Ajker Patrika

কয়লা আমদানিতে চীনের ফের শুল্ক আরোপ, বিপাকে রাশিয়ার রপ্তানিকারকেরা

কয়লা আমদানিতে চীনের ফের শুল্ক আরোপ, বিপাকে রাশিয়ার রপ্তানিকারকেরা

চীন নতুন বছরের শুরুতেই কয়লার আমদানির ওপর পুনরায় শুল্ক আরোপ করেছে। বিষয়টি রাশিয়ার রপ্তানিকারকদের জন্য হুমকি হতে পারে। কেননা তাঁদের সবচেয়ে বড় জ্বালানি রপ্তানির বাজার চীন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। 

ইউক্রেনে মস্কোর আগ্রাসন শুরুর পর বিশ্বব্যাপী জ্বালানি বাজার বিপর্যস্ত হয়ে পড়লে সরবরাহের ঝুঁকি কাটাতে ২০২২ সালের মে মাসে চীন আবগরি শুল্ক মওকুফ হয়েছিল। এই সিদ্ধান্তের ফলে গত বছর রেকর্ড পরিমাণ জ্বালানি আমদানি করে চীন। এসব জ্বালানির মধ্যে অন্যতম ছিল রাশিয়ার কয়লা। 

কিন্তু এখন চীনের অভ্যন্তরীণ কয়লা উত্তলোন সর্বকালের সর্বোচ্চে পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে। ফলে নিজ দেশের খনিজ সম্পদ উত্তলোন কোম্পানিগুলোর স্বার্থ রক্ষার্থে নীতি বদলিয়েছে চীন। 

চীনে কয়লা রপ্তানিতে বিশ্বে দ্বিতীয় রাশিয়া। দুই দেশের দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য হলো—বার্ষিক সরবরাহ ১০০ মিলিয়ন টনে পৌঁছানো; যা ২০২৩ সালের ডিসেম্বর অবধি পূরণ হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই অবস্থা বজায় রাখতে চাইলে এখন কয়লা রপ্তানিতে রাশিয়াকে অবশ্যই দাম কমতে হবে। 

চীন কয়লা পরিবহন ও বিতরণ সমিতির বিশ্লেষক সু হুইপেং গত সপ্তাহে এক ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘অন্য কোনো দেশ এত বেশি কয়লা আমদানি করে না। তাই এখন রপ্তানিকারকদের দাম কমাতে হবে এবং অতিরিক্ত কর দিতে হবে।’ 

চীনের কাছে রাশিয়ার মাসিক কয়লা বিক্রি জুনে ১০ মিলিয়ন টনের বেশি হলেও বাজার কম প্রতিযোগিতামূলক হওয়ায় বর্তমানে কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। এখন কর পুনরায় আরোপ করায় বিক্রির পরিমাণ আরও কমবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

এদিকে বেইজিংয়ের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির কারণে অস্ট্রেলিয়া এবং শীর্ষ সরবরাহকারী ইন্দোনেশিয়ার মতো প্রতিদ্বন্দ্বীরা নিরাপদ অবস্থানে রয়েছে। অপরদিকে মস্কো যুদ্ধের অর্থ সংগ্রহের জন্য বৈদেশিক বাণিজ্যর ওপর কর আরোপ করেছে। 

এ অবস্থায় রাশিয়া, মঙ্গোলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ সর্বাধিক পছন্দের দেশগুলোর জন্য বিদ্যুৎ এবং তাপশক্তির কয়লার ওপর চীনের শুল্ক ৬ শতাংশ এবং স্টিল মিলগুলোতে ব্যবহৃত কোকিং কয়লার ওপর ৩ শতাংশ হারে ফিরে এসেছে। 

চীনে প্রচুর পরিমাণে তাপীয় কয়লা রয়েছে, তবে সাধারণত ইস্পাত তৈরির জন্য বিভিন্ন ধরনের কয়লার ঘাটতি রয়েছে; যা আমদানিতে শুল্কের প্রভাবকে সীমিত করতে সহায়তা করবে। 

এ ছাড়া পণ্য রপ্তানিতে যেসব দেশ বিশেষ সুবিধার শ্রেণিভুক্ত নয়; তাঁদের ওপর ২০ শতাংশ আবগরি শুল্ক আরোপ করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত