নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে পোশাক ও বস্ত্র খাতের উদ্যোক্তাদের দাবিগুলোকে বাস্তবায়নের মাধ্যমে রপ্তানি আয় বাড়ানো যেত। এর মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয়ন বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হতো। কিন্তু প্রস্তাবিত বাজেটে এ রকম ঘোষণা না আসায় হতাশা প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীরা।
আজ শনিবার বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ, বিকেএমইএ এবং বিটিএমএর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেছেন সংগঠনের নেতারা। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিজিএমইএ সভাপতি এস এম মান্নান কচি। রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে দেশের পোশাক রপ্তানির প্রবৃদ্ধি আশঙ্কাজনকভাবে কমেছে। কেবল মে মাসে দেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি কমেছে ১৭ শতাংশ। আমরা মজুরি বাড়িয়েছি। কিন্তু আমাদের পণ্যের মূল্য বাড়েনি, বরং গত ৯ মাসে দরপতন হয়েছে ৮-১৮ শতাংশ।
সিংহভাগ রপ্তানি আয় অর্জনকারী পোশাক শিল্পের এমন সংকটময় পরিস্থিতিতে সহায়তা পাওয়ার আশা করেছিলেন ব্যবসায়ীরা। এ বিষয়ে এস এম মান্নান কচি বলেন, ‘আমাদের প্রত্যাশা ছিল বাজেটে পোশাকশিল্পের জন্য কিছু নীতিসহায়তা থাকবে। বিশেষ করে উৎসে কর শূন্য দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে এবং এটিকে চূড়ান্ত কর দায় হিসেবে গণ্য করা হবে বলে আশা ছিল এবং আছে।’
পাশাপাশি আরও কিছু প্রত্যাশার কথা জানিয়েছে পোশাক খাতের তিন সংগঠন। তাঁরা জানিয়েছেন, বাজেটে প্রণোদনার ওপর আয়কর অব্যাহতি, শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্য ও সেবা ভ্যাটমুক্ত রাখা, এইচএস কোড ও ওজন সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন করা, ইআরকিউয়ের ওপর আয়কর ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা, অগ্নি ও নিরাপত্তা সরঞ্জাম পুনঃস্থাপনের ক্ষেত্রে আমদানি কর রেয়াত, পোশাকশিল্পের ঝুট থেকে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ ভ্যাট এবং রিসাইকেল ফাইবার সরবরাহের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহারের ঘোষণা আসবে বলে প্রত্যাশা করেছিলেন। কিন্তু এসব ঘোষণা না আসায় হতাশা প্রকাশ করেছে তিন সংগঠন।
লিখিত বক্তব্যে বিজিএমইএ সভাপতি কচি বলেন, শিল্প টিকে থাকলে রাজস্ব আসবে, নতুন নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে। গত অর্থবছরে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৪৭ বিলিয়ন বা ৪ হাজার ৭০০ কোটি ডলারের। ভবিষ্যতে রপ্তানি বৃদ্ধির আরও সম্ভাবনা আছে। সরকারের অব্যাহত সহযোগিতায় রপ্তানিতে কাঙ্ক্ষিত সম্ভাবনা কাজে লাগানো গেলে কর হার না বাড়িয়েও রাজস্ব বাড়ানো সম্ভব। এতে অর্থনীতি বেশি উপকৃত হবে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়বে।
বাজেট ঘাটতি মেটাতে সরকারের ঋণ নির্ভরতা বিনিয়োগ হ্রাস করবে বলে মন্তব্য করেন বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ব্যাংক যখন সরকারকে ঋণ দেওয়ার সুযোগ পাবে, তখন আমাদেরকে দিতে চাইবে না। এটাই স্বাভাবিক। তাহলে বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত হবে। কর্মসংস্থান কমবে। ইতিমধ্যে আপনারা দেখেছেন, বিগত বছরগুলোতে বিনিয়োগ কমেছে।
প্রণোদনার যৌক্তিকতা বোঝাতে প্রতিবেশী দেশ ভারতের উদাহরণ দেন বিটিএমএর সভাপতি মোহাম্মদ আলী। তিনি বলেন, ভারত ২০০৪ সালে গ্র্যাজুয়েশনের পরেও ৪-৫টি রাজ্যে শুধু সুতার ওপর ৩ দশমিক ৮৮ শতাংশ প্রণোদনা দেয়। তারা শুল্ক ফেরত পায় ২ শতাংশ। তারা যে দামে কেনে, সেই দামে বিক্রি করলেও মুনাফা থাকে।
তবে বাজেটে শিল্পবান্ধব হয়নি এখনই তা বলতে চান না বিজিএমইএ সভাপতি। এস এম মান্নান কচি বলেন, শিল্পবান্ধব নয় এই বাজেট, এটা বলার সময় আসেনি। এখনো সময় আছে, সুযোগ আছে। বিগত সময়ে সব সংকট মোকাবিলায় সরকারের সহযোগিতা পেয়েছি। এখনো প্রত্যাশায় আছি, মূল বিষয়গুলো যেগুলো পাইনি, সেগুলো পুনর্বিবেচনা করবে সরকার।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে পোশাক ও বস্ত্র খাতের উদ্যোক্তাদের দাবিগুলোকে বাস্তবায়নের মাধ্যমে রপ্তানি আয় বাড়ানো যেত। এর মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয়ন বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হতো। কিন্তু প্রস্তাবিত বাজেটে এ রকম ঘোষণা না আসায় হতাশা প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীরা।
আজ শনিবার বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ, বিকেএমইএ এবং বিটিএমএর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেছেন সংগঠনের নেতারা। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিজিএমইএ সভাপতি এস এম মান্নান কচি। রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে দেশের পোশাক রপ্তানির প্রবৃদ্ধি আশঙ্কাজনকভাবে কমেছে। কেবল মে মাসে দেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি কমেছে ১৭ শতাংশ। আমরা মজুরি বাড়িয়েছি। কিন্তু আমাদের পণ্যের মূল্য বাড়েনি, বরং গত ৯ মাসে দরপতন হয়েছে ৮-১৮ শতাংশ।
সিংহভাগ রপ্তানি আয় অর্জনকারী পোশাক শিল্পের এমন সংকটময় পরিস্থিতিতে সহায়তা পাওয়ার আশা করেছিলেন ব্যবসায়ীরা। এ বিষয়ে এস এম মান্নান কচি বলেন, ‘আমাদের প্রত্যাশা ছিল বাজেটে পোশাকশিল্পের জন্য কিছু নীতিসহায়তা থাকবে। বিশেষ করে উৎসে কর শূন্য দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে এবং এটিকে চূড়ান্ত কর দায় হিসেবে গণ্য করা হবে বলে আশা ছিল এবং আছে।’
পাশাপাশি আরও কিছু প্রত্যাশার কথা জানিয়েছে পোশাক খাতের তিন সংগঠন। তাঁরা জানিয়েছেন, বাজেটে প্রণোদনার ওপর আয়কর অব্যাহতি, শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্য ও সেবা ভ্যাটমুক্ত রাখা, এইচএস কোড ও ওজন সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন করা, ইআরকিউয়ের ওপর আয়কর ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা, অগ্নি ও নিরাপত্তা সরঞ্জাম পুনঃস্থাপনের ক্ষেত্রে আমদানি কর রেয়াত, পোশাকশিল্পের ঝুট থেকে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ ভ্যাট এবং রিসাইকেল ফাইবার সরবরাহের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহারের ঘোষণা আসবে বলে প্রত্যাশা করেছিলেন। কিন্তু এসব ঘোষণা না আসায় হতাশা প্রকাশ করেছে তিন সংগঠন।
লিখিত বক্তব্যে বিজিএমইএ সভাপতি কচি বলেন, শিল্প টিকে থাকলে রাজস্ব আসবে, নতুন নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে। গত অর্থবছরে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৪৭ বিলিয়ন বা ৪ হাজার ৭০০ কোটি ডলারের। ভবিষ্যতে রপ্তানি বৃদ্ধির আরও সম্ভাবনা আছে। সরকারের অব্যাহত সহযোগিতায় রপ্তানিতে কাঙ্ক্ষিত সম্ভাবনা কাজে লাগানো গেলে কর হার না বাড়িয়েও রাজস্ব বাড়ানো সম্ভব। এতে অর্থনীতি বেশি উপকৃত হবে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়বে।
বাজেট ঘাটতি মেটাতে সরকারের ঋণ নির্ভরতা বিনিয়োগ হ্রাস করবে বলে মন্তব্য করেন বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ব্যাংক যখন সরকারকে ঋণ দেওয়ার সুযোগ পাবে, তখন আমাদেরকে দিতে চাইবে না। এটাই স্বাভাবিক। তাহলে বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত হবে। কর্মসংস্থান কমবে। ইতিমধ্যে আপনারা দেখেছেন, বিগত বছরগুলোতে বিনিয়োগ কমেছে।
প্রণোদনার যৌক্তিকতা বোঝাতে প্রতিবেশী দেশ ভারতের উদাহরণ দেন বিটিএমএর সভাপতি মোহাম্মদ আলী। তিনি বলেন, ভারত ২০০৪ সালে গ্র্যাজুয়েশনের পরেও ৪-৫টি রাজ্যে শুধু সুতার ওপর ৩ দশমিক ৮৮ শতাংশ প্রণোদনা দেয়। তারা শুল্ক ফেরত পায় ২ শতাংশ। তারা যে দামে কেনে, সেই দামে বিক্রি করলেও মুনাফা থাকে।
তবে বাজেটে শিল্পবান্ধব হয়নি এখনই তা বলতে চান না বিজিএমইএ সভাপতি। এস এম মান্নান কচি বলেন, শিল্পবান্ধব নয় এই বাজেট, এটা বলার সময় আসেনি। এখনো সময় আছে, সুযোগ আছে। বিগত সময়ে সব সংকট মোকাবিলায় সরকারের সহযোগিতা পেয়েছি। এখনো প্রত্যাশায় আছি, মূল বিষয়গুলো যেগুলো পাইনি, সেগুলো পুনর্বিবেচনা করবে সরকার।
কাগুজে ও ভুয়া প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে ঋণের নামে নেওয়া হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে এস আলম গ্রুপ। পাচারের এই অর্থ ফেরাতে তোড়জোড় শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক।) দুদকের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানিয়েছে, ইতিমধ্যে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে বিভিন্ন দেশে মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স রিকোয়েস্ট (এমএলএ
৪ ঘণ্টা আগেপশ্চিমের বলয় থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় বিকল্প অর্থনৈতিক জোট হিসেবে ব্রিকসের জন্ম। এই জোটের সদস্য দেশগুলো হলো—ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা। সাম্প্রতিক সময়ে মিসর, ইথিওপিয়া, ইরান, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ইন্দোনেশিয়া নতুন সদস্য হিসেবে যোগ দিয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগেগার্ডিয়ান লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড দেশের একটি সুপরিচিত বিমা প্রতিষ্ঠান, সম্প্রতি বিমা কার্যক্রম পরিচালনায় নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য সমালোচিত হয়েছে। প্রায় চার বছর ধরে সিইও (মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা) ছাড়া প্রতিষ্ঠানটি কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ২০২১ সালের জানুয়ারি মাস থেকে সিইও পদটি শূন্য, যা বিমা আইন..
১ দিন আগেজাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এখনো রাজস্ব আহরণের আধুনিক ব্যবস্থার সঙ্গে তাল মেলাতে পারছে না। বিশেষ করে আয়কর ব্যবস্থার ডিজিটালাইজেশন এখনো অনেক পিছিয়ে। ২০০৫ সালে অটোমেশনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও দুই দশক পরেও তা পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি।
১ দিন আগে