Ajker Patrika

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো ঠিক হয়নি: এফবিসিসিআই সভাপতি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো ঠিক হয়নি: এফবিসিসিআই সভাপতি

এই মুহূর্তে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো ঠিক হয়নি। এতে ব্যবসায়ীরা সমস্যার মধ্যে পড়বে বলে মত দিয়েছেন দেশের ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। তিনি বলেছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমে গেছে, সামনে আরও কমবে। তেলের দাম ডলারের দামের সঙ্গে সমন্বয় করা উচিত এবং বাংলাদেশের বাজারে তেলের দাম কমানো দরকার।’

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর মতিঝিলে ফেডারেশন ভবনে এফবিসিসিআই আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর সফর সঙ্গী হিসেবে এফবিসিসিআইয়ের নেতৃত্বে বাণিজ্য প্রতিনিধি দলের যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স সফর নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। 

একবারে তেলের দাম লিটারপ্রতি ১৫ টাকা বাড়ানোর প্রয়োজন ছিল না উল্লেখ করে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, আমাদের দেশে কোনো জিনিসের দাম একবার বাড়লে আর কমানোর ঠিক থাকে না। এ অবস্থার পরিবর্তন হওয়া উচিত। তিনি বলেন, তেলের দাম কম থাকা অবস্থায় ব্যবসায়ীরা যেসব কাজ হাতে নিয়েছেন তাঁদের খরচ এখন বেড়ে যাবে। এতে ব্যবসায়ীদের সমস্যায় পড়তে হবে। 

এ সময় এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ এখন সময়ের দাবি। আগে আমরা শুধু তৈরি পোশাক শিল্পের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে পরিচিত ছিলাম। এখন আমরা চামড়া, জাহাজ, সিরামিকসসহ অন্যান্য পণ্যও রপ্তানি করছি। রপ্তানি বাজার আরও বাড়াতে হবে। না হলে আগামীতে বাণিজ্যিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা কঠিন হবে।’

এ ব্যবসায়ী নেতা জানান, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সফরে তাঁরা ছয়টি বাণিজ্য চুক্তি করেছেন। যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সে আগামীতে বাণিজ্য আরও বাড়বে। এছাড়া বিদেশে অবস্থানরত দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রজন্মের বাংলাদেশিদের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ ২০২৯ সাল পর্যন্ত জিএসপি সুবিধা পাবে উল্লেখ করে জসিম উদ্দিন বলেন, বর্তমানে আমাদের রপ্তানি বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় ৫০ বিলিয়ন ডলার। বাণিজ্য ঝুঁকি মোকাবিলায় আমাদের এটাকে ৩০০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে হবে। 

তিনি বলেন, আমরা মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার পর যদি ২০২৯ সাল পর্যন্ত বাণিজ্য সুবিধা বা জিএসপি সুবিধা পাই, তবে আমরা বাণিজ্যিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সক্ষম হবো। 

ব্যাংকিং খাতের খেলাপি ঋণ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জসিম উদ্দিন বলেন, ‘করোনার প্রভাবে খেলাপি ঋণ কিছুটা বেড়েছে। আমাদের ব্যবসা ঝুঁকির মধ্যে আছে। ৯৯ শতাংশ ব্যবসায়ীই ঋণ নিয়ে তা পরিশোধ করারমনোভাব রাখেন। আর এক শতাংশ ব্যবসায়ী আছেন, যারা বিভিন্ন প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করেন। তবে এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে আমরা সরকারের সঙ্গে কাজ করছি। কারণ ব্যাংকিং খাত আমাদের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার রাখছে। বিশেষ করে পাওয়ার সেক্টরে যেসব উন্নয়ন হয়েছে, তার অধিকাংশই দেশীয় ব্যাংকের ঋণের মাধ্যমে হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইউটিউবে ১০০০ ভিউতে আয় কত

বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে পারে সরকার, ভয়ে কলকাতায় দিলীপ কুমারের আত্মহত্যা

মেয়াদোত্তীর্ণ ঠিকাদারের নিয়ন্ত্রণে সার্ভার, ঝুলে আছে ৭ লাখ ড্রাইভিং লাইসেন্স

বাকৃবির ৫৭ শিক্ষকসহ ১৫৪ জনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা

সাবেক সেনাপ্রধান হারুন ছিলেন চট্টগ্রাম ক্লাবের গেস্ট হাউসে, দরজা ভেঙে বিছানায় মিলল তাঁর লাশ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত