবুর রহমান, আসাদুজ্জামান ও আখতারউজ্জামান।
শুল্কমুক্ত আমদানি সুবিধা বাতিলের পর অবশেষে নিলামে তোলা হয়েছে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের সাবেক ২৪ সংসদ সদস্যের (এমপি) বিলাসবহুল গাড়ি। উচ্চ সিসির এসব গাড়ি বিক্রির টাকা জমা হবে সরকারি কোষাগারে।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা বিজন কুমার তালুকদার বলেন, আজ সোমবার থেকে অনলাইন নিলাম ওয়েবসাইটে আগ্রহীরা নিলামের ক্যাটালগ দেখতে পারছেন। আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টা পর্যন্ত অনলাইনে দর জমা দেওয়া যাবে। ১৭ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টায় দরপত্রের বাক্স খোলা হবে।
এবার মোট ৪৪টি গাড়ি নিলামে তোলা হয়েছে। আগামী ২ থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত গাড়িগুলো দেখার সুযোগ পাবেন আগ্রহী ক্রেতারা।
সম্প্রতি চট্টগ্রাম বন্দর স্টেডিয়ামের বিপরীতে নতুন কার শেডে গাড়িগুলো সারিবদ্ধভাবে রাখা হয়েছে।
চট্টগ্রাম কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, জাপানের তৈরি ২৬টি ল্যান্ড ক্রুজার, পাঁচটি টয়োটা হ্যারিয়ার, দুইটি টয়োটা র্যাভ ফোর, একটি টয়োটা এস্কোয়ার ও চীনের তৈরি হেভি ডিউটি সিনো ডাম্প ট্রাক ১০টি নিলামে তোলা হয়েছে। গাড়িগুলোর মধ্যে ২৪টি ল্যান্ড ক্রুজার নতুন, যা শুল্কমুক্ত সুবিধায় আওয়ামী লীগের সাবেক এমপিরা এনেছিলেন।
দুই দফা চিঠি দেওয়ার পরও আমদানি করা গাড়ি খালাস করিয়ে নেননি সাবেক সংসদ সদস্যরা। ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর শুল্কমুক্ত গাড়ির সুবিধা বাতিল হওয়ার পর গত পাঁচ মাসে মাত্র একজনই শুল্ক–কর দিয়ে একটি গাড়ি খালাস করেছেন।
কাস্টমস সূত্র জানায়, একটি গাড়ি আমদানিতে ৯৫ লাখ থেকে ১ কোটি টাকা পরিশোধ করেছেন সাবেক সংসদ সদস্যরা। সব মিলিয়ে এই ২৪টি গাড়ি আনতে সাবেক এমপিরা ব্যয় করেছেন প্রায় ২৩ কোটি টাকা। এই টাকা তাঁরা আর ফেরত পাবেন না। এখন কাস্টমস গাড়িগুলো নিলামে তুলে বিক্রি করে সরকারি কোষাগারে জমা দেবে।
গাড়িগুলোর সংরক্ষিত মূল্য ৯ কোটি ৬৭ লাখ টাকা নির্ধারণ করেছে কাস্টমস। প্রথম নিলামে ৬০ শতাংশ বা এর বেশি সর্বোচ্চ দরদাতা এই গাড়ি কিনতে পারবেন। সে হিসাবে প্রতিটি গাড়ি কিনতে ন্যূনতম ৫ কোটি ৮০ লাখ টাকা কর দিতে হবে। ২৫ শতাংশ করসহ গাড়ির সর্বনিম্ন দাম পড়বে ৭ কোটি ২৫ লাখ টাকা।
কাস্টমসের তালিকা অনুযায়ী, নিলামে তোলা গাড়িগুলোর মধ্যে সবচেয়ে দামি গাড়িটি আমদানি করেছিলেন সুনামগঞ্জ–৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাদিক। টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজারের গাড়িটির আমদানি মূল্য ১ কোটি ৬ লাখ টাকা। গাড়িটির শুল্ক–কর প্রায় ৮ কোটি ৭৮ লাখ টাকা।
নিলামে ওঠা সবচেয়ে কম দামি গাড়ি এনেছিলেন ময়মনসিংহ–৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম আনিসুজ্জামান। এক বছরের পুরোনো টয়োটা গাড়িটির আমদানি মূল্য ৫৭ হাজার ডলার বা ৬৮ লাখ টাকা। গাড়িটির শুল্ক–কর আসে ৫ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।
আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান ও জান্নাত আরা হেনরীর টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার মডেলের দুটি গাড়ি বন্দরে এসে পৌঁছেছিল জুলাইয়ের শেষে। সরকার পতনের পর ৬ আগস্ট সংসদ ভেঙে দেওয়া হয়। এরপর ১৪ আগস্ট দুজনেই তড়িঘড়ি করে অগ্রিম আয়কর বাবদ ৯ লাখ ৭৯ হাজার টাকা পরিশোধ করে খালাসের উদ্যোগ নেন। তবে সংসদ ভেঙে যাওয়ায় চট্টগ্রাম কাস্টমস তা আটকে দেয়। এই দুই গাড়িও নিলামে তোলা হচ্ছে।
যাদের গাড়ি নিলামে তোলা হচ্ছে তাঁদের মধ্যে আরও রয়েছেন—সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, মুহাম্মদ শাহজাহান ওমর, সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী, অনুপম শাহজাহান জয়, সাজ্জাদুল হাসান, সাদ্দাম হোসেন (পাভেল), নাসের শাহরিয়ার জাহেদী, আবুল কালাম আজাদ, আবদুল মোতালেব, মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ, তৌহিদুজ্জামান, শাহ সারোয়ার কবীর, এস এ কে একরামুজ্জামান, এস এম আল মামুন, এস এম কামাল হোসেন, মুজিবুর রহমান, আসাদুজ্জামান ও আখতারউজ্জামান।
বাংলাদেশি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক ২০ শতাংশে নেমে আসায় স্বস্তি ফিরেছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে। পাল্টা শুল্ক প্রতিযোগী দেশগুলোর সমান হওয়ায় এটি ব্যবস্থাপনাযোগ্য বলে জানিয়েছেন তৈরি পোশাক খাতের ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলছেন, এখন পাল্টা শুল্কের যে হার নির্ধারণ করা হয়েছে, তাতে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে
৭ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক ঘোষণাতেই রপ্তানিকারকদের কপালে পড়েছিল চিন্তার বড় ভাঁজ। এই নিয়ে গত ২ এপ্রিল থেকে ঘুম উড়ে যাওয়ার দশা ব্যবসায়ী ও নীতিনির্ধারকদের। শুরু হয় মার্কিন বাণিজ্য দপ্তরের সঙ্গে দেনদরবার; বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে দেওয়া হয় নানা প্রতিশ্রুতি ও ছাড়। দফায় দফায় আলোচনা এবং সরকারের
৮ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্র পাল্টা শুল্ক কমিয়ে ২০ শতাংশ নির্ধারণ করায় দেশের পোশাক উদ্যোক্তাদের আসল কাজটি এখন শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পরিচালক ও সুরমা গার্মেন্টসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফয়সাল সামাদ। তিনি বলেছেন, বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাজারে প্রবেশ করতে হলে
১৫ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের জন্য শুল্ক কমিয়ে ২০ শতাংশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। আজ শুক্রবার অন্যান্য দেশের জন্য বিভিন্ন হারের পাশাপাশি বাংলাদেশের জন্য এই শুল্ক হার ঘোষণা করেন। হোয়াইট হাউসের এই ঘোষণাকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আলোচনার পদ্ধতির জন্য একটি জয় বলে উল্লেখ করেছেন উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান। সেই সঙ্গে বাণিজ্য
১৬ ঘণ্টা আগে